পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ৪

পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ৪ চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট, শিবগঞ্জ ও গোমস্তাপুর উপজেলায় পৃথক তিনটি সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিশুসহ চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন— ভোলাহাট উপজেলার ইসলামপুর নিমগাছী গ্রামের আশরাফুলের ছেলে ১ম শ্রেণীর ছাত্র হাসান (৮), শিবগঞ্জ উপজেলার ছত্রাজিতপুর ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের মৃত রিফাত উল্লাহর ছেলে বাসেদ আলী (৯৩), ভোলাহাট উপজেলার জামবাড়িয়া গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে আশিক আলী (২৫) ও একই গ্রামের আপেল মাহমুদের ছেলে আব্দুল্লা (৩০)। এই দুজন সম্পর্কে আপন চাচাতো ভাই। ভোলাহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একরামুল হক জানান, উপজেলার পোল্লাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষা শেষ করে দুপুর ১টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে ভোলাহাট-রহনপুর সড়কের দলদলী ইউনিয়নের ইসলামপুর নিমগাছী মসজিদের সামনে রাস্তা পার হচ্ছিল হাসান। এসময় দ্রুতগতির একটি ট্রলি হাসানকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করে। ঘটনার পর ট্রলিচালক ঘটনাস্থলে ট্রলি রেখে পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল তদন্ত করেছে। ট্রলিটি আটক করে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির জানান, আজ দুপুরে ছত্রাজিতপুর বাজারে রাস্তা পার হচ্ছিলেন বাসেদ। এ সময় ধানবোঝাই একটি ভুটভুটি তাকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই মারা যান বাসেদ। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এদিকে গোমস্তাপুরে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে হয়ে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুর রহনপুর পৌর এলাকার তেঁতুলমোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আজ দুপুর ২টার দিকে ভোলাহাট উপজেলার জামবাড়িয়া গ্রাম থেকে প্রতিবেশী আব্দুল্লাহকে নিয়ে আশিক মোটরসাইকেলযোগে গোমস্তাপুর উপজেলার আড্ডা এলাকায় যাচ্ছিলেন। পথে রহনপুর পৌর এলাকার তেঁতুলমোড় এলাকায় একটি ট্রাককে ওভারটেক করার সময় ধাক্কা খেয়ে চাকার নিচে পড়ে গুরুতন আহত হন। পরে স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে উদ্ধার করে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে গোমস্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আব্দুল বারিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। ওসি জানান, পুলিশ দুজনের প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছে। মৃতদের পরিবারের লোকজন এসেছে। এ বিষয়ে গোমস্তাপুর থানায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে তিনি জানান। এ ব্যাপারে তিন থানায় পৃথক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
ভোলাহাটে ট্রলির ধাক্কায় শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ভোলাহাটে ট্রলির ধাক্কায় শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু ভোলাহাট উপজেলায় ট্রলির ধাক্কায় এক শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। আজ দুপুর পৌনে ১টার দিকে দলদলী ইউনিয়নের ইসলামপুর মসজিদের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু ইসলামপুর গ্রামের আশরাফুলের ছেলে হাসান। স্থানীয়রা জানান, স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগতির একটি ট্রলি ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে স্থানীয়রা ছুটে এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে। ঘটনার পর ট্রলিচালক পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে। ভোলাহাট থানার ওসি একরামুল হক বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থান তদন্ত করেছেন। সড়ক ও পরিবহন আইনে নিয়মিত মামলার প্রক্রিয়া চলছে। ট্রলিটি আটক করে রাখা হয়েছে। উলে¬খ, একমাসের মধ্যে আড়াই কিলো সড়কের মধ্যেই ৩ জন নিহত ও ৪ জন আহত হয়।
নাচোলে কমিউনিটি ক্লিনিকে সমন্বয় সভা

