আইপিএলে ইতিহাস গড়লেন কোহলি

আইপিএলে ইতিহাস গড়লেন কোহলি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ইতিহাসে বাউন্ডারির দিক দিয়ে আগেই শীর্ষে ছিলেন বিরাট কোহলি। এবার নতুন এক মাইলফলকে পৌঁছে গড়লেন অনন্য রেকর্ড। গতকাল দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ম্যাচে খেলতে নেমে আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ১ হাজার বাউন্ডারি হাঁকানোর কীর্তি গড়েছেন তিনি। ২৫৭ ম্যাচে তার সংগ্রহ ৭২১ চার ও ২৭৯ ছক্কা। চলতি আইপিএলের পঞ্চম ম্যাচে ঘরের মাঠে দিল্লির বিপক্ষে ১৪ বল মোকাবেলায় ১ চার ও ২ ছক্কায় ২২ রান করে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন কোহলি। ম্যাচ শুরুর আগে তার প্রয়োজন ছিল মাত্র দুটি বাউন্ডারি। আইপিএলের বাউন্ডারি তালিকায় কোহলির পেছনে রয়েছেন শিখর ধাওয়ান ৯২০, ডেভিড ওয়ার্নার ৮৯৯ ও রোহিত শর্মা ৮৮৫।
ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি জ্যোতির, বাংলাদেশের রেকর্ড সংগ্রহ

ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি জ্যোতির, বাংলাদেশের রেকর্ড সংগ্রহ ওয়ানডে ক্যারিয়ারে আজ বৃহস্পতিবারের আগ পর্যন্ত ৫৩টি ম্যাচ খেলেছিলেন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের বর্তমান অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। এসব ম্যাচে অনেক অর্জন থাকলেও আক্ষেপ রয়ে যায় একটি সেঞ্চুরির। অবশেষে আজ সেই আক্ষেপ ঘুচলো ডানহাতি অভিজ্ঞ ব্যাটারের। বৃহস্পতিবার ২০২৫ নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে থাইল্যান্ডের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। এই ম্যাচেই তিন অংকের ম্যাজিক সংখ্যায় পৌঁছান জ্যোতি। তার দুর্দান্ত সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ৩ উইকেটে ২৭৩ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে এটিই টাইগ্রিসদের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের রেকর্ড। পাকিস্তানের লাহোর সিটি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন গ্রাউন্ডে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। দলীয় ১৫ রানের মাথায় ওপেনার ইশমা তানজিম (১৩ বলে ৮) আউট হন। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ফারজানা হককে সঙ্গে নিয়ে ১০৪ রানের জুটি করেন জ্যোতি। ৮২ বলে ৫৩ রান করে সাজঘরে ফেরত যান ফারজানা। এরপর তৃতীয় উইকেটে শারমিন আক্তারকে সঙ্গে স্বপ্ন পূরণের দিকে ছুটতে থাকেন জ্যোতি। এ উইকেটে ১৫২ রানের জুটি করেন জ্যোতি ও ফারজানা। ইনিংসের শেষ ওভারের তৃতীয় বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে শতক পূর্ণ করেন জ্যোতি। শেষ পর্যন্ত ৮০ বলে ১০১ রান করে সাজঘরে ফেরেন নারী দলের অধিনায়ক। মাত্র ৬ রানের জন্য সেঞ্চুরি পূর্ণ হয়নি শারমিনের। ১২৬ বলে ৯৬ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
টানা চার জয়ে শীর্ষে গুজরাট

টানা চার জয়ে শীর্ষে গুজরাট আইপিএলের এবারের আসরে শুরুটা প্রত্যাশামতো না হলেও ধীরে ধীরে ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে গুজরাট টাইটান্স। প্রথম ম্যাচে হারলেও এরপর টানা চার জয় তুলে নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে শুভমন গিলের নেতৃত্বাধীন দলটি। সবশেষ ম্যাচে বৃহস্পতিবার (০৯ এপ্রিল) রাতে রাজস্থান রয়্যালসকে ৫৮ রানে হারিয়েছে তারা। আহমেদাবাদে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে ব্যাট ও বল—দু’দিকেই আধিপত্য দেখায় গুজরাট। আগে ব্যাট করে সাই সুদর্শনের ঝড়ো ইনিংস ও রাহুল তেওয়াটিয়া-রশিদ খানের ছোট ছোট কিন্তু কার্যকর ইনিংসে ভর করে তারা তোলে ৬ উইকেটে ২১৭ রান। জবাবে রাজস্থান ১৯.২ ওভারে থেমে যায় মাত্র ১৫৯ রানে। শুরুটা ভালো হয়নি গুজরাটের। অধিনায়ক শুভমন গিল মাত্র ২ রান করে আউট হন। তবে এরপর সাই সুদর্শন সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন ব্যাটিংয়ে। প্রথমে জশ বাটলারের সঙ্গে ৮০ রানের জুটি গড়েন। পরে শাহরুখ খানের সঙ্গে ৬২ রানের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ করেন। ৫৩ বলে ৮২ রানের অসাধারণ ইনিংসে তিনি মারেন ৮টি চার ও ৩টি ছক্কা। শেষ দিকে তেওয়াটিয়ার ১২ বলে ২৪ এবং রশিদের ৪ বলে ১২ রানের ঝোড়ো ক্যামিওতে স্কোরটা বিশাল হয়ে ওঠে। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রাজস্থান রয়্যালস শুরু থেকেই চাপে পড়ে যায়। যদিও অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন ও শিমরন হেটমায়ার কিছুটা লড়াইয়ের চেষ্টা করেন। সঞ্জু ৪১ ও হেটমায়ার ৫২ রান করেন। রিয়ান পরাগের ব্যাট থেকে আসে ২৬ রানে। তবে অন্যদের ব্যর্থতায় ১৫৯ রানেই গুটিয়ে যায় রাজস্থান। গুজরাটের প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা বল হাতে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন। রশিদ খান ও সাই কিশোরের ঝুলিতে জমা পড়ে দুটি করে উইকেট। ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত ইনিংস খেলার পর দুটি ক্যাচ নিয়ে ম্যাচসেরা হন সুদর্শন। এই জয়ে ৫ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে গেছে গুজরাট টাইটান্স। অন্যদিকে, রাজস্থান রয়্যালস ৫ ম্যাচে ৩ হারে ৪ পয়েন্ট নিয়ে নেমে গেছে সপ্তম স্থানে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস, তাদের সংগ্রহ ৬ পয়েন্ট।
দারুণ জয়ে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সারল বাংলাদেশ

দারুণ জয়ে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সারল বাংলাদেশ বিশ্বকাপে নামার আগে নিজেদের প্রস্তুতি ভালোভাবেই সেরেছে বাংলাদেশ নারী দল। গতকাল পাকিস্তান ‘এ’ দলকে তারা হারায় ১৬৭ রানে। এর আগে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ উইকেটে জয়লাভ করেছিল তারা। গতকাল লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে নিগার সুলতানা ও ফারজানা হকের ফিফটিতে ২৭৬ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। যা তাড়া করতে নেমে ১০৯ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান ‘এ’ নারী দল। আগের ম্যাচেও আড়াইশর বেশি রান তাড়া করে জিতেছিল নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। ম্যাচের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। ইশমা তানজিম ও শারমিন আক্তার দ্রুত বিদায় নেন। এই চাপ সামলে তৃতীয় উইকেটে ১০৯ রানের জুটি গড়েন দলের সবচেয়ে ফারজানা ও নিগার সুলতানা। ব্যক্তিগত পঞ্চাশ ছুঁয়ে মাঠ ছাড়েন ফারজানা। আর ৯ চার ও ১ ছক্কায় ৭২ বলে ৭০ রান করেন অধিনায়ক নিগার। শেষদিকে ৮ চারে ৩৪ বলে ৪৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনা। এছাড়া দিলারা আক্তারের ব্যাট থেকে আসে ২৯ রান। পাকিস্তান ‘এ’ দলকে অল্প রানে আটকানোয় ২টি করে উইকেট নেন মারুফা আক্তার, রাবেয়া ও ফাহিমা খাতুন।
১৩০ রান তাড়ায় তামিমের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি

১৩০ রান তাড়ায় তামিমের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মাত্র ১৩০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৫৯ বলে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেছেন তানজিদ হাসান তামিম। তার সেঞ্চুরির দিনে তার দল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ১০ উইকেটে হারিয়েছে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবকে। আজ বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের লক্ষ্য ছিল মাত্র ১৩০ রান। সেই রান টপকে যায় মাত্র ১৮.৩ ওভারে। যেখানে তামিম একাই খেলেন ১০৩ রানের অপরাজিত ইনিংস। আগে ব্যাট করতে নেমে শরিফুল ইসলাম, শেখ মেহেদী হাসানদের তোপে ১২৯ রানে গুটিয়ে যায় পারটেক্স। সহজ লক্ষ্যে সাইফ হাসানকে নিয়ে ওপেন করতে নামেন তামিম। ১০৩ রানই এসেছে তামিমের ব্যাটে। সাইফ করেছেন ৫৩ বলে ২৬ রান।
১৫ বলের ঝড়ে দেশের ক্রিকেটে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড ইমনের

১৫ বলের ঝড়ে দেশের ক্রিকেটে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড ইমনের ঈদের লম্বা ছুটির পর মাঠের ফিরে প্রথম দিনটি দারুণভাবে রাঙিয়েছেন পারভেজ হোসেন ইমন। আবাহনী লিমিটেডের এই ওপেনার মাত্র ২৩ বলে ৪ চার ও ৬ ছক্কায় ৬১ রান করেন। এই বিধ্বংসী ইনিংস খেলার পথে ইমন ১৫ বলে তুলে নেন ফিফটি। যা দেশের ক্রিকেটে যেকোনো প্রতিযোগিতামূলক আসরে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড। বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে তার ব্যাটে লন্ডভন্ড হয় শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। আগে ব্যাটিং করতে নেমে মাত্র ৮৮ রানে অলআউট হয় তারা। জবাব দিতে নেমে ইমন ২২ গজে রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন। প্রথম ওভারে ৩ বল খেলার সুযোগ হয় তার। ১ রানের বেশি নিতে পারেননি। দ্বিতীয় ওভারে খোলস থেকে বেরিয়ে আসেন। রহমতউল্লাহর করা প্রথম বল ডটের পর দ্বিতীয় বলে প্রথম বাউন্ডারির দেখা পান। ওভারের পরের চার বল চারটিই হাওয়ায় ভাসিয়ে সীমানার বাইরে পাঠান। তাতে ৯ বলে তার রান হয় ২৯। পরের দুই বলে ১ রান পান ইমন। চতুর্থ ওভারে আবার চার ছক্কার স্রোত তার ব্যাটে। এবার আলী মোহাম্মদ ওয়ালিদের বলে ২টি করে চার ও ছক্কা হাঁকান। তাতে ১৫ বলে তার নামের পাশে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড যুক্ত হয়ে যায়। ফিফটি ছুঁতে ৬ ছক্কা ও ৩ চারের দেখা পান এই ওপেনার। প্রিমিয়ার লিগ তো বটেই, দেশের ক্রিকেটে এটি দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড। এর আগে ২০১৯ সালে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টি আসরে শুভাগত হোম মিরপুরে ১৬ বলে ফিফটি ছুঁয়েছিলেন। শাইনপুকুরের হয়ে মোহামেডানের বিপক্ষে ১৬ বলে ফিফটি করেছিলেন তিনি। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে রেকর্ডটি এতদিন ছিল যৌথভাবে ফরহাদ রেজা ও হাবিবুর রহমানের। ২০১৯ সালের প্রিমিয়ার লিগে প্রাইম দোলেশ্বরের হয়ে ১৮ বলে ফিফটি করেন ফরহাদ।
টানা তিন হারে হোয়াইটওয়াশ পাকিস্তান

টানা তিন হারে হোয়াইটওয়াশ পাকিস্তান প্রথম দুই ম্যাচ হেরে আগেই সিরিজ হাতছাড়া করেছিল পাকিস্তান। তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামে পাকিস্তান। তবে শেষ রক্ষাও হয়নি মোহাম্মদ রিজওয়ানের দলের। শেষ ওয়ানডেতে ৪৩ রানে হেরে ৩-০ তে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে পাকিস্তান। আজ মাউন্ট মঙ্গুনুইতে টস হেরে ব্যাট করতে নামে নিউজিল্যান্ড। রিস মারিউ ও অধিনায়ক মাইকেল ব্রেসওয়েলের ফিফটিতে ভর করে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ৪২ ওভারে ৮ উইকেটে ২৬৪ রান তোলে স্বাগতিকেরা। রিস মারিউ ৬১ বলে ৫৮ ও ব্রেসওয়েল ৪০ বলে ৫৯ রান করেন। এছাড়া ড্যারিল মিচেল ৪৩ ও হেনরি নিকোলস করেন ৩১ রান। পাকিস্তানের পক্ষে আকিফ জাভেদ নেন ৪টিম উইকেট। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে পাকিস্তান। রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন পাকিস্তানের ওপেনার ইমাম-উল হক। তৃতীয় ওভারে উইলিয়াম ও’রুর্কির শর্ট লেন্থের বল নরম হাতে খেলে দ্রুত সিঙ্গেল নিতে যান ইমাম। কিন্তু নন স্ট্রাইকে পোঁছানোর সময় কিউই ক্রিকেটারের থ্রো ইমামের হেলমেট গ্রিলের মধ্যে আটকে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে ইমাম হেলমেট খুলে মাটিতে বসে পড়েন। ফিজিওরা তাকে সহায়তা করার জন্য আসেন। ইমামের চোয়ালে আঘাত লেগেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাকে দেখে মনে হচ্ছিল, ব্যথার তীব্রতাও ছিল অনেক। সঙ্গে সঙ্গে গাড়িতে করে মাঠ ছেড়ে যান তিনি। ৭ বলে ১ রান আসে তার ব্যাট থেকে। আরেক ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক থিতু হয়েও ৫৬ বলে ৩৩ রানের মন্থর এক ইনিংস খেলে ড্রেসিংরুমে ফেরেন। বাবর আজম বড় ইনিংসের ইঙ্গিত দিয়ে ফেরেন ৫৮ বলে দলীয় সর্বোচ্চ ৫০ রান করে। ৩২ বলে ৩৭ রান করেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ৩১ বলে ৩৩ রান আসে তায়্যেব তাহিরের ব্যাট থেকে। এ ছাড়া বাকিরা সেভাবে সুবিধা করতে পারেননি। নিউজিল্যান্ডের পেসার বেন সিয়ার্স ৯ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে শিকার করেছেন ৫ উইকেট। ওয়ানডেতে এটি তার ক্যারিয়ারসেরা বোলিং ফিগারই। ৪০ রান দিয়ে ডাফি নিয়েছেন ২ উইকেট।
কলকাতার দ্বিতীয় জয়ে হায়দরাবাদের তৃতীয় হার

কলকাতার দ্বিতীয় জয়ে হায়দরাবাদের তৃতীয় হার আইপিএলের এবারের আসর দারুণ এক জয় দিয়ে শুরু করেছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। প্রথম ম্যাচে তারা রাজস্থান রয়্যালসকে ৪৪ রানে হারিয়ে উড়ন্ত সূচনা করেছিল। কিন্তু এরপর টানা তিন হারের স্বাদ পেল তারা। সবশেষ বৃহস্পতিবার (০৩ এপ্রিল) রাতে তাদের ৮০ রানে হারিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ইডেন গার্ডেন্সে এদিন কেকেআর আগে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ২০০ রান করে। এরপর ১৬.৪ ওভারে তারা হায়দরাবাদকে অলআউট করে মাত্র ১২০ রানে। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বরুণ চক্রবর্তী ৪ ওভারে ২২ রানে ৩টি উইকেট নেন। বৈভব অরোরা ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ ২৯ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। আন্দ্রে রাসেল ১.৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট নেন। এছাড়া হরিষত রানা ও সুনীল নারিন ১টি করে উইকেট নেন। কলকাতার বোলিং তোপে হায়দরাবাদের মাত্র চারজন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের কোটায় রান করতে পারেন। তার মধ্যে হেনরিখ ক্লাসেন ২ চার ও ২ ছক্কায় ৩৩ রান করেন। ১ চার ও ২ ছক্কায় কামিন্দু মেন্ডিস করেন ২৭ রান। নিতিশ কুমার রেড্ডি ২ চার ও ১ ছক্কায় ১৯ ও প্যাট কামিন্স ২ চারে করেন ১৪ রান। তার আগে কলকাতার ইনিংসে ফিফটির দেখা পান ভেঙ্কটেশ আয়ার ও অঙ্গকৃষ রঘুবংশী। ভেঙ্কটেশ ২৯ বলে ৭টি চার ও ৩ ছক্কায় ৬০ রান করেন। রঘুবংশী ৩২ বলে ৫টি চার ও ২ ছক্কায় করেন ৫০ রান। এছাড়া আজিঙ্কা রাহানে ১ চার ও ৪ ছক্কায় ৩৮ এবং রিংকু সিং ১৭ বলে ৪টি চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত ৩২ রান করেন। বল হাতে হায়দরাবাদের মোহাম্মদ শামি, প্যাট কামিন্স, জিশান আনসারি, হর্ষল প্যাটেল ও কামিন্দু মেন্ডিস ১টি করে উইকেট নেন। এই জয়ে ৪ ম্যাচ থেকে ৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করে পয়েন্ট টেবিলের পঞ্চম স্থানে অবস্থান নিয়েছে কেকেআর। ৪ ম্যাচ থেকে ২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানি তথা দশম স্থানে আছে হায়দরাবাদ।
আইপিএলে দুই হাতে বোলিং করে ইতিহাস গড়লেন কামিন্দু

আইপিএলে দুই হাতে বোলিং করে ইতিহাস গড়লেন কামিন্দু শ্রীলঙ্কান অলরাউন্ডার কামিন্দু মেন্ডিসকে ‘সব্যসাচী ক্রিকেটার’ বললে মোটেও বাড়িয়ে বলা হবে না। বাঁ ও ডান—দুই হাতেই সমান দক্ষতায় বোলিং করতে পারেন তিনি। তার সঙ্গে রয়েছে চমৎকার ব্যাটিং দক্ষতাও। গতকাল ইডেন গার্ডেন্সে নিজের সেই অনন্য গুণের পরিচয় দিয়ে আইপিএলে রেকর্ড গড়লেন এই অলরাউন্ডার। ২৬ বছর বয়সী কামিন্দু মেন্ডিস আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে দুই হাতে বোলিং করার নজির গড়েছেন। তাও আবার নিজের অভিষেক ম্যাচেই! শুধু বোলিং করেই ক্ষান্ত হননি, একটি উইকেটও তুলে নিয়েছেন। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলা এই অলরাউন্ডার। ম্যাচটিতে মাত্র একটি ওভার বল করেন কামিন্দু। ১৩তম ওভারে তিনি তিনটি বল করেন বাঁ হাতে এবং বাকি তিনটি ডান হাতে। ওই ওভারের চতুর্থ বলেই তার শিকার হন কলকাতার তরুণ ব্যাটার অঙ্কৃশ রঘুবংশী, যাকে দুর্দান্ত এক ক্যাচে ফিরিয়ে দেন হার্শাল প্যাটেল। তবে এমন ঐতিহাসিক কীর্তির দিনে জয় ধরা দেয়নি কামিন্দুর দলের হাতে। কলকাতার কাছে ৮০ রানের বড় ব্যবধানে হেরে যায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ব্যাট হাতেও কামিন্দু রেখেছেন অবদান—দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন তিনি। শৈশব থেকেই দুই হাতে বোলিংয়ের অভ্যাস শৈশব থেকেই দুই হাতে বোলিংয়ের অভ্যাস গড়ে তোলেন কামিন্দু মেন্ডিস। ২০১৬ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে এই বিশেষ দক্ষতা দেখিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। এরপর জাতীয় দলেও তা অব্যাহত রাখেন। ২০২3 সালে ভারতের দুই তারকা ব্যাটার সূর্যকুমার যাদব ও ঋষভ পন্তের বিপক্ষেও দুই হাতে বোলিং করেন তিনি। কামিন্দুই প্রথম নন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কামিন্দু প্রথম নন যিনি দুই হাতে বল করেছেন। এমন কীর্তির প্রথম নজির পাওয়া যায় ১৯৫৮ সালে, কিংস্টনে অনুষ্ঠিত টেস্টে। পাকিস্তানের কিংবদন্তি ব্যাটার মোহাম্মদ হানিফ দুই হাতে বল করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ওই ম্যাচেই ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি গ্যারি সোবার্স খেলেছিলেন ঐতিহাসিক ৩৬৫ রানের ইনিংসটি, যা ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান ছিল। এছাড়া ১৯৯৬ বিশ্বকাপে কেনিয়ার বিপক্ষে দুই হাতে বল করে নজর কাড়েন শ্রীলঙ্কার হাশান তিলকরত্নে, যিনি পরবর্তীতে বাংলাদেশের নারী দলের প্রধান কোচের দায়িত্বও পালন করেন। দুই হাতে বোলিং করা এমন বিরল প্রতিভার আধিকারী কামিন্দু মেন্ডিস এখন শুধুই নজর কাড়ছেন না, বরং ক্রিকেট ইতিহাসে নিজের আলাদা জায়গাও করে নিচ্ছেন।
পাঁচ টেস্ট, তিন ওয়ানডে ও পাঁচ টি-টোয়েন্টি খেলবে ভারত

পাঁচ টেস্ট, তিন ওয়ানডে ও পাঁচ টি-টোয়েন্টি খেলবে ভারত চলতি বছর ঘরের মাঠে ভারতের সিরিজের সূচি প্রকাশ করেছে ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ড বিসিসিআই। সূচিতে দেখা গেছে ২০২৫ সালে নিজেদের মাঠে ভারত চারটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলবে। আইপিএল শেষে ভারত পাঁচ ম্যাচ টেস্ট সিরিজ খেলতে ইংল্যান্ড সফরে যাবে। এরপর ভারত ঘরের মাঠে আতিথ্য দিবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে সেটি অক্টোবর ও নভেম্বরে। ২ অক্টোবর আহমেদাবাদে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শুরু হবে টেস্ট সিরিজ। দ্বিতীয় টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে কলকাতায় ১৪ অক্টোবর থেকে। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকাকে আতিথ্য দিবে ভারত। সেখানে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে তারা টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ খেলবে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষের টেস্ট সিরিজে গৌহাটিতে প্রথমবারের মতো টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে।