নতুন রেকর্ড জয়সওয়ালের

নতুন রেকর্ড জয়সওয়ালের প্রথম দিন পড়ল ১৭ উইকেট। সেই একই পিচে দ্বিতীয় দিনে তিনটির বেশি উইকেট পড়েনি। তিনটিই অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার। জবাবে প্রতিপক্ষের কোনো উইকেটই ফেলতে পারেনি স্বাগতিকরা। ওপেনিংয়ে নামা যশস্বী জয়সওয়াল ও লোকেশ রাহুলের অবিচ্ছিন্ন ১৭২ রানের জুটিতে শক্ত অবস্থানে আছে ভারত। যার ফলে ২১৮ রানের লিড নিয়ে দিন শেষ করেছে সফরকারীরা দাপুটে এই দিনে টেস্টে এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড গড়েছেন জয়সওয়াল। চলতি বছর এনিয়ে ৩৪টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। ভাঙেন ১০ বছর আগে গড়া নিউজিল্যান্ডের সাবেক ব্যাটার ব্রেন্ডন ম্যাককালামের রেকর্ড। ২০১৪ সালে ৯ ম্যাচ ৩৩ ছক্কা মেরেছেন তিনি। জয়সওয়ালের বছর যদিও এখনো শেষ হয়নি। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৯৩ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৯০ রানে অপরাজিত আছেন তিনি। অন্যদিকে রাহুল অপরাজিত আছেন ১৫৩ বলে ৪ চারে ৬২ রান নিয়ে। এর আগে ভারতের ১৫০ রানের বিপরীতে প্রথম দিন শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ৬৭ রান করে অস্ট্রেলিয়া। আজ মিচেল স্টার্কের (২৬) দৃঢ়তায় শেষমেষ ১০০ পেরোতে সক্ষম হয়। যদিও খুব বেশি দূর যেতে পারেনি গুটিয়ে যায় ১০৪ রানেই। ভারতের হয়ে কেবল ৩০ রানে ৫ উইকেট নেন অধিনায়ক জাসপ্রিত বুমরাহ। ক্যারিয়ারে এটি তার ১১তম ফাইফার। এছাড়া অভিষিক্ত হারশিত রানা ৩টি ও মোহাম্মদ সিরাজ নেন দুটি উইকেট। দিনের বাকি গল্পটা জয়সওয়াল ও রাহুলকে নিয়েই। সাবধানী হয়ে ব্যাটিং করে অজি বোলারদের তেমন কোনো সুযোগই দেননি তারা।

তামিমকে অধিনায়ক করে এশিয়া কাপের দল ঘোষণা

তামিমকে অধিনায়ক করে এশিয়া কাপের দল ঘোষণা চলতি মাসে মাঠে গড়াবে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের এবারের আসর। ওয়ানডে ফরম্যাটের এই টুর্নামেন্টটি সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হবে। আসন্ন এই টুর্নামেন্টের জন্য ১৪ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।এই আসরে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে নেতৃত্ব দেবেন আজিজুল হাকিম তামিম। আগামী ২৯ নভেম্বর থেকে তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে এই আসর মাঠে গড়াতে যাচ্ছে।বাংলাদেশ রয়েছে ‘এ’ গ্রুপে, প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকছে শ্রীলংকা, পাকিস্তান ও নেপাল। ‘বি’ গ্রুপে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জাপান। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী দিনেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলবে আজিজুল হাকিম তামিমরা। দ্বিতীয় ম্যাচে ১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ খেলবে নেপালের বিপক্ষে। আর ৩ ডিসেম্বর গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে লংকানদের বিপক্ষে খেলবে জুনিয়র টাইগাররা।প্রতি গ্রুপ থেকে সেরা দুটি দল খেলবে সেমি ফাইনাল। ৬ ডিসেম্বর মাঠে গড়াবে টুর্নামেন্টের দুটি সেমি ফাইনাল, আর ফাইনাল হবে ৮ ডিসেম্বর। টুর্নামেন্টের সবগুলো ম্যাচই হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই ও শারজাহতে।সবশেষ গেল বছর ২০২৩ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ যুবারা। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল- আজিজুল হাকিম তামিম (অধিনায়ক), জাওয়াদ আবরার (সহ অধিনায়ক), রিফাত বেগ, সামিউন বশির রাতুল, দেবাশীষ সরকার দেবা, রিজান হোসেন, আল ফাহাদ, ইকবাল হাসান ইমন, রাফিউজ্জামান রাফি, ফরিদ হাসান ফয়সাল, মারুফ মৃধা, শিহাব জেমস, আশরাফুজ্জামান বরেণ্য, সাদ ইসলাম রাজিন।অতিরিক্ত- কালাম সিদ্দিকী, শাহরিয়ার আজমীর, ইয়াসির আরাফাত, সানজিদ মজুমদার।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে প্রস্তুতি ম্যাচে মুরাদের হ্যাটট্রিক

ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে প্রস্তুতি ম্যাচে মুরাদের হ্যাটট্রিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে ভালো একটা প্রস্তুতি সারল বাংলাদেশের বোলাররা। অ্যান্টিগায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ নির্বাচিত একাদশের বিপক্ষে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে কেউ জেতেনি। দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচটি হয়েছে ড্র। বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ২৫৩ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে। যেখানে টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ইনিংসটি খেলেন জাকের আলী। ১১০ বলে ৪৮ রান করেন তিনি। এছাড়াও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৮৭ বলে ৪১ আর মুমিনুল এবং লিটন দাসের ব্যাট থেকে আসে ৩১ রান। তবে এই ম্যাচে মূল আকর্ষণ ছিল বাংলাদেশের বোলারদের দিকে। নাহিদ রানা এবং তাইজুল বাদে সকলেই উইকেট পেয়েছেন। তবে সবার নজর কেড়েছেন হ্যাটট্রিক করা হাসান মুরাদ। ১.৪ ওভারে ১ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। টেস্ট অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা এই বাঁহাতি স্পিনার ২৬তম ওভারে প্রথম ওভারটি করেন। সেই ওভারে ১ রান দেয়া মুরাদ নিজের পরের ওভারের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বলে উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিক পেয়ে যান। এদিকে মুরাদ ছাড়াও আলো ছড়িয়েছেন হাসান মাহমুদ এবং তাসকিন আহমেদ। হাসান ১৫ রানে ২ এবং তাসকিন ২১ রানে ২ উইকেট পেয়েছেন। একটি করে উইকেট পেয়েছেন শরিফুল এবং মিরাজ। আগামী শুক্রবার (২২ নভেম্বর) অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে শুরু হবে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম টেস্ট। সংক্ষিপ্ত স্কোর বাংলাদেশ: ৭৩.২ ওভারে ২৫৩/৭ ইনিংস ঘোষণা (জাকের ৪৮, মুমিনুল ৩১, লিটন ৩১, শাহাদাত ২৫; জেয়ার ম্যাকঅ্যালিস্টার ৪৮/২)। ওয়েস্ট ইন্ডিজ নির্বাচিত একাদশ: ২৭.৪ ওভারে ৮৭/৯ (মেরিয়ুস ২৩, গ্রিভস ২০, বেকফোর্ড ১৯; হাসান মাহমুদ ২/১৫, তাসকিন ২/২১, শরীফুল ১/১২, হাসান মুরাদ ৩/১, মিরাজ ১/০)। ম্যাচের ফল: ড্র।

নারীদের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দলে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়া

নারীদের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দলে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়া ২০২৫ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপিং প্রকাশ করেছে আইসিসি। গত আসরের মত এবারও অস্ট্রেলিয়ার সাথে একই গ্রুপে রয়েছে বাংলাদেশ। সাথে রয়েছে নেপাল এবং স্কটল্যান্ড। গ্রুপ ‘ডি’ তে খেলবে বাংলাদেশ। ২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম আসরেও একই গ্রুপে ছিল অস্ট্রেলিয়া এবং বাংলাদেশ। এবার মালয়েশিয়াতে অনুষ্ঠিতব্য আসরেও একই গ্রুপে রয়েছে দুই দল। দক্ষিণ আফ্রিকায় অজিদের পরাজিত করে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। সুপার সিক্সেও গিয়েছিল, কিন্তু সেমিফাইনালে খেলা হয়নি। এই গ্রুপ থেকে সুপার সিক্সে জায়গা পাওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে থাকবে অস্ট্রেলিয়া। বাকি দুই দল স্কটল্যান্ড এবং এশিয়ান অঞ্চলের বাছাইপর্ব পার করে আসা নেপালও নিশ্চিতভাবে ছেড়ে কথা বলবে না। চার গ্রুপের শীর্ষ ৩টি করে দল নিয়ে মোট ১২ দল যাবে সুপার সিক্স রাউন্ডে। সেখানে দুই গ্রুপে ৬টি করে দল ভাগ হয়ে লড়বে সেমিফাইনালের লড়াইয়ে। দুই গ্রুপের শীর্ষ ২টি করে মোট ৪টি দল যাবে সেমিতে। গ্রুপ ‘এ’ তে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কার সাথে রয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ভারত। সাথে থাকবে আয়োজক মালয়েশিয়াও। গ্রুপ ‘বি’ ও কাগজে-কলমে বেশ শক্তিশালী। পাকিস্তান, আয়ারল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ইংল্যান্ড রয়েছে এই গ্রুপে। গ্রুপ ‘সি’ তে রয়েছে ইতিহাসের হাতছানি। সামোয়া এবং নাইজেরিয়ার মধ্যে যেকোনো এক দলের সামনে সুযোগ রয়েছে সুপার সিক্সের টিকিট কেটে ফেলার। দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে জয়ী দলই সবচেয়ে এগিয়ে থাকবে সুপার সিক্সের দৌড়ে। দুই দলই এবারই প্রথম খেলতে যাচ্ছে নারীদের যুব বিশ্বকাপ। গ্রুপের বাকি দুই দল দক্ষিণ আফ্রিকা এবং নিউজিল্যান্ড। মালয়েশিয়াতে ২০২৫ সালের ১৮ জানুয়ারি মাঠে গড়াবে নারীদের যুব বিশ্বকাপের দ্বিতীয় আসর। ২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল।

ঘুরে বেড়াচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, আসবে বাংলাদেশেও

ঘুরে বেড়াচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, আসবে বাংলাদেশেও সব ঠিক থাকলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগামী আসর বসবে পাকিস্তানে। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতেই টুর্নামেন্টের পর্দা উঠবে। তবে মূল টুর্নামেন্টের আগে আইসিসির উদ্যোগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ঘুরে বেড়াবে কয়েকটি দেশ, যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও। আইসিসির এক সূত্র থেকে জানা গেছে, এই ট্রফি এরই মধ্যে ১৪ নভেম্বর পাকিস্তানের ইসলামাবাদে ট্রফিটি পৌঁছেছে এবং পরবর্তী সপ্তাহে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে এটি প্রদর্শিত হবে। আইসিসি জানিয়েছে, পাকিস্তানের মুরি, হুনজা, মুজাফফরাবাদ ও স্কার্দুতে ট্রফিটি নিয়ে যাওয়া হবে, এমনকি কেওটুজ পাহাড়েও ট্রফিটি নিয়ে যাওয়া হবে যা পর্যটন প্রচারের অংশ। তবে করাচি, লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডি শহরগুলোতে এটি নিয়ে যাওয়া হবে না, কারণ সেখানে বর্তমানে ধোঁয়াশার কারণে প্রতিকূল পরিবেশ বিরাজ করছে। বাংলাদেশে ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ট্রফির প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে, যা ঢাকার শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম এবং কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

 ক্রিকেট আয়োজন নিষিদ্ধ করা উচিত পাকিস্তানে ও ভারতে

 ক্রিকেট আয়োজন নিষিদ্ধ করা উচিত পাকিস্তানে ও ভারতে পাকিস্তানে হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতের অংশগ্রহণ নিয়ে নাটকীয়তা এখন সবারই জানা। এবার সেই বিষয়টির প্রসঙ্গ টেনে পাকিস্তানের সাবেক উইকেটকিপার ব্যাটার রশিদ লতিফ বলেছেন, তার হাতে ক্ষমতা থাকলে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানকে খেলতে দিতেন না তিনি। এছাড়া, ঝামেলা সমাধানের আগে পাকিস্তান ও ভারতে বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে দেওয়া আইসিসির উচিত নয় বলে মনে করেন তিনি। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে পাকিস্তান সফরে না যাওয়ার কথা আইসিসিকে জানিয়ে দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট সংস্থা বিসিসিআই। এমন ধারণাও করা হচ্ছে, পুরো টুর্নামেন্টটি পাকিস্তানের বাইরে আয়োজিত হতে পারে। ভারত দলের পাকিস্তান সফরে না যাওয়ার বিষয়টির লিখিত আইসিসির কাছে চেয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। সোজাসাপ্টা কথা বলার জন্য পরিচিত লতিফ পিটিআইকে বলেন, ‘একটা বড় সম্ভাবনা আছে ভারতের বিপক্ষে খেলাই বন্ধ করে দিতে পারে পাকিস্তান। আমার হাতে যদি ক্ষমতা থাকত হ্যাঁ, আমি শক্ত পদক্ষেপ নিতাম। আমি এজন্য কাউকেই দোষ দিচ্ছি না। যদি তোমরা পাকিস্তানে খেলতে না চাও, তাহলে কোনো প্রতিযোগিতায়ই খেলার দরকার নেই। পাকিস্তানের হয়ে ৩৭টি টেস্ট ও ১৬৬ ওয়ানডে খেলা লতিফ আরও বলেন, ‘আমার মতে, এসব ঝামেলা মিমাংসা হওয়ার আগে আইসিসির উচিত দেশ দুইটি থেকে আয়োজনের স্বত্ব তুলে নেওয়া। মূলত, সরকারের পরামর্শেই পাকিস্তান সফরে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত ক্রিকেট দল। ক্রিকেটে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, বিশেষ করে এশিয়ায়; লতিফ টেনে এনেছেন শ্রীলংকা ও জিম্বাবুয়ে প্রসঙ্গও। ২০২৩ সালের নভেম্বরে ক্রিকেটে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে শ্রীলংকাকে নিষিদ্ধ করেছিল আইসিসি। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এই নিষেধাজ্ঞা উঠে যায়। লতিফ বলেন, ‘ভারত এবং পাকিস্তান নিষিদ্ধ হচ্ছে না কেন? কারণ, আইসিসি অনেকাংশে তাদের ওপর নির্ভর করে। নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে ভারত দলের পাকিস্তানে না যাওয়ার সিদ্ধান্তের চরম সমালোচনা করেছেন লতিফ। তিনি বলেন, ‘এই প্রথমবারের মতো, আমি বলব বিসিসিআই ভুল করছে। তারা যে কারণ (পাকিস্তানে না যাওয়ার) দেখিয়েছে সেটা খুবই দুর্বল। এটা তাদের লিখিত দেওয়া উচিত যে বিসিসিআই এবং ভারত ক্রিকেট দল হুমকি অনুভব করছে। আইসিসির নিরাপত্তা দল এখানে (পাকিস্তানে) এসেছে এবং টুর্নামেন্ট আয়োজনে সবুজ সংকেত দিয়েছে। যদি আপনাদের কোনো সমস্যা থাকে, তাহলে অভিযোগ জানাতে পারেন।

টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় ইমরুলের

টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় ইমরুলের দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশ জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপান না ইমরুল কায়েস। সবশেষ ২০১৯ সালে ইডেন গার্ডেন্সে বাংলাদেশের সাদা জার্সি গায়ে জড়িয়েছিলেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। এরপর ফেরার চেষ্টা করলেও আর দলে জায়গা করে নিতে পারেননি। শেষমেশ টেস্ট দল থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন তিনি। টেস্ট ক্রিকেটের পাশাপাশি চারদিনের ঘরোয়া লাল বলের টুর্নামেন্ট প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকেও বিদায়ের ঘোষণা দেন ইমরুল। আগামী ১৬ নভেম্বর খুলনা বিভাগের পক্ষে শেষ প্রথম শ্রেণির ম্যাচটি খেলবেন ইমরুল। আজ বুধবার দুপুরে নিজের ফেসবুক পেজে এক ভিডিও বার্তায় বিদায়ের ঘোষণা দেন তিনি। পোস্টে ভিডিও জুড়ে দিয়ে ক্যাপশনে লেখেন, ‘বিদায় টেস্ট ক্রিকেট। আপনাদের ভালোবাসার জন্য কৃতজ্ঞ। স্টেডিয়ামে বসে ভিডিওবার্তা দিয়েছেন ইমরুল। যেখানে বলেছেন, ‘আমি বাংলাদেশের সকল ক্রিকেটপ্রেমী দর্শকদের প্রতি ভালোবাসা রেখে জানাতে চাচ্ছি যে আমি খুব দ্রুতই একটি কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি। আগামী ১৬ নভেম্বর আমি টেস্ট ক্রিকেটের ক্যারিয়ারের সমাপ্তি ঘোষণা করতে যাচ্ছি। সেই সাথে আমার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেরও সমাপ্তি করতে যাচ্ছি। এটি জীবনে ১৭ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে সবচেয়ে কঠিন ও আবেগের একটি মুহূর্ত।’ ভিডিওতে নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের বিভিন্ন স্মরণীয় মুহূর্তও তুলে ধরেন ইমরুল। ২০০৮ সালের নভেম্বরে ব্লুমফন্টেইনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টেস্ট অভিষেক হয় ইমরুলের। ১১ বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারে মোটে ৩৯টি ম্যাচ খেলেছেন ইমরুল। ৭৬ ইনিংস খেলা ইমরুল করেছেন ১ হাজার ৭৯৭ রান। যেখানে ৩টি সেঞ্চুরির পাশাপাশি হাঁকিয়েছেন ৪টি ফিফটি। প্রথম শ্রেণিতে ২০টি সেঞ্চুরিসহ প্রায় ৮ হাজার রান রয়েছে ইমরুলের। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে এখনো অবসর না নিলেও এই দুই সংস্করণে ইমরুলের জাতীয় দলে ফেরা বেশ কঠিন। সবশেষ ২০১৮ সালে ওয়ানডে ক্রিকেট খেলেছেন এই সংস্করণে ২ হাজার ৪৩৪ রানের মালিক ইমরুল। আর টি-টোয়েন্টিতে সবশেষ ২০১৭ সালে খেলেছেন মাগুরার এই ক্রিকেটার। যেখানে ১৪ ম্যাচে করেছেন মোটে ১১৯ রান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাচ্ছেন দিপু শান্তর পরিবর্তে

ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাচ্ছেন দিপু শান্তর পরিবর্তে নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের দল ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে কুঁচকির চোটের কারণে টেস্ট সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন এই টাইগার অধিনায়ক। তার পরিবর্তে স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন ব্যাটার শাহদাত হোসেন দিপু। মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছে বিসিবি। ২০২৩ সালে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড সিরিজে টেস্টে অভিষেক হয় দিপুর। এখন পর্যন্ত এই ফরম্যাটটিতে চারটি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। চলতি বছরের মার্চের পর আর জাতীয় দলে খেলা হয়নি দীপুর। ওই মাসেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ব্যাট হাতে ছিলেন ব্যর্থ তিনি। এরপর পাকিস্তান, ভারত ও সর্বশেষ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠের টেস্ট সিরিজেও দীপু ডাক পাননি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বাংলাদেশের টেস্ট স্কোয়াড: সাদমান ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জয়, জাকির হাসান, মুমিনুল হক, শাহদাত হোসেন দিপু, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, লিটন কুমার দাশ, জাকের আলী অনিক, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা ও হাসান মুরাদ।

মুগ্ধ ইয়ান বিশপ নাহিদ রানায়

মুগ্ধ ইয়ান বিশপ নাহিদ রানায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে হঠাৎ করেই সুযোগ পান নাহিদ রানা। হাসান মাহমুদের বিশ্রাম আর পেসার তানজিম হাসান সাকিবের ইনজুরির কারণে দলে জায়গা পেলেও ভিসা জটিলতায় শুরুতে সংযুক্ত আরব আমিরাত পাড়ি দিতে পারেননি তিনি। মিস করেছেন প্রথম ওয়ানডে। তবে শেষ ম্যাচে তাসকিনকে বিশ্রাম দিয়ে ঠিকই রানাকে প্রমাণ করার একটা সুযোগ দিয়েছে টিম ম্যানেজেমেন্ট। আর সেই সুযোগটাকে দারুণ কাজে লাগিয়েছে রানা। এক ম্যাচেই টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে শুরু করে টাইগার ভক্ত এমনকি বিদেশি এক্সপার্টদেরও মন জয় করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের এই স্টিড স্টার। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই রানার হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। শুরু থেকেই দারুণ গতিতে বল করেন রানা। তার তৃতীয় ডেলিভারির স্পিড ছিল ১৪৮ দশমিক ৭ কিলোমিটার। শারজাহর স্লো উইকেটেও গড়ে ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটারের ওপরে বোলিং করেছেন ২২ বছর বয়সী এই তরুণ। ম্যাচের অষ্টম ওভারে করা দ্বিতীয় বলটি ছিল সবচেয়ে গতিময়। ১৫০ দশমিক ৯ কিলোমিটার গতিতে ছিল সেই ডেলিভারিটি। যা বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারের করা দ্রুততম বল। ওই ওভারের চতুর্থ বলেই সাদিকউল্লাহকে বোল্ড করে প্রথম ওয়ানডে উইকেটের স্বাদ পান রানা। বলটা ছিল ১৪৮ দশমিক ৯ কিলোমিটার গতির। শুধু গতিই নয়, তার বোলিংয়ে ছিল নিখুত ইনসুইংও। ৫ ওভার ১৩ রান ১ উইকেট। এটাই ছিল নাহিদ রানার প্রথম স্পেল। কম রান দেয়ার পাশাপাশি উইকেট নিয়েছেন। তবে সবচেয়ে বড় বিষয় গতিতে সবসময় কাবু করে রেখেছেন আফগান ব্যাটারদের। নাহিদের ৫ ওভার দেখেই মুগ্ধ হয়েছেন ক্যারিবিয়ান সাবেক পেসার ও জনপ্রিয় ধারাভাস্যকার ইয়ান বিশপ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রানাকে ফিট রাখতে বিসিবিকে উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। বিশপ লেখেন, বাংলাদেশকে এখন থেকেই সাবধানী হতে হবে, উদ্যোগ নিতে হবে। তাদের যে সামর্থ্য আছে, তার মধ্য থেকে সেরা স্ট্রেন্থ ও কন্ডিশনিং কোচ নিয়োগ দিতে হবে নাহিদ রানা ও তাদের পেস বোলিং গ্রুপের জন্য। রানার গতি খুবই প্রশংসনীয়। পরের ৫ ওভারেও সফল ছিলেন রানা। গুলবাদিন নাইবের উইকেটও পেয়েছেন তিনি। ১০ ওভার শেষে ৪০ রান ও এক মেডেনে শিকার করেন দুই উইকেট। সিরিজ হারের দুঃখের দিন নাহিদ রানাই হয়ত দলের জন্য বড় প্রাপ্তি।

৩০ ডিসেম্বর শুরু বিপিএলের একাদশ আসর

৩০ ডিসেম্বর শুরু বিপিএলের একাদশ আসর ফরচুন বরিশাল ও দুর্বার রাজশাহীর ম্যাচ দিয়ে ৩০ ডিসেম্বর শুরু হবে দেশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট প্রতিযোগিতা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। বিপিএলের একাদশ আসরে সাত দল অংশ নিচ্ছে। মোট ৪৬ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। খেলা হবে ঢাকা, সিলেট এবং চট্টগ্রামে। ফাইনাল ম্যাচ হবে ৭ ফেব্রুয়ারি। বাড়তি একদিন রিজার্ভ হিসেবে রাখা হয়েছে। আগের ঘোষণা অনুযায়ী ২৬ ডিসেম্বর বিপিএল শুরু করতে চেয়েছিল আয়োজকরা। ৪ দিন পিছিয়ে চার-ছক্কার ধুন্ধমার প্রতিযোগিতা শুরু হবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে। প্রতিদিন দুটি করে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার বাদে দিনের ম্যাচগুলো শুরু হবে দুপুর দেড়টায়। সন্ধ্যার ম্যাচ শুরু হবে সাড়ে ছয়টায়। শুক্রবার দিনের ম্যাচ শুরু হবে দুপুর ২টায়। সন্ধ্যার ম্যাচ সন্ধ্যা ৭টায়। বিপিএল এবার গুছিয়ে ও পরিকল্পিতভাবে আয়োজন করতে চাচ্ছে বিসিবি। প্লেয়ার্স ড্রাফটের পরপরই বেশ কিছু উদ্যোগও নিয়েছে আয়োজকরা। বিপিএল মাঠে গড়ানোর দুই মাস আগে পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত করেছে আয়োজকরা, যা আগে কখনোই হয়নি। এবার দর্শকদের কথা মাথায় রেখে ই-টিকিট করার প্রক্রিয়াও হাতে নিয়েছে বিসিবি।