জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরো ৬৯ জন : হাসপাতালে ভর্তি ৬৯

জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরো ৬৯ জন : হাসপাতালে ভর্তি ৬৯ চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডেঙ্গু পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন আরো ৬৯ জন। এদের মধ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের ভেতর বিভাগে ২৯ জন এবং বহির্বিভাগে ৩৮ জন ও গোমস্তাপুরে ১ জন ও ভোলাহাটে ১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ৬৫ জন, শিবগঞ্জে ১ জন, গোমস্তাপুরে ২ জন ও ভোলাহাটে ১ জন ভর্তি আছেন। এছাড়া অবস্থার অবনতি হওয়ায় জেলা হাসপাতাল থেকে ১ জন, গোমস্তাপুর থেকে ২ জন ও ভোলাহাট থেকে ১ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন অফিসের প্রতিদিনের প্রতিবেদনে সোমবার এই তথ্য জানানো হয়েছে। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি ৬৫ জনের মধ্যে ৩৬ জন পুরুষ, ২০ জন মহিলা ও ৯ জন শিশু রয়েছেন। একই সময়ে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ২৩ জনকে। এই ২৩ জনের মধ্যে ৯ জন পুরুষ ও ১৩ জন মহিলা ও ১ শিশু রয়েছেন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ১৮৬ জনে। একই সময়ে বহির্বিভাগে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৭২৬ জনে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীর মৃত্যু

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীর মৃত্যু শিবগঞ্জ উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ই¯্রফিল নামে উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষে পড়–য়া এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। তিনি বিনোদপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ইসলামপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে। স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, আজ দুপুর ১২টার দিকে নিজ বাড়ির বারান্দায় একটি ঘর নির্মানের জন্য বারান্দার ছাদে একটি লোহার রডে ঝোলানো ফ্যান স্থানান্তরের জন্য বিদ্যুতায়িত হয়ে থাকা রডটি স্পর্শ করতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আটকে যান ই¯্রাফিল। তাঁর পিতা ঘটনা টের পেয়ে ছেলেকে বাঁচানোর চেষ্টায় ধাক্কা দিলে নিজে মাটিতে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান। পরে বাবা ও ছেলেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ই¯্রাফিলকে মৃত ঘোষণা করেন। শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) গোলাম কিবরিয়া বলেন, পুলিশ মরদেহ উদ্ধালের পর প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে আবেদনের প্রেক্ষিতে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

ব্যবসায়ীর হালখাতার ১১ লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় দু’জন গ্রেপ্তার

ব্যবসায়ীর হালখাতার ১১ লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় দু’জন গ্রেপ্তার শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর বাজারের কীটনাশক ব্যবসায়ী এবং বিকাশ এজেন্ট বাবর আলী নামের এক ব্যক্তির কীটনাশক ব্যবসার হালখাতার নগদ ১১ লক্ষ টাকা ও হিসারের খাতাসহ একটি ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় দু’জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। তবে উদ্ধার হয়নি টাকা বা হিসারের খাতা। আটককৃতরা হলেন- বিনোদপুর ইউনিয়নের লছমনপুর চামাটোলা গ্রামের একরামুল হকের ছেলে কাইয়ুম এবং খোন্দা মাস্তানবাজার এলাকার সাত্তার আলীর ছেলে বাবু ওরফে মন্ত্রী বাবু। গত শনিবার ১৯ জুলাই রাত সোয়া ১১টার দিকে ঘটনার পর আজ দুপুরে বিনোদপুরে পৃথক অভিযানে তাঁদের গ্রেপ্তার করে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ। ব্যবসায়ী বাবর বিনোদপুরের সাধারীটোলা গ্রামের গাজীউর রহমানের ছেলে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াসিম ফিরোজ বলেন, হালখাতা শেষে বাড়ি হেঁটে বাড়ি ফেরার পথে সাথে থাকা নগদ ১১ লক্ষ টাকা ও হালখাতার হিসারের খাতা সহ ব্যবসায়ী বাবরের একটি ব্যাগ ছিনতাই হয়। বিনোদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে একটি মোটরসাইকেলযোগে আসা ৩ জন ছিনতাইকারী ব্যাগটি ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করলে ব্যবসায়ীর বাধার মুখে ছিনতাইকারীরা তাঁর মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে ব্যাগটি কেড়ে নিয়ে যায়। তাঁর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলম কিবরিয়া বলেন, বাদী গ্রেপ্তারদের শনাক্ত করেছেন। ঘটনায় জড়িত অপর একজনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। গ্রেপ্তার কাইয়ুমের বিরুদ্ধে পূর্বের ২টি ও বাবুর বিরুদ্ধে ১টি মামলা রয়েছে। ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীণ বলেও জানান ওসি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে হত্যা মামলার পলাতক ২ আসামী গ্রেফতার

