সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ সরব থাকেন তিশা

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ সরব থাকেন তিশা   বর্তমানে আলোচনায় আছেন মেগাস্টার শাকিব খান অভিনীত নতুন সিনেমায় অভিনয়ের জন্য। নাম চূড়ান্ত না হওয়া এ সিনেমার শুটিং শুরু হবে এ মাসেই পরিচালনা করবেন বিজ্ঞাপন ও টিভি নাটক নির্মাণে পরিচিত নির্মাতা সাকিব ফাহাদ। ছবিটির অধিকাংশ শুটিং হবে থাইল্যান্ডে, এরপর বাংলাদেশে। পাশপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ সরব থাকেন তিশা। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে তানজিন তিশা বলেন, ‘এটা আমার কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে লাভলী একটা মুহূর্ত। আমার মা এটা ২য় সময় কোথাও আদর্শ মা হিসেবে অ্যাওয়ার্ড পায়। কারণ আমি বলবো প্রতিটা আটির্স্ট সন্তানের পেছনে বাবা-মার দায়িত্ব যেমন, বাবা-মার ভারটাও অনেক। সে জায়গা থেকে আমি এখানে দাঁড়িয়ে আছি ঠিকমতো কাজ করছি। শুধুমাত্র আমার মায়ের জন্য। সে জায়গা থেকে মাকে যখন সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কিছু হতে পারে না। তাই আমি খুবই খুশি। ভক্তদের সুখবর দিয়ে তিশা বলেন, ‘আমার দর্শকরা যেটা চায়, আমিও সেটা চাই। আমি সবসময় অপেক্ষা করেছি খুব ভালো বাজেটের কাজের। চেষ্টা করি, বেছে বেছে কোয়ালিটি সম্পন্ন কাজগুলোর সঙ্গে থাকার। এছাড়া খুব তাড়াতাড়ি আমাকে সিনেমায় দেখা যাবে। আমার দর্শকদের জন্যই আজকে আমি এই অবস্থানে। আমি বিশ্বাস করি, আমার জেনুইন কিছু দর্শক আছে। তাদের জন্যই আমার সবকিছু। সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ সবসময় আমাকে এত ভালোবাসা ও সাপোর্ট দেওয়ার জন্য। প্রসঙ্গত, তানজিন তিশার শুরুটা ফ্যাশন শুট ও র‍্যাম্প মডেলিংয়ের মাধ্যমে। এরপর রিজভি ওয়াহিদ এবং শুভমিতার গাওয়া ‘চোখেরি পলকে’ মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করে তারকা খ্যাতি পান। গানটি লিখেছেন জনপ্রিয় গীতকবি রবিউল ইসলাম জীবন।

ইধিকাই কি শাকিব খানের ঈদের ছবির নায়িকা ?

