01713248557

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভায় ড্রোনের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ শুরু

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভায় ড্রোনের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ শুরু চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভায় স্ট্যান্ডার্ড ডাটা কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট পদ্ধতি অনুসরণ করে জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেমে (জিআইএস) তথ্য সংগ্রহ শুরু হয়েছে। টেকসই আরবান ওয়াটার সাইকেল প্রকল্পের অধীনে ড্রোন সার্ভের মাধ্যমে এই তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। রবিবার সকালে ড্রোন সার্ভের উদ্বোধন করা হয়েছে। পৌরসভা চত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে ড্রোন চালিয়ে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন- পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার, চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপপরিচালক দেবেন্দ্র নাথ উরাঁও। পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. তাছমিনা খাতুন। সূচনা বক্তব্য দেন- পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মামুন অর রশিদ। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- এসএনভির ক্লাস্টার কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ রেজাউল হুদা, জিও-প্ল্যানিং ফর অ্যাডভান্সড ডেভেলপমেন্টের (জিপিএডি) পরিচালক মো. তাজুল ইসলাম তানভীর। এসময় পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তৌফিকুল ইসলাম ও পৌরসভার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. আহসান হাবীবসহ পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, টেকসই আরবান ওয়াটার সাইকেল প্রকল্পের অধীনে ড্রোনের মাধ্যমে পৌরসভার তথ্য সংগ্রহ করে সফটওয়্যারে আপলোড করা হবে। এর মাধ্যমে পৌরবাসীর ভৌগোলিক তথ্য সংরক্ষণ করা হবে। অনুষ্ঠানে পৌরসভার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরা হয়। তুলে ধরা হয় বর্তমান সামগ্রিক অবস্থা। নেদারল্যান্ডসভিত্তিক উন্নয়ন সংস্থা এসএনভি’র সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছে। সংস্থাটি পানি সরবরাহ, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নিয়েও কাজ করছে। আশা করা হচ্ছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পর চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার জনসাধারণ বিশুদ্ধ পানি পাবেন এবং বর্জ্য ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নতি হবে।

