সাকিবের দেশে আসা এখনও অনিশ্চিত
![](https://radiomahananda.com/files/2024/10/4-Copy-6.jpg)
সাকিবের দেশে আসা এখনও অনিশ্চিত দল ঘোষণা হয়ে গেছে। নির্বাচক হান্নান সরকার তৃপ্তি নিয়ে বলেও ফেলেছেন, সাকিব আল হাসানের মতো ক্রিকেটারকে ঘরের মাঠ থেকে বিদায় দিতে পারবেন এটা আনন্দের কথা। কিন্তু ফের তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। সাকিব দেশে ফিরবেন তো? সাকিবের দেশে ফেরার কথা ছিল আজ রাতে। কিন্তু এখন শোনা যাচ্ছে, সাকিবকে নাকি সবুজ সংকেত না পাওয়া অবধি বাংলাদেশের বিমানে উঠতে নিষেধ করা হয়েছে। এটি তার নিরাপত্তার স্বার্থেই। যুক্তরাষ্ট্র থেকে সাকিব দুবাইয়ে এসেছেন আগেই। দুবাই থেকেই বাংলাদেশের উদ্দেশে তার বিমানে চড়ার কথা বিকেলে। কিন্তু বিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গ্রিন সিগনাল ছাড়া যেন বিমানে না ওঠেন তিনি। সাকিবের দেশে ফেরা নিয়ে গত কিছুদিন ধরেই মিরপুরে বিভিন্ন স্লোগান উঠেছে। স্টেডিয়ামের দেয়ালেও তার বিরুদ্ধে স্লোগান লেখা হয়েছে। এর মধ্যে বুধবার সাকিবের কুশপুতুল দাহ করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরপর তাকে নিয়ে নতুন অনিশ্চয়তা তৈরি হলো। যদিও বিসিবি সংশ্লিষ্টরা এখনও আশাবাদী, সাকিব মিরপুর টেস্টে খেলতে পারবেন। এই ম্যাচ খেলেই তার অবসরে যাওয়ার কথা রয়েছে।
আইপিএলে ‘রিটেইন’ হার্ড হিটার ক্লাসেনের মূল্য অবিশ্বাস্য
![](https://radiomahananda.com/files/2024/10/69dc64571c88ae04f01f78a24d7eca6452e75ae541e44832-1.jpg)
আইপিএলে ‘রিটেইন’ হার্ড হিটার ক্লাসেনের মূল্য অবিশ্বাস্য দক্ষিণ আফ্রিকার হার্ড হিটার হেনরিক ক্লাসেনকে আগামী আইপিএলের জন্যই রিটেইন করবে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ২০২৫ আইপিএলের জন্য শুধু ক্লাসেনই নয়, প্যাট কামিন্স, অভিষেক শর্মা, ট্রেভিস হেড ও নিতিশ কুমার রেড্ডিকেও রিটেইন করবে গতবারের ফাইনালিস্টরা। তবে ক্লাসেনের জন্য হায়দরাবাদকে খরচ করতে হচ্ছে অবিশ্বাস্য মূল্য। ইএসপিএন ক্রিকইনফো এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২৩ কোটি রুপি ক্লাসেনের জন্য খরচ করবে হায়দরাবাদ। বলা হচ্ছে, কোনো রিটেইন খেলোয়াড়ের জন্য এর আগে এতোটা খরচ করেনি কোনো ফ্রাঞ্চাইজি। গত বছর তার মূল্য ছিল ৫ দশমিক ২৫ কোটি রুপি। এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে ১৮ কোটি রুপি এবং অভিষেক শর্মাকে ১৪ কোটি রুপি দেবে হায়দরাবাদ। ৩১ অক্টোবর রিটেইন লিস্ট চূড়ান্ত করে আইপিএল কর্তৃপক্ষকে পাঠাতে হবে ফ্রাঞ্চাইজিদের।
অনূর্ধ্ব-১৯ এ ১৬ জনের স্কোয়াড ঘোষণা বিসিবির
![](https://radiomahananda.com/files/2024/10/46c558c194f71ab27ff1bc7a94a126d4d5d69f482ea33b0d-1.jpg)
অনূর্ধ্ব-১৯ এ ১৬ জনের স্কোয়াড ঘোষণা বিসিবির ঘরের মাঠে একটি তিনদিনের এবং ৪টি ওয়ানডে ম্যাচ সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজের আগে ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। স্ট্যান্ডবাই হিসেবে রয়েছেন আরো চার ক্রিকেটার। কালাম সিদ্দিকী অ্যালেন ৩ দিনের ম্যাচ এবং প্রথম দুইটি ওয়ানডে ম্যাচের জন্য পেয়েছেন অধিনায়কের দায়িত্ব। শেষ দুই ওয়ানডেতে নেতৃত্বে থাকবেন মোহাম্মদ আজিজুল হাকিম তামিম। রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে হবে ৩ দিনের ম্যাচ এবং প্রথম দুই ওয়ানডে ম্যাচ। শেষ দুই ওয়ানডে ম্যাচের ভেন্যু ঢাকার মিরপুর শেরে-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম। আগামী ১৭ অক্টোবর ঢাকায় পা রাখবে সংযুক্ত আরব আমিরাত অনূর্ধ্ব-১৯ দল এবং ২০ অক্টোবর মাঠে গড়াবে তিন দিনের ম্যাচ। এরপর ২৫ এবং ২৭ অক্টোবর হবে প্রথম দুই ওয়ানডে। সফরকারীরা ২৮ অক্টোবর ঢাকায় ফিরবে। এরপর আগামী ৩০ অক্টোবর ও ১ নভেম্বর মিরপুরে তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে শেষ হবে সিরিজ। সফরকারীরা ২ নভেম্বর ত্যাগ করবে বাংলাদেশ।
রিশাদে আস্থা রাখলো বরিশাল
![](https://radiomahananda.com/files/2024/10/Rishad-Hossain-2410140815-1.jpg)
রিশাদে আস্থা রাখলো বরিশাল বিপিএল ড্রাফটে তিন রাউন্ডে দুইবার করে বিপিএলের সাত ফ্র্যাঞ্চাইজিরা খেলোয়াড় ডাকার সুযোগ পেয়েছিল। তিন রাউন্ডে সব মিলিয়ে ৪২ ক্রিকেটার দল পেলেও উপেক্ষিত ছিলেন জাতীয় দলের চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটার রিশাদ হোসেন। লেগ স্পিনারের প্রতি প্রথম তিন রাউন্ডে কোনো দলই আগ্রহ দেখায়নি। অবশেষে চতুর্থ রাউন্ডে এসে ফরচুন বরিশাল আস্থা রাখলো এই লেগ স্পিনারের ওপর। বিপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বরিশাল লেগ স্পিনারকে দলে ভিড়িয়েছে চতুর্থ রাউন্ডে দ্বিতীয় ডাকে। ধারনা করা হচ্ছিল, অতি উচ্চমূল্যের কারণে রিশাদের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছিল না কোনো দল। এছাড়া লেগ স্পিনার দলভুক্ত করার ক্ষেত্রে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা টানাপোড়েনে ভোগেন। রিশাদকে এবার এ ক্যাটাগরিতে ৬০ লাখ টাকা পারিশ্রমিকে তালিকাভুক্ত করেছিলেন নির্বাচকরা। সবশেষ বিশ্বকাপে দলের সেরা বোলারের চাহিদা থাকবে এমনটা ভাবা হচ্ছিল। কিন্তু ড্রাফটে এসে উল্টোচিত্র দেখা গেল। প্রথম তিন রাউন্ডে ‘অবিক্রিত’ থাকার পর চতুর্থ রাউন্ডে তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহদের বরিশাল তার ওপর আস্থা রেখে তাকে দলে ভিড়িয়েছে। জাতীয় টি-টোয়েন্টি দলের নিয়মিত ক্রিকেটার রিশাদ সম্প্রতি ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে বিবর্ণ ছিলেন। ৩ ম্যাচে ৪২.৩৩ গড় ও ১৪.১১ ইকোনমিতে মাত্র ৩ উইকেট পেয়েছেন। তবে সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার পারফরম্যান্স ছিল দারুণ। ৭ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়ে ছিলেন দলের সেরা বোলার। যেখানে তার বোলিং গড় ছিল ১৩.৮৫ এবং ইকোনমি ছিল ৭.৭৬। লেগ স্পিনের পাশাপাশি শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে নেমে গুরুত্বপূর্ণ রান যোগ করতে পারেন রিশাদ। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের যেই চাহিদা তা পূরণ হয় তার ব্যাটে। একটি পরিসংখ্যান, বিপিএলের দলগুলোর লেগ স্পিনারের প্রতি অনীহার চিত্র আরও স্পষ্টভাবে ফুটিয়ে তুলবে। বিপিএলের গত আসরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে কেবল ৪ ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন রিশাদ। তিন ইনিংসে বোলিং করে উইকেট পেয়েছিলেন ৬টি। সব মিলিয়ে ২০১৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত রিশাদ ৫ ম্যাচ খেলেছেন। বোলিং করেছেন কেবল ১১ ওভার। উইকেট পেয়েছেন ৬টি। এবার বরিশালের জার্সিতে রিশাদ মাঠে নামবেন। এবার কি ধারাবাহিক সুযোগ পাবেন রিশাদ সেটাই বিরাট প্রশ্নের। পারফরম্যান্স বিবেচনায় আসবে সুযোগ মেলার পর।
তাসকিন রাজশাহীতে, লিটন ঢাকায়, মাশরাফি-মাহমুদউল্লাহ পুরোনো দলে
![](https://radiomahananda.com/files/2024/10/BPL-Draft-2410140613-1.jpg)
তাসকিন রাজশাহীতে, লিটন ঢাকায়, মাশরাফি-মাহমুদউল্লাহ পুরোনো দলে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্লেয়ার্স ড্রাফট চলছে রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে। বিপিএলের এগারতম আসরের দল গোছানোর কাজ করছে বিপিএলের অংশগ্রহণকারী সাত দল। পুরোনো চার ফ্র্যাঞ্চাইজি— সিলেট স্ট্রাইকার্স, ফরচুন বরিশাল, খুলনা টাইগার্স ও রংপুর রাইডার্সের সঙ্গে যোগ হয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস, দুর্বার রাজশাহী ও চট্টগ্রাম কিংস। ড্রাফটে শুরুতে দলগুলোর ডাকের লটারি করা হয়। শুরুতে খেলোয়াড় ডাক পাওয়ার সুযোগ পায় দুর্বার রাজশাহী। দলটি লুফে নেয় তাসকিন আহমেদকে। এরপর চিত্রনায়ক শাকিব খানের দল ঢাকা ক্যাপিটালস ডাক পাওয়ার সুযোগ পায়। তারা দলে নেয় লিটন কুমার দাসকে। তিনে চিটাগং কিংস ডাক পাওয়ার সুযোগ পেয়ে নিয়ে নেয় শামীম হোসেন পাটোয়ারীকে। এরপর খুলনা টাইগার্স দলে ভেড়ায় হাসান মাহমুদকে। পাঁচে ডাক পাওয়ার সুযোগ পেয়ে রংপুর রাইডার্স দলে নেয় নাহিদ রানাকে। এরপর সিলেট স্ট্রাইকার্স ছয়ে ও ফরচুন বরিশাল সাতে ডাক পাওয়ার সুযোগ পায়। তারা দলে নেয় যথাক্রমে রনি তালুকদার ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। দ্বিতীয় রাউন্ডে পেছন থেকে ক্রমানুসারে ডাক পাওয়ার সুযোগ পায়। ফরচুন বরিশাল তানভীর ইসলামকে, সিলেট স্ট্রাইকার্স মাশরাফি বিন মুর্তজাকে, রংপুর রাইডার্স সাইফ হাসানকে, খুলনা টাইগার্স নাঈম শেখকে, চিটাগং কিংস পারভেজ হোসেন ইমনকে, ঢাকা ক্যাপিটালস হাবিবুর রহমান সোহান ও দুর্বার রাজশাহী জিসান আলমকে দলে নেয়।
ইমার্জিং এশিয়া কাপ বাংলাদেশের স্কোয়াড ঘোষণা, অধিনায়ক ইমন
![](https://radiomahananda.com/files/2024/10/1-Copy-9.jpg)
ইমার্জিং এশিয়া কাপ বাংলাদেশের স্কোয়াড ঘোষণা, অধিনায়ক ইমন মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে আগামী ১৮ অক্টোবর ইমার্জিং এশিয়া কাপের পর্দা উঠছে। আট দলের আসরে অংশ নিতে ঘোষিত হয়েছে বাংলাদেশ দল। স্কোয়াডে রয়েছেন জাতীয় দলের একাধিক ক্রিকেটার। ভারতের বিপক্ষে সদ্য শেষ হওয়া টি-২০ সিরিজের খেলা পারভেজ হোসেন ইমন ব্যাট হাতে ছিলেন না সফল। তিন ম্যাচে ২৪ রানের বেশি করতে পারেননি। ২২ বর্ষী এই ওপেনারকেই দেওয়া হয়েছে অধিনায়কত্ব। বিস্ময়করভাবে সাদা বলের ক্রিকেটে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়মিত মুখ হয়ে ওঠা তাওহীদ হৃদয়কেও দলে রাখা হয়েছে। পেসার তানজিম হাসান সাকিব ও উইকেটরক্ষক ব্যাটার জাকের আলী অনিকও স্কোয়াডে আছেন। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে শিরোপাজয়ী বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক আকবর আলী ১৫ সদস্যের দলে জায়গা পেয়েছেন। স্পিনার আলিস আল ইসলাম ও জাতীয় দলে থেকে লম্বা সময় বাইরে থাকা নাঈম শেখও এবারের আসরে ডাক পেয়েছেন। টুর্নামেন্টে স্বাগতিক ওমান, হংকং ও সংযুক্ত আরম আমিরাতের জাতীয় দল অংশ নেবে। বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, শ্রীলংকা, ভারত ও পাকিস্তান ‘এ’ দল পাঠাবে। ২৭ অক্টোবর ফাইনালের মধ্য দিয়ে আসরের পর্দা নামবে।
টি-টোয়েন্টিতে রেকর্ড সংগ্রহ ভারতের
![](https://radiomahananda.com/files/2024/10/02.jpg)
টি-টোয়েন্টিতে রেকর্ড সংগ্রহ ভারতের ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি তৃতীয় এবং শেষ ম্যাচে মাঠে নেমেছে টাইগাররা। যেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে রীতিমতো ছেলে খেলা করেছে ভারতীয় ব্যাটাররা। বাংলাদেশকে ২৯৮ রানের বিশাল লক্ষ্য দিয়েছে স্বাগতিকরা। যা টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। প্রথম স্থানে রয়েছে নেপালের ৩১৩ রানের ইনিংসটি। ২০২৩ সালে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে এই রেকর্ড গড়েছিল নেপালের ব্যাটাররা। এর আগে ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৬০ রানের বড় পুঁজি পায় ভারত। এবার সেই ইনিংস কেউ ছাড়িয়ে গেছে আকাশী-নীলরা। শনিবার (১২ অক্টোবর) আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ভারতের। ৪ বলে ৪ রান করে তানজিম সাকিবের প্রথম শিকার হন অভিষেক শর্মা। কিন্তু সূর্যকুমারকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন ওপেনার সাঞ্জু স্যামসন। ২২ বলে ফিফটি তুলে নেন এই ডান হাতি ব্যাটার। সেই সঙ্গে বলে বলে বাউন্ডারি মেরে রান তুলতে থাকেন তিনি। ১০তম ওভারে রিশাদ হোসেন বলে আসলে ৫ ছক্কা হাঁকিয়ে সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যান স্যামসন। অপর প্রান্তে ব্যাট চালিয়ে ২৩ বলে ফিফটি তুলে নেন ভারতীয় অধিনায়ক। আর ৪১ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন স্যামসন। ১৪তম ওভারে মোস্তাফিজের হাতে বল তুলে দেন শান্ত। ওভারের তৃতীয় বলে স্যামসনকে ক্যাচ আউট করেন এই কাটার মাস্টার। ৪৭ বলে ১১১ রান করেন স্যামসন। পরের ওভারে সূর্যকুমারকে সাজঘরে ফেরান বিদায়ী ম্যাচ খেলতে নামা মাহমুদউল্লাহ। ৩৫ বলে ৭৫ রানের মারকুটে ইনিংস খেলে এই ব্যাটার আউট হলেও ততক্ষণে ২০০ রানের কোটা পার করে ফেলেছে ভারত। এরপর ১৩ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলে আউট হন রিয়ান পরাগ। শেষ পর্যন্ত ১৮ বলে ৪৭ রান করে হার্দিক পান্ডিয়া এবং শূন্য রানে নিতিশ কুমার আউট হলে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৯৭ রানের বিশাল পুঁজি পায় ভারত। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন তানজিম সাকিব। এ ছাড়াও তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ একটি করে উইকেট নেন।
বাংলাদেশের একাদশে তিন পরিবর্তনের আভাস
![](https://radiomahananda.com/files/2024/10/7-Copy-2.jpg)
বাংলাদেশের একাদশে তিন পরিবর্তনের আভাস ‘সর্বাঙ্গে ব্যথা, ঔষধ দিব কোথা।’ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অবস্থাটা যেন এমনই দাঁড়িয়েছে। টি-২০ ফরম্যাটের অবস্থা আরো শোচনীয়। প্রতি ম্যাচের পর ঘুরে দাঁড়ানোর আশাবাদের বাণীটা শোনা যায়, মাঠে তার ছিটেফোঁটাও দেখা নেই। এমন কঠিন বাস্তবতার সামনে দাঁড়িয়ে ভারতের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি খেলতে নামবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে শনিবার সন্ধ্যায় বল মাঠে গড়ানোর আগে এটি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বিদায়ী আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচ হিসেবে আলোচিত। আগের দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ খুইয়ে বসা টাইগাররা হোয়াইটওয়াশ এড়াতে কাদের নিয়ে একাদশ সাজাবে, তার স্পষ্ট ইঙ্গিত পুরোপুরি মেলেনি। ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানিয়েছে, সফরকারীদের একাদশে আসতে পারে একটি পরিবর্তন। আগের দুই ম্যাচে করে ৮ ও ১ রানের ইনিংস খেলা জাকের আলী অনিকের জায়গায় খেলতে পারেন স্পিন অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী হাসান। তেমনটি না হলে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল হাসানের অভিষেক হতে পারে। ওপেনিংয়েও রয়েছে পরিবর্তনের আভাস। পারভেজ হোসেন ইমন প্রথম দুই ম্যাচে যথাক্রমে ৮ ও ১৬ রানে আউট হয়েছেন। তার বদলে ফিরতে পারেন ফিরতে পারেন তানজিদ হাসান তামিম। পেস আক্রমণে তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান সাকিব ও মুস্তাফিজুর রহমানের খেলার সম্ভাবনাই বেশি। প্রথম ম্যাচ খেলা শরীফুল ইসলামের বদলে দ্বিতীয় টি-২০তে খেলেছিলেন মুস্তাফিজ। সিরিজের শেষ ম্যাচে কাটার মাস্টারকে বসিয়ে আবারো শরিফুলকে বল হাতে দেখা যেতে পারে। বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ: তানজিদ হাসান তামিম, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাওহীদ হৃদয়, শেখ মেহেদী হাসান/রাকিবুল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিব।
ইনিংস ব্যবধানে হেরে ইতিহাস গড়ল পাকিস্তান
![](https://radiomahananda.com/files/2024/10/2-Copy-7.jpg)
ইনিংস ব্যবধানে হেরে ইতিহাস গড়ল পাকিস্তান মুলতানে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ইনিংস ও ৪৭ রানে হেরে নতুন ইতিহাসের জন্ম দিয়েছে পাকিস্তান। টেস্ট ইতিহাসে এই প্রথম কোনো দল প্রথম ইনিংসে ৫০০’র বেশি রান তোলার পর ইনিংস ব্যবধানে হারের নজির গড়ল। দুই টেস্টে সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের ৫৫৬ রানের জবাবে ইংল্যান্ড ৭ উইকেটে ৮২৩ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে। সফরকারীদের ২৬৭ রানের লিড পায়। টেস্টে এটি চতুর্থ সর্বাধিক দলীয় রানের রেকর্ড। শুক্রবার পঞ্চম দিন ২২০ রানে স্বাগতিকরা গুটিয়ে যায়। সাদা পোশাকের ক্রিকেটে পাকিস্তানের বাজে পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে। ফরম্যাটটিতে এতি তাদের টানা ষষ্ঠ হার। ঘরের মাঠে সর্বশেষ ৯ টেস্টে দলটি সপ্তম হারের স্বাদ পেলো। ২০২২ সালের মার্চ থেকে দেশের মাটিতে দলটি টানা ১১ ম্যাচ (৭ হার, ৪ ড্র) জয়ের মুখ দেখেনি। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ঘরের মাঠে খেলা ১১ টেস্টের মধ্যে ১টিতে হেরেছিল ও ১০টিতে ড্র করেছিল। পাকিস্তানের লজ্জার এখানেই শেষ নয়। ইংল্যান্ড দলীয় আট শতাধিক রান স্কোরবোর্ডে তুলেছে ১৫০ ওভারে (৯০০ বল)। এত লম্বা সময় বোলিং করেও পাকিস্তানি বোলাররা মাত্র একটি মেডেন ওভার নিতে পেরেছে। এর আগে ১৯৩৯ সালে ডারবানে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৮৮.৫ ওভারে (৮ বলে ওভার ছিল) বোলিং করে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা কোনো মেডেন ওভার আদায়ে সক্ষম হয়নি। রেকর্ডতি এখনো অক্ষত রয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি ওভার ও ডেলিভারিতে সবচেয়ে কম মেডেন নেয়ার রেকর্ড পাকিস্তানের নামের পাশে লেখা হয়ে গেল। দুই দল প্রথম ইনিংসে ৫৫০ রানের বেশি তোলার পরও সুদীর্ঘ টেস্ট ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো ম্যাচের ফল এসেছে। ২০২২ সালে এই দুই দলের রাওয়ালপিন্ডি টেস্টেও একই ঘটনা ঘটেছিল। মুলতান টেস্টের তিন ইনিংস মিলিয়ে রান রান রেট ৪.৫১। অন্তত ২০০০ বল খেলা হয়েছে, এমন টেস্টে এটি দ্বিতীয় সর্বাধিক। ২০২২ সালে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে পাকিস্তান-ইংল্যান্ড ম্যাচে রেকর্ড ৪.৫৪ রানরেট উঠেছিল। এক ইনিংসে ৫০০ রান ছুঁয়েও শেষ পর্যন্ত হেরে যাওয়ার ঘটনা টেস্টে এই নিয়ে ১৯ বার ঘটল। সর্বোচ্চ পাঁচবার এমন হারের শিকার পাকিস্তান। এক ইনিংসে সর্বাধিক তিন ব্যাটার সেঞ্চুরি আদায় করলেও দল হিসেবে এমন ম্যাচে দ্বিতীয়বার পরাজয়ের দৃষ্টান্ত দেখাল পাকিস্তান। রাওয়ালপিন্ডিতে ২০২২ সালে ইংলিশদের সঙ্গে তাদের সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল। কলম্বো টেস্টে ১৯৯২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শ্রীলংকার তিন ব্যাটার শতক হাঁকিয়েছিলেন। তবুও স্বাগতিকরা হেরে বসেছিল। এদিকে, দীর্ঘ ৪৮ বছর পর টেস্টে এশিয়া মহাদেশে ইনিংস ব্যবধানে জয়ের মুখ দেখল ইংল্যান্ড। ১৯৭৬ সালে দিল্লি টেস্টে ইংলিশরা ভারতের বিপক্ষে ইনিংস ও ২৫ রানে জিতেছিল। শুক্রবার ৬ উইকেটে ১৫২ রান নিয়ে স্বাগতিকরা পঞ্চম ও শেষদিনের খেলা শুরু করে। চতুর্থ দিন ম্যাচের মাঝপথে অসুস্থ হয়ে পড়েন স্পিনার আবরার আহমেদ। তাকে হাসপাতালে ভর্তির পর বেশ কিছু পরীক্ষা করানো হয়। অসুস্থতার কারণে ব্যাট করতে পারেননি। ব্যক্তিগত ৬৩ রানে থাকতে আঘা সালমানকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন জ্যাক লিচ। এতে সপ্তম উইকেটে আমের জামালের সঙ্গে তার ১০৯ রানের জুটি ভাঙে। এরপর লিচ শাহিন শাহ আফ্রিদি ও নাসিম শাহর উইকেট তুলে নেন। জামাল অপরাজিত থাকেন ৫৫ রানে।
উইন্ডিজকে ১০৪ রানের টার্গেট দিলো বাংলাদেশ
![](https://radiomahananda.com/files/2024/10/4-Copy-1.jpg)
উইন্ডিজকে ১০৪ রানের টার্গেট দিলো বাংলাদেশ নারী টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে অল্পেই থেমেছে টাইগ্রেসরা। শারজাহতে নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেটে ১০৩ রান করেছে বাংলাদেশ। আজ টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন উইন্ডিজ অধিনায়ক হেইলি ম্যাথিউজ। বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি দুই ওপেনারের কেউই। পাওয়ার প্লে-র মাঝেই সাজঘরে ফেরেন দিলারা আক্তার ও সাথী রাণী। এর আগে করেন যথাক্রমে ১৯ ও ৯ রান। তৃতীয় উইকেটে ৪০ রান যোগ করেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ও সোবহানা মোস্তারি। ব্যক্তিগত ১৬ রানে সোবহানা আউট হওয়ার পর থেকে আসা যাওয়ার মাঝে ছিলেন ব্যাটাররা। যদিও একপ্রান্ত আগলে লড়াই করছিলেন জ্যোতি। শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন জ্যোতি। ঋতু মনি করেন ১০ রান। আর কেউ দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। উইন্ডিজের হয়ে কারিশমা রামহরক চারটি, আফি ফ্লেচার দুটি ও হেইলি ম্যাথিউজ একটি করে উইকেট নেন।