ইধিকাই কি শাকিব খানের ঈদের ছবির নায়িকা ? নব্বই দশকের ঢাকাকে ঘিরে নির্মিত হতে যাচ্ছে নতুন ছবি ‘প্রিন্স’। অ্যাকশন, রোমান্স, আবেগ আর পারিবারিক টানাপোড়েনের মিশেলে তৈরি এ ছবিটি আগামী ঈদুল ফিতরে মুক্তির লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করছে নির্মাতারা। ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে থাকছেন ঢালিউডের সুপারস্টার শাকিব খান। শাকিব বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। সেখান থেকে দেশে ফিরে তিনি প্রথমে ‘সোলজার’ নামে একটি ছবির শুটিং শুরু করবেন। এরপরেই ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবেন ‘প্রিন্স’ নিয়ে। যদিও ছবির নায়িকা কে হচ্ছেন, তা নিয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। শোনা যাচ্ছে, নাজিফা তুষির সঙ্গে প্রাথমিকভাবে কথা হলেও তা চূড়ান্ত হয়নি। অন্যদিকে, আরেকটি সূত্র বলছে, কলকাতার অভিনেত্রী ইধিকা পালকেই নেওয়া হচ্ছে এই ছবির নায়িকা হিসেবে। বিষয়টি নিয়ে ইধিকার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে খোলাসা করেনি কিছুই। শুধু জানান, আমি তো বাংলাদেশের প্রিয়তমা। তারা আমার প্রথম ছবিতে যে ভালোবাসা দিয়েছেন তা ভুলবার নয়। আমি তো সবসময়ই চাই বাংলাদেশের ছবিতে কাজ করতে। শাকিব খানের মতো বড় মেঘা স্টারের সঙ্গে কাজ করতে। ঢাকাই ছবির দর্শকের কাছে ইধিকার পরিচিতি আসে শাকিব খানের সঙ্গেই। ২০২৩ সালের সুপারহিট ছবি ‘প্রিয়তমা’ দিয়ে তাঁর চলচ্চিত্রে অভিষেক। এরপর চলতি বছরের রোজার ঈদে ‘বরবাদ’ ছবিতে আবারও শাকিব-ইধিকা জুটি সাফল্য পায়। ঢাকার পাশাপাশি কলকাতাতেও নিয়মিত কাজ করছেন এই নায়িকা। দেবের সঙ্গে তাঁর ‘খাদান’ ছবি দর্শকপ্রিয়তা পায়। আসন্ন দুর্গাপূজায় দেব-ইধিকা জুটিকে আবার দেখা যাবে ‘রঘু ডাকাত’ ছবিতে। এ ছাড়া সোহমের সঙ্গে তাঁর আরেকটি ছবি ‘বহুরূপ’ মুক্তির অপেক্ষায় আছে, যাঁর গান ইতোমধ্যেই আলোচনায় এসেছে। অভিনয়ের পাশাপাশি ব্যক্তিজীবন নিয়েও আলোচনায় থাকেন ইধিকা। আনন্দবাজারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, এখনও তিনি সিঙ্গেল। প্রেম না করার পেছনে মায়ের কড়া শাসনই বড় কারণ বলে উল্লেখ করেছেন অভিনেত্রী। ইধিকার ভাষায়, পূজার সময় প্রেম করার সুযোগ পেলেও তা টেকেনি– কারণ, মা কড়া শাসনে সব ভেঙে দিতেন।” তবে হাসিমুখে যোগ করেছেন, এখন উল্টো অবস্থা, কয়েক বছর পর হয়তো মা-ই তাঁকে প্রেম করার পরামর্শ দেবেন। ‘রঘু ডাকাত’ নিয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত ইধিকা। তাঁর মতে, পূজার মুক্তি দিয়েই তিনি বুঝতে পারবেন জনপ্রিয়তা কতটা বেড়েছে এবং আগামী দিনে কী কী করার সুযোগ আসবে। তিনি মনে করেন, শিল্পীরা ঝড়-বৃষ্টি কিংবা অসুস্থতা উপেক্ষা করে কাজ করেন কেবল দর্শকদের জন্য, আর দর্শকের ভালোবাসাই আসল পুরস্কার। এদিকে ‘প্রিন্স’-এর গল্প লিখেছেন মেজবাহ উদ্দিন সুমন। চিত্রনাট্য করেছেন যৌথভাবে সুমন ও মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন। পরিচালনায় থাকছেন আবু হায়াত মাহমুদ। অক্টোবর থেকে শুটিং শুরুর কথা থাকলেও সংশ্লিষ্টরা জানাচ্ছেন, শুটিং এক মাস পিছিয়ে নভেম্বর থেকে শুরু হতে পারে। সবকিছু ঠিক থাকলে ছবিটি মুক্তি পাবে আগামী ঈদুল ফিতরে।

ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়াতে পিয়াকে মেসেজ, অতঃপর

ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়াতে পিয়াকে মেসেজ, অতঃপর রুপালি জগতের তারকাদের নিয়ে ভক্ত-অনুরাগীদের উন্মাদনার শেষ নেই। অভিনেত্রী পিয়া জান্নাতুল তেমনই একটি ঘটনা সামনে আনলেন। এক ব্যক্তি ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন অভিনেত্রীর ইনবক্সে। সেই মেসেজের স্কিনশট ফেসবুকে পোস্ট করে বিষয়টি জানিয়েছেন পিয়া। নিজেকে পিয়ার ভক্ত দাবি করে এই ব্যক্তি লেখেন, “আমি কোনো বেঈমান অথবা বাজে ছেলে নই। আমি দীর্ঘদিন থেকে আপনার প্রতি খুব বেশি সীমাহীনভাবে দুর্বল এবং আপনার এক অন্ধভক্ত প্রেমিক বন্ধু। আমাকে ফিরিয়ে দেবেন না। ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরির প্রস্তাব দিয়ে এই ব্যক্তি লেখেন, “আমার কলিজা থেকে বলছি, চিরদিনের জন্য আপনাকে আমার পার্সোনাল বন্ধু, একান্ত আপনজন ভাবছি। শুধু আপনার আর আমার মধ্যে ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করতে চাই। আপনি-আমি ছাড়া আমাদের গভীর প্রেমের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক পৃথিবীর কেউ জানবে না। আল্লাহর কসম। পিয়ার ফোন নম্বর চেয়ে লেখেন, “প্রতিটি মুহূর্ত আপনার দিকে তাকিয়ে আছি, আশা করি বিশ্বাস করবেন। দয়া করে আপনার ফোন নাম্বার, হোয়াটসআপ নাম্বার দিন—প্লিজ। এসব মেসেজের কোনো উত্তর দেননি অভিনেত্রী পিয়া। শুধু শেষের মেসেজটার পর তিনি একটি ফোন নাম্বার দেন; যা গুলশান থানার নম্বর। পিয়ার এই পোস্ট নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা চলছে। কয়েকটি ভাগে বিভক্ত নেটিজেনরা। অনেকে পিয়ার ‘ভক্তর কাণ্ড’ নিয়ে রসিকতা করছেন। অনেকে বলছেন, কারো আবেগ নিয়ে এমনটা না করলেও পারতেন অভিনেত্রী। একজন লেখেন, “মানুষের আবেগ নিয়ে এভাবে খেলতে হয় না। তার মনে কি আছে হয়তো আপনি জানেন না, আল্লাহ জানেন। আপনি তাকে বিভিন্ন কায়দায় বিভিন্নভাবে বুঝিয়ে বলতে পারতেন। এটা পাবলিক করে কি বুঝাতে চাইছেন আপনি লয়াল!” এমন অসংখ্য মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে কমেন্ট বক্সে।

অনুমতি ছাড়া গান ব্যবহারে গ্রামীণফোনকে আইনি নোটিশ

অনুমতি ছাড়া গান ব্যবহারে গ্রামীণফোনকে আইনি নোটিশ কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী শাহ আবদুল করিমের দুটি গান অনুমতি না নিয়ে বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করার অভিযোগে টেলিকম কোম্পানি গ্রামীণফোন লিমিটেড এর কাছে ২০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে তার পরিবার। ‘রঙিলা বাড়ৈ’ ও ‘কোন মিস্তরি নাও বানাইছে’ গান দুটি গ্রামীণফোন লিমিটেড ব্যবহার করেছে। এর মধ্যে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। শাহ আবদুল করিমের পুত্র শাহ নূরজালালের পক্ষে ব্যারিস্টার রাজিন আহমেদ (বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট) ২৭ আগস্ট গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমানের নিকট আনুষ্ঠানিকভাবে এ নোটিশ প্রদান করেন।ওই নোটিশে বলা হয়েছে, গ্রামীণফোন অনুমতি, লাইসেন্স বা স্বীকৃতি ছাড়া শাহ আবদুল করিমের কপিরাইটকৃত গান টেলিভিশন বিজ্ঞাপন ও ডিজিটাল বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ২০১৬ সালের একটি টিভিসি (ইউটিউবে প্রচারিত) এবং ২০২২ সালের একটি বিজ্ঞাপন (ফেসবুক ও ইউটিউবে প্রচারিত)। কপিরাইটকৃত সংগীত অনুমতি ছাড়া পুনরুৎপাদন ও সম্প্রচার নৈতিক অধিকারের লঙ্ঘন। জিপির ফোরজি প্রচারণায় ব্যাপক বাণিজ্যিক লাভসহ সংগীতকর্মের অতিরিক্ত বাণিজ্যিক ব্যবহার প্রকৃত কপিরাইটধারীর ক্ষতির বিনিময়ে অন্যায়ভাবে আর্থিক সুবিধা গ্রহণ। নোটিশে আরও বলা হয়েছে, শাহ আবদুল করিমের গান অবিলম্বে অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। ইউটিউব, ফেসবুক টেলিভিশনসহ সব প্ল্যাটফর্ম থেকে লঙ্ঘনকারী কন্টেন্ট ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করতে হবে। শাহ আবদুল করিমকে লেখক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে প্রকাশ্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। ক্ষতিপূরণ বাবদ ২০ কোটি টাকা (প্রতিটি গান অনুযায়ী ১০ কোটি টাকা) প্রদান করতে হবে। ভবিষ্যতে এমন লঙ্ঘন আর না করার বিষয়ে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। এতে বলা হয়েছে- যদি গ্রামীণফোন ৭ দিনের মধ্যে উল্লিখিত দাবি পূরণে ব্যর্থ হয়, তবে শাহ আবদুল করিমের পরিবার কপিরাইট আইন, ২০২৩ অনুযায়ী দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা করবে। শাহ আবদুল করিমের ছেলে শাহ নূরজালাল বলেন, ‘আমরা গ্রামের মানুষ। আইন-কানুন অতোটা বুঝিনা। বাবার সব গান কপিরাইট করা আছে। এমনি অনেকেই গান করেন সেটা ভিন্ন বিষয়। কিন্তু বাণিজ্যিকভাবে গান ব্যবহার করলে আমাদের অনুমতি নেওয়াতো উচিত। সেখান থেকে যে আয় হয় তারও একটা অংশ আমাদের দেওয়া উচিত। তা না হলে কেমন হয় বিষয়টা। আইনি নোটিশ প্রদানকারী ব্যারিস্টার রাজিন আহমেদ বলেন, ‘শাহ আবদুল করিমের গান কেবল সংগীত নয়, এগুলো বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের অংশ। ‘রঙিলা বাড়ৈ’, ‘কোন মিস্তরি নাও বানাইছে’ দুটি গান ব্যবহার করেছে গ্রামীণফোন। অনুমতি ছাড়া বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার শুধু অবৈধ নয়, বরং চরম অসম্মানজনক। আমরা তার উত্তরাধিকার রক্ষায় আইনের সর্বোচ্চ ব্যবস্থাই গ্রহণ করব।

স্ট্যাটাস দেই আর গালি শুনি জয়

স্ট্যাটাস দেই আর গালি শুনি জয় অভিনেতা, নির্মাতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়। বর্তমানে কাজের চেয়ে বেশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই সরব তিনি। বিভিন্ন মন্তব্য করে প্রায়ই থাকছেন আলোচনায়। জয় মূলত আলোচনায় আসেন উপস্থাপনা দিয়ে। তার আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথিকে প্রশ্নবানে জর্জরিত করাই ছিল একমাত্র কাজ। এ নিয়েও বেশ কয়েকবার অপমান-অপদস্থ হয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তবে এসব ছাপিয়ে নানা ইস্যুতে মন্তব্য করেই বেশি আলোচনায় থেকেছেন তিনি। বিশেষ করে, গেল বছর ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর। এবার জয় তার ফেসবুক পোস্টে মৃত্যুভয়, গালি খাওয়ার কথা ও মনের কষ্ট প্রকাশ করেছেন। লিখেছেন, ‘যদি অপরাধী হতাম তাহলে চুপচাপ থাকতাম। স্ট্যাটাস দিতাম না। আশেপাশে এমন অনেক আছে। অথচ আমি স্ট্যাটাস দেই আর গালি শুনি। অনেকে ভয়ও দেখায়। যারা চুপ তাদের অপরাধ কেউ মনেও করে না। তাদের কেউ গালিও দেয় না।

