01713248557

সোনামসজিদে ১৮ কেজি ইলিশ ও ভারতীয় ট্রাকসহ চালক আটক

সোনামসজিদে ১৮ কেজি ইলিশ ও ভারতীয় ট্রাকসহ চালক আটক শিবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর সংলগ্ন ইমিগ্রেশন চেকপোষ্টে বন্দরে আসা পণ্যবাহী একটি ভারতীয় ট্রাক পণ্য খালাসের পর পূণরায় ভারতে ফিরে যাবার সময় ১৭ কেজি ৬০০ গ্রাম ইলিশ মাছ ওই  ট্রাকে করে চোরাচালানের চেষ্টাকালে বিজিবির তল্লাশীতে আটক হয়েছে। এ সময় মাছ ও  ট্রাকটি জব্দ করা হয় ও ট্রাক চালককে আটক করা হয়। আটক চালক ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার ইংলিশ বাজার থানার কাঞ্চাণ্টার টিয়াকাঠি গ্রামের রনজিৎ মন্ডলের ছেলে অলক মন্ডল। ৫৯বিজিবি রহনপুর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, আজ সকালে  ইলিশ চোরাচালানের গোপন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। আটক ভারতীয় নাগরিককে শিবগঞ্জ থানায় সোপর্দ করে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। মাছগুলি কাষ্টমস এর মাধ্যমে বিক্রি করা হবে বলেও জানান তিনি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিশ্ব বসতি দিবস  উদযাপন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিশ্ব বসতি দিবস  উদযাপন ‘তরুণদের সম্পৃক্ত করি, উন্নত নগর গড়ি-প্রতিপাদ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিশ্ব বসতি দিবস উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আহমেদ-মাহবুব-উল ইসলাম। মূখ্য আলোচক হিসাবে বক্তব্য দেন, গণপূর্ত বিভাগ চাঁপাইনবাবগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন, উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী রাকিবুল ইসলাম। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সহকারি প্রকৌশলী খোন্দকার নাদিম মাহমুদ, উপ-সহকারী প্রকৌশলী সত্যজিৎ রায়, ফিরোজ হোসেন প্রমুখ। বক্তারা দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত : ২২ দিন বন্ধ থাকবে ইলিশ ধরা ও বিক্রি

জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত : ২২ দিন বন্ধ থাকবে ইলিশ ধরা ও বিক্রি জাতীয়ভাবে নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসেবে চাঁপাইনবাবগঞ্জেও আগামী ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও মজুত করা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত জেলা টাস্কফোর্স কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুস সামাদ। ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৪ বাস্তবায়নের লক্ষে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সভায় জানানো হয়, ২২ দিনের এই অলস সময়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার ২ হাজার জেলেকে ২৫ কেজি করে ভিজিএফ চাল দেয়া হবে। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। যারা নির্দেশনা অমান্য করে ইলিশ ধরবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে মাইকিং, লিফলেট বিতরণ, সভা সামবেশ করা হবে। সভায় গতবছরের সিদ্ধান্তসমূহ উপস্থাপন করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান। এসময় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইকতেখারুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. তাছমিনা খাতুন, জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুর রশিদ, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফা, সদরের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাসুদ রানাসহ কমিটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে জন্ম নিবন্ধনের হার ৬৮ শতাংশ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে জন্ম নিবন্ধনের হার ৬৮ শতাংশ ‘জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, আনবে দেশে সুশাসন’- এ প্রতিপাদ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত হয়েছে। রবিবার আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়। জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ। তিনি শাহবাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের মতো জেলার সকল ইউনিয়ন-পৌরসভাগুলোকে শতভাগ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম সফল করার আহ্বান জানান। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন- জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালক দেবেন্দ্র নাথ উরাঁও। আলোচনায় অংশ নেন- সিভিল সার্জন ডা. এস এম মাহমুদুর রশিদ। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের মধ্যে বক্তব্য দেন- সুন্দরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান ও বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. আতাউল হক কমল। সূচনা বক্তব্যে দিবসটি সম্পর্কে জাতীয় ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. তাছমিনা খাতুন। তিনি তার উপস্থাপনায় জানান, যেসব ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে তা হলো- পাসপোর্ট ইস্যু, বিয়ে রেজিস্ট্রেশন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি, নিয়োগ, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ভোটার তালিকা প্রণয়ন, জমি রেজিস্ট্রেশন, জাতীয় পরিচয়পত্র, লাইফ ইন্স্যুরেন্স পলিসি, ব্যাংক হিসাব খোলা, আমদানি-রপ্তানি লাইসেন্স, গ্যাস, পানি, টেলিফোন ও বিদ্যুৎ সংযোগ, টিআইএন নম্বর, ঠিকাদারি লাইসেন্স, বাড়ির নকশা অনুমোদন, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন, ট্রেড লাইসেন্স ও টিকাদান। যেসব ক্ষেত্রে মৃত্যু নিবন্ধন সনদ বাধ্যতামূলক তা হলো- উত্তরাধিকার সনদ প্রাপ্তি, পারিবারিক পেনশন প্রাপ্তি, মৃত ব্যক্তির লাইফ ইন্স্যুরেন্সের দাবি, নামজারি ও জমা ভাগপ্রাপ্তি। শিশুদের জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর পরে হলে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে করতে হবে। তিনি জানান, জুলাই-২০২৩ হতে মে-২০২৪ পর্যন্ত জন্ম ও মৃত্যুর এক বছবরের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার জন্ম নিবন্ধনের অগ্রগতি হয়েছে ৬৮ শতাংশ ও মৃত্যু নিবন্ধন ৭৯ শতাংশ। যা জাতীয়ভাবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ৮ম স্থানে রয়েছে। সদর উপজেলায় জন্ম নিবন্ধনের হার ৮৮.১২ শতাংশ ও মৃত্যু নিবন্ধনের হার ৭১.০২ শতাংশ। জন্ম নিবন্ধনে বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন বারঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. আল আমিন, ঝিলিম ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মৃনাল কান্তি পাল। এসময় জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুর রশিদ, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফা, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক সাহিদা আখতারসহ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা, হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটররা উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে রবিবার বেলা ১১টার দিকে মিনি কনফারেন্স রুমে এ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নীলুফা সরকারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় পৌর নির্বাহী, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সাংবাদিক, ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা, উদ্যোক্তা ও গ্রামপুলিশেরা অংশগ্রহণ করেন। আলোচনা সভায় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিষয়ে টিকার কার্ড, নামের বানান সংশোধন, দিন-মাস ও বছরের বয়স নির্ধারণ ফিসহ বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে কথা বলেন। আলোচনা শেষে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবসে উপকারভোগীদের হাতে জন্ম নিবন্ধন সনদ তুলে দেন নির্বাহী অফিসার নীলুফা সরকার এবং উপজেলা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কার্যালয়ের অফিসার সোহেল রানা। অপরদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। রবিবার সকালে উপজেলা সভাকক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। রহনপুর পৌরসভা আয়েজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত আনজুম অনন্যা। বক্তব্য দেন- উপজেলা কৃষি অফিসার তানভীর আহমেদ সরকার, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল হামিদ, রহনপুর পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা খায়রুল হক, আলিনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মুহাম্মদ মাসুমসহ অন্যরা।

বেলেপুকুরে জলাবদ্ধতা নিরসনে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগ

বেলেপুকুরে জলাবদ্ধতা নিরসনে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগ চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বেলেপুকুর মহল্লায় একটি রাস্তায় জলাবদ্ধতা নিরসনে ইকরা’অ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে রাস্তাটি সংস্কার কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (৫ অক্টোবর) সকালে জেলাশহরের শাহ নেয়ামতুল্লাহ কলেজের পেছন সংলগ্ন এ রাস্তাটির সংস্কার কাজের উদ্বোধন করা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত বেলেপুকুর মহল্লার এই রাস্তাটি প্রত্যেক বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানিতে ডুবে যায়। এতে শতাধিক পরিবার দুর্ভোগের শিকার হয়। এ দুর্ভোগ লাঘবে ইকরা’অ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রাস্তাটিতে ইট বালু খোয়া ফেলে চলাচলের উপযোগী করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। এ বিষয়ে ইকরা’অ-র সভাপতি ওবায়দুল হক জানান, মহল্লার যে অংশটুকু জলাবদ্ধতার কারণে জনদুর্ভোগ দেখা দিয়েছে, সেখানে রয়েছে বেলেপুকুর কিডস ভ্যালি স্কুল, শাহ নেয়ামতুল্লাহ কলেজ এবং খেলাধুলার মাঠ; যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এসময় উপস্থিত ছিলেনÑ ইকরা’অ-র সহসভাপতি শাহিনুল ইসলাম শাহীন, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার হাসান ইমাম লিবন, সহ-সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ, প্রচার সম্পাদক সোহেল রানা, কার্যনির্বাহী সদস্য হাবিবুর রহমান তারেক, ক্রীড়া সম্পাদক আসাদুজ্জামান সিহাব, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান ও এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা।