নাচোলে কমিউনিটি ক্লিনিকে সমন্বয় সভা নাচোল উপজেলার লক্ষ্মীপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকালে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন— উপজেলা স্বাস্থ্য উপজেলা ফোরামের সভাপতি হাফিজুর রহমান, নেজামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও কমিউনিটি ক্লিনিক সদস্য আব্দুল গাফ্ফার, কাইউম, শাহজাদী বেগম, সংরক্ষিত আসনের সদস্য রেবিনা খাতুনসহ অন্য সদস্যরা। বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচের কার্যক্রম তুলে ধরেন প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোরশেদ আলম। বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ ও প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির সহযোগিতায় এই সমন্বয় সভার আয়োজন করে নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরাম। এ সময় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন— নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির কনিষ্ঠ সহকারী পরিচালক ফারুক আহমেদ, লক্ষ্মীপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি মাসুমা খাতুন, এফডব্লিউএ কামরুন নাহার, প্রয়াসের অফিসার শাহরিয়ার শিমুলসহ অন্যরা। উল্লেখ্য, স্থানীয় পর্যায়ে স্বাস্থ্য অধিকার ও স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে জনসচেতনতা সৃষ্টি, স্বচ্ছতা তৈরি, জবাবদিহিতা বৃদ্ধি এবং সকল পর্যায়ে জনঅংশগ্রহণ নিশ্চিত করে স্বাস্থ্যসেবা খাতে টেকসই উন্নয়ন সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষে কাজ করছে নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরাম।
সোনামসজিদ স্থলবন্দরে দ্বিতীয় দিনে ১৫ ট্রাকে আমদানী আরও ৪১৯ টন ভারতীয় পেঁয়াজ

সোনামসজিদ স্থলবন্দরে দ্বিতীয় দিনে ১৫ ট্রাকে আমদানী আরও ৪১৯ টন ভারতীয় পেঁয়াজ দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ও দেশে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানীর অন্যতম রুট চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার সোনামসজিদ স্থলবন্দর পথে সোমবার(৮ডিসেম্বর) আরও ১৫টি ট্রাকে বিপরীতে ভারতের মহদিপুর স্থলবন্দর দিয়ে আরও ৪১৯ মে.টন পেঁয়াজ আমদানী হয়েছে। সোনামসজিদ বন্দর পরিচালনাকারী বেসরকারি অপারেটর প্রতিষ্ঠান পানামা সোনামসজিদ পোর্ট লিংক লিমিটেডের অপারেশন ম্যানেজার কামাল খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বন্দর সূত্র জানায়, এর আগে সরকার দেশে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে গত ৬ ডিসেম্বর সীমীত আকারে পেয়াজ আমদানীনর অনুমতির দেবার পর গত রোববার(৭ ডিসেম্বর) সোনামসজিদ বন্দর দিয়ে প্রায় ৩ মাস পর ২ ট্রাকে ৬০ টন পেয়াজ আমদানী হয়। এর আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর শেষ এ পথে পেঁয়াজ আমদানীর পর আমদানী বন্ধ ছিল। সোনামসজিদ উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র উপ-পরিচালক্য(ডিডি) কৃুষিবিদ সমীর চন্দ্র ঘোষ বলেন, সোমবার দেশের ৫০ জন আমদানীকারকের প্রত্যেককে ৩০ টন করে দেড় হাজার টন আমদানীর অনুমতি (আইপি বা ইমপোর্ট পামিট) দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে সোনামসজিদের আমদানীকারক রয়েছেন ২৭ জন। গত রোববার প্রথম যে ৫০ জনকে আইপি দেয়া হয় তার ৩০ জন ছিলেন সোনামসজিদের। প্রতিদিন এভাবে ৫০ জনকে দেড় হাজার টন আমদানীর আইপি দেয়া হচ্ছে। যা পরবর্তী নির্দেশণা না দেয়া পর্যন্ত আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত অব্যহত থাকবে। অর্থাৎ ইস্যুকৃত প্রতিটি আইপির মেয়াদ ৩১ মার্চ পর্যন্ত। এদিকে পেঁয়াজ আমদানীর খবরে জেলার স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দরপতন হয়েছে। গত শনিবার পর্যন্তও যে পেয়াজ মানভেদে ১০০ থেকে -১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে তা সোমবার ৬৫-৭০( বাজারে নতুন উঠতে শুরু করা মুড়িকাটা) থেকে সর্বোচ্চ ৮০-৮৫ টাকা(দেশী সংরক্ষণযোগ্য ভাল মানের ছাঁচি পেঁয়াজ) কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে জেলার বৃহত্তম পাইকারী ও খুচরা বাজার সূত্রে জানা গেছে। অর্থাৎ সোমবার পর্যন্ত ভারতীয় পেঁয়াজ স্থানীয় বাজারে তেমনভাবে বিক্রি শুরু না হলেও বাজারে গত ৩ দিনে পেঁয়াজের দাম মানভেদে ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন আমদানী ও মুড়ি কাটা পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়লে পেঁয়াজের দাম আরও কমতে পারে। তবে আমদানীকারকরা অবাধ পেঁয়াজ আমদানীর দাবী করছেন। জেলার বড় পেঁয়াজ আমদানীকারক মেসার্স সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজের (সোমবার এই আমদানীকারকের পেঁয়াজ আমদানী হয়েছে) স্বত্বাধিকারী মাসুদ রানা বলেন, এভাবে খুচরা আমদানীর স্থলে একসাথে বড় চালান এলসি করা গেলে আমদানী খরচ কম হত। ভোক্তরা আরও কমদামে পেঁয়াজ কিনতে পারত।