রঙিন জীবন ভালো মেয়েদের জন্য না বর্ষা অভিমান নিয়েই শোবিজ ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন এই সময়ের চিত্রনায়িকা রাজ রিপা। শুধু মিডিয়াই নয়, ইটকাঠের এই শহর ছাড়ার কথাও জানান এই চিত্রনায়িকা। তার ক্ষোভ- নির্মাতা ইফতেখার চৌধুরীকে নিয়ে। রাজ রিপার সেই ক্ষোভের বিষয়টি নজরে এসেছে চিত্রনায়িকা আফিয়া নুসরাত বর্ষার। আজ ০২ সেপ্টেম্বর এক ফেসবুক পোস্টে বর্ষা লেখেন, স্বপ্ন মাটি চাপা দিবা দাও কিন্তু এমন স্বপ্ন মাটি চাপা দিওনা যে স্বপ্ন জেগে আছে কিন্তু ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তোমার জীবনের সিদ্ধান্ত তোমাকেই নিতে হবে, যার কেউ নেই তার জন্য আল্লাহ আছেন। তোমার মত কেউ কেউ এমন কঠিন জীবনযাপন করছে এই মিডিয়ায় তা তুমি আমি ভালো করে জানি। আমাকে নিয়ে ভেবে দেখবা, আমি ইচ্ছে করলে নিজেই সিনেমা ইনভেস্ট করতে পারি কিন্তু আমার কাছে এসব কিছুই আর ভালোলাগে না। তিনি আরও লেখেন, আসলে ভালো মন, নরম মনের মেয়েদের জন্য এই রঙিন জীবন না রিপা! চামড়া যাদের অনেক শক্ত শত শত কমেন্টের জন্য যাদের কিছু আসে যায় না তারাই এই জীবনে ভালো থাকবে। মিলিয়ে নিও, তুমিও জানো ভালো করে কি করলে কি হয়। নামাজ পড়ে আল্লাহ পাক কে বল, তোমার মনে যেনো শান্তি পায়। এরপর রাজ রিপার ‘মুক্তি’ সিনেমার মহরতের কথা স্মরণ করে বর্ষা লেখেন, আমিও গিয়েছিলাম তোমার এই ‘মুক্তি’ সিনেমার মহরতে। অবাক হলাম এই সিনেমা এখনও শুটিং শেষ হয়নি? যদি ভুল না হয়, ২০২০ সালের অক্টোবর বা ডিসেম্বরে এর মহরত হয়েছিল। নতুন শুরু দিয়ে নতুন স্বপ্ন নিয়ে- জীবনকে আবার ভাবতে শিখতে পার। হেরে যাওয়া কিন্তু সমাধান নয়। সবশেষে বর্ষা লেখেন, দোয়া রইল তোমার জন্য। বয়স আর কত তোমার, অনেক সময় পড়ে আছে তোমার জন্য, নিজেকে নতুন ভাবে সাজাও। বোকা মেয়ে তুমি, ব্যর্থ তুমি হওনি, ব্যর্থ সেই যে তার ওয়াদা রক্ষা করতে পারেনি! বলে রাখা যায়, ইতোমধ্যেই মুক্তি পেয়েছে রাজ রিপা অভিনীত সিনেমা ‘ময়না’। তবে ২০২০ সালে ‘দহন’ সিনেমায় একটি ছোট চরিত্রে প্রথম অভিনয় করেন তিনি। এরপর ইফতেখার চৌধুরী পরিচালিত ‘মুক্তি’ সিনেমায় অভিনয় করেন। সিনেমাটির নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন তিনি। সিনেমা ছাড়াও বেশ কিছু বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেছেন রাজ রিপা।

