চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে নিকাহ নিবন্ধনকারীদের সঙ্গে সমন্বয় সভা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে নিকাহ নিবন্ধনকারীদের সঙ্গে সমন্বয় সভা চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে নিকাহ নিবন্ধনকারীদের সঙ্গে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বেলা ১১ টা থেকে জেলা রেজিস্ট্রারের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। গণউন্নয়ন কেন্দ্র’র ইউএসডিওএস ফাইট স্লেভারি অ্যান্ড ট্রাফিকিং-ইন-পারসনস (এফএসটিআইপি) প্রজেক্টের আওতায় এই সভার আয়োজন করা হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা রেজিস্ট্রার নাজির আহমেদ জীবন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন— জেলা জাতীয় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপরিচালক সাহিদা আখতার, সদরের সাব-রেজিস্ট্রার সাদেকুর রহমান। আলোচনায় অংশ নেন— জেলা কাজী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল বারীসহ অন্যরা। সভা পরিচালনা করেন গণউন্নয়ন কেন্দ্রের রাজশাহী অফিসের প্রকল্প কর্মকর্তা চন্দনা সরকার। পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ গণউন্নয়ন কেন্দ্রের ফারজানা শারমীন। বক্তারা মানবপাচার ও বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন— বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে মা-বাবাকেই প্রথমে সচেতন হতে হবে। আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে, সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছিন্নমূল শিশুদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছিন্নমূল শিশুদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশন এলাকায় ছিন্নমূল শিশুদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেছে আন নাসিহা ফাউন্ডেশন। বুধবার বিকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের রেলস্টেশন এলাকায় এই উপকরণ বিতরণ করা হয়। শতাধিক শিশুর হাতে খাতা, কলম, পেন্সিলসহ প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ তুলে দেওয়া হয়। শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন— চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. ইনজামাম উল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন— চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিটি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন— আন নাসিহা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জজ কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট নূরে আলম সিদ্দিকী আসাদ, আন নাসিহা ফাউন্ডেশনের পিআরও কর্মকর্তা সেলিম রেজাসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। আন নাসিহা ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিরা জানান, ভবিষ্যতেও তারা সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কল্যাণে এমন কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে নতুন করে ২৩ জনের ডেঙ্গু সনাক্ত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে নতুন করে ২৩ জনের ডেঙ্গু সনাক্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ২৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের আন্তঃবিভাগে শনাক্ত হয়েছেন ১১ জন এবং বহির্বিভাগে ১১ জন ও ভোলাহাটে ১ জন শনাক্ত হন। বর্তমানে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি আছেন ২০ জন রোগী। তাদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ, ১৩ জন মহিলা ও ২ জন শিশু রয়েছেন। একই সময়ে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ৪ জনকে। এই ৪ জনের মধ্যে ৩ জন পুরুষ ও ১ জন মহিলা রয়েছেন। এছাড়া অবস্থার অবনতি হওয়ায় ২ জন পুরুষ রোগীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। অন্যদিকে শিবগঞ্জে ১ জন ও গোমস্তাপুরে ২ জন ও ভেলাহাটে ১ রোগী ভর্তি আছেন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ৭৪৩ জনে। একই সময়ে বহির্বিভাগে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ২১৩ জনে। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন অফিসের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বুধবার এই তথ্য জানানো হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৯

চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৯ চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ১৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের ভেতর বিভাগে শনাক্ত হয়েছেন ১১ জন এবং বহির্বিভাগে ৮ জন। বর্তমানে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৫ জন রোগী। তাদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ, ৯ জন মহিলা ও ২ জন শিশু রয়েছেন। একই সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ৮ জনকে। এই ৮ জনের মধ্যে ৩জন পুরুষ ও ৩ জন মহিলা ও ২ জন শিশু রয়েছেন। এছাড়া অবস্থার অবনতি হওয়ায় ১ জন মহিলা রোগীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। অন্যদিকে শিবগঞ্জে ১ জন ও গোমস্তাপুরে ২ জন রোগী ভর্তি আছেন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ৭৩২ জনে। একই সময়ে বহির্বিভাগে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ২০২ জনে। আজ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন অফিসের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিদিনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রশিক্ষণ নিয়ে সেলাই মেশিন পেলেন ১৮ নারী

চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রশিক্ষণ নিয়ে সেলাই মেশিন পেলেন ১৮ নারী চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইসলামিক ফাউন্ডেশনে প্রশিক্ষণ নিয়ে ১৮ জন দুস্থ ও অসহায় নারী পেয়েছেন সেলাই মেশিন। ২০২২-২০২৩ এবং ২০২৩ ও ২০২৪ অর্থ বছরের যাকাত বোর্ডের আওতায় পরিচালিত সেলাই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের এই ১৮ জন নারীকে মঙ্গলবার একটি করে নতুন সেলাই মেশিন প্রদান করা হয়। আজ সকালে জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও ইসলমিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে সেলাই মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. নাকিব হাসান তরফদার। জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মো. গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, শংকরবাটী হেফজুল উলুম এফকে কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. আব্দুল খালেক, টাউন জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মো. মাহবুবুর রহমান।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের মতবিনিময়

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের মতবিনিময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকালে হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের সভাপতি প্রফেসর সুলতানা রাজিয়া। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মসিউর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এবং প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক হাসিব হোসেন, প্রয়াসের কনিষ্ঠ সহকারী পরিচালক ফারুক আহমেদ। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের স্বাস্থ্য সংগঠন বিষয়ক সম্পাদক শাহনাজ পারভীন, তথ্যয়ন ও গবেষণা সম্পাদক সাজিদ তোহিদ, জেলা স্বাস্থ্য অধিকার যুব ফোরামের সমন্বয়কারী রাফিউল ইসলাম, প্রয়াসের অফিসার শাহরিয়ার শিমুল, সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ-আল-কাফিসহ অন্যারা। বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ ও প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির সহযোগিতায় মতবিনিময় সভার আয়োজন করে জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরাম।

ইয়ং এ্যাথলেটস ট্রেনিং প্রোগ্রাম ও ফ্যামিলি হেলথ ফোরাম প্রশিক্ষণ

ইয়ং এ্যাথলেটস ট্রেনিং প্রোগ্রাম ও ফ্যামিলি হেলথ ফোরাম প্রশিক্ষণ চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্পেশাল অলিম্পিকস বাংলাদেশের আয়োজনে দিনব্যাপী ইয়ং এ্যাথলেটস ট্রেনিং প্রোগ্রাম ও ফ্যামিলি হেলথ ফোরাম প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকালে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ইয়ং এ্যাথলেটস ট্রেনিং প্রোগ্রামে ১৫জন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু অংশ নেন। এসময় তাদের নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। পরে হল রুমে সুইড বাংলাদেশ বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের অভিভাবকদের নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অর্ধশতাধিক শিশুর অভিভাবক অংশগ্রহন করেন। এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্পেশাল অলিম্পিকস বাংলাদেশের জাতীয় পরিচালক ফারুকুল ইসলাম, পরিচালক কামরুন্নাহার ডানা, স্পোর্টস ম্যানেজার শামীম আল মামুন, চীফ কোর্ডিনেটর অরিন্দম পান্ডে, কো-অর্ডিনেটর রাজিবুল ইসলাম, রাসেল আহমেদ, অ্যাথলেটিস কোচ মর্তুজা ইকবাল নূরী, ফুটবল কোচ আব্দুর রাজ্জাক ও ক্রিকেট কোচ আব্দুল শুকুর খান। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ডায়াবেটিস হাসপাতালের সিনিয়র মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. নাইমুল হক ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মারুফা রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আম্বিয়া খাতুন, বিদ্যালয় এর নির্বাহী পরিচালক হান্নান হোসাইন ও প্রাক্তন খেলোয়াড় তৌফিকুল ইসলাম তোফাসহ অন্যরা। গুলিশানো ও লাইওন ক্লাবস ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের সহায়তায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সুইড বাংলাদেশ বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়। আলোচকবৃন্দ বলেন, ফ্যামিলি হেলথ ফোরাম হলো স্পেশাল অলিম্পিকসের একটি অংশ, যা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের পরিবার এবং পরিচর্যাকারীদের জন্য স্বাস্থ্য বিষয়ক শিক্ষা, সহায়তা ও তথ্য প্রদানের একটি প্ল্যাটফর্ম। এই ফোরামের উদ্দেশ্য হলো পরিবারগুলোকে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে তথ্য, এবং মানসিক সুস্থতার মতো বিষয়গুলোতে সহায়তা করা, যা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন অ্যাথলেটদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অনুষ্ঠানে পরিবার ও পরিচর্যাকারীদের জন্য ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ফিটনেস, মানসিক সুস্থতা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেন ডা. নাইমুল হক। এছাড়াও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য ও সুস্থতা সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্য এবং স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন ডা. মারুফা রহমান।

