ইতালি ক্রিকেট বিশ্বকাপে

ইতালি ক্রিকেট বিশ্বকাপে ফুটবলের দেশ হিসেবেই ইতালি বিশ্বে বেশি পরিচিত। চারটি বিশ্বকাপ তারা জিতেছে। যদিও তাদের ফুটবলে এখন ভাটার টান! সেই জায়গাটাই দখল করতে যাচ্ছে ইতালির জাতীয় ক্রিকেট দল। দেশটির এখন বড় পরিচয়,তারা প্রথমবারের মতো ক্রিকেটের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে। আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন‌্য ইউরোপিয়ান অঞ্চলের বাছাই থেকে দ্বিতীয় দল হিসেবে বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলা নিশ্চিত করেছে ইতালি। নেদারল‌্যান্ডসের বিপক্ষে ম‌্যাচ হারলেও নেট রান রেট ভালো থাকায় ইতালি চলে গেছে ক্রিকেটের সবচেয়ে সংক্ষিপ্তম ফরম‌্যাটের বিশ্বকাপে। যা নিশ্চিতভাবেই তাদের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সাফল‌্য। ইতালির সঙ্গে বিশ্বকাপের টিকিট পেয়েছে নেদারল‌্যান্ডসও। আগের ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে এগিয়ে গিয়েছিল ইতালি। নেদারল‌্যান্ডসের বিপক্ষে বড় হার এড়াতে পারলেই বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত। তাদের প্রত‌্যাশা মতোই সব কাজ হয়েছে। আগে ব‌্যাটিংয়ে নেমে ইতালি ৭ উইকেটে ১৩৪ রান করে। জবাবে নেদারল‌্যান্ডস ১৬.২ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে লক্ষ‌্যে পৌঁছে যায়। জয় পায় ৯ উইকেটে। চার ম‌্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে নেদারল‌্যান্ডস। তারা শীর্ষে থেকেই নিশ্চিত করেছে বিশ্বকাপ। ইতালির সমান ম্যাচে পয়েন্ট ৫। সমান ম‌্যাচে জার্সিরও পয়েন্ট ৫। পিঠাপিঠি অবস্থান তাদের। তবে জার্সির (০.৩০৬) চেয়ে নেট রান রেটে এগিয়ে থাকায় ইতালির (০.৬১২) বিশ্বকাপের ভাগ‌্য খুলেছে। আগামী বছর ভারত ও শ্রীলঙ্কায় বসবে ২০ দলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ১৫ দল এরই মধ‌্যে চূড়ান্ত হয়েছে। ইষ্ট-এশিয়া প‌্যাসিফিক কোয়ালিফায়ার থেকে তিনটি এবং আফ্রিকা অঞ্চল থেকে দুটি দল সামনে নির্বাচিত হবে।

মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখলেন সাকিব

মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখলেন সাকিব ২৪ ঘণ্টাতেই সাকিব আল হাসান যেন পুরো অচেনা! আগের দিন ব্যাট-বল হাতে জ্বলে উঠে পুরোনো দিনের কথা মনে করিয়েছিলেন। গতকাল বিবর্ণ তার ব্যাট। নির্বিষ তার বোলিং। তাতে মুদ্রার উল্টো পিঠটাই দেখলেন বাংলাদেশের সুপারস্টার। এটাই তো ক্রিকেট, একদিন হাসাবে…একদিন কাঁদাবে! গায়ানায় গ্লোবাল সুপার লিগে সাকিব দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে খেলছেন। নিজের প্রথম ম্যাচে বাঁহাতি অলরাউন্ডার ছিলেন দুর্বার। নিউ জিল্যান্ডের সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টের বিপক্ষে ৩৭ বলে ৫৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। এরপর ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ১৩ রান খরচে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। দুবাই প্রথম ম্যাচ জেতে ২২ রানে। সাকিব হয়েছিলেন ম্যাচ সেরা। অবশ্য শুক্রবার দ্বিতীয় ম্যাচেই সাকিব এলোমেলো। ব্যাটিংয়ে ১০ বলে মাত্র ৭ রান করেন। যেখানে একটি ছক্কা ছিল। আর বোলিংয়ে ৪ ওভারে খরচ ৩৪ রান। উইকেট পাননি কোনো।   হেরেছে তার দলও। আগে ব‌্যাটিংয়ে নেমে দুবাই ৮ উইকেটে ১৪১ রান করে। জবাবে হোবার্ট হারিকেন্স ১৮ বল আগে ৭ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ‌্যে পৌঁছে যায়। দুবাইয়ের ব‌্যাটিং-বোলিং কোনোটাই ভালো হয়নি। ব‌্যাটিংয়ে তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন গুলবাদিন নাইব। এছাড়া সাদেকুল্লাহ অটল ২৫, কাদিম আলায়েন ১৪ এবং জেস বোটান ১৮ রান করেন। সাকিব পাঁচে নেমে একটি ছক্কা হাঁকান কেবল। আউট হন মোহাম্মদ নবীর বলে। জবাব দিতে নেমে হারিকেন্স বেন ম‌্যাকডরমটের ৪৮ ও ম‌্যাকাললিস্টার ওয়েস্টের ৫০ রানে সহজেই ম‌্যাচ জিতে নেয়। ২৩ রান করেন জেক ডোরান। ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে সাকিব ৩৪ রান দেন। ১০ ডট বল ছিল তার বোলিং স্পেলে। কোনো ছক্কা হজম করেননি। ৪ খেয়েছেন ৬টি।

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টি-টোয়েন্টি পরিসংখ্যান

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টি-টোয়েন্টি পরিসংখ্যান টেস্ট সিরিজ শেষ। ওয়ানডে সিরিজের রেশ এখনো কাটেনি। এখন আবার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মাঠে নামার পালা। ২০১৭ সালের পর বাংলাদেশ পূর্ণাঙ্গ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে গেছে শ্রীলঙ্কায়। টেস্ট, ওয়ানডের পর শেষ গন্তব্য টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এসে থামছে এই যাত্রা। পাল্লেকেল্লেতে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টির প্রথমটি আজ অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় শুরু হবে ম্যাচ। এর আগে দুই দলের পরিসংখ্যানে চোখ বোলানো যাক— ৫ দুই দল এখন পর্যন্ত ৫টি দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলেছে। ২০১৩ সালে প্রথম দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলে দুই দল। সবশেষ ২০২৪ সালে। শ্রীলঙ্কা চারটি সিরিজ জিতেছে। একটি সিরিজ কেবল ড্র হয়েছে। ১৭ মুখোমুখি ১৭ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার জয় ১১ ম্যাচে। বাংলাদেশের ৬ ম্যাচে। ২১৫/৫ দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেছে বাংলাদেশ। ২০১৮ সালে নিদাহাস ট্রফির ম‌্যাচে বাংলাদেশ ৫ উইকেটে ২১৫ রান করে ম‌্যাচ জিতেছিল। ৮৩ সর্বোচ্চ রানের সঙ্গে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ডটিও বাংলাদেশের দখলে। ২০০৭ সালে জোহানেসবার্গে ৮৩ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার সর্বনিম্ন রান ৭ উইকেটে ১২৩। ৭৫ রানের হিসেবে সবচেয়ে বড় জয় শ্রীলঙ্কার। ২০১৮ সালে সিলেটে বাংলাদেশকে ২১১ রান টার্গেট দিয়ে ৭৫ রানে জিতেছিল তারা। উইকেটের হিসেবে বাংলাদেশের জয় আবার বড়। গত বছর সিলেটে ১৬৬ রান তাড়া করতে নেমে ১৮.১ ওভারে ৮ উইকেট হাতে রেখে জয় পায় বাংলাদেশ। ৪৪২ দুই দলের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান কুশল মেন্ডিসের। ৯ ম্যাচে ৪৪২ রান করেছেন তিনি। বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ১৫ ইনিংসে ৩৬৮ রান করেছেন তিনি। ৮৬ এক ইনিংসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ৮৬। ২০২৪ সালে সিলেটে মেন্ডিস ৫৫ বলে ৬টি করে চার ও ছক্কায় ৮৬ রান করেছিলেন। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান সাব্বির রহমানের। ২০১৬ এশিয়া কাপে ৮০ রান করেছিলেন সাব্বির রহমান। ২৫ দুই দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২৫ ছক্কা মেরেছেন কুশল মেন্ডিস। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১৫ ছক্কা মেরেছেন। ৭ রিশাদ হোসেন এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ৭ ছক্কা হাঁকিয়েছেন। গত বছর সিলেটে ৩০ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলার পথে ৭ ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন তিনি। ১৮১ দ্বিপক্ষীয় সিরিজে ১৮১ রান দুই দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ। গত বছর সিলেটে তিন টি-টোয়েন্টিতে ১৮১ রান করেছিলেন মেন্ডিস। ১৭ মোস্তাফিজুর রহমান দুই দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন। ১৩ ম্যাচে ২৪.৯৪ গড় ও ৮.৮৩ ইকোনমিতে এই উইকেট নিয়েছেন। ২০/৫ পেসার নুয়ান থুসারা ২০ রানে ৫ উইকেট পেয়েছেন। যা দুই দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড। একটিই মাত্র ৫ উইকেট আছে। সেটা থুসারা পেয়েছেন গত বছর। ৪ ওভারে ৫৬ মাহিশা পাথিরানা দুই দলের বোলারদের মধ্যে এক স্পেলে সবচেয়ে বেশি রান দিয়েছেন। গত বছর ৪ ওভারে ৫৬ রান দিয়েছিলেন অফস্পিনার। ১ উইকেট অবশ্য পেয়েছিলেন। ১৩  সৌম্য সরকার দুই দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৩ ক্যাচ নিয়েছেন। ৯৮ ৯৮ রানের জুটি দুই দলের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০১৮ সালে সিলেটে মেন্ডিস ও গুনাথিলাকা উদ্বোধনী জুটিতে ৯৮ রান করেছিলেন।

