বিপিএল থেকে নাম প্রত্যাহার তামিমের

বিপিএল থেকে নাম প্রত্যাহার তামিমের শেষ পর্যন্ত সব গুঞ্জনের অবসান ঘটালেন তামিম ইকবাল নিজেই। এবারকার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) তিনি খেলবেন না। ক্রিকেটভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ক্রিকবাজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তামিম। আগামী ২৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিপিএল খেলোয়াড় নিলাম (প্লেয়ার্স ড্রাফট) থেকে নিজের নাম তুলে নেওয়ার অনুরোধও তামিম জানিয়ে দিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস ম্যানেজার শাহরিয়ার নাফিসকে। এই প্রসঙ্গে ক্রিকবাজকে তামিম বলেন, হ্যাঁ, আমি বিপিএলে অংশ নিচ্ছি না। ড্রাফট থেকে আমার নাম বাদ দেওয়ার অনুরোধ করেছি।’ ২০১২ সালে বিপিএল যাত্রা শুরুর পর থেকে প্রতিটি আসরেই মাঠে দেখা গেছে তামিমকে। এমনকি শেষ দুই মৌসুমে ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক হিসেবে দলকে ফাইনালে তুলেছিলেন এবং শিরোপাও জিতিয়েছেন। তবে এবার পরিস্থিতি বদলে গেছে। বোর্ড নির্বাচনের সাম্প্রতিক উত্তাপ, ফিসনেট ইস্যু এবং বরিশাল ফ্র্যাঞ্চাইজি না থাকা- সবকিছু মিলিয়ে তার বিপিএলে অংশগ্রহণ ক্রমেই অনিশ্চিত হয়ে উঠেছিল। শেষ পর্যন্ত তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিলেন, এবারের বিপিএলে তাকে দেখা যাচ্ছে না। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সর্বশেষ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েও শেষ মুহূর্তে সরকারি হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে সরে দাঁড়ান তামিম ইকবাল। সেই ঘটনার পর থেকেই দেশের এই তারকা ওপেনারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, বিশেষ করে বিপিএলে তার অংশগ্রহণ নিয়ে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছিল।
রাজস্থানের কোচ হয়েই আইপিএলে ফিরছেন সাঙ্গাকারা

রাজস্থানের কোচ হয়েই আইপিএলে ফিরছেন সাঙ্গাকারা আবারও রাজস্থান রয়্যালসের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন কুমার সাঙ্গাকারা। তিনি আগের মতোই ক্রিকেট পরিচালকের ভূমিকায়ও কাজ চালিয়ে যাবেন। সোমবার এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ফ্র্যাঞ্চাইজি। ২০২১ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত রয়্যালসের প্রধান কোচ ছিলেন সাঙ্গাকারা। তার অধীনে দল ২০২২ সালে ফাইনালে ওঠে এবং ২০২৪ আইপিএলে পৌঁছেছিল প্লে-অফে। গত মৌসুমে (আইপিএল ২০২৫) প্রধান কোচের দায়িত্বে ছিলেন রাহুল দ্রাবিড়। সাঙ্গাকারার প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রধান মালিক মনোজ বাদালে বলেন, ‘এই মুহূর্তে দলের যে ধরনের নেতৃত্ব দরকার, সাঙ্গাকারার অভিজ্ঞতা, স্কোয়াডের সঙ্গে তার পরিচয়, এবং রয়্যালসের সংস্কৃতি সম্পর্কে গভীর বোঝাপড়াই আমাদের জন্য স্থিতি ও ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করবে। তিনি সবসময় আমাদের পূর্ণ আস্থার জায়গা ছিলেন।