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে এসআইএল ইন্টারন্যাশনালের রজত জয়ন্তী উৎসব পালিত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে এসআইএল ইন্টারন্যাশনালের রজত জয়ন্তী উৎসব পালিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে জাতিগত সংখ্যালঘু ভাষা সম্প্রদায়ের ভাষা, সংস্কৃতি এবং জীবনযাত্রার উন্নয়নে কাজ করা সংগঠন এসআইএল ইন্টারন্যাশনালের রজত জয়ন্তী উৎসব পালিত হয়েছে। আজ চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের শহীদ সাটু হলে দিনব্যাপী বিভিন্ন আনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রজত জয়ন্তী উৎসব উদযাপন করা হয়। এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের বিশপ জেভার্স রোজারিও। এসআইএল ইন্টারন্যাশনাল-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর কর্ণেলিয়াস টুডুর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার কাঞ্চন কুমার দাস, জেলা কালচারাল অফিসার রাজু আহমেদ, সনাকের সভাপতি অ্যাড. সাইফুল ইসলাম রেজা, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আনোয়ার হোসেন দিলু, ওয়ার্ল্ড ভিশন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-এর এরিয়া প্রোগ্রাম ম্যানেজার জেমস বিশ্বাস, সদর উপজেলার কৃষি ব্লক সুপারভাইজার এম. এ. মতিন, আদিবাসী নেতা কর্ণেলিউস মুরমুসহ অন্যরা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এসআইএল ইন্টারন্যাশনাল চাঁপাইনবাবগঞ্জের এরিয়া ম্যানেজার নিকোলাশ মুরমু। আলোচনা শেষে রজত জয়ন্তীর কেক কাটা হয়। রজত জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে এসআইএল ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর ২০০০ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত কার্যক্রমের অগ্রযাত্রার গৌরবময় ২৫ বছরের অর্জনসমূহ তুলে ধরা হয়। সুদীর্ঘ এক চতুর্থাংশ শতাব্দী ধরে ভাষা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ, বিকাশ এবং পুনর্জাগরণের লক্ষ্যে সংস্থাটির নিরলস পথচলা—নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠির প্রতিনিধিবৃন্দ তাদের মুখের ভাষায় তা ফুটিয়ে তুলেছেন। ভাষা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে জীবন্ত রাখতে এই সংস্থা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ বিনির্মাণে অঙ্গীকারবদ্ধ থেকেছে, যেখানে প্রতিটি মানুষ নিজেদের ভবিষ্যৎ নিজেরাই গড়ে তুলতে সক্ষম হচ্ছেন এবং ক্ষমতায়িত হয়ে উঠছেন। সংস্থার অর্জনসমূহ ডিজিটাল মাধ্যমেও প্রদর্শন করা হয় এবং উপস্থিত আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ এসব অর্জনের ভূয়সি প্রশংসা করেন। বিকেলে কয়েকটি নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠির নিজস্ব পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন শান্তা মারিয়া ডি’কস্তা ও অ্যাম্ব্রাশ টুডু।
গোমস্তাপুরে কৃষি প্রণোদনার বীজ ও সার বিতরণ

গোমস্তাপুরে কৃষি প্রণোদনার বীজ ও সার বিতরণ গোমস্তাপুরে বোরো ফসলের আবাদ বৃদ্ধিতে উপকারভোগী কৃষকদের মধ্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়েছে। আজ সকালে উপজেলা চত্বরে এই সহায়তা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির মুন্সী। উদ্বোধনী দিনে বোয়ালিয়া ইউনিয়নের কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। পরে একই স্থানে উপজেলা কৃষি বিভাগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সূচনা বক্তব্য দেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাকলাইন হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আছহাবুর রহমান, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার লাবনী, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আতিকুল ইসলাম, উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষন কর্মকর্তা সেরাজুল ইসলাম, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফজলুর রহমান, উপকারভোগী কৃষকসহ অন্যরা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাকলাইন হোসেন বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৪ হাজার ৭৬৫ হেক্টর জমিতে বোরো ফসল আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এরমধ্যে উপজেলার ৮ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় প্রায় ১ হাজার ২৯০ উপকারভোগী ধান চাষীকে এ প্রণোদনার সহায়তা দেয়া হচ্ছে। ১বিঘার জমির জন্য ৫ কেজি বোর ধান বীজ, ১০কেজি ডিএপি ও ১০কেজি এমওপি সার দেয়া হচ্ছে ।
