চাঁপাইনবাবগঞ্জে নতুন করে ১৮ জনের ডেঙ্গু সনাক্ত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে নতুন করে ১৮ জনের ডেঙ্গু সনাক্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ জন। তাদের মধ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের ভেতর বিভাগে শনাক্ত হয়েছেন ৯ জন এবং বহির্বিভাগে শনাক্ত হয়েছেন ৮ জন। এছাড়া নাচোলে ১ জন ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছেন। বর্তমানে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৬ জন রোগী। তাদের মধ্যে ১০ জন পুরুষ, ৬ জন মহিলা রয়েছেন। একই সময়ে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ৬ জনকে। এই ৬ জনের মধ্যে ৩ জন পুরুষ, ৩ জন মহিলা রয়েছেন। এছাড়া গোমস্তাপুর থেকে ১ জন রোগীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ৬৮৭ জনে। একই সময়ে বহির্বিভাগে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ১৫০ জনে। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন অফিসের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বুধবার এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশে পুশইন করা ৬ ভারতীয় নাগরিক চাঁপাইনবাবঞ্জে আটক

বাংলাদেশে পুশইন করা ৬ ভারতীয় নাগরিক চাঁপাইনবাবঞ্জে আটক চাঁপাইনবাবগঞ্জে অবৈধভাবে অবস্থানকারী ২শিশু ও ২নারীসহ ৬ ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে পুলিশ। আজ চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মতিউর রহমান জানান, আজ বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে গোপন খবরের ভিত্তিতে জেলা শহরের ৩নং ওয়ার্ডের আলীনগর ভূতপুকুর মহল্লার একটি বাড়ি থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। জানাগেছে আটককৃতদের বাড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার পাইকড় ও মুরাডাই থানা এলাকায়। তাদের কাছে ভারতীয় আধার কার্ড রয়েছে। তারা ভারতের দিল্লীতে ইটভাটায় কাজ করতেন। গত ২৪ জুন দিল্লীর ক্যনজোড় এলাকার পুলিশ তাদের বাংলাদেশী সন্দেহে আটক করে। পরে গত ২৬ জুলাই বিএসএফ কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে তাদের বাংলাদেশে পুশইন করে। এরপর তারা ঢাকা চলে যায়। পরে ঢাকা থেকে তাঁরা চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে এসে এক আত্মীয়’র বাড়িতে আশ্রয় নেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে হেরোইন মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে হেরোইন মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১’শ গ্রাম হেরোইন বিক্রির উদ্দেশ্যে নিজ হেফাজতে রাখার অভিযোগ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়েরকৃত একটি মামলায় দেলোয়ার হোসেন ওরফে মিলন নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সাথে তাঁকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাস কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। আজ বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের দায়রা জজ মো: মিজানুর রহমান একমাত্র আসামীর অনুপস্থিতিতে (পলাতক) আদেশ প্রদান করেন। দন্ডিত মিলন চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার হাটবাকইল গ্রামের মো. আলাউদ্দীনের ছেলে। মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা যায় এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী(পিপি) আব্দুল ওদুদ বলেন, ২০২৩ সালের পহেলা সেপ্টেম্বর নাচোলের নেজামপুর ইউনিয়নের দক্ষিন সগিনা মালিকান্দর গ্রামে সড়কের উপর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের(ডিবি) অভিযানে ১০০ গ্রাম হেরোইন সহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার হন মিলন। এ ঘটনায় ওইদিন তাঁকে একমাত্র আসামী করে নাচোল থানায় মামলা করেন ডিবি’র তৎকালীর উপ-পরিদর্শক (এসআই) রিপন কুমার মন্ডল। ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা(আইও) এবং ডিবি’র তৎকালীর উপ-পরিদর্শক (এসআই) পলাশ চন্দ্র চৌধুরী একমাত্র মিলনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। ১০ জনের সাক্ষ্য, প্রমাণ ও শুনানীর পর আদালত  আজ দেলোয়ার হোসেন ওরফে মিলনকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করেন। আসামীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এড. আনোয়ার সাদাত ।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলা পর্যায়ে, গ্রাম আদালত কার্যক্রমের বার্ষিক অগ্রগতি পর্যালোচনা ও করণীয় শীর্ষক সভা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলা পর্যায়ে, গ্রাম আদালত কার্যক্রমের বার্ষিক অগ্রগতি পর্যালোচনা ও করণীয় শীর্ষক সভা চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলা পর্যায়ে গ্রাম আদালত কার্যক্রমের বার্ষিক অগ্রগতি পর্যালোচনা ও করণীয় শীর্ষক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসন চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্পের আয়োজনে আজ সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক উজ্জ্বল কুমার ঘোষের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, গ্রাম আদালত আমাদের দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা, এটি একটি প্রশাসনিক ব্যবস্থা। এক্ষেত্রে চেয়ারম্যানদের সকলকে এক মনে কাজ করতে হবে। কোন দলের হয়ে কাজ করা যাবে না। অনেকেই এ আদালতের রায় মানেনা বা বিচারের দিন উপস্থিত হননা। মনে করেন চেয়ারম্যান বা ইউনিয়ন পরিষদের কোন ক্ষমতা নেই। গ্রাম আদালতে রায় না মানার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। যতদিন রায় মানার সংস্কৃতি না মানতে পারবে ততদিন কোন সমস্যার নিষ্পত্তি হবেনা। তখন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালতে হাজির হতে হবে। সভায় ৫ উপজেলার উপজেলা নিবার্হী অফিসার, ৪৫ টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সহ বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ তৃতীয় পর্যায় প্রকল্পের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থাপনা করেন বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্পের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ম্যানেজার হাফিজ আল আসাদ। বার্ষিক কার্যক্রমে ভূমিকা পালন করায় ১ম স্থান করেন নাচোল উপজেলার কসবা ইউনিয়ন, ২য় স্থান অর্জন করেন নাচোল উপজেলার সদর ইউনিয়ন ও ৩য় স্থান অর্জন করেন ভোলাহাট উপজেলার দলদলি ইউনিয়ন। হচ্ছে। প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো, বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকার জনগণ বিশেষত নারী, জাতিগত সংখ্যালঘু এবং সুবিধাবঞ্চিত গোষ্ঠির মানুষের ন্যায়বিচারের সুযোগ বৃদ্ধি করা। তাই স্থানীয় সরকার বিভাগ স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে ও সহযোগি সংস্থা ইকো সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট অরগানাইজেশন ই এস ডিওর মাধ্যমে, জেলার ৫টি উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়নে প্রত্যক্ষভাবে বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্পে কাজ চলমান রয়েছে বলে জানান আয়োজকরা।

মৎস্যচাষি, জেলে ও মৎস্যজীবীদের নিয়ে মতবিনিময়

মৎস্যচাষি, জেলে ও মৎস্যজীবীদের নিয়ে মতবিনিময় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জে মৎস্যচাষি, জেলে এবং মৎস্যজীবীদের নিয়ে জেলা ও উপজেলার মৎস্যসম্পদের স্থইয়ত্বশীল এবং সর্বোত্তম ব্যবহার বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ জেলাশহরের আলীনগরে জেলা মৎস্য কর্মকর্তার সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন— জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান, সিনিয়র সহকারী পরিচালক বরুন কুমার মন্ডল, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মোছা. এলিজা খাতুন, পপুলার পোল্ট্রি অ্যান্ড ফিস ফিডস্ লিমিটেডের মো. সাদিকুল ইসলাম, আস্থা এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের মো. রাকিবুল ইসলাম বাবু, নবাব মৎস্য খামারের মো. নাহিদ হোসেন, মেসার্স সহিদুল হ্যাচারির মো. সহিদুল ইসলাম, মেসার্স চাঁপাই এন্টারপ্রাইজের মো. ফারুক আজমসহ মৎস্যচাষি, আড়তদার ও অন্য স্টেকহোল্ডাররা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৬

চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৬ চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ জন। তাদের মধ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের ভেতর বিভাগে শনাক্ত হয়েছেন ৭ জন এবং বহির্বিভাগে শনাক্ত হয়েছেন ৭ জন। এছাড়া নাচোলে ২ জন ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছেন। বর্তমানে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৩ জন রোগী। তাদের মধ্যে ৯ জন পুরুষ, ৪ জন মহিলা রয়েছেন। একই সময়ে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ৮ জনকে। এই ৮ জনের মধ্যে ২ জন পুরুষ, ৪ জন মহিলা ও ২ জন শিশু রয়েছেন। এছাড়া ও গোমস্তাপুরে ২ জন ও ভোলাহাটে ১ জন রোগী ভর্তি আছেন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ৬৭৮ জনে। একই সময়ে বহির্বিভাগে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ১৪২ জনে। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন অফিসের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিদিনের প্রতিবেদনে আজ এই তথ্য জানানো হয়েছে।

গোমস্তাপুরে নারীকে গলাকেটে খুন, অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

গোমস্তাপুরে নারীকে গলাকেটে খুন, অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার গোমস্তাপুরে প্রায় অর্ধগলিত গলাকাটা নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত নারী বাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের শিশাটোলা গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের মেয়ে। গতকাল সন্ধ্যায় বাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের যোগিবাড়ি বুড়িতলা গ্রাম সংলগ্ন একটি বিলের ধারের নির্জন আমবাগানে মরদেহটি দেখতে পাবার পর পুলিশে খবর দিলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে গোমস্তাপুর থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ বলছে, ওই নারীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহের ডান উরুতেও একটি ধারাল অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। তাঁর শাড়ীতে বাড়ির চাবির গোছা বাঁধা পাওয়া গেছে। গোমস্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওয়াদুদ আলম বলেন, আজ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ওই নারীর ছেলে, মেয়ে ও ভাই তাঁর পরিচয় নিশ্চিত করে। কে বা কারা এবং কেন ওই নারীকে খুন করেছে সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। গত রবিবার সন্ধ্যা থেকে জেসমিন নিখোঁজ ছিলেন। পিবিআই ও সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিট ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছে। তাঁরা মরদেহ থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে। ওই নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা তা ময়নাতদন্তের পরই নিশ্চিত হওয়া যাবে বলেও জানান ওসি। এ ঘটনায় মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীণ। নিহতের ছেলে রাজমিস্ত্রী আলমগীর হোসেন(২৩) বলেন, তাঁর মা গত রোববার দুপুরের পর একই ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের কামাত গ্রামে একমাত্র মেয়ে নাইমুল ইসলামের স্ত্রী আনোয়ারা বেগমের(১৭)বাড়ি বেড়াতে যায়। সন্ধ্যায় নিজ বাড়ি ফেরার পথে তিনি নিখোঁজ হন। কে বা কারা তাঁর মাকে হত্যা করতে পারেন সে সম্পর্কে কোন ধারণা দিতে পারেন নি আলমগীর। সংশ্লিস্ট ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম বলেন, অন্য কোথাও হত্যা করে ওইস্থানে মরদেহ নিয়ে যাবার সম্ভাবনা প্রায় নেই। যা ঘটার ওই স্থানেই ঘটেছে। স্থানীয়রা সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওই এলাকায় ঘাস কাটতে গিয়ে মরদেহ দেখতে পায়। তিনি আরও বলেন, জেসমিনের প্রথম স্বামী ও সন্তানদের বাবা ৫ নং ওয়ার্ডের গোয়ালমোড় এলাকার আনারুল ইসলামের (১) সাথে ৮ বছর আগে ডিভোর্স হয়। পরে বাঙ্গবাড়ির ৮ নং ওয়ার্ডের ব্রজনাথপুরের আনারুল ইসলাম(২) নামে আরেক ব্যাক্তির সাথে বিয়ে হবার পর বছরাধিককাল পূর্বে তার সাথেও ডিভোর্স হয়। জেসমিনের প্রথম স্বামী আনারুল এখন প্রায় অসুস্থ। তবে শোনা যায় দ্বিতীয় স্বামী আনারুল (২) এর সাথে জেসমিনের কিছু সম্পর্ক ছিল। চেয়ারম্যান আরও বলেন, জেসমিন যে কামাত গ্রাম থেকে ফেরার পথে নিখোঁজ হন সেখান থেকে তাঁর মরদেহ পাবার স্থানটি সর্বোচ্চ দেড় কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ৩১

চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ৩১ চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা আবারো বাড়তির দিকে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ জন। তাদের মধ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের ভেতর বিভাগে শনাক্ত হয়েছেন ১৯ জন এবং বহির্বিভাগে শনাক্ত হয়েছেন ১২ জন। বর্তমানে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৪ জন রোগী। তাদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ, ৮ জন মহিলা ও ২ জন শিশু রয়েছেন। একই সময়ে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ২৩ জনকে। এই ২৩ জনের মধ্যে ১০ জন পুরুষ, ১০ জন মহিলা ও ৩ জন শিশু রয়েছেন। এছাড়া অবস্থার অবনতি হওয়ায় একজন পুরুষ ও একজন শিশু রোগীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ৬৭১ জনে। একই সময়ে বহির্বিভাগে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ১৩৫ জনে। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন অফিসের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিদিনের প্রতিবেদনে আজ এই তথ্য জানানো হয়েছে।

গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুদকের অভিযান

গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুদকের অভিযান গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদানে হয়রানি ও নানা অনিয়মের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযান পরিচালনা করেছে। আজ সকালে এই অভিযান পরিচালনা করেন দুদকের রাজশাহী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একটি দল। বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত তিনঘণ্টা ব্যাপি এ অভিযান চালিয়েছেন। এসময় রোগীদের সেবা, চিকিৎসক উপস্থিতি, ওষুধ সরবরাহ এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমসহ বিভিন্ন খাতে অনিয়ম আছে কি না তা খতিয়ে দেখেন। অভিযানে টিম লিডারের নেতৃত্ব দেন- দুর্নীতি দমন কমিশন রাজশাহীর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইসমাইল হোসেন। সদস্য হিসেবে তার সঙ্গে ছিলেন, ওই কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তানভীর আহমেদ সিদ্দীক ও উপসহকারী পরিচালক মাহাবুবুর রহমান। অভিযানের সময় দুদক কর্মকর্তারা রোগী ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা জানায়, হাসপাতালের চিকিৎসা সেবায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এ ধরনের অভিযান নিয়মিত হওয়া দরকার। অভিযান শেষে সহকারী পরিচালক ইসলামাইল জানান, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে রোগীদের খাবার সরবরাহ ও অ্যাম্বুলেন্স সেবাই ভাড়া আদায়ে অনিয়ম লক্ষ্য করা গেছে। তাছাড়া ডাক্তার সংকটের কারণে রোগীররা কিছুটা সমস্যায় পড়ছেন। সকল তথ্য কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে কৃষক হত্যা মামলায় এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে কৃষক হত্যা মামলায় এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন চাঁপাইনবাবগঞ্জে পাওনা টাকা পরিশোধ না করার জন্য কালাম আলী ওরফে কালু নামে এক কৃষককে পরিকল্পিতভাবে শ^াসরোধে খুনের দায়ে আব্দুল খালেক নামে এক ব্যক্তিকে যাজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসাথে তাঁকে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়। আজ বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের দায়রা জজ মিজানুর রহমান আসামীর উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন। নিহত কালু শিবগঞ্জ উপজেলার দাইপুকুরিয়া ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের এরশাদ আলীর ছেলে। দন্ডিত খালেক একই এলাকার আজাহার আলীর ছেলে। মামলায় অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় একই এলাকার সাদ্দাম, আলমাছ ও আব্দুর রাজ্জাক নামে অপর তিনজনকে বেকসুর খালাস দেন আদালত। মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা যায় এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী(পিপি) আব্দুল ওদুদ বলেন, ২০২২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারী রাতে নিজ গ্রাম এলাকার একটি আমবাগানে খুন হন কালু। হাত বেঁধে, গলায় রশি পেঁচিয়ে শ^াসরোধে তাঁকে হত্যা করা হয়। পরদিন ২০ ফেব্রুয়ারী সকালে তাঁর মরদেহ উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় ওইদিন কালুর বাবা শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) এবং শিবগঞ্জ থানার তৎকালীন পরিদর্শক আব্দুল মালেক ২০২২ সালের ২৯ মে ৪ জনকে আসামী করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। ১৮ জনের সাক্ষ্য, প্রমাণ ও শুনানী শেষে বিচারক আজ খালেককে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করেন। অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় অপর ৩ জনকে খালাস দেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এড. ইসমাইল।