টেস্ট স্ট্যাটাস অর্জনের পঁচিশে বাংলাদেশ

টেস্ট স্ট্যাটাস অর্জনের পঁচিশে বাংলাদেশ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাবেক এক টেস্ট অধিনায়কের কড়া সমালোচনা, ‘টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার ২৫ বছর উদযাপন! এটা কেমন উদযাপন? স্ট্যাটাস পাওয়ার উদযাপন করার কী আছে? টেস্ট খেলছে পৃথিবীর আর কোনো দেশ কী এমন উদযাপন করে। টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার ২৫ বছর…তো এই ২৫ বছরে বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেট কতটুকু এগিয়েছে? কালেভাদ্রে কয়েকটি ম্যাচ জেতা বাদে কখনো কী এই ফরম্যাটে ধারাবাহিকতা ছিল। এসব বাদ দিয়ে মাঠের ক্রিকেটে মনোযোগ দেওয়াই উচিত।’’সাবেক টেস্ট অধিনায়কের এমন ঝাঁজালো বক্তব্য আসলে টেস্ট স্ট্যাটাস অর্জনের উদযাপনের স্রেফ সমালোচনা করাই নয়, বরং আসল জায়গায় বিসিবির কাজ না করার একটি চিত্রও বটে। এই উদযাপন হচ্ছে চলমান সপ্তাহজুড়ে। রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, চট্টগ্রাম ঘুরে আজ সমাপণী দিনে সবচেয়ে বড় আয়োজন মিরপুর হোব অব ক্রিকেটে। ২৫ বছর আগে, ২০০০ সালের ২৬ জুন আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশ হয় বাংলাদেশ। রজতজয়ন্তী উপলক্ষ্যে সপ্তাহব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্যে ছিল অনূর্ধ্ব-১২ সিক্স-এ-সাইড টুর্নামেন্ট, চিত্রাঙ্কন ও ধারাভাষ্য প্রতিযোগিতা, ‘হিট দা স্টাম্প’ চ্যালেঞ্জসহ নানান আয়োজন। ২০০০ সালের ২৬ জুন টেস্ট স্বীকৃতি পাওয়ার পর ভারতের বিপক্ষে ১০ নভেম্বর প্রথম ম্যাচ খেলতে নামে বাংলাদেশ। বর্তমান বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম প্রথম টেস্টে শতক হাঁকান। সেই দলের নেতৃত্বে ছিলেন নাঈমুর রহমান দূর্জয়। ঢাকা স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে স্কোয়াডে ছিলেন মোহাম্মদ রফিক, হাসিবুল হোসেন, আকরাম খান, এনামুল হক, খালেদ মাসুদ পাইলট, হাবিবুল বাশার, আল শাহরিয়ার রোকন, জাভেদ ওমর বেলিম, ফাহিম মুনতাসির, মেহেরাব হোসেন, শাহরিয়ার হোসেন, বিকাশ রঞ্জন দাস, রাজিন সালেহ, মঞ্জুরুল ইসলাম। আজ তাদের সংবর্ধনা দেবে বিসিবি। নানা কারণে অনেকেই থাকবেন না। যারা থাকবেন তাদের দেওয়া হবে বিশেষ ব্লেজার ও সম্মাননা। দেশজুড়ে নানা আয়োজনে রজতজয়ন্তী উদযাপনের দুটি কারণও ব্যাখ্যা করেছেন আমিনুল, ‘‘প্রোগ্রামটা আমরা দুইটা কারণে করেছি, একটা হচ্ছে টেস্ট ক্রিকেটের ২৫ বছর উদযাপন। আরেকটা হচ্ছে দেশব্যাপী বহু জায়গায় ক্রিকেট ঘুমিয়ে ছিল, তাদের একটা ওয়াকআপ কল দেওয়া। এটা আমরা অত্যন্ত সফলভাবে করতে পেরেছি।’’ যেভাবে বাংলাদেশের টেস্ট স্ট্যাটাস অর্জন ১৯৭৭ সালের ২৬ জুলাই আইসিসির সহযোগী সদস্যপদ লাভ করে বাংলাদেশ। আইসিসি ট্রফি জয়ের পর ১৯৯৭ সালের ১৫ জুন বাংলাদেশ অর্জন করে ওয়ানডে স্টাটাস। সেই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ টেস্ট স্টাটাসের জন্য আবেদন করেছিল। সে সময়ে পাঁচটি দেশ বাংলাদেশের পক্ষে ভোট দিলেও চারটি দেশ আরো পর্যবেক্ষণের পরামর্শ দেয়। তাতে ভেস্তে যায় সেই আবেদন। তবে ১৯৯৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ স্কটল্যান্ড এবং পাকিস্তানকে হারালে টেস্ট স্টাটাস অর্জনের ভিত্তি স্থাপিত হয়। এর পাশাপাশি বিভিন্নভাবে লবিং অব্যাহত থাকে। যেই কাজটা তখন বেশ সিদ্ধহস্তে করেছিলেন ক্রিকেটের দুই মহারথী সাবের হোসেন চৌধুরী ও সৈয়দ আশরাফুল হক। পাশাপাশি বাংলাদেশের জন্য কাজটা আরো সহজ হয় তখন আইসিসি সভাপতি ছিলেন জগমোহান ডালমিয়া। যিনি সব সময় বাংলাদেশ ক্রিকেটের শুভাকাঙ্খী ছিলেন। মূলত তার আমল থেকেই বাংলাদেশের টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ২০০০ সালের ২৬ জুন আসে মাহেন্দ্রক্ষণ। ক্রিকেট-তীর্থ লন্ডনের লর্ডসের লং রুমে আইসিসির নতুন সভাপতি অস্ট্রেলিয়ার ম্যালকম গ্রে বাংলাদেশকে দশম টেস্ট দল হিসেবে বাংলাদেশের নাম ঘোষণা করেন। লর্ডসে যখন সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় তখন বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা। ব্যাস, এরপরই পুরো দেশে শুরু হয়ে যায় উৎসব। পরদিন ঢাকাসহ সারাদেশে বাংলাদেশ ক্রিকেটের জোয়ার লেগে যায়। শুরু হয়ে যায় নতুন এক পথ চলা।
অস্বস্তিতে দিন পার বাংলাদেশের

অস্বস্তিতে দিন পার বাংলাদেশের কলম্বো টেস্টের প্রথম দিনেই ব্যাকফুটে বাংলাদেশ। টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ৮ উইকেটে ২২০ রানে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ। অস্বস্তিতে দিন পার করেছে সফরকারীরা। উল্টো অবস্থা স্বাগতিক শিবিরে। বাংলাদেশকে চাপে রেখে হাসি ফুটেছে শ্রীলঙ্কার ড্রেসিংরুমে। ব্যাটিং ব্যর্থতায় প্রথম দিনেই প্রবল চাপে বাংলাদেশ। আউট হওয়া আট ব্যাটসম্যানের মধ্যে কেউই ফিফটির ছোঁয়া পাননি। চল্লিশের ঘরে যেতে পেরেছেন কেবল সাদমান ইসলাম। এছাড়া ত্রিশে গিয়ে আটকে গিয়েছেন মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ। টপ ও মিডল অর্ডার থেকে বড় স্কোর না আসায় ব্যাটিংয়ে দিনটা একদমই বাজে গেছে বাংলাদেশের। তাইজুল ইসলাম ৯ ও ইবাদত হোসেন ৫ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন। উইকেট গলের মতো ব্যাটিং বান্ধব নয়। বল টার্ন করেছে। পেসারদের জন্য সুইং ছিল। বোলাররা উইকেট থেকে সুবিধা আদায় করতে পারছেন। নতুন বলে শ্রীলঙ্কা শুরুতেই সাফল্য পায়। ১০ বল খেলে কোনো রান না করে বোল্ড হন এনামুল হক বিজয়। সিরিজে এটি তার দ্বিতীয় ডাক। এরপর মুমিনুল ও সাদমান দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। তবে বেশিদূর যেতে পারেননি। আলগা শটে ধনাঞ্জয়ার বলে কাভারে ক্যাচ দেন মুমিনুল। ২১ রানে ফেরেন তিনি। ভালো করেননি গলে জোড়া সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। বিশ্ব ফার্নান্দোর বলে খোঁচা মেরে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ৮ রানে। সাদমান একপ্রান্ত আগলে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। ফিফটি ছোঁয়ার পথেই ছিলেন। কিন্তু ৪ রান দূরে থাকতে নিজের উইকেট বিলিয়ে আসেন। ৯৩ বলে ৭ চারে ৪৬ রানের ইনিংসটি সাজান তিনি। এরপর মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের লড়াই শুরু হয়। ইনিংসের শুরুতে দুজনই জীবন পেয়েছিলেন। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি। তাদের জুটিও তেমন বড় হয়নি। লিটন ব্যক্তিগত ৩৪ রানে ধানুশার বলে মেন্ডিসের হাতে ক্যাচ দেন। সঙ্গী হারানোর পর মুশফিকুর ৩৫ রানে একই বোলারের বলে আউট হন। পরে লড়াই করেন মিরাজ ও নাঈম। তাদের দুজনের ব্যাটে দুইশ অতিক্রম করার পথে ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দলীয় ১৯৭ রানে মিরাজ ৩১ রানে আউট হলে ব্যাকফুটে চলে যায় বাংলাদেশ। ভরসা হয়ে আশা দেখাচ্ছিলেন নাঈম। কিন্তু ২৫ রানে তাকে বোল্ড করেন আসিথা ফার্নান্দো। বোলারদের নৈপূণ্যে শ্রীলঙ্কা কলম্বোর এসএসি মাঠে প্রথম দিন দাপট দেখিয়েছে। বাংলাদেশ আড়াইশ রান করতে পারলে কিছুটা আত্মবিশ্বাস পাবে। লেজের ব্যাটসম্যানদের সুবাদে সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে কিনা সেটাই দেখার।
কলম্বোয় বৃষ্টির আগে নড়বড়ে বাংলাদেশ

কলম্বোয় বৃষ্টির আগে নড়বড়ে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কায় বছরের এ সময় বৃষ্টি-বাদলা হওয়া স্বাভাবিক ঘটনা। বৃষ্টির কারণে বহু ম্যাচ ভেসে যাওয়ার ঘটনাও আছে। বাংলাদেশ দলের এবারের শ্রীলঙ্কা সফরেও যে বৃষ্টি বড় ভূমিকা রাখবে, সেটি জানাই ছিল। গলে প্রথম টেস্টের একটা অংশ ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। কলম্বোতেও প্রথম দিন থেকেই শুরু হয়েছে বৃষ্টির বাগড়া। তবে সকালের সেশনে বৃষ্টি ছিল না। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম সেশনে ২ উইকেটে ৭১ রান করতে পারে বাংলাদেশ। এর মধ্যে প্রথম উইকেটটি যায় শুরুর দিকেই, দলীয় ৫ রানে। টানা তৃতীয়বারের মতো ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন বাংলাদেশ দলের ওপেনার এনামুল হক বিজয়। আজকে রানের খাতাই খুলতে পারেননি তিনি। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে আসিথা ফার্নান্ডোর বলে ১০ বল খেলে বোল্ড হয়ে ফেরেন শূন্য রানে। যদিও বোল্ড হওয়ার আগে দুইবার জীবন পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। চলতি সিরিজে সবমিলিয়ে তিন ইনিংসে ৪০ বল খেলে ৪ রান করতে পেরেছেন এই ডানহাতি। শুরুর ওই ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন মুমিনুল হক ও সাদমান ইসলাম। কিন্তু রান তুলতে হিমশিম খাচ্ছিলেন দুজনেই। তাদের জুটিও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টায় থাকা মুমিনুল ব্যক্তিগত ২১ রানে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার প্রথম বলেই কভারে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন। এরপর সাদমান দায়িত্ব নিয়ে খেলছিলেন। কিন্তু তাকে সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। যদিও প্রথম ইনিংসে আর উইকেট পড়তে দেননি তারা। আগের দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকানো এই বাঁহাতি আজ ফিরেছেন মধ্যাহ্ন বিরতির পরেই। ৩১ বলে ৮ রান করে উইকেটকিপার কুশল মেন্ডিসের হাত ধরা পড়েন তিনি। ফিফটির দিকে ছুটতে থাকা সাদমান এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ফিফটি থেকে ৪ রান দূরে থামে তার লড়াই। ৯৩ বলে ৭ চারে ৪৬ রান করা সাদমান বিদায় নেওয়ার পর ক্রিজে আসেন লিটস দাস। তাদের লড়াই শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই নামে বৃষ্টি। মাঝে একবার বৃষ্টি থামলে কভার সরানো হয়। কিন্তু মিনিট দশেকের মধ্যে আবার বৃষ্টি পড়তে শুরু হলে খেলা বন্ধ রাখা হয়। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৩.২ ওভারে ৪ উইকেটে ৯০ রান করেছে বাংলাদেশ। মুশফিক ৭ ও লিটন ৮ রানে ব্যাট করছেন।
তৃতীয় ওপেনার হিসেবে দলে নাঈম শেখ, সৌম্যকে কড়া বার্তা

তৃতীয় ওপেনার হিসেবে দলে নাঈম শেখ, সৌম্যকে কড়া বার্তা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ১৬ জনের স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছেন বাঁহাতি ওপেনার সৌম্য সরকার। তার পরিবর্তে দলে তৃতীয় ওপেনার হিসেবে জায়গা পেয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। ২০২৩ সালের এশিয়া কাপের পর দল থেকে বাদ পড়েন নাঈম। এরপর ঘরোয়া ক্রিকেটে রানবন্যা বইয়ে দিয়ে প্রায় দুই বছর পর জাতীয় দলে ফিরেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। সোমবার সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচক আশরাফুল হোসেন লিপু দল ঘোষণা করেন। নাঈম শেখের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে তিনি বলেন, “দেখুন, দল নির্বাচনের আগে আমরা এই মুহূর্তে একটা ‘বেস্ট পসিবল কম্বিনেশন’ ভাবি। সেই ভাবনার সময় ওপেনারের জায়গা তো একটা স্পেশালিস্ট জায়গা। তখন একজন বিকল্প ওপেনারের কথা চিন্তা করতে হয়। “সাধারণত দলে তিনজন ওপেনার থাকে। সেই আলোকে আমাদের যখন চিন্তা করতে হয়েছে, তখন এই মুহূর্তে সবচেয়ে ভালো ও উপলব্ধ (available) খেলোয়াড় হিসেবে নাঈম শেখকেই আমরা বেছে নিয়েছি।” — আরও যোগ করেন লিপু। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ২০২৩–২৪ মৌসুমে নাঈম শেখ পাঁচ শতাধিক রান করেন। ২০২৪ সালের আসরে ১টি সেঞ্চুরি ও ৪টি ফিফটিতে তিনি করেন ৫৩৬ রান। চলতি বছরের প্রিমিয়ার লিগে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে ১১ ইনিংসে ২টি সেঞ্চুরি ও ২টি ফিফটিতে তার সংগ্রহ ছিল ৬১৮ রান। স্ট্রাইক রেট ছিল চোখে পড়ার মতো—১২১.৮৯। নাঈমের ব্যাটিংয়ের ধরনে পরিবর্তন এসেছে বলেও মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচক, যা তার কাছে ইতিবাচক মনে হয়েছে। পাশাপাশি সৌম্য সরকারকেও দিয়েছেন কড়া বার্তা। চোট এবং সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনায় তাকে না রাখার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি। প্রধান নির্বাচক বলেন, “সৌম্য সরকার একজন গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। ১০ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তিনি যেন নিজেকে প্রস্তুত রাখেন—এটাই প্রত্যাশা। আমরা চাই বড় পরিসরে তিনি দলের সার্বিক সাফল্যে ভূমিকা রাখুন। তাকে আমরা ভুলে যাইনি। তবে তাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে আসতে হবে যোগ্যতার ভিত্তিতে।”
চমক রেখেই শ্রীলঙ্কা সিরিজের ওয়ানডে দল ঘোষণা বিসিবির

চমক রেখেই শ্রীলঙ্কা সিরিজের ওয়ানডে দল ঘোষণা বিসিবির শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের জন্য মেহেদী হাসান মিরাজকে অধিনায়ক করে ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি। যেখানে বড় চমক মোহাম্মদ নাঈম শেখের অন্তর্ভুক্তি। দুই বছর পর দলে ফিরেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। পুরো স্কোয়াডে একমাত্র চমক বলতে গেলে সেটাই। বাকি সবক্ষেত্রেই চেনা মুখেদের ওপর ভরসা রেখেছে বিসিবি। এ ছাড়া চোট কাটিয়ে দলে ফিরেছেন পেসার তাসকিন আহমেদও। আজ মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন দল ঘোষণা করেন।
বিতর্কিত কান্ড করে শাস্তির মুখে ভারতের সহ-অধিনায়ক

বিতর্কিত কান্ড করে শাস্তির মুখে ভারতের সহ-অধিনায়ক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হেডিংলি টেস্টে এক বিতর্কিত ঘটনার জন্ম দিয়েছেন ভারতের সহ-অধিনায়ক ঋষভ পন্ত। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে প্রকাশ্য অসন্তোষ দেখিয়ে তিনি আইসিসির আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পন্তকে শাস্তির মুখোমুখি হওয়া লাগতে পারে। ঘটনাটি ঘটে ম্যাচের ৬১তম ওভারে। মোহাম্মদ সিরাজের করা ওভারের পঞ্চম বলে হ্যারি ব্রুক একটি বাউন্ডারি হাঁকানোর পর পন্ত বলের অবস্থা নিয়ে আপত্তি জানান এবং আম্পায়ার পল রাইফেলের কাছে বল বদলের আবেদন করেন। রাইফেল গজ দিয়ে বল পরীক্ষা করে জানান, বলে কোনো সমস্যা নেই। শেষ পর্যন্ত আবেদন প্রত্যাখ্যাত হলে পন্ত বিরক্তি প্রকাশ করে বলটি ব্যাকহ্যান্ডে মাটিতে ছুঁড়ে দেন এবং সেখান থেকে সরে দাঁড়ান। ঘটনার পরপরই পরবর্তী ওভারে আম্পায়ারদের বল পরীক্ষা করতে দেখা যায় এবং শুবমান গিল ও যশপ্রীত বুমরাহকেও আম্পায়ারদের সঙ্গে আলোচনায় জড়াতে দেখা যায়।
শেষ টেস্ট খেলতে গল থেকে কলোম্বোতে বাংলাদেশ দল

শেষ টেস্ট খেলতে গল থেকে কলোম্বোতে বাংলাদেশ দল দাপট দেখিয়েও গল টেস্ট জিততে পারেনি বাংলাদেশ। ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে টাইগারদের। এবার সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে চোখ নাজমুল হোসেন শান্তর দলের। আজ দ্বিতীয় টেস্টের ভেন্যু কলোম্বোতে পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল। দলের সঙ্গে সকল ক্রিকেটার এবং কোচিং স্টাফের সদস্যরা সেখানেই পৌঁছেছেন। কলোম্বো পৌঁছে অবশ্য ক্রিকেটাররা ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন। ব্যক্তিগত উদ্যোগে ঘুরে ফিরে দেখছেন ক্রিকেটাররা। কয়েকজন ক্রিকেটারের সঙ্গে রয়েছেন পরিবারের সদস্যরাও। আগামীকাল থেকে মাঠের অনুশীলনে নামার কথা রয়েছে বাংলাদেশ দলের। আগামী দুইদিন অনুশীলন শেষে আগামী ২৫ জুন সিরিজের শেষ টেস্টে মাঠে নামবে দুই দল। শেষ টেস্টে দলে দেখা যাবে মেহেদী হাসান মিরাজকে। কলম্বো টেস্ট নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী অধিনায়ক শান্ত। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই এই ম্যাচ আত্মবিশ্বাস দেবে। মিরাজ সুস্থ আছে পুরোপুরি। আশা করি পরের ম্যাচে খেলতে পারবে। কন্ডিশন ভিন্ন হবে। ওই মাঠে খেলার অভিজ্ঞতা খুব কম প্লেয়ারেরই আছে। মুশফিক (মুশফিকুর রহিম) ভাইয়ের সম্ভবত ১ ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে। এছাড়া আর কেউ খেলেনি। কন্ডিশনে বুঝে টিম কম্বিনেশন হবে। ব্যাটিং অইখানে যাওয়ার পর বুঝতে পারব। এই ম্যাচ অবশ্যই দলকে আত্মবিশ্বাস দেবে।’
অপরাজিত থেকেই বিশ্বকাপের টিকিট পেলো কানাডা

অপরাজিত থেকেই বিশ্বকাপের টিকিট পেলো কানাডা ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টিকিট পেলো কানাডা। আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে বাহামাসকে ৭ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে তারা। গতকাল টস জিতে বাহমাসকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় কানাডা। কালিম সানা ও শিবম শর্মার দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ৫৭ রানে অলআউট হয় বাহামাস। ৩টি করে উইকেট নেনে কালিম সানা ও শিবম শর্মা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৫ ওভার ৩ বলে জয় তুলে নেয় কানাডা। ১৪ বলে অপরাজিত ৩৬ রানের ইনিংস খেলেন দিলপ্রীত বাজওয়ার। এই জয়ে ৫ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থেকে বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করেছে কানাডা। বাছাইপর্বে এখনও একটি ম্যাচ বাকি থাকলেও আগেই নিশ্চিত হয়েছে তাদের টিকিট। পুরো টুর্নামেন্টজুড়েই দুর্দান্ত খেলেছে কানাডা। প্রথম ম্যাচেই বারমুডাকে হারায় ১১০ রানে। এরপর কেম্যান আইল্যান্ডসকে ৫৯ রানে এবং বাহামাসকে আগেও হারায় ১০ উইকেটে। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৫ ম্যাচে অপরাজিত দলটি। ২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বসবে ভারত ও শ্রীলঙ্কার মাটিতে। আয়োজক দুই দেশের পাশাপাশি ইতোমধ্যে চূড়ান্ত পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে—আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, যুক্তরাষ্ট্র, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আয়ারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তান। কানাডাসহ মোট ১৩টি দল নিশ্চিত হয়ে গেছে বিশ্বকাপের মঞ্চে। বাকি ৭টি দল নির্ধারিত হবে আঞ্চলিক বাছাইপর্ব থেকে। ইউরোপ থেকে ২টি (৫-১১ জুলাই), আফ্রিকা থেকে ২টি (১৯ সেপ্টেম্বর-৪ অক্টোবর) এবং এশিয়া ও ইস্ট এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে ৩টি (১-১৭ অক্টোবর) দল বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে।
ইংল্যান্ডে ভারতের রানবন্যা, ইতিহাস গড়লেন জয়সওয়াল-গিল

ইংল্যান্ডে ভারতের রানবন্যা, ইতিহাস গড়লেন জয়সওয়াল-গিল ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার পাঁচ ম্যাচের রোমাঞ্চকর টেস্ট সিরিজ শুরু হয়েছে গতকাল থেকে। যেখানে প্রথম দিনেই স্বাগতিক বোলারদের নাস্তানাবুদ করে শুভমান গিলের দল বড় পুঁজি পেয়েছে। হেডিংলিতে চলমান এই ম্যাচ দিয়ে অধিনায়ক গিলের অধ্যায় শুরু করল ভারত। যেখানে তিনি সামনে থেকেই দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ইতিহাসের পাতায় নাম তুলে জোড়া সেঞ্চুরি করেছেন যশস্বী জয়সওয়াল ও গিল। প্রথম টেস্টের প্রথম দিন শেষে ইংলিশদের বিপক্ষে ভারতের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৩৫৯ রান। স্বাগতিক বেন স্টোকসের দল যে বাজবলের ক্রিকেটে দ্রুতগতিতে রান তোলার চেষ্টায় নামবে, তা তাদের সাম্প্রতিক টেস্টের ইতিহাসই বলে দিচ্ছে। তবে আগে ব্যাট করতে নামা ভারতের কাছ থেকেই তাদের একই ধাক্কা সামলাতে হলো। ৮৫ ওভার ব্যাট করে ৪.২২ গড়ে রান তুলেছেন গিল-জয়সওয়ালরা। ওপেনার জয়সওয়ালের ইতিহাসগড়া ইনিংস ১০১ রানে থামলেও, গিল অপরাজিত আছেন ১২৭ রানে। এ ছাড়া লোকেশ রাহুল করেন ৪২, ঋষভ পান্ত অপরাজিত ৬৫–তে। হেডিংলি টেস্টের প্রথম দিনেই বেশকিছু রেকর্ড গড়েছে ভারত জয়সওয়াল ইংল্যান্ডে এদিন নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন ভারতীয় এই তরুণ ওপেনার। অভিষেক দিনেই তিনি সেঞ্চুরি করেছেন। এ নিয়ে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে তিনি অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং ইংল্যান্ডের মাটিতে অভিষেক টেস্টেই সেঞ্চুরি পেলেন। অস্ট্রেলিয়ায় প্রথমবার খেলতে নেমেই সেঞ্চুরির কীর্তি আছে তিন ভারতীয় ব্যাটারের– মোতগানহালি জয়সিমা, সুনীল গাভাস্কার ও জয়সওয়াল। আর ইংল্যান্ডে অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি করেন ৬ জন। জয়সওয়াল ছাড়া বাকিরা হচ্ছেন– বিজয় মাঞ্জরেকার, আব্বাস আলি বেগ, সন্দ্বীপ পাতিল, সৌরভ গাঙ্গুলি ও মুরালি বিজয়। তবে জয়সওয়ালই একমাত্র ব্যাটার হিসেবে দুই ভূমিতেই একই কীর্তি গড়লেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত নিজের ভূখণ্ডসহ পাঁচ দেশে খেলতে নেমে চারটিতেই অভিষেক টেস্টে ৫০+ রানের ইনিংস খেললেন ভারতীয় এই ওপেনার। ওয়েস্ট ইন্ডিজে শুরুটা হয়েছিল ১৭১ রান দিয়ে, ঘরের মাটিতে ৮০ (আরেক ইনিংসে ১৫), অস্ট্রেলিয়ায় ১৬১ (প্রথম ইনিংসে শূন্য) ও ইংল্যান্ডে ১০১ দিয়ে শুরুটা করলেন জয়সওয়াল। কেবল দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম টেস্টে করেন ১৭ ও ৫ রান। গিল চতুর্থ ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে নিজের অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি করেছেন শুভমান গিল। ১৯৫১ সালে বিজয় হাজারে (১৬৪*, ঘরের মাঠে), সুনীল গাভাস্কার ১৯৭৬ সালে (১১৬, নিউজিল্যান্ড), ২০১৪ সালে বিরাট কোহলি (১১৫, অস্ট্রেলিয়া) এবং শুভমান গিল (১০২*) যুক্ত হলেন তালিকায়।এ ছাড়া বিদেশ সফরের প্রথম দিনেই দুই ভারতীয় ব্যাটারের সেঞ্চুরি এ নিয়ে তৃতীয়বার দেখা গেল। দক্ষিণ আফ্রিকায় বিপক্ষে ২০০১ সালে শচীন টেন্ডুলকার ও বীরেন্দর শেবাগ, ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেখর ধাওয়ান ও চেতেশ্বর পূজারা এবং গিল-জয়সওয়াল ২০২৫ সালে প্রথম দিনেই করলেন জোড়া সেঞ্চুরি। ভারত গতকাল পুরো ৯০ ওভার না খেললেও ৩৫৯ রান তুলেছে স্কোরবোর্ডে। যা দেশের বাইরে টেস্টের প্রথম দিনে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এর আগে গলে লঙ্কানদের বিপক্ষে ৩৯৯/৩ এবং ২০০১ সালে ব্লুমফন্টেনে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে তারা ৩৭২/৭ করেছিল। এ ছাড়া পাকিস্তানের মুলতানে ২০০৪ সালে তুলেছিল ৩৫৬/২।
ইতিহাসের পাতায় শান্ত, প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে গড়লেন বিরল রেকর্ড

ইতিহাসের পাতায় শান্ত, প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে গড়লেন বিরল রেকর্ড শেষ কবে একজন বাংলাদেশি ব্যাটার টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করেছিলেন? উত্তরটা খোঁজা খুব একটা কঠিন না। ২০২৩ সালেই মাত্র দ্বিতীয় বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে এই কীর্তি গড়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ১৭৬ আর দ্বিতীয় ইনিংসে করেছিলেন ১২৪। এর আগে এই কীর্তি ছিল কেবল মুমিনুল হকের। তার কীর্তি ছিল এই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই.২০১৮ সালে চট্টগ্রাম টেস্টে। ১৭৬ রান করেছিলেন প্রথম ইনিংসে, দ্বিতীয় ইনিংসে তার উইলো থেকে আসে ১০৫ রান। নাজমুল শান্তর সামনে সুযোগ ছিল বাংলাদেশের প্রথম ‘অধিনায়ক হিসেবে’ টেস্টে দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করা এবং প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ‘দুইবার’ একই টেস্টের দুই ইনিংসে সেঞ্চুরির কীর্তি গড়ার। গলের প্রথম টেস্টে শান্ত করেছেন এই দুটি রেকর্ডই। ৫ম দিনে লাঞ্চের আগে বৃষ্টি হানা দেয়। তার আগ পর্যন্ত করেন ৮৯ রান। লাঞ্চের পর ব্যাট করতে নেমে বাকি ১১ রান নেন দেখেশুনে। আরও ২২ বল খেলেন সেঞ্চুরি পূরণ করতে। সবমিলিয়ে টেস্টে এটি তার ৭ম সেঞ্চুরি। মোহাম্মদ আশরাফুলকে পেরিয়ে শান্ত এখন বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট ইতিহাসে চতুর্থ সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক। এর আগে বাংলাদেশের হয়ে একই টেস্টে দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরির ঘটনা ঘটে দেশের মাটিতে। শান্তর কীর্তিটা তাই একটু ভিন্ন। টাইগার অধিনায়ক তার এবারের জোড়া সেঞ্চুরি পেয়েছেন গলে, অর্থাৎ দেশের বাইরে। শান্তর কীর্তি হয়েছে আরও একটি। বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি তার। নিজে অধিনায়ক থাকা অবস্থায় এটি তার তৃতীয় সেঞ্চুরি। সবচেয়ে বেশি ৪ সেঞ্চুরি আছে মুশফিকুর রহিমের। মুমিনুল হক, মোহাম্মদ আশরাফুল আর হাবিবুল বাশারের ছিল ২টি করে সেঞ্চুরি। সবমিলিয়ে টেস্ট ইতিহাসে দুইবার এক টেস্টে দুই সেঞ্চুরি পাওয়া ১৫তম ক্রিকেটার হলেন শান্ত। এদের মধ্যে ডেভিড ওয়ার্নার, রিকি পন্টিং ও সুনীল গাভাস্কারই কেবল ৩ বার করে টেস্টের দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি পেয়েছেন। একনজরে শান্তর যত কীর্তি : ১ম বাংলাদেশি হিসেবে দুইবার টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি ১ম বাংলাদেশি অধিনায়ক হিসেবে টেস্টের দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি দেশের বাইরে ১ম টেস্টের দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি টেস্ট ইতিহাসে মাত্র ১৫তম ব্যাটার হিসেবে দুইবার টেস্টের দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি মাত্র ১৬তম অধিনায়ক হিসেবে টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি