হঠাৎ অসুস্থ দেবের রুক্মিণী

হঠাৎ অসুস্থ দেবের রুক্মিণী কিছুদিন আগেই দাদুর মৃত্যুর খবর শুনে মুম্বাই থেকে কলকাতায় ফিরে এসেছিলেন রুক্মিণী মৈত্র। এই সময়টাতে পরিবারের সঙ্গে থাকার জন্যই তার আসা। এরমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়লেন অভিনেত্রী। কী হয়েছে তার? সোশ্যালে অভিনেত্রী একটি ছবি পোস্ট করেছেন যেখানে দেখা যাচ্ছে তিনি বাড়ির পোশাকে ছবি তুলেছেন, চোখ মুখ একেবারে বিধ্বস্ত। ছবি দেখেই বোঝা যাচ্ছে তিনি ভীষণভাবে অসুস্থ। ছবির ক্যাপশনেও তিনি সেটাই উল্লেখ করেছেন। রুক্মিণী লিখেছেন, ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত তিনি। ক্রমাগত ১০২ ডিগ্রি জ্বরে বেহাল অবস্থা তার। যদিও এখন প্রকৃতির খামখেয়ালি আবহাওয়ার জেরে প্রায় সবারই একই অবস্থা। মনে করা হচ্ছে, হঠাৎ করে মুম্বাই থেকে কলকাতায় আসার ফলে ও আবহাওয়া বদলের কারণে এই শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাকে। যদিও কয়েকমাস আগেই অসুস্থতার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল রুক্মিণীকে। ফের আবারও অসুস্থ হয়ে পড়লেন তিনি। যদিও এই ভাইরাল জ্বর খুব বেশিদিন স্থায়ী থাকে না, তাই মনে করা হচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন অভিনেত্রী। এদিকে বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে যতবার দেব-শুভশ্রীর নাম উচ্চারিত হয়েছে ততবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে রুক্মিণী মৈত্রেরও নাম। ‘ধূমকেতু’ ছবি নিয়ে তিনি কতটা আনন্দিত, দেব-শুভশ্রীকে এক মঞ্চে দেখে দেখে তিনি খুশি কিনা, এইসব প্রশ্ন বারবার ধেয়ে এসেছে অভিনেত্রীর দিকে। এমনকি রুক্মিণীকে নিয়ে বহু মিম তৈরি হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও কিছুদিন আগেই সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এইসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তিনি। ‘ধূমকেতু’ ছবির প্রথম দিন থেকে তিনি ছবিটির সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন, তাই এই সিনেমা নিয়ে দেবের পাশাপাশি তিনিও একই ভাবে উৎসাহিত ছিলেন। অন্যদিকে দেব এবং শুভশ্রীকে নিয়ে বিন্দুমাত্র সমস্যা নেই তার। তিনি যে তার ভালোবাসার মানুষকে ভীষণভাবে বিশ্বাস করেন একথাও জানাতে ভোলেননি অভিনেত্রী। প্রসঙ্গত, রুক্মিণী মৈত্রকে সর্বশেষ দেখা গেছে ‘বিনোদিনী একটি নটীর উপাখ্যান’ ছবিতে। আপাতত তিনি নতুন ছবির চিত্রনাট্য শুনছেন বলে খবর।
বিজেপি ও মোদির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা থালাপতি বিজয়ের