চাঁপাইনবাবগঞ্জে হত্যা মামলার পলাতক ২ আসামী গ্রেফতার শিবগঞ্জে চঞ্চল্যকর হত্যা মামলার এজাহারনামীয় পলাতক ২ আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, শিবগঞ্জ উপজেলার চৈতন্যপুর গ্রামের সলেমান আলীর ছেলে সাদিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মোকতারা বেগম। র‌্যাব-৫ এর পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গতরাত ৩টার দিকে নাচোল উপজেলার গোলাবাড়ী এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে গত ৬ জুলাই শিবগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। আসামীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ঠ থানায় হস্তান্তর করা হয়েয়ে বলেও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। উল্লেখ্য গত ৫ জুলাই পারিবারিক জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আপন চাচাতো ভায়ের হাসুয়ার আঘাতে খালেদা বেগম ওরফে শুকমন নামে এক গৃহবধু নিহত হন। তিনি ধাইনগর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বড়মহেষপুর গ্রামের দুবাই প্রবাসী ইউসুফ আলীর স্ত্রী। তাঁর ৬ মাস বয়সী কন্যাশিশু রয়েছে। একই ঘটনায় আহত হয়েছেন নিহতের পিতা সৈবুর আলী, মা এরিনা বেগম এবং বোন লিপি খাতুন। ঐই ঘটনার পর থেকেই আসামীরা পলাতক ছিলেন। উক্ত ঘটনায় খালেদার পিতা সবুর আলী ৬ এপ্রিল শিবগঞ্জ থানায় গ্রেফতারকৃত আসামীসহ মোট ১৫ জনের নামে মামলা করেন।    

ভোলাহাটে ফ্রি রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ক্যাম্প

    ভোলাহাটে ফ্রি রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ক্যাম্প ভোলাহাট উপজেলায় ফ্রি ব্লাড গ্রুপ নির্ণয় ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকাল ১০ টা থেকে সারাদিন ব্যাপি উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠনে ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং করা হয়। ভোলাহাট মানবসেবা ফাউন্ডেশনের আয়োজনে আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া মদিনাতুল উলুম ক্বওমী মাদ্রাসা, গোপিনাথপুর আশ্রাফূল উলুম তুহফানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা, ইমামনগর হাফিজিয়া ও কেরাতিয়া মাদ্রাসা, চরধরমপুর দারুল আকরাম ইবতেদায়ী মাদ্রাসার মোট ৩’শ ৬০ জন শিক্ষার্থীর ব্লাড গ্রুপ নির্ণয় করা হয়। এসময় উপস্থিত থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করেণ, ভোলাহাট মানবসেবা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা রাসেল আহমেদ, সদস্য শুভ, সুজন আলী, রজব আলী, মানিক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ব্লাড ডোনেট ফাউন্ডেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব সোহেল রানা এবং সদস্য আসাদুজ্জামান প্রাণ।  

শিবগঞ্জে নদীতে ডুবে ও বজ্রপাতে ৩ শিশুর মৃত্যু

শিবগঞ্জে নদীতে ডুবে ও বজ্রপাতে ৩ শিশুর মৃত্যু শিবগঞ্জ উপজেলায় পৃথক ঘটনায় পদ্মার শাখা নদীতে ডুবে দুই শিশু এবং বজ্রপাতে এক শিশু সহ ৩ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ দুপুর ও সকালে ঘটনাগুলো ঘটে। নদীতে ডুবে মৃতরা হল- উজিরপুর ইউনিয়নের উত্তর উজিরপুর মাঝাপাড়া গ্রামের মৃত ওমর আলীর ছেলে আনিম আলী ও একই গ্রামের মুকুল আলীর মেয়ে মিম। উভয়ই উত্তর উজিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। অপরদিকে, বজ্রপাতে মারা গেছে মনাকষা ইউনিয়নের চৌকা পন্ডিতপাড়া গ্রামের রাজু সিংহের ছেলে রহিত সিংহ। সে চৌকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল। উজিরপুর ইউপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাদিকুল ইসলাম বলেন, আজ দুপুর ১২টার দিকে একই গ্রামের ৩ শিশু বৃষ্টির মধ্যে ভিজতে ভিজতে গ্রামের অদূরে পদ্মার শাখা নদীতে গোসল করতে নামে। পরে তাদের একজন ফিরলেও অন্য দু’জন ফেরেনি। দ্রুত তাদের উদ্ধার তৎপরতা শুরু করা হলে দুপুর ১টার পর নদী থেকে আনিম ও মিমের মরদেহ উদ্ধার হয়। মনাকষা ইউপি চেয়ারম্যান মির্জা শাহাদৎ হোসেন খুররম বলেন, আজ সকাল ১০টার দিকে বিদ্যালয়ে ক্লাস করছিল রহিত। এক পর্যায়ে সে শিক্ষকের অনুমতি নিয়ে বাইরে যায়। এসময় বজ্রপাত হলে বিদ্যালয়ের সামনের একটি গাছের নীচে সে গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। শিবগঞ্জ থানার পরিধর্শক(তদন্ত) এসএম শাকিল হাসান বলেন, পুলিশ মরদেহগুলো উদ্ধারের পর প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ শেষে আবেদনের প্রেক্ষিতে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডেঙ্গু আক্রান্ত আরো ৮৪ জন : হাসপাতালে ভর্তি ৬৪

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডেঙ্গু আক্রান্ত আরো ৮৪ জন : হাসপাতালে ভর্তি ৬৪ চাঁপাইনবাবগঞ্জে উন্নতি হয়নি ডেঙ্গু পরিস্থিতির। একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৮৪ জন। এদের মধ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের ভেতর বিভাগে ৩৩ জন এবং বহির্বিভাগে ৪৮ জন ও শিবগঞ্জে ৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যান্য উপজেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় কেউ শনাক্ত হননি। বর্তমানে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ৬০ জন, শিবগঞ্জে ৩ জন ভর্তি আছেন। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন অফিসের প্রতিদিনের প্রতিবেদনে রবিবার এই তথ্য জানানো হয়েছে। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি ৬০ জনের মধ্যে ২৫ জন পুরুষ, ২৮ জন মহিলা ও ৭ জন শিশু রয়েছেন। একই সময়ে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ৩০ জনকে। এই ৩০ জনের মধ্যে ১৮ জন পুরুষ ও ৮ জন মহিলা ও ৪ শিশু রয়েছেন। অন্যদিকে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ১ জন মহিলা রোগীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ১৫৭ জনে। একই সময়ে বহির্বিভাগে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৬৮৮ জনে।

আজ দুপুরের বৃষ্টিতে পানির নিচে শহরের কয়েকটি এলাকা

আজ দুপুরের বৃষ্টিতে পানির নিচে শহরের কয়েকটি এলাকা ভারী বৃষ্টিতে রবিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাশহরের কয়েকটি এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে জনসাধারণকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা পড়ে বিপাকে। পরীক্ষা ও ক্লাস শেষে তাদের হাঁটুপানি ভেঙে ঘরে ফিরতে হয়েছে। রবিবার সকাল থেকেই শুরু হয় শ্রাবণের অঝোর ধারা। দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত ঝরা বৃষ্টিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এলাকার সড়ক, গ্রিন ভিউ স্কুল সড়ক, সিভিল সার্জন কার্যালয় সড়ক, শহীদ সাটু হল ও ক্লাব সুপার মার্কেট সড়ক, পুরাতন স্টেডিয়াম সড়ক, নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ সড়ক, বড়ইন্দারা মোড়-নবাবগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় সড়ক, নিমতলা-হাসপাতল সড়ক, বাতেন খাঁর মোড় সড়ক, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ের সামনের সড়কে ড্রেন উপচে রাস্তায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। বৃষ্টির মধ্যে ঘরমুখী মানুষ আটকা পড়ে। দুপুর সোয়া ১টার দিকে বৃষ্টি কমলে পথচারীদের কোথাও হাঁটু পানি তো কোথাও তার বেশি পানি ভেঙে চলাচল করতে হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর খেলার মাঠে পানি জমে যায়। হরিমোহন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীদের পানির মধ্যে মজা করে ফুটবল খেলতে দেখা যায়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত আরো ৬৭ জন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত আরো ৬৭ জন চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৬৭ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। অপরদিকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৬৬ জন। সিভিল সার্জন অফিসের প্রতিদিনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে জেলায় আরো ৬৭ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ৩৪ জন, শিবগঞ্জে ১৪ জন, গোমস্তাপুরে ১২ জন, নাচোলে ৫ জন ও ভোলাহাটে ২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৩০ জন, শিবগঞ্জ থেকে ১৩ জন, গোমস্তাপুর থেকে ১১ জন, নাচোল থেকে ৮ জন ও ভোলাহাট থেকে ৪ জন। বর্তমানে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৪৭ জন রোগী এবং বাকিরা অন্যান্য হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল এবং সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিদিনের ডায়রিয়া বিষয়ক প্রতিবেদনে শনিবার এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২১ জনের ডেঙ্গু সনাক্ত, হাসপাতালে ভর্তি ৬২ জন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে একদিনে ২১ জনের ডেঙ্গু সনাক্ত, হাসপাতালে ভর্তি ৬২ জন চাঁপাইনবাবগঞ্জে একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ২১ জন। তাদের মধ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের ভেতর বিভাগে ২০ জন এবং গোমস্তাপুরে একজন আক্রান্ত হয়েছেন। তবে গত শুক্রবার জেলা হাসপাতালের বহির্বিভাগে পরীক্ষা বন্ধ থাকায় কোনো শনাক্ত নেই। অন্যান্য উপজেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় কেউ শনাক্ত হননি। বর্তমানে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ৫৮ জন, শিবগঞ্জে ১ জন ও গোমস্তাপুরে ৩ জন ভর্তি আছেন। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন অফিসের প্রতিদিনের প্রতিবেদনে শনিবার এই তথ্য জানানো হয়েছে। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি ৫৮ জনের মধ্যে ২৭ জন পুরুষ, ২৩ জন মহিলা ও ৮ জন শিশু রয়েছেন। একই সময়ে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ৪ জনকে। এই ৪ জনের মধ্যে ৩ জন পুরুষ ও ১ জন শিশু রয়েছেন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ১২৪ জনে। একই সময়ে বহির্বিভাগে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৬৪০ জনে।