নাচোল উপজেলার স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে অংশীজনের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
নাচোল উপজেলার স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে অংশীজনের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত নাচোল উপজেলার স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে অংশীজনের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকালে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হলরুমে বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ ও প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির সহযোগিতায় উপজেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরাম এই সভার আয়োজন করে। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের সভাপতি ও নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর সুলতানা রাজিয়া। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন— উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. মাহবুব-উল আলম। সভায় অন্যানোর মধ্যে বক্তব্য দেন— উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর মেডিকেল অফিসার ডা. রাফিজা নাসরিন, উপজেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের সভাপতি অধ্যাক্ষ হাফিজুর রহমান, স্যাকমো কামরুল হাসান, এসএসএন প্রবিস হাসদা, সেবাগ্রহীতা বিধান সিং, রুবেল, উপজেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের গবেষণা সম্পাদক মাজিদুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য অধিকার যুব ফোরামের সমন্বয়কারী শ্যামল বর্মন সহ অন্যরা। সভা সঞ্চালনা করেন স্বাস্থ্য অধিকার ফোরাম চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফোকাল পার্সন ও প্রয়াসের কনিষ্ঠ সহকারী পরিচালক ফারুক আহমেদ। বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচের কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন হেলথ ওয়াচের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোরশেদ আলম। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন— উপজেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের স্বাস্থ্য সম্পাদনা প্রতিষ্ঠান বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রহমান মানিক, সদস্য জয়শ্রী প্রামানিক, প্রয়াসের অফিসার শাহরিয়ার শিমুলসহ অন্যরা। উল্লেখ্য, স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে চাই সমতা, জবাবদিহিতা ও অংশগ্রহণ— এই স্লোগানকে সামনে রেখে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায় কাজ করছে উপজেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরাম ও উপজেলা স্বাস্থ্য অধিকার যুব ফোরাম।
সোনামসজিদ বন্দর পথে প্রবেশ করল ২ ট্রাকে ৬০ টন ভারতীয় পেঁয়াজ

সোনামসজিদ বন্দর পথে প্রবেশ করল ২ ট্রাকে ৬০ টন ভারতীয় পেঁয়াজ সরকার দেশে ক্রমবর্ধমান পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে সীমিত আকারে পেঁয়াজ আমদানীর অনুমতি দেয়ার পর চাঁপাইনবাবগঞ্জর সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ২টি ভারতীয় ট্রাকে ৩০ টন করে ৬০ টন পেঁয়াজ আমদানী হয়েছে। আজ সন্ধ্যায় দু’জন আমদানীকারেকর ওই দুই গাড়ী পেঁয়াজ বন্দরে এসে পৌঁছায় বলে নিশ্চিত করেছেন বন্দর পরিচালনাকারী বেসরকারী অপারেটর প্রতিষ্ঠান পানামা সোনামসজিদ পোর্ট লিংক লিমিটেডের অপারেশন ম্যানেজার কামাল খান। আমদানীকারক দুই প্রতিষ্ঠান হল চাঁপাইনবাবগঞ্জের ওয়েলকাম এন্টারপ্রাইজ ও গৌড় ট্রেডার্স। অপরদিকে সোনামসজিদ উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সমীর চন্দ্র ঘোষ বলেন, গতকাল সরকার আমদানীর অনুমতি বা আইপি ইস্যূর ঘোষণা দেয়ার পর আজ কৃষি মন্ত্রণালয় দেশের ৫০ জন আমদানীকারেকর প্রত্যেককেই ৩০ টন করে ১ হাজার ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানীর অনুমতি দিয়েছে। এরমধ্যে সোনামসজিদের আমদানীকারক রয়েছেন ৩০ জন। তাঁদের ৯০০ টন আমদানীর অনুমতি দেয়া হয়েছে। প্রতিদিন এভাবে সারা দেশের সকল বন্দরের জন্য দেড় হাজার টন আমদানীর অনুমতি দেয়া হবে। প্রতিটি আইপি’র মেয়াদ আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত। অর্থাৎ পরবর্তী কোন নির্দেশনা না আসলে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত এভাবে আমদানী অব্যহত থাকবে। গত ৯ সেপ্টেম্বর এই বন্দর দিয়ে শেষবারের মত পেঁয়াজ আমদানী হয় বলেও জানান ডিডি সমীর চন্দ্র ঘোষ। এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজ রোববার সর্বনিম্ন ১০০ থেকে সর্বোচ্চ ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। পাড়া-মহল্লার মুদি দোকান ও গ্রামের বাজারে দাম আরও বেশী। জেলার বৃহত্তম পাইকারী ও খুচরা বাজার জেলা শহরের পুরাতন বাজার (তহা বাজার) সূত্র জানিয়েছে, মান ভেদে পেঁয়াজ বিভিন্ন দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে ঢুকতে শুরু করা নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ ১০০ ও ভাল ছাঁচি পেয়াজ ১৩০ টাকা কেজি খুচরা বিক্রি হচ্ছে। তবে আমদানী শুরু হওয়ায় দাম কমে আসবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিস্টরা। চাঁপাইনবাবগঞ্জের অন্যতম পেঁয়াজ আমদানীকারক মেসার্স সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজ স্বতাধিকারী মাসুদ রানা বলেন, পেঁয়াজ আমদানী অবাধ হলে বাজার নিয়ন্ত্রণ আরও দ্রুত ও সহজ হত। ভোক্তারা আরও কমদামে পেঁয়াজ কিনতে পারত। তিনি বলেন, জানুয়ারীর আগ পর্যন্ত মুড়িকাটা পেঁয়াজ পুরোদমে বাজারে আসবে না।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরো ৬ জন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরো ৬ জন চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরো ৬ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের আন্তঃবিভাগে ২ জন ও বহির্বিভাগে ২ জন এবং শিবগঞ্জ ও গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ জন করে রোগী শনাক্ত হয়েছেন। বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৭ জন রোগী। এদের মধ্যে জেলা হাসপাতালে ৪ জন এবং শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ জন ও গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ জন রোগী রয়েছেন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের আন্তঃবিভাগে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ৯৭ জন। এছাড়া এই হাসপাতালের বহির্বিভাগে শনাক্ত হয়েছে আরো ১ হাজার ৪৪৪ জন। জেলায় মোট রোগী শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৭৭১ জন। সিভিল সার্জন অফিস ও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিদিনের প্রতিবেদনে আজ এই তথ্য জানানো হয়েছে।
রোটাভাইরাল ডায়রিয়ার প্রকোপ জেলা হাসপাতালে ভর্তি ৫৫ শিশু

রোটাভাইরাল ডায়রিয়ার প্রকোপ জেলা হাসপাতালে ভর্তি ৫৫ শিশু চাঁপাইনবাবগঞ্জে শীতের শুরুতেই রোটাভাইরাল ডারিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ৫৫ জন শিশু ভর্তি থাকছে। আক্রান্তের হার বছরের অন্য সময়ের তুলনায় তিনগুণ বেশি বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল পর্যন্ত শিশুদের ওয়ার্ডে জ্বর, ঠাণ্ডা, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে ১৬ জন নবজাতক ও ৪৮ জন শিশু রোগী ভর্তি রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮২ জন রোগী বিভিন্ন অসুখ নিয়ে এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬০ জন ডায়রিয়া, ৩ জন ডেঙ্গু ও ৪ জন নিউমোনিয়া রোগী রয়েছে। বর্তমানে মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৩৪০ জন। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মুহাম্মদ মশিউর রহমান বলেন— বছরে দুটি সময়ে রোগী কম থাকে। একটি শীতের শুরুতে এবং অন্যটি হচ্ছে রমজান মাসে। বর্তমানে এখনো শীতের তীব্রতা কম থাকায় রোগীর সংখ্যা কম আছে। বছরের অন্য সময়ে ৪শ’র বেশি রোগী ভর্তি থাকে। কিন্তু বর্তমানে তা কমে ৩শতে দাঁড়িয়েছে। তবে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতজনিত ডায়রিয়া, অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, চর্মরোগ, ঠাণ্ডাজ্বর বৃদ্ধি পাবে। এদিকে আজ সকালে শিশু ওয়ার্ডে দেখা যায়, বিছানা সংকুলান না হওয়ায় অনেক শিশুকে মেঝেতেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহফুজ রায়হান ও ডা. রেজাউল করিমকে চিকিৎসা সেবা দিতে দেখা গছে। এসময় ডা. মাহফুজ রায়হান বলেন— শীতকালে প্রতিবছর শিশুরা রোটাভাইরাল ডায়য়ারিয়ায় আক্রান্ত হয়। এবারো ব্যাপক হারে শুরু হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ৫৫ জন শিশু ভর্তি থাকছে। শিশুদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, ডাবের পানি পান করানো, ডায়রিয়া দেখা দিলে রেজিস্ট্রার চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ শিশুকে না খাওয়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।