01713248557

ভারতের বিপক্ষে টেস্ট স্কোয়াড ঘোষণা বাংলাদেশের, নেই শরিফুল

ভারতের বিপক্ষে টেস্ট স্কোয়াড ঘোষণা বাংলাদেশের, নেই শরিফুল ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের জন্য স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বে এই স্কোয়াডে রাখা হয়েছে জাকের আলী অনিককেও। রাখা হয়নি পেসার শরিফুল ইসলামকে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক সিরিজ জেতে বাংলাদেশ। তাদের হারায় ২-০ ব্যবধানে। এই সিরিজের প্রথম ম্যাচে থাকলেও দ্বিতীয়টিতে শরিফুল ছিলেন না চোটের কারণে। এবার তাকে রাখা হয়নি ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজেও। পাকিস্তান সিরিজের দলের একমাত্র পরিবর্তন শরিফুলের জায়গায় জাকেরকে নেওয়া। ১৬ সদস্যের স্কোয়াডে রাখা হয়েছে এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারকে। কিছুদিন আগে পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে ১৯২ রানের ইনিংসের পুরস্কার পেলেন তিনি। আগামী ১৫ সেপ্টম্বর ভারতের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে দেশ ছাড়বেন ক্রিকেটাররা। চেন্নাইতে ১৯ সেপ্টেম্বর শুরু হবে প্রথম ম্যাচ। এরপর কানপুরে ২৭ সেপ্টেম্বর শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট স্কোয়াড: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), সাদমান ইসলাম, জাকির হাসান, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, জাকের আলী অনিক, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা, তাইজুল ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জয়, নাঈম ইসলাম ও খালেদ আহমেদ।

শ্রীলঙ্কায় ৭ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশের মেয়েরা

শ্রীলঙ্কায় ৭ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশের মেয়েরা এরপর ব্যাটারদের হাত ধরেই সহজেই এসেছে আরও এক জয়। আজ পি সারা ওভালে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ৭ উইকেটে জয় পেয়েছে সফরকারীরা। শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১২ রান করে শ্রীলঙ্কা। ওই রান তাড়া করতে নেমে ৭ বল হাতে রেখে জয় পায় বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত হয় লঙ্কানদের। উদ্বোধনী জুটিতে তারা পায় ৭২ রান। ৪০ বলে ২৭ রান করা নিতমি পুরনাকে ফেরান ফাহিমা। পরের সাত ওভারে স্রেফ ২৯ রান করেছে লঙ্কান মেয়েরা, হারিয়েছে ৬ উইকেট। শ্রীলঙ্কার পক্ষে ২৫ বলে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন ওপেনার কৌশিকি নুথাওয়াঙ্গে। বাংলাদেশের পক্ষে ৩ ওভারে ১২ রান দিয়ে চার উইকেট পান ফাহিমা। একটি করে উইকেট পান রাবেয়া খান, জাহানারা আলম, রিতু মণি ও সুলতানা খাতুন। রান তাড়ায় নেমে দলের পক্ষে ৪৪ বলে সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন শামীমা সুলতানা। এছাড়া ৩১ বলে ২৮ রান আসে সুবহানা মোস্তারির ব্যাটে। ২২ বলে ২০ রান করেন ওপেনার সাথী রাণী।

ভারতে জিততে পারবে না বাংলাদেশ, বলছেন সৌরভ গাঙ্গুলী

ভারতে জিততে পারবে না বাংলাদেশ, বলছেন সৌরভ গাঙ্গুলী গতির জন্য আলোচনায় নাহিদ রানা। আর গতির কথা উঠলে বিশ্ব ক্রিকেটে যে দুজনের নাম আসে তারা হলেন শোয়েব আখতার এবং ব্রেট লি। গতি এবং বাউন্সে ব্যাটারদের শিরদাঁড়া দিয়ে শীতল পানি ঝরাতেন তারা। তাই স্বাভাবিকভাবেই অনেকের মনে হয়তো প্রশ্ন উঠেছে নাহিদও হয়তো শোয়েব-লির মতোই হতে চান। তবে অন্যদের মনে প্রশ্ন উঠলেও যাকে নিয়ে ভাবা হচ্ছে তিনি অবশ্য ভিন্ন কিছু ভাবছেন। বাংলাদেশি পেসারের ভাবনা শুধু নিজেকে নিয়ে। অন্য কারো মতো তিনি হতে চান না। নাহিদ রানা হয়েই থাকতে চান তিনি। এমনটাই জানিয়েছেন সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে বিসিবির করা ভিডিওতে।  নাহিদের সহজ-সরল উত্তর,‘আমি কারো মতো নই, আমি নাহিদ রানা, নাহিদ রানাই হতে চাই। সত্যি কথা বলতে সেভাবে কাউকে ফলো করি না। তবে বাংলাদেশের সব পেসারদের আমার ভালো লাগে। কারণ, টিভিতে তাদের খেলা দেখে বড় হয়েছি। সে রকম কেউই একজন না। সিনিয়রদের খেলা দেখেই বড় হয়েছি। ’৩ টেস্টের ক্যারিয়ারে উইকেট সবে মাত্র ১১ টি। তবে আলোচনায় নাহিদ গতি আর বাউন্স দিয়ে। পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করার পথে দ্বিতীয় টেস্টে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন ২১ বছর বয়সী পেসার। তবে দুই দল মিলিয়ে সর্বোচ্চ গতি তুলবেন এমনটা মাথায় নিয়ে মাঠে নামেননি তিনি। গতির বিষয়ে নাহিদ বলেছেন,‘এটা কখনো অনুভব করিনি, ১৫২ বা এর চেয়ে বেশি জোরে করতে হবে। একটা জিনিসই মাথায় নিয়ে বোলিং করেছি যে, দল আমাকে যে পরিকল্পনা দিয়েছে, সেই পরিকল্পনায় বোলিং করেছি। আমার নিজের যে পরিকল্পনা ছিল, তা অনুযায়ী বোলিং করেছি। ’ কিস্তানকে তাদের মাটিতে সিরিজ হারানো এবং নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে নাহিদ বলেছেন,‘স্বপ্নের মতো নয়। আমি যেটা আশা করছিলাম, দল যেটা আমার কাছে আশা করেছিল, তা করতে পেরেছি। দেশ ছাড়ার আগে বলেছিলাম দেশের জন্য কিছু করতে চাই, তা করতে পেরেছি। অনেক ভালো লাগতেছে। ’ নিজের সেরাটা ভারত সিরিজেই দেওয়ার আশা করছেন নাহিদ। তিনি বলেছেন,‘অবশ্যই ভারত অনেক ভালো দল। তবে দুই দলের মধ্যে ক্রিকেটে যারা ভালো খেলবে তারাই জিতবে। ম্যাচের মধ্যেই দেখা যাবে। অবশ্যই একটা লক্ষ্য আছে। দলকে আমার সেরাটা দেওয়ার এখনো বাকি আছে। ইনশাআল্লাহ দেব। ’

প্রথমবারের মত টেস্টে মুখোমুখি হচ্ছে আফগানিস্তান-নিউজিল্যান্ড

প্রথমবারের মত টেস্টে মুখোমুখি হচ্ছে আফগানিস্তান-নিউজিল্যান্ড প্রথমবারের মত টেস্টে আগামীকাল মুখোমুখি হতে যাচ্ছে আফগানিস্তান-নিউজিল্যান্ড। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে পাঁচবার আইসিসি ইভেন্টে দেখা হয়েছে দু’দলের। ভারতের নয়দায় বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হবে আফগানিস্তান-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার এক ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। প্রথমবারের মত টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে নয়দা স্পোর্টস কমপ্লেক্স গ্রাউন্ডে। ২০১৮ সালের ১৪ জুন টেস্ট অভিষেক হয় আফগানিস্তানের। ব্যাঙ্গালুরুতে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টেস্টে পথচলা শুরু হয় আফগানদের। অভিষেক টেস্টে ভারতের কাছে ইনিংস ও ২৬২ রানে হেরেছিলো আফগানিস্তান। টেস্ট ইতিহাসে এখন পর্যন্ত ৯টি ম্যাচ খেলেছে আফগানিস্তান। এরমধ্যে ৩টিতে জয় ও ৬টিতে হার আছে তাদের। বাংলাদেশ ছাড়াও আয়ারল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয় আছে আফগানদের। এই প্রথমবারের মত নিউজিল্যান্ডের সাথে টেস্ট খেলবে আফগানিস্তান। এখন পর্যন্ত ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে টেস্ট খেলেনি আফগানরা। ২০২১ সালে নারী বিষয়ে তালেবান সরকারের বিতর্কিত নীতির কারণে হোবার্টে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট বাতিল করেছিলো অস্ট্রেলিয়া। চলতি বছর এখন পর্যন্ত দু’টি টেস্ট খেলে শ্রীলংকা এবং আয়ারল্যান্ডের কাছে হেরেছে আফগানিস্তান। ২০২১ সালের মার্চে টেস্টে সর্বশেষ জয়ের স্বাদ পেয়েছিলো তারা। সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে জিম্বাবুয়েকে ৬ উইকেটে হারিয়েছিলো আফগানরা। ইনজুরির কারনে দলের সেরা স্পিনার রশিদ খানকে পাবে না আফগানিস্তান। তার অনুপস্থিতিতে দলের স্পিন বিভাগ সামলাবেন জহির খান ও জিয়াউর রহমান। টেস্টে নিউজিল্যান্ডকে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়ার হুশিয়ারি দিলেন আফগানিস্তানের ব্যাটার রহমত শাহ। তিনি বলেন, ‘নিউজিল্যান্ড বিশে^র অন্যতম সেরা দল। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসরেই শিরোপা জিতেছে তারা। আমরা নিউজিল্যান্ডকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে চাই।’ ভারতের কন্ডিশনে অনেক ম্যাচ খেলেছে আফগানিস্তান। এটি একটি বাড়তি সুবিধা বলে মনে করেন রহমত, ‘আমরা ভারতের উইকেট-কন্ডিশনের সাথে পরিচিত। এখানে আমরা অনেক ম্যাচ খেলেছি ও ক্যাম্প করেছি। অতীতের অভিজ্ঞতা আমাদের সহায়তা করবে। এজন্য এই টেস্টে আমরা এগিয়ে থাকবো।’ আফগানিস্তানের বিপক্ষে শক্তিশালী দল নিয়েই মাঠে নামবে নিউজিল্যান্ড। টপ অর্ডারে অভিজ্ঞ ওপেনার ডেভন কনওয়ে এবং টম লাথামের সাথে দলে রাখা হয়েছে বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটার ও সাবেক অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে। ভারতের কন্ডিশন বিবেচনায় দলে পাঁচজন স্পিনার রেখেছে নিউজিল্যান্ড। তারা হলেন- মিচেল স্যান্টনার, আয়াজ প্যাটেল, রাচিন রবীন্দ্র, ব্রেসওয়েল এবং গ্লেন ফিলিপস। এজন্য সদ্যই শ্রীলংকার সাবেক স্পিনার রঙ্গনা হেরাথকে দলের কোচিং প্যানেলে অর্ন্তুভুক্ত করেছে নিউজিল্যান্ড। ভারতের মাটিতে দুর্দান্ত এক রেকর্ড রয়েছে বাঁ-হাতি স্পিনার প্যাটেলের। ২০২১ সালে মুম্বাইয়ে ভারতের বিপক্ষে টেস্টের এক ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। ইংল্যান্ডের জিম লেকার ও ভারতের অনিল কুম্বলের পর বিশে^র তৃতীয় বোলার হিসেবে ইনিংসে ১০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন প্যাটেল। ভারতের মাটিতে আবারও টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়ে উচ্ছসিত তিনি। রেকর্ড গড়া ম্যাচের পর ভারতের মাটিতে আর কোন ম্যাচ খেলেননি প্যাটেল। টেস্ট না খেললেও, ৩টি ওয়ানডে ও ২টি টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়েছে আফগানিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। এরমধ্যে টি-টোয়েন্টিতে ১টি জয় আছে আফগানদের। এ বছরের জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপের গ্রুপ পর্বে নিউজিল্যান্ডকে ৮৪ রানে হারিয়েছিলো আফগানিস্তান। ঐ আসরের গ্রুপ পর্ব থেকে মিশন শেষ করেছিলো নিউজিল্যান্ড। বিশ্বকাপের পর আফগানদের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে মাঠে ফিরতে যাচ্ছে কিউইরা। নিউজিল্যান্ড দল : টিম সাউদি (অধিনায়ক), টম ব্লান্ডেল, মাইকেল ব্রেসওয়েল, ডেভন কনওয়ে, ম্যাট হেনরি, টম লাথাম, ড্যারিল মিচেল, উইল ও’রুর্কে, আয়াজ প্যাটেল, গ্লেন ফিলিপস, রাচিন রবীন্দ্র, মিচেল স্যান্টনার, বেন সিয়ার্স, কেন উইলিয়ামসন, উইল ইয়ং। আফগানিস্তান দল : হাশমতুল্লাহ শাহিদি (অধিনায়ক), ইব্রাহিম জাদরান, রহমত শাহ, আব্দুল মালিক, রিয়াজ হাসান, আফসার জাজাই, ইকরাম আলিখিল, বাহির শাহ, শাহিদুল্লাহ, আজমতুল্লাহ ওমারজাই, শামস উর রাহমান, জিয়া-উর-রেহমান, জাহির খান, কাইস আহমেদ, খলিল আহমেদ, নিজাত মাসুদ।