বিশ শিক্ষার্থীকে ১২ হাজার টাকা করে শিক্ষাবৃত্তি দিল প্রয়াস

বিশ শিক্ষার্থীকে ১২ হাজার টাকা করে শিক্ষাবৃত্তি দিল প্রয়াস চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ অতিদরিদ্র পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষাবৃত্তির চেক বিতরণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে রবিবার বিকেলে জেলাশহরের বেলেপুকুরে প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির নকীব হোসেন মিলনায়তনে শিক্ষাবৃত্তির চেক বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রয়াসের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক হাসিব হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন- জেলা শিক্ষা অফিসার আবদুর রশিদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির পরিচালক পঙ্কজ কুমার সরকার। প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবদুর রশিদ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমাদের ভালো করে লেখাপড়া করতে হবে। তোমরা এখান থেকে বৃত্তির যে টাকা পেলে, সেটা লেখাপড়ার কাজে ব্যয় করবে। তিনি বলেন, বর্তমানে আমরা চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষ লেখপড়ায় পিছিয়ে যাচ্ছি। গত কয়েকবছর আগে রাজশাহীতে অনেক ছাত্রছাত্রী পড়ালেখা করতে যেত, এখন তা অনেক কমে গেছে। তিনি উপস্থিত শিক্ষার্থীদের বলেন, লেখাপড়ার কোনো বিকল্প নেই। তোমরা বড় স্বপ্ন দেখবে এবং তা বাস্তবায়নের জন্য কঠোর অনুশীলন করবে। জেলা শিক্ষা অফিসার বলেন, তোমাদের কাছে যে মোবাইল আছে, সেটার ভালো ব্যবহার করবা। তোমাদের একটাই উদ্দেশ্য হওয়া উচিত যে, তোমরা তোমাদের মা-বাবার মুখ উজ্জ্বল করবে। সভাপতির বক্তব্যে প্রয়াসের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক হাসিব হোসেন বলেন, আমরা আমাদের বাবা-মাকে যেমন সম্মান দেখাব, তেমনিভাবে আমাদের শিক্ষকদেরকেও সম্মান দেখাব। আসুন, আমরা মানুষের মতো মানুষ হয়ে দেখাই। তিনি বলেন, আমরা আমাদের নিজের, পরিবারের, সমাজের ও রাষ্ট্রের জন্য কাজ করব। তিনি আরো বলেন, নিজেকে পিছিয়ে রাখলে পেছনে যেতে হবে, নিজেকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইলে, এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে। হাসিব হোসেন বলেন, আপনি আমি আমরা সবাই মৃত্যুবরণ করব। কিন্তু আমার আপনার কর্ম বেঁচে থাকবে, এই প্রয়াস বেঁচে থাকবে এবং মানুষের কল্যাণে কাজ করবে। আশা রাখি, আমরা সফল হবো এবং আগামীদিনে আমাদের যে পরবর্তী জেনারেশন আসছে, তার জন্য কাজ করব। তিনি আরো বলেন, আমরা একে অপরকে সম্মান জানাব, একে অপরের কথা শুনব, একে অপরকে সহ্য করব এগুলো যদি আমরা করতে পারি তাহলে আমাদের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধগুলো সৃষ্টি হবে। তাই আমাদের ব্যক্তির থেকে যে বিষয়গুলো বড় করে দেখা উচিত, সেগুলো দেখব। হাসিব হোসেন বলেন, আপনারা যেমন চাঁপাইনবাবঞ্জে জন্ম নিয়ে সারা বাংলাদেশে সৌরভ ছড়াবেন, তেমনি প্রয়াস চাঁপাইনবাবগঞ্জে জন্ম নিয়ে সারা বাংলাদেশে সৌরভ ছড়াচ্ছে। সভা সঞ্চালনা করেন প্রয়াসের কনিষ্ঠ সহকারী পরিচালক মু. তাকিউর রহমান।শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য দেন- নাচোল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী শুভ আহমেদ ও নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সাদিয়া নওসিন। এসময় উপস্থিত ছিলেন- প্রয়াসের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (নিরীক্ষা) আবুল খায়ের খান, কনিষ্ঠ সহকারী পরিচালক (প্রশিক্ষণ) আব্দুস সালাম, অফিসার শাহরিয়ার শিমুল ও নয়ন আলী, নেজামপুর ইউনিয়নের সমৃদ্ধি কর্মসূচি সমন্বয়কারী তৌহিদুল ইসলাম, রানীহাটি ইউনিয়নের সমৃদ্ধি কর্মসূচি সমন্বয়কারী নারুল হকসহ অন্যরা। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)’র সহযোগিতায় শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটি। উল্লেখ্য, ২০ জন শিক্ষার্থীরে প্রত্যেককে ১২ হাজার টাকা করে মোট ২ লাখ ৪০ হাজার টাকার শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়।

পদ্মা ও মহানন্দায় পানি কমছে ৮ সে.মি. পুনর্ভবায় বেড়েছে

পদ্মা ও মহানন্দায় পানি কমছে ৮ সে.মি. পুনর্ভবায় বেড়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত পদ্মা ও মহানন্দা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে পুনর্ভবা নদীর পানি ৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আহসান হাবীব জানান, শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে আজ (গতকাল) শনিবার সকাল পর্যন্ত পদ্মা নদীর পানি কমেছে ১৩ সেন্টিমিটার। শনিবার সকাল ৯টায় পাঁকা পয়েন্টে এ নদীর পানি বিপৎসীমার ১০৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। অন্যদিকে একই সময়ে মহানন্দা নদীর পানি কমেছে ৫ সেন্টিমিটার। খালঘাট পয়েন্টে মহানন্দার পানি বিপৎসীমার ১৪৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এছাড়া পুনর্ভবা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ৮ সেন্টিমিটার। রহনপুর পয়েন্টে এ নদীর পানি বিপৎসীমার ২২৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. পলাশ সরকার গত কয়েকদিন আগে জানিয়েছিলেন, শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা, উজিরপুর, দুর্লভপুর, ছত্রাজিতপুর, ঘোড়াপাখিয়া এবং সদর উপজেলার নারায়ণপুর, আলাতুলী, শাহাজাহানপুর ও চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের ১ হাজার ৯৩২ হেক্টর মাসকালাই, ৫ হেক্টর রোপা আউশ, ৯ হেক্টর গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ, ৫ হেক্টর সবজি ও ৩ হেক্টর চিনা বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৮১০ জন কৃষক।

