২২ রানে ৭ উইকেট খুইয়ে ম্যাচ হারল পাকিস্তান

২২ রানে ৭ উইকেট খুইয়ে ম্যাচ হারল পাকিস্তান মার্ক চ্যাপম্যানের অনবদ্য সেঞ্চুরি ও জন্মভূমির বিপক্ষে মুহাম্মদ আব্বাসের রেকর্ড গড়া হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে, প্রথম ওয়ানডেতে পাকিস্তানকে ৭৩ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে নিউ জিল্যান্ড। মাইকেল ব্রেসওয়েলের নেতৃত্বাধীন কিউরা ৩ ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল। নেপিয়ারে ম্যাকলিন পার্কে, প্রথম ম্যাচে টস জিতে নিউ জিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান পাকিস্তান কাপ্তান মোহাম্মদ রিজওয়ান। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ৩৪৪ রান তুলে স্বাগতিকরা। তবে শেষ ২২ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়ে কক্ষপথ থেকে ছিটকে পড়ে রিজওয়ানের দল। ৪৪.১ ওভারে ২৭১ রানে অল আউট হয় পাকিস্তান।
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন তামিম ইকবাল

হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন তামিম ইকবাল তামিম ইকবালের শারীরিক অবস্থা কী, তিনি বাসায় ফিরবেন কখন- এসব নিয়ে ছিল নানার জল্পনা-কল্পনা। তবে সেসব অনিশ্চয়তা আর উৎকণ্ঠার অবসান হয়েছে। সবাইকে কিছুটা আশ্বস্থ করে বাসায় ফিরেছেন তামিম। আজ শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজের পরপরই এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে রাজধানীর বনানীর ডিওএইচএসের বাসায় ফিরে গেছেন তামিম। সেখানেই পারিবারিকভাবে তার চিকিৎসা চলমান থাকবে। তামিমের বাসায় ফেরার সংবাদ কেন গুরুত্বপূর্ণ ভক্তদের কাছে? কারণটা জটিল নয়, প্রিয় তারকা বাসায় গেছেন মানেই হলো সংকট কেটে গেছে। এখন শুধু ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠার পালা। আগে গেল সোমবার এর আগে গতকাল সোমবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) শাইনপুকুরের বিপক্ষে খেলতে নামার আগে হার্ট অ্যাটাক হয় মোহামেহান স্পোর্টিং ক্লাবের অধিনায়ক তামিমের। পরিস্থিতি জটিল হলে দ্রুত তাকে স্থানীয় কেপিজে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ওই হাসপাতালেই তামিমের এনজিওগ্রাম, এনজিওপ্লাস্টি এবং স্টেন্টিং করানো হয়। স্টেন্টিংয়ের মাধ্যমে দ্রুত ব্লক পড়া ধমনীতে রিং পরানো হয়। এরপর আস্তে আস্তে শঙ্কা কাটতে শুরু করে। ওইদিন বিকালের দিকে হাসপাতালের ডাক্তাররা আনুষ্ঠানিকভাবে জানান, তামিম ইকবাল পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত নন। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। পরদিন মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) তামিমকে এভারকেয়ার হাসপাতালে পাঠানো হয়। তিনদিন সেখানে থাকার পর আজ বাসায় ফিরলেন দেশসেরা ওপেনার।
তামিমের ধূমপানের কথা প্রকাশ করে ক্ষমা চাইলেন দুই চিকিৎসক

তামিমের ধূমপানের কথা প্রকাশ করে ক্ষমা চাইলেন দুই চিকিৎসক তামিম ইকবালের চিকিৎসা নিয়ে সবাই সন্তুষ্ট, হোক সেটি কেপিজে হাসপাতাল কিংবা এভারকেয়ার হাসপাতাল। দেশবরেণ্য ক্রিকেটার তামিমের চিকিৎসার কোনোই ত্রুটি হয়নি। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা দেশের অন্যতম সেরা ক্রিকেটারকে সুস্থ করে তুলতে সামর্থ্যের সবটুকু উজাড় করে দিয়েছেন। সৃষ্টিকর্তার দয়া ও চিকিৎসকদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় তামিম এখন ভালোর দিকে। এরই মধ্যে জানা হয়ে গেছে, তামিম এভারকেয়ার হাসপাতালে ৭২ ঘণ্টা থাকার পর আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বনানী ডিওএইচএসে নিজ বাসায় ফিরে গেছেন। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে এভারকেয়ার হাসাপাতালের দুই জন সিনিয়র ও নামী চিকিৎসকের অপেশাদার ও অদূরদর্শী আচরণ নিয়ে দেশব্যাপী একটা অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। তাদের আচরণ অনেকেই স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেননি। কী করে নেবেন? এভারকেয়ার হাসপাতালের দুই জন সিনিয়র চিকিৎসক সাহাবউদ্দীন তালুকদার ও আরিফ রহমান যে সংবাদ সম্মেলনে এসে জানিয়ে দিয়েছেন, তামিম ধূমপান করেন এবং তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে এসেও ধূমপান করতে চেয়েছেন। দুই জন নামী, দক্ষ, অভিজ্ঞ ও সিনিয়র চিকিৎসকের এমন অপেশদার আচরণকে অনেকেই ভালো চোখে দেখেননি। অনেকের মত, দেশের অন্যতম হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর সাহাবউদ্দীন তালুকদার ও এভারকেয়ার হাসপাতালের মেডিকেল ডিরেক্টর আরিফ রহমানের মতো দায়িত্বশীল চিকিৎসকের মুখে ‘তামিম ধূমপান করেন, এভারকেয়ারে এসেও ধূমপান করতে চেয়েছেন, বলার পরও ধূমপান ছাড়তে অনীহা’- এমন কথা শুনে বিরাগভাজন হয়েছেন। দেশের অগণিত তামিমভক্ত, ক্রিকেট ও ক্রীড়া অনুরাগীরা মনে করেন, চিকিৎসকরা অপেশাদার মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। তামিমের মতো একজন ক্রিকেটারের পারিবারিক, সামাজিক ও পেশাগত জীবনের কথা চিন্তা করে ধূমপানের প্রসঙ্গ সরাসরি না বললেই ভালো হতো। অবশেষে ২৪ ঘণ্টা না যেতেই ওই দুই চিকিৎসক সংবাদ সম্মেলনে এসে তামিমের ধূমপানের বিষয়টি প্রকাশের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন এবং দুঃখ প্রকাশ করেছেন। শুক্রবার বিকেলে এভারকেয়ার হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলনে প্রফেসর সাহাবউদ্দীন তালুকদার ও আরিফ রহমান দুঃখ প্রকাশ করেন। প্রফেসর সাহাবউদ্দীন তালুকদার বলেন, ‘তামিমের শারিরীক অবস্থার বর্ণনা দিতে গিয়ে ধূমপানের প্রসঙ্গ চলে আসে। ধূমপান যে হৃদরোগের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, তা জানাতে গিয়ে ভুলবশত তামিমকে সম্পৃক্ত করার জন্য দুঃখিত। আমি আসলে ধূমপানটা হৃদরোগীদের জন্য অনেক ঝুঁকিপূর্ণ বলে বোঝাতে গিয়ে তামিমকে জড়িয়ে ফেলেছিলাম। সেজন্য দুঃখিত। এভারকেয়ার মেডিকেল ডিরেক্টর আরিফ রহমান বলেন, ‘ধূমপানের বিষয়টি সামনে এনে আমরা বুঝতে পেরেছি, দেশবরেণ্য ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব তামিম ইকবাল ভাইয়ের ব্যক্তিজীবন, পারিবারিক, সামাজিক জীবন ও গোটা ক্যারিয়ারের জন্য একটা নেতিবাচক বার্তা দিয়েছে। বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলেছে। আমি ও স্যার সাহাবউদ্দীন তালুকদার আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমরা তামিম ভাই এবং তার পরিবারের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই তামিম ভাই যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে খেলায় ফিরে আসেন।’
তামিমের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, চলছে বিদেশে নেওয়ার প্রস্তুতি

তামিমের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, চলছে বিদেশে নেওয়ার প্রস্তুতি জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। সাভার থেকে ঢাকায় স্থানান্তরের পর স্বাভাবিক অবস্থায় আছেন তামিম। অল্পস্বল্প সলিড খাওয়া খেতে পারছেন। প্রাথমিক বিপদ কেটে যাওয়ার পর এখন সুস্থ হয়ে উঠছেন। গতকাল সকাল থেকে অল্পস্বল্প হাঁটা শুরু করেছিলেন। সাভারের কেপিজে হাসপাতাল থেকে ঢাকার এভারকেয়ারে স্থানান্তরের পর তার শারীরিক পরীক্ষা করেছেন চিকিৎসকরা। সেখানে আশাব্যঞ্জক ফল পেয়েছেন তারা। খুব বেশি জটিলতা তাদের কাছেও ধরা পড়েনি। শুরুর চিকিৎসা প্রক্রিয়া ভালো হওয়ায় তামিম দ্রুত উন্নতি করছেন বলে মত দিয়েছেন। আপাতত দুয়েকদিন তামিম থাকবেন এভারকেয়ার হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে। এরপর বাসায় ফিরতে পারেন। তবে উন্নত চিকিৎসা, সেবা এবং রিহ্যাব প্রক্রিয়ার জন্য তামিমকে দেশের বাইরে নিয়ে যেতে চায় পরিবার। এজন্য ভিসা প্রক্রিয়ার কাজও শুরু হয়ে গেছে। সিঙ্গাপুরের ভিসা রয়েছে তার। থাইল্যান্ডের ভিসা করার প্রক্রিয়া চলছে। দুই দেশে তার যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অ্যাপয়েনমেন্ট পাওয়ার ওপর নির্ভর করছে তার বিদেশ যাত্রা। তবে ভালো খবর, আগের চেয়ে অনেক ভালো অবস্থায় আছেন তামিম। গত (২৪ মার্চ) বিকেএসপিতে ঢাকা লিগের ম্যাচ খেলতে নামার আগে প্রথমে মাইনর ও পরে ‘ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকে’ অজ্ঞান হয়ে পড়েন তামিম। তাকে কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থা এতোটাই খারাপ হয়েছিল যে, ২২ মিনিট সময় ধরে সিপিআর ও তিনটি ডিসি শক দিতে হয়েছে। এরপর দ্রুত এনজিওগ্রাম করে শতভাগ ব্লক থাকা একটা আর্টারিতে রিং লাগিয়েছেন চিকিৎসকরা। অবিশ্বাস্য গতিতে হয়েছে সবকিছু। চিকিৎসকদের প্রতিটি সিদ্ধান্ত সময়মতো হওয়ায় তামিম পেয়েছেন নতুন এক জীবন। গতকাল রাতে তামিমকে দেখতে হাসপাতাল গিয়েছিলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। একই সময়ে সেখানে হাজির হন বাংলাদেশ ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হকও।
ঢাকায় আনা হচ্ছে তামিমকে

ঢাকায় আনা হচ্ছে তামিমকে ঢাকায় আনা হচ্ছে তামিম ইকবালকে। আজ সন্ধ্যায় ইফতারের পর রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে আনা হবে বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ককে। রাইজিংবিডিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তামিমের বড় ভাই নাফিস ইকবাল। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গতকাল হাসপাতালে ভর্তি হওয়া তামিম ইকবালের সার্বিক অবস্থা আশাব্যঞ্জক। তবে এই মুহূর্তে তাকে অন্য কোথাও ‘‘মুভ করা খুবই রিস্কি’’ বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবুও পরিবারের ইচ্ছায় আজ সন্ধ্যায় তাকে সাভারের কেপিজে হাসপাতাল থেকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। গতকাল বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) মাঠে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) ম্যাচ চলাকালে তামিম ইকবাল বুকে ব্যাথা অনুভব করেন। অবস্থার অবনতি হলে তাকে নিকটস্থ কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতাল অ্যান্ড নার্সিং কলেজে ভর্তি করা হয়। কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পাশাপাশি হার্টের ইসিজিও করানো হয়। তখন হালকা সমস্যা দেখা যায়। চিকিৎসা শেষে আবার বিকেএসপিতে ফেরার পথে তার আবার ব্যথা শুরু হয়। সে কারণে দ্বিতীয়বার তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন দেখা যায় তার ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকের মতো হয়েছে। এরপর এনজিওগ্রাম করে দেখা যায় তার হার্টে একটি ব্লক রয়েছে। সেটিতে রিং পরানো হয়। সেই থেকে তিনি ডাক্তারদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
তামিমকে দেখতে গেলেন সাকিবের বাবা-মা

তামিমকে দেখতে গেলেন সাকিবের বাবা-মা সোমবারই সতীর্থ, বন্ধু ও দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধা তামিম ইকবালের জন্য দোয়া চেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। সন্ধ্যায় তামিমের স্ত্রী আয়েশা ইকবালের সঙ্গে ফোনে কথা বলে খোঁজখবর নেন বাংলাদেশের সেরা অলরাউন্ডার। আজ মঙ্গলবার হার্ট অ্যাটাকের পর সাভারের কেপিজে স্পেশালাইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তামিমকে দেখতে গেছেন সাকিবের বাবা ও মা। সাকিবের বাবা খন্দকার মাসুরুর রেজা ও মা শিরিন রেজা মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে তামিমকে দেখতে যান। সেখানে দেশসেরা ওপেনারের জন্য দোয়া করেন এবং শারীরিক অবস্থান খোঁজ-খবর নেন তারা। প্রায় ১ ঘণ্টা তামিমের কক্ষে অব্স্থান করেন মাসুরুর রেজা ও শিরিন রেজা। এরপর তামিমের পারিবারের সঙ্গে অনেকটা সময় কাটান তারা। পরে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে এসে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন সাকিবের বাবা। মাসরুর রেজা বলেন, ‘তামিমের সঙ্গে সাকিবের কথা হয়েছে কি না, আমি জানি না। তবে তামিম ভালো আছে। খুব শিগগিরই বাসায় চলে যেতে পারে।’ ‘আমাদের এখন দোয়া করা ছাড়া আর কী আছে। তামিমকে দেখলাম, তার জন্য দোয়া করলাম। আমি গতকালও তার জন্য নামাজ পড়ে দোয়া করেছি।’ জাতীয় দল ও বয়সভিত্তিক ক্রিকেট মিলিয়ে তামিম-সাকিবের বন্ধুত্ব প্রায় দুই দশকের। তবে সাকিবের বাবা যোগ করলেন নতুন তথ্য। মাসরুর রেজা জানালেন, তামিমের সঙ্গে পরিচয়েরও অনেক আগে তামিমের পরিবারের সঙ্গে তার পরিচয়। ‘(তামিম) ছেলের মতো না…তামিমের আব্বা তো আমার খেলার বন্ধু। ইকবাল ভাই আমার খেলার বন্ধু। তামিমের মায়ের বিয়ের আগেই কিন্তু তার বাবার সঙ্গে আমার সম্পর্ক।’ এর আগে গতকাল সোমবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) শাইনপুকুরের বিপক্ষে খেলতে নামার আগে হার্ট অ্যাটাক হয় মোহামেহান স্পোর্টিং ক্লাবের অধিনায়ক তামিমের। পরিস্থিতি জটিল হলে দ্রুত তাকে স্থানীয় কেপিজে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ওই হাসপাতালেই তামিমের এনজিওগ্রাম, এনজিওপ্লাস্টি এবং স্টেন্টিং করানো হয়। স্টেন্টিংয়ের মাধ্যমে দ্রুত ব্লক পড়া ধমনীতে রিং পরানো হয়। এরপর আস্তে আস্তে শঙ্কা কাটতে শুরু করে। গতকাল দুপুরের পরই জ্ঞান ফেরে তামিমের। মায়ের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। ওইদিন বিকালের দিকে হাসপাতালের ডাক্তাররা আনুষ্ঠানিকভাবে জানান, তামিম ইকবাল পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত নন। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। রাতের দিকে খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তখন জানা গেছে, তামিমের অবস্থা ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে। তামিম ইকবালের সঙ্গে কেপিজে হাসপাতালে অবস্থান করা তার বন্ধু এবং সাংবাদিক মিনহাজউদ্দিন খান জাগোনিউজকে জানিয়েছেন, ‘তামিম আগের চেয়ে অনেকটা ভালো বোধ করছেন। রাতে ভালো ঘুমও হয়েছে। ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে তার। একজনের সাহায্য নিয়ে রুমের মধ্যে হাঁটাচলাও করেছেন।’ তামিমের চাচা, জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবি পরিচালক আকরাম খান জাগোনিউজকে বলেছেন, ‘তামিমের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। রিং পরানোর কারণে হার্টে রক্তের চলাচলও অনেকটা স্বাভাবিক হয়েছে। তার অবস্থা দেখে কেপিজে হাসপাতালের ডাক্তার যদি অনুমতি দেয়, তাহলে আজই আমরা তাকে রিলিজ করে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসতে চাই। এখানে এনে পরীক্ষা করতে চাই তার হার্টের ড্যামেজ কতটা হয়েছে। এর চেয়ে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হবে কি না।’
হাঁটা-চলা করছেন, কেবিনে থেকে আবার সিসিইউতে তামিম

হাঁটা-চলা করছেন, কেবিনে থেকে আবার সিসিইউতে তামিম তামিম ইকবালের হার্টে রিং পরানো চিকিৎসক মনিরুজ্জামান মারুফ জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে তামিমের শরীর বেশ ভালো রেসপন্স করছে। রাতে তার ভালো ঘুমও হয়েছে। অল্প-স্বল্প হাঁটা-চলা শুরু করেছেন। গতকাল গভীর রাতে তাকে দেওয়া হয়েছিল খাবার। সেই খাবার পরিমিত পরিমাণে খেতে পেরেছেন। সাভারের কেপিজে হাসপাতালে তত্ত্বাবধানে থাকা আরেক সহকারী চিকিৎসক মোহাম্মদ রাসেলও জানিয়েছেন, কথা বলে ভালো রেসপন্স করতে পারছেন তামিম। তবে এখনও নিবিড় পর্যবেক্ষণে তাকে রাখতে হচ্ছে। কোনো প্রকার ঝুঁকি নিতে নারাজ তারা। মঙ্গলবার সকালে তামিমকে কিছুক্ষণের জন্য সিসিইউ থেকে বেরিয়ে কেবিনে নেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে আবার নিয়ে যাওয়া হয় সিসিইউতে। আপাতত তামিম সেখানেই থাকবেন। লোকসমাগম কম এবং বাড়তি নিরাপত্তার কথা ভেবেই তাকে সিসিইউতেই রাখা হয়েছে। গতকাল (২৪ মার্চ) বিকেএসপিতে ঢাকা লিগের ম্যাচ খেলতে নামার আগে প্রথমে মাইনর ও পরে ‘ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকে’ অজ্ঞান হয়ে পড়েন তামিম। তাকে কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থা এতোটাই খারাপ হয়েছিল যে, ২২ মিনিট সময় ধরে সিপিআর ও তিনটি ডিসি শক দিতে হয়েছে। এরপর দ্রুত এনজিওগ্রাম করে শতভাগ ব্লক থাকা একটা আর্টারিতে রিং লাগিয়েছেন চিকিৎসকরা। অবিশ্বাস্য গতিতে হয়েছে সবকিছু। চিকিৎসকদের প্রতিটি সিদ্ধান্ত সময়মতো হওয়ায় তামিম পেয়েছেন নতুন এক জীবন। জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘‘তামিমের যেটা হয়েছিল, ম্যাসিভ হ্যার্ট অ্যাটাক হলে ১০-১৫ শতাংশ রোগী হাসপাতালে পৌঁছতে পারেন না। তামিম ভাগ্যবান যে হাসপাতালে আসতে পেরেছিল। রক্ষা যেটা তার সঙ্গে ডাক্তার ছিলেন। কার্ডিয়াক ম্যাসেজ করতে পেরেছেন। হার্ট যখন পাম্প করতে পারছিল না। আমরা জোর করে ফোর্স করে পাম্প করিয়ে রাখতে পেরেছিলাম। এখানে আসার পর তাকে ক্যাথলাবে নিয়ে গিয়ে দেখা হয়েছে এবং তার যে বন্ধ আর্টারিটা ছিল তা সাথে সাথে খুলে দেওয়া হয়েছে। তামিম যেই অবস্থায় ছিল সেখান থেকে উঠে আসা সব সময় হয় না। উপযুক্ত সুচিকিৎসা, অ্যাপ্রোপিয়েট সিদ্ধান্ত পাওয়ার কারণে আমরা তামিমকে ফেরত পেয়েছি।’’ ‘‘আজ সকালে তার ইকোকার্ডিয়াক করে তার হার্টের ফাংশন দেখা হচ্ছিল। দেখে মনে হয়েছে, কোনো সমস্যাই নেই। একেবারে তরতাজা। মনে রাখতে হবে, এটাই কিন্তু ছদ্মবেশ। হার্টে আবার সমস্যা হতে পারে। সম্ভাবনা কমে গেছে। স্লাইট সম্ভাবনা আছে এজন্য ৪৮-৭২ ঘন্টা পর্যবেক্ষণে রয়েছে। এ সময়ে কম কথা বলা, বিশ্রামে থাকা উচিত। ইনিশিয়াল পিরিয়ড এখানে স্টাবেল হয়ে তারপর রিহ্যাবে ভালো কোথাও যেতে চাইলে সে যেতে পারবে।’’ – যোগ করেন তিনি। আপাতত তামিম কেপিজে হাসপাতালেই থাকবেন। তাকে পর্যবেক্ষণেই রাখা হচ্ছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে হলে তার অন্তত তিন মাস লাগবে।
ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের সম্পদ জব্দের আদেশ

ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের সম্পদ জব্দের আদেশ চার কোটি টাকার চেক ডিজঅনারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন। আদালতের পেশকার রিপন মিয়া এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর আইএফআইসি ব্যাংকের চেক ডিজঅনারের এ মামলায় ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানসহ চারজনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন আদালত। ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালত এ আদেশ দেন। এ বছরের ১৮ জানুয়ারি তাকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেদিন আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় ১৯ জানুয়ারি সাকিবসহ আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর আইএফআইসি ব্যাংকের রিলেশনশিপ অফিসার সাহিবুর রহমান বাদী হয়ে আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন- সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্মের ম্যানেজিং ডিরেক্টর গাজী শাহাগীর হোসাইন, ডিরেক্টর ইমদাদুল হক ও মালাইকা বেগম। মামলা সূত্রে জানা গেছে, সাকিবের মালিকানাধীন অ্যাগ্রো ফার্ম ব্যবসায়িক উদ্দেশে বিভিন্ন সময় আইএফআইসি ব্যাংকের বনানী শাখা থেকে ঋণ গ্রহণ করে। তার বিপরীতে দুটি চেক ইস্যু করে সাকিবের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটি। এরপর চেক দিয়ে টাকা উত্তোলন করতে গেলে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় তা ডিজঅনার হয়। দুই চেকে টাকার পরিমাণ প্রায় চার কোটি ১৫ লাখ। পরে ঋণের টাকা ফেরত চেয়ে আইএফআইসি ব্যাংকের বনানি শাখা নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট অ্যাক্ট অনুযায়ী দৈনিক পত্রিকার মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। এরপর ৩০ দিন পার হলেও সাড়া না পেয়ে আদালতে এই মামলা করা হয়।
হার্টে ব্লক তামিমের, পরানো হয়েছে রিং

হার্টে ব্লক তামিমের, পরানো হয়েছে রিং শাইনপুকুরের বিপক্ষে বিকেএসপিতে খেলতে নেমেছিলেন তামিম ইকবাল। কিন্তু মাঠেই অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় সাভারের ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে। জানা গেছে গুরুতর হার্ট অ্যাটাক হয়েছে তার। অবস্থা বেগতিক হওয়ায় আপাতত তাকে ঢাকায় আনা সম্ভব হচ্ছে না। হার্ট অ্যাটাকের পর হাসপাতালে ভর্তি তামিম ইকবালের এনজিওগ্রাম সম্পন্ন হয়েছে। পরীক্ষায় তামিমের হার্টে দুইটি ব্লক পাওয়া গেছে। চিকিৎসক জানিয়েছেন ১০০ শতাংশ ব্লক থাকায় তাকে আপাতত ঢাকায় নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই ঢাকা থেকেই চিকিৎসক নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তামিমের হার্টে রিং পরানো হয়েছে বলে জানা গেছে। বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী বলেছেন, ‘তামিমের বুকে ব্যথা হচ্ছিল। তাই কাছেই যে হাসপাতাল, ফজিলাতুন্নেসা, সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছু পরীক্ষানিরীক্ষা হয়, হার্টের ইসিজি করানো হয়। তখন একটু হালকা সমস্যা দেখা যাচ্ছিল। অনেক সময় দেখা যায়, প্রাথমিকভাবে তেমন বোঝা যায় না। ঘণ্টাখানেক পরে রক্ত পরীক্ষায় বোঝা যায়। তবে ওর প্রথম রক্ত পরীক্ষায় একটু সমস্যা বোঝা যাচ্ছিল। তামিম নিজেই বলছিল যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় চলে যাবে। ওর অস্বস্তি লাগছিল। তাই বিকেএসপির মাঠে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ডাকা হয়। হাসপাতাল থেকে ও যখন বিকেএসপিতে যাচ্ছিল, আবার ব্যথা শুরু হয়। তাই দ্বিতীয়বার ওকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন দেখা যায় একটা গুরুতর হার্ট অ্যাটাকের মতো হয়েছে। এটাই জানা গেছে। আপাতত তিনি পর্যবেক্ষণে আছেন। বিকেএসপিতে খেলা চলাকালীন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সেক্রেটারি ফয়েজ আহম্মদ এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টার পক্ষে উপ-প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলেছেন।
হাসানের দ্রুত সেঞ্চুরিতে কিউইদের উড়িয়ে দিল পাকিস্তান

হাসানের দ্রুত সেঞ্চুরিতে কিউইদের উড়িয়ে দিল পাকিস্তান পাকিস্তানের জার্সিতে এটি ছিল হাসান নাওয়াজের তৃতীয় ম্যাচ। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান ৫ ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতেই অভিষিক্ত হয়েছিলেন এই ওপেনিং ব্যাটসম্যান। আর নেমেই করলেন দেশটির জার্সিতে দ্রুততম সেঞ্চুরি। আজ অ্যাকল্যান্ডের এডেন পার্কে বাঁচামরার লড়াইয়ে, টস জিতে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলি আগা প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন। মার্ক চ্যাপম্যানের ঝড়ো ৯৪ রানের উপর ভর করে ২০৪ রানের পুঁজি পায় স্বাগতিক নিউ জিল্যান্ড। ২০৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে, ওপেনার হাসান বিধ্বংসী ব্যাটিং করতে থাকে। পেয়ে যান শতনের দেখা। পাকিস্তানের ইতিহাসে এটি আবার দ্রুততম। এই ২২ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান ৪৪ বলের তিন অংকে পৌঁছান, যা ২০২১ সালে বাবর আজমের ৪৯ বলের সেঞ্চুরি রেকর্ড ভেঙে দেয়।