বিজেপি ও মোদির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা থালাপতি বিজয়ের তামিল সিনেমার জনপ্রিয় ও প্রভাবশালী অভিনেতা থালাপতি বিজয় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপিকে ‘ফ্যাসিবাদী বিজেপি’ আখ্যা দিয়ে এই আদর্শগত শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। ২০২৬ সালের তামিলনাড়ু বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে দেওয়া এক বার্তায় এমন মন্তব্য করেন তিনি। বৃহস্পতিবার মাদুরাইয়ের পারাপাথিতে নিজ দলের দ্বিতীয় রাজ্য সম্মেলনে বক্তব্য দেন এই অভিনেতা ও রাজনীতিক। এ সময় তিনি বিজেপির ওপর রাগও ঝাড়েন। তামিল রাজনীতিতে রুপালি পর্দার সুপারস্টারদের আধিপত্য নতুন কোন ঘটনা নয়। এনটি রামা রাও থেকে শুরু করে জয়ললিতা, কমল হাসান থেকে হালের থালাপতি বিজয়, প্রায় সকলেই নিজস্ব স্টাইলে জয় করেছেন ভোটারদের মন। এবার সেই লক্ষ্যে আরেকটু এগোলেন সুপারস্টার থালাপতি বিজয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) মাদুরাইয়ের পারাপাথিতে তার দল তামিলাগা ভেটরি কাজাগাম – টিভিকে’র দ্বিতীয় রাজ্য সম্মেলনে হাজার হাজার সমর্থক জড়ো হয়। সেখানেই বিজয় ২০২৬ সালের তামিলনাড়ু বিধানসভা নির্বাচনে ‘একলা চলো’ নীতি গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন। শুধু নিজে লড়ার ঘোষণাই নয় পাশাপাশি রাজ্য নির্বাচনে কোন জোটের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। সমাবেশে বিজয় বিজেপিকে ‘আদর্শগত শত্রু’ এবং ক্ষমতাসীন ডিএমকে-কে ‘একমাত্র রাজনৈতিক শত্রু’ হিসেবে উল্লেখ করেন। অভিনেতা বিজয়ের ভাষ্যে, ‘আমাদের একমাত্র আদর্শগত শত্রু বিজেপি। আর আমাদের রাজনৈতিক শত্রু হলো ডিএমকে – দ্রাবিড় মুনেত্র কাজাগাম। তামিলাগা ভেটরি কাজাগাম – টিভিকে এমন কোনো দল নয়, যারা কাউকে ভয় পায় বা কোনো আন্ডারগ্রাউন্ড মাফিয়া ব্যবসা চালায়। পুরো তামিলনাড়ুর শক্তি আমাদের সঙ্গে আছে। চলুন, আমরা ফ্যাসিবাদী বিজেপি ও বিষাক্ত ডিএমকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করি।’ তিনি আরও বলেন, ‘সিংহ সব সময়ই সিংহ। একবার গর্জন করলে সেই শব্দ আট কিলোমিটার পর্যন্ত কম্পন সৃষ্টি করে। এমন সিংহ শিকার করতে বের হয়। জঙ্গলে অনেক শিয়াল থাকে, কিন্তু সিংহ থাকে মাত্র একটি। সিংহই জঙ্গলের রাজা। সিংহ জানে কী করে টিকে থাকতে হয়।’ মোদির সমালোচনা করে বিজয় বলেন, ‘আপনারা হয়তো ভাবছেন ২০২৯ সাল পর্যন্ত আপনাদের যাত্রা মসৃণ হবে। কিন্তু আমি স্পষ্ট করে বলছি, পদ্মপাতায় যেমন জল আটকে থাকে না, তেমনি তামিলরাও বিজেপির সঙ্গে থাকবে না।’ দেশটির রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নিজের দলকে তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে তৃতীয় ফ্রন্ট হিসেবে তুলে আনার চেষ্টা করছেন থালাপতি বিজয়। রাজ্যের ক্ষমতায় থাকা দ্রাবিড় মুনেত্র কাজাগাম – ডিএমকে এবং বিরোধী এআইএডিএমকে দুই দলেরই বিকল্প হিসেবে নিজের দলকে ভোটারদের সামনে আনার চেষ্টায় রয়েছেন বিজয়। দক্ষিণী সিনেমার এই সুপারস্টার গত বছর তামিলাগা ভেটরি কাজাগাম – টিভিকে প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। এবারই তিনি প্রথমবার নির্বাচনে অংশ নেবেন। ২০২৬ সালে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা তামিলনাড়ুতে বিধানসভা নির্বাচন।
যুক্তরাষ্ট্রে পুরস্কার পেলেন আনিসুর রহমান মিলন

যুক্তরাষ্ট্রে পুরস্কার পেলেন আনিসুর রহমান মিলন ‘বেস্ট হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পেয়েছেন অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে এ সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন তিনি। এই সম্মানজনক পুরস্কারটি প্রদান করেছে চার্চ অব সায়েন্টোলজি। পুরস্কার গ্রহণের পর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আনিসুর রহমান মিলন বলেন, “আমি সত্যিই সম্মানিত বোধ করছি। তবে এই পুরস্কার কেবল আমার নয়, এটি লস অ্যাঞ্জেলেস অ্যাক্টিং একাডেমির প্রতিটি সদস্যের। তাদের অবদান ছাড়া এ অর্জন সম্ভব হতো না। এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারটি প্রদান করার জন্য সায়েন্টোলজি চার্চের প্রতি কৃতজ্ঞ।” একসময় বাংলাদেশি নাটক ও চলচ্চিত্রে নিয়মিত অভিনয় করতেন আনিসুর রহমান মিলন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে বহু জনপ্রিয় নাটক ও সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। তবে বর্তমানে দেশে অভিনয়ে সক্রিয় নন, যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পীদের প্রভাবশালী সংগঠন ‘দ্য স্ক্রিন অ্যাক্টর গিল্ড-আমেরিকান ফেডারেশন অব টেলিভিশন অ্যান্ড রেডিও আর্টিস্টস’ (সেগ-আফট্রা) এর সদস্য হয়েছেন তিনি। মিলনকে হলিউডের অভিনেতা হিসেবে নাম লেখানোর সুযোগ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ প্রযোজনার সিনেমা ‘এম আর-৯: ডু অর ডাই’। চলতি বছেরের শুরুতে মিলন বলেন, “আমি এখন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাক্টরস ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত। যে কারণে এখন আমি হলিউডের মূলধারার সিনেমায় অভিনয় করার সুযোগ তৈরি করতে পারছি। এখন আমাকে হলিউডের কাজের জন্য ছুটতে হবে।”
আইনসিদ্ধ হোক বা না হোক, বিয়ে তো করেছিলাম

আইনসিদ্ধ হোক বা না হোক, বিয়ে তো করেছিলাম কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। নামটা শুনলেই অনেকের মনে প্রথমেই আসে বিতর্কের কথা। গত কয়েক বছরে যেন একটার পর একটা বিতর্কে জড়িয়েছেন এই অভিনেত্রী ও রাজনীতিক। তবে এতদিন এসব নিয়ে খুব একটা প্রকাশ্যে কথা বলেননি তিনি। এবার এক সাক্ষাৎকারে নিজের জীবনের নানা অধ্যায় নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন। নুসরাত বলেন, ‘মানুষ ভাবে, নুসরাত মানেই বিতর্ক। কিন্তু আমি তার চেয়েও অনেক বেশি কিছু। যারা সমালোচনা করে, তারা জানেই না আমার ভিতরে কী চলছিল। অনেকে যা বলে, তার অনেকটাই সত্যি নয়, অর্ধসত্য।’ কঠিন সময় পেরিয়ে এখন নিজের জীবনে স্থিরতা খুঁজে পেয়েছেন বলে মনে করেন তিনি। বলেন, ‘আগের চেয়ে অনেক বেশি মানসিক শক্তি পেয়েছি।’ যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে আগে কখনো খুব স্পষ্ট কিছু বলেননি নুসরাত। তবে এবার তিনি বলেন, ‘যশের সঙ্গে যখন সম্পর্কে জড়াই, তখন জানতাম সে একজন সন্তানের বাবা। হ্যাঁ, সবকিছু বুঝতে সময় লাগে। সেই সময়টা নিয়েছিলাম।’ তার সংসদে গিয়ে ‘বিয়ে হয়নি’ বলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অনেকে ভেবেছে আমি সংসদে গিয়ে বলেছি বিয়ে করিনি। আমি কি বোকা? বিয়ে করে, সংসদে শপথ নিয়ে আবার বলব বিয়েটা হয়নি! তাহলে তো আমাকে পাগলাগারদে যেতে হতো! আমি কখনো এমন বলিনি।’ তিনি জানান, তার প্রাক্তন স্বামীর পক্ষ থেকে আইনি চিঠি এসেছিল, যাতে বলা হয়েছিল তার আর যশের বিয়ে আইনগতভাবে বৈধ নয়। সে কথাটাও তিনি ঠিকভাবে প্রকাশ করতে পারেননি। কিন্তু এ কথা সত্যি যে, বিয়ে তো হয়েছিল – সেটা বৈধ হোক বা না হোক। বিয়ে রেজিস্ট্রি না করার কারণ হিসেবে তিনি জানান, বিয়েটা বিদেশে হয়েছিল। ফিরেই সংসদে শপথ ছিল, তারপর একের পর এক কাজ। সময়ই পাইনি রেজিস্ট্রির জন্য। এটা তারই ভুল। তবে অতীত তো মুছে ফেলা যায় না। রাজনীতি থেকে নিজেই সরে এসেছেন, না কি বাধ্য হয়েছিলেন- এমন প্রশ্নে নুসরাত বলেন, ‘আমি মন দিয়ে কাজ করছিলাম। কিন্তু নির্বাচনের ছয় মাস আগে অনেক ঘটনা ঘটল। আমাকে বলা হলো আমি মানুষকে ঠকিয়েছি! এটা কেন হবে?’ তিনি বলেন, ‘আমি কিন্তু সমস্ত পরিস্থিতি একা সামলেছি। যশ তখন মুম্বাইয়ে, ঈশান ছিল ছোট। ওকে দেখে সিদ্ধান্ত নিই, আর নয়। ও বড় হবে, স্কুলে যাবে- চাই না, আমার কারণে তার জীবনে কিছু প্রভাব পড়ুক।’ ২০২৬ সালের নির্বাচনে যদি আবার ডাক আসে তাহলে কী করবেন?- এমন প্রশ্নের জবাবে নুসরাত বলেন, কে ডাকবে জানি না- তৃণমূল না বিজেপি। তবে রাজনীতিতে আসার একমাত্র কারণ ছিল দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়)। তাকে আমি শ্রদ্ধা করি, ভালোবাসি। উনি আমাদের ইন্ডাস্ট্রির মানুষদের স্নেহ করেন, আগলে রাখেন। দিদিকে না বলা আমার পক্ষে সম্ভব না।’
পোস্টারে আগুন, আসছে ‘প্রিন্স’

পোস্টারে আগুন, আসছে ‘প্রিন্স’ বাংলা চলচ্চিত্রের সুপারস্টার শাকিব খান নতুন চমক নিয়ে হাজির হলেন। শুক্রবার (২২ আগষ্ট) নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশ করলেন তাঁর নতুন সিনেমা ‘প্রিন্স: ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন ঢাকা’–এর অফিসিয়াল পোস্টার। পোস্টারে দেখা যায়, লালচে আবহে ভিড়ের মাঝে হাতে বন্দুক উঁচিয়ে আছেন অনেকেই। তাঁদের মাঝেই উঁচু করে হাত তুলে দাঁড়িয়ে আছেন শাকিব খান। চেহারা স্পষ্ট না হলেও ভঙ্গিতে পরিষ্কার, এবার গ্যাংস্টারের চরিত্রে হাজির হচ্ছেন তিনি। পোস্টারের বিভিন্ন প্রান্তে ঢাকা শহরের পরিচিত জায়গার নাম যেমন উত্তরা, গাবতলী, মোহাম্মদপুর, বাড্ডা, কারওয়ান বাজার, শাঁখারীবাজার, গ্যান্ডারিয়া প্রভৃতি লেখা রয়েছে। সিনেমাটি পরিচালনা করছেন আবু হায়াত মাহমুদ, প্রযোজনা করেছেন শিরিন সুলতানা। আগামী ঈদুল ফিতর ২০২৬–এ ছবিটি মুক্তির কথা জানানো