নদী ভাঙন ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ

নদী ভাঙন ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চলের নদী ভাঙন ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করছে প্রশাসন। এর মধ্যে সদর উপজেলার নারায়ণপুর ও আলাতুলি ইউনিয়নের ১ হাজার ১১৪ পরিবার এবং শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকাসহ অন্যান্য ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মধ্যে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসন থেকে এই দুই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে চালগুলো বিতরণ করা হচ্ছে। শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আফতাবুজ্জামান-আল-ইমরান গতকাল শনিবার দুপুরে জানান, জেলা প্রশাসন থেকে ২০ টন চাল পাওয়া গেছে। সেই চাল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র পরিবারগুলোর মধ্যে শুক্রবার থেকে বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চিড়া, মুড়িসহ শুকনো খাবার দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, পাঁকা, উজিরপুর, দুর্লভপুর, মনাকষা, ছত্রাজিতপুর, ঘোড়াপাখিয়া ইউনিয়নের কিছু অংশ বন্যার শিকার হয়েছে। তবে পাঁকা সবচেয়ে বেশি। সবমিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৮০০ পরিবার বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে তিনি জানান। গতকাল শনিবার শিবগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তৌফিক আজিজ ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী আরিফুল ইসলামের উপস্থিতিতে পাঁকা ইউনিয়নের চর এলাকায় বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। এদিকে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নদী ভাঙন ও বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে নারায়ণপুর ও আলাতুলি ইউনিয়ন। এই দুটি ইউনিয়নের ১ হাজার ১১৪টি পরিবারের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫ টন করে চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, যা ট্যাগ অফিসারের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়াও শাহজাহনপুর, দেবীনগর, চরবাগডাঙ্গা, সুন্দরপুর, বারঘরিয়া ইউনিয়নের আংশিক বন্যাকবলিত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার মীর আল মনসুর শোয়াইব জানান, উদ্ভূত বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনায় এরই মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার জন্য বরাদ্দকৃত ৩০ মেট্রিক টন চাল বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে  বন্যায় পানিবন্দি মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে  বন্যায় পানিবন্দি মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ চাঁপাইনবাবগঞ্জে বন্যায় পানিবন্দি মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ শুরু হয়েছে।আজ বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর ইউনিয়নের মনোহরপুর এলাকায়  পদ্মার পানি বৃদ্ধিতে পানিবন্দি দূর্গত ৩০০  পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়। নৌকা থেকে ও শুকনো এলাকায়  নেমে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয় থেকে বরাদ্দ পাওয়া  চাল বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তৌফিক আজিজ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা(পিআইও) আরিফুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম আজম সহ সংশ্লিস্টরা। সহকারি কমিশনার বলেন, এই বিতরণ অব্যহত থাকবে। পাঁকা ইউনিয়নে ৮০০ পরিবারের মাঝে চাল ও কিছু পরিবারের মাঝে  উপজেলা পরিষদ থেকে শুকনো খাবার বিতরণ করা হবে। বরাদ্দ থাকা পর্যন্ত এই কর্মসূচী চলবে। এদিকে সদরের ননারায়নপুর ইউনিয়নে নদীভাঙ্গন ও বন্যা উভয় দুর্য়োগে ক্ষতিগ্রস্থ  ৫০০ জনের জন্য ১০ কেজি করে চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যা দ্রুত বিতরণ  করা হবে বলে জানা গেছে। এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মার পানি কমেছে ও মহানন্দা স্থির রয়েছে। উন্নতি হতে  শুরু করেছে বন্যা পরিস্থিতি। তবে ৩দিন ধরে চলমান বৃষ্টি অব্যহত রয়েছে। বৃষ্টি পানিবন্দি মানুষের দূর্ভোগ বাড়িয়েছে। শুক্রবার(২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল পর্যন্ত জেলায় ২৪ ঘন্টায়  গড়ে ৩৮ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে কৃষি বিভাগ। পাউবো সূত্র জানায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মার বিপদসীমা ২২.০৫ মিটার। আজ সন্ধ্যা ৬টায় পদ্মা প্রবাহিত হচ্ছিল ২১.০৯ মিটারে। গত ২৪ ঘন্টায় পদ্মা ৬ সেমি কমেছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের অপর প্রধান নদী মহানন্দার বিপদসীমা ২০.৫৫ মিটার। আজ সন্ধ্যায় নদীটি প্রবাহিত হচ্ছিল ১৯.১২ মিটারে। গত ২৪ ঘন্টায়  মহানন্দার পানি স্থির রয়েছে। তবে জেলার অপর নদী গোমস্তাপুর উপজেলার পূর্ণভবার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ১১ সেমি। এর বিপদসীমা ২১.৫৫ মিটার। শুক্রবার সন্ধ্যায় সন্ধ্যায়  নদীটি ১৯.২৪ মিটারে প্রবাহিত হচ্ছিল। এদিকে বন্যায় সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্থ শিবগঞ্জের পাঁকা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক বলেন, কৃষি বিভাগ জেলায় বন্যায় যে ১ হাজার ৮৮৯ হেক্টর জমির ফসল ও ৬ হাজার ৮১০জন কৃষকের ক্ষতির হিসাব করেছে তার তুলনায় ক্ষতিগ্রস্থ জমির পরিমান ও কৃষকের সংখ্যা আরও অনেক বেশি হবে। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাছমিনা খাতুন বলেন,নারায়নপুর ই্উনিয়নের  ১ নং ওয়ার্ডে ভাঙ্গণ কবলিত  কমুনিটি ক্লিনিকটি সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান নাজির হোসেন বলেন, চলতি মাসের ১২ তারিখ এটি সরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। যা অব্যহত রয়েছে।