যে কারণে আশীর্বাদ টাইটানিক থেকে বাদ পড়া

যে কারণে আশীর্বাদ টাইটানিক থেকে বাদ পড়া জেমস ক্যামেরনের আইকনিক সিনেমা ‘টাইটানিক’-এ জ্যাক ডসনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও। ছবিটি তাকে বিশ্বব্যাপী তারকাখ্যাতি এনে দিয়েছে। এই চরিত্রে কাজের কথা ছিল অস্কার মনোনীত অভিনেতা ইথান হকের। তবে সেটি আর হয়ে উঠেনি। এ নিয়ে কি মন খারাপ হয়? অভিনেতা জানিয়েছেন, কখনোই না। বরং ‘টাইটানিক’ ছবিতে জ্যাক চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ না পাওয়াটাকে আশীর্বাদ বলে মনে করেন তিনি। সম্প্রতি ব্রিটিশ জিকিউ-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইথান হক বলেন, ‘আমি মনে করি না আমি লিওর মতো সেই সাফল্য সামলাতে পারতাম। সে ছিল একেবারে ‘বিটলস’-এর মতো। পাগলামির পর্যায়ের জনপ্রিয়তা ছিল তার। সে সেটা দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছে। নিজের ক্যারিয়ারকে এগিয়ে নিয়ে গেছে অবিশ্বাস্যভাবে। ১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়া ‘টাইটানিক’ ইতিহাস গড়েছিল বিশ্বব্যাপী। প্রায় ২.২ বিলিয়ন ডলার আয় করা এই সিনেমা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওকে নিয়ে গিয়েছিল তারকাখ্যাতির শিখরে। তবে ইথান হক সে সময় অভিনয় করেছেন ‘গ্রেট এক্সপেক্টেশান’, ‘হেমলেট’-এর মতো ছবিতে। তার ভাষায়, তিনি তারকাখ্যাতির চেয়ে সবসময় অভিনয় দিয়ে এগিয়ে যেতে চেয়েছেন। সেটা তিনি পেরেছেন। তার ভাষ্য, ‘তারকাখ্যাতি আসলে অপমানজনক।’ ইথান হক বলেন, ‘যখন কেউ তোমার সম্পর্কে কাগজে ভালো কথা লিখে সেটাও একরকম অপমানজনক মনে হয়। খারাপ বললে তো কথাই নেই। তিনি জানান, সত্যিকারের ‘তারকাখ্যাতি’র স্বাদ তিনি পেয়েছিলেন যখন উমা থারম্যানের সঙ্গে তার সম্পর্ক শুরু হয়। তখন থেকে ট্যাবলয়েড ও মিডিয়ার চাপে তিনি স্বাভাবিক জীবন থেকে দূরে সরে যান। ২০০১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ট্রেইনিং ডে’ সিনেমার জন্য সেরা পার্শ্ব অভিনেতার বিভাগে অস্কার মনোনয়ন পেয়েছিলেন ইথান হক। যদিও তিনি সেই পুরস্কার জিততে পারেননি তবে সহ-অভিনেতা ডেনজেল ওয়াশিংটন তাকে বলেছিলেন, ‘জিতো না তো ভালোই। তুমি চাও না পুরস্কার তোমার মর্যাদা বাড়াক। বরং তুমি এমন হও যে তোমার জন্য পুরস্কারটা মর্যাদাবান হয়ে ওঠে। ১৯৯৮ সালে উমা থারম্যানকে বিয়ে করেন ইথান হক। সেই বছরই জন্ম নেয় তাদের মেয়ে মায়া হক। যিনি এখন নিজেও একজন অভিনেত্রী। ২০০২ সালে জন্ম নেয় ছেলে লেভন হক। তবে এই দম্পতি ২০০৫ সালে বিচ্ছেদে যান।

শাকিব–অপু জয়কে নিয়ে সিঙ্গাপুরে যাচ্ছেন

শাকিব–অপু জয়কে নিয়ে সিঙ্গাপুরে যাচ্ছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় জুটি শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস। রেকর্ড সংখ্যক সিনেমায় জুটি বেঁধে অভিনয় করে দর্শকের কাছে পছন্দের তালিকার শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছিলেন তারা। শুধু পর্দায় নয়, ব্যক্তিজীবনেও প্রেম থেকে সংসার, সবকিছুই ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। তাদের একমাত্র সন্তান আব্রাম খান জয়কে এবার উচ্চমানের শিক্ষার পরিবেশে বড় করতে বিদেশে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। গত বছর এক সাক্ষাৎকারে অপু বিশ্বাস জানিয়েছিলেন, ছেলে জয়কে পড়াশোনার জন্য বিদেশে পাঠাবেন। এবার আরেক সাক্ষাৎকারে তিনি জানালেন, খুব শিগগির জয়কে নিয়ে উড়াল দেবেন সিঙ্গাপুরে; সঙ্গে থাকতে পারেন সন্তানের বাবা শাকিব খানও। অপু বিশ্বাস বলেন, “জয় সিঙ্গাপুরে একটি স্কুলে ভর্তি হবে। সে সেখানেই পড়ালেখা করবে। আমরা কিছুদিন ওই দেশেই থাকব।” এই সিদ্ধান্ত শাকিব খানের সঙ্গে আলোচনা করেই নেওয়া হয়েছে। এ তথ্য উল্লেখ করে অপু বিশ্বাস বলেন, “ছেলেকে দেশের বাইরে পড়াশোনা করানোর বিষয়ে আমার আর জয়ের বাবার মধ্যেই আলোচনা হয়েছিল। তবে কীভাবে সেটা বাইরে চলে এলো জানি না। আমি আসলে একটু নিজের মধ্যে রাখতেই পছন্দ করি।” তবে জয়কে সিঙ্গাপুরের স্কুলে ভর্তি করানোর পর স্থায়ীভাবে সেখানে ঠিকানা গড়বেন কি না— সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি অপু। ব্যক্তিগত বিষয় হিসেবে এই প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি। উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসে ছেলে জয়কে সঙ্গে নিয়ে সিঙ্গাপুর সফর করেছিলেন অপু বিশ্বাস। তখন থেকেই ছেলেকে সেখানকার স্কুলে ভর্তি করানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আমি স্ট্যাটাস দিই আর গালি শুনি : অভিনেতা জয়

আমি স্ট্যাটাস দিই আর গালি শুনি : অভিনেতা জয় ছোট ও বড় পর্দার বহুমুখী তারকা শাহরিয়ার নাজিম জয়। অভিনয় ছাড়াও নানা বিষয়ে তাকে সরব থাকতে দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। মনের ভেতরে যে কথা থাকে, সে কথা তিনি অকপটে মানুষের সামনে তুলে ধরেন নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে। বিভিন্ন ইস্যুতে প্রায় প্রতিনিয়ত কথা বলতে দেখা যায় জয়কে। জয়ের ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে প্রতিনিয়ত সমালোচনা হয়ে থাকে। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন এই অভিনেতা। এ নিয়েও চলছে সমালোচনা। শাহরিয়ার নাজিম জয় লেখেন, ‘যদি অপরাধী হতাম তাহলে চুপচাপ থাকতাম, স্ট্যাটাস দিতাম না। আশপাশে এমন অনেক আছে। অথচ আমি স্ট্যাটাস দিই আর গালি শুনি। অনেকে ভয়ও দেখায়। যারা চুপ তাদের অপরাধ কেউ মনেও করে না, তাদের কেউ গালিও দেয় না। ’ জয়ের ভাবনার সঙ্গে সহমত পোষণ করে অনেকে মন্তব্য করেছেন। আবার অনেকে জয়কে আক্রমণ করেও ‘নোংরা’ ভাষায় মন্তব্য করেছেন। কেউ কেউ পাল্টা যুক্তি কিংবা পরামর্শ দিয়েছেন। একজন প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে লেখেন, ‘আচ্ছা ভাইয়া, আপনাকে মানুষ কেন গালি দেয়?’ নোমান খান লেখেন, ‘সত্যের পক্ষে থাকুন মানুষ ভালোবাসবেই। তবে আওয়ামী লীগ থেকে দূরে থাকুন। আব্দুল্লাহ নামে একজন পরামর্শ দিয়ে লেখেন, ‘এত কথা আর খাতিরের দরকার কী, চুপ থাকেন কয়দিন, দিন ফিরবে ইনশাআল্লাহ।’ আরেকজন লেখেন, ‘ঠিক বলেছেন ভাই। আপনার মতো সৎসাহস সাবার নেই।’ এমন অনেক মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে কমেন্ট বক্সে।

জন্মদিনে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন জাংকুক

জন্মদিনে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন জাংকুক বিটিএস তারকা জাংকুক, যিনি তার গান দিয়ে বিশ্বব্যাপী তালিকার শীর্ষে রয়েছেন। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিশ্বজুড়ে ভক্তরা উদযাপন করেছেন প্রিয় তারকা জন্মদিন। আর জন্মদিনের শুভেচ্ছার ভিড়ের মধ্যেই ভক্তদের সাথে সরাসরি আলাপচারিতায় ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন এই সংগীতশিল্পী। জানিয়েছেন অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপারঅ্যাকটিভিটি ডিসঅর্ডার (ADHD) রোগে ভুগছেন তিনি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমেরিকায় একটি মিউজিক ভিডিওর শুট করে দেশে ফেরার পর গায়ক এই তথ্য প্রকাশ্যে আনেন। এক ভক্ত লাইভ চলাকালীন তার অস্থিরভাবে নাড়াচাড়া করা নিয়ে মন্তব্য করলে জাংকুক সরল ভঙ্গিতে বলেন, ‘আমার এই স্বভাবটা আছে। আমি এভাবেই নড়াচড়া করি।’ ADHD বা Attention Deficit Hyperactivity Disorder একটি স্নায়ু-সংক্রান্ত সমস্যা। এটি মনোযোগ ধরে রাখা, স্থির হয়ে বসা বা আকস্মিক প্রবণতা নিয়ন্ত্রণে প্রভাব ফেলে। সাধারণত শৈশবেই এর লক্ষণ শুরু হয়, তবে প্রাপ্তবয়সেও অনেকের মধ্যে তা থেকে যায়। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এটি অতিরিক্ত অস্থিরতা, এক জায়গায় স্থির হয়ে না বসতে পারা, মনোযোগের ঘাটতি, টাইম ম্যানেজমেন্টের সমস্যা ইত্যাদির মাধ্যমে প্রকাশ পায়। তবে চিকিৎসা ও সঠিক কৌশলের মাধ্যমে অনেকেই এর সঙ্গে স্বাভাবিক জীবনযাপন করেন। জাংকুকের এই খোলামেলা স্বীকারোক্তি মুহূর্তেই ভক্তদের মন ছুঁয়ে যায়। মাসের পর মাস তার লাইভে স্বাভাবিক অস্থির আচরণ নিয়ে কটাক্ষ হচ্ছিল। অনেকে তাকে ‘চুপচাপ বসতে’ বলতেন। কিন্তু এবার ভক্তরা তার পাশে দাঁড়িয়ে জানান, অস্থিরভাবে নড়াচড়া করা বা ‘স্টিমিং’ আসলে ADHD-এর সাধারণ বৈশিষ্ট্য, যা নিয়ে বিদ্রূপ করা উচিত নয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ভক্তদের সমর্থন। কেউ লিখেছেন, ‘উনি যেভাবে স্বাভাবিকভাবে কথাটা বললেন, দারুণ লেগেছে। জাংকুক আর সুগা- দু’জনেই যেভাবে তাদের ADHD নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেন, সেটা অসাধারণ।’ আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘এখন যারা অকারণে তাকে ‘চুপচাপ বসো’ বলছিলেন, তাদের থামা উচিত।’ অনেক ভক্ত জানিয়েছেন, জাংকুকের অভিজ্ঞতা তাদের ব্যক্তিগত জীবনের সঙ্গে মিলে গেছে। একজন লিখেছেন, ‘আমি সারাক্ষণ শুনি পা নড়ানো বা অস্থিরভাবে বসা নিয়ে বকাঝকা। কিন্তু আমি থামাতে পারি না। জাংকুকের কথায় মনে হল, আমি তো একা নই।’