গোমস্তাপুরে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

গোমস্তাপুরে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু গোমস্তাপুরে পুকুর ডুবে ২ বছর বয়সী রেদওয়ান ওরফে রিহান নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ দুপুরে বাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের বাঙ্গাবাড়ি গ্রামের বাড়ির পাশে কাজলাদিঘি নামক পুকুরে এই ঘটনা ঘটে। ডুবে যাওয়া শিশু ওই গ্রামের বাসিন্দা রশিদুল ইসলামের ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আজ দুপুরে রিহান পরিবারের অগোচরে বাড়ির আশেপাশে খেলা করছিল। খেলার একপর্যায়ে ওই পুকুর পাড়ে পা ফসকে পানিতে পড়ে যায়। পরে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। তাকে কোন স্থানে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুঁজি পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই পুকুরে তার ভাসমান মরদেহ দেখতে পান পরিবারের লোকজন। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হন। সেখানে শিশুটির প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। এ বিষয়ে গোমস্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওয়াদুদ আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযোগ না থাকায় শিশুটির মরদেহ পরিবারের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনা গোমস্তাপুর থানায় অপমৃত্যু (ইউপি) মামলা হয়েছে।

মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা

মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সিভিল সার্জনের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মাতৃদুগ্ধ পানের গুরুত্ব, উপকারিতা এবং বাংলাদেশের বাস্তবতা তুলে ধরা হয়। বিশেষ করে ৬ মাস বয়স পর্যন্ত শিশুদের মাতৃদুগ্ধ পানের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এর পাশাপাশি মাতৃদুগ্ধ বিকল্প আইন বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এই আইন বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে শিশুদের পরিবারকে আরো সচেতন করার পরামর্শ দেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সিভিল সার্জন ডা. এ কে এম শাহাব উদ্দীন। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক শুকলাল বৈদ্য, এমওসিএস ডা. সুলতানা পাপিয়া। সভা সঞ্চালনা করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার চৌধুরী আব্দুল্লাহ আস শামস ।

শিবগঞ্জে বন্যার্ত আরো ৭০০ পরিবারের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ

শিবগঞ্জে বন্যার্ত আরো ৭০০ পরিবারের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত আরো ৭০০ পরিবারের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। আজ দুপুরে চর পাঁকা এলাকায় উপজেলা প্রশাসনের এসব ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়। ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজাহার আলী। এ সময় স্বাস্থ্যসেবা ও ভেটেরিনারি ক্যাম্প স্থাপন করে বিনামূল্যে ওষুধ ও স্বাস্থ্য পরামর্শ প্রদান করা হয়। পাশাপাশি উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের আওতায় বিভিন্ন ভাতাভোগীদের ভাতার নগদ টাকা তুলে দেয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেনÍ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শাহাদৎ হোসেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ও পাঁকা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মালেকসহ অন্যরা। এর আগে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েক দফায় বানভাসীদের মধ্যে চাল ও শুকনো খাবারসহ ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়।