দায়িত্ব ছাড়লেন নারী ক্রিকেট দলের কোচ

দায়িত্ব ছাড়লেন নারী ক্রিকেট দলের কোচ বাংলাদেশের জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের প্রধান কোচের পদ ছেড়েছেন হাসান তিলকরত্নে। ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ জানিয়েছে, নিজের সিদ্ধান্তের কথা বিসিবিকে জানিয়ে দিয়েছেন লঙ্কান কোচ। ২০২২ সালের অক্টোবরে দুই বছরের চুক্তিতে জাতীয় দলের দায়িত্ব পান তিলকরত্নে। পড়ে সদ্য সমাপ্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছিল। সেই মেয়াদ শেষে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত জানালেন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করে বিসিবির নারী বিভাগের ইন-চার্জ হাবিবুল বাশার ক্রিকবাজকে বলেছেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের সময়ই তিলকরত্নে জানিয়েছিলেন, তিনি আর দায়িত্ব পালন করতে চান না। ক্রিকবাজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিলকারত্নের অধীনে জাতীয় দলের পারফরম্যান্সে খুব একটা সন্তুষ্ট ছিল না বিসিবি। যে কারণে চুক্তি নবায়নের ব্যাপারে আগ্রহী ছিল না দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বরং বিকল্প খোঁজার কথা ভাবা হচ্ছিল। শোনা যাচ্ছে, বিসিবি এবার দেশি কোনো কোচকে দায়িত্ব দিতে চাচ্ছে। সম্ভাব্য কোচ হিসেবে উঠে আসছে মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ সারোয়ার ইমরানের নাম।

রংপুরকে বিদায় করে কোয়ালিফায়ারে খুলনা

রংপুরকে বিদায় করে কোয়ালিফায়ারে খুলনা এলিমিনেটরের জন্য গতকাল রাতেই উড়িয়ে আনা হয়েছে জেমস ভিন্স, টিম ডেভিড ও আন্দ্রে রাসেলের মতো তারকাদের। কিন্তু মাঠে নেমে ব্যর্থই হয়েছেন তারা। কারও ব্যাট থেকে আসেনি রান। বাকিদেরও ব্যর্থতায় অল্প রানে গুটিয়ো যায় রংপুর রাইডার্স। জবাব দিতে নেমে আলো ছড়ালেন নাঈম শেখ ও অ্যালেক্স রস। দারুণ জয়ে খুলনাকে ওঠালেন কোয়ালিফায়ারে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এলিমিনেটর ম্যাচ আজ মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রংপুরকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে খুলনা টাইগার্স। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৬ ওভার ৫ বলে ৮৫ রান করে অলআউট হয় রংপুর। জবাব দিতে নেমে ৫৮ বল হাতে রেখেই লক্ষ্য তাড়া করে ফেলে মেহেদী হাসান মিরাজের দল।  ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই সৌম্য সরকারকে হারিয়ে শুরু হয় রংপুরের ইনিংস। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে তাদের ব্যাটিং লাইনআপ। স্রেফ ১৫ রানে হারায় ৫ উইকেট। উড়িয়ে আনা নতুন ওপেনার ভিন্সের ব্যাট থেকে আসেনি কোনো রান। একে একে উইকেট হারান সাইফ হাসান, মাহেদী হাসান ও সাইফউদ্দিনও। মাঝে কিছুটা রান যোগ করেন নুরুল হাসান সোহান। ২৫ বলে ২৩ রান করেন রংপুর অধিনায়ক। এরপর টিম ডেভিড ৭ রানে উইকেট হারান। আন্দ্রে রাসেল করতে পারেন ৪ রান। শেষদিকে আকিফ জাভেদের ১৮ বলে ৩২ রানে আশির ঘর পার করে রংপুর।  খুলনার হয়ে দারুণ বোলিং করেন মিরাজ। ৪ ওভারে স্রেফ ১০ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। ১৬ রান দিয়ে সমান উইকেট পান নাসুম আহমেদও। একটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ নওয়াজ, হাসান মাহমুদ ও মুশফিক হাসান।  রান তাড়ায় নেমে তৃতীয় বলে উইকেট বিলিয়ে দেন খুলনার অধিনায়ক মিরাজ। এই ধাক্কা সামলে দ্বিতীয় উইকেটে জুটি গড়ে দলকে জেতান নাঈম শেখ ও অ্যালেক্স রস। ৩৩ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ৪৮ রানে অপরাজিত থানেক নাঈম। ২৭ বলে অপরাজিত ২৯ রানের ইনিংস খেলেন রস।

ব্যর্থ ডেভিড-রাসেল, রংপুরকে ৮৫ রানে গুটিয়ে দিলো খুলনা

ব্যর্থ ডেভিড-রাসেল, রংপুরকে ৮৫ রানে গুটিয়ে দিলো খুলনা জরুরি ভিত্তিতে আরব আমিরাত থেকে তিন বিদেশি ক্রিকেটার- জেমস ভিন্স. আন্দ্রে রাসেল ও টিম ডেভিডকে উড়িয়ে এনেছিল রংপুর রাইডার্স। আশা ছিল, তিনটি ভিন্ন দেশের তারকাদের প্লে-অফের ম্যাচে কাজে লাগিয়ে শিরোপার দিকে ছুটবে নুরুল হাসান সোহানের দল। কিন্তু প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি ৩ ভিনদেশির কেউই। এমনকি দেশি ক্রিকেটাররা আজ জ্বলে উঠতে পারেননি। দৃষ্টিকটু ব্যাটিংয়ে এলিমিনেটর ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে মাত্র ৮৫ রানে অলআউট হয়ে গেছে রংপুর। অর্থাৎ দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করতে খুুলনাকে করতে হবে ৮৬ রান। আজ সোমবার শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং নেয় রংপুর। সদ্য দলে যোগ দেওয়া ইংলিশ ব্যাটার জেমস ভিন্সের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে কোনো বল খেলার আগেই ননস্ট্রাইক প্রান্তে অপ্রত্যাশিত রানআউটের শিকার হন ওপেনার সৌম্য সরকার। ৭ বলে মাত্র ১ রান করে আউট হন ভিন্সও। ১০ বলে খেললেও মাত্র ৪ রান করে সাজঘরে ফেরত যান সাইফ হাসানও। তিন টপঅর্ডারের সঙ্গে আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন ব্যাটিংঅর্ডার পরিবর্তন করে ওপরের দিকে নামা শেখ মেহেদী (৫ বলে ১) ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন (৮ বলে ৮)। মাত্র ১৫ রানে ৫ উইকেট হারায় রংপুর। এরপর ষষ্ঠ উইকেটে দলকে টানার চেষ্টা করেন অধিনায়ক সোহান ও টিম ডেভিড। কিন্তু ১৭ রানের এই জুটি শেষ হয় ডেভিড আউট হলে। ৯ বলে ৭ রান করে সাজঘরে ফেরত যান অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার। আন্দ্রে রাসেলও ব্যর্থ হন। ৯ বলে ৪ রান করে মোহাম্মদ নওয়াজের বলে বোল্ড হন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ব্যাটার। ২৫ বলে ২৩ রান করে আউট হন সোহান। দশম উইকেটে রংপুরকে কিছু রান এনে দেন আকিভ জাভেদ ও নাহিদ রানা। এই জুটিতে ২৬ বলে ৩৩ রান করেন তারা। নাহিদ রানা ৯ বল খেললেও কোনো রান করেননি। অপরপ্রান্তে দাঁড়িয়ে শুধু আকিভকে সহায়তা করেছেন তিনি। রংপুরের ইনিংসের সর্বোচ্চ ১৮ বলে ৩২ রান করেন আকিভ। বল হাতে খুলনার হয়ে ৩টি করে উইকেট শিকার করেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাসুম আহমেদ। ১টি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ নওয়াজ, হাসান মাহমুদ ও মুশফিক হাসান।