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা প্রথম টি-টোয়েন্টি সন্ধ্যায়

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা প্রথম টি-টোয়েন্টি সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি আজ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে। পাল্লেকেল্লে স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে ম্যাচটি শুরু হবে। অন্য দুই ফরম্যাটের মতো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও ভালো সময় যাচ্ছে না বাংলাদেশের। সংযুক্ত আরব আমিরাতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হার, এরপর পাকিস্তানে গিয়ে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে। লিটন দাসের নেতৃত্বে দ্বীপ-দেশটিতে এবার টি-টোয়েন্টির চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের। নিজেদের শেষ ছয় ম্যাচের পাঁচটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হারের পর তাই টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের পক্ষে বাজি ধরার লোক খুব একটা নেই। রেকর্ডও বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলছে না। দুই দলের ১৭ দেখায় ৬ ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। বাকি ১১টিতেই শ্রীলঙ্কার জয়। এবারের শ্রীলঙ্কা সফরে বাংলাদেশ পারফরম্যান্স ধারাবাহিকতায় ভুগেছে। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটি ড্র হলেও দ্বিতীয়টিতে হেরে যায় বড় ব্যবধানে। তাতে টেস্ট সিরিজ হাতছাড়া হয়। কলম্বোতে প্রথম ওয়ানডেতে প্রচন্ড বাজেভাবে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ালেও ক্যান্ডিতে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে পুরোনো চিত্র। হারের আগেই ম্যাচ হেরে সিরিজ হাতছাড়া করে। তাইতো টি-টোয়েন্টি সিরিজ বাংলাদেশের জন্য কেবল একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং নিজেদের হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ। তিন ফরম্যাটে বাংলাদেশের এখন তিন অধিনায়ক। টেস্টে শান্ত, ওয়ানডেতে মিরাজ দলকে তেমন সুখস্মৃতি এনে দিতে পারেননি। শেষটায় লিটন রাঙাতে পারবেন কী? আশার কথা শুনিয়েছেন লিটন। পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে সিরিজ–পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটনও বলেছেন, ‘এটা আলাদা একটা সংস্করণ। সবাই জানে টি–টোয়েন্টি কীভাবে খেলতে হয়। আমরা সেভাবেই চেষ্টা করব।’ শ্রীলঙ্কা টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগে বড় ধাক্কা খেয়েছে। শেষ ওয়ানডেতে ব্যাটিংয়ের সময় হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়ায় আজ খেলতে পারছেন না তারকা লেগস্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। যা বাংলাদেশের জন্য নিশ্চিতভাবেই ভালো খবর। বাংলাদেশকে সমীহ করে শ্রীলঙ্কার টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশ ভালো টি–টোয়েন্টি দল। তবে তারাও আমাদের মতোই অনভিজ্ঞ। আমি মনে করি না যে আমরা তাদের চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে। সিরিজটা কঠিন হবে।’’ সত‌্যিই কী তা-ই? পুরোনো ব‌্যর্থতা ঝেরে বাংলাদেশ কী সত্যিই লঙ্কানদের চ‌্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারবে? সময়ের কাছেই প্রশ্নটা তোলা থাক।