হয়েছে। পোস্টার শেয়ার করে শাকিব খান লিখেছেন— “ঘোষণা হলো এক নতুন অধ্যায়ের – শহর চিনবে তার আসল নায়ককে!! ? Here comes the Myth in motion – #PRINCE: Once Upon A Time In Dhaka. A story where the city meets its Legend.” ঈদের সিনেমা মানেই শাকিব খানের নাম বক্স অফিসে বড় ভরসা। গেল কোরবানির ঈদেও তাঁর মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ভালো ব্যবসা করেছে। এবার ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে নতুন এই সিনেমা নিয়ে দর্শকদের মাঝে তৈরি হয়েছে ব্যাপক কৌতূহল।
আমি মায়ের মতো একটা বউ পেয়েছি: জাহিদ হাসান

আমি মায়ের মতো একটা বউ পেয়েছি: জাহিদ হাসান দেশীয় শোবিজের জনপ্রিয় তারকা দম্পতি জাহিদ হাসান ও সাদিয়া ইসলাম মৌ। তবে শোবিজের কোনো অনুষ্ঠানে তাদের একসঙ্গে খুব একটা দেখা যায় না। আর এ কারণে মাঝে কথাও রটে- ভালো যাচ্ছে না তাদের সংসার জীবন! বিষয়টি নিয়ে সামাজিকমাধ্যমেও হয়েছে মুখরোচক নানা আলোচনাও। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে নিজেদের দাম্পত্য জীবন নিয়ে মুখ খুলেছেন জাহিদ হাসান। বিহাইন্ড দ্য ফ্রেম উইদ আরআরকে পডকাস্টে জাহিদ হাসান জানান, দাম্পত্যজীবনে ভালো আছেন তারা। অভিনেতার কথায়, ‘আমরা ভালো আছি। কিছু লোক তো থাকেই এমনটা ভাবার জন্য। কিছু একটা বের করা লাগবে, এজন্য এসব বলে বেড়ায়। ’ জাহিদ হাসান জানান, মৌ তার সব বিষয়ে খেয়াল রাখেন। অনুষ্ঠানে স্ত্রী’র প্রসঙ্গ আসায় খানিকটা আবেগপ্রবণ হয়ে এই অভিনেতা বলেন, ‘মানুষ এ কথাকে কীভাবে নেবে জানি না। আমি আসলেই মায়ের মতো একটা বউ পেয়েছি। মা যেভাবে আদর করে, টেক কেয়ার করে। আবার মাঝে মাঝে বিরক্তও হয়। আমাদের কখনো ইগোর সংঘাত হয় না। কারণ, সে আমার চেয়ে ভালো মনের মানুষ। ’ দু’জনকে একসঙ্গে দেখা না যাওয়ার প্রসঙ্গে জাহিদ হাসান বলেন, ‘এ বিষয়ে মানুষ আসলে ঠিক কথাই বলে। একসঙ্গে তো কোথাও আসলেই যাই না। আমার শুটিং থাকে রাত করে। এত বছর শুটিংয়ের কারণেই একত্রে কোথাও যেতে পারিনি। যারা মন্তব্য করে, তারা হয়তো জানে না, আমার আপন ভাইয়ের বিয়েতেও আমি যেতে পারিনি। সেদিন আমার বিচ্ছু নাটকের শো ছিল বরিশালে। আমার জীবন এভাবেই শুরু হয়েছে। শুটিংয়ের জন্য শিডিউল আগে থেকে নিয়ে রাখা হয়। এর মধ্যে হঠাৎ দাওয়াত এসে পড়ে। তখন আর সেই দাওয়াতে যাওয়া যায় না। আর এখন কোনো ক্লাবে গেলে আড্ডা ছেড়ে আসতে ইচ্ছা করে না। তাই অনুষ্ঠানগুলোয় মৌ একাই যায়। সে দেশে না থাকলে আমি যাওয়ার চেষ্টা করি। ’ জাহিদ হাসান আরও জানান, তার সাবেক প্রেমিকার কথাও জানেন মৌ। এ নিয়ে মৌ তার সঙ্গে অনেক সময় মজাও করেন। এই অভিনেতার কথায়, ‘আমার পরিবারের সবাই আমার আগের সম্পর্কের কথা জানে। তারা ব্যাপারটি নাইসলি দেখে। মৌ মাঝে মাঝে এটা নিয়ে মজা করে। আমাকে লেগপুলিং করে। একদিন হঠাৎ মৌ বলল, এগুলো এভাবে ফেলে রাখো কেন, যত্ন করে রাখো। দেখি, তার হাতে অনেকগুলো চিঠি। ’ মৌর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর আগে এক অভিনেত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল জাহিদ হাসানের। তারা একসঙ্গে কাজ করেছেন বেশ কিছু নাটকে। তার চিঠি এখনো বাড়িতে যত্ন করে রেখে দিয়েছেন জাহিদ। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর একত্রে আর কোনো কাজ করেননি তারা। এমনকি মাঝে মাঝে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা হলে পরস্পরের সঙ্গে কথাও বলেন না। তাকে নিয়ে এখন আর কোনো মন্তব্যও করতে চান না জাহিদ হাসান। তিনি বলেন, ‘তাকে নিয়ে কিছু বললে অশ্রদ্ধা করা হয়। সেটা করতে চাই না। আমি তাকে একসময় ভালোবেসেছিলাম। আমার মতো সেও খুব ভালো আছে। এটাই বড় কথা। ’ প্রসঙ্গত, নব্বই দশকে তুমুল জনপ্রিয় অভিনেতা জাহিদ হাসান। অপরদিকে দেশসেরা মডেল ও নৃত্যশিল্পী সাদিয়া ইসলাম মৌ। তাদের প্রথম পরিচয় করিয়ে দেন হানিফ সংকেত। ইত্যাদির একটা মিউজিক ভিডিও করতে গিয়ে প্রথম পরিচয় দু’জনের। এরপর সেটা রূপ নেয় প্রণয়ে। তবে মৌয়ের পরিবার থেকেই বেশি অসম্মতি ছিল এই বিয়েতে। কিন্তু দুইজনের একক সিদ্ধান্তে বিয়ে করেন ১৯৯৬ সালে। একসময় পরিবারও মেনে নেয়। তাদের সংসারে এসেছে ছেলে পূর্ণ ও মেয়ে পুষ্পিতা। সেদিনের সেই সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল না তা প্রমাণ করে তাদের এত বছরের সুখের সংসার।
শরীর ভারসাম্য হারাতে শুরু করেছে: অমিতাভ বচ্চন

শরীর ভারসাম্য হারাতে শুরু করেছে: অমিতাভ বচ্চন বলিউড মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চন। বয়স হয়েছে, ভারসাম্য হারাতে শুরু করেছে শরীর, এরপরও কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শরীরের ওপর বয়সের প্রভাব বাড়ছে, সেটি স্বীকার করেছেন ৮২ বছর বয়সী এই অভিনেতা। সম্প্রতি নিজের ব্লগে অমিতাভ লেখেন, ‘শরীর ধীরে ধীরে ভারসাম্য হারাতে শুরু করেছে। ’সম্প্রতি ভক্তদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর ব্লগে তিনি জানান, কাজের পাশাপাশি এখন তার জীবনের একটি বড় অংশ জুড়ে রয়েছে নিয়মিত ওষুধ সেবন। সেই সঙ্গে যোগব্যায়াম ও শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়ামও শরীর সুস্থ রাখার জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। অমিতাভ বলেন, এখন আর আগের মতো কাজ করা যায় না। কিছু করতে হলে আগে চিন্তা করতে হয়। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী দীর্ঘক্ষণ একটানা দাঁড়িয়ে থাকেন না তিনি, কারণ পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। এমনকি বাড়িতেও এসেছে পরিবর্তন। শরীরের ভারসাম্য রাখতে এখন ঘরের ভেতর হ্যান্ডেল বার ব্যবহার করেন এই অভিনেতা। যেসব কাজ কিছুদিন আগেও সহজে করতে পারতেন, সেগুলোর জন্য এখন এই সরঞ্জামের সাহায্য নিতে হয়। বয়স নিয়ে খোলামেলা কথা বলতে গিয়ে অভিনেতা আরও বলেন, এই সময়টা সবার জীবনেই আসে। কিন্তু আমি চাই না, এটা আসুক। আমরা যেদিন পৃথিবীতে জন্ম নিই, সেদিন থেকেই মৃত্যুর দিকে এগোতে থাকি। এটা স্বাভাবিক হলেও খুব দুঃখজনক। জীবনের গতিতে কখন যে বয়স ব্রেক কষিয়ে দেবে, তা ভাবতেও পারবেন না।
রণবীরের সিনেমার সেটের ১২০ জন হাসপাতালে
রণবীরের সিনেমার সেটের ১২০ জন হাসপাতালে লাদাখের লেহ শহরে চলছিল বলিউড অভিনেতা রণবীর সিংয়ের আসন্ন সিনেমা ‘ধুরন্ধর’র শুটিং। রোববার (১৭ আগস্ট) রাতে সেখানে খাদ্যে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হন শতাধিক কলাকুশলী। এরপর তাদের দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, শুটিং সেটে উপস্থিত প্রায় ৬০০ জনের মধ্যে অনেকেই রাতের খাবার খাওয়ার পর পেটব্যথা, বমি, মাথা ঘোরা ও গ্যাসের সমস্যায় ভোগেন। তাদের মধ্যে ১২০ জনকে ভর্তি করা হয় লেহর এসএনএম হাসপাতালে। হাসপাতালের সুপারইনটেনডেন্ট বলেন, এমারজেন্সিতে প্রায় ১২০ জনকে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর অধিকাংশকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ৫ জনকে এখনও পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তিনি আরও জানান, কয়েকজনের ডিহাইড্রেশন ও তীব্র পেটব্যথা ধরা পড়ে। একজন ক্রু মেম্বার বলেন, প্রায় ১০০ জনের বেশি সদস্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। চিকিৎসক ও নার্সরা খুব ভালোভাবে সেবা দিয়েছেন। পুলিশ সূত্র জানায়, শুটিং ইউনিটের প্রায় ৬০০ জনই ওই খাবার গ্রহণ করেছিলেন। খাবারের পরই বেশিরভাগের অসুস্থতা শুরু হয় এবং তাদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রণবীর সিংয়ের ‘ধুরন্ধর’ শুটিং শুরুর পর থেকেই আলোচনায়। এর আগে সেটে পাকিস্তানের পতাকা ব্যবহারের দৃশ্য ভাইরাল হলে বিতর্কে জড়ায় সিনেমাটি।
দক্ষিণী সুপারস্টার রজনীকান্তের সিনেমায় মিঠুন

দক্ষিণী সুপারস্টার রজনীকান্তের সিনেমায় মিঠুন ভারতের দক্ষিণী সিনেমার সুপারস্টার রজনীকান্ত ‘জেলার ২’ সিনেমার কাজ করছেন। ‘জেলার’ সিনেমার সিক্যুয়েল এটি। সিনেমাটিতে রজনীকান্তের সঙ্গে পর্দায় দেখা মিলবে আরেক সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তীকে। ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে সিনেমার শুটিংয়ের কাজ। এটি পরিচালনা করছেন নেলসন দিলীপ কুমার। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, সিনেমার শুটিংয়েও অংশ নিয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী এবং চলতি সপ্তাহেই শুটিংয়ে যোগ দেবেন রজনীকান্ত। জানা যাচ্ছে, সিনেমাটিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাবে মিঠুন চক্রবর্তীকে। শুধু তাই নয় ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে এ এক অন্য মাইলস্টোন তৈরি করবে বলেও মনে করা হচ্ছে। এর আগে মিঠুন চক্রবর্তীর সিনেমা ‘ভ্রষ্টাচার’ ও ‘ভাগ্য বিধাতা’তে অতিথি চরিত্রে ধরা দিয়েছিলেন রজনীকান্ত। এবার একসঙ্গে দেখা যাবে তাদের দু’জনকে এক সিনেমায়। বলে রাখা যায়, ২০২৩ সালে মুক্তি পেয়েছিল নেলসন দিলীপ কুমারের পরিচালনায় ‘জেলর’। যা বিশ্বব্যাপী ৬০০ কোটির ব্যবসা করেছিল। এবার এই সিনেমার সিক্যুয়েলের শুটিং হবে চেন্নাইসহ ভারতের বিভিন্ন জায়গায়।
মারা গেছেন ‘থ্রি ইডিয়টস’খ্যাত বলিউড ও মারাঠি অভিনেতা

মারা গেছেন ‘থ্রি ইডিয়টস’খ্যাত বলিউড ও মারাঠি অভিনেতা বলিউড ও মারাঠি সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা অচ্যুত পোতদার মারা গেছেন। আমির খানের ব্লকবাস্টার ফিল্ম ‘থ্রি ইডিয়টস’-এ তাকে রাগী অধ্যাপকের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল। তার অভিনীত সেই চরিত্র আজও দর্শকদের মনে বিশেষ জায়গা করে রয়েছে। এ অভিনেতা সোমবার (১৮ আগস্ট) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের ঠাণের জুপিটার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। শারীরিক জটিলতার কারণে অভিনেতার হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও মৃত্যুর সঠিক কারণ জানানো হয়নি। মঙ্গলবার ঠাণেতেই তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার কথা। অভিনয়ের দীর্ঘ চার দশকের ক্যারিয়ারে অচ্যুত পোতদার কাজ করেছেন ১২৫টিরও বেশি হিন্দি ও মারাঠি ছবিতে। সমান দক্ষতায় বাণিজ্যিক থেকে সমালোচকদের প্রশংসিত- দুই ধরনের ছবিতেই অভিনয় করেছেন তিনি। তার উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে- ‘আক্রোশ’, ‘আলবার্ট পিন্টো কো গুসা কিউঁ আতা হ্যায়’, ‘অর্ধসত্য’, ‘তেজাব’, ‘পরিন্দা’, ‘রাজু বন গয়া জেন্টলম্যান’, ‘দিলওয়ালে’, ‘রঙ্গিলা’, ‘বাস্তব’, ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’, ‘পরিণীতা’, ‘লাগে রাহো মুন্না ভাই’, ‘দাবাং ২’ এবং ‘ভেন্টিলেটর’। ২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়া রাজকুমার হিরানির ‘থ্রি ইডিয়টস’-এ অধ্যাপকের ভূমিকায় তার উপস্থিতি আজও দর্শকের মনে রয়ে গেছে। বিশেষ করে তার মুখের সংলাপ, ‘আরে, কেহনা ক্যা চাহতে হো’- এখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয় মিম হিসেবে ঘোরাফেরা করে। শুধু সিনেমাই নয়, ছোট পর্দাতেও ছিল তার শক্তিশালী উপস্থিতি। ‘ভারত এক খোঁজ’, ‘অল দ্য বেস্ট’ (দূরদর্শন), ‘প্রধান মন্ত্রী’ (জি টিভি), ‘আহত’ (১৯৯৫-২০০১, সনি টিভি), ‘ওয়াগলে কি দুনিয়া’ এবং ‘মাঝা হোশিল না’ (জি মারাঠি)-তে অভিনয় করে তিনি দর্শকদের মনে জায়গা করে নেন। অভিনয়ে আসার আগে পোতদারের জীবন ছিল ভিন্নপথে। মধ্যপ্রদেশের রেওয়ায় অধ্যাপনা করার পর তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং ১৯৬৭ সালে ক্যাপ্টেন পদে অবসর নেন। এরপর দীর্ঘ ২৫ বছর ইন্ডিয়ান অয়েলে উচ্চপদে কাজ করে ১৯৯২ সালে অবসর নেন। ৪৪ বছর বয়সে চলচ্চিত্রে পা রাখার পরই শুরু হয় তার অভিনয়যাত্রা। অচ্যুত পোতদারের মৃত্যুতে বলিউড ও মারাঠি চলচ্চিত্র অঙ্গনসহ টেলিভিশন দুনিয়া শোকস্তব্ধ।