এলিমিনেটরে হারের বৃত্ত ভাঙতে স্থানীয় খেলোয়াড়দের দিকে তাকিয়ে রংপুর

এলিমিনেটরে হারের বৃত্ত ভাঙতে স্থানীয় খেলোয়াড়দের দিকে তাকিয়ে রংপুর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে এলিমিনেটর ম্যাচে স্থানীয় খেলোয়াড়দের বড় অবদান রাখতে হবে বলে মনে করেন রংপুর রাইডার্সের অলরাউন্ডার মাহেদি হাসান। আগামীকাল মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের এলিমিনেটর ম্যাচে খুলনার মুখোমুখি হবে রংপুর। এ ম্যাচের বিজীয় দল ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রেখে দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ারে খেলবে। আর হেরে যাওয়া দল বিপিএল থেকে বিদায় নিবে। এলিমিনেটর ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে। গত দুই আসরে বিপিএলের এলিমিনেটর রাউন্ড থেকে বাদ পড়েছিলো রংপুর। এবার এলিমিনেটর বাঁধা টপকে যাওয়াই রংপুরের মূল লক্ষ্য বলে জানান মাহেদি। আজ মাহেদি বলেন, ‘গত দুই বছর ধরে আমরা এলিমিনেটর ম্যাচে হেরে যাওয়ায় ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয়েছি। এটা আমাদের জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এ বছরও আমাদের সুযোগ আছে। এবার আমরা এলিমিনেটর বাঁধা টপকাতে চাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ফাইনালে যেতে চাই। ফাইনালে উঠার জন্য আগামীকালের ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সাতজন স্থানীয় খেলোয়াড় আছে, এ ম্যাচে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। আমাদের চার বিদেশি খেলোয়াড়ও ছন্দে আছে। কিন্তু নক আউট ম্যাচে স্থানীয় খেলোয়াড়দের বড় ভূমিকা রাখা উচিত।’ গত ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল সুপার লিগ (জিএসএল) টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের শিরোপার স্বাদ নিয়ে বিপিএল খেলতে নামে রংপুর। জয়ের ধারা অব্যাহত রেখে বিপিএলে টানা আট ম্যাচ জিতে প্রথম দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করে রংপুর। কিন্তু‘ নবম ম্যাচ থেকে খেই হারায় তারা। শেষ চার ম্যাচের সবগুলোতেই হেরে যায় দলটি। পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয়স্থানে নেমে যাওয়ায় এলিমিনেটর খেলতে হবে নুরুল হাসান সোহানের দলকে। প্রথম কোয়ালিফাইয়ারে খেলবে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা দুই দল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল ও চট্টগ্রাম কিংস। প্রথম কোয়ালিফাইয়ারের বিজয়ী দল সরাসরি ফাইনালে খেলবে। আর হেরে যাওয়া দল দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ারে খেলবে এলিমিনেটর ম্যাচের বিজয়ী দলের সাথে। যা অঘোষিত সেমিফাইনাল হিসেবে বিবেচিত। লিগ পর্বের শেষ চার ম্যাচ হারলেও দলের আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরেনি বলে জানিয়েছেন মাহেদি। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি শীর্ষ দুই দলের মধ্যে শেষ করতে পারতাম, তাহলে ভালো হতো। তারপরও আমরা ভেঙ্গে পড়িনি। আমাদের চ্যালেঞ্জ হলো বড় কিছু অর্জন করা।’ তিনি আরও বলেন, ‘যদি আমরা শীর্ষ দুইয়ের মধ্যে থাকতে পারতাম তাহলে আমরা দু’বার সুযোগ পেতাম। আমরা এখন নকআউট পর্বে রয়েছি। এটা এখন আমাদের জন্য ডু-অর-ডাই ম্যাচ হয়ে গেছে। এটা নিশ্চিত যে আমরা নিজেদের সেরাটা উজার করে দিবো।’ শেষ চার ম্যাচে হার নিয়ে খুব বেশি চিন্তা না করে নিজেদের সামর্থ্যরে উপর আস্থা রাখতে চান মাহেদি। তিনি বলেন, ‘আমাদের সামর্থ্যের উপর আস্থা আছে। প্রতিটি খেলোয়াড়ই ম্যাচ জয়ের জন্য মাঠে নামবে। কিন্তু প্রতিদিন একইরকম যায় না। আমরা শীর্ষ দু’দলের মধ্যে থাকতে পারিনি। কিন্তু বিষয়টা এই নয় যে সব কিছু শেষ হয়ে গিয়েছে।’ মাহেদি বলেন, ‘আমাদের এখনও সুযোগ আছে। আমরা এই সুযোগকে ইতিবাচকভাবেই নিচ্ছি। আমি মনে করি দলের সবাই ভালো ছন্দে আছে। কারণ এই সময়ে আমরা যদি দল হিসেবে ভেঙ্গে পড়ি আমরা এখান থেকে বের হতে পারবো না।’

কোচিং ক্যারিয়ারে মনোযোগ দিতে নির্বাচক পদ ছাড়লেন হান্নান

কোচিং ক্যারিয়ারে মনোযোগ দিতে নির্বাচক পদ ছাড়লেন হান্নান কোচিং ক্যারিয়ারে মনোযোগ দিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নির্বাচক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন সাবেক ওপেনার হান্নান সরকার। তিনি জানিয়েছেন, শনিবার বিসিবি ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিমের কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন। এক মাসের নোটিশের মেয়াদ পূরণ করতে এ মাসের শেষ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন হান্নান। আজ সাংবাদিকদের হান্নান বলেন, ‘যদিও কাজটি (নির্বাচক) আনন্দদায়ক এবং সম্মানজনক। আমি মনে করি আমার ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার কোচিংয়ে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি কোচিংয়ের মাধ্যমে আমি বাংলাদেশ ক্রিকেটে আরও বেশি অবদান রাখতে পারবো। এমন নয় যে হঠাৎ করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অনেক দিন ধরেই এ বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। এখন আনুষ্ঠানিকভাবে এটি জানিয়েছি।’ ২০০২ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের হয়ে ১৭টি টেস্ট ও ২০টি ওয়ানডে খেলেছেন হান্নান। নির্বাচক প্যানেলে যোগ দেওয়ার আগে কোচিং ক্যারিয়ারের সাথে যুক্ত হয়েছিলেন তিনি। ২০১০ ও ২০১১ সালে বিসিবি থেকে লেভেল-১ এবং লেভেল-২ কোর্স সম্পন্ন করেন হান্নান। ঘরোয়া আসর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল), জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল), বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল) এবং বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) বিভিন্ন দলের সাথে যুক্ত ছিলেন সাবেক ওপেনার হান্নান।

মিরাজের ব্যাটে ভর করে প্লে অফে খুলনা

মিরাজের ব্যাটে ভর করে প্লে অফে খুলনা ঢাকা ক্যাপিটালসের হয়ে একাই লড়লেন তানজিদ হাসান তামিম। কিন্তু বাকিদের ব্যর্থতার কারণে ভালো সংগ্রহ পায়নি তারা। জবাব দিতে নেমে টিকে থাকলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দারুণ এক ইনিংসে খুলনা টাইগার্সকে এনে দিলেন জয়। নিয়ে গেলেন প্লে অফে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ৪১তম ম্যাচে আজ মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকাকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে খুলনা। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৩ রান সংগ্রহ করে ঢাকা। যা ১৯ বল হাতে রেখেই তাড়া করে ফেলে খুলনা। খুলনার পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন উইলিয়াম বোসিস্তো ও হাসান মাহমুদ। বাকি সব বোলার নেন একটি করে উইকেট। ১২ ম্যাচে ৬ জয় ও সমান হারে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চার নম্বরে থেকে প্লে অফ নিশ্চিত করেছে খুলনা টাইগার্স। সমান পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে পিছিয়ে থেকে পাঁচে নেমে গেছে চিটাগং কিংস। আর ৬ পয়েন্ট নিয়ে এরপরেই ঢাকা। ৪ পয়েন্ট নিয়ে সবার নিচে সিলেট।  

৪ ডিমেরিট পয়েন্ট ও ২ ম্যাচ নিষিদ্ধ তানজিম সাকিব

৪ ডিমেরিট পয়েন্ট ও ২ ম্যাচ নিষিদ্ধ তানজিম সাকিব বিপিএলে আগ্রাসী মনোভাবের জন্য শাস্তি পেয়েছেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের পেসার তানজিম সাকিব। এবারের বিপিএলে সর্বোচ্চ ৪টি ডিমেরিট পয়েন্ট পেলেন এই পেসার। যদিও বিপিএলে তার দল সিলেট স্ট্রাইকার্স গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে। ফলে আসন্ন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) সাকিব যে দলেই খেলবেন প্রথম দুই ম্যাচে নিষিদ্ধ থাকতে হবে তাকে। ২৪ মাসে চার ডিমেরিট পাওয়ার শাস্তি হিসেবেই দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেলেন তিনি। সেটা শুধু কার্যকর হচ্ছে ঘরোয়া ক্রিকেটেই। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলতে তাঁর কোনো বাধা থাকছে না। সাকিবের ঘটনাটি সিলেটের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে চিটাগাং কিংসের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে তৃতীয় ওভারে গ্রাহাম ক্লার্ককে ফিরিয়েছিলেন সাকিব। এরপর এই ব্যাটারকে উদ্দেশ্য করে কিছু বলতে শোনা যায় এই পেসারকে। এই বিষয়টি নজর এড়ায়নি দুই অনফিল্ড আম্পায়ার গাজী সোহেল ও মোর্শেদ আলী খানের। ম্যাচ শেষে তারা সাকিবের নামে ম্যাচ রেফারির কাছে অভিযোগ করেন। এরপর ম্যাচ রেফারি এহসানুল হক সেজান একটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেন সাকিবকে। এর আগে গত ১২ জানুয়ারি খুলনা টাইগার্সের অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নাওয়াজের সঙ্গে বাকবিত-ায় জড়িয়ে ৩ টি ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছিলেন সাকিব।

নাঈম শেখের সেঞ্চুরিতে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখল খুলনা

নাঈম শেখের সেঞ্চুরিতে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখল খুলনা শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক হলো খুলনা টাইগার্স। নাঈম শেখ ঝড় তুললেন, করলেন সেঞ্চুরিও।বড় রান তাড়ায় নেমে রংপুর রাইডাের্সের ব্যাটাররা খেই হারালেন। একা সৌম্যর লড়াই কাজে আসেনি শেষ অবধি। আজ বিপিএলের ম্যাচে রংপুর রাইডার্সকে ৪৬ রানে হারিয়েছে খুলনা টাইগার্স। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ২২০ রান করে খুলনা। সেই রান তাড়ায় নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রানের বেশি করতে পারেনি রংপুর। ১১ ম্যাচে পঞ্চম জয় নিয়ে প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে খুলনা টাইগার্স। প্রথম ৮ ম্যাচ জেতা রংপুর লিগ পর্বে নিজেদের শেষ চার ম্যাচেই হারলো। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল খুলনা টাইগার্স। চতুর্থ ওভারে গিয়ে প্রথম উইকেট হারায় তারা। ১২ বলে ২১ রান করে মাহেদী হাসানের বলে আকিফ জাভেদের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। এরপরের গল্পটা নাঈম শেখের। সবশেষ এনসিএল টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক পান সেঞ্চুরির দেখা। বিপিএলেও এখন অবধি তার রানই সবচেয়ে বেশি। এবারের বিপিএলের অষ্টম সেঞ্চুরি করা নাঈম শেষ অবধি অপরাজিত থাকেন। ৬২ বলের ইনিংসে ৭ চার ও ৮ ছক্কায় ৬২ বলে ১১১ রান করেন নাঈম। এর সঙ্গে খুলনার হয়ে উইলিয়াম বসিস্তো ৩১ বলে ৩৬ ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ১৫ বলে ২৯ রান করেন। রান তাড়ায় নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই তৌফিক খান তুষার আউট হয়ে যান। ৮ বলে ৯ রান করে নাসুম আহমেদের বলে এলবিডব্লিউ আউট হয়ে যান তিনি। পঞ্চম ওভারের শেষ বলে রান আউট হন ৯ বলে ৬ রান করা সাইফ হাসান। মাঝে ১৫ বলে ১৯ রান করে ইফতেখার আহমেদ ও ১৪ বলে ২৭ রান করে মাহেদী হাসান আউট হন। রংপুরের হয়ে লড়াই চালিয়ে যান সৌম্য সরকার। তার এই চেষ্টার সমাপ্তি ঘটে শেষ ওভারে গিয়ে। ৪৮ বলে ৭৪ রান করে হাসান মাহমুদের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। এছাড়া রংপুরের হয়ে ১০ বলে ১৮ রান আসে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ব্যাট থেকে। ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে খুলনার হয়ে তিন উইকেট নেন মুশফিক হাসান। এক ওভার করে ৮ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন মোহাম্মদ নাওয়াজ। এই জয়ে ১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে আছে খুলনা। ১২ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে রংপুর।

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে উইন্ডিজকে উড়িয়ে বাংলাদেশের ১০ উইকেটে জয়

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে উইন্ডিজকে উড়িয়ে বাংলাদেশের ১০ উইকেটে জয় আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে উড়িয়ে ১০ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। বৃষ্টির কারণে ম্যাচ শুরু হয় দুই ঘণ্টা দেরিতে, ওভার কমে ৭টি। কুয়ালালামপুরে ‘গ্রুপ-১’ থেকে উইন্ডিজের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ১৩ ওভারে মাত্র ৫৪ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাড়া করতে নেমে ২৫ বল হাতে রেখে কোনো উইকেট না হারিয়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লাল-সবুজের ক্ষুদে প্রতিনিধিরা। জুরিয়া ফেরদৌস ২৮ বলে ২৫ ও ফাহোমিদা ছোঁয়া ২৫ বলে ১৪ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। উইন্ডিজ মেয়েরা অতিরিক্ত রান দেয় ১৬টি। তাতে জয় আরও সহজ হয় বাংলাদেশের জন্য। এর আগে নিশিথা আক্তার নিশিদের তোপে সুবিধা করতে পারেনি উইন্ডিজ ব্যাটাররা। ১৬ বলে সর্বোচ্চ ২৩ রান করে অমৃতা রামাথাল। ১৩ রান করেন নাইজিন্নি কামব্রিবেচ ও ১১ রান আসে আসাবি ক্যালেন্ডারের ব্যাট থেকে। আর কেউ দুই অঙ্কের মুখ দেখেননি। বাংলাদেশের হয়ে নিশি সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন। ২ উইকেট নেন আনিসা আক্তার সোবা। ১ উইকেট নেন জান্নাতুল মাওয়া। সুপার সিক্সে চার ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ তৃতীয় স্থানে থেকে বিশ্বকাপ শেষ করেছে। এক ম্যাচ কম খেলে ৬ পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনালে পা রেখেছে অস্ট্রেলিয়া ও ভারত।

খুলনাকে হারিয়ে ৫ জয় নিয়ে কোয়ালিফায়ারে বরিশাল

  খুলনাকে হারিয়ে ৫ জয় নিয়ে কোয়ালিফায়ারে বরিশাল ফরচুন বরিশালের কাছে হেরে আগেরদিন প্রথম দল হিসেবে চলতি বিপিএল থেকে বিদায় নিয়েছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। আজ তাদের দেখানো পথেই হাঁটলো খুলনা টাইগার্স। সেই বরিশালের কাছে হারলো তারাও। তবে মেহেদী হাসান মিরাজের দল পড়ে গেছে যদি-কিন্তুর মারপ্যাঁচে। অন্যদিকে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত হয়ে গেছে বরিশালের। শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৫ উইকেট ১৮৭ রান করে খুলনা। জবাব দিতে নেমে ৫ বল আর ৫ উইকেট হাতে রেখে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে বরিশাল। বরিশালের জয়ে বড় ভূমিকা ডেভিড মালানের। ৩৭ বলে ৬৩ রানের ৮ চার ৩ ছক্কায় ঝোড়ো ইনিংস খেলেন ইংলিশ ব্যাটার। এই ম্যাচে বরিশালের দ্বিতীয় রান সংগ্রাহক অধিনায়ক তামিম ইকবাল ২৫ বলে ২৭ রান করেন।  এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা খুলনার হয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ৩৩ বলে ৪৭ রান করেন দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাইম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। শেষ দিকে ঝোড়ো ব্যাটিং করেন মাহিদুল হাসান অংকন। অপরাজিত ১২ বলে ২৭ রান করেন তিনি। বল হাতে বরিশালের হয়ে ২ উইকেট শিকার করেন ফাহিম আশরাফ। খুলনার হয়ে ২ উইকেট নেন আবু হায়দার রনি।