কুশলের সেঞ্চুরি, বড় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল শ্রীলঙ্কা

কুশলের সেঞ্চুরি, বড় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল শ্রীলঙ্কা আগের ম্যাচটা জিতে সমতায় ফিরেছিল বাংলাদেশ। সেই ধারা বজায় রাখতে পারলেই ঐতিহাসিক সিরিজ বিজয়, এমন সমীকরণ সামনে রেখে আজ শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয়েছে টাইগাররা। পাল্লেকেল্লেতে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচটিতে টস জিতে আগে ব্যাটিং বেছে নেয় শ্রীলঙ্কা। এরপর কুশল মেন্ডিসের অসাধারণ সেঞ্চুরিতে ভর করে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮৫ রান করে স্বাগতিকরা। বাংলাদেশ এই ম্যাচে একাদশের বোলিং বিভাগে একটি পরিবর্তন আনে। হাসান মাহমুদের জায়গায় আসেন তাসকিন আহমেদ। বল হাতে মোটামুটি ভালোই করেছেন তিনি। ১০ ওভারে ৫১ রান খরচে তুলে নিয়েছেন ২ উইকেট। বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজও। টাইগার দলপতি ১০ ওভারে ৪৮ রানে নিয়েছেন তাসকিনের সমান ২ উইকেট। তবে বাংলাদেশের বাকি বোলাররা তেমন কিছু করতে পারেননি। বরং পুরো ম্যাচের সব আলো কেড়ে নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার টপ অর্ডার ব্যাটার কুশল মেন্ডিস। দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তিনি। ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরিটি শেষ পর্যন্ত ঠেকেছে ১২৪ রানে। মাত্র ১১৪ বলে ১৮টি চার দিয়ে ইনিংসটি সাজিয়েছেন তিনি। মেন্ডিস যেখানে লঙ্কান ইনিংসের ভিত্তি, চারিথ আসালাঙ্কা তার পিলার। তার ৬৮ বলে ৫৮ রানের ইনিংসটির কল্যাণে রানের পাহাড়ে চড়তে সক্ষম হয় স্বাগতিক দল। যদিও বোলিংয়ের শুরুটা ভালোই হয়েছিল বাংলাদেশের। নিশান মাদুশকা (১)-কে বিদায় করে লঙ্কান ওপেনিং জুটিকে দাঁড়াতে দেননি বাংলাদেশি পেসার তানজিম হাসান সাকিব। এরপর আরেক ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কাকে নিয়ে ধাক্কা সামাল দেন কুশল মেন্ডিস। তাদের জুটিতে ৫৬ রান যোগ হওয়ার পর আঘাত হানেন বাংলাদেশের তরুণ বাঁহাতি পেসার তানভীর ইসলাম। নিসাঙ্কা ফেরেন ৩৫ রান করে। এরপর কামিন্দু মেন্ডিস (১৬) কিছুক্ষণ সঙ্গ দিলেও মেহেদী হাসান মিরাজের বলে লেগ বিফোর হয়ে ফেরেন। দলীয় ১০০ রানে ৩ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। তবে এরপর থেকে উইকেটে জেঁকে বসেন কুশল ও আসালাঙ্কা। দুজনে মিলে বড় জুটি গড়ে দলকে শক্ত ভিত এনে দেন। দুজনেই পান ফিফটির দেখা। আসালাঙ্কা দলকে ২২৪ রানে রেখে চতুর্থ উইকেট হিসেবে বিদায় নেন। শেষদিকে অবশ্য কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। বোলারদের হাত ধরে আসে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সাফল্য। ২৪৯/৫ থেকে একসময় লঙ্কানদের স্কোর দাঁড়ায় ২৫৯/৭। কিন্তু ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (১৪ বলে ১৮*) ও চামিরা (৮ বলে ১০*) মিলে বাকিটা ভালোভাবেই পাড়ি দেন। ফলে বড় লক্ষ্য নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামবে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ সফরে পাকিস্তান দল ঘোষণা, নেই একাধিক তারকা

