অলরাউন্ডার সাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ

অলরাউন্ডার সাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে পৌঁছেছেন সাকিব আল হাসান। দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন এই টাইগার অলরাউন্ডার। পেশাদার ক্যারিয়ার আরও দীর্ঘ। এই লম্বা সময়ে জাতীয় দলের পাশাপাশি বিশ্বের প্রায় সব ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলেছেন সাকিব। ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে এসে প্রশ্ন উঠেছে তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে। ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের আগে ইংল্যান্ডের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে যান সাকিব। সারের হয়ে সমারসেটের বিপক্ষে বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন তিনি। দুই ইনিংসে নিয়েছিলেন ৯ উইকেট। সেখানেই মূলত প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে সাকিবের বোলিং অ্যাকশন। কাউন্টি কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। শিগগিরই ইংল্যান্ডের কোনো ল্যাবে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেবেন সাকিব। দেশের একটি গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছেন বিসিবির এক কর্মকর্তা। আন্তর্জাতিক বা অন্যান্য ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার সঙ্গে সাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠার কোনো সম্পর্ক নেই। এটা শুধুমাত্র কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেট বা কাউন্টিতে খেলতে হলে বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায় পাশ করতে হবে এই টাইগার অলরাউন্ডারকে। পুরো বিষয়টি নিয়ে বিসিবির কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের কাছে অফিসিয়াল কিছু আসেনি। যেহেতু এটা আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ব্যাপার নয়, তাই আমাদের জানাটাও গুরুত্বপূর্ণ নয় এই ব্যাপারে। তবে বিসিবি পর্যন্ত এসেছে বিষয়টি। কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে সাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এটা কেবলই ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। সাকিব বিষয়টি জানেন, হয়তো দ্রুতই পরীক্ষা দেবেন। এটার কারণে আন্তর্জাতিক বা অন্যান্য ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে তার কোনো বাধা নেই।

ওয়ানডে সিরিজ দুবাইয়ের ভিসা জটিলতায় নাসুম-নাহিদ

ওয়ানডে সিরিজ দুবাইয়ের ভিসা জটিলতায় নাসুম-নাহিদ আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে দুই ধাপে দুবাইয়ে পৌঁছেছে বাংলাদেশ দলের ১৩ সদস্য। একদিন বাদেই হবে সিরিজ শুরু, তবে এখনো দুবাইয়ের ভিসা পাননি নাসুম আহমেদ ও নাহিদ রানা। আজ বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সূত্রটি জানায়, এখন পর্যন্ত তাদের ভিসা পাওয়া যায়নি। আজ পাওয়ার কথা আছে। পেলেই দুবাইয়ের বিমান ধরবেন। প্রায় এক বছর পর জাতীয় দলে ফিরেছেন নাসুম। এই বাঁহাতি স্পিনার বগুড়ায়, ব্যস্ত ছিলেন জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল)।

শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে সেমি থেকেই বাংলাদেশের বিদায়

শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে সেমি থেকেই বাংলাদেশের বিদায়   হংকং সুপার সিক্সেস টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে বিদায় নিতে হলো বাংলাদেশকে। লঙ্কানদের কাছে ৩ উইকেটে হেরে তাদের ফাইনালে উঠার স্বপ্ন পূরণ হলো না। রবিবার প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৬ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১০৩ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। জবাবে ৩ উইকেট হারালেও ১ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় শ্রীলঙ্কা। কোয়ার্টার ফাইনালের মতো আজও জিশান ইসলামের ব্যাটে রান আসছিল ভালোই। ১১ বলে ৫ ছক্কায় ৩৬ রান করেছেন এই ওপেনার। আরেক ওপেনার আব্দুল্লাহ আল মামুন ৪ বলে করেছেন ১৬ রান। দারুণ ফর্মে থাকা সাইফউদ্দিন আজও ব্যাটে ঝড় তুলতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু ১২ বলে ২৩ রান করে থেমেছেন তিনি। এছাড়া শেষদিকে ৬ বলে ১৮ রানের ইনিংস খেলেছেন আবু হায়দার। বল হাতে শ্রীলঙ্কার থারিন্ডু রত্নায়েকে ২ ওভারে ৩৩ রান খরচে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এছাড়া ১ উইকেট পেয়েছেন লাহিরু সামারাকুন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ৫৮ রানের জুটি গড়ে ফেলেন দুই লঙ্কান ওপেনার সান্দুন ভিরাক্কডি। ১৬ বলে ৫০ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফেরেন তিনি। তার ব্যাট থেকে আসে ৭টি চার ও ৩টি ছক্কা। আরেক ওপেনার ধনঞ্জয়া লাকশান ৬ বলে ২৪ রান করেন। মাঝে জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে ধাক্কা দিয়েছিলেন বাংলাদেশের স্পিনার সোহাগ গাজী। ওই ওভারে মাত্র ৪ রান খরচ করেন তিনি। কিন্তু বাকিরা কেউ রান আটকাতে পারেননি। এর মধ্যে আগের দুই ম্যাচে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করা সাইফউদ্দিন ২ ওভারে ৪৪ রান খরচে থাকেন উইকেটশূন্য। আবু হায়দার ১টি উইকেট পেলেও ১ ওভারে ২০ রান খরচ করেছেন। এর আগে প্রথম সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা নিশ্চিত করেছিল পাকিস্তান। সেমিফাইনালে জয়ী দুই দল মুখোমুখি হবে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে।

জিসান-সাইফউদ্দিনের চার-ছক্কায় হংকংয়ে বাংলাদেশের রেকর্ড

জিসান-সাইফউদ্দিনের চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে হংকংয়ে বাংলাদেশের রেকর্ড ৬ ওভারের খেলায় চার-ছক্কার ফুলঝুরিই ছুটবে এটাই স্বাভাবিক। তবে হংকংয়ে জিসান আলম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ব্যাটে এমন ঝড় তুলেছেন তাতে হংকং সিক্সেসে আজ রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। ওমানের বিপক্ষে ১৪৭ রানের রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। এর আগে সর্বোচ্চ রান ছিল পাকিস্তানের। সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিপক্ষে ১২৮ রান করে তাড়া। বাংলাদেশের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১১৩ রানে অলআউট হয় ওমান। এতে করে প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ৩৪ রানের জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছে অধিনায়ক সাইফউদ্দিনের দল। রেকর্ড গড়ার ম্যাচে ঝড়টা তুলেছেন জিসান আলম ও ইয়াসির আলি রাব্বি। বিশেষ করে জিসান। মাত্র ১২ বলে ৫৫ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলেন এই ওপেনার। ৮ ছক্কা ও ১ চারের তা-ব চালানোর পর অবশ্য টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী থামতে হয় তাকে। কোনো ব্যাটার ফিফটি করার পর আর ব্যাটিং করতে পারবে না। রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয়। তিনে নেমে একইভাবে মাঠ ছেড়েছেন সাইফউদ্দিনও।

ইনিংস ও ২৭৩ রানে হেরে ধবলধোলাই বাংলাদেশ

ইনিংস ও ২৭৩ রানে হেরে ধবলধোলাই বাংলাদেশ চট্টগ্রাম টেস্টে যেভাবে উইকেটের মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা তাতে হার নিশ্চিতই ছিল। দেখার বিষয় ছিল, ব্যবধানটা কতটুকু কমাতে পারবেন মুশফিকুর রহিম-নাজমুল হোসেন শান্তরা। ব্যবধানটা শেষ পর্যন্ত থেমেছে ইনিংস ও ২৭৩ রানে। ধবলধোলাই হওয়ার ম্যাচে এতটাই বাজে খেলেছে বাংলাদেশ দুই ইনিংস মিলিয়েও দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ফলো-অন এড়াতে পারেনি। ফলো-অন এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৩৭৬ রান। বাংলাদেশ দুই ইনিংস মিলে করেছে মোট ৩০২ রান। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ দেড় শ রান পার করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে সেটিও করতে পারেনি। ১৫৯ রানের বিপরীতে টেস্টের তৃতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট ১৪৩ রানে। প্রথম ইনিংসে ৮ জন ব্যাটারের বিপরীতে দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে পারেনি। ঘরের মাঠে স্বাগতিকদের ধসিয়ে দিল প্রোটিয়ারা। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশকে অল্পতে অলআউট করতে শুরুটা করেছেন সেনুরান মুতুসামি। ৪ উইকেট নিয়ে বাঁহাতি স্পিনার শুরুটা করলেও শেষটা করেছেন আরেক বাঁহাতি স্পিনার কেশব মহারাজ। ৫৯ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেছেন ১০ নম্বর ব্যাটার হাসান মাহমুদ। ইনিংস ও ২৭৩ রানের হারে বিব্রতকর রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সবচেয়ে বড় ব্যবধানের পরাজয় টেস্টে। আগের সর্বোচ্চেও বাংলাদেশের নাম। প্রতিপক্ষের মাঠ ব্লুমফন্টেইনে ২০১৭ সালে ইনিংস ও ২৫৪ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ।  প্রোটিয়াদের বিপক্ষে বড় ব্যবধানের হারটাই সব মিলিয়ে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বড় পরাজয়। ২০০২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঢাকায় ইনিংস ও ৩১০ রানের সর্বোচ্চ হারটি হেরেছিল বাংলাদেশ। এ জয়ে একটা অপেক্ষা ঘুচেছে দক্ষিণ আফ্রিকার। ২০১৪ সালের পর এশিয়ার মাটিতে সিরিজ জিতেছে প্রোটিয়ারা। সিরিজ হিসেবে ৫ সিরিজ পর। ১৭৭ রানের ইনিংস খেলা টনি ডি জর্জির ম্যাচসেরার বিপরীতে সিরিজে ১৪ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরা হয়েছেন কাগিসো রাবাদা।

