গম্ভীরকে ফের প্রাণ*না*শের হুম*কি, তদন্তে দিল্লি পুলিশ

গম্ভীরকে ফের প্রাণ*না*শের হুম*কি, তদন্তে দিল্লি পুলিশ ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ ও সাবেক ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সাংসদ গৌতম গম্ভীর সম্প্রতি আবারও প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন। গত ২২ এপ্রিল, কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার দিনেই গম্ভীরের ব্যক্তিগত ই-মেইলে দুটি হুমকির বার্তা পাঠানো হয়, যাতে লেখা ছিল “আমি তোমাকে মেরে ফেলব”। একটি ই-মেইল আসে দুপুরে, অপরটি সন্ধ্যায়। উভয় ই-মেইলে একই বার্তা লেখা ছিল—“আমি তোমাকে মেরে ফেলব”। ঘটনার পর গম্ভীর দিল্লির রাজিন্দর নগর থানার দায়িত্বরত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও মধ্য দিল্লির উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসিপি)-এর কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। পাশাপাশি, নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান। এটি প্রথমবার নয়—২০২১ সালের নভেম্বর মাসে, সাংসদ থাকাকালীনও গম্ভীর অনুরূপ হুমকি পেয়েছিলেন। সে সময় তার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছিল। এদিকে মঙ্গলবার কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর জঙ্গী হামলার পর গম্ভীর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (পূর্বতন টুইটার)-এ লিখেছেন: “নিহতদের পরিবারের জন্য প্রার্থনা। যারা এই কাপুরুষোচিত হামলার জন্য দায়ী, তারা এর মূল্য চুকাবে। ভারত পাল্টা জবাব দেবে। ”পেহেলগামের এই হামলাকে ২০১৯ সালের পুলওয়ামা বিস্ফোরণের পর সবচেয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
সিলেটে বৃষ্টির বাধায় বন্ধ খেলা

সিলেটে বৃষ্টির বাধায় বন্ধ খেলা বৃষ্টির কারণে ১.১৫ ঘণ্টা পরে খেলা শুরু হয়। তৃতীয় সেশনে এসে আবার বৃষ্টি আসে। জিম্বাবুয়ের জয়ের জন্য প্রয়োজন মাত্র ৪১। হাতে আছে ৬ উইকেট। মিরাজের ঘূর্ণিতে পরাস্ত উইলিয়ামস-বেনেট হালকা লাফিয়ে ওঠে মিরাজের বল। বুঝতেই পারেননি উইলিয়ামস। শর্ট কাভারে বল চলে যায় শান্তর হাতে। ১৩ বলে ৯ রান করেন তিনি। এরপরেই মিরাজের শিকার বেনেট। ফিফটি করে ছড়ি ঘোরাচ্ছিলেন এই ব্যাটার। উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ তুলে দেন মুশফিকের হাতে। তার ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৫৩ রান। তাইজুলে কাটা পড়লেন ওয়েলচ জোরালো এলবিডব্লিউর আবেদন। আম্পায়ারের আঙুল তুলতে দেরি করেননি। তাইজুল পেলেন তার প্রথম উইকেট, আর বাংলাদেশ পেল আরেকটি ব্রেকথ্রু, ঠিক চা বিরতির আগে! ফেরার আগে নিক ওয়েলচ করেছিলেন ১০ রান। মেহেদি ফেরালেন কারেনকে কারেন ভুলভাবে খেলেছেন এবং ধরা পড়েছেন! বাংলাদেশ কি এখান থেকে সুযোগ তৈরি করতে পারবে? প্রশ্নটা সময়ের হাতে তোলা থাক। অফ স্টাম্প লাইনে ফুল লেংথে একটি লোভনীয় বল ছিল। কারেন চেয়েছিলেন বলটা বোলারের মাথার উপর দিয়ে বা লং অনের দিকে মারতে। কিন্তু ঠিকমতো টাইম করতে পারেননি। খালেদ আহমেদ ক্যাচে পরিণত হয়ে ৭৫ বলে ৪৪ করে ফেরেন কারেন। ওপেনিং জুটিতে বেনেট-কারান হাফসেঞ্চুরি করেন। তাও মাত্র ১২.৫ ওভারে। দুজনেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করছেন। বেনেট ১৭ ও কারান ২৮ রানে ব্যাট করছেন। রানা-হাসান কেউই পাত্তা পাচ্ছেন না দুই ব্যাটারের সামনে। জাকেরে ভর করে ১৭৪ রানের লক্ষ্য দিলো বাংলাদেশ চতুর্থ দিনের শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দিনের দ্বিতীয় বলেই ফেরেন শান্ত (৬০)। মিরাজ এসেও কিছু করতে পারেননি (১১)। হাসানকে সঙ্গে নিয়ে হাল ধরেন জাকের। দুজনের ৩৫ রানের জুটিই বাংলাদেশের লিড দেড়শ পার করে। জাকেরের ব্যাট থেকে আসে ৫৮ রান। মুমিনুল করেছেন ৪৭ রান। বাংলাদেশ থামে ২৫৯ রানে। লিড ১৭৩। মুজারাবানি একাই ৬ উইকেট নেন। এরপর জিম্বাবুয়ে ব্যাটিংয়ে নামে। ১ ওভার খেলা হতেই বিরতিতে যায় দুই দল। স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে জাকের আলীর ফিফটি নাইউচিকে চার মেরে ১০৬ বলে ফিফটির দেখা পান জাকের আলী। স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে দারুণ ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের লিড দেড়শ পার করেছেন। মিরাজরা তাকে সঙ্গ দিতে না পারলেও হাসান মাহমুদ দারুন সঙ্গ দিয়েছেন। দুজনের জুটিতে আসে ৯১ বলে ৩৫ রান। পরের ওভারেই মাসাকদজার শিকার হয়ে ফেরেন হাসান-খালেদ। হাসানের ব্যাট থেকে আসে ১২ রান। বল খেলেন ৫৮টি। মুজারাবানি-এনগারাবার গতিতে কাঁপছে বাংলাদেশ এবার সাজঘরে তাইজুল। বাংলাদেশের আরও একটি উইকেটের পতন। মিরাজের আউটের পর ক্রিজে আসেন তাইজুল। এনগারাবার বেরিয়ে যাওয়া বলে খোঁচা দিয়ে ফেরেন সাজঘরে। শুরুতে জোরালো আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। পরবর্তীতে রিভিউ নিলে দেখা যায় ব্যাটে লেগেই বল যায় উইকেটের পেছনে। ক্রিজে জাকেরের সঙ্গী হাসান। মিরাজের বিদায়, মুজারাবানির ফাইফার মুজারাবানির অফ সাইডের বল। গতির সঙ্গে হালকা বাউন্স ছিল। তাতে পরাস্ত মিরাজ। ডিফেন্ড করতে গয়ে কিছুটা দেরি করে ফেলেন। তারই মাশুল দিতে হলো উইকেট বিলিয়ে। বল ব্যাটের কানায় লেগে যায় গালিতে দাঁড়ানো বেনেটের হাতে। একটি করে ছয়-চারে ১৫ বলে ১১ রান করেন মিরাজ। তার আউটে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। ১৩০ রানের লিড না হতেই হারালো ষষ্ঠ উইকেট। ৬ উইকেটের মধ্যে ৫টিই নেন মুজারাবানি। এটি তার তৃতীয় ফাইফার। জাকের ছাড়া আর কোনো বিশেষজ্ঞ ব্যাটার নেই। ক্রিজে এলেন তাইজুল। দিনের দ্বিতীয় বলেই শান্তর বিদায় দিনের দ্বিতীয় বলেই ফিরলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত। মুজারাবানিকে অহেতুক পুল করতে গিয়ে বিদায় নেন এই সেট ব্যাটার। সহজ ক্যাচ ধরেন নাইউচি। শান্তর ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৬০ রান। শান্তর আউটে দ্বিতীয় দিন কোনো রান হওয়ার আগেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তার আউটে ভাঙে ৩৯ রানের জুটি। ক্রিজে জাকের আলীর সঙ্গী মিরাজ। খেলা শুরু হবে ১১টায় মাঠকর্মীরা ব্যস্ত মাঠ প্রস্তুতের কাজে। অন্যদিকে ওয়ার্ম আপ করছেন দুই দলের ক্রিকেটাররা। প্রায় সোয়া ঘন্টা পিছিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু হচ্ছে বেলা ১১টায় শুরু হবে। তৃতীয় দিনের অর্ধেক সময় বৃষ্টি ও আলোকস্বল্পতার কারণে বল মাঠে না গড়ানোয় আজ খেলা শুরু হওয়ার কথা ছিল সকাল পৌনে ১০টায়। তবে বৃষ্টিতে সম্ভব হয়নি। মধ্যাহ্নবিরতি দুপুর ১টা। আর চা বিরতি নেওয়া হবে বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে। শেষ সেশনের খেলা চলবে ৪টা থেকে বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত। মাঠ পরিদর্শন ১০টায় তৃতীয় দিনের খেলা শেষ হয়ে গিয়েছিল আগেভাগেই। কারণ ছিল আলোকস্বল্পতা, আর চতুর্থ দিনের সকালে হানা দিল বৃষ্টি। সকালে ঝোড়ো বৃষ্টি হইয়েছে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে যা এখন আর নেই। তবে ৯টা ৪৫ মিনিটে খেলা শুরু করেয়া সম্ভব নয়। দশটায় মাঠ পর্যবেক্ষণ করবেন দুই আম্পায়ার। স্বস্তি ও শঙ্কায় শেষ হয়েছে তৃতীয় দিন সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিনে খেলা হয়েছে মাত্র ৪৪ ওভার। দিন শেষে বাংলাদেশ দল এগিয়ে আছে ১১২ রানে, হাতে আছে ৬ উইকেট। মাঠ ভেজা থাকায় প্রথম সেশনে খেলা হয়নি। নির্ধারিত সময়ের তিন ঘণ্টা পর শুরু হয় খেলা। ১ উইকেটে ৫৭ রান নিয়ে দিন শুরু করা বাংলাদেশ গত ৩ উইকেট হারিয়ে যোগ করেছে ১৩৭ রান। সংক্ষিপ্ত স্কোর : বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ৫৭ ওভারে ১৯৪/৪ (জয় ৩৩, মুমিনুল ৪৭, শান্ত ৬০*, মুমিনুল ৪৭, মুশফিক ৪, জাকের ২১*; জিম্বাবুয়ের ব্লেসিং মুজারাবানি ৩ উইকেট নিয়েছেন, অন্য উইকেটটি ভিক্টর নিয়াউচির।
সিলেটে দায়িত্ব পালনকালে বিসিবির নিরাপত্তা কর্মকর্তার মৃত্যু

সিলেটে দায়িত্ব পালনকালে বিসিবির নিরাপত্তা কর্মকর্তার মৃত্যু বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা চলছে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। মাঠে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ ইকরাম চৌধুরী। প্রতিদিনের মধ্যে আজও নিজের দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করছিলেন ইকরাম। কিন্তু দায়িত্ব পালনকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন তিনি। পেশাগত দায়িত্ব পালন করার সময় খারাপ অনুভব করেন ইকরাম। দ্রুত তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর সিসিইউ ও আইসিইউতে রাখা হয়। রাখা হয় লাইফ সাপোর্টেও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে আর বাঁচানো যায়নি। ২০১৪ সাল থেকে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিরাপত্তার দায়িত্বে পালন করছিলেন ইকরাম। বিভিন্ন সিরিজ, আইসিসি, এশিয়ার ইভেন্ট, বিপিএলে নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) তাৎক্ষণিকভাবে শোক প্রকাশ করে লিখেছে, “সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা সমন্বয়ক ইকরাম চৌধুরীর মৃত্যুতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) গভীর শোকাহত। সিলেটের একজন সুপরিচিত ক্রীড়া সংগঠক ইকরাম চৌধুরী ২০১৪ সাল থেকে বিসিবি’র নিরাপত্তা কমিটির সাথে কাজ করছিলেন। আজ দায়িত্ব পালনকালে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন এবং আল হারামাইন হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স ৫০ বছর ছিল। বিসিবি ইকরাম চৌধুরীর পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহানুভূতি জানাচ্ছে।”
বৃষ্টিতে সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শুরু হতে বিলম্ব

বৃষ্টিতে সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শুরু হতে বিলম্ব বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শুরু হতে দেরি হচ্ছে। যদিও গত দুই দিনও আকাশ ছিল মেঘলা, তবে এতটা বৃষ্টি হয়নি। আজকের টানা বৃষ্টিতে মাঠ খেলার উপযোগী হয়নি এখনও। প্রথম ইনিংসে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ থেমে যায় মাত্র ১৯১ রানে। জিম্বাবুয়ে জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে তুলেছে ২৭৩ রান, পেয়েছে ৮২ রানের লিড। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটাও ভালো হয়নি। টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ তুলেছে ১ উইকেটে ৫৭ রান। সাদমান ইসলাম ৪ রান করে ফিরে গেছেন। ক্রিজে এখন আছেন মাহমুদুল হাসান জয় (২৮ রান) এবং অধিনায়ক মুমিনুল হক (১৫ রান)।
গতি কমিয়ে সাফল্য চূড়ায় মিরাজ

গতি কমিয়ে সাফল্য চূড়ায় মিরাজ সব মিলিয়ে ১২ ইনিংস। দেশের মাটিতে সংখ্যাটা আরো বেশি, ১৪ ইনিংস। লম্বা অপেক্ষার পর মেহেদী হাসান মিরাজ পেলেন ৫ উইকেট। এর মাঝে যে ভালো বোলিং করেননি বিষয়টি তেমন নয়। তবে মাইলফলক ছোঁয়া হয়নি তার। সোমবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫ উইকেটে নিয়ে ক্যারিয়ারে ১১তম বারের মতো ফাইফারের স্বাদ পেলেন। তার এই বোলিং কীর্তিতে বাংলাদেশ দারুণভাবে ম্যাচে ফিরেছে। প্রথম দিন প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৯১ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। আজ বোলারদের নৈপুণ্যে জিম্বাবুয়েকে ২৭৩ রানে আটকে রাখে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিন শেষ পর্যন্ত ২৫ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ। দিনের সেরা তারকা দলের প্রতিনিধি হয়ে এসেছিলেন সংবাদ সম্মেলনে সেখানে নিজের বোলিং নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন মিরাজ। গতকাল প্রথম সেশনে ৩ ওভার হাত ঘুরিয়েছিলেন। সাফল্য মেলেনি। বরং বোলিং হয়েছিল আঁটসাঁট। আজ সকালের সেশনে ৪ ওভার হাত ঘুরিয়েও মেলেনি সাফল্য। দিয়েছিলেন ১৬ রান। হজম করেছেন ছক্কা। দ্বিতীয় সেশনে মিরাজ খুঁজে পান নিজেকে। আগের ৭ ওভারে জোরের ওপর বোলিং করেছিলেন। এবার মিরাজ বলের গতি কমিয়ে দেন। তাতেই মেলে সাফল্য।ড্রেসিংরুমে কোচদের থেকে পরামর্শ পেয়ে মিরাজ বোলিংয়ে পরিবর্তন আনেন। দ্বিতীয় সেশনে তার প্রথম শিকার শন উইলিয়ামস। তার হাওয়ায় ভাসানো বল এগিয়ে এসে উড়াতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ দেন। এরপর মিরাজ শেষ সেশনে নেন লেজের ৪ উইকেট। নিজের বোলিং নিয়ে মিরাজ বলেছেন, ‘‘আমরা খেলার ভেতরে থাকি… আমরা অনেক সময় বুঝতে পারি যে আমাদের… এই উইকেটে কীভাবে বল করতে হয়। কোচদের একটা ম্যাসেজ ছিল যে এই উইকেটে পেসটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কিভাবে… পেসটা কমিয়ে নিতে পারি। তারা আমাকে সেভাবেই গাইড করেছে। এখানে আমাদের ভিডিও ফুটেজ আছে… আমি প্রথম স্পেলে যখন বল করছিলাম আমার গতিটা বেশি ছিল। এই স্পিডে বল করলে তেমন কঠিন হবে না ব্যাটসম্যানের জন্য। আপনি আসলে গেলেই উইকেট পাবেন না। ব্যাটসম্যান যেন কষ্ট করে খেলে বা রান না বের করতে পারে তখনই একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়… আউট হবে। সো… ঐ কাজটা যেন করাতে পারি ঐ মানসিকতা ছিল, সেজন্য হয়তো উইকেটগুলো পেয়েছি।’’ নিজের ৫ উইকেট নিয়ে মিরাজের উচ্ছ্বাস ফুটে উঠল কথায়, ‘‘অবশ্যই উইকেট পেলে তো সবারই ভালো লাগে। চেষ্টা ছিল ঠিক জায়গা বল করা। দলকে ভালো সাপোর্ট করা। আর… ৫ উইকেট পেতে হলে তো অবশ্যই ভালো জায়গায় বল করতে হবে। একই সঙ্গে ভাগ্যও থাকতে হয়।’’ টেস্ট ক্রিকেটে মিরাজ সবশেষ ৫ উইকেট পেয়েছিলেন পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে। বিদেশের মাটিতে নিজের নাম অনার্স বোর্ডে তুলেছিলেন। দেশে তেমন কিছু নেই। অনার্স বোর্ড বরাবরই ক্রিকেটারদের সাফল্য মনে করিয়ে দেয়। দেশে অনার্স বোর্ড থাকলে ভালো অনুভূতির সৃষ্টি হবে বলে মনে করছেন মিরাজ, ‘‘প্রত্যেকটা মানুষের অর্জন একটা কিন্তু ভালো লাগার বিষয়। অর্জন কিন্তু…একদিনে আসে না। কষ্ট করতে হয়, তারপর অর্জনটা আসে। রাওয়ালপিন্ডিতে ওখানে… ৫ উইকেট পেয়েছিলাম। নাম দেখেছি, ভালো লেগেছে, যখন চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে গেছি। বাংলাদেশে… আমার কাছে যেটা মনে হয় যে এই সংস্কৃতিটা চালু করা উচিৎ। আর যারা এখন বর্তমানে আছেন, আশা করি তারা এটা নিয়ে চিন্তা করবে।’’ ২০১৬ সালে টেস্ট অঙ্গনে পা রাখা মিরাজ ৫২ টেস্টে ৯০ ইনিংসে ১৯৫ উইকেট পেয়েছেন। দুইশ উইকেট থেকে ৫ উইকেট থেকে দূরে। সাকিব ও তাইজুলের পর বাংলাদেশের তৃতীয় বোলার হিসেবে এই কীর্তি ছোঁয়ার হাতছানি তার।
‘২০১৮’ ফেরাতে চায় জিম্বাবুয়ে

‘২০১৮’ ফেরাতে চায় জিম্বাবুয়ে ২০১৮ সালের নভেম্বরে টেস্ট ভেন্যু হিসেবে অভিষেক হয় সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের। বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের টেস্ট দিয়ে পথ চলা শুরু হয় নয়নাভিরাম এই ক্রিকেট মাঠের। এই মাঠে ক্রিকেটের আভিজাত্যের ফরম্যাটে বাংলাদেশের পথ চলার শুরুটা একদমই ভালো হয়নি। জিম্বাবুয়ের কাছে বিব্রতকর হারের কালিমা লেগে আছে দৃষ্টিনন্দন স্টেডিয়ামে। সাত বছর পর আবার সিলেটে জিম্বাবুয়েকে আতিথেয়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ। এবারও বাংলাদেশ নেই স্বস্তিতে। হাতে ৯ উইকেট রেখে দ্বিতীয় ইনিংসে এখনো ২৫ রানে পিছিয়ে স্বাগতিকরা। প্রথম ইনিংসে ১৯১ রানে গুটিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে ভালো করতে না পারলে ম্যাচটা হাতছাড়াও করতে পারে। সেই ভয় বাংলাদেশ শিবিরে আছে। ম্যাচ জয়ের সুযোগ আছে তা বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পারছে জিম্বাবুয়ে। সাত বছর পর সেই ‘২০১৮’ ফেরাতে চায় তারাও। দলের ওপেনার ব্রায়ান বেনেট বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশে আমরা খুব একটা টেস্ট জিততে পারিনি। এইরকম একটা শক্তিশালী অবস্থানে থাকার পর আমরা বুঝতে পারছি আমাদের সামনে খুব ভালো সুযোগ রয়েছে। আমাদের দলে থাকা পনেরো জনকে এজন্য সমর্থন করতে হবে।’’ চার বছর পর বাংলাদেশে টেস্ট খেলতে এসেছে জিম্বাবুয়ে। সব মিলিয়ে ষষ্ঠবারের মতো তারা সফর করছে। এর আগে ২০০১, ২০০৫, ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২০ সালে বাংলাদেশে এসে টেস্ট খেলেছে তারা। সব মিলিয়ে ১০ টেস্টে আফ্রিকার দলটির জয় দুটিতে। এবার জিততে মুখিয়ে আছে দলটি, ‘‘আমরা বিশ্বাস করছি আমাদের সামনে বড় সুযোগ আছে ম্যাচটি জেতার। এখনও আমরা ২০-৩০ রানে এগিয়ে আছি (আসলে ২৫)। আশা করছি তারা (বোলাররা) এসে তীব্র লড়াই করবে। আপনি আসলে কখনোই নিশ্চিত হবে না আপনার সঙ্গে কী হবে। এখনো টেস্টে যথেষ্ট সময় আছে। আমরা আমাদের সেরাটা দেব।’’ – বলেছেন বেনেট।
টেল এন্ডারদের ব্যাটে বাড়ছে জিম্বাবুয়ের লিড

টেল এন্ডারদের ব্যাটে বাড়ছে জিম্বাবুয়ের লিড টেল এন্ডারদের ব্যাটে বাড়ছে জিম্বাবুয়ের লিড। বিশেষ করে এনগারাবা-মুজারাবানি জুটি। দুজনে ৩৬ রান যোগ করেছেন। ১৬ বলে ১৭ রানের ক্যামিও খেলে সাজঘরে ফেরেন মুজারবানি। এখন এনগারাবার সঙ্গী নাইউচি। লিড ৭২। এবার মিরাজের শিকার মাসাকাদজা লম্বা সময় ধরে উইকেটে ছিলেন মাসাকাদজা। চল্লিশের বেশি বল খেলে ভোগাচ্ছিলেন। অবশেষে পরাস্ত হলেন মিরাজের ঘূর্ণিতে। বড় শট খেলতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় করেন। শর্ট মিডে অসাধারণ ক্যাচ ধরেন শান্ত। ৪২ বলে ৭ রান করেন মাসাকাদজা। মিরাজের এটি তৃতীয় উইকেট। ক্রিজে এনগারাবার সঙ্গী মুজারাবানি। মিরাজের ঘূর্ণিতে মায়াভোর বিদায় মিরাজের ঘূর্ণিতে পরাস্ত মায়াভো। বল পিচড হয়েই সোজা লাগে পায়ে। ব্যাট চালাতে কিছুটা দেরি করে ফেলেন মায়াভো। জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। রিভিউ নেননি। ৩৫ রান আসে তার ব্যাট থেকে। ক্রিজে মাসাকাদজার সঙ্গী এনগারাবা। পিছিয়ে থেকে চা-বিরতিতে বাংলাদেশ প্রথম সেশনে চার উইকেট নিলেও দ্বিতীয় সেশনে মাত্র ২ উইকেট নিতে পেরেছেন নাহিদ রানারা। লিড নিয়ে সেশন শেষ করেছে জিম্বাবুয়ে। চা বিরতিতে যাওয়ার আগে তাদের লিড ২২ রান। মায়াভো ৩১ ও মাসাকাদজা ২ রানে অপরাজিত। লিড ১৩ রান। লিড এনে দিয়ে সাজঘরে উইলিয়ামস জিম্বাবুয়েকে লিড এনে দিয়ে বিদায় নিলেন উইলিয়ামস। তার ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৫৯ রান। মিরাজকে ছক্কা মারতে গিয়ে ধরা পড়েন বাউন্ডারি লাইনে। উইলিয়ামস এক প্রান্তে আগলে রাখেন। বাংলাদেশের বোলারদের জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়ান তিনি। আউট হওয়ার পর যেন বিশ্বাসই হচ্ছিল না এই বাঁহাতি ব্যাটারের। মিরাজের এটি প্রথম উইকেট। ক্রিজে মায়াভোর সঙ্গী মাসাকাদজা। বাংলাদেশের রান টপকে জিম্বাবুয়ের লিড প্রথম ইনিংসে করা বাংলাদেশের ১৯১ রান টপকে গেছে জিম্বাবুয়ে। ৫২.৪ ওভারে মিরাজকে চারের মারে লিড টপকে যায় সফরকারীরা। নতুন ব্যাটার মায়াভোকে সঙ্গে নিয়ে এগোচ্ছেন ফিফটি হাঁকানো উইলিয়ামস। দ্বিতীয় সেশনে এখন পর্যন্ত মাত্র ১ উইকেট নিতে পেরেছে বাংলাদেশ। মাধেভেরেকে বোল্ড করে খালেদের ব্রেক থ্রু ফিফট স্ট্যাম্পে করা খালেদের ব্যাক অব লেন্থের ডেলিভারি রুখতে গিয়ে বিপাকে পড়েন মাধেভেরে। বল ব্যাটে লেগে আঘাত করে উইকেটে। ২৪ রানে ফেরেন মাধেভেরে। ভেঙে যায় ৪৮ রানের জুটি। লম্বা বিরতির পর ব্রেক থ্রু এনে দিয়ে স্বস্তি ফেরালেন খালেদ। ক্রিজে উইলিয়ামসের সঙ্গী মায়াভো। উইলিয়ামসের ফিফটি, লিডের পথে এগোচ্ছে জিম্বাবুয়ে আরভিন ফেরার পর মাধেভেরের সঙ্গে জুটি গড়ে এগোতে থাকেন উইলিয়ামস। দুজনের জুটির ফিফটির আগে ফিফটি তুলে নেন উইলিয়ামস। ৮৭ বলে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান এই বাঁহাতি। দুজনের জুটিতে ভর করে লিডের পথে এগোচ্ছে জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় সেশনে এখন পর্যন্ত কোনো উইকেট নিতে পারেনি বাংলাদেশের বোলাররা। রানার তোপে প্রথম সেশন বাংলাদেশের বিনা উইকেটে ৫৭ রানে দ্বিতীয় দিন শুরু করেছিল জিম্বাবুয়ে। প্রথম সেশন শেষ হতে হতে তাদের উইকেট পড়ে যায় চারটি। বাংলাদেশ থেকে এখনো পিছিয়ে আছে ৫৮ রানে। নাহিদা রানা শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক বোলিং করে যাচ্ছেন। একাই নিয়েছেন ৩ উইকেট। ১ উইকেট নেন হাসান। উইলিয়ামস ৩৩ ও মাধভেরে ৪ রানে ব্যাট করছেন। জুটি ভেঙে স্বস্তি ফেরালেন রানা তৃতীয় উইকেটের পতনের পর প্রতিরোধ গড়েন আরভিন-উইলিয়ামস। দুজনে এগোচ্ছিলেন সাবলীলভাবে। কয়েকটা হাফ চান্স দিলেও সেগুলো কাজে লাগাতে পারেননি বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। অবশেষে নাহিদ রানা এসে জুটি ভেঙে স্বস্তি ফেরান। রানার ব্যাক অব লেন্থ ডেলিভারিতে খোঁচা দেন আরভিন। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৯ বলে ৮ রান। ক্রিজে উইলিয়মাসের সঙ্গী মাধভেরে। রানার পর হাসান, স্ট্যাম্প উড়লো ওয়েলচের রানার শর্ট বলে পরাস্ত হন দারুণ খেলতে থাকা বেনেট। অফ স্ট্যাম্পের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে ধরা পড়েন উইকেটের পেছনে, জাকের আলীর হাতে। তার ব্যাট থেকে আসে ৫৬ রান। নিজের প্রথম ফিফটি পেয়েছেন ৫৬ বলে। বেনেটের আউটের পরই সাজঘরে ফেরেন নিক ওয়েলচ। হাসানের তোপে স্ট্যাম্প উড়ে যায় তার। শন উইলিয়ামস-ক্রেইগ আরভিন প্রতিরোধের চেষ্টা করছেন। দুজনের ব্যাটে ২৪.৫ ওভারে শতরানের ঘর স্পর্শ করে জিম্বাবুয়ে। দিনের শুরুতেই নাহিদ রানার আঘাত উইকেটের খোঁজে মরিয়া ছিল বাংলাদেশ। অবশেষে দেখা মিলল। নাহিদ রানার শর্ট বলে পরাস্ত হলেন ওপেনার কারান। লেগ স্ট্যাম্পে ছোঁড়া শর্ট বলে এক্সট্রা বাউন্স হয়েছিল, জায়গা থেকে সরে যেতে চেয়েছিলেন কারান। কিন্তু দেরি হয়ে যায়, বল খোঁচা লেগে চলে যায় শর্ট লেগে। ঝাঁপিয়ে পড়ে দারুণ ক্যাচ নেন মমিনুল হক। ১৬ রানে ফিরলেন কারান, ৬৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। ক্রিজে বেনেটের সঙ্গী ওয়েলচ। এগিয়ে থেকে জিম্বাবুয়ের শুরু সিলেট টেস্টের প্রথম দিন বাংলাদেশের ভালো যায়নি। ব্যাটে-বলে দারুণ দিন কেটেছে জিম্বাবুয়ের। গতকাল শেষ বিকেলে বাংলাদেশ কোনো উইকেট নিতে পারেনি। ১২৪ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নেমেছে সফরকারীরা। বেনেট ৪০ ও কারান ১৬ রানে অপরাজিত থেকে দ্বিতীয় দিন শুরু করেছেন। লড়াইয়ে থাকতে হলে বাংলাদেশের দ্রুত উইকেট নেওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই প্রথম দিন শেষে এগিয়ে জিম্বাবুয়ে যেই উইকেটে খাবি খেয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা সেখানে আলো ছড়িয়েছে জিম্বাবুয়ে। স্কোরবোর্ড ৬৭ রান জমা করে দিন শেষ করে সফরকারীরা। বেনেট ৪০ ও কারান ১৭ রানে অপরাজিত আছেন। চার বোলার ১৪.১ ওভার বোলিং করে কোনো উইকেটের দেখা পাননি। এর আগে ১৯১ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশে ১৯১! চা বিরতিতে যাওয়ার আগে জাকের-হাসান প্রতিরোধ গড়েছিলেন। বিরতির পর দুজনে এসে লড়াই করতে থাকেন। এগোচ্ছিলেন সাবলীলভাবে। হঠাৎ আউট হন হাসান। ১৯ রানে হাসান আউট হলে ভাঙে জাকেরর সঙ্গে গড়া জুটি। এরপর জাকেরও ফেরেন ২৮ রানে। এই জুটি ভাঙার পর বাংলাদেশ মাত্র ৪ রান করতে পারে। দ্বিতীয় সেশনে ৫ উইকেট হারিয়ে মূলত বাংলাদেশের ছন্দপতন ঘটে। সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন মমিনুল হক। ৪০ আসে শান্তর ব্যাট থেকে। সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নেন মুজারাবানি-মাসাকাদজা।
৭ উইকেট হারিয়ে ধুকছে বাংলাদেশ
৭ উইকেট হারিয়ে ধুকছে বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম সেশনটা ভালো কাটলেও, দ্বিতীয় সেশনে বিপদে পড়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৪ রান নিয়ে চা-বিরতিতে যায় টাইগাররা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫৬ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮২রান। প্রথম সেশনে ২ উইকেটে ৮৪ রান করেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সেশনে ৫ উইকেট হারিয়ে ৭০ রান যোগ করতে পারে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩১ রানের সূচনা করেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও সাদমান ইসলাম। এরপর ১ রানের ব্যবধানে সাজঘরে ফিরেন জয় ও সাদমান। নবম ওভারের চতুর্থ বলে জিম্বাবুয়ের পেসার ভিক্টর নিয়ুচির বলে আউট হন ১টি চারে ১২ রান করা সাদমান। ১১তম ওভারের চতুর্থ বলে নিয়ুচির দ্বিতীয় শিকার হন জয়। ২টি চারে ১৪ রান করেন জয়। ৩২ রানে ২ উইকেট পতনের পর দলের হাল ধরেন মোমিনুল হক ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তৃতীয় উইকেটে ১২৮ বল খেলে ৬৬ রানের জুটি গড়েন তারা। ৬টি চারে ৪০ রান করেন শান্ত। পাঁচ নম্বরে নেমে ৪ রানে আউট হন মুশফিকুর রহিম। এরপর ১০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। ৮টি চার ও ১টি ছক্কায় মোমিনুল ৫৬, মেহেদি হাসান মিরাজ ১, তাইজুল ইসলাম ৩ রানে আউট হন। ১৪৬ রানে সপ্তম উইকেট পতনের পর দ্বিতীয় সেশনে আর কোন উইকেট পড়তে দেননি জাকের আলি ও হাসান মাহমুদ। জাকের ২৭ ও হাসান ১৫ রানে অপরাজিত আছেন। জিম্বাবুয়ের ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ৩টি, ব্লেসিং মুজারাবানি ও নিয়ুচি ২টি করে উইকেট নেন।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব পাকিস্তানকে ১৭৯ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব পাকিস্তানকে ১৭৯ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ টানা তিন জয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব শুরু করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু চতুর্থ ম্যাচ গিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারল তারা। ফলে আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতলেই বিশ্বকাপে যাবে, এই সমিকরণ নিয়ে খেলতে নেমেছে নিগার সুলতানার দল। কিন্তু ভালো সংগ্রহ তুলতে পারেনি তারা। আজ লাহোর সিটি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে টস জিতে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করতে নেমে তারা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে করেছে ১৭৮ রান। তৃতীয় ওভারে ফারজানা হককে হারিয়ে শুরু হয় বাংলাদেশের ইনিংস। অভিজ্ঞ এই ওপেনার ফেরেন শূন্য রানে। আরেক ওপেনার দিলারাও ভালো করতে পারেননি। ১৩ রানে উইকেট হারান তিনি। ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন নিগার সুলতানাও। টাইগ্রেস অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে স্রেফ ১ রান। চতুর্থ উইকেটে জুটি গড়েন শারমিন ও রিতু মনি। দুজনে যোগ করেন ৪৪ রান। শারমিন ২৪ রানে ফিরলে ভেঙে যায় এই জুটি। এরপর নাহিদার সঙ্গে ফের ৪৪ রানের জুটি গড়েন রিতু। তবে ফিফটির আগেই উইকেট বিলিয়ে দেন তিনি। ৪৮ রানে হারান উইকেট। আর নাহিদার ব্যাট থেকে আসে ১৯ রান। শেষদিকে লড়ে যান ফাহিমা খাতুন। তাকে সঙ্গ দিতে এসে বাকিরা দ্রুত উইকেট হারালেও তিনি থেকে যান অপরাজিত। ৫৩ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন এই ব্যাটার।
চোটে ফিলিপস, গুজরাটে তার বদলি শানাকা

চোটে ফিলিপস, গুজরাটে তার বদলি শানাকা গ্লেন ফিলিপসের চোটের কারণে কপাল খুলল শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার দাসুন শানাকার। আইপিএলে গুজরাট টাইটান্সের হয়ে ডাক পেয়েছেন তিনি। ৭৫ লাখ রুপি ভিত্তিমূল্যেই তাকে কিনে নিয়েছে ফ্র্যাঞ্জাইজিটি। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে ফিল্ডিং করতে গিয়ে কুঁচকিতে চোট পান ফিলিপস। যে কারণে দশ দিন আগেই ছিটকে যেতে হয়েছে তাকে। ইতোমধ্যে নিউজিল্যান্ডে উড়াল দিয়েছেন দুর্দান্ত ফিল্ডিং করা এই কিউই অলরাউন্ডার। শানাকা এর আগেও খেলেছেন গুজরাটের হয়ে। ২০২৩ সালে দলটির হয়ে তিন ম্যাচ খেলে করেছিলেন ২৬ রান। আগামীকাল দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে মাঠে নামবে গুজরাট। লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা দিল্লির বিপক্ষে শানাকা একাদশে থাকবেন কিনা তা দেখা যাবে কালকেই।