দশ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন মঈন আলী

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরে মঈন দশ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার মঈন আলী। ব্রিটিশ দৈনিক ‘ডেইলি মেইল’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের বিষয়টি জানান তিনি। ঐ সাক্ষাৎকারে মঈন বলেন, ‘আমার বয়স ৩৭ বছর এবং এ মাসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের দলে আমি সুযোগ পাইনি। ইংল্যান্ডের হয়ে অনেক ক্রিকেট খেলেছি। এখন সময় পরের প্রজন্মের। আমার অধ্যায় শেষ হয়ে গেছে।’ ২০১৪ সালে ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় মঈনের। একই বছর টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে পথচলা শুরু করেন তিনি। দেশের হয়ে ৬৮ টেস্ট, ১৩৮টি ওয়ানডে ও ৯২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন মঈন। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে আটটি সেঞ্চুরি ও ২৮টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৬৬৭৮ রান করেছেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটার। বল হাতে ৩৬৬ উইকেট শিকার করেছেন ডান-হাতি অফ-স্পিনার মঈন। এ বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের গায়ানায় টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপে সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বশেষ খেলেছেন তিনি। ইংল্যান্ডের হয়ে খেলতে পেরে গর্বিত মঈন। তিনি বলেন, ‘আমি খুবই গর্বিত। ইংল্যান্ডের হয়ে প্রথম খেলার সময় কেউ জানে না কতগুলো ম্যাচ খেলতে পারবে। সেখানে আমি তিনশর কাছাকাছি ম্যাচ খেলতে পেরেছি। এখন আমি বাস্তবতা বুঝি। আমি আঁকড়ে ধরে থাকতে এবং ইংল্যান্ডের হয়ে আরও খেলার চেষ্টা করতে পারতাম। কিন্তু আমি জানি বাস্তবে এটা আর সম্ভব নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘অবসর নিলেও জাতীয় দলে খেলার জন্য আমি যথেষ্ট ভালো নই, তা মনে করি না। আমার ধারণা আমি এখনও খেলতে পারবো। কিন্তু প্রকৃত পরিস্থিতি বুঝতে পারছি দলের এখন নতুন চক্রের প্রবেশের প্রয়োজন আছে। এটা নিজের কাছেও সৎ থাকার বিষয়।’ অবসর নিলেও ক্রিকেটপ্রেমিরা তাকে মনে রাখবে বলে আশা করেন মঈন। তিনি বলেন, ‘মানুষ অনেক সময়ই ভুলে যায় ম্যাচে কেমন প্রভাব ছিলো। অনেক সময় হয়তো ২০-৩০ রান করেছি, কিন্তু ঐ ২০-৩০ রানই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমাদের কাছে খেলাটাই এমন, প্রভাব রাখতে পারা। মাঠের ভেতরে-বাইরে দলের জন্য কি হয়েছে, সেটি আমি জানি। আমি ভালো করি বা খারাপ যতক্ষণ বুঝেছি মানুষ আমার খেলা উপভোগ করেছে, সেটিই আমার কাছে খুশির উপলক্ষ ছিল।’ ক্যারিয়ারের ব্যক্তিগত ও দলীয় অনেক স্মরণীয় অর্জন আছে মঈনের। সেগুলোও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি, ‘অ্যাশেজ ও দু’টি বিশ্বকাপ জয় ছিলো দারুণ। ব্যক্তিগত জায়গা থেকে বলতে হয় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করে টেস্ট জয় স্মরণীয় হয়ে আছে। ইংল্যান্ডের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম হাফ-সেঞ্চুরি (১৬ বলে, ২০২২ সালে) করতে পেরে আমি গর্বিত।’

নিউজিল্যান্ড টেস্টে আফগান দলে তিন নতুন মুখ

নিউজিল্যান্ড টেস্টে আফগান দলে তিন নতুন মুখ ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ভারতের গ্রেটার নয়ডায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শুরু হবে আফগানিস্তানের এক ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। এই ম্যাচটির আগে ১৬ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে আফগানিস্তান। যেখনে সুযোগ দেয়া হয়েচে তিনজন নতুন ক্রিকেটারকে। গ্রেটার নয়ডাকে আফগানিস্তান ক্রিকেট দল হোম ভেন্যু হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। সেখানেই অনুষ্ঠিত হবে আফগানিস্তান এবং নিউজিল্যান্ড টেস্ট ম্যাচটি। যে তিন নতুন মুখকে সুযোগ দেয়া হয়েছে, তারা হলেন ওপেনিং ব্যাটার রিয়াজ হাসান, স্পিন অলরাউন্ডার শামস-উর রহমান এবং পেসার খলিল আহমেদ। ইনজুরির কারণে দলের মূল খেলোয়াড় রশিদ খান খেলতে পারবেন না। দল থেকে ছিটকে পড়েছেন তিনি। ফলে আফগানদের স্পিন ডিপার্টমেন্টের নেতৃত্ব বর্তেছে জহির খান, জিয়া-উর রহমানের ওপর।  গত ফেব্রুয়ারি-মার্চে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিলো আফগানিস্তান। রশিদ খান ওই টেস্টও খেলতে পারেননি। পেস বোলার নাভিন জাদরান আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন। সাইড স্ট্রেইনের কারণে তিনিও নেই আফগানদের দলে। আফগানিস্তান স্কোয়াড হাশমতউল্লাহ শহিদি (অধিনায়ক), ইবরাহিম জাদরান, রহমত শাহ, আবদুল মালিক, রিয়াজ হাসান, আফসার জাজাই (উইকেটরক্ষক), ইকরাম আলিখিল (উইকেটরক্ষক), বাহির শাহ, শহিদুল্লাহ কামাল, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, শামসউর রহমান, জিয়াউর রহমান, জহির খান, কাইস আহমেদ, খলিল আহমাদ, নিজাত মাসুদ।

কেন ট্রফি নিয়ে ঘুমিয়েছিলেন শান্ত?

কেন ট্রফি নিয়ে ঘুমিয়েছিলেন শান্ত? লিওনেল মেসিকে দেখে অুনপ্রাণিত হয়েই কি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ট্রফি নিয়ে ঘুমিয়েছিলেন কিনা? এমন প্রশ্ন উঠতেই শান্ত জানালেন ভিন্ন কথা। শান্ত জানালেন তিনি মেসিকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে নয়, সিরিজ জয়ের মুহূর্ত উপভোগ করতেই ট্রফিটি বিছানায় নিয়ে ঘুমিয়েছেন। পাকিস্তানের মাটিতে পাকিস্তানকে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। এই জয়ের পরেই ট্রফি নিয়ে ঘুমানোর একটি দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন শান্ত। আর তার এই এই ছবি দেখেই হয়তো মেসির কথাই মনে পড়ছে অনেকের। মেসিও বিশ্বকাপ জয়ের পর ট্রফি নিয়ে এভাবেই ঘুমিয়েছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে শান্ত জানান, ‘জয়টা অনেক স্পেশাল ছিল। যেটা বললাম বাংলাদেশের (ক্রিকেটে) সবচেয়ে বড় অর্জন। মুহূর্তটি ভালোভাবে উপভোগ করতে মনে হলো ট্রফিটি নিয়েই ঘুমাই। কাউকে দেখে নয় জিনিসটা। লিওনেল মেসিকে দিয়েই (ট্রফি নিয়ে বিছানায় ঘুমোনো) শুরু হয়েছিল।’

পাকিস্তানে জেতা ট্রফি নিয়ে মেসির মতো পোজ শান্তর

পাকিস্তানে জেতা ট্রফি নিয়ে মেসির মতো পোজ শান্তর পাকিস্তানের মাটিতে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়ে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে নিজেদের মাটিতেই পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করে উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশ। যার প্রতিফলন দেখা দিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দেওয়া পোস্টে।   আজ সিরিজের ট্রফি নিয়ে ঘুমানোর একটি ছবি নিজের অফিশিয়াল পেইজে শেয়ার করেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। ক্যাপশনে তিনি লিখেন, ‘শুভ সকাল। ’ তার দেওয়া এই পোস্টে ভক্তরা জানিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অনেকের কাছে বিষয়টি ভালো লাগলেও অনেকে করেছেন সমালোচনা।  ছবির কমেন্ট সেকশনে একজন লিখেছেন, ‘সাধারণ এই ট্রফি নিয়ে এই অবস্থা,, আইসিসি ট্রফি হলে কি যে করতো। যাইহোক গরীবের মেসিকে অভিনন্দন। ’আরেক কমেন্টে অন্যজন লিখেন, ‘ভাই এই সিরিজে অধিনায়কত্ব ছাড়া আপনার আর কি অবদান আছে জাতি জানতে চায়। ’ আরেকজন  লিখেছেন, ‘নাটক কম করো পিও,এটা বিশ্বকাপ না। ’ তবে শুধু নেতিবাচক কমেন্ট না, অনেকেই শান্ত ও বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। একজন লিখেছেন, ‘মেসির ছোটভাই। অভিনন্দন ভাই। আরো বিজয় দেখতে চাই। ’ আরেকজন কমেন্ট করেছেন, ‘ট্রফি বুকে জড়িয়ে ঘুম কেমন হলো ক্যাপ্টেন? এমন আরও প্রচুর ছবি দেখতে চাই। ’ প্রথম টেস্টে ১০ উইকেটে জয়ের পর দ্বিতীয় টেস্টে রাওয়ালপিন্ডিতে টস হেরে প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। এরপর নিজেদের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করে ২৬২ রান। পাকিস্তান পরের ইনিংসে ১৭২ রানে অলআউট হলে ১৮৫ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায় বাংলাদেশের সামনে। এই রান সহজেই তাড়া করে ফলে বাংলাদেশ। সঙ্গে সিরিজও নিজেদের কর নেয় তারা।

পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করতে বাংলাদেশের দরকার ১৮৫ রান

পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করতে বাংলাদেশের দরকার ১৮৫ রান হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানার বোলিং তোপে তৃতীয় ইনিংসে পাকিস্তানকে ১৭২ রানে আটকে দিয়েছে বাংলাদেশ। জেতার জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ১৮৫ রান। ২ উইকেটে ৯ রান নিয়ে দিন শুরু করা পাকিস্তানের উইকেটে প্রথম হানা দেন তাসকিন আহমেদ। ৩৫ বলে ২০ রান করা সাইম আইয়ুবকে মিড অফে নাজমুল হোসেনের ক্যাচে পরিণত করেন এই পেসার। এরপর ৩৪ বলে ২৮ রান করে  ওয়ানডে মেজাজে খেলতে থাকা শান মাসুদকে আউট করেন নাহিদ রানা।  শান উইকেটের পেছনে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন। এর পর একে একে বাবর আজম ও সাউদ শাকিলকেও ফেরান নাহিদ।  এক সময় ৮১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলা পাকিস্তানকে টেসে তোলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সালমান আগা। তাদের ৫৫ রানের জুটিতে পাকিস্তান কিছুটা বিপদ কাটিয়ে উঠে। কিন্তু বিরতির পর তৃতীয় ওভারের পর পর দুই বলে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও মোহাম্মদ আলিকে আউট করেন হাসান মাহমুদ। ৭৩ বলে ৪৩ রান করেন রিজওয়ান। আবরারের উইকেট তুলে নেন নাহিদ। শেষদিক সালমানের ৪৭ রানে ভর করে অলআউট হওয়ার আগে পাকিস্তান তুলে ১৭২ রান। দুই ইনিংস মিলিয়ে লিড নেয় ১৮৪ রানের। বাংলাদেশের হয়ে হাসান মাহমুদ ৫টি ও নাহিদ রানা নেন চারটি উইকেট।

হাসানের জোড়া আঘাতে জয়ের সুবাস পাচ্ছে বাংলাদেশ

হাসানের জোড়া আঘাতে জয়ের সুবাস পাচ্ছে বাংলাদেশ সাদমান ইসলাম ক্যাচ মিস না করলে প্রথম বলেই আউট হতে পারতেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। কিন্তু এরপর যতটা সময় থেকেছেন, ততটা সময় বাংলাদেশের গলার কাঁটা হয়ে ছিলেন তিনি। আগা সালমানকে সঙ্গে নিয়ে হাঁটছিলেন বড় জুটির দিকেই। কিন্তু দিনের দ্বিতীয় সেশনে তাকে সাজঘরে ফেরান হাসান মাহমুদ। বাংলাদেশও পায় ব্রেকথ্রু। পরের বলেও উইকেটের দেখা পান হাসান, জাগিয়ে তোলেন হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা। যদিও সেটি হয়নি। তবে তার জোড়া আঘাতে জয়ের সুবাস বেশ ভালোভাবেই পাচ্ছে টাইগাররা। রাওয়ালপিন্ডিতে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের শেষটিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। নিজেদের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করে ২৬২ রান। চতুর্থ দিনে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রান করেছে পাকিস্তান। লিড নিয়েছে ১৫৭ রানের। আগা সালমান ২৪ ও আবরার আহমেদ ২ রানে ব্যাট করছেন। আগের দিন খুররাম শেহজাদ আউট হলে খেলা শেষ হয়ে যায়। এরপর চতুর্থ দিনের শুরুতে সায়েম আইয়ুবের সঙ্গী হন শান মাসুদ। দিনের নবম ওভারে তাদের জুটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ। ড্রাইভ করতে গেলে মিড অফে তার দারুণ ক্যাচ নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৩৫ বলে ২০ রান করে ফেরেন আইয়ুব। টানা ছয় ওভার করার পর তাসকিনকে সরিয়ে আনা হয় নাহিদ রানাকে। এই পেসার দুর্দান্ত এক স্পেলই করেন। টানা তিন ওভারে উইকেট পান। শুরুটা হয় পাকিস্তানের অধিনায়ক শান মাসুদকে দিয়ে। গুড লেন্থের বল বেরিয়ে যাওয়ার সময় ড্রাইভ করতে যান শান মাসুদ, কিন্তু বল ব্যাট ছুয়ে যায় উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে। ৩৪ বলে ২৮ রান করেন তিনি। পরের ওভারে এসে বাবর আজমও আউট হন। ১৮ বলে ১১ রান করার পর স্লিপে সাদমান ইসলামের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। পরের বলেই আরও একটি উইকেট পেয়ে যেতে পারতেন নাহিদ। কিন্তু মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই রিজওয়ানের তুলে দেওয়া ক্যাচ বাঁ দিকে সরে নিতে পারেননি সাদমান। এরপরও অবশ্য উইকেট পেয়েছেন নাহিদ। ১০ বলে ২ রান করা সৌদ শাকিল নাহিদের বলেই ক্যাচ দেন উইকেটরক্ষক লিটনের হাতে। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগে অবশ্য বাংলাদেশকে ভুগতে হচ্ছে রিজওয়ানের ক্যাচ ছাড়ার জন্য। দ্বিতীয় সেশনে নিজের প্রথম ওভার করতে এসেই পঞ্চম বলে রিজওয়ানকে (৪৩) ফেরান হাসান। অফ স্টাম্পের অনেকটা বাইরের বল ড্রাইভ করতে গিয়ে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দেন এই পাকিস্তানি ব্যাটার। পরের বলে স্লিপে থাকা নাজমুল হোসেন শান্তকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন মোহাম্মদ আলী।