পদ্মায় কমছে পানি, মহানন্দা পুনর্ভবায় বাড়ছেই

পদ্মায় কমছে পানি, মহানন্দা পুনর্ভবায় বাড়ছেই চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত পদ্মা নদীর পানি শনিবার (৫ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টায় ৭ সেন্টিমিটার কমেছে। বিকেল ৩টার সময় এই নদীর পানি বিপৎসীমার ১১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে মহানন্দা ও পুনর্ভবার নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্যানুযায়ী, গত শুক্রবার বিকেল ৩টা থেকে  শনিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা নদীতে পানি কমেছে ৪ সেন্টিমিটার। তবে গত শুক্রবার বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই নদীর পানি ২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পায়। এর পরবর্তী ১৫ ঘণ্টায় অর্থাৎ গতকাল শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত পানি স্থির থাকে। শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টায় পানি কমে ৭ সেন্টিমিন্টার। এ নদীর পাঁকা পয়েন্টে পানির এই স্তর রেকর্ড করা হয়। এ নদীর বিপৎসীমা ২২.০৫। অন্যদিকে গত শুক্রবার বিকেল ৩টা থেকে  শনিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মহানন্দা নদীর পানি বেড়েছে ৩ সেন্টিমিটার। এ নদীর পানি বিপৎসীমার ১২৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। মহানন্দার খালঘাট পয়েন্টে পানি বৃদ্ধির এ রেকর্ড করা হয়। এ নদীর বিপৎসীমা হচ্ছে ২০.৫৫। এছাড়া একই সময়ে পুনর্ভবা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ৫ সেন্টিমিটার। এ নদীর পানি বিপৎসীমার ১৬৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এ নদীর বিপৎসীমা হচ্ছে ২১.৫৫ মিটার। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে শিক্ষক দিবস পালিত

যথাযোগ্য মর্যাদায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে শিক্ষক দিবস পালিত ‘শিক্ষকের কণ্ঠস্বর : শিক্ষায় নতুন সামাজিক অঙ্গীকার’ এই প্রতিপাদ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জে শনিবার (৫ অক্টোবর) জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিশ^ শিক্ষক দিবস পালিত হয়েছে। এছাড়াও জেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিজ নিজ উদ্যোগে দিবসটি পালন করা হয়। সকালে জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে একটি র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে সদর উপজেলা বিশ^ শিক্ষক দিবস উদ্যাপন কমিটির আয়োজনে বিশ^ শিক্ষক দিবস পালিত হয়েছে। প্রথমে র‌্যালি ও পরে উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অন্যদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায় বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি নাচোল উপজেলা শাখার উদ্যোগে র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে বিশ^ শিক্ষক দিবস পালিত হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় নাচোল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় চত্বর থেকে র‌্যালিটি বের হয়ে নাচোল পৌর এলাকার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিদ্যালয় চত্বরে আলোচনা সভায় শিক্ষক নেতারা শিক্ষকদের বিভিন্ন বৈষম্য দাবি-দাওয়া তুলে ধরে বক্তব্য দেনÑ নেজামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি জহির উদ্দিনসহ অন্যরা। অপরদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে বিশ^ শিক্ষক দিবস উপলক্ষে শনিবার সকালে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালিটি সকাল ১০টায় উপজেলা চত্বর থেকে বের হয়ে রহনপুর শহর প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। পরে উপজেলা সভাকক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মুসাহাক আলী।

ক্ষতির মূখে ১৬ হাজার বিঘা জমির ফসল ও  ৮,১১৫ জন কৃষক

ক্ষতির মূখে ১৬ হাজার বিঘা জমির ফসল ও  ৮,১১৫ জন কৃষক চাঁপাইনবাবগঞ্জে চলতি মৌসুমে সেপ্টেম্বরে প্রথম দফার পর অক্টোবরের শুরুত্ইে দ্বিতীয়বারের মত বাড়তে শুরু করেছে পদ্মা,মহানন্দা,পূণর্ভবা সহ জেলার নদ-নদীগুলোর পানি। তবে জেলার সব নদীই এখনও বিপৎসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার প্রধান নদী পদ্মা এই দফায় এখনও গত দফার সর্বোচ্চ বৃদ্ধি অতিক্রম না করলেও মহানন্দা  ও পূণর্ভবা করেছে।  এদিকে জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতও অব্যহত রয়েছে।  গত দফার বৃদ্ধিতে পুরোপুরি বন্যা পরিস্থিতি সৃস্টি না হলেও সদর, শিবগঞ্জ ও গোমস্তাপুর উপজেলার নদীতীরবর্তী  বহু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। পানিবন্দি  হয়  বেশ কয়েক হাজার পরিবার। ক্ষতিগ্রস্থ হয় নদীতীরবর্তী নীচু জমির ফসল। চলতি দফায় জেলার আরও দুটি উপজেলা নাচোল ও ভোলাহাটের নি¤œাঞ্চলও  মহানন্দা ও পূণর্ভবার পানিবৃদ্ধিতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কৃষি বিভাগ বলছে, এখন পর্যন্ত পানিবৃদ্ধিতে ক্ষতির মূখে ২ হাজার ২২৫ হেক্টর জমির ফসল ও ৮ হাজার ১১৫ জন কৃষক। এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও গোমস্তাপুরের রহনপুর পৌর এলাকার কিছু নীচু জমিতে পানি ঢুকে পড়েছে। পাউবো সূত্র জানায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মার বিপদসীমা ২২.০৫ মিটার। গত ২৫ সেপ্টেম্বর পদ্মা সর্বোচ্চ ২১.৩০ মিটারে প্রবাহিত হয়। যা ছিল বিপৎসীমার ৭৫  সেমি নীচে।  এরপর পদ্মা কমতে শুরু করে। গত মঙ্গলবার (১ অক্টোবর)  ২০.৬৮ মিটার পর্যন্ত কমার পর গত বুধবার (২অক্টোবর)  সকাল থেকে আবারও বাড়তে শুরু করে।  ৪ সেমি বেড়ে প্রবাহিত হয় ২০.৭২ মিটারে। আজ সন্ধ্যা ৬টায় পদ্মা  ২০. ৯৩ মিটারে প্রবাহিত হচ্ছিল। অর্থাৎ নতুন করে পদ্মা ২৫ সেমি বেড়েছে। বিগত ২৪ ঘন্টায় বেড়েছে ৮ সোিম। চাঁপাইনবাবগঞ্জের অপর প্রধান নদী মহানন্দার বিপদসীমা ২০.৫৫ মিটার। গত দফায় নদীটি  ২৭ সেপ্টেম্বর সর্বোচ্চ ১৯.১৪ মিটারে প্রবাহিত হবার পর কমতে শুরু করে।  ৩০ সেপ্টেম্বর নদীটি সর্বনি¤œ ১৯.০০ মিটারে প্রবাহিত হবার পর গত মঙ্গলবার থেকে আবার বাড়ছে।  আজ সন্ধ্যায় নদীটি প্রবাহিত হচ্ছিল ১৯.২৮ মিটারে। বিগত ২৪ ঘন্টায় নদীটি ৬ সেমি বেড়েছে। যা গত দফার সর্বোচ্চ বৃদ্ধির তুলনায় ১৪ সেমি বেশি। জেলার অপর নদী গোমস্তাপুর উপজেলার পূর্ণভবার পানি আজ সন্ধ্যা পর্য়ন্ত বিগত ২৪ ঘন্টায়  ৮ সেমি বেড়ে  ১৯.৮৮ মিটারে প্রবাহিত হচ্ছিল। এর বিপৎসীমা ২১.৫৫ মিটার। জেলা পনি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহি প্রকৗেশলী এস.এম আহসান হাবিব বলেন, উজানে ভারতে বৃষ্টিপাতই  আবার এই বৃদ্ধি কারণ। দেশে ও জেলাতেও বৃষ্টিপাত বেড়েছে।  আরও ২/৪ দিন পানি বাড়তে পারে। তবে এখনও বন্যার কোন পূর্বাভাস না থাকলেও  আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। কৃষি বিভাগ জেলায় গত দফার বন্যায় ১ হাজার ৯৮৯ হেক্টর জমির ফসল ও ৬ হাজার ৮১০জন কৃষকের ক্ষতির হিসাব করেছিল ( ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত)। শুক্রবার রাতে জেলা কৃষ্টি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. পলাশ সরকার বলেন, মহানন্দা ও পূণর্ভবা নদীর পানি গত দফার চেয়ে এ দফা আরও বেশিতে প্রবাহিত হওয়ায় নতুন করে  ২৩৫.৫ হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। ক্ষতির মূখে পড়েছেন আরও ১ হাজার ৩০৫ জন কৃষক। ক্ষতিগ্রস্থ ফসলের প্রায় ৯৫ শতাংশই মাসকলাই। তবে  জনপ্রতিধিসহ বিভিন্ন সূত্র এই ক্ষতির পরিমান আরও অনেক বেশি বলে দাবি করেছেন।

নাচোলে প্রাথমিক শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নে মানববন্ধন

নাচোলে প্রাথমিক শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নে মানববন্ধন চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সেই সঙ্গে স্মারকলিপিও দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নাচোল উপজেলার সরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমন্বয় পরিষদ এ কর্মসূচির আয়োজন করে। বিকেল ৩টায় নাচোল বাসস্ট্যান্ড চত্বরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকগণ অংশ নেন। মানববন্ধন শেষে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল নাচোল উপজেলা নির্বাহী অফিসার নীলুফা সরকামের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি দেন। এসময় নাচোল উপজেলার সরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমন্বয় পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক আলহাজ মাইনুল ইসলামসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধনে শিক্ষক নেতারা অভিযোগ করে বলেন, একই যোগ্যতায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েও তারা তৃতীয় শ্রেণীর গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। অথচ তাদের সমান যোগ্যতায় অনেকেই ১০ম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। এটা স্পষ্টতই একটা বড় বৈষম্য। তাদের দাবি, উচ্চ মাধ্যমিক এবং ডিপ্লোমা পাসের যোগ্যতায় নার্সরা জাতীয় পে-স্কেলের ১০ম গ্রেড পাচ্ছেন। একইভাবে উচ্চ মাধ্যমিকসহ ৪ বছরের ডিপ্লোমা যোগ্যতায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকতারা ১০ম গ্রেড, পুলিশের এসআইরা স্নাতক যোগ্যতায় ১০ম গ্রেড এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা একই শিক্ষাগত যোগ্যতায় ১০ম গ্রেড পাচ্ছেন। অথচ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বর্তমান বেতন হয় ১৩তম গ্রেডে। এই বৈষম্য দূর করার জোর দাবি জানান বক্তারা।

বিজিবির অভিযানে শিবগঞ্জে সীমান্ত এলাকায় পিস্তল ও মদ উদ্ধার

বিজিবির অভিযানে শিবগঞ্জে সীমান্ত এলাকায় পিস্তল ও মদ উদ্ধার চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশী পিস্তল, ৭ রাউন্ড গুলি ও ৪৩ বোতল মদ উদ্ধার করেছে বিজিবি। গত বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ৫৩ বিজিবির চাঁপাইনবাবগঞ্জ ব্যাটালিয়নের ফতেপুর বিওপির একটি বিশেষ টহল দল এইসব উদ্ধার করে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মনির-উজ-জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর ইউনিয়নের কুকরিপাড়া গ্রামে বিজিবি সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায়। এসময় সীমান্ত পিলার ১০/২-এস কাছ দিয়ে ২ জন ব্যক্তিকে একটি বস্তা নিয়ে ভারত হতে বাংলাদেশে আসতে দেখে বিজিবি সদস্যরা। একপর্যায়ে ওই দুই ব্যক্তি বিজিবর টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে বস্তাটি ফেলে কাঁটাতারবিহীন অংশ দিয়ে ভারতে পালিয়ে যায়। পরে ওই বস্তা থেকে ১টি বিদেশী পিস্তল, ৭ রাউন্ড গুলি ও ৪৩ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার করা হয়। লে. কর্নেল মো. মনির-উজ-জামান আরো জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ব্যাটালিয়ন বিজিবি সীমান্ত রক্ষায় বিশেষ টহল পরিচালনা করছে।