চরম অস্বস্তি নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করলো বাংলাদেশ

চরম অস্বস্তি নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করলো বাংলাদেশ চট্টগ্রাম টেস্টে চরম অস্বস্তি নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ। আলোক স্বল্পতার কারণে এই দিনের খেলা শেষ হয়েছে আগেভাগেই। তার আগেই মাত্র ৩৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ। উইকেটে আছেন মমিনুল হক (৬) ও নাজমুল হোসেন শান্ত (৪)। এর আগে ৬ উইকেটে ৫৭৭ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশ এখনো পিছিয়ে আছে ৫৩৭ রানে।  ইনিংসে প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে ওপেনার সাদমান ইসলামকে তুলে নেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার কাগিসো রাবাদা। ডাউন লেগের বলে উইকেটরক্ষক কাইল ভেরেইনের হাতে ধরা পড়েন বাঁহাতি ব্যাটার। ৬ বলে ০ রানে বিদায় নেন সাদমান। সর্বশেষ ৩ ইনিংসে দুইবারই ডাক মারলেন সাদমান। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার মিরপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪ বলে খেলে ০ রানে আউট হয়েছিলেন তিনি। ওই টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ বলে মাত্র ১ রান করেন সাদমান। টিকতে পারেননি জাকির হাসানও। তিনিও হন রাবাদার শিকার। ৮ বলে মাত্র ২ রান করে বিহাইন্ড দ্য উইকেটে ভেরেইনের হাতে ধরা পড়েন বাঁহাতি ব্যাটার। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে ডেন পিটারসনের চতুর্থ বলে কভার ড্রাইভে চার হাঁকান ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। পরের বলেই দ্বিতীয় স্লিপে এইডেন মার্করামের হাতে ধরা পড়েন এই ডানহাতি। এরপর নাইট ওয়াচম্যান হিসেবে হাসান মাহমুদকে নামায় বাংলাদেশ। পরের ওভারে আউট হয়ে যান হাসানও। কেশব মহারাজের ঘূর্ণিতে খেই হারানোর আগে ৭ বলে ৩ রান করেন ডানহাতি ব্যাটার। এর আগে ৩ সেঞ্চুরি আর ২ ফিফিটিতে ৫৭৭ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। উইয়ান মুলদার টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকানোর পর তাদেরকে ডেকে নেন অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। মুলদারের সঙ্গে ৭০ রানে অপরাজিত ছিলেন সেনুসান মুথুসামি। ১৪৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে তাইজু্ল ইসলামকে ছক্কা হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মুলদার। ষষ্ঠ উইকেটে ১৫০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি করেন মুলদার ও মুথুসামি। এই ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকানো বাকি দুই দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার হলেন টনি ডি জর্জি (১৭৭) ও ত্রিস্টান স্টাবস (১০৬। মুথুসামির সঙ্গে ফিফটি করা অন্য ব্যাটার হলেন ডেভিড বেডিংহাম (৫৯)। বাংলাদেশের হয়ে তাইজুল ইসলাম একাই নেন বাকি ৫ উইকেট। এ নিয়ে ১৪তম বার টেস্টের এক ইনিংসে ৫ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার। বাকি এক উইকেট নেন পেসার নাহিদ রানা।

চট্টগ্রাম টেস্টে দুই উইকেট বাংলাদেশের, জর্জি-স্টাবসের সেঞ্চুরি

চট্টগ্রাম টেস্টে দুই উইকেট বাংলাদেশের, জর্জি-স্টাবসের সেঞ্চুরি চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম দিনে শেষে চালকের আসনে দক্ষিণ আফ্রিকা। পুরো তিন সেশনে মাত্র দুই উইকেটের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন দুই প্রোটিয়া ব্যাটার টনি ডি জর্জি ও ট্রিস্টান স্টাবস। এই দুই ব্যাটারের সেঞ্চুরিতে ২ উইকেট হারিয়ে ৩০৭ রান সংগ্রহ করেন প্রথম দিন শেষ করেছে সফরকারীরা। আজ চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। টাইগার বোলারদের কোনো সুযোগ না দিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন তারা। ৬৯ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। ইনিংসের ১৮তম ওভারে প্রথম সাফল্য পায় বাংলাদেশ। ৫৫ বলে ৩৩ রান করা মার্করামকে সাজঘরে ফেরান স্পিনার তাইজুল ইসলাম। মধ্যাহ্ন বিরতি থেকে ফিরে ১৪৬ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন ডি জর্জি। এটি তার ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি। চা বিরতির পর পর সেঞ্চুরি তুলে নেন স্টাবস। ১৯৪ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। ৮১ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৩০৭ রান সংগ্রহ করে প্রথম দিনের খেলা শেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। জর্জি ১৯৮ বলে ১৪১ ও বেলিংহাম ২৫ বলে ১৮ রানে অপরাজিত আছেন।

ডি জর্জির সেঞ্চুরি, আরও এক হতাশার সেশন বাংলাদেশের

ডি জর্জির সেঞ্চুরি, আরও এক হতাশার সেশন বাংলাদেশের প্রথম সেশনও ছিল হতাশার। তবুও সেখানে প্রাপ্তি ছিল তাইজুল ইসলামের এনে দেওয়া একটি উইকেট। কিন্তু সেটিই প্রাপ্তি হয়ে থাকলো দ্বিতীয় সেশনের পরও। কারণ মধ্যাহ্নভোজের বিরতি থেকে চা বিরতি অবধি সময়টাতে কোনো উইকেট নিতে পারেনি বাংলাদেশ। এর মাঝে দারুণ এক সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন প্রোটিয়া ওপেনার টনি ডি জর্জি। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিনের চা বিরতি অবধি এক উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান করেছে প্রোটিয়ারা।  বাংলাদেশ এদিন শুরু করে দুই পেসার নাহিদ রানা ও হাসান মাহমুদকে দিয়ে। প্রথম ম্যাচে এক পেসার নিয়ে খেলার পর এ ম্যাচের একাদশে ফেরানো হয় নাহিদকে। এছাড়া আরও দুটি বদল আনতে হয়; জাকের আলি ও লিটন দাসের অসুস্থতায় সুযোগ পান মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও জাকির হাসান।  সকালের শুরুটা ভালো হয়নি তাদের। অবশ্য পেসারদের প্রথম স্পেল থেকেই উইকেট পেতে পারতো বাংলাদেশ। কিন্তু সপ্তম ওভারে টনি ডি জর্জির ক্যাচ ছেড়ে দেন উইকেটরক্ষক অঙ্কন। অভিষিক্ত অঙ্কনের জন্য অবশ্য সুযোগটা ছিল বেশ কঠিন। বাঁদিকে অনেকটা ঝাঁপিয়েও ক্যাচ নিতে পারেননি তিনি।  এরপর পুরো প্রথম ঘণ্টায় কোনো সাফল্য পায়নি বাংলাদেশ। ১৬তম ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজকেও বোলিংয়ে নিয়ে আসেন শান্ত। তিনি উইকেট না পেলেও সাফল্যের দেখা পান আরেক স্পিনার তাইজুল। তার বলে এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে আলগা শটে মিড অনে দাঁড়ানো মুমিনুলের হাতে ক্যাচ দেন এইডেন মার্করাম। ৫৫ বলে ৩৩ রান করেছিলেন তিনি।  একরকম উপহার হিসেবে পাওয়া মার্করামের উইকেট নিয়েই বাকি সেশন সন্তুষ্ট থাকতে হয় বাংলাদেশকে। প্রথম সেশনে এমন হতাশার পর দ্বিতীয়টিতে ভালো কিছু করা জরুরি ছিল স্বাগতিকদের। কিন্তু উল্টো হতাশা বেড়েছে আরও। এই সেশনে স্টাবস হাফ সেঞ্চুরি ও জর্জি পেয়েছেন শতকের দেখা। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছেন উদ্বোধনী ব্যাটার জর্জি। পঞ্চম টেস্টে দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি ছিল স্টাবসের। এই সেশনে বাংলাদেশ উইকেট পাওয়ার সম্ভাবনা জাগাতে পেরেছিল একবারই। তাইজুল ইসলামের বল ক্রিস্তিয়ান স্টাবসের ব্যাটের একদম পাশ দিয়ে যায়। তখন তাইজুলের মনে হয়েছিল, বল লেগেছে ব্যাটারের ব্যাটে। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও তার ওপর ভরসা করে রিভিউ নেন। কিন্তু পরে দেখা যায়, ব্যাটে লাগেনি বল। ৫০ ওভারের মধ্যে দ্বিতীয় রিভিউ নষ্ট করে বাংলাদেশ। সবমিলিয়ে দ্বিতীয় সেশনে কোনো উইকেট না হারিয়ে প্রোটিয়ারা ৯৪ রান তুলেছে।

অধিনায়কত্ব নিতে পুরোটাই তৈরি আছি: তাইজুল

অধিনায়কত্ব নিতে পুরোটাই তৈরি আছি: তাইজুল অধিনায়কত্ব ছাড়তে চান নাজমুল হোসেন শান্ত। বাংলাদেশ দল চট্টগ্রামের বিমান ধরার আগে এমন খবরে আবারও ক্রিকেটাঙ্গন আলোচনার তুঙ্গে। সেই আলোচনা আরও বেগবান করলেন তাইজুল ইসলাম। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের আগের দিন সোমবার (২৮ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলনে আসেন তাইজুল। যেখানে আসার কথা অধিনায়ক কিংবা কোচের মধ্য থেকে। প্রথা ভেঙে তাইজুলের আসাটা কিছুটা ব্যতিক্রমও বটে। স্বভাবতই তাইজুলের সংবাদ সম্মেলন হয়ে উঠলো শান্তময়। ঘুরে ফিরে আসে একই প্রশ্ন। না বোধক উত্তরে বারবার এড়িয়ে যেতে চেয়েছিলেন, শেষ পর্যন্ত প্রশ্ন এসে পড়ে তার কাঁধে। তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, অধিনায়কত্ব নিতে প্রস্তুত কি না? বাঁহাতি এই স্পিনারের সংক্ষিপ্ত কিন্তু আত্মবিশ্বাসী উত্তর, ‘যেহেতু ১০ বছর ধরে খেলেছি, অধিনায়কত্ব নিতে পুরোটাই তৈরি।’  সাকিব আল হাসান না থাকায় প্রথম টেস্ট থেকে আলোচনায় আছেন তাইজুল। প্রথম ইনিংসে দ্রুততম দুই’শ উইকেটের কীর্তি গড়ার পর সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল জানিয়েছিলেন, ‘তাইজুল তার প্রাপ্য সম্মান পান না।’ তামিমের মূল কথা ছিল, তাইজুল যে ধরণের পারফরম্যান্স করেন সে অনুযায়ী ফোকাসে থাকেন না। এদিন সংবাদ সম্মেলনে আসাটা তাইজুল যে দলে আলাদা গুরত্ব পাচ্ছে সেটার প্রমাণ বহন করে। সাকিব-তামিম ছাড়া তাইজুল এখন দলে বিবেচিত হচ্ছেন সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে। সেই হিসেবে দলের পরিকল্পনায় তার যুক্ত থাকার সময় হয়েছে কি না?  এমন প্রশ্নে তাইজুলের উত্তর, ‘যদি ব্যক্তিগতভাবে বলেন, ইম্প্লিমেন্ট করতে পারি। কিন্তু আমার যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, আপনি কতটুকু নিচ্ছেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ; সেটা টিমমেট হোক আর সেটা আমার দেশের জনগন হোক।’  ‘আমার কাছে মনে হয় অনেক ক্ষেত্রে মাঠে যখন বিভিন্ন পরিস্থিতি আসে, আমি যখন বল করি বা একটা স্পিনার যখন বল করে অনেক সময় ফিল্ড পজেশন বলেন বা একটা ব্যাটারকে কীভাবে সেট আপ করবো; এই হেল্পগুলো আমি কখন কখনও করে থাকি। অধিনায়ক আমাকে জিজ্ঞেস করে। এই সুযোগগুলো আসে, আমি চেষ্টা করি’ -আরও যোগ করেন তাইজুল।  ২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কিংস্টনে ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণে যাত্রা শুরু হয়েছিল তাইজুলের। এখন পর্যন্ত ১০ বছরে খেলেছেন ৪৮টি টেস্ট। সাকিবের পর দ্বিতীয় বোলার হিসেবে তিনি ২০০ উইকেটের মাইলফলক অর্জন করেন।  প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে ৭ উইকেটে হেরে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু হবে আগামীকাল থেকে।

‘এক যুগ’ পর ভারতের সিরিজ হার, নিউজিল্যান্ডের ইতিহাস

‘এক যুগ’ পর ভারতের সিরিজ হার, নিউজিল্যান্ডের ইতিহাস তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে ভারতকে ৮ উইকেটে হারায় নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয়টিতেও লড়াই করে তারা। জয় পায় ১১৩ রানে। ফলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নেয় সফরকারীরা। সঙ্গে গড়ে ইতিহাসও। ভারতের মাটিতে এটি তাদের প্রথম সিরিজজয়। অপরদিকে ১২ বছর পর সিরিজ হারার তিক্ত স্বাদ পেল ভারত।  পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৫৯ রান যোগ করে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ১৫৬ রানেই গুটিয়ে যায় ভারত। পরে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে আরও ২৫৫ রান যোগ করে কিউইরা। ফলে ভারতের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৫৯ রান। কিন্তু তৃতীয় দিনে সেই রান তুলতে পারেনি স্বাগতিকরা। গুটিয়ে যায় ২৪৫ রানেই। তৃতীয় দিনের শুরুতেই দ্বিতীয় ইনিংস খেলা নিউজিল্যান্ড নিজেদের দলীয় সংগ্রহ দুইশ পার করে। এরপর দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে তারা। শুরুটা হয় টম ব্লান্ডেলকে দিয়ে। জাদেজার বলে বোল্ড হয়ে তিনি ফেরেন ৪১ রানে। বাকি ২৪ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। কেবল অপরাজিত থাকেন গ্লেন ফিলিপস। ৮২ বলে ৪৮ রান করেন তিনি।   বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই রোহিত শর্মাকে হারায় ভারত। স্যান্টনারের বলে তিনি ক্যাচ দেন উইল ইয়ংকে। ফেরেন ৮ রান করে। এই বোলারের দারুণ বোলিংয়ে অবশ্য বাকিরাও ঠিকঠাক দাঁড়াতে পারছিলেন না। কেবল ইয়াশাসবি জায়সাওয়াল মারকুটে থেকে রান বাড়াচ্ছিলেন। অপরপ্রান্তে শুভমান গিল এসে ২৩ রান করে বিদায় নেন। টিকতে পারেননি বিরাট কোহলিও। ৪০ বলে ১৭ রান করে উইকেট হারান তিনি। রিশভ পন্থ অবশ্য রানের খাতা খোলার আগেই রান আউট হয়ে বিদায় নেন। ৪১ বলে ৫০ স্পর্শ করা জায়সাওয়াল আশা জাগালেও তাকে টিকতে দেননি স্যান্টনার। তার বল ড্যারিল মিচেলের হাতে তুলে দিয়ে বিদায় নেন ভারতীয় ওপেনার। খেলে যান ৬৫ বলে ৭৭ রানের ইনিংস। এরপর বাকিরা নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে। যদিও শেষদিকে লড়েন রবীন্দ্র জাদেজা। তিনি টিকে থাকেন শেষ পর্যন্ত। তবে আজাজ প্যাটেলের কাছে পেরে ওঠেননি। ৮৪ বলে তার ৪২ রানের ইনিংস শেষ হলে ইতিহাস গড়া হয় নিউজিল্যান্ডের। দলটির হয়ে একাই ৬ উইকেট তুলে নিয়েছেন স্যান্টনার। আজাজ দুটি ও গ্লেন ফিলিপস পান একটি উইকেট।