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘তার স্বচ্ছতা, শান্ত স্বভাব এবং ক্রিকেট–বুদ্ধিমত্তা দলকে পরবর্তী ধাপে এগিয়ে নিতে বড় ভূমিকা রাখবে।’ এদিকে, বিক্রম রাঠোরকে পদোন্নতি দিয়ে লিড অ্যাসিস্ট্যান্ট কোচ করা হয়েছে। বোলিং কোচ হিসেবে আগের মতোই দায়িত্বে থাকছেন শেন বন্ড। সহকারী কোচ হিসেবে ফিরছেন ট্রেভর পেনি এবং পারফরম্যান্স কোচ হিসেবে থাকছেন সিদ লাহিড়ি।
‘একশটা টেস্টই যেন শেষ না হয়’

‘একশটা টেস্টই যেন শেষ না হয়’ যে ক্ষণটার জন্য অপেক্ষা ছিল, যে সময়টার জন্য প্রতীক্ষা ছিল তার খুব কাছাকাছি ক্রিকেটাঙ্গন। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম যিনি টেস্ট ক্রিকেটের তিন অঙ্কে পৌঁছতে যাচ্ছেন। ১৯ নভেম্বর ঢাকায় আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট। এই টেস্টেই শততম টেস্টে মাইলফলক স্পর্শ করবেন মুশফিকুর। সময় তাই যত ঘনিয়ে আসছে ততই মুশফিকুরকে ঘিরে বাড়ছে উচ্ছ্বাস, উন্মাদনা ও রোমাঞ্চ। যা ছুঁয়ে যাচ্ছেন মুশফিকুরের কোচদেরও। যাদের সঙ্গে ক্যারিয়ারের বিভিন্ন সময় কাজ করেছেন, তাদের সবার চাওয়া মাইলফলক ছোঁয়া এই সময়টা তিনি উপভোগ করুক প্রাণ খুলে। নিজের আনন্দে খেলুক। শুধু তা-ই নয়, একশ টেস্টেই যেন থমকে না যায় মুশফিকুর ব্যাট। অন্তত এক-দুই বছর তাকে টেস্ট অঙ্গনে দেখতে চান প্রত্যেকে। কোচ, বিসিবির গেম ডেভেলাপমেন্ট বিভাগ ‘‘আমাদের দেশে যারা টেস্ট খেলে তাদের টেস্টের সংখ্যা কম। এটা যদি ইংল্যান্ড হইতো বা অস্ট্রেলিয়াতে হতো বা ভারতেরও হতো, ওর যতদিন ধরে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার, এতদিনে দেড়শ টেস্ট খেলে ফেলতো। সেই হিসাবে ইদানিং আমাদের একটু টেস্ট সংখ্যা বেড়েছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের কারণে। আগে তো অনেক কম হইতো। সেখান থেকে একশটা টেস্ট খেলা মানে বিশাল কিছু।’’ ‘‘ওর সফরটা দেখেন আপনি। শুধু একশ টেস্ট বলবেন…ও কতদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে। এমন না যে অযথাই খেলছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কিন্তু আপনার পারফর্ম করে খেলতে হয়। আপনি পারফর্ম ছাড়া থাকলে আপনাকে কিন্তু খেলাবে না।’’ ‘‘মুশফিকুরকে তার পারফরম্যান্সটা ধরে রাখতে হয়েছে। আমাদের দেশের প্রথম একজন যে একশ টেস্ট খেলতে যাচ্ছে। এজন্য ও নিজেকে প্রস্তুত রেখেছে। ওই ক্ষুধাটা তার ছিল। ওই জেদটা তার ছিল। আমি আশা করব, যদি দলের চাহিদা থাকে এবং তারও খেলার ইচ্ছা তাহলে যেন আরো খেলা চালিয়ে যায়। আরো বেশিদিন মাঠে থাকে। মানে একশটা টেস্ট যেন শেষ না হয়।’’ মিজানুর রহমান বাবুল কোচ, বিসিবির গেম ডেভেলাপমেন্ট বিভাগ ‘‘মুশফিকুরকে শুভকামনা। একজন পারফেক্ট ব্যাটসম্যান। একজন পারফেক্ট স্পোর্টসম্যান। যাকে আপনি অনুসরণ করলে, যাকে আপনি মেনে চললে, আদর্শ ভাবলে ক্যারিয়ারে উন্নতি করতে পারবেন। বাংলাদেশের ক্রিকেট যেভাবে চলে, যে ধাঁচে এগিয়ে যায় সেখানে একজনের ক্যারিয়ার শীর্ষ পর্যায়ে ২০ বছর টিকে থাকা মুশকিল। মুশফিকুর প্রমাণ করেছে যদি আপনার নিবেদন থাকে, ভালো করার ইচ্ছা থাকে তাহলে আপনি পারবেন।’’ ‘‘ব্যাটসম্যান মুশফিকুর সব সময়ই বাংলাদেশ দলের সেরা। মিডল অর্ডারে লম্বা সময় বাংলাদেশকে সার্ভ করেছে। দেখুন তাকে চ্যালেঞ্জ করে কেউ তাকে রিপ্লেস করতে পারেনি। পারফর্ম করেই সে টিকে আছে এবং খেলে যাচ্ছে। আমি চাই সে সেই ধারাবাহিকতাই ধরে রাখুক। এখনো ফিট আছে। অন্যদের চেয়ে বেশি পরিশ্রম করছে। খেলার প্রতি ভালোবাসা না থাকলে এটা হয় না।’’ ‘‘শততম টেস্টটায় সেঞ্চুরি লাগবেই, এমনটাই নয়। হলে ভালো। না হলেও চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। থামলে হবে না। ওর অভিজ্ঞতাটা এই দলের প্রয়োজন এখন। যতদিন খেলতে মন চায় খেলুক। ও তো পারফর্ম না করে আর খেলবে না। তরুণ একজন ক্রিকেটার যদি তার ডেডিকেশন সম্পর্কে জানতে পারে সেটাই হবে বড় পাওয়া।’’
পাকিস্তানের বিপক্ষে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে শ্রীলংকা

পাকিস্তানের বিপক্ষে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে শ্রীলংকা দীর্ঘ ছয় বছর পর পাকিস্তান সফরে রয়েছে শ্রীলংকা ক্রিকেট দল। এই সফরে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলছে শ্রীলংকা। তারই ধারাবাহিকতায় রাওয়ালপিন্ডিতে আজ পাকিস্তান বনাম শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ৩য় ওডিআই ম্যাচটি শুরু হয়েছে বিকেল সাড়ে ৩টায়। টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। তবে তাদের বোলাররা শুরুতেই কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়েছেন। পাক বোলারদের পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়ে শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাট করছেন। টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমেছে শ্রীলংকা।
টি-টেন লিগে দল পেলেন তাসকিন

টি-টেন লিগে দল পেলেন তাসকিন সাকিব আল হাসান, সাইফ হাসানের পর আবুধাবি টি-টেন লিগে দল পেলেন টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদ। নাহিদ রানাও টি-টেন লিগে দল পেয়েছিলেন, তবে তার খেলা হচ্ছে না। টুর্নামেন্ট শুরুর আগমুহূর্তে রবিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাসকিনের অংশগ্রহণের ব্যাপারে নিশ্চিত করেছে নর্দান ওয়ারিয়র্স ফ্র্যাঞ্চাইজি। ৮ দলের টুর্নামেন্টের টি-টেন লিগ শুরু হবে ১৮ নভেম্বর। ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ৩০ নভেম্বর। আবুধাবি টি-টেন লিগে নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে যুক্ত হয়েছে রয়্যাল চ্যাম্পস। ১৮ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া টুর্নামেন্টের ড্রাফটের আগেই সাকিব আল হাসানকে দলে নেয় তারা। এই দলে সাকিব সতীর্থ হিসেবে পাবেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, জেসন রয়ের মতো তারকাদের। ড্রাফটে ‘বি’ ক্যাটাগরি থেকে সাইফ হাসানকে দলে নেয় অ্যাসপিন স্ট্যালিয়ন্স। বর্তমানে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন সাইফ। দলের সঙ্গে দ্রুতই যোগ দেবেন তিনি। ‘সি’ ক্যাটাগরি থেকে দল পেয়েছিলেন নাহিদ রানাও। তবে বিসিবি অনাপত্তিপত্র না দেওয়ায় এ আসরে আর খেলা হচ্ছে না তার।
মিচেলের সেঞ্চুরিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারাল নিউজিল্যান্ড

মিচেলের সেঞ্চুরিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারাল নিউজিল্যান্ড ড্যারিল মিচেল দুইবার জীবন পেলেন। রোস্টন চেজ ও জেডেন সিলসের হাত ফসকে নিউজিল্যান্ডও পেয়ে গেল মোমেন্টাম। মিচেলের সেঞ্চুরিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৭০ রানের টার্গেট দেয় নিউজিল্যান্ড। টি-টোয়েন্টি সিরিজের মতো এবারও ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিল ক্যারিবিয়ানরা। কিন্তু শেষ ওভারে বোলিং প্রান্ত থেকে স্নায়ুচাপ সামলে সফল জ্যাকব ডাফি। ৭ রানে জিতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল ব্ল্যাক ক্যাপরা। ক্রাইস্টচার্চে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে সপ্তম ওভারে রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াংকে ফিরিয়ে ম্যাথু ফোর্ড হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান। ২৪ রানেই দুটি উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল নিউজিল্যান্ড। ডেভন কনওয়েকে নিয়ে সেই ধাক্কা ভালোভাবে সামলে নেন মিচেল। এক রানের আক্ষেপ নিয়ে কনওয়ে জাস্টিন গ্রিভসের বলে শাই হোপের ক্যাচ হন কনওয়ে। ৬৭ রানের এই জুটিতে ৪৯ রান করে অবদান রাখেন তিনি। ১৯ ও ৬৭ রানে জীবন পাওয়া মিচেল ষষ্ঠ উইকেটে মাইকেল ব্রেসওয়েলকে (৩৫) নিয়ে ৬৯ রানের জুটি গড়েন। ৬১ বলে পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর তিনি ১০৭ বলে সেঞ্চুরি করেন ১২ চার ও ১ ছয়ে। ইনিংসের পাঁচ বল বাকি থাকতে থামেন মিচেল। ১১৮ বলে ১২ চার ও ২ ছয়ে সাজানো ছিল তার ১১৯ রানের ইনিংস। তার আগে জ্যাক ফোকসের (২২) সঙ্গে ৪৩ রান যোগ করেন মিচেল। নিউজিল্যান্ডের সাত উইকেটের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তিন উইকেট নেন সিলস। দুটি পান ফোর্ড। লক্ষ্যে নেমে ১০ রানে জন ক্যাম্পবেল (৪) ফিরে যান। কিসি কার্টি ও আলিক আথানেজ ৬০ রানের জুটিতে সেই ধাক্কা কাটান। তবে ১৭ রানের ব্যবধানে দুজনই আউট হলে চাপে পড়ে ক্যারিবিয়ানরা। শেরফানে রাদারফোর্ড ফিফটি গড়ে সফরকারীদের লড়াইয়ে রাখেন। শাই হোপের (৩৭) সঙ্গে ৫১, চেজকে (১৬) নিয়ে ৩১ ও গ্রিভসের সঙ্গে ৪০ রানের জুটি গড়েন তিনি। ৫৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা রাদারফোর্ড ৬১ বলে ৫৫ রান করে কাইল জেমিসনের শিকার হন। শেষ দিকে রোমারিও শেফার্ড ও গ্রিভস ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল নিউজিল্যান্ডের মনে। তাদের জুটিতে শেষ দুই ওভারে লক্ষ্য কমে দাঁড়ায় ৩২ রানে। ম্যাট হেনরি শেষের আগের ওভারে ১২ রান দেন। শেষ ওভারে দরকার ছিল ২০ রানের। চমৎকার বোলিংয়ে ১২ রান দেন ডাফিও। ২৯ বলে ৫৩ রানের জুটি ছিল শেফার্ড ও গ্রিভসের। ৩৮ রানে গ্রিভস ও শেফার্ড ২৬ রানে অপরাজিত ছিলেন।
ঘরের মাঠে প্রথমবার ব্যর্থ জয়সওয়াল, দুই ইনিংস মিলিয়ে সর্বনিম্ন রান

ঘরের মাঠে প্রথমবার ব্যর্থ জয়সওয়াল, দুই ইনিংস মিলিয়ে সর্বনিম্ন রান দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে শূন্য রানে আউট হওয়ায় থেমে গেল যসশ্বি জয়সওয়ালের অবিশ্বাস্য রানের গতি। রবিবার সফরকারীদের বিপক্ষে কলকাতায় দ্বিতীয় ইনিংসে মাঠের নামার আগের ঘরের মাঠের ২৪ ইনিংসে ৫৭.৪৭ ব্যাটিং গড়ে এক হাজার ৩২২ রান করেছেন বাঁহাতি ব্যাটার। এ সময় তিনটা শতক এবং সাতটি অর্ধশতকের ইনিংস আছে জয়সওয়ালের। ঘরের মাঠে কখনও দুই অঙ্কের কোটায় যাওয়ার আগে আউট হননি। তবে আজ প্রোটিয়াদের বিপক্ষে মাত্র চার বলেই থামলেন জয়সওয়াল। ঘরের মাঠে এটিই জয়সওয়ালের প্রথমবার ব্যর্থ হওয়া। এই টেস্টের প্রথম ইনিংসেও বেশিদূর যেতে পারেননি তিনি। ১২ রানের পথে মার্কো জ্যানসেন বোল্ড আউট করেন তাকে। দ্বিতীয় ইনিংসেও এই পেসারকে উইকেট দেন জয়সওয়াল। কোনো টেস্টের দুই ইনিংস মিলিয়ে এটি সর্বনিম্ন রান ২৩ বছর বয়সি ব্যাটারের। এর আগে দুই ইনিংস মিলিয়ে জয়সওয়ালের সর্বনিম্ন রান ছিল ১৩, লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। এদিন ১২৪ রানের লক্ষ্যে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে লোকেশ রাহুল ফিরেছেন স্রেফ এক রানে। টেস্ট ক্রিকেটে গত এক দশকে কোনো ভারতীয় ওপেনিং জুটি এতো কম রান করেনি।
১২৪ রানের ছোট লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ ভারত, ঘরের মাঠেই লজ্জার হার

১২৪ রানের ছোট লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ ভারত, ঘরের মাঠেই লজ্জার হার স্পিন-বান্ধব উইকেট বানিয়ে চার জন বিশেষজ্ঞ স্পিনার নিয়ে নেমেছিল ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকাকে মাত্র ১২৩ রানে (লক্ষ্য) বেধে ফেলে জয়ের পাল্লাটাও তাদের দিকেই ঝুঁকে ছিল। কিন্তু অধিনায়ক শুভমান গিলকে হারিয়ে তাদের দুভার্গ্যের শুরুটা হয় গতকাল। ফলে চতুর্থ ইনিংসে স্বাগতিকরা ব্যাটিংয়ে নামে ১০ জন নিয়ে। এরপর মাত্র দুজন বিশেষজ্ঞ স্পিনার নিয়ে নামা প্রোটিয়াদের বিপক্ষে নিজেদের পাতা ফাঁদেই ধসে গেল ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপ। হারমার-মহারাজদের ঘূর্ণিতে ১২৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় মাত্র ৯৩ রানে গুটিয়ে গেছে ভারত। এর মধ্য দিয়ে ভারতের মাটিতে প্রোটিয়াদের টেস্ট জিততে দীর্ঘ ১৫ বছরের অপেক্ষার অবসান হয়েছে। এর আগে ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে নাগপুর টেস্টে শেষবার টেস্ট জিতেছিল গ্রায়েম স্মিথের নেতৃত্বাধীন দক্ষিণ আফ্রিকা। এমন দিন দেখতে টেম্বা বাভুমাদের লম্বা সময় অপেক্ষায় থাকতে হলো। প্রোটিয়া অধিনায়ক নিজেই সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দ্বিতীয় ইনিংসে সফরকারীরা অলআউট হওয়ার সময়ও একপ্রান্তে ৫৫ রানে অপরাজিত ছিলেন বাভুমা। পুরো ম্যাচ মিলিয়ে এটাই ছিল কোনো ব্যাটারের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস। ইডেন গার্ডেনে ব্যাটারদের প্রতিকূল উইকেটে মাত্র আড়াই দিনেই শেষ হয়েছে সিরিজের প্রথম টেস্ট। এমন উইকেট নিয়ে গতকাল থেকে সমালোচনা চলছে।
গিলকে নিয়ে বড় দুঃসংবাদ ভারত দলে

গিলকে নিয়ে বড় দুঃসংবাদ ভারত দলে কলকাতায় টেস্টের দ্বিতীয় দিনের সকালেই ভারত শিবিরে নেমে এলো দুঃসংবাদ। অধিনায়ক শুবমান গিল মাঠ ছেড়েছেন চোট পেয়ে। আর তা বেশ গুরুতর বলেই মনে করছেন দলীয় চিকিৎসকরা। ওয়াশিংটন সুন্দরের বিদায়ের পর বিরতির ঠিক পরেই ব্যাটিংয়ে নামেন গিল। সেই সময় রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে বল করছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অফস্পিনার সাইমন হারমার। ক্রিজে নেমে প্রথম বলটি ঠেকিয়ে খেলেন তিনি। দ্বিতীয় বলে সুইপ শট খেলে চারও আদায় করেন। কিন্তু বাউন্ডারি হাঁকানোর পরই দেখা যায়, গিল বেশ অস্বস্তিতে ভুগছেন। তিনি সঙ্গে সঙ্গে গলার পেছনে হাত দিয়ে ব্যথার জায়গা চেপে ধরেন, মাথাও ঠিকভাবে নড়াচড়া করতে পারছিলেন না। দলীয় ফিজিও দ্রুত মাঠে এসে পরিস্থিতি পরীক্ষা করেন। স্বল্প সময়ের পর্যবেক্ষণের পর সিদ্ধান্ত হয়—গিলের খেলা চালিয়ে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। বাধ্য হয়েই অবসর নিয়ে মাঠ ছাড়েন ভারতীয় অধিনায়ক।
আয়ারল্যান্ডকে ইনিংস ও ৪৭ রানে হারাল বাংলাদেশ

আয়ারল্যান্ডকে ইনিংস ও ৪৭ রানে হারাল বাংলাদেশ দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ইনিংস ও ৪৭ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। চতুর্থ দিনে লাঞ্চের পরই আয়ারল্যান্ডের প্রতিরোধ ভেঙে দিয়ে টাইগাররা ম্যাচের ইতি টানেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫৪ রানে অলআউট হওয়া আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের বোলাররা পুরো ম্যাচে দাপট দেখান। অভিষিক্ত হাসান মুরাদের চার উইকেটের পাশাপাশি ৩টি উইকেট নেন তাইজুল ইসলামও। বাকি দুই উইকেট শিকার করেন নাহিদ রানা। চতুর্থ দিনের শুরুতে ৫ উইকেটে ৮৫ রান নিয়ে লড়াই শুরু করেছিল আয়ারল্যান্ড। এই জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল নাজমুল শান্তরা। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ১৯ নভেম্বর ঢাকায়।