নাচোলে অবৈধ ৩ ইটভাটা গুড়িয়ে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত, ৭ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড আদায়

নাচোলে অবৈধ ৩ ইটভাটা গুড়িয়ে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত, ৭ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড আদায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পরিবেশ অধিদপ্তর পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে লাইসেন্সবিহীন ৩টি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ওই ভাটা ৩টি থেকে ৭ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড আদায় সহ সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, আজ সকাল ১১টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত টানা অভিযান চালানো হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সদর দপ্তর ঢাকার মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট উইং এর এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্টেট (সিনিয়র সহকারী সচিব) রবিউল আলম। জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবু সাঈদ বলেন, পরিবেশ ছাড়পত্র এবং জেলা প্রশাসক প্রদত্ত ইট পোড়ানো অনুমতি না থকায় ২০১৩ সালের ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন আইন (সংশোধিত ২০১৯) অনুযায়ী জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, র্যাব-৫ ব্যাটালিয়ন এবং ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় দিনব্যাপী অভিযান চালানো হয়। অভিযানে মেসার্স খান ব্রিকসকে ২ লক্ষ, মেসার্স সাথী ব্রিকসকে ৩ লক্ষ এবং মেসার্স তামিম ব্রিকসকে ২ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড আরোপ ও আদায় করা হয়। এছাড়া ভাটা তিনটি এক্সেভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়ে পানি ঢেলে চিমনি নিভিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়। অভিযানকালে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। পরিবেশ সুরক্ষায় এ ধরণের অভিযান চলবে বলেও জানান পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবু সাঈদ।
হবিগঞ্জে বজ্রপাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুই ধানকাটা শ্রমিকের মৃত্যু

হবিগঞ্জে বজ্রপাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুই ধানকাটা শ্রমিকের মৃত্যু হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে হাওড়ে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার বিকেলে উপজেলার শিবপাশা ইউনিয়নের হাওড়ের দক্ষিণের ঝিলেরবন্দ নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট ইউনিয়নের মোহনবাগ গ্রামের মনিরুল ইসলাম (৪২) ও একই ইউনিয়নের পার্বতীপুর গ্রামের আব্দুল্লাহিল কাফি ওরফে কাফিল উদ্দিন (২২)। তারা সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে মনিরুলের দুই কন্যাসন্তান এবং আব্দুল্লাহিল কাফির ২ বছর বয়সী ছেলেসন্তান ও ৬ মাস বয়সী কন্যাসন্তান রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, ধান কাটার জন্য সম্প্রতি কয়েকজন শ্রমিক চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থেকে আজমিরীগঞ্জের শিবপাশা ইউনিয়নের মুন্সিহাটির বাসিন্দা আসমত মিয়ার বাড়িতে আসেন। সকালে শিবপাশা ইউনিয়নের দক্ষিণের ঝিলেরবন্দ হাওড়ে ধান কাটতে যান তারা। বিকেলে হঠাৎ ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রপাত শুরু হলে মনিরুল ও কাফিল উদ্দিন হাওড়ে বজ্রাঘাতপ্রাপ্ত হন। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম মাইদুল হাছান দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এদিকে বজ্রপাতে মনিরুল ও কাফি নিহত হওয়ার ঘটনায় পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে।
শিবগঞ্জে “নিরাপদ অভিবাসন ও বিদেশ-ফেরত অভিবাসীদের পুনরেকত্রীকরণ” শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

শিবগঞ্জে “নিরাপদ অভিবাসন ও বিদেশ-ফেরত অভিবাসীদের পুনরেকত্রীকরণ” শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে শিবগঞ্জ উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়নে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের উদ্যোগে “নিরাপদ অভিবাসন ও বিদেশ-ফেরত অভিবাসীদের পুনরেকত্রীকরণ” শীর্ষক একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন উজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. সাদিকুল ইসলাম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উজিরপুর আদর্শ কলেজের প্রভাষক মো. মাইনুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোভান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম এবং রাধাকান্তপুর ফাজিল মাদ্রাসার বাংলা প্রভাষক নুরতাজ আলম প্রমুখ। এছাড়াও কর্মশালায় ইউনিয়ন পরিষদের সকল ওয়ার্ড সদস্য, সংরক্ষিত নারী সদস্যবৃন্দ, গ্রাম পুলিশ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ইমাম, শিক্ষক, বিদেশ-ফেরত অভিবাসী ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন স্তরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালাটি সঞ্চালনা করেন ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের শিবগঞ্জ উপজেলা প্রোগ্রাম অর্গানাইজার মো. বাবুল ইসলাম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রোগ্রাম অর্গানাইজার মো. ফারুক, যেখানে তিনি ব্র্যাক ও ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের পাশাপাশি “প্রত্যাশা-২” প্রকল্পের কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। প্রধান অতিথি মাইনুল হক বলেন, “ব্র্যাকের এমন কার্যক্রম এর আগে কখনো দেখিনি। আজকের এই কর্মশালায় এসে খুব ভালো লাগছে এবং অনেক কিছু জানতে পারলাম। ব্র্যাকের কার্যক্রম দিন দিন বিস্তৃত হচ্ছে। যদি ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত ও অসহায় প্রবাসীরা সহায়তা পায়, তবে তা নিঃসন্দেহে একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ হবে।” তিনি ভবিষ্যতে প্রোগ্রামের পাশে থাকার এবং সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। সভাপতির বক্তব্যে সাদিকুল ইসলাম বলেন, “আমরা ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে চেষ্টা করব যেন প্রত্যাশা-২ প্রকল্পের সেবা বিদেশ-ফেরত ক্ষতিগ্রস্ত ভাই-বোনদের কাছে পৌঁছায়। ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের এমন উদ্যোগ অভিবাসীদের সচেতন ও উপকৃত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এটি বিদেশে গমনেচ্ছু ও বিদেশ ফেরত অভিবাসীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”

৬ দফা দাবিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ৩ ঘন্টাব্যাপী সোনামসজিদ স্থলবন্দর মহাসড়ক অবরোধ ৬ দফা দাবিতে ৩ ঘন্টাব্যাপী চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে সোনামসজিদ স্থলবন্দর মহাসড়ক অবরোধ করেছে বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনিষ্টিটিউট শিক্ষার্থীরা। আজ সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত সদর উপজেলার বারঘরিয়া চত্বর এলাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি পলিটেকনিক ইনিষ্টিটিউট এর সামনে মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। পরে অবরোধটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর প্রান্তে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর সেতুর উপর বিস্তৃত হয়ে সেতুর দু’প্রান্তের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। অবরোধ চলাকালীন তীব্র গরমে গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কে যাতায়াতকারীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। সৃষ্টি হয় কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট। আটকা পড়ে আমদানী পণ্যবাহী শত শত ট্রাক। অবরোধকালীন ছয়দফা দাবি নিয়ে কথা বলেন সরকারি পলিটেকনিক ইনিষ্টিষ্টিউট শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান (কম্পিউটার),আব্দুর রাহিম,মো:পলাশ,মো.মোারসালিন (ইলেকট্রনিক্স) প্রমুখ। তাঁরা বলেন,পলিটেকনিক ইনিষ্টিটিউট সমূহে জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাকটরদের পদোন্নতি গ্রহণযোগ্য নয়। ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স আন্তর্জতিক কারিবুলাম ও মানদন্ড অনুযায়ী চার বছর মেয়াদী ইংরেজী মাধ্যমে করতে হবে। সকল প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ১০ গ্রেডে নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। কারিগরি প্রশাসন কারিগরি জনবল দিয়ে পরিচালনা করতে হবে। সকল শুণ্য পদে নিয়োগ দিতে হবে। কারিগরি ও উচ্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করতে হবে। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের উচ্চ শিক্ষার জন্য একটি টেকনিক্যাল বিশ^বিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে ইত্যাদি। এদিকে দুপুর ১টার দিকে মানুষের ভোগান্তির কথা ভেবে ব্যস্ত মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেবার অনুরোধ করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাছমিনা খাতুন। তিনি একটি প্রতিনিধিদলকে জেলা প্রশাসকের সাথে আলোচনায় বসার আহব্বান জানান। এ সময় অবরোধ তুলে নেবার অনুরোধ জানান সরকারি পলিটেকনিক ইনিষ্টিটিউট উপাধ্যক্ষ-১ ওমর ফারুক এবং উপাধ্যক্ষ-২ সেলিম আহমেদ,ইন্সট্রাকটর আজিজুল হক প্রমুখ। এরপর শিক্ষার্থীদের ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল জেলা প্রশাসকের সাথে দেখা কওে আলোচনার পর অবরোধ প্রত্যাহার শুরু হয়। জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ এ সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংম্লিস্ট কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সাথে আলোচনার কথা জানান। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মতিউর রহমান বলেন, সকাল ১০টার দিক থেকে মহাসড়কে শিক্ষার্থীদের জমায়েত শুরু হয়। অবরোধ তুলে নেবার পর দুপুর ২ টা নাগাদ মহাসড়ক সম্পূর্ণ চলাচল উপযোগী হয়। দীর্ঘ সময়ে মানুষের ভোগান্তি ও যানজটের সৃষ্টি হলেও ভাংচুর বা কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেনি। অবরোধকালীন পুলিশ ও সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ৮ ঘণ্টা শ্রমসময় নির্ধারণসহ বিভিন্ন দাবিতে হোটেল শ্রমিকদের মানববন্ধন

দৈনিক ৮ ঘণ্টা শ্রমসময় নির্ধারণসহ বিভিন্ন দাবিতে হোটেল শ্রমিকদের মানববন্ধন দৈনিক ৮ ঘণ্টা শ্রমসময় নির্ধারণসহ হোটেল রেস্তরাঁ শ্রমিকদের রাষ্ট্র প্রদত্ত ন্যায্য দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ হোটেল শ্রমিক কল্যাণ ইউনিয়নের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে এই কর্মসূচি পালন করেন হোটেল শ্রমিকরা। সংগঠনটির সভাপতি রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে হোটেল শ্রমিকদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে বক্তব্য দেন, সংগঠনটির উপদেষ্টা ও জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরি ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সাইদুর রহমান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন এবং দাবিসমূহ উপস্থাপন করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক দেলুয়ার হেসেন সবুজ, জেলা শাখার সহসভাপতি ইব্রাহিম খলিল, সংগঠনটির পৌর শাখার সভাপতি এনায়েতুল্লাহসহ অন্যরা। পরে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। অন্যান্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, হোটেল শ্রমিকদের নিয়োগপত্র ও ছবিসহ পরিচয়পত্র প্রদান, সার্ভিস বহি সংরক্ষণ করা, শ্রমিক রেজিস্টার সংরক্ষণ, মহিলা শ্রমিকদের প্রসুতি কল্যাণ সুবিধা প্রদান, বিশ্রাম বা আহারের জন্য বিরতি, সাপতাহিক ছুটি, মহিলা শ্রমিকদের সীমিত কর্মঘণ্টা ইত্যাদি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে হজ যাত্রীদের দুদিনের প্রশিক্ষণ শুরু

চাঁপাইনবাবগঞ্জে হজ যাত্রীদের দুদিনের প্রশিক্ষণ শুরু চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গমনেচ্ছু হজযাত্রীদের হজ বিষয়ক দুদিনের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে এই প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন সরকারের যুগ্ম সচিব ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন ইসলামি ব্যাংক পিএলসি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ শাখার এসএভিপি আবু সাঈদ আব্দুল্লাহ, রাহবারে হারামাইন ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলসসের স্বত্বাধিকারী ও হাব প্রতিনিধি আবুল হোসাইন, জোড়গাছি বায়তুল আতিক জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুল মাতিনসহ অন্যরা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক গোলাম মোস্তফা। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কার্যালয় এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানে জানানো হয় এবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা থেকে এক হাজার একশ আটাশ জন হজযত্রী হজব্রপালনে সৌদি আরব যাবেন। তার মধ্যে ৪২ জন সরকারিভাবে এবং এক হাজার ৮৬ জন। আগামী ২৯ এপ্রিল থেকে হজযাত্রীরা চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে যাত্রা শুরু করবেন বলে জানানো হয়।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ওমর আলী গ্রেপ্তার

চরবাগডাঙ্গা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ওমর আলী গ্রেপ্তার চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ওমর আলীকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। গত সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ওই ইউনিয়নের চাকপাড়া গ্রামের মৃত আলতাফ হোসেনের ছেলে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মতিউর রহমান বলেন, ওমর আলীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে
নাচোলে বর্ণিল আয়োজনে পালিত হলো বর্ষবরণ

নাচোলে বর্ণিল আয়োজনে পালিত হলো বর্ষবরণ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে নববর্ষ ১৪৩২ বর্ষবরণ উৎসব পালিত হয়েছে। উপজেলা ৎফাঘষ চত্বরে সকাল ৮ টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বর্ণিল শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পান্তাভাত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার সকাল সাড়ে ৮ টায় উপজেলা চত্বর থেকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাজিয়া সুলতানার নেতৃত্বে শুরু হওয়া শোভাযাত্রায় অং নেন, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও কর্মচারী, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীরা এবং নানা বয়সী মানুষ। শোভাযাত্রায় মুখোশ, মাছধরা জাল, গরুর গাড়ি, লাঙ্গল, নিয়ে তুলে ধরা হয়েছে গ্রামীণ জীবন ও প্রকৃতি নির্ভর মানুষের সংগ্রামের রূপ ফুটে উঠে। হলুদ, লাল, সবুজ ও কমলা রঙের পোশাকে সাজেন সবাই। নারীদের মাথায় ফুলের মালা, হাতে রঙিন চুড়ি এবং শিশুদের মুখে উচ্ছ্বাস সব মিলিয়ে ছিলো প্রাণবন্ত পরিবেশ। শোভাযাত্রাটি উপজেলা চত্বর থেকে শুরু করে পৌর এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় উপজেলা চত্বরে শেষ হয়। সংক্ষিপ্ত আলোচনাসভা শেষে স্থানীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে সংগীত পরিবেশন করা হয়। এতে উপস্থিত দর্শকরা আনোন্দ উল্লাসে মেতে ওঠে। অপরদিকে নাচোল সরকারি কলেজ, মহিলা কলেজ, খুরশেদ মোল্লা সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, মুন্সী হযরত আলী উচ্চ বিদ্যালয়, এশিয়ান স্কুল এন্ড কলেজ, বেগম মহসিন ফাজিল মাদ্রাসা তারা নিজ উদ্যোগে নিজ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বর্ষবরণ উৎসব পালন করেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে নানা আয়োজনে বর্ষবরণ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে নানা আয়োজনে বর্ষবরণ পুরোনোকে বিদায় জানিয়ে নতুন উদ্দীপনায় পথচলার নির্মল আনন্দে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বরণ করা হচ্ছে বাংলা সন ১৪৩২কে। পুরাতন গ্লানি মুছে ফেলে নতুন উদ্যোমে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে নতুর বছরকে বরণ করা হচ্ছে। বর্ষবরণে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসনসহ শিবগঞ্জ, গোমস্তাপুর, নাচোল ও ভোলাহাট উপজেলা প্রশাসন, সরকারি দপ্তর ও বেসরকারি দপ্তর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, এনজিও নানান কর্মসূচির আয়োজন করে। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সোমবার পহেলা বৈশাখ সকাল সাড়ে ৮টায় ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ বের হয়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে বর্ণিল শোভাযাত্রাটি শুরু হয়ে জেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ মঞ্চে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় নজর কাড়ে ঐতিহ্যবাহী গরুর গাড়ি, মাথাল মাথায় ও কাস্তে হাতে কৃষক, মাছ ধরার জাল, কলসি কাঁকে গৃহবধূ, গায়ে হলুদ. পাল্কিসহ আবহমান বাংলার কৃষকের নানা উপকরণ। সেই সঙ্গে বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্য ঢাকঢোল, নানা রকমের প্রতিকৃতি, অংশগ্রহণকারীদের নানান রংয়ের বাহারী পোশাক আর কুলায় লেখা শুভ নববর্ষ ইত্যাদি। শোভাযাত্রা শেষে মঞ্চের সামনে বেলুন উড়িয়ে দিনব্যাপী লোকজ মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ। সকাল সাড়ে ৯টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ মঞ্চে শুরু হয় দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠান। গাওয়া হয় এসোহে বৈশাখ এসো এসো গানটিসহ বৈশাখী গান। অনুষ্ঠানে জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমি, প্রয়াস ফোক থিয়েটার ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন শিল্পী গোষ্ঠী সংগীত পরিবেশন করে। মঞ্চের সামনে বসা দর্শকদের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি বিতরণ করে নানান ধরনের ঐতিহ্যবাহী খাবার। এর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়িদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আফাজ উদ্দিন, সিভিল সার্জন ডা. শাহাব উদ্দিন, স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক উজ্জ্বল কুমার ঘোষ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাছমিনা খাতুন, প্রয়াস মানিবক উন্নয়ন সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক হাসিব হোসেনসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির বর্ষবরণ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির বর্ষবরণ চাঁপাইনবাবগঞ্জে জাঁকমকপূর্ণ পরিবেশে নতুন বছরকে বরণ করেছে প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটি। এ উপলক্ষে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। সোমবার সাকলে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রাটি জেলা শহরের বেলেপুকুর থেকে শুরু হয়ে জেলা প্রশাসনের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে। বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন, প্রয়াসের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক হাসিব হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, প্রয়াসের পরিচালক ও রেডিও মহানন্দার স্টেশন ম্যানেজার আলেয়া ফেরদৌস, পরিচালক পঙ্কজ কুমার সরকার, যুগ্ম পরিচালক নাসের উদ্দিন, সিনিয়র সহকারী পরিচালক আবুল খায়ের খান, সহকারী পরিচালক মু. তাকিউর রহমান, কনিষ্ঠ সহকারী পরিচালক ফারুক আহমেদ, ফিরোজ আলম, শাহাদাৎ হোসেন, আবুল কালাম আজাদসহ প্রয়াস, রেডিও মহানন্দা, প্রয়াস ফোক থিয়েটার ইনস্টিটিউট, প্রয়াস হাসপিটালসহ বিভিন্ন প্রকল্পের কর্মকর্তাসহ অন্যরা। বর্ষবরণ আনন্দা শোভাযাত্রা শেষে গ্রিন ভিউ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন প্রয়াসের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক হাসিব হোসেন। তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে শান্তি থাকলে রাষ্ট্রীয় জায়গায় শান্তি বজায় থাকবে- এই প্রত্যাশা আমাদের। আগামীর দিনগুলো যদি আমরা সুন্দরভাবে বিশ্লেষণ করতে পারি, অতীতের দিনগুলো বিশ্লেষণ করতে পারি তাহলে আমাদের পথচলাটা আমরা খুঁজে পাবো। তিনি আরো বলেন, আমরা খুব স্বল্প সময়ে আজকের আয়োজনে অংশগ্রহণ করেছি। গত ৪ বছরে রোজা, করোনার পর এবছর সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ নিয়ে প্রয়াসের সবচেয়ে বড় আয়োজন। এজন্য কমিটি করে দিয়েছিলাম যারা খাবার, সাজ ও বিচারক কমিটিতে ছিলেন। সবথেকে বড় বিপদ বিচারক হওয়া, বিশেষ করে চিন্তা হয় কাউকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হলো কিনা এই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। হাসিব হোসেন বলেন, এই সবকিছুর পরেও কবির ভাষায় বলতে চাই, মুছে যাক গ্লানি ঘুচে যাক জরা অগ্নি স্নানে শুচি হোক ধরা। আমাদের যত গ্লানি ছিলো এই অগ্নিস্নানের মধ্য দিয়ে তা দূরীভূত করবো। আমরা নিজেদের মধ্যে যদি সবাই ভালো থাকি তাহলে সবাই ভালো থাকবো। নিজেদের মধ্যে দুই একজন খারাপ থাকি তাহলেও কিন্তু সেটা ভালো নয়। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করাটা আমাদের মানবিক দায়িত্ব বা মানুষ হিসেবে দায়িত্ব। আরেকটি কথা, মানুষ কখনো পিছনে হাঁটতে পারে না। মানুষ সবসময় সামনে হাঁটে। সবাই একে অপরের সাথে মিলে এই নববর্ষে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই, আগামী দিনকে যত গ্লানি যত জরা আছে তা অগ্নিস্নানে সুন্দর হয়ে উঠুক-আমি এই প্রত্যাশা করি। আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে যেমন খুশি তেমন সাজোতে মোট ২২ জনকে উপহার প্রদান করা হয়।