ভোলাহাটে ঝগড়া থামাতে গিয়ে ভাতিজার হাতে চাচা খুন

ভোলাহাটে ঝগড়া থামাতে গিয়ে ভাতিজার হাতে চাচা খুন ভোলাহাট উপজেলায় ভাই-ভাতিজার পারিবারিক কলহ থামাতে গিয়ে ভাতিজা রবিউল ইসলাম ভুটুর ছুরিকাঘাতে বড় চাচা সাবেক ইউপি সদস্য ইসমাইল হোসেন দুলু নিহত হয়েছেন। ঘাতক ভুটু ভোলাহাট সদর ইউনিয়নের ঝাউবোনা গ্রামের মিলন আলীর ছেলে। নিহত দুলু ওই গ্রামের মৃত শাম মোহম্মদের ছেলে। স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে মিলনের বাড়িতে ছুরিকাঘাতের ঘটনার পর রাত ১২টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক দুলুকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে ঘটনার পরপরই গ্রামবাসি ভুটুকে হত্যায় ব্যবহৃত চাকুসহ পুলিশে সোপর্দ করে। ভোলাহাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইকবাল পাশা বলেন, মিলনের সাথে তার ছেলে ভুটুর ঝগড়া ছলছিল। এক পর্যায়ে ভুটু পিতা মিলনকে মারতে উদ্যত হয়। এসময় পাশের বাড়িতে বসবাসরত ইসমাইল এগিয়ে এসে ভুটুকে একটি চড় মেরে ঝগড়া থামাতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ভুটু ঘর থেকে ছুরি এনে চাচার বুক,পিঠ ও পেটে একাধিক ছুরিকাঘাত করলে ঘটনাস্থলে তিনি আহত হন ও হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরিদর্শক পাশা আরও বলেন এ ঘটনায় নিহতের ছেলে আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ভুটু ও তার মায়ের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা করেছেন। আজ পুলিশ গ্রেপ্তার ভুটুকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। মরদেহ জেলা হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের পর পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪০ মিলিমিটার বৃষ্টি ২৪ ঘণ্টায়

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪০ মিলিমিটার বৃষ্টি ২৪ ঘণ্টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত কয়েকদিন থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। কখনো হালকা আবার কখনো ভারী। এতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা খানিকটা বিঘিœত হলেও জনজীবনে নেমে এসেছে স্বস্তি। লোডশেডিং হলেও শীতল আবহাওয়ায় মানুষ স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জ কার্যালয়ের উপপরিচালক ড. পলাশ সরকার জানান, গত বুধবার ভোর ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় গড় বৃষ্টি হয়েছে ৪০ মিলিমিটার। এর মধ্যে সদরে বৃষ্টি হয়েছে ৫০ মিলিমিটার, শিবগঞ্জে ৫৫ মিলিমিটার, গোমস্তাপুরে ২৫ মিলিমিটার, নাচোলে ৫০ মিলিমিটার ও ভোলাহাট উপজেলায় ২০ মিলিমিটার। এদিকে বৃষ্টিার কারণে রাস্তায় ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও রিকশা চলাচল কম করেছে। ফলে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিতে পড়তে দেখা গেছে। অনেককে বৃষ্টির পানিতে ভিজেই ঘরে ফিরতে দেখা গেছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলা শুরু

চাঁপাইনবাবগঞ্জে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলা শুরু চাঁপাইনবাবগঞ্জে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলা শুরু হয়েছে। আজ সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ মেলার উদ্বোধন করা হয়। জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এ মেলার আয়োজন করেছে বন বিভাগ। মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আহমেদ মাহাবুব-উল-ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- সামাজিক বন বিভাগ রাজশাহীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রফিকুজ্জামান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জ কার্যালয়ের উপপরিচালক ড. পলাশ সরকার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. আজগর আলী। সূচনা বক্তব্য দেন- সহকারী বন সংরক্ষক মো. মেহেদীজ্জামান। বৃক্ষরোপণ ও পরিচর্যা বিষয়ে বক্তব্য দেন- মনামিনা কৃষি খামারের স্বত্বাধিকারী মো. মতিউর রহমান মতি। সপ্তাহব্যাপীর বৃক্ষমেলায় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ২৫টি স্টল অংশ নিয়েছে। এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছেÑ ‘বৃক্ষ দিয়ে সাজায় দেশ, সমৃদ্ধ করি বাংলাদেশ’।

শারদীয় দুর্গাপূজা : পুলিশ সুপারের সঙ্গে মন্দির কমিটির মতবিনিময়

শারদীয় দুর্গাপূজা : পুলিশ সুপারের সঙ্গে মন্দির কমিটির মতবিনিময় চাঁপাইনবাবগঞ্জে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষে পুলিশ প্রশাসনের আয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক এক সভা  অনুষ্ঠিত হয়েছে।  আজ সকাল ১০টায় পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম। সভায় বক্তব্য দেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) মো. নুরুজ্জামান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম জাকারিয়া, গোমস্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম কিবরিয়া, শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) মো. আরমান হোসেন, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ডাবলু কুমার ঘোষ ও যুগ্ম সম্পাদক পলাশ দাস, সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি স্বপন কুমার ঘোষ ও সাধারণ সম্পাদক তরুণ কুমার সাহা, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক দিলীপ রায় ও সদর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শ্রী সঞ্জিব সাহা, গোমস্তাপুরের পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সচিন দেব বর্মণ, নাচোল পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুধেন চন্দ্র বর্মণ, ভোলাহাট পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি আশুতোষ ঘোষ, শিবগঞ্জের পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি প্রদীপ গড়গড়িয়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর শাখার পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অজিত কুমার দাসসহ অন্য নেতৃবৃন্দ। সভায় পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন, জেলায় শারদীয় দুর্গোৎসব শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে উদযাপনে সার্বিক নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। সব ধরনের গুজব থেকে সতর্ক থাকতে হবে। এছাড়া প্রতিটি মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, জরুরি পরিষেবার প্রয়োজনীয় মোবাইল নম্বর দৃশ্যমান রাখা ও নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক দল গঠনে ব্যবস্থা নিতে হবে। সভায় উপস্থিত ছিলেন- বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তা, জেলার বিভিন্ন পূজাম-পের নেতৃবৃন্দ।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি, ২৪ ঘন্টায় পদ্মায় পানি কমেছে ১৫ সেমি ও মহানন্দার ২ সেমি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি, ২৪ ঘন্টায় পদ্মায় পানি কমেছে ১৫ সেমি ও মহানন্দার ২ সেমি চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা ও মহানন্দার পানি কমতে শুরু করেছে। সামান্য হলেও উন্নতি হতে শুরু করেছে বন্যা পরিস্থিতি। তবে পানি বন্দি মানুষের দূর্ভোগ বাড়িয়েছে গতকাল থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টি। আজ সকাল পর্যন্ত জেলায় ২৪ ঘন্টায় গড়ে ৪০ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে কৃষি বিভাগ। স্থানীয়রা জানিয়েছে, প্রায় ১০ দিন তলিয়ে থাকায় নষ্ট হয়ে গেছে হাজার হাজার বিঘা নদী তীরবতী ও নীচু জমির মূলত: মাসকলাই সহ বিভিন্ন কৃষি ফসল। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের সংখ্যা ৬ হাজার ৮১০ জন। পানি হ্রাস অব্যহত থাকলেও যে সব বাড়ি ও স্থাপনা নিমজ্জিত, যে সব পরিবার পানিবন্দি তাদের জীবন যাত্রা স্বাভাবিক হতে কিছু সময় লাগবে। বিশেষ করে তলিয়ে যাওয়া কাঁচা সড়ক চলাচল উপযোগি সহতে সময় লাগবে। যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ হয়ে গেছে সেগুলো শুরু হতেও সময় লাগবে। পাউবো সূত্র জানায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মার বিপদসীমা ২২.০৫ মিটার। আজ সন্ধ্যা ৬ টায় পদ্মা প্রবাহিত হচ্ছিল ২১. ১৫ মিটারে, গত ২৪ ঘন্টায় পদ্মা ১৫ সেমি কমেছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের অপর প্রধান নদী মহানন্দার বিপদসীমা ২০.৫৫ মিটার। আজ সন্ধ্যায় নদীটি প্রবাহিত হচ্ছিল ১৯.১২ মিটারে, তবে গত ২৪ ঘন্টায় মহানন্দার পানি কমেছে ২ সেমি। তবে জেলার অপর নদী গোমস্তাপুর উপজেলার পূর্ণভবার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ৬ সেমি, যার এর বিপদসীমা ২১.৫৫ মিটার। আজ সন্ধ্যায় নদীটি ১৯.১৩ মিটারে প্রবাহিত হচ্ছিল। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আহসান হাবিব বলেন, আপাতত বন্যার কোনো আশংকা নেই এবং পদ্মা, মহানন্দার পানি কমতে শুরু করেছে। আর পানি কমা অব্যহত থাকার আশা করা হচ্ছে। গতকাল থেকে জেলাবাপী শুরু হওয়া বৃষ্টিপাত বন্যার উপর প্রভাব ফেলবে না বলে আশা করা হচ্ছে । তবে সার্বিক পরিস্থিতির দিকে সতর্ক নজর রাখা হচ্ছে। এদিকে, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক ড. পলাশ সরকার বলেন, জেলার নদীগুলোর পানি বৃদ্ধির কারণে ক্ষতিগ্রস্থ ফসলী জমির পরিমান এখন ১ হাজার ৯৮৯ হেক্টর। এর মধ্যে ১ হাজার ৯৩২ হেক্টর মাসকলাই। নতুন করে কোন জমি প্লাবিত হয়নি। তবে, জেলায় বন্যায় বেশি আক্রান্ত শিবগঞ্জ উপজেলা। এরপর সদর ও গোমস্তাপুর উপজেলা। এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৮১০ জন কৃষক। শিবগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফতাবুজ্জামান আল-ইমরান বলেন, সবথেকে ক্ষতিগ্রস্থ পদ্মাবেষ্টিত পাঁকা ইউনিয়নে আশ্রয় কেন্দ্রে ও আশপাশের উঁচু বাড়িতে পানিবন্দি মানুষের মাঝে দ্রুত শুকনো খাবার দেয়া হবে। পাঁকা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক বলেন, পদ্মা কমতে শুরু করেছে। কাঁচা সড়ক তলিয়ে পানিবন্দি দেড় হাজার পরিবার। নিমজ্জিত অর্ধশতাধিক বাড়ি, কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। সদরের নারায়নপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাজির হোসেন বলেন, ২ হাজার পরিবার পানিবন্দি। নদীভাঙ্গন ও বন্যা উভয় দুর্য়োগে ক্ষতিগ্রস্থ ৫২০ জনের তালিকা প্রশাসনে জমা দেয়া হয়েছে। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাছমিনা খাতুন বলেন, এদের আপাতত ২০ কেজি করে চাল দেয়া হবে। পরে দূর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রনালয় থেকে আরও সাহায্য পেলে করা হবে।