চাঁপাইনবাবগঞ্জে নতুন করে ২৩ জনের ডেঙ্গু সনাক্ত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে নতুন করে ২৩ জনের ডেঙ্গু সনাক্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ২৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের আন্তঃবিভাগে শনাক্ত হয়েছেন ১১ জন এবং বহির্বিভাগে ১১ জন ও ভোলাহাটে ১ জন শনাক্ত হন। বর্তমানে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি আছেন ২০ জন রোগী। তাদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ, ১৩ জন মহিলা ও ২ জন শিশু রয়েছেন। একই সময়ে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ৪ জনকে। এই ৪ জনের মধ্যে ৩ জন পুরুষ ও ১ জন মহিলা রয়েছেন। এছাড়া অবস্থার অবনতি হওয়ায় ২ জন পুরুষ রোগীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। অন্যদিকে শিবগঞ্জে ১ জন ও গোমস্তাপুরে ২ জন ও ভেলাহাটে ১ রোগী ভর্তি আছেন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ৭৪৩ জনে। একই সময়ে বহির্বিভাগে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ২১৩ জনে। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন অফিসের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বুধবার এই তথ্য জানানো হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৯

চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৯ চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ১৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের ভেতর বিভাগে শনাক্ত হয়েছেন ১১ জন এবং বহির্বিভাগে ৮ জন। বর্তমানে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৫ জন রোগী। তাদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ, ৯ জন মহিলা ও ২ জন শিশু রয়েছেন। একই সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ৮ জনকে। এই ৮ জনের মধ্যে ৩জন পুরুষ ও ৩ জন মহিলা ও ২ জন শিশু রয়েছেন। এছাড়া অবস্থার অবনতি হওয়ায় ১ জন মহিলা রোগীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। অন্যদিকে শিবগঞ্জে ১ জন ও গোমস্তাপুরে ২ জন রোগী ভর্তি আছেন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ৭৩২ জনে। একই সময়ে বহির্বিভাগে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ২০২ জনে। আজ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন অফিসের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিদিনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রশিক্ষণ নিয়ে সেলাই মেশিন পেলেন ১৮ নারী

চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রশিক্ষণ নিয়ে সেলাই মেশিন পেলেন ১৮ নারী চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইসলামিক ফাউন্ডেশনে প্রশিক্ষণ নিয়ে ১৮ জন দুস্থ ও অসহায় নারী পেয়েছেন সেলাই মেশিন। ২০২২-২০২৩ এবং ২০২৩ ও ২০২৪ অর্থ বছরের যাকাত বোর্ডের আওতায় পরিচালিত সেলাই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের এই ১৮ জন নারীকে মঙ্গলবার একটি করে নতুন সেলাই মেশিন প্রদান করা হয়। আজ সকালে জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও ইসলমিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে সেলাই মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. নাকিব হাসান তরফদার। জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মো. গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, শংকরবাটী হেফজুল উলুম এফকে কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. আব্দুল খালেক, টাউন জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মো. মাহবুবুর রহমান।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের মতবিনিময়

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের মতবিনিময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকালে হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের সভাপতি প্রফেসর সুলতানা রাজিয়া। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মসিউর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এবং প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক হাসিব হোসেন, প্রয়াসের কনিষ্ঠ সহকারী পরিচালক ফারুক আহমেদ। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের স্বাস্থ্য সংগঠন বিষয়ক সম্পাদক শাহনাজ পারভীন, তথ্যয়ন ও গবেষণা সম্পাদক সাজিদ তোহিদ, জেলা স্বাস্থ্য অধিকার যুব ফোরামের সমন্বয়কারী রাফিউল ইসলাম, প্রয়াসের অফিসার শাহরিয়ার শিমুল, সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ-আল-কাফিসহ অন্যারা। বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ ও প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির সহযোগিতায় মতবিনিময় সভার আয়োজন করে জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরাম।
ইয়ং এ্যাথলেটস ট্রেনিং প্রোগ্রাম ও ফ্যামিলি হেলথ ফোরাম প্রশিক্ষণ

ইয়ং এ্যাথলেটস ট্রেনিং প্রোগ্রাম ও ফ্যামিলি হেলথ ফোরাম প্রশিক্ষণ চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্পেশাল অলিম্পিকস বাংলাদেশের আয়োজনে দিনব্যাপী ইয়ং এ্যাথলেটস ট্রেনিং প্রোগ্রাম ও ফ্যামিলি হেলথ ফোরাম প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকালে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ইয়ং এ্যাথলেটস ট্রেনিং প্রোগ্রামে ১৫জন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু অংশ নেন। এসময় তাদের নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। পরে হল রুমে সুইড বাংলাদেশ বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের অভিভাবকদের নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অর্ধশতাধিক শিশুর অভিভাবক অংশগ্রহন করেন। এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্পেশাল অলিম্পিকস বাংলাদেশের জাতীয় পরিচালক ফারুকুল ইসলাম, পরিচালক কামরুন্নাহার ডানা, স্পোর্টস ম্যানেজার শামীম আল মামুন, চীফ কোর্ডিনেটর অরিন্দম পান্ডে, কো-অর্ডিনেটর রাজিবুল ইসলাম, রাসেল আহমেদ, অ্যাথলেটিস কোচ মর্তুজা ইকবাল নূরী, ফুটবল কোচ আব্দুর রাজ্জাক ও ক্রিকেট কোচ আব্দুল শুকুর খান। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ডায়াবেটিস হাসপাতালের সিনিয়র মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. নাইমুল হক ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মারুফা রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আম্বিয়া খাতুন, বিদ্যালয় এর নির্বাহী পরিচালক হান্নান হোসাইন ও প্রাক্তন খেলোয়াড় তৌফিকুল ইসলাম তোফাসহ অন্যরা। গুলিশানো ও লাইওন ক্লাবস ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের সহায়তায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সুইড বাংলাদেশ বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়। আলোচকবৃন্দ বলেন, ফ্যামিলি হেলথ ফোরাম হলো স্পেশাল অলিম্পিকসের একটি অংশ, যা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের পরিবার এবং পরিচর্যাকারীদের জন্য স্বাস্থ্য বিষয়ক শিক্ষা, সহায়তা ও তথ্য প্রদানের একটি প্ল্যাটফর্ম। এই ফোরামের উদ্দেশ্য হলো পরিবারগুলোকে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে তথ্য, এবং মানসিক সুস্থতার মতো বিষয়গুলোতে সহায়তা করা, যা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন অ্যাথলেটদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অনুষ্ঠানে পরিবার ও পরিচর্যাকারীদের জন্য ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ফিটনেস, মানসিক সুস্থতা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেন ডা. নাইমুল হক। এছাড়াও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য ও সুস্থতা সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্য এবং স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন ডা. মারুফা রহমান।
গোমস্তাপুরে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

গোমস্তাপুরে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু গোমস্তাপুরে পুকুর ডুবে ২ বছর বয়সী রেদওয়ান ওরফে রিহান নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ দুপুরে বাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের বাঙ্গাবাড়ি গ্রামের বাড়ির পাশে কাজলাদিঘি নামক পুকুরে এই ঘটনা ঘটে। ডুবে যাওয়া শিশু ওই গ্রামের বাসিন্দা রশিদুল ইসলামের ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আজ দুপুরে রিহান পরিবারের অগোচরে বাড়ির আশেপাশে খেলা করছিল। খেলার একপর্যায়ে ওই পুকুর পাড়ে পা ফসকে পানিতে পড়ে যায়। পরে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। তাকে কোন স্থানে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুঁজি পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই পুকুরে তার ভাসমান মরদেহ দেখতে পান পরিবারের লোকজন। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হন। সেখানে শিশুটির প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। এ বিষয়ে গোমস্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওয়াদুদ আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযোগ না থাকায় শিশুটির মরদেহ পরিবারের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনা গোমস্তাপুর থানায় অপমৃত্যু (ইউপি) মামলা হয়েছে।
মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা

মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সিভিল সার্জনের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মাতৃদুগ্ধ পানের গুরুত্ব, উপকারিতা এবং বাংলাদেশের বাস্তবতা তুলে ধরা হয়। বিশেষ করে ৬ মাস বয়স পর্যন্ত শিশুদের মাতৃদুগ্ধ পানের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এর পাশাপাশি মাতৃদুগ্ধ বিকল্প আইন বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এই আইন বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে শিশুদের পরিবারকে আরো সচেতন করার পরামর্শ দেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সিভিল সার্জন ডা. এ কে এম শাহাব উদ্দীন। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক শুকলাল বৈদ্য, এমওসিএস ডা. সুলতানা পাপিয়া। সভা সঞ্চালনা করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার চৌধুরী আব্দুল্লাহ আস শামস ।
শিবগঞ্জে বন্যার্ত আরো ৭০০ পরিবারের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ

শিবগঞ্জে বন্যার্ত আরো ৭০০ পরিবারের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত আরো ৭০০ পরিবারের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। আজ দুপুরে চর পাঁকা এলাকায় উপজেলা প্রশাসনের এসব ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়। ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজাহার আলী। এ সময় স্বাস্থ্যসেবা ও ভেটেরিনারি ক্যাম্প স্থাপন করে বিনামূল্যে ওষুধ ও স্বাস্থ্য পরামর্শ প্রদান করা হয়। পাশাপাশি উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের আওতায় বিভিন্ন ভাতাভোগীদের ভাতার নগদ টাকা তুলে দেয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেনÍ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শাহাদৎ হোসেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ও পাঁকা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মালেকসহ অন্যরা। এর আগে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েক দফায় বানভাসীদের মধ্যে চাল ও শুকনো খাবারসহ ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
ভোলাহাটে উপজেলা প্রশাসনের গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন

ভোলাহাটে উপজেলা প্রশাসনের গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন ভোলাহাট উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বিকেলে ভোলাহাট পাবলিক ক্লাব মাঠে এই টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাকিব হাসান তালুকদার। সভাপতিত্ব করেন ভোলাহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মনিরুজ্জামান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুলতান আলী, উপজেলা প্রকৌশলী আহরাম আলী, সমাজ সেবা অফিসার নাসিম উদ্দিন, আম ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব মুনসুর আলী, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন, দলদলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক চুটু, সদর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আজিজুল রহমানসহ অন্যরা। উদ্বোধনী খেলায় অংশগ্রহণ করে দলদলী ইউনিয়ন পরিষদ ফুটবল দল এবং ভোলাহাট সদর ইউনিয়ন পরিষদ ফুটবল দল। টুর্নামেন্টটি দর্শকদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করে।টুর্নামেন্ট আয়োজনের মাধ্যমে খেলাধুলার বিকাশ ও যুবসমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখার আহ্বান জানান অতিথিরা। মোট আটটি দলের অংশগ্রহণে টুর্নামেন্টের পরবর্তী খেলা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
পদ্মার ভাঙনের শিকার পাঁচশ পরিবার

পদ্মার ভাঙনের শিকার পাঁচশ পরিবার এবারের বর্ষা মৌসুমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলায় পদ্মা নদীর ভাঙনে অন্তত ৫০০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। পরিবারগুলো বর্তমানে কষ্টে দিন পার করছে। এছাড়া সাম্প্রতিক বন্যায় ৮ থেকে ৯ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করে। পরিবারগুলোর মধ্যে চাল-ডালসহ শুকনো খাবার বিতরণ করে প্রশাসনসহ বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা। শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক জানান, পাঁকা ইউনিয়নে ১২৫টি বাড়ি এবার পদ্মা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়েছে। এছাড়াও মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনাও নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এদিকে নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজির হোসেন জানান, তার ইউনিয়নে পদ্মা নদীর ভাঙনে এবার ইউনিয়ন পরিষদ ভবন ও বিভিন্ন স্থাপনাসহ ১৯০টি পরিবারের ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শত শত পরিবার। তাদের মধ্যে ৫৫০ পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী দেয়া হয়েছে। আলাতুলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন জানান, তার ইউনিয়নে পদ্মার ভাঙনে ঘরবাড়ি বিলীন হয়েছে ১৭০ পরিবারের। শত শত মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে অসহায় ৬০০টি পরিবারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। শিবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন জানায়, এবারের বন্যায় পাঁকা, উজিরপুর, দুর্লভপুর ও মনাকষা ইউনিয়নের অন্তত ৮ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। তাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রাকিবুল ইসলাম জানান, শিবগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর বিওপি ক্যাম্প, আইয়ুব বিশ্বাসের ঘাট ও সদর উপজেলার পোল্লাডঙ্গা বিওপি ক্যাম্প এলাকা এবং আলাতুলি ও নারায়ণপুরসহ প্রায় ৬ কিলোমিটারজুড়ে ভাঙন চলছে। এর মধ্যে রঘুনাথপুর বিওপি ক্যাম্প ও পোল্লাডাঙ্গা বিওপি ক্যাম্প রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চলছে। এছাড়াও মহানন্দা নদীর মহিপুর এলাকায় ঢান্ডপাড়া ঘাট ও দেবীনগরের হড়মা এলাকায় নদী ভাঙন চলছে বলে তিনি জানান।