চাঁপাইনবাবগঞ্জে একদিনে আরো ৪৯ ডেঙ্গু রোগি সনাক্ত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে একদিনে আরো ৪৯ ডেঙ্গু রোগি সনাক্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জে একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন আরো ৪৯ জন। এদের মধ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের ভেতর বিভাগে ৩২ জন এবং বহির্বিভাগে ১৭ জন শনাক্ত হয়েছেন। বর্তমানে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ৫৯ জন রোগী ভর্তি আছেন। এছাড়া অবস্থার অবনতি হওয়ায় জেলা হাসপাতাল থেকে ১ জন ও গোমস্তাপুর থেকে ১ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন অফিসের প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানানো হয়েছে। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি ৫৯ জনের মধ্যে ২৭ জন পুরুষ, ২৫ জন মহিলা ও ৭ জন শিশু রয়েছেন। একই সময়ে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ২৯ জনকে। এই ২৯ জনের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ, ৯ জন মহিলা ও ৪ শিশু রয়েছেন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ২৫২ জনে। একই সময়ে বহির্বিভাগে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৭৯১ জনে।
চাঁপাইনবাবঞ্জে নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত

চাঁপাইনবাবঞ্জে নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত পদ্মা, মহানন্দা ও পুনর্ভবা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এই তিন নদীর পানি গড়ে ১০ সেন্টিমিটার করে বাড়ছে। পানি বৃদ্ধির সঙ্গে নদী ভাঙন ছাড়া ফসলের কোনো ক্ষয়ক্ষতি এখনো হয়নি বলে জানা গেছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিদিনের পানি বৃদ্ধিবিষয়ক প্রতিবেদনে জানা গেছে, গত বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত পদ্মা নদীর পাঁকা পয়েন্টে পানির সমতল ছিল ২০ দশমিক ২১ সেন্টিমিটার; যা বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত সমতল হয়েছে ২০ দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার। অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ১০ সেন্টিমিটার। এ নদীর বিপৎসীমা হচ্ছে ২২ দশমিক ০৫ সেন্টিমিটার। এ নদীর পানি বিপৎসীমার ১ দশমিক ৭৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে মহানন্দায় গত ২৪ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ৯ সেন্টিমিটার। গত বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত এই নদীর খালঘাট পয়েন্টে পানির সমতল ছিল ১৮ দশমিক ২২ সেন্টিমিটার। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়ে সমতল দাঁড়িয়েছে ১৮ দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার। এ নদীর বিপৎসীমা হচ্ছে ২১ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার। অর্থাৎ বিপৎসীমার ৩ দশমিক ২৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে মহানন্দার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে গত বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত পুনর্ভবা নদীর রহনপুর পয়েন্টে পানির সমতল ছিল ১৮ দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার; যা বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়ে সমতল দাঁড়িয়েছে ১৮ দশমিক ৪৩ সেন্টিমিটারে। অর্থাৎ গত ২৪ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ১৩ সেন্টিমিটার। এ নদীর বিপৎসীমা হচ্ছে ২১ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার। অর্থাৎ পুনর্ভবা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩ দশমিক ১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আহসান হাবীব বলেন— এই মুহূর্তে নদী ভাঙন ছাড়া বন্যার আশঙ্কা নেই। নদীগুলোর পানি বিপৎসীমার অনেকখানি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপরিচালক ড. ইয়াছিন আলী বলেন— এখনো বন্যার পানি কোনো মাঠে ঢুকেনি। তাই এই মুহূর্তে কোনো ক্ষতি নেই। তবে নদী ভাঙনের কারণে কতটুকু ফসলের ক্ষতি হয়েছে তা নির্ণয়ের কাজ চলমান আছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুগ্ধজাত পণ্যের বহুমাত্রিকীকরণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুগ্ধজাত পণ্যের বহুমাত্রিকীকরণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুগ্ধ পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণ ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন বিষয়ে আবাসিক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার গোবরাতলা ইউনিয়নের আমারকে এই প্রশিক্ষণ অুনষ্ঠিত হয়। এতে প্রশিক্ষণ দেন— রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সাইন্সেসের প্রফেসর ডা. আকতারুল ইসলাম। এসময় তিনি দই, ঘি, মাঠা টফিসহ দুগ্ধজাত পণ্য তৈরি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। প্রশিক্ষণে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন— প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোস্তাফিজুর রহমান, আরএমটিপি ডেইরি প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ডা. মাহমুদুল হাসান। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন— প্রয়াসের মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক, অফিসার শাহরিয়ার শিমুল, সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইমদাদুল হক, সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সিফাতউল্লাহ। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)’র ভ্যালু চেইনে সম্পৃক্ত স্টেকহোল্ডারদের টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে মানসম্মত দুধ উৎপাদন ও দুগ্ধজাত পণ্যের বহুমাত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করে প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটি। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলাসহ রাজশাহী বিভাগের মধ্যে গোদাগাড়ী, পবা এবং রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায়। প্রকল্পের আওতায় ৫ হাজার খামারি এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত। এই প্রকল্প খামারিদের মধ্যে ইতিবাচক ফলাফল এবং আয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
নাচোলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গর্ভবতী নারীর মৃত্যু

নাচোলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গর্ভবতী নারীর মৃত্যু চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের কাতলাকান্দর গ্রামে বুধবার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সাদিয়া (২০) নামে এক গর্ভবতী নারীর মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়া নারী কাতলাকান্দর গ্রামের মো. সাব্বিরের স্ত্রী। নাচোল থানার এসআই জিয়াউর রহমান জানান, বুধবার বিকেল ৫টার দিকে বাড়ির আঙিনায় সাদিয়া কাপড় শুকাতে দিতে গিয়ে বিদ্যুতের তারে স্পৃষ্ট হন। পরবর্তীতে তাকে নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে একদিনে আরো ৪১ ডেঙ্গু আক্রান্ত : হাসপাতালে ভর্তি ৫৯

চাঁপাইনবাবগঞ্জে একদিনে আরো ৪১ ডেঙ্গু আক্রান্ত : হাসপাতালