দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই টেস্ট জয়ে চোখ সিমন্সের

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই টেস্ট জয়ে চোখ সিমন্সের ‘কবে বাংলাদেশের কোচিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছেন?’ প্রশ্নটা অবধারিত ভাবেই উঠতো। অনেকটা নাটকীয়ভাবে বাংলাদেশের কোচিংয়ের প্রস্তাব পাওয়া। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক ক্রিকেটার ও কোচ ফিল সিমন্স ঠিক মনে করতে পারলেন না। তবে অনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে কিছুটা ধারণা দিলেন, ‘আজ শনিবার? হয়তো এক সপ্তাহ কিংবা দেড় সপ্তাহ আগে।’ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে বিদায় করে ফিল সিমন্সকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি। বাংলাদেশে কাজ করার আগ্রহ নিয়ে সিমন্স বলেছেন, ‘এখানের তরুণ খেলোয়াড়দের দেখে তাদের নিয়ে কাজ করার আগ্রহ হয়েছে। তারা পাকিস্তানের বিপক্ষে খুব ভালো খেলেছে। ভারতের বিপক্ষে টি টোয়েন্টি সিরিজে ভালো না করলেও তারা বিশ্বের সেরা দলের বিপক্ষে খেলেছে। তাদের ভালো করার সামর্থ আছে। আমার কাজ তাদেরকে এগিয়ে নেয়া। যেটা আমি উপভোগ করি। প্রথমত, তরুণ খেলোয়াড়দের উন্নতি করা। দ্বিতীয়ত, টেস্ট এন্ড ওয়ানডে ক্রিকেটে আরো উন্নতি করা। সিদ্বান্ত নেয়া কঠিন ছিল না।’ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে সিমন্সের মিশন শুরু হচ্ছে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের এই দুই টেস্ট জিততে চান সিমন্স, ‘আমাদের লক্ষ্য ঠিক মতো প্রস্তুতি নিয়ে দুইটি টেস্টে জয় লাভ করা। এভাবেই আমাদের কাজ করতে হবে।’ উপমহাদেশে দক্ষিণ আফ্রিকার রেকর্ড খুব একটা ভালো নয়। শেষ দশ বছরে টেস্ট জয়ের রেকর্ড নেই। বাংলাদেশ সেই সুযোগটা কাজে লাগানোর প্রত্যয় সিমন্সের, ‘এটা নিশ্চয়ই বড় সুযোগ। বাংলাদেশ সব সময় ঘরের মাঠে শক্তিশালী। এই জন্যে আমাদের ভালো সুযোগ টেস্ট সিরিজে জয় লাভ করা। ওদের রেকর্ড ভালো নয়। তবে তারা জেদি দল। নিশ্চয়ই এই রেকর্ড পরিবর্তন করতে চাইবে।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিদায় করে ফাইনালে নিউ জিল্যান্ড

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিদায় করে ফাইনালে নিউ জিল্যান্ড প্রতিশোধ, মাঠের খেলায় শব্দটা খুব একটা মাথায় রাখেন না ক্রিকেটাররা। তবে পরিসংখ্যান সেটা ফিরিয়ে আনে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ  ও নিউ জিল্যান্ডের মধ্যকার নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আরেকবার প্রতিশোধের খেলা দেখলো বিশ্ব। তাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮ রানে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেছে নিউ জিল্যান্ড। ক্যারিবীয় মেয়েদের হারানোর মধ্যে দিয়ে আট বছর আগে বিশ্বমঞ্চের সেমিফাইনাল থেকে বিদায়ের মধুর প্রতিশোধ নিলো নিউ জিল্যান্ড। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৬ রানে হেরেছিল কিউইরা। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) শারজাহ ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আগে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৮ রান করতে সক্ষম হয় নিউ জিল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২০ রানের বেশি করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১২৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাওয়ারপ্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে তারা তুলতে পারে মাত্র ২৫ রান। ১০ ওভার শেষে তাদের রান ছিল ৩ উইকেটে ৪৮ রান। পরের ১০ ওভারে ক্যারিবীয়দের দরকার ছিল ৮০ রান। ডিয়েন্ড্রা ডটিন ছিলেন ভরসা হয়ে। তার ২২ বলে ৩৩ রানের ইনিংস দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখায়। শেষ ৪ ওভারে তাদের দরকার ছিল ৩৪ রান। কিন্তু ডটিন আউট হতেই আশার শেষ আলোটাও নিভে যায়। শেষ ওভারে তাদের প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। সুজি বেটসের করা ওভারের প্রথম বলে ৪ মেরে খেলা জমিয়ে তোলেন জায়ডা জেমস। পরের বল ডট। ওভারের তৃতীয় বলে জেমসকে বোল্ড করে নিউ জিল্যান্ডের ফাইনাল নিশ্চিত করেন বেটস। বল হাতে শেষ ওভারে দারুণ করা বেটস এর আগে ব্যাটিংয়েও ভালো অবদান রাখেন। ২৮ বলে ১ চারে করেন ২৬ রান। তার সঙ্গে ৪৮ রানের জুটিতে দলকে ভালো শুরু এনে দেন জর্জিয়া প্লিমার। তিনি ৩১ বলে করেন ৩৩ রান। এরপর আর তেমন কোনো জুটি গড়তে পারেনি নিউ জিল্যান্ড। দুই অঙ্ক ছুঁয়েই ফেরেন সোফি ডিভাইন। ২ চারে ৯ বলে ১৮ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন ব্রুক হ্যালিডে। ১৪ বলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন ইসাবেল গেজ। শিরোপার লড়াইয়ে রোববার (২০ অক্টোবর) নিউ জিল্যান্ডের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। যেহেতু অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সেমিতেই বাদ পড়েছে, সেহেতু এবার নতুন চ্যাম্পিয়ন পেতে যাচ্ছে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।

আকবর ঝড়ে হংকংকে হারালো বাংলাদেশ

আকবর ঝড়ে হংকংকে হারালো বাংলাদেশ  ব্যাটারদের ব্যর্থতাতেও উজ্জ্বল থাকলেন একজন। বাবর হায়াতের ওপর ভর করে দলও পায় ভালো সংগ্রহ। ওই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কিছুটা বিপদে পড়েছিল বাংলাদেশও। কিন্তু ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দলকে জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন অধিনায়ক আকবর আলি। শুক্রবার ওমানের আল আমেরাতে ইমার্জিং এশিয়া কাপের ম্যাচে হংকংকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান করে হংকং। পরে ওই রান তাড়া করতে নেমে ১০ বল আগেই জয় পায় বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে স্রেফ ৯ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে ফেলে হংকং ‘এ’ দল। দুজনই ফেরেন রিপন মণ্ডলের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে। কিন্তু এরপরই দলটির হয়ে জুটি গড়েন অধিনায়ক নিজাকাত খান ও বাবর হায়াত। তাদের ৬৫ রানের জুটি ভাঙেন মাহফিজুর রহমান রাব্বি। ২০ বলে ২৫ রান করে বোল্ড হয়ে যান নিজাকাত। তার বিদায়ের পর একাই লড়েন বাবর হায়াত। রেজাউর রহমান রাজার করা ১৯তম ওভারে আউট হওয়ার আগে ৬১ বলে ৮৫ রান করেন বাবর। এর বাইরে আর একজন ব্যাটারই দুই অঙ্কে যেতে পেরেছেন। ৫ বলে ১৩ রান করেন তিনি। ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন রিপন মণ্ডল। একটি করে উইকেট পান আবু হায়দার রনি, রেজাউর রহমান রাজা, রাকিবুল হাসান ও মাহিফজুর রহমান রাব্বি। রান তাড়ায় নেমে বাংলাদেশের ওপেনারদের মধ্যে ১১ বলে ১১ রান করে জিশান আলম ও ২৬ বলে ২৮ রান করে পারভেজ হোসেন ইমন আউট হন। ৬ বলে ৫ রান করে আউট হন সাইফ হাসানও। ৫৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। এরপর জুটি গড়েন তাওহীদ হৃদয় ও আকবর আলি। দুজনের জুটিতে আসে ৫৪ রান। ২২ বলে ২৯ রান করে ইহসান খানের বলে আউট হয়ে যান তাওহীদ হৃদয়। ঝড়ো ইনিংস খেলে ২৪ বলে চারটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৪৫ রান করেন আকবর আলি। ১৫ বলে ১৯ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন শামীম হোসেন।

সাকিবের দেশে আসা এখনও অনিশ্চিত

সাকিবের দেশে আসা এখনও অনিশ্চিত দল ঘোষণা হয়ে গেছে। নির্বাচক হান্নান সরকার তৃপ্তি নিয়ে বলেও ফেলেছেন, সাকিব আল হাসানের মতো ক্রিকেটারকে ঘরের মাঠ থেকে বিদায় দিতে পারবেন এটা আনন্দের কথা। কিন্তু ফের তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। সাকিব দেশে ফিরবেন তো? সাকিবের দেশে ফেরার কথা ছিল আজ রাতে। কিন্তু এখন শোনা যাচ্ছে, সাকিবকে নাকি সবুজ সংকেত না পাওয়া অবধি বাংলাদেশের বিমানে উঠতে নিষেধ করা হয়েছে। এটি তার নিরাপত্তার স্বার্থেই। যুক্তরাষ্ট্র থেকে সাকিব দুবাইয়ে এসেছেন আগেই। দুবাই থেকেই বাংলাদেশের উদ্দেশে তার বিমানে চড়ার কথা বিকেলে। কিন্তু বিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গ্রিন সিগনাল ছাড়া যেন বিমানে না ওঠেন তিনি। সাকিবের দেশে ফেরা নিয়ে গত কিছুদিন ধরেই মিরপুরে বিভিন্ন স্লোগান উঠেছে। স্টেডিয়ামের দেয়ালেও তার বিরুদ্ধে স্লোগান লেখা হয়েছে। এর মধ্যে বুধবার সাকিবের কুশপুতুল দাহ করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরপর তাকে নিয়ে নতুন অনিশ্চয়তা তৈরি হলো। যদিও বিসিবি সংশ্লিষ্টরা এখনও আশাবাদী, সাকিব মিরপুর টেস্টে খেলতে পারবেন। এই ম্যাচ খেলেই তার অবসরে যাওয়ার কথা রয়েছে।

আইপিএলে ‘রিটেইন’ হার্ড হিটার ক্লাসেনের মূল্য অবিশ্বাস্য

আইপিএলে ‘রিটেইন’ হার্ড হিটার ক্লাসেনের মূল্য অবিশ্বাস্য দক্ষিণ আফ্রিকার হার্ড হিটার হেনরিক ক্লাসেনকে আগামী আইপিএলের জন্যই রিটেইন করবে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ২০২৫ আইপিএলের জন্য শুধু ক্লাসেনই নয়, প্যাট কামিন্স, অভিষেক শর্মা, ট্রেভিস হেড ও নিতিশ কুমার রেড্ডিকেও রিটেইন করবে গতবারের ফাইনালিস্টরা। তবে ক্লাসেনের জন্য হায়দরাবাদকে খরচ করতে হচ্ছে অবিশ্বাস্য মূল্য। ইএসপিএন ক্রিকইনফো এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২৩ কোটি রুপি ক্লাসেনের জন্য খরচ করবে হায়দরাবাদ। বলা হচ্ছে, কোনো রিটেইন খেলোয়াড়ের জন্য এর আগে এতোটা খরচ করেনি কোনো ফ্রাঞ্চাইজি। গত বছর তার মূল্য ছিল ৫ দশমিক ২৫ কোটি রুপি। এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে ১৮ কোটি রুপি এবং অভিষেক শর্মাকে ১৪ কোটি রুপি দেবে হায়দরাবাদ। ৩১ অক্টোবর রিটেইন লিস্ট চূড়ান্ত করে আইপিএল কর্তৃপক্ষকে পাঠাতে হবে ফ্রাঞ্চাইজিদের।  

অনূর্ধ্ব-১৯ এ ১৬ জনের স্কোয়াড ঘোষণা বিসিবির

অনূর্ধ্ব-১৯ এ ১৬ জনের স্কোয়াড ঘোষণা বিসিবির ঘরের মাঠে একটি তিনদিনের এবং ৪টি ওয়ানডে ম্যাচ সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজের আগে ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। স্ট্যান্ডবাই হিসেবে রয়েছেন আরো চার ক্রিকেটার। কালাম সিদ্দিকী অ্যালেন ৩ দিনের ম্যাচ এবং প্রথম দুইটি ওয়ানডে ম্যাচের জন্য পেয়েছেন অধিনায়কের দায়িত্ব। শেষ দুই ওয়ানডেতে নেতৃত্বে থাকবেন মোহাম্মদ আজিজুল হাকিম তামিম। রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে হবে ৩ দিনের ম্যাচ এবং প্রথম দুই ওয়ানডে ম্যাচ। শেষ দুই ওয়ানডে ম্যাচের ভেন্যু ঢাকার মিরপুর শেরে-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম। আগামী ১৭ অক্টোবর ঢাকায় পা রাখবে সংযুক্ত আরব আমিরাত অনূর্ধ্ব-১৯ দল এবং ২০ অক্টোবর মাঠে গড়াবে তিন দিনের ম্যাচ। এরপর ২৫ এবং ২৭ অক্টোবর হবে প্রথম দুই ওয়ানডে। সফরকারীরা ২৮ অক্টোবর ঢাকায় ফিরবে। এরপর আগামী ৩০ অক্টোবর ও ১ নভেম্বর মিরপুরে তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে শেষ হবে সিরিজ। সফরকারীরা ২ নভেম্বর ত্যাগ করবে বাংলাদেশ।

রিশাদে আস্থা রাখলো বরিশাল

রিশাদে আস্থা রাখলো বরিশাল বিপিএল ড্রাফটে তিন রাউন্ডে দুইবার করে বিপিএলের সাত ফ্র্যাঞ্চাইজিরা খেলোয়াড় ডাকার সুযোগ পেয়েছিল। তিন রাউন্ডে সব মিলিয়ে ৪২ ক্রিকেটার দল পেলেও উপেক্ষিত ছিলেন জাতীয় দলের চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটার রিশাদ হোসেন। লেগ স্পিনারের প্রতি প্রথম তিন রাউন্ডে কোনো দলই আগ্রহ দেখায়নি। অবশেষে চতুর্থ রাউন্ডে এসে ফরচুন বরিশাল আস্থা রাখলো এই লেগ স্পিনারের ওপর। বিপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বরিশাল লেগ স্পিনারকে দলে ভিড়িয়েছে চতুর্থ রাউন্ডে দ্বিতীয় ডাকে। ধারনা করা হচ্ছিল, অতি উচ্চমূল্যের কারণে রিশাদের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছিল না কোনো দল। এছাড়া লেগ স্পিনার দলভুক্ত করার ক্ষেত্রে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা টানাপোড়েনে ভোগেন। রিশাদকে এবার এ ক্যাটাগরিতে ৬০ লাখ টাকা পারিশ্রমিকে তালিকাভুক্ত করেছিলেন নির্বাচকরা। সবশেষ বিশ্বকাপে দলের সেরা বোলারের চাহিদা থাকবে এমনটা ভাবা হচ্ছিল। কিন্তু ড্রাফটে এসে উল্টোচিত্র দেখা গেল। প্রথম তিন রাউন্ডে ‘অবিক্রিত’ থাকার পর চতুর্থ রাউন্ডে তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহদের বরিশাল তার ওপর আস্থা রেখে তাকে দলে ভিড়িয়েছে। জাতীয় টি-টোয়েন্টি দলের নিয়মিত ক্রিকেটার রিশাদ সম্প্রতি ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে বিবর্ণ ছিলেন। ৩ ম্যাচে ৪২.৩৩ গড় ও ১৪.১১ ইকোনমিতে মাত্র ৩ উইকেট পেয়েছেন। তবে সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার পারফরম্যান্স ছিল দারুণ। ৭ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়ে ছিলেন দলের সেরা বোলার। যেখানে তার বোলিং গড় ছিল ১৩.৮৫ এবং ইকোনমি ছিল ৭.৭৬।  লেগ স্পিনের পাশাপাশি শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে নেমে গুরুত্বপূর্ণ রান যোগ করতে পারেন রিশাদ। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের যেই চাহিদা তা পূরণ হয় তার ব্যাটে। একটি পরিসংখ্যান, বিপিএলের দলগুলোর লেগ স্পিনারের প্রতি অনীহার চিত্র আরও স্পষ্টভাবে ফুটিয়ে তুলবে। বিপিএলের গত আসরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে কেবল ৪ ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন রিশাদ। তিন ইনিংসে বোলিং করে উইকেট পেয়েছিলেন ৬টি। সব মিলিয়ে ২০১৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত রিশাদ ৫ ম্যাচ খেলেছেন। বোলিং করেছেন কেবল ১১ ওভার। উইকেট পেয়েছেন ৬টি। এবার বরিশালের জার্সিতে রিশাদ মাঠে নামবেন। এবার কি ধারাবাহিক সুযোগ পাবেন রিশাদ সেটাই বিরাট প্রশ্নের। পারফরম্যান্স বিবেচনায় আসবে সুযোগ মেলার পর।

তাসকিন রাজশাহীতে, লিটন ঢাকায়, মাশরাফি-মাহমুদউল্লাহ পুরোনো দলে

তাসকিন রাজশাহীতে, লিটন ঢাকায়, মাশরাফি-মাহমুদউল্লাহ পুরোনো দলে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্লেয়ার্স ড্রাফট চলছে রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে। বিপিএলের এগারতম আসরের দল গোছানোর কাজ করছে বিপিএলের অংশগ্রহণকারী সাত দল। পুরোনো চার ফ্র্যাঞ্চাইজি— সিলেট স্ট্রাইকার্স, ফরচুন বরিশাল, খুলনা টাইগার্স ও রংপুর রাইডার্সের সঙ্গে যোগ হয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস, দুর্বার রাজশাহী ও চট্টগ্রাম কিংস। ড্রাফটে শুরুতে দলগুলোর ডাকের লটারি করা হয়। শুরুতে খেলোয়াড় ডাক পাওয়ার সুযোগ পায় দুর্বার রাজশাহী। দলটি লুফে নেয় তাসকিন আহমেদকে। এরপর চিত্রনায়ক শাকিব খানের দল ঢাকা ক্যাপিটালস ডাক পাওয়ার সুযোগ পায়। তারা দলে নেয় লিটন কুমার দাসকে। তিনে চিটাগং কিংস ডাক পাওয়ার সুযোগ পেয়ে নিয়ে নেয় শামীম হোসেন পাটোয়ারীকে। এরপর খুলনা টাইগার্স দলে ভেড়ায় হাসান মাহমুদকে। পাঁচে ডাক পাওয়ার সুযোগ পেয়ে রংপুর রাইডার্স দলে নেয় নাহিদ রানাকে। এরপর সিলেট স্ট্রাইকার্স ছয়ে ও ফরচুন বরিশাল সাতে ডাক পাওয়ার সুযোগ পায়। তারা দলে নেয় যথাক্রমে রনি তালুকদার ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। দ্বিতীয় রাউন্ডে পেছন থেকে ক্রমানুসারে ডাক পাওয়ার সুযোগ পায়। ফরচুন বরিশাল তানভীর ইসলামকে, সিলেট স্ট্রাইকার্স মাশরাফি বিন মুর্তজাকে, রংপুর রাইডার্স সাইফ হাসানকে, খুলনা টাইগার্স নাঈম শেখকে, চিটাগং কিংস পারভেজ হোসেন ইমনকে, ঢাকা ক্যাপিটালস হাবিবুর রহমান সোহান ও দুর্বার রাজশাহী জিসান আলমকে দলে নেয়।

ইমার্জিং এশিয়া কাপ বাংলাদেশের স্কোয়াড ঘোষণা, অধিনায়ক ইমন

ইমার্জিং এশিয়া কাপ বাংলাদেশের স্কোয়াড ঘোষণা, অধিনায়ক ইমন মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে আগামী ১৮ অক্টোবর ইমার্জিং এশিয়া কাপের পর্দা উঠছে। আট দলের আসরে অংশ নিতে ঘোষিত হয়েছে বাংলাদেশ দল। স্কোয়াডে রয়েছেন জাতীয় দলের একাধিক ক্রিকেটার। ভারতের বিপক্ষে সদ্য শেষ হওয়া টি-২০ সিরিজের খেলা পারভেজ হোসেন ইমন ব্যাট হাতে ছিলেন না সফল। তিন ম্যাচে ২৪ রানের বেশি করতে পারেননি। ২২ বর্ষী এই ওপেনারকেই দেওয়া হয়েছে অধিনায়কত্ব। বিস্ময়করভাবে সাদা বলের ক্রিকেটে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়মিত মুখ হয়ে ওঠা তাওহীদ হৃদয়কেও দলে রাখা হয়েছে। পেসার তানজিম হাসান সাকিব ও উইকেটরক্ষক ব্যাটার জাকের আলী অনিকও স্কোয়াডে আছেন। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে শিরোপাজয়ী বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক আকবর আলী ১৫ সদস্যের দলে জায়গা পেয়েছেন। স্পিনার আলিস আল ইসলাম ও জাতীয় দলে থেকে লম্বা সময় বাইরে থাকা নাঈম শেখও এবারের আসরে ডাক পেয়েছেন। টুর্নামেন্টে স্বাগতিক ওমান, হংকং ও সংযুক্ত আরম আমিরাতের জাতীয় দল অংশ নেবে। বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, শ্রীলংকা, ভারত ও পাকিস্তান ‘এ’ দল পাঠাবে। ২৭ অক্টোবর ফাইনালের মধ্য দিয়ে আসরের পর্দা নামবে।

টি-টোয়েন্টিতে রেকর্ড সংগ্রহ ভারতের

টি-টোয়েন্টিতে রেকর্ড সংগ্রহ ভারতের ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি তৃতীয় এবং শেষ ম্যাচে মাঠে নেমেছে টাইগাররা। যেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে রীতিমতো ছেলে খেলা করেছে ভারতীয় ব্যাটাররা। বাংলাদেশকে ২৯৮ রানের বিশাল লক্ষ্য দিয়েছে স্বাগতিকরা। যা টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। প্রথম স্থানে রয়েছে নেপালের ৩১৩ রানের ইনিংসটি। ২০২৩ সালে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে এই রেকর্ড গড়েছিল নেপালের ব্যাটাররা। এর আগে ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৬০ রানের বড় পুঁজি পায় ভারত। এবার সেই ইনিংস কেউ ছাড়িয়ে গেছে আকাশী-নীলরা। শনিবার (১২ অক্টোবর) আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ভারতের। ৪ বলে ৪ রান করে তানজিম সাকিবের প্রথম শিকার হন অভিষেক শর্মা। কিন্তু সূর্যকুমারকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন ওপেনার সাঞ্জু স্যামসন। ২২ বলে ফিফটি তুলে নেন এই ডান হাতি ব্যাটার। সেই সঙ্গে বলে বলে বাউন্ডারি মেরে রান তুলতে থাকেন তিনি। ১০তম ওভারে রিশাদ হোসেন বলে আসলে ৫ ছক্কা হাঁকিয়ে সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যান স্যামসন। অপর প্রান্তে ব্যাট চালিয়ে ২৩ বলে ফিফটি তুলে নেন ভারতীয় অধিনায়ক। আর ৪১ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন স্যামসন। ১৪তম ওভারে মোস্তাফিজের হাতে বল তুলে দেন শান্ত। ওভারের তৃতীয় বলে স্যামসনকে ক্যাচ আউট করেন এই কাটার মাস্টার। ৪৭ বলে ১১১ রান করেন স্যামসন। পরের ওভারে সূর্যকুমারকে সাজঘরে ফেরান বিদায়ী ম্যাচ খেলতে নামা মাহমুদউল্লাহ। ৩৫ বলে ৭৫ রানের মারকুটে ইনিংস খেলে এই ব্যাটার আউট হলেও ততক্ষণে ২০০ রানের কোটা পার করে ফেলেছে ভারত। এরপর ১৩ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলে আউট হন রিয়ান পরাগ। শেষ পর্যন্ত ১৮ বলে ৪৭ রান করে হার্দিক পান্ডিয়া এবং শূন্য রানে নিতিশ কুমার আউট হলে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৯৭ রানের বিশাল পুঁজি পায় ভারত। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন তানজিম সাকিব। এ ছাড়াও তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ একটি করে উইকেট নেন।