সাকিবকে ব্যাট উপহার দিলেন কোহলি

সাকিবকে ব্যাট উপহার দিলেন কোহলি কানপুরে খেলার আগেই টেস্ট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। চলতি মাসে মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলেই ক্রিকেটের কুলীন সংস্করণকে বিদায় জানাতে চান তিনি। কিন্তু দেশের মাটিতে তার খেলা নিয়ে কাজ করছে নানারকম জটিলতা।  তবে দেশের বাইরে শেষ টেস্টটি খেলে ফেলেছেন সাকিব। খেলা শেষ হওয়ার পর তাকে নিজের অটোগ্রাফ সম্বলিত একটি ব্যাট উপহার দেন ভারতের বিরাট কোহলি। সেসময় দুজনই কিছুটা রসিকতায় মেতে ওঠেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলতে না পারলে কানপুর টেস্টই সাকিবের শেষ হয়ে থাকবে। যদিও নিজের শেষ ইনিংসে শূন্য রানে আউট হয়েছেন তিনি। প্রথম ইনিংসে করেন কেবল ৯ রান। এছাড়া দুই ইনিংস মিলিয়ে তার ঝুলিতে জমা হয়েছে ৪ উইকেট। যদিও সেটা কেবল প্রথম ইনিংসেই পেয়েছেন।  এখন পর্যন্ত ৭১ টেস্ট খেলে ৪ হাজার ৬০৯ রান ও ২৪৬ উইকেট শিকার করেছেন এই অলরাউন্ডার। সাকিবের ঠিক চার বছর পরই (২০১১) টেস্ট অভিষেক হয় কোহলির। এই সময়ে অবশ্য সাকিবের চেয়ে বেশি টেস্ট খেলে ফেলেছেন তিনি। সাকিবকে শ্রদ্ধা দেখিয়ে বরং প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঊর্ধ্বে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও সম্মানকে তুলে ধরলেন ডানহাতি এই ব্যাটার।

রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশকে হারালো ভারত

রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশকে হারালো ভারত কানপুর টেস্টে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে ভারত। এতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে স্বাগতিকরা। এ নিয়ে মোট ৯টি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলে ৮টিই জিতলো ভারত। আর টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এ নিয়ে পঞ্চমবার ভারতের কাছে ধবলধোলাই হলো বাংলাদেশ। গ্রিন পার্কে দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৪৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। এতে মাত্র ৯৫ রানের লক্ষ্য পায় ভারত। ১৭.২ ওভারে ৩ উইকেটেই লক্ষ্য টপকে যায় রোহিত শর্মার দল। এই স্টেডিয়ামে এর আগে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ ৮২ রান তাড়া করে টেস্ট জয়ের রেকর্ড ছিল। এবার ৯৫ রান তাড়া করে ম্যাচ জিতে নতুন রেকর্ড করেছে ভারত। আগের রেকর্ডটিও ছিল ভারতের। ১৯৯৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৮২ রানের লক্ষ্য তাড়া করে টেস্ট জিতেছিল ম্যান ইন ব্লুজরা। ছোট লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাট করতে নেমে ৮ রান করে আউট হন রোহিত শর্মা। তৃতীয় ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে হাসান মাহমুদের হাতে ক্যাচ হন ভারতীয় অধিনায়ক। ব্যাক টু ব্যাক বোলিংয়ে এসে শুভমান গিলকেও (১০ বলে ৬) এলব্ডিব্লিউ করেন মিরাজ। ৪৫ বলে ৫১ রান করে তাইজুল ইসলামের বলে সাকিব আল হাসানের হাতে ক্যাচ হন যসস্বি জয়সওয়াল। জয়ের জন্য তখন দরকার মাত্র ৩ রান। এরপর বিরাট কোহলি (২৯*) ও রিশান্ত পান্তের (৪*) ব্যাটে জয় নিশ্চিত করে ভারত। আজ মঙ্গলবার ২ উইকেটে ২৬ রান নিয়ে পঞ্চম দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। দিনের তৃতীয় ওভারেই আউট হয়ে যান মুমিনুল হক। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে সুইপ করতে গিয়ে লেগ স্লিপে লোকেশ রাহুলের হাতে ক্যাচ হন বাঁহাতি ব্যাটার। প্রথম ইনিংসে ১০৭ রানে অপরাজিত থাকা মুমিনুল দ্বিতীয় ইনিংসে ফেরেন মাত্র ২ রানে। সাদমান ইসলামের সঙ্গে ৫৫ রানের দারুণ জুটি করে আউট হন নাজমুল হোসেন শান্ত। ইনিংসের ২৮তম ওভারে দলীয় ৯১ রানের মাথায় রবীন্দ্র জাদেজার বলে বোল্ড হন তিনি। ৩৭ বলে ১৯ রান করে সাজঘরে ফেরত যান বাংলাদেশ অধিনায়ক। দলীয় ২ রান যোগ করতেই আউট হয়ে যান ফিফটি করা সাদমান। ২৯তম ওভারে আকাশ দীপের বলে যসস্বি জয়সওয়ালের হাতে গালিতে ক্যাচ হন তিনি। ১০১ বলে ৫০ রান করে প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটেন সাদমান। ব্যাক টু ব্যাক বোলিংয়ে এসে লিটন দাসকে (৮ বলে ১) তুলে নেন জাদেজা। ডানহাতি ব্যাটারকে উইকেটরক্ষক রিশাভ পান্তের হাতে ক্যাচ বানান ভারতীয় স্পিনার। এরপর আকাশ দীপের ওভারকে স্যান্ডউইচ বানিয়ে পরের আবার বোলিংয়ে আসেন জাদেজা। ওভারের দ্বিতীয় বলেই সাকিব আল হাসানকে (২ বলে ০) নিজের হাতের ক্যাচ বানান তিনি। অর্থাৎ ৩ উইকেটে ৯১ রান করা বাংলাদেশের ৯৪ রানে নেই ৭ উইকেট। টিকে থাকতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজও। ১৭ বলে ৯ রান করে জাসপ্রিত বুমরাহর বলে বিহাইন্ড দ্য উইকেটে পান্তের হাতে ধরা পড়েন তিনি। এরপর তাইজুল ইসলামকে (১৩ বলে ০) এলবিডব্লিউ করেন বুমরাহ। দশম উইকেটে ১৬ রানের জুটি করেন মুশফিকুর রহিম ও খালেদ আহমেদ। বুমরাহর বলে ৬৩ বলে ৩৭ রান করে মুশফিক বোল্ড হলে ইনিংস শেষ হয় বাংলাদেশের। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন, জাসপ্রিত বুমরাহ ও রবীন্দ্র জাদেজা।

কানপুর টেস্টে ২৮৫ রানে ইনিংস ঘোষণা ভারতের

কানপুর টেস্টে ২৮৫ রানে ইনিংস ঘোষণা ভারতের কানপুর টেস্টে মুমিনুল হকের সেঞ্চুরিতে ২৩৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে আক্রমণাতœক শুরু করে ভারত। তবে মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণিতে বড় লিড নিতে পারেনি স্বাগতিকরা। ২ ৮৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছে ভারত। ৫২ রানের লিড নিয়েছে রোহিত শর্মার দল। ২৩৩ রানে ব্যাট করতে নেমে হাসান মাহমুদের করা ইনিংসের প্রথম ওভারে ৩টি চার মারেন জয়সওয়াল। মারমুখী ব্যাটিংয়ে মাত্র ৩ ওভারেই ৫০ পেরোয় ভারত। যা টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্রুততম দলীয় ফিফটি। ১০ ওভার ১ বলে ১০০ পেরোয় ভারত। যা টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্রুততম দলীয় শতক। বিরতি থেকে ফিরে গিল ৩৬ বলে ৩৯ ও পন্থ ১১ বলে ৯ রান করে আউট হন। এরপর ৩৯ রানের মধ্যে ভারতের আরও ৪ উইকেট তুলে নেন সাকিব ও মিরাজ। শেষ পর্যন্ত ৩৪ ওভার ৪ বলে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৮৫ রান সংগ্রহ করে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত।

বৃষ্টিতে ভেসে গেল কানপুরের দ্বিতীয় দিন

বৃষ্টিতে ভেসে গেল কানপুরের দ্বিতীয় দিন হোটেলে ফিরে গেল ভারত-বাংলাদেশ কানপুরে দ্বিতীয় দিনে বৃষ্টি থামছেই না। সকাল থেকেই অবিরাম ঝরছে বাদলের ধারা। তাতে শুরু করা যায়নি খেলাও। ভারতীয় দল মাঠের অবস্থা দেখে আগেভাগেই ফিরে গেছে হোটেলে। বাদ ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। তারা অপেক্ষায় ছিলেন বৃষ্টি থামার। কিন্তু সেটার লক্ষণ বিন্দুমাত্র দেখা যাচ্ছে না। ফলে বাধ্য হয়েই দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করে হোটেলের পথ ধরেছে বাংলাদেশও। প্রথম দিন মাত্র ৩৫ ওভার খেলা হয়েছে। দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিন সেই সম্ভাবনাটুকু নেই আর। তাতে দ্বিতীয় দিন পরিত্যক্ত হবার সম্ভাবনাও বেড়ে গেল। হোটেলে ফিরে গেছে ভারতীয় দল কানপুরে দ্বিতীয় দিনেও বৃষ্টির কারণে খেলা শুরু হতে দেরী হচ্ছে। যে কারণে স্টেডিয়ামে এসেও বিরক্ত হয়ে আবার হোটেলে ফিরে গেহে ভারতীয় দল। কানপুরে বৃষ্টি, ভেসে যাওয়ার শঙ্কায় দ্বিতীয় দিন কানপুর টেস্টে প্রথম দিনের খেলা নির্ধারিত সময়ে শেষ করা যায়নি। বৃষ্টির কারণে আগেইভাগেই দিনের খেলা সমাপ্ত ঘোষণা করেন আম্পায়ারদ্বয়। দ্বিতীয় দিনেও হানা দিয়েছে বেরসিক বৃষ্টি। দ্বিতীয় দিন সকাল থেকেই মাঠ ও পিচ কাভারে ঢেকে রাখা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে খেলা শুরু করা যায়নি। কখন শুরু হবে এ বিষয়েও কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি। বৃষ্টি কমলে আম্পায়ারদ্বয় মাঠ পরিদর্শন কররে এসে সিদ্ধান্ত জানাবেন। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ১০৭। ফিরে গেছেন দুই ওপেনার জাকির হাসান-সাদমান ইসলাম ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর চতুর্থ উইকেটে ৩৭ বলে ২৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন মুমিনুল ও মুশফিক। ৪০ রানে অপরাজিত মুমিনুল। ৬ রানে অন্য প্রান্তে অপরাজিত মুশফিক। আজ দ্বিতীয় দিন সকালে দুজন খেলতে নামবেন। ভারতের হয়ে ২ উইকেট নেন পেসার আকাশ দীপ। ১টি উইকেট অশ্বিনের।

দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করে হোটেলে ফিরেছেন শান্তরা

দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করে হোটেলে ফিরেছেন শান্তরা প্রথম দিন মাত্র ৩৫ ওভার খেলা হয়েছে। কানপুরে ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিন সেই সম্ভাবনাটুকু নেই আর। সকালে মাঠে এসে প্রায় দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করে টিম হোটেলে ফিরেছেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। শুধু বাংলাদেশ নয়, রোহিত শর্মারাও টিম হোটেলে ফেরেন। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাইজিংবিডিকে নিশ্চিত করেছেন মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম। গতকাল থেকে কানপুরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। কখনো ঝিরিঝিরি কখনো ঝুম। আবহাওয়া বার্তা অনুযায়ী আগামীকালও এমন সম্ভাবনা রয়েছে।  এর আগে প্রথম দিনের ইতি ঘটে বিকেল তিনটার আগে। লড়াই শুরুর আগেই যেন দর্শকদের আনন্দে ভাটা নামে। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১০৭ রান। মুমিনুল হক ৪০ ও মুশফিকুর রহিম ৬ রানে ব্যাটিং করছেন। ওপেনার জাকির হাসান শুন্য রানে ফেরেন। আরেক ওপেনার সাদমান ইসলামের ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান। তিনে নামা নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট থেকে আসে ৩১ রান। ভারতের হয়ে ২ উইকেট নেন আকাশ দীপ। ১টি উইকেট নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন।  গতকাল এক ঘণ্টা দেরিতে খেলা শুরু হওয়ার পর মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত বাগড়া দেয়নি বৃষ্টি। বিরতি শেষে আবার যথাসময়ে খেলা শুরু হয়। দ্বিতীয় সেশনে মাত্র ৯ ওভার হতে দ্বিতীয়বারের মতো বৃষ্টি নামে।

আলোক স্বল্পতা ও বৃষ্টিতে শেষ কানপুর টেষ্টের প্রথম দিনের খেলা

আলোক স্বল্পতা ও বৃষ্টিতে শেষ কানপুর টেষ্টের প্রথম দিনের খেলা আলোক স্বল্পতা ও বৃষ্টিতে শেষ হয়েছে কানপুর টেস্টের প্রথম দিনের খেলা। ৩৫ ওভার খেলা হওয়ার পর গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামের চারপাশটা অন্ধকার হয়ে আসার কারণে খেলা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন আম্পায়াররা। শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি না থামায় প্রথম দিনের খেলা সমাপ্ত ঘোষণা করে করেন আম্পায়াররা। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সাবধানী শুরু করেন দুই ওপেনার জাকির হাসান ও সাদমান ইসলাম। দলীয় ২৯ রানের মধ্যে জোড়া উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। ২৪ বলে খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি জাকির। এরপর মুমিনুল হককে সঙ্গে নিয়ে চাপ সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। বিরতি থেকে ফিরে দলীয় ৮০ রানে ৫৭ বলে ৩১ রান করে আউট হন শান্ত। আলোর স্বল্পতার কারণে ৩৫ ওভার শেষে খেলা বন্ধ রয়েছে। ৩ উইকেটে ১০৭ সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। মুমিনুল ৮১ বলে ৪০ ও মুশফিক ১৩ বলে ৬ রানে অপরাজিত আছেন।

মামলা করার অধিকার সবারই আছে : সাকিব

মামলা করার অধিকার সবারই আছে : সাকিব ক্রিকেটার পরিচয়ের বাইরেও সাকিব আল হাসান এখন হত্যা মামলার আসামি। গত ২২ আগস্ট ঢাকায় গার্মেন্টসকর্মী রুবেলকে হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে ঢাকার আদাবর থানায় মামলা করা হয়েছে তার নামে। এর আগে-পরে অনেকটা সময়ই নীরব থেকেছেন সাকিব। কিন্তু যখন মুখ খুললেন তখন টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে দিয়েছেন অবসরের ঘোষণা। কথা বলেন তার বিরুদ্ধে হওয়া মামলা নিয়েও। বেশি কিছু বলতে না চাইলেও সাফাই গাইলেন নিজের পক্ষেই।  জুলাইয়ের শুরু থেকেই দেশের বাইরে রয়েছেন সাকিব। এর মধ্যেই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতন হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের। সাকিব নিজেও হারিয়েছেন সংসদ সদস্য পদ। এরপরই তার নামে মামলা হয়। কানপুর টেস্ট খেলার আগে ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেন, ‘একটা মামলা হয়েছে, আসলে সবারই অধিকার আছে। কিন্তু আপনারা সবাই জানেন, এটা কেমন ধরনের মামলা ছিল কিংবা আমি ওই সময় কোথায় ছিলাম। আমার কাজ কী ছিল কিংবা আমি কী করছিলাম। সুতরাং এ বিষয়টা নিয়ে খুব বেশি বলতে চাই না। ’ ‘পুরোপুরি ভিন্ন চিত্র। দেশে অনেক কিছু বদলে গেছে, যা আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল না। আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে কেমন খেলছি, কেমন প্রস্তুতি নিচ্ছি, পাকিস্তানে কেমন খেলছি। ভাগ্য ভালো ছিল, ভালো ফল করেছি, যেমন ফলাফল চেয়েছি। ’বাজে সময়ে নিজের মনযোগ ধরে রাখা নিয়ে সাকিব বলেন, ‘কঠিন, খুবই কঠিন। আমি কীভাবে (ফোকাস) রাখছি, এটা আল্লাহই জানেন। আমিও জানি না আসলে (হাসি)। ’১৮ বছরের দীর্ঘ এক ক্যারিয়ার সাকিবের। উত্থান-পতন সবকিছুই দেখেছেন। তবু ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময় চূড়ায় ছিলেন তিনি। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়ার সময় তার মনে জায়গা পায়নি কোনো ধরনের অনুশোচনা। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, আমি রিজনেবলি ওকে করেছি। আমি খুশি। কোনো অনুশোচনা নেই। জীবনে কখনো অনুশোচনা ছিল না। এখনো নেই। যত দিন উপভোগ করেছি, আমি ক্রিকেট খেলেছি। আমার মনে হয়েছে, এটা বাংলাদেশ ক্রিকেট ও আমার জন্য সঠিক সময়, যে কারণে এই সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া। কোচ, অধিনায়ক, নির্বাচক, বোর্ড— সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া। ’

টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরে সাকিব, অচিরেই টেস্টও ছাড়ছেন

টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরে সাকিব, অচিরেই টেস্টও ছাড়ছেন ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে ২০ ওভারের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন সাকিব আল হাসান। ঘরের মাঠে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্ট দিয়ে সাদা পোশাকের ক্রিকেটও ছাড়বেন তিনি। বৃহস্পতিবার কানপুর টেস্টের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক। সাকিব আল হাসান বলেছেন, ‘টি-টোয়েন্টির শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের পর টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরে যেতে চাই।’ আজ সাকিবকে আগামী অক্টোবরে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্টের খেলা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। সেই প্রশ্নের উত্তরে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর কথা বলেন সাকিব, ‘দেখুন, এখন পর্যন্ত আমি তো এভেলেবল। দেশে যেহেতু অনেক পরিস্থিতি আছে, সবকিছু অবশ্যই আমার ওপরে না। আমি বিসিবির সঙ্গে এসব নিয়ে আলোচনা করেছি। তাদেরকে বলা হয়েছে আমার কি পরিকল্পনা। এই সিরিজ আর হোম সিরিজটা আমি ফিল করেছিলাম আমার শেষ সিরিজ হবে, টেস্ট ক্রিকেটে স্পেশালি।’ এ নিয়ে এর মধ্যে বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানিয়ে সাকিব যোগ করেন, ‘এভাবেই ফারুক ভাইয়ের সঙ্গে ও নির্বাচকদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। যদি সুযোগ থাকে, আমি যদি দেশে যাই, খেলতে পারি, তাহলে মিরপুর টেস্ট হবে আমার জন্য শেষ। সেই কথাটা বোর্ডের সবার সঙ্গে বলা হয়েছে। তাঁরা চেষ্টা করছেন কিভাবে সুন্দর ভাবে আয়োজন করা যায়।’ দেশে ফেরার আগে নিরাপত্তার ঝুঁকির বিষয়টিও মাথায় আছে সাকিবের, ‘আমি যেন গিয়ে খেলতে পারি এবং নিরাপদ অনুভব করি। যখন দেশের বাইরে আসার দরকার হবে, দেশের বাইরে আসতেও যেন আমার কোন সমস্যা না হয়। বোর্ড খেয়াল করছে। বিষয়গুলোর সঙ্গে যারা জড়িত তারা দেখছেন। তারা হয়তো আমাকে একটা সিদ্ধান্ত দেবে, যেটার ভিত্তিতে আমি দেশে গিয়ে খুব ভালোভাবে খেলে অন্তত টেস্ট ফরম্যাটটা ছাড়তে পারব।’

সাকিবের কোনো সমস্যা নেই, দ্বিতীয় টেস্টের জন্য ফিট: হাথুরুসিংহে

সাকিবের কোনো সমস্যা নেই, দ্বিতীয় টেস্টের জন্য ফিট: হাথুরুসিংহে টিম ম্যানেজমেন্ট, নির্বাচক, অধিনায়কের পর এবার সাকিব আল হাসানের ইনজুরি নিয়ে মুখ খুলেছেন বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। তিনি জানিয়েছেন, সাকিবের ইনজুরিজনিত কোনো সমস্যা নেই। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে হাথুরুসিংহে বলেন, ‘ফিজিওর সাথে আমি কথা বলেছি, সাকিবের কোনো সমস্যা নেই। সিলেকশনের জন্য সে অ্যাভেইলেবল আছে।’আজ থেকে কানপুর টেস্টের প্রস্তুতি শুরু করেছে বাংলাদেশ। কানপুর গ্রিনপার্ক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হয় অনুশীলন। শেষে দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলনে আসেন বাংলাদেশ কোচ।  এর আগে নির্বাচক হান্নান সরকার জানিয়েছিলেন, চেন্নাই টেস্টে সাকিব আঙুলে ব্যথা অনুভব করেছিলেন। কানপুর টেস্টের আগে সাকিবকে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এখানে এসে প্রথম দিন অনুশীলনের পর হাথুরুসিংহে জানিয়েছেন সাকিবের কোনো সমস্যা নেই। শুধু তাই নয় চেন্নাই টেস্টে সাকিবের ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করেছেন, ‘সাকিবের ব্যাটিং নিয়ে আমার কোনো উদ্বেগ নেই। সে ভালো করছে। তার দক্ষতা সম্পর্কে আমরা জানি। চেন্নাই টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে সে ভালো ব্যাটিং করেছে।’

অস্ট্রেলিয়ার জয়রথ থামিয়ে সিরিজ বাঁচিয়ে রাখল ইংল্যান্ড

অস্ট্রেলিয়ার জয়রথ থামিয়ে সিরিজ বাঁচিয়ে রাখল ইংল্যান্ড প্রথম দুই ম্যাচেই হারার পর তৃতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াল ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয়টিতে দারুণ এক সেঞ্চুরি হাঁকান হ্যারি ব্রুক। সঙ্গে উইল জ্যাকসের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৪৬ রানের জয় পায় ইংলিশরা। টানা ১৪ ম্যাচ পর বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের জয়রথ থামাল তারা। রিভারসাইড গ্রাউন্ডে টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ইংল্যান্ড। আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভার খেলে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩০৪ রান সংগ্রহ করে সফরকারীরা। জবাব দিতে নেমে ৩৭.৪ ওভারে ৪ উইকেটে ২৫৪ রান তুলে স্বাগতিকরা। এরপর বৃষ্টির কারণে খেলা আর হয়নি। পরে ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে তাদের বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। আগে ব্যাট করতে নামা অস্ট্রেলিয়া উদ্বোধনী জুটিতে খুব বেশি রান পায়নি। ম্যাথিও শর্ট ১৪ রান করে বিদায় নিলে ২১ রানের জুটি ভাঙে। আরেক ওপেনার মিচেল মার্শও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ২৪ রানে ব্রাইডন কার্সের শিকার হন তিনি। তৃতীয় উইকেটে দলকে ম্যাচে ফেরান স্টিভেন স্মিথ ও ক্যামেরুন গ্রিন। দুইজনে গড়েন ৮৪ রানের জুটি।  ফিফটির কাছে গিয়ে গ্রিন বিদায় নিলে ভাঙে এই জুটি। ৪৯ বলে ৪২ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন তিনি। পরের ওভারেই লাবুশেন বিদায় নেন শূন্য রানে। এর মধ্যে ৭১ বলে ফিফটি তুলে নেন স্মিথ। যদিও আর লম্বা করতে পারেননি ইনিংস। ৮২ বলে ৬০ রান করে শিকার হন জোফরা আর্চারের। শেষদিকে লড়ে যান অ্যালেক্স ক্যারি। তাকে সঙ্গ দিয়ে ৩০ রান করে বিদায় নেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। অ্যারন হার্ডি অবশ্য ঝড়ো ইনিংস খেলেন। ২৬ বলে তার ৪৪ রানের ইনিংস থামে শেষ ওভারে। একপ্রান্তে লড়তে থাকা ক্যারি থাকেন শেষ পর্যন্ত। ৪৮ বলে ফিফটি স্পর্শ করা এই ব্যাটার ৬৫ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৭৭ রানে থাকেন অপরাজিত। ইংলিশদের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন আর্চার।  রান তাড়ায় নেমে শূন্য রানেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরতে হয় ইংলিশ ওপেনার ফিল সল্টকে। আরেক ওপেনার বেন ডাকেট করেন কেবল ৮ রান। তিনে নেমে থিতু হন উইল জ্যাকস। তাকে সঙ্গ দিয়ে এগোতে থাকেন হ্যারি ব্রুক। ৫৪ বলে ফিফটির দেখা পান তিনি, আর জ্যাকসের লাগে ৫৫ বল। ১৪৮ বলে ১৫৬ রানের জুটি গড়েন তারা।  ২৮তম ওভারে গ্রিনের বল শন অ্যাবটের হাতে তুলে দিয়ে বিদায় নেন জ্যাকস। ৮২ বলে ৮৪ রানের ইনিংস খেলে তিনি সাজঘরে ফেরেন। তবে অপরপ্রান্তে লড়তে থাকেন ব্রুকস। মাঝে জেমি স্মিথ ৭ রানে বিদায় নিলেও লিয়াম লিভিংস্টোন নেমে হাল ধরেন। বৃষ্টির আগে ৮৭ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করে ফেলেন ব্রুক। ৯৪ বলে ১৩ চার ও ২ ছক্কায় ১১০ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ২০ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন লিভিংস্টোন।  এই ম্যাচ জয়ে সিরিজ এখনও জিইয়ে রেখেছে ইংল্যান্ড। শুক্রবার চতুর্থ ম্যাচে লর্ডসে মুখোমুখি হবে দুই দল। ব্রিস্টলে পঞ্চম ম্যাচটি মাঠে গড়াবে আগামী রোববার।