বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব ছাড়তে চান শান্ত!

বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব ছাড়তে চান শান্ত! দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শেষে তিন ফরম্যাটের নেতৃত্ব ছাড়তে পারেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ‘ক্রিকবাজ’র প্রতিবেদনে এসেছে এমন খবর। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে শান্তকে তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক ঘোষণা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তার নেতৃত্বেই খেলতে যাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ দলের। তবে শান্ত নাকি এরই মধ্যে বোর্ডকে জানিয়ে দিয়েছেন নেতৃত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথা। বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ অনুমোদন দিলেই আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব ছাড়বেন শান্ত। ক্রিকবাজকে বিসিবির একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘হ্যাঁ, সে আমাদের জানিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের পর অধিনায়কত্ব করতে প্রস্তুত নয়।’ শান্ত ক্রিকবাজকে এ বিষয়ে বলেন, ‘দেখা যাক কী হয় (নেতৃত্ব ইস্যুতে)। আমি সভাপতির (বিসিবি) কাছ থেকে জবাব শোনার অপেক্ষায়।’ বিসিবির একজন পরিচালক নাকি শান্তকে অনুরোধ করেছিলেন সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে। তবে সেটার সম্ভাবনা কম। কেননা জানা গেছে, শান্ত ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরই টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন। পরে তিনি তিন ফরম্যাটেরই নেতৃত্ব ছাড়ার কথা ভাবেন। সাম্প্রতিকসময়ে শান্তর নেতৃত্ব নিয়ে বেশ সমালোচনা হচ্ছে। তার অনেক সিদ্ধান্তই আলোচনার খোরাক জোগাচ্ছে। সেইসঙ্গে ব্যাট হাতে ব্যর্থতা তো আছেই। যদিও অধিনায়ক হিসেবে পরিসংখ্যান খুব একটা খারাপ না শান্তর। দলকে নয়টি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তিনটিতে জয় এবং ছয়টি হার। পাকিস্তানের মাটিতে তাদের প্রথমবারের মতো হোয়াইটওয়াশ করার কৃতিত্বও আছে। ওয়ানডেতে ৯ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে জিতিয়েছেন তিনটিতে, হার ছয়টি। টি-টোয়েন্টিতে শান্তর অধীনে ২৪ ম্যাচ খেলে ১০টিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এদিকে বিসিবির একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শেষ পর্যন্ত যদি শান্ত অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন, তবে ওয়ানডে এবং টেস্টে মেহেদী হাসান মিরাজ ও টি-টোয়েন্টিতে তাওহিদ হৃদয়কে দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভাবছেন তারা।

উইকেট বুঝতে ভুল করেছে টিম ম্যানেজমেন্ট!

উইকেট বুঝতে ভুল করেছে টিম ম্যানেজমেন্ট! মিরপুর টেস্টে দুই দলের মোট ৩৩ উইকেট পড়েছিল। এর মধ্যে ১৬টিই পেয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ও বাংলাদেশ দলের পেসাররা। প্রোটিয়া পেসার কাগিসো রাবাদা দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯ উইকেট (৩+৬) দখল করে বাংলাদেশকে খাদের কিনারায় নিয়ে গেছেন। কাইল ভেরেইনের শতক আর অলরাউন্ডার উইয়ান মুলদারের হাফসেঞ্চুরি দক্ষিণ আফ্রিকার ভিত শক্ত করে দিয়েছিল। এরপর জয়ের পথে আসল পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন রাবাদা। ডানহাতি এই পেসারের বিধ্বংসী বোলিংয়ের কাছেই হেরে গেছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসকে তুলে নিয়ে বাংলাদেশের লড়াকু পুঁজি গড়ার পথ বন্ধ করেন রাবাদা। দ্বিতীয় ইনিংসে একাই নাজমুল হোসেন শান্তর দলের ‘বারোটা’ বাজিয়েছেন তিনি। গতকাল বুধবার প্রথম স্পেলে সাদমান ইসলাম ও মুমিনুল হককে ফিরিয়ে টপঅর্ডারে ভাঙন ধরান রাবাদা। মাঝে যে দুইজন নতুন করে ইনিংস সাজানোর চেষ্টা করছিলেন, সেই মাহমুদুল হাসান জয় ও মুশফিকুর ফিরিয়ে আবার বাংলাদেশকে বিপদে ফেলেন রাবাদা। আজ বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতে প্রথমে নাইম হাসান, পরে মেহেদী হাসান মিরাজকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের সব আশা ভঙ্গ করেন রাবাদা। তৃতীয় দিনের শেষ দিকে অষ্টম উইকেটে ৩৩ রানের জুটি করে আশা জাগান মিরাজ ও নাইম। অনেকেরই আশা ছিল, এই জুটি আরও ঘণ্টা খেললে বাংলাদেশ ১৬০-১৭০ রানের রানে লিড নিতে পারবে। তখন হয়তো লড়াই জমে উঠবে। কিন্তু চতুর্থ দিন সকালে নতুন বল হাতে সংহারমূর্তি ধরে টাইগার সমর্থকদের আশা ভেঙে চুরমার করেন রাবাদা। এটা দিবালোকের মত পরিষ্কার যে, দুই ব্যাটার ভেরেইনে ও মুলদারের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে শক্ত ভীত গড়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকা জিতেছে পেসার রাবাদার দুর্দান্ত বোলিংয়েই।  কিন্তু যে পিচে রাবাদা ম্যাচের ভাগ্য লিখে দিলেন, শেরে বাংলার সেই উইকেটে স্বাগতিক বাংলাদেশ মাঠে নামলো একমাত্র পেসার হাসান মাহমুদকে নিয়ে!  শুরুর ওই ভুলেই ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে বাংলাদেশ। তারপর ৮ ব্যাটার নিয়ে প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানে অলআউট হওয়ায় ঘটেছে সর্বনাশ।সেখান থেকে আর উঠে আসা সম্ভব ছিল না। সম্ভব হয়নিও।  প্রশ্ন উঠেছে, কেন বাংলাদেশ ৮ ব্যাটার ও ৪ স্পিনারের সঙ্গে মাত্র একজন পেসার নিয়ে দল সাজিয়েছিল? তবে কি বাংলাদেশের ধারণা ছিল, শেরে বাংলার পিচ হবে ব্যাটারদের স্বর্গ? একটা সময় গিয়ে স্পিনারদের সাহায্য করবে; পেসারদের করার কিছুই থাকবে না!  ম্যাচ শেষে মেহেদী হাসান মিরাজের কথা শুনে মনে হলো সেটাই। ডানহাতি অলরাউন্ডা স্বীকার করলেন, বাংলাদেশ ম্যানেজমেন্ট উইকেট চিনতে ভুল করেছিল।  সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নটা উঠলো এভাবে যে, বাংলাদেশের পরিকল্পনা কী ছিল? এক পেসার নিয়ে খেলাটা টেকনিক্যাল ব্লান্ডার ছিল? উত্তরে মিরাজ বোঝানোর চেষ্টা করলেন, তাদের ধারণা ছিল মিরপুরের উইকেট হবে টার্নিং। মিরাজ বলেন, ‘আমরা যেমন আশা করেছিলাম মিরপুরের উইকেটে টার্নিং হবে। আমরা স্পিনাররা ডমিনেট করবো। এখানে মিরপুরে স্পিনাররা ডমিনেট করে। কিন্তু কন্ডিশনটা অন্যরকম হয়ে গিয়েছিল। ওরাও ভালো বল করেছে। আমাদের হাসান মাহমুদও ভালো বল করেছে। আমরা স্পিনাররা ভালো করলে, আমি আর নাইম ভালো বল করলে এই প্রশ্ন আসতো না। বিশেষ করে আমার কাছে দল চায় ৫-৬ উইকেট নিয়ে ম্যাচ জেতাবো, সেটা করতে পারিনি। ওখান থেকে ব্যাকফুটে পড়ে গিয়েছি।’

‘বাংলাদেশের জন্য অনেক অর্জন করেছেন, সবার সাকিব ভাইয়ের পাশে থাকা উচিত’

‘বাংলাদেশের জন্য অনেক অর্জন করেছেন, সবার সাকিব ভাইয়ের পাশে থাকা উচিত’ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে খেলে ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণকে বিদায় জানাতে চেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। তাকে নিয়ে স্কোয়াডও ঘোষণা হয়েছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তাজনিত কারণে আসতে পারেননি। টেস্ট শুরুর আগে তার আসা না আসার বিষয়টি ছিল আলোচনার কেন্দ্রে।  মিরপুর টেস্টের চতুর্থ দিন বাংলাদেশের হারের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ম্যাচ। টেস্ট শেষেও আলোচনায় ছিলেন সাকিব। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেটে জিতে এগিয়ে যায় প্রোটিয়া শিবির। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মলেনে সাকিবের কাছে তার বিদায়ী টেস্ট নিয়ে মেহেদি হাসান মিরাজের কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়। সাকিব বাংলাদেশের জন্য অনেক অর্জন করেছে মন্তব্য করে মিরাজ আহ্বান করেছেন সাকিবের পাশে থাকার জন্য, ‘সাকিব ভাইয়ের ইস্যুটা তো আমরা সবাই জানি। তিনি কেন আসেননি বা খেলতে পারেনি এটা আমার মনে হয় না কারো কাছে অজানা। অবশ্যই সাকিব ভাই একজন কিংবদন্তি খেলোয়াড়।’ ‘তিনি বাংলাদেশের জন্য অনেক অর্জন করেছে। আমরা সবাই এটা জানি। এটা অস্বীকার করতে পারব না। যেহেতু সে একটা পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। আমার কাছে মনে হয়, সবাই তার পাশে থাকা উচিত’-আরও যোগ করেন মিরাজ। ভারতের বিপক্ষে কানপুর টেস্টের আগে সাকিব জানিয়েছিলেন দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ টেস্ট খেলতে চান। নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পেলে ফিরবেন দেশে। স্কোয়াড ঘোষণার পর সাকিব যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছিলেন। কিন্তু দুবাই আসার পর তাকে সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা দেশে আসার জন্য নিরুৎসাহিত করেন। সাকিব আর আসেননি, তার পরিবর্তে হাসান মুরাদকে নেওয়া হয়। এই নিয়ে আন্দোলনের ঘটনাও ঘটেছে। সাকিব বিরোধী-সাকিব ভক্তদের মধ্যে হয়েছে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। সবশেষে হোম অব ক্রিকেটকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়িয়ে ফেলা হয়।  সাকিবের অবরর্তমানে তার জায়গায় সবচেয়ে বেশি এসেছে মিরাজের নাম। বাংলাদেশ অধিনায়কও বলেছিলেন, মিরাজের উপর তাদের ভরসা আছে। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ব্যাট হাতে দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৭ রানের ইনিংস খেলে মিরাজ প্রমাণও দিয়েছেন হাতেনাতে। কিন্তু মিরাজ কী নিজেকে সাকিবের বিকল্প হিসেবে ভাবছেন?  ‘আপনারা সবাই এই কথাটা বলেন যে—সাকিব ভাইয়ের জায়গায় আমি! তিনি বাংলাদেশের অনেক বড় অর্জন করেছেন, ১৭ বছর ধরে দেশের হয়ে খেলছেন। একজন কিংবদন্তি ক্রিকেটার। আমি মাত্র ১-২ বছর হলো রান করা শুরু করেছি, আর উনি শুরু থেকেই রান করেছেন।’ ‘সাকিব ভাইয়ের জায়গায় সাকিব ভাই, আমার জায়গায় আমি। এক খেলোয়াড়কে আরেক খেলোয়াড়ের সঙ্গে তুলনা না করাই বেস্ট। আর আমি ব্যাট করি সাত-আট নম্বরে। আর উনি ব্যাট করতেন টপ অর্ডারে। তো আমার যখন সময় আসবে আমি চেষ্টা করব দলের প্রয়োজনে ভালো ক্রিকেট খেলার।’

চেন্নাই, কানপুরের পর মিরপুরেও বিধ্বস্ত বাংলাদেশ

চেন্নাই, কানপুরের পর মিরপুরেও বিধ্বস্ত বাংলাদেশ হারের চিত্রনাট্য লেখা হয়ে গেছে প্রথম ইনিংসেই। ব্যাটারদের ব্যর্থতার মিছিলের পর দ্বিতীয় ইনিংসে তিনশর বেশি রান করেও হার ঠেকানো যায়নি। তৃতীয় দিনই শেষ হতে পারতো ম্যাচ। সেটা না হওয়ায় বৃষ্টিকে ধন্যবাদ দিতে পারে বাংলাদেশ। চেন্নাই থেকে কানপুর হয়ে মিরপুর; দেশ বদলায়, বদলায় ভেন্যু, কিন্তু বদলায় না ফল কিংবা পারফরম্যান্স। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে বাংলাদেশ হারে ৭ উইকেটে। চতুর্থ দিন মাত্র ১০৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথম সেশনেই ৩ উইকেট হারিয়ে জিতে যায় প্রোটিয়ারা। কদিন আগেই ভারতের বিপক্ষে চেন্নাইয়ে চতুর্থ দিনে হারের পর কানপুরে দুইদিন বৃষ্টির পেটে গেলেও বাংলাদেশের হার ঠেকানো যায়নি। ঘরের চেনা মাঠ মিরপুরও যেন ঠিক তাই। দুই ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশ ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে গেলো। দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচটি হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। সাকিব আল হাসানের আসা না আসাকে ঘিরে এই টেস্ট ছিল আলোচনার কেন্দ্রতে, নিরাপত্তার চাদরে ঢীক রাখা হয়েছিল শের-ই-বাংলার আশপাশ। বাইরে তুমুল আলোচনা থাকলেও মাঠের ক্রিকেটে নাজমুল হোসেন শান্তর দল শুধু সমালোচনাই উপহার দিয়ে যাচ্ছেন। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১০৬ রান করে স্বাগতিক শিবির। বিপরীতে দক্ষিণ আফ্রিকা তোলে ৩০৮ রান। ২০২ রানে পিছিয়ে খেলতে নেমে বাংলাদেশ তোলে ৩০৭ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১০৬। ত্রিস্টান স্টাবস ৩০ ও রায়ান রিকেলটন ১ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন টনি ডি জর্জি। অধিনায়ক এইডেন মার্করামের ব্যাট থেকে আসে ২০ রান। ডেবিড বেডিংহ্যাম করেন ১২ রান। ৩ উইকেটই জমা হয় প্রথম ইনিংসে ফাইফার পাওয়া তাইজুল ইসলামের ঝুলিতে। সব মিলিয়ে তিনি পেয়েছেন ৯টি উইকেট। এর আগে ইনিংস ব্যবধানে হারের শঙ্কা উড়িয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে প্রতিরোধ গড়েছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ-জাকের আলী। দুজনে ১৩৮ রানের জুটি গড়ে পাল্টা আক্রমণে লিড এনে দেন। জাকের আলী অভিষেক ফিফটির পর ফিরলেও মিরাজ ছিলেন ভরসা হয়ে। তৃতীয় দিন ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারলেও চতুর্থ দিন একবারে ভালো যায়নি। দিনের শুরুতে মাত্র ২৫ মিনিটে ৩ উইকেট হারিয়ে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ইনিংস হার এড়াতে পারাটা বাংলাদেশের সাফল্য বলা যায়। চতুর্থ দিন তৃতীয় বলে নাঈম হাসান ফেরেন ১৬ রানে। নতুন ব্যাটার তাইজুল এসেও টিকতে পারেননি। ৭ রান আসে তার ব্যাট থেকে। শেষ ব্যাটার হিসেবে সাজঘরে ফেরেন মিরাজ। আক্ষেপ মাত্র ৩ রানের জন্য সেঞ্চুরি পেলেন না। সর্বোচ্চ ৯৭ রান আসে তার ব্যাট থেকে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশি ব্যাটারদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর এটি। এ ছাড়া মাহমুদুল হাসান জয় ৪০, মুশফিকুর রহিম ৩৩ ও নাজমুল হোসেন শান্ত ২৩ রান করেন। লিটন দাস ব্যর্থ ছিলেন প্রথম ইনিংসের মতো। তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৭ রান। রানের খাতা খুলতে পারেননি মুমিনুল হক। ১ রান করেন সাদমান ইসলাম। প্রথম ইনিংসে ৩০০ উইকেটের কীর্তি গড়া কাগিসো রাবাদা নেন সর্বোচ্চ ৬ উইকেট। এ ছাড়া ৩ উইকেট নেন কেশব মহারাজ।

অভিযোগের স্ট্যাটাসের পর পুরস্কৃত তাইজুল 

অভিযোগের স্ট্যাটাসের পর পুরস্কৃত তাইজুল ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে, বাংলাদেশের ক্রিকেটে যথেষ্ট গুরুত্ব ও প্রাপ্য সম্মান সে সবসময় পায় না। ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করেও নায়কের মর্যাদা সেভাবে অনেক সময় পায় না। তবু নিজের কাজটুকু করে গেছে, দিনের পর দিন, বছরের পর বছর’-তাইজুল ইসলামের দ্রুততম ২০০ উইকেটের কীর্তির পর অভিযোগের সুরে এভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনে সাকিব আল হাসানের রেকর্ড ভেঙে দ্রুততম ২০০ উইকেটের কীর্তি অর্জন করেন তাইজুল। ৮৪ ইনিংসে উইকেটের ডাবল সেঞ্চুরি করেন এই বাঁহাতি স্পিনার। সাকিবের লেগেছে ৯১ ইনিংস। তামিমের এমন অভিযোগের পরই যেন ঘুম ভাঙে টিম ম্যানেজমেন্টের। দলের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) পুরস্কৃত করা হয় তাইজুলকে। একই সঙ্গে সতীর্থরা তাকে সংবর্ধনা দিয়েছেন। কিন্তু কী পুরস্কার সেটি নিয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না কেউই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ম্যানেজমেন্টের এক কর্তা বলেন, ‘তাইজুলকে দলের পক্ষ থেকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। অর্থ হতে পারে, ক্রেস্ট হতে পারে। কিন্তু আমরা এটা এই মুহুর্তে প্রকাশ করতে চাচ্ছি না। ম্যাচ শেষে আমাদের আরও পরিকল্পনা আছে।’ সেই স্ট্যাটাসে তামিম আরও লিখেছেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য, বিশ্ব ক্রিকেটেও যথেষ্ট আলোচনা তাকে নিয়ে হয় না। অথচ অনেক গ্রেট বোলারের চেয়েও কম টেস্ট খেলে ২০০ উইকেট হয়ে গেল তার। বড় কোনো দলের ক্রিকেটার হলে হয়তো তাকে নিয়ে আলোচনা আরও বেশি হতো।’ ‘তার পরিসংখ্যান বলে, গত ১০ বছরে বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা স্পিনারদের একজন সে। তার পারফরম্যান্স, একাগ্রতা ও নিবেদন বলে, বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য সে অমূল্য এক সম্পদ। আবারও অভিনন্দন তাইজুল। পথের এখনো অনেক বাকি।’ শুধু তাই নয় তামিমের পর তাইজুলকে শুভকামনা জানিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্তও। বাংলাদেশ অধিনায়ক লেখেন, ‘বছরের পর বছর ধারাবাহিক পারফর্ম করে দলের জন্য অবদান রেখেছেন আপনি। ফরম্যাট যেটাই হোক সেখানে আপনার থেকে সেরাটাই পেয়েছে দল। দলের জন্য আপনি সবসময় নিজের সেরাটা দিয়েছেন, আশা করি সামনে এর থেকেও বেশি দিবেন। ২০০ উইকেটের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা, ২০০ কে দ্রুত ৩০০-৪০০ হতে দেখতে চাই।’

হারের শঙ্কা নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করলো টাইগাররা

হারের শঙ্কা নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করলো টাইগাররা মিরপুর টেস্টে দ্বিতীয় দিন শেষ চালকের আসনে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জবাবে কাইল ভেরেইনের সেঞ্চুরিতে ৩০৮ রানে অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০২ রানের বড় লিড পায় প্রোটিয়ারা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে ৩ উইকেট হারিয়ে ১০১ রান সংগ্রহ করে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ। এখনো ১০১ রানে পিছিয়ে আছে টাইগাররা। তৃতীয় দিনে হার চোখ রাঙাচ্ছে বাংলাদেশকে। ২০২ রানে পিছিয়ে থাকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই জোড়া উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ২৭ ওভার ১ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে ১০১ রান সংগ্রহ করে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করে বাংলাদেশ। জয় ৮০ বলে ৩৮ ও মুশফিক ২৬ বলে ৩১ রানে অপরাজিত আছেন।

তাইজুলের ঘূর্ণিতে শেষ বিকেলে ‘স্বপ্নের শুরু’

তাইজুলের ঘূর্ণিতে শেষ বিকেলে ‘স্বপ্নের শুরু’ ম্যাথু ব্রিটজক ভেবছিলেন আগের মতো বল বেরিয়ে যাবে। ভুলটা করলেন বল ছেড়ে দিয়ে। তাইজুল ইসলামের অফ স্ট্যাম্পে পিচ করা বল ভেঙ্গে দেয় ব্রিটজকের উইকেট। তাইজুল যেন ডানা মেলে উড়ছেন। সাকিব আল হাসানের কীর্তি ভেঙে দ্রুততম দুই’শ উইকেট, সঙ্গে শেষ বিকেলে তার ঘূর্ণিতে কম রান করেও জয়ের স্বপ্ন দেখা শুরু। তাইজুলতো উড়তেই চাইবেন! সতীর্থ মুশফিকুর রহিম এসে কলার উঁচিয়ে দিলেন। কীর্তি বলে কথা। আজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঢাকা টেস্টের প্রথম দিন শেষে তাইজুলের জাদুতে কিছুটা হলেও চাপ কমেছে বাংলাদেশের। দিনশেষে প্রথম ইনিংসে প্রোটিয়াদের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৪১ রান। বাংলাদেশের সামনে লিড ৩৪ রান। এই লিড যত কম হবে স্বাগতিক শিবিরের জয়ের স্বপ্ন তত বড় হবে। বাংলাদেশ টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে অলআউট হয় মাত্র ১০৬ রানে। যা শের-ই-বাংলায় দ্বিতীয় সর্বনিম্ন।    

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই টেস্ট জয়ে চোখ সিমন্সের

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই টেস্ট জয়ে চোখ সিমন্সের ‘কবে বাংলাদেশের কোচিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছেন?’ প্রশ্নটা অবধারিত ভাবেই উঠতো। অনেকটা নাটকীয়ভাবে বাংলাদেশের কোচিংয়ের প্রস্তাব পাওয়া। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক ক্রিকেটার ও কোচ ফিল সিমন্স ঠিক মনে করতে পারলেন না। তবে অনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে কিছুটা ধারণা দিলেন, ‘আজ শনিবার? হয়তো এক সপ্তাহ কিংবা দেড় সপ্তাহ আগে।’ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে বিদায় করে ফিল সিমন্সকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি। বাংলাদেশে কাজ করার আগ্রহ নিয়ে সিমন্স বলেছেন, ‘এখানের তরুণ খেলোয়াড়দের দেখে তাদের নিয়ে কাজ করার আগ্রহ হয়েছে। তারা পাকিস্তানের বিপক্ষে খুব ভালো খেলেছে। ভারতের বিপক্ষে টি টোয়েন্টি সিরিজে ভালো না করলেও তারা বিশ্বের সেরা দলের বিপক্ষে খেলেছে। তাদের ভালো করার সামর্থ আছে। আমার কাজ তাদেরকে এগিয়ে নেয়া। যেটা আমি উপভোগ করি। প্রথমত, তরুণ খেলোয়াড়দের উন্নতি করা। দ্বিতীয়ত, টেস্ট এন্ড ওয়ানডে ক্রিকেটে আরো উন্নতি করা। সিদ্বান্ত নেয়া কঠিন ছিল না।’ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে সিমন্সের মিশন শুরু হচ্ছে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের এই দুই টেস্ট জিততে চান সিমন্স, ‘আমাদের লক্ষ্য ঠিক মতো প্রস্তুতি নিয়ে দুইটি টেস্টে জয় লাভ করা। এভাবেই আমাদের কাজ করতে হবে।’ উপমহাদেশে দক্ষিণ আফ্রিকার রেকর্ড খুব একটা ভালো নয়। শেষ দশ বছরে টেস্ট জয়ের রেকর্ড নেই। বাংলাদেশ সেই সুযোগটা কাজে লাগানোর প্রত্যয় সিমন্সের, ‘এটা নিশ্চয়ই বড় সুযোগ। বাংলাদেশ সব সময় ঘরের মাঠে শক্তিশালী। এই জন্যে আমাদের ভালো সুযোগ টেস্ট সিরিজে জয় লাভ করা। ওদের রেকর্ড ভালো নয়। তবে তারা জেদি দল। নিশ্চয়ই এই রেকর্ড পরিবর্তন করতে চাইবে।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিদায় করে ফাইনালে নিউ জিল্যান্ড

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিদায় করে ফাইনালে নিউ জিল্যান্ড প্রতিশোধ, মাঠের খেলায় শব্দটা খুব একটা মাথায় রাখেন না ক্রিকেটাররা। তবে পরিসংখ্যান সেটা ফিরিয়ে আনে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ  ও নিউ জিল্যান্ডের মধ্যকার নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আরেকবার প্রতিশোধের খেলা দেখলো বিশ্ব। তাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮ রানে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেছে নিউ জিল্যান্ড। ক্যারিবীয় মেয়েদের হারানোর মধ্যে দিয়ে আট বছর আগে বিশ্বমঞ্চের সেমিফাইনাল থেকে বিদায়ের মধুর প্রতিশোধ নিলো নিউ জিল্যান্ড। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৬ রানে হেরেছিল কিউইরা। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) শারজাহ ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আগে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৮ রান করতে সক্ষম হয় নিউ জিল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২০ রানের বেশি করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১২৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাওয়ারপ্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে তারা তুলতে পারে মাত্র ২৫ রান। ১০ ওভার শেষে তাদের রান ছিল ৩ উইকেটে ৪৮ রান। পরের ১০ ওভারে ক্যারিবীয়দের দরকার ছিল ৮০ রান। ডিয়েন্ড্রা ডটিন ছিলেন ভরসা হয়ে। তার ২২ বলে ৩৩ রানের ইনিংস দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখায়। শেষ ৪ ওভারে তাদের দরকার ছিল ৩৪ রান। কিন্তু ডটিন আউট হতেই আশার শেষ আলোটাও নিভে যায়। শেষ ওভারে তাদের প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। সুজি বেটসের করা ওভারের প্রথম বলে ৪ মেরে খেলা জমিয়ে তোলেন জায়ডা জেমস। পরের বল ডট। ওভারের তৃতীয় বলে জেমসকে বোল্ড করে নিউ জিল্যান্ডের ফাইনাল নিশ্চিত করেন বেটস। বল হাতে শেষ ওভারে দারুণ করা বেটস এর আগে ব্যাটিংয়েও ভালো অবদান রাখেন। ২৮ বলে ১ চারে করেন ২৬ রান। তার সঙ্গে ৪৮ রানের জুটিতে দলকে ভালো শুরু এনে দেন জর্জিয়া প্লিমার। তিনি ৩১ বলে করেন ৩৩ রান। এরপর আর তেমন কোনো জুটি গড়তে পারেনি নিউ জিল্যান্ড। দুই অঙ্ক ছুঁয়েই ফেরেন সোফি ডিভাইন। ২ চারে ৯ বলে ১৮ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন ব্রুক হ্যালিডে। ১৪ বলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন ইসাবেল গেজ। শিরোপার লড়াইয়ে রোববার (২০ অক্টোবর) নিউ জিল্যান্ডের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। যেহেতু অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সেমিতেই বাদ পড়েছে, সেহেতু এবার নতুন চ্যাম্পিয়ন পেতে যাচ্ছে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।

আকবর ঝড়ে হংকংকে হারালো বাংলাদেশ

আকবর ঝড়ে হংকংকে হারালো বাংলাদেশ  ব্যাটারদের ব্যর্থতাতেও উজ্জ্বল থাকলেন একজন। বাবর হায়াতের ওপর ভর করে দলও পায় ভালো সংগ্রহ। ওই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কিছুটা বিপদে পড়েছিল বাংলাদেশও। কিন্তু ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দলকে জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন অধিনায়ক আকবর আলি। শুক্রবার ওমানের আল আমেরাতে ইমার্জিং এশিয়া কাপের ম্যাচে হংকংকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান করে হংকং। পরে ওই রান তাড়া করতে নেমে ১০ বল আগেই জয় পায় বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে স্রেফ ৯ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে ফেলে হংকং ‘এ’ দল। দুজনই ফেরেন রিপন মণ্ডলের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে। কিন্তু এরপরই দলটির হয়ে জুটি গড়েন অধিনায়ক নিজাকাত খান ও বাবর হায়াত। তাদের ৬৫ রানের জুটি ভাঙেন মাহফিজুর রহমান রাব্বি। ২০ বলে ২৫ রান করে বোল্ড হয়ে যান নিজাকাত। তার বিদায়ের পর একাই লড়েন বাবর হায়াত। রেজাউর রহমান রাজার করা ১৯তম ওভারে আউট হওয়ার আগে ৬১ বলে ৮৫ রান করেন বাবর। এর বাইরে আর একজন ব্যাটারই দুই অঙ্কে যেতে পেরেছেন। ৫ বলে ১৩ রান করেন তিনি। ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন রিপন মণ্ডল। একটি করে উইকেট পান আবু হায়দার রনি, রেজাউর রহমান রাজা, রাকিবুল হাসান ও মাহিফজুর রহমান রাব্বি। রান তাড়ায় নেমে বাংলাদেশের ওপেনারদের মধ্যে ১১ বলে ১১ রান করে জিশান আলম ও ২৬ বলে ২৮ রান করে পারভেজ হোসেন ইমন আউট হন। ৬ বলে ৫ রান করে আউট হন সাইফ হাসানও। ৫৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। এরপর জুটি গড়েন তাওহীদ হৃদয় ও আকবর আলি। দুজনের জুটিতে আসে ৫৪ রান। ২২ বলে ২৯ রান করে ইহসান খানের বলে আউট হয়ে যান তাওহীদ হৃদয়। ঝড়ো ইনিংস খেলে ২৪ বলে চারটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৪৫ রান করেন আকবর আলি। ১৫ বলে ১৯ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন শামীম হোসেন।