এশিয়া কাপের ফাইনালে কাল ভারতের মুখোমুখি বাংলাদেশ

এশিয়া কাপের ফাইনালে কাল ভারতের মুখোমুখি বাংলাদেশ নারীদের অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে কাল ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। আগামীকাল কুয়ালালামপুরে বেইউমাস ওভালে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) আয়োজিত নারীদের প্রথম বয়সভিত্তিক আসরের শিরোপা নির্ধারণী লড়াই মাঠে গড়াবে। আগামীকাল বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৭টায় শুরু হবে ফাইনাল। গ্রুপপর্বে শতভাগ সাফল্য থাকলেও সুপার ফোরে ভারতের কাছে হোঁচট খায় টাইগ্রেসরা। তাই ফাইনালে মধুর প্রতিশোধ নিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ পুরো দল। আসরে নিজেদের প্রথম খেলায় শ্রীলংকাকে ২৮ রানে হারিয়ে শুভসূচনা পায় বাংলাদেশ। এরপর নেপালের বিপক্ষে ১২০ রানের বিশাল জয়ে কাটে সুপার ফোর পর্বের টিকিট। সেখানে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ভারতের কাছে ৮ উইকেটে হারতে হয়েছিল। গত শনিবার নেপালকে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়ে প্রথমবারের মতো ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে লাল-সবুজের দল। বৃষ্টির কারণে ম্যাচের ব্যপ্তি ১১ ওভারে নেমে আসে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ৫৪ রান সংগ্রহ করে নেপাল অনূর্ধ্ব-১৯ দল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১ উইকেট হারিয়ে ৭ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।

নারী এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি বাংলাদেশ-ভারত

নারী এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি বাংলাদেশ-ভারত ঠিক যুবাদের মতোই অনূর্ধ্ব-১৯ নারী এশিয়া কাপের ফাইনাল হতে যাচ্ছে। কারণ মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে মুখোমুখি বাংলাদেশ-ভারত। এবার পালা মেয়েদের। আজ মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে সুপার ফোরের ম্যাচে নেপালকে ৯ উইকেটে উড়িয়ে ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। এর আগে আরেক সুপার ফোরের ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে হারিয়ে শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে উঠে ভারতের মেয়েরা। টি-টোয়েন্টি সংস্করণের টুর্নামেন্টে প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ৫৪ রান করতে সক্ষম হয় নেপাল। বৃষ্টির কারণে অবশ্য ম্যাচ নেমে আসে ১১ ওভারে। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৭ বল হাতে রেখেই বড় জয় পায় বাংলাদেশ। সুপার ফোরের শীর্ষ দুই দল হিসেবে ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ-ভারত। ৩ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে ভারত শীর্ষে। আর সমান ম্যাচে দুইয়ে থাকা বাংলাদেশের পয়েন্ট ৬। তিনে থাকা শ্রীলঙ্কার ৪ পয়েন্টের বিপরীতে নেপালের ৩। আগামী সোমবার চ্যাম্পিয়ন হতে লড়বে বাংলাদেশ-ভারত।

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস টাইগারদের

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস টাইগারদের তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষটিতে আর্নেস ভ্যাল স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান করে বাংলাদেশ। ১৯০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ পর্যন্ত ১০৯ রানে থামে স্বাগতিকদের ইনিংস। আর তাতেই ৮০ রানের জয় নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়ল টাইগাররা। গত দুই ম্যাচেই বাংলাদেশের শুরুটা ভালো ছিল না। বাজে শুরুর পর সংগ্রহটাও বড় হয়নি টাইগারদের। তবে আজ উদ্বোধনী জুটিতে পরিবর্তন আসে। চোটের কারণে ছিটকে যাওয়া সৌম্য সরকারের জায়গায় একাদশে আসেন পারভেজ হোসেন ইমন।

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশের আগামীকাল লক্ষ্যে নামছে বাংলাদেশ

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশের আগামীকাল লক্ষ্যে নামছে বাংলাদেশ তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্য নিয়ে আগামীকাল তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ খেলতে নামছে বাংলাদেশ। প্রথম দুই ম্যাচে যথাক্রমে ৭ রান ও ২৭ রানে জিতে এরই মধ্যে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে লাল-সবুজের দল। সেন্ট ভিনসেন্টের কিংসটাউনে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় ম্যাচটি শুরু হবে। সরাসরি সম্প্রচার করবে নাগরিক টিভি ও টি স্পোর্টস। এই ম্যাচ দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজে দীর্ঘ সফরের সমাপ্তি টানবে বাংলাদেশ। সিরিজের ক্যারিবীয়দের হোয়াইটওয়াশের পাশাপাশি জয় দিয়ে সফর লিটন দাসের দলের শেষ করার লক্ষ্য। ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হবার পর ব্যাকফুটে থেকে টি-২০তে খেলতে নেমেছিল টাইগাররা। কিন্তু এক ম্যাচ হাতে থাকতেই ফরম্যাটটির দুই বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন উইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে সফরকারীরা। এর আগে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ দিয়ে এবারের সফর শুরু করেছিল বাংলাদেশ। প্রথম টেস্ট হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজে ১-১ সমতায় শেষ করে টাইগাররা। ২০০৯ সালের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টেস্ট ম্যাচ জয়ের নজির গড়ে। টি-২০ সিরিজ জয়ে ব্যাট হাতে বড় অবদান রাখেন এক বছর পর জাতীয় দলে ফেরা শামীম হোসেন পাটোয়ারী। দ্বিতীয় ম্যাচে ১৭ বলে অনবদ্য ৩৫ রান করে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন। সিরিজ জয়কে বড় অর্জন মনে করছেন শামীম। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি সবসময় মনে করি দল যে পরিস্থিতিতেই থাকুক না কেন আমি যদি ভালো খেলি, তাহলে আমরা একটি ভালো স্কোর করতে পারবো। আমার সবসময় ইতিবাচক চিন্তা আছে। আমি ভালো খেলতে পেরে খুশি, আমার পরিবার এবং দেশও খুশি। আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজে টি-২০ সিরিজ জিতেছি এবং এটি একটি বিশাল অর্জন।’ দ্বিতীয় টি-২০তে আঙুলে চোট পেয়েছেন ওপেনার সৌম্য সরকার। তাই সিরিজের শেষ ম্যাচে খেলতে পারবেন না। আগামী ৩-৪ সপ্তাহ তাকে মাঠের বাইরে থাকতে হবে। শেষ ম্যাচের একাদশে তাই বাংলাদেশ পরিবর্তন আনবে। ধীরগতির উইকেটে বাংলাদেশের স্পিনারদের সামলাতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হিমশিম খেতে হয়েছে। ক্যারিবীয়দের তাই হোয়াইটওয়াশ এড়াতে সেরা পারফরম্যান্স করতে হবে । ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল বলেছেন, ‘ব্যাটিংয়ে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের জন্য গত কয়েকটি সিরিজে আমরা বাজেভাবে হেরেছি। আমাদের এ বিষয়গুলো নিয়ে ভাবতে এবং সমাধান বের করতে হবে। বোলাররা ভালো করছে। কিন্তু ব্যাটিং গ্রুপ হিসেবে আমরা জ্বলে উঠতে পারছি না এবং পুরোপুরিভাবে লড়াই করতে পারছি না।’ এই ফরম্যাটে ১৮ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরমধ্যে বাংলাদেশ জিতেছে সাতটিতে এবং হেরেছে ৯টিতে। দুইটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।

মালয়েশিয়াকে ২৯ রানে অলআউট করে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ

মালয়েশিয়াকে ২৯ রানে অলআউট করে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। আজ মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক মালয়েশিয়াকে হারিয়েছে ১২০ রানের বড় ব্যবধানে। দুই ম্যাচ থেকে পূর্ণ ৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ‘সুপার ফোর’ তথা সেমিফাইনালে নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। এদিন বাংলাদেশ আগে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ১৪৯ রান করে। জবাবে ১৪.৫ ওভারে মাত্র ২৯ রানে গুটিয়ে যায় মালয়েশিয়ার মেয়েরা। আর বাংলাদেশ জয় পায় ১২০ রানের ব্যবধানে। মালয়েশিয়ার ইনিংসে কেউ দুই অঙ্কের কোটা ছুঁতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৫ রান করেন উদ্বোধনী ব্যাটার নূর আলিয়া বিনতি মোহদ হাইরুন। এছাড়া ইরদিনা বেহ নাবিল ৩, নূর ইজ্জাতুল  সাইয়াফিকা ৩, সুবিকা ১, নূর আইন বিনতি রোসলান ১, নুরিমান হিদায়াহ ২, নূর ইসমা দানিয়া বিনতি মোহদ দানিয়েল ১ ও নূর আলিয়া বাত্রিসিয়া নুরমিজান করেন ১ রান। বাকিরা সবাই আউট হন শূন্যরানে। বল হাতে বাংলাদেশের নিশিতা আক্তার নিশি ৩.৫ ওভারে ১ মেডেনসহ মাত্র ৩ রান দিয়ে ৫টি উইকেট নেন। হাবিবা ইসলাম ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ ৫ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট। আনিসা আক্তার সোবা ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ ৫ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। তার আগে বাংলাদেশের ইনিংসে জান্নাতুল মাওয়া ৪ চারে অপরাজিত ৪৫ রানের ইনিংস খেলেন। সাদিয়া আক্তার ৩ চার ও ১ ছক্কায় খেলেন অপরাজিত ৩১ রানের ইনিংস। আর ফাহমিদা ছোয়া ২১ বলে ৩ চারে করেন ২৬ রান। এছাড়া মোসাম্মাত ইভা ১৯ ও সুমাইয়া আক্তার করেন ১২ রান। মালয়েশিয়ার মারসিয়া কিস্তিনা বিনতি আব্দুল্লাহ ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট। আর নূর ইসমা দানিয়া ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। অপরাজিত ৪৫ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন বাংলাদেশের জান্নাতুল মাওয়া। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে সুপার ফোরের খেলা।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের তিন সংস্করণের দায়িত্ব পেয়ে উচ্ছ্বসিত স্যামি

ওয়েস্ট ইন্ডিজের তিন সংস্করণের দায়িত্ব পেয়ে উচ্ছ্বসিত স্যামি আগামী এপ্রিল থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের তিন সংস্করণের কোচ হতে যাচ্ছেন দেশটির সাবেক অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি। টেস্ট ক্রিকেট দিয়ে শুরু হবে তার দায়িত্ব। আগামী মাসে পাকিস্তান সফরে শেষ হবে আন্দ্রে কোলির দায়িত্ব। এরপর দলের দায়িত্ব নেবেন স্যামি। কোচ হওয়ার বিষয়টি প্রত্যাশিত ছিল না স্যামির। নিজেরও ভাবনা ছিল না ক্যারিয়ার শেষে করাবেন কোচিং। কিন্তু হলো এমনটাই। দায়িত্ব পেতে উচ্ছ্বসিত তিনি। দলকে সাফল্যের পথে নিয়ে যেতে কাজ শুরু করে দিয়েছেন ইতোমধ্যেই।  স্যামি বলেন, ‘যে কোনো সংস্করণে যে কোনো দায়িত্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রতিনিধিত্ব করতে পারা দারুণ সম্মানের। যদিও এই খবরটি আমার কাছে ঠিক প্রত্যাশিত ছিল না। কোচিং করাব, এমন ভাবনাই আসলে নিজেকে নিয়ে ছিল না আমার। তবে এটা স্বীকার করতেই হবে, যেভাবে এগোচ্ছে সবকিছু, এই দায়িত্বের প্রতি ভালোবাসা ও তাড়না আরো তীব্র হয়েছে আমার। ’ ‘আমি বিশ্বাস করি প্রক্রিয়ায়, যেটা আমি সাদা বলের ক্রিকেটে করতে সক্ষম হয়েছি এবং এই নতুন দায়িত্বেও আমি এর মধ্যেই এঁকে নিয়েছি, (টেস্ট ক্রিকেটে) সফল হতে হলে কোন কোন জায়গায় ও কোন প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। বাড়তি এই দায়িত্ব ও নতুন পথচলায় নিয়ে আমি সত্যিই রোমাঞ্চিত এবং আমি ও আমার দল তৈরি থাকব। ’ খেলোয়াড়ি জীবন শেষে সামি গত বছরের মে মাসে দায়িত্ব নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির। তার কোচিংয়ে ২৮ ওয়ানডের ১৫টি জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, সিরিজ জিতেছে সাতটির মধ্যে চারটি। টি-টোয়েন্টি জিতেছে ৩৫টির মধ্যে ২০টি। এই সংস্করণেও সিরিজ জিতেছে চারটি, হেরেছে তিনটি। আর টেস্ট ক্রিকেটে আন্দ্রে কোলির কোচিংয়ে ছয় সিরিজের একটিও জিততে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ড্র ও হার আছে সমান তিনটি করে। এই সময়ে টেস্ট হেরেছে তারা সাতটি, জয় ও ড্র দুটি করে।

বিপিএলে চিটাগাং কিংসের কানাডিয়ান মডেল

বিপিএলে চিটাগাং কিংসের কানাডিয়ান মডেল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আবেদন ক্রিকেটবিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিসিবি। সেই লক্ষ্যে একাদশ আসরের আগে তারা নিত্য-নতুন অনেক উদ্যোগ নিচ্ছে। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোও টুর্নামেন্টের আমেজ বাড়াতে পদক্ষেপ নিচ্ছে নিজেদের মতো করে। নতুন করে পুরোনো মালিকানার অধীনে এবার বিপিএল খেলবে চিটাগাং কিংস। তারা শহীদ আফ্রিদিকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর বানিয়ে শুরুতে বড় চমক দিয়েছিল। এবার নিয়োগ দিলো এক কানাডিয়ান মডেলকে। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে চট্টগ্রামের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। সেখানে তারা জানায়, (ভারতীয় বংশোদ্ভূত) কানাডার মডেল-অভিনেত্রী, ফিটনেস ইনফ্লুয়েন্সার ও ক্রিকেট প্রেজেন্টার ইয়েশা সাগরকে আসন্ন বিপিএলে চট্টগ্রাম কিংসের ‘অফিসিয়াল হোস্ট’ (উপস্থাপক) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিপিএলই প্রথম নয়, এর আগে অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজি ‍টুর্নামেন্টেও সঞ্চালনা করতে দেখা গেছে ইয়েশা সাগরকে। গত বছর কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে তার উপস্থিতি ক্রিকেটভক্তদের মাঝে বেশ সাড়া ফেলে। ক্রীড়া উপস্থাপনার পাশাপাশি ইয়েশা ফিটনেস নিয়েও কাজ করেন। সামাজিক মাধ্যমে স্বাস্থ্য-সচেতনতার বিষয়ে মানুষকে প্রভাবিত করে আসছেন এই কানাডিয়ান মডেল। ফলে তার সঙ্গে চুক্তি রয়েছে খাদ্য ও পুষ্টিজনিত বিখ্যাত ব্র্যান্ডের সঙ্গে। কানাডার মডেল হিসেবে পরিচিতি পেলেও, ইয়েশা সাগর ভারতীয় বংশোদ্ভূত। ১৯৯৬ সালের ১৪ ডিসেম্বর তিনি ভারতের পাঞ্জাবের লুধিয়ানায় জন্মগ্রহণ করেন। এ ছাড়া পাঞ্জাবের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতেও কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে ইয়েশার। এর আগে চট্টগ্রাম কিংস আসন্ন আসরের জন্য ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর’ হিসেবে শহীদ আফ্রিদিকে যুক্ত করে। বিপিএলের সঙ্গে শুরু থেকেই সম্পৃক্ত ছিলেন সাবেক এই পাকিস্তানি কিংবদন্তি। এ ছাড়া দীর্ঘ ৯ বছর পর আবারও বিপিএলে ফিরে ভালো দল গড়ারই চেষ্টা ছিল চট্টগ্রামের। সাকিব আল হাসান, শরিফুল ইসলামরা ছাড়াও বিদেশি ক্যাটাগরিতে মঈন আলি ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসদের দলে ভিড়িয়েছে চট্টলার ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। বিপিএলের একাদশ আসরের পর্দা উঠবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর।

বাংলাদেশের বিপক্ষে দল ঘোষণা ওয়েস্ট উইন্ডিজের

বাংলাদেশের বিপক্ষে দল ঘোষণা ওয়েস্ট উইন্ডিজের বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল ঘোষণা করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গতকাল ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচ চলাকালে দল ঘোষণা করে ক্যারিবিয়ানরা। টেস্ট ও ওয়ানডেতে পারফর্ম করে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি দলে ডাক পেয়েছেন কেসি কার্টি। এছাড়া চোট কাটিয়ে দলে ফিরেছেন মারকুটে ব্যাটার জনসন চার্লস। তবে শেরফাইন রাদারফোর্ড ও ওয়ানডে অধিনায়ক শেই হোপকে পাচ্ছে না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বিগ ব্যাশের জন্য এই দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৬, ১৮ ও ২০ ডিসেম্বর হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজের তিন ম্যাচ। সবগুলো ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে সেন্ট ভিনসেন্টে।

চট্টগ্রামের দারুণ জয়ের দিনে রোমাঞ্চ ছড়াল খুলনা-বরিশাল

চট্টগ্রামের দারুণ জয়ের দিনে রোমাঞ্চ ছড়াল খুলনা-বরিশাল সিলেটের জিততে তখন প্রয়োজন ৭ বলে ২০, হাতে আছে ১ উইকেট। এমন অবস্থায় আহমেদ শরিফের করা ১৪তম ওভারের শেষ বলটা ছক্কায় উড়িয়ে দিলেন নাঈম আহমেদ। শেষ ওভারে ১৪ রানের সমীকরণেও আশা দেখেছিল সিলেট। তবে ইফরান হোসেনের বলে নাঈম আউট হতেই ১৪ রানের জয়ের আনন্দে মাতে চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামের অনায়াস জয়ের দিনে রোমাঞ্চের সবটা দেখিয়েছে খুলনা ও বরিশাল। ম্যাচের শেষ বল পর্যন্ত খেলেছে দুই দল। তাতে ম্যাচের পরতে পরতে উত্তেজনা ছড়িয়ে ১ রানের জয় পেয়েছে খুলনা। বরিশালের ওপেনার আব্দুল মজিদের মন্থর ব্যাটিংয়ের সঙ্গে দারুণ বোলিংয়ে ম্যাচটা নিজেদের করে নিয়েছে খুলনা।  বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সিলেট আউটার স্টেডিয়ামে খেলতে নামে চট্টগ্রাম ও সিলেট। ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাটিং করে তামিম ইকবালের ঝড়ো ফিফটিতে ১৫ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রানের সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম। জবাব দিতে নেমে ১৪.২ ওভারে ১৩৩ রানেই থামে সিলেটের ইনিংস।

তামিমের ঝোড়ো ফিফটিতে জয় চট্টগ্রামের, ১ রানে হার বরিশালের

তামিমের ঝোড়ো ফিফটিতে জয় চট্টগ্রামের, ১ রানে হার বরিশালের এনসিএল টি-টোয়েন্টির দ্বিতীয় দিনে ঝোড়ো হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তামিম ইকবাল। এরপর জিতেছে তার দলও। হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন বরিশালের আব্দুল মজিদও, তবে তার দল জয় পায়নি। চার উইকেট করে নিয়েছেন সিলেটের খালেদ ও বরিশালের কামরুল ইসলাম রাব্বি। একাডেমি মাঠে সিলেটকে ১২ রানে হারিয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ। শুরুতে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রান করে চট্টগ্রাম। পরে ওই রান তাড়া করতে নেমে ১৪ ওভার দুই বল খেলে ১৩৩ রানে অলআউট হয় সিলেট।   এ ম্যাচে চট্টগ্রামের হয়ে ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরি করেন তারকা ক্রিকেটার তামিম ইকবাল। স্রেফ ২৭ বলে অর্ধশত পূর্ণ করেন তিনি। ৮ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৩ বলে ৬৫ রান করে তোফায়েল আহমেদের বলে ক্যাচ আউট হন তিনি। ১৭ বলে ২৯ রান আসে আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়ের ব্যাট থেকে। ১২ বলে ১৮ রান করেন সাব্বির হোসেন। সিলেটের হয়ে ৩ ওভারে ১৯ রান দিয়ে চার উইকেট নেন সৈয়দ খালেদ আহমেদ। রান তাড়ায় নামা সিলেটের হয়ে অনেকটা একাই লড়েন ওপেনার তৌফিক খান তুষার। ৭ চার ও ৬ ছক্কায় ৩৬ বলে ৭৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে। কিন্তু দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তোফায়েল আহমেদ করেন ১১ বলে ১৪ রান। চট্টগ্রামের হয়ে তিন উইকেট করে নেন হাসান মুরাদ ও নাঈম হাসান। মূল মাঠে বরিশালের বিপক্ষে ১ রানে জয় পেয়েছে খুলনা। শুরুতে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রান করে খুলনা। ওই রান তাড়ায় নেমে পুরো ২০ ওভার ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১২৯ রানের বেশি করতে পারেনি বরিশাল। খুলনার হয়ে এই ম্যাচে সর্বোচ্চ রান আসে নুরুল হাসান সোহানের ব্যাটে। ৩৫ বলে ৩৯ রান করেন তিনি। ৮ বলে ১৭ রান আসে জিয়াউর রহমানের ব্যাটে। ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে চার উইকেট নেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। রান তাড়ায় নামা বরিশালের হয়ে হাফ সেঞ্চুরি করেন ওপেনার আব্দুল মজিদ। ৫৩ বলে ৫১ রান করে আউট হন তিনি। শেষদিকে ২৭ বলে ৪৩ রান করেন মঈন খান। তবে সেটি দলের জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি। খুলনার হয়ে দুই উইকেট করে নেন নাহিদুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান রানা।