বাংলাদেশ সফরে পাকিস্তান দল ঘোষণা, নেই একাধিক তারকা বিশ্বকাপের আগে নতুন সম্ভাবনার খোঁজে বেরিয়েছে পাকিস্তান। আগামী ২০ জুলাই থেকে শুরু হতে যাওয়া বাংলাদেশ সফরের জন্য ঘোষিত ১৫ সদস্যের টি-টোয়েন্টি দলে নেই একাধিক তারকা। অধিনায়ক বাবর আজম, উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ান, পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদি, অলরাউন্ডার শাদাব খান কিংবা স্পিডস্টার হারিস রউফ; কেউ-ই নেই স্কোয়াডে। এমন দল দেখে ক্রিকেট বিশ্লেষকদের মত, এই স্কোয়াড মূলত বিশ্বকাপের আগমুহূর্তে একটি ‘এক্সপেরিমেন্টাল প্যাকেজ’। তরুণ ও কম অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স দেখে নেওয়াই এবার পিসিবির মূল উদ্দেশ্য। সিরিজটি অনুষ্ঠিত হবে ঢাকার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। সূচি অনুযায়ী, পাকিস্তান দল বাংলাদেশে পা রাখবে ১৬ জুলাই। এরপর ২০, ২২ ও ২৪ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে তিনটি ম্যাচ। প্রতিটি শুরু সন্ধ্যা ৬টায়। সফর শেষ করেই ২৫ জুলাই দেশে ফিরবে দলটি। এই সিরিজটি হঠাৎ করে আয়োজিত হয়নি। পেছনে রয়েছে বিসিবি ও পিসিবির শীর্ষপর্যায়ের কূটনৈতিক আলোচনার ফলাফল। আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সময় দুই বোর্ডের বৈঠকে এমন একটি প্রস্তুতি সিরিজ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ফলে এটি শুধুই আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং বিশ্বকাপ পূর্ববর্তী প্রস্তুতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এরই মধ্যে পাকিস্তান দলের অনুশীলন শুরু হয়েছে করাচির জাতীয় স্টেডিয়ামে। ৮ জুলাই থেকে স্কোয়াডের সদস্যরা মাঠে নেমেছেন ধারাবাহিক প্রস্তুতি নিতে। লক্ষ্য একটাই— বিশ্বমঞ্চের আগে শক্তির গভীরতা যাচাই করে নেওয়া। বাংলাদেশ সিরিজ শেষে পাকিস্তান দল ক্যারিবীয় সফরে যাবে, যেখানে তারা খেলবে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড: সালমান আলী আঘা (অধিনায়ক), আবরার আহমেদ, আহমেদ দানিয়াল, ফাহিম আশরাফ, ফখর জামান, হাসান নওয়াজ, হুসেইন তালাত, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ আব্বাস আফ্রিদি, মোহাম্মদ হারিস (উইকেটরক্ষক), মোহাম্মদ নাওয়াজ, সাহিবজাদা ফারহান, সাইম আইয়ুব, সালমান মির্জা ও সুফিয়ান মোকিম। টি-টোয়েন্টি সিরিজের সূচি: ২০ জুলাই: প্রথম টি-টোয়েন্টি, মিরপুর। ২২ জুলাই: দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি, মিরপুর। ২৪ জুলাই: তৃতীয় টি-টোয়েন্টি, মিরপুর।

ট্রিপল সেঞ্চুরিতে ইতিহাস গড়লেন অধিনায়ক মুল্ডার

ট্রিপল সেঞ্চুরিতে ইতিহাস গড়লেন অধিনায়ক মুল্ডার ক্রিকেট বিশ্বে নতুন ইতিহাস লিখলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অলরাউন্ডার উইয়ান মুল্ডার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকেই তিনি হাঁকালেন ট্রিপল সেঞ্চুরি (৩৬৬*)। টেস্ট ইতিহাসে এটি এক দুর্লভ কীর্তি। কারণ, অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক টেস্টেই ট্রিপল সেঞ্চুরি করার নজির আছে কেবল আর একজনের! এই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে মুল্ডার হয়ে ওঠেন রীতিমতো দুর্বার। আজ সোমবার (০৭ জুলাই) বুলাওয়েতে অনুষ্ঠিত এই টেস্টের দ্বিতীয় দিনে মাত্র ২৯৭ বলে ৩৮টি চার ও ৩ ছক্কায় পূর্ণ করেন নিজের ট্রিপল সেঞ্চুরি। যা টেস্ট ইতিহাসের দ্বিতীয় দ্রুততম। তার আগে কেবল ভারতের বীরেন্দর শেবাগই দ্রুততর (২৭৮ বলে) ত্রিশতক করেছিলেন। মুল্ডার প্রথম দিন শেষ করেছিলেন অপরাজিত ২৬৪ রানে। পরদিন সকালে সেই ইনিংস রূপ নেয় ইতিহাসে। ৩৮টি চার আর ৩টি ছক্কায় সাজানো এই অনবদ্য ইনিংসটিকে বলা যায় ধৈর্য আর আগ্রাসনের নিখুঁত মিশেল। মাত্র ২৭ বছর ১৩৮ দিন বয়সেই মুল্ডার ভেঙে দিলেন বব সিম্পসনের ৬১ বছরের পুরনো রেকর্ড। ১৯৬৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি সিম্পসন অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকে করেছিলেন ৩১১ রান। মুল্ডার সেখানে এখনও অপরাজিত ৩৬৭ রানে (এ প্রতিবেদন লেখার সময়)। টেস্টে ট্রিপল সেঞ্চুরি করা এটি দক্ষিণ আফ্রিকার মাত্র দ্বিতীয় উদাহরণ। তার আগে কেবল হাশিম আমলা এই মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন—২০১২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ৩১১ রানের অনন্য ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। অভিষেক অধিনায়ক হিসেবেই প্রথম দিনেই ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলেন মুল্ডার। এমন কীর্তি টেস্ট ইতিহাসে খুব কমজনেরই আছে। এই তালিকায় আছেন কেবল গ্রাহাম ডাউলিং (নিউজিল্যান্ড, ২৩৯) এবং শিবনারায়ণ চন্দরপল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ২০৩)। মুল্ডারের এটি ছিল তার ২১তম টেস্ট, কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে প্রথম। নিয়মিত অধিনায়ক কেশব মহারাজ ইনজুরিতে পড়ায় হঠাৎ করেই নেতৃত্বের ভার পড়ে তার কাঁধে। সেই দায়িত্বকে সুযোগে পরিণত করে নিজেকে তুলে ধরলেন ক্রিকেট ইতিহাসের এক অনন্য উচ্চতায়।

গ্লোবাল সুপার লিগে দল পেলেন সাকিব

গ্লোবাল সুপার লিগে দল পেলেন সাকিব বাংলাদেশ জাতীয় দলের দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরও আন্তর্জাতিক লিগে সাকিব আল হাসানের ক্রিকেট-জীবন থেমে থাকেনি। এবার সেই ধারাবাহিকতায় গ্লোবাল সুপার লিগে অংশ নিচ্ছেন দেশসেরা এই অলরাউন্ডার। গায়ানায় অনুষ্ঠিতব্য টুর্নামেন্টে তিনি খেলবেন দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে। দুবাই ক্যাপিটালস আজ এক সামাজিক মাধ্যম বার্তায় নিশ্চিত করেছে, দক্ষিণ আফ্রিকার কেশাভ মহারাজের পরিবর্তে তারা দলে নিয়েছে সাকিবকে। ৩৮ বছর বয়সী সাকিবকে সর্বশেষ দেখা গেছে পাকিস্তান সুপার লিগে লাহোর কালান্দার্সের হয়ে। যদিও তিন ম্যাচের বেশি খেলার সুযোগ পাননি। তার আগের সময়টা কেটেছে মাঠের বাইরে, বোলিং অ্যাকশন ও অন্যান্য ইস্যুর কারণে প্রায় ৬ মাস স্বীকৃত ক্রিকেট থেকে দূরে ছিলেন তিনি। আগামী বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে গ্লোবাল সুপার লিগের দ্বিতীয় আসর।

শ্রীলঙ্কাকে বড় ব্যবধানে হারালো বাংলাদেশ 

অনূর্ধ্ব-১৮ এশিয়া কাপ হকি শ্রীলঙ্কাকে বড় ব্যবধানে হারালো বাংলাদেশ  অনূর্ধ্ব-১৮ এশিয়া কাপ হকিতে পুল পর্বের ম্যাচে টানা দ্বিতীয় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। চীনের দাঝুতে শনিবার (৫ জুলাই) পুল ‘এ’-এর ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ১৩-০ গোলে হারিয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এর আগে হংকংয়ের বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয়ে পুল পর্ব শুরু করেছিলো তারা। ম্যাচের অষ্টম মিনিটে শ্রীলঙ্কার গোলমুখ খুলে দেন দ্বীন ইসলাম। সেই পথ ধরে শ্রীলঙ্কার জালে একের পর এক গোল দিতে থাকেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা। শেষ পর্যন্ত ১৩-০ গোলের বড় জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বড় জয়ের পথে হ্যাটট্রিক করেছেন মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ (৪টি) ও ইসমাইল হোসেন। জোড়া গোল করেন সাজেদুল সাজেদ ও দ্বীন ইসলাম। একটি করে গোল মোহাম্মদ মেহেদী ও বিশাল আহমেদের। টানা দুই জয় ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ টেবিলে শীর্ষে আছে বাংলাদেশ। রোববার (৬ জুলাই) নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে স্বাগতিক চিনের। শ্রীলঙ্কাকে ৯-০ গোলে উড়িয়ে পুল পর্ব শুরু করেছিল তারা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম কোয়ার্টারেই তিন গোল করে ম্যাচে চালকের আসনে বসে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে আব্দুল্লাহ দুইবার, দ্বীন ইসলাম ও ইসলাম একটি করে গোল করলে বড় জয়ের পথে ছুটতে থাকে দল। তৃতীয় কোয়ার্টারে মাত্র একটি গোল হজম করে তারা। তবে চতুর্থ ও শেষ কোয়ার্টারে তাদের জালে আরও চার বার উৎসব করে বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।

শ্রীলঙ্কা থেকে দুই দিনের জন্য যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন সিমন্স

শ্রীলঙ্কা থেকে দুই দিনের জন্য যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন সিমন্স স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে বাংলাদেশ দল। প্রথম ওয়ানডেতে ৭৭ রানে হেরেছে টাইগাররা। আগামীকাল দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মাঠে দুই দল। তবে এমন সময়ে দলের প্রধান কোচ ফিল সিমন্সকে পাচ্ছেন না টাইগার ক্রিকেটাররা। দুই দিনের জন্য যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন তিনি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ব্যবস্থাপক নাফিস ইকবাল তথ্যটি নিশ্চিত করে জানান, সিমন্সের যুক্তরাজ্যে যাওয়ার বিষয়টি আগে থেকে নির্ধারিত ছিল। ৭ জুলাই আবার শ্রীলঙ্কায় দলের সঙ্গে যোগ দেবেন সিমন্স। যুক্তরাজ্যে গত ফেব্রুয়ারিতেই চিকিৎসককে দেখানোর কথা ছিল সিমন্সের। তবে ওই সময় বাংলাদেশ দলের হয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ব্যস্ত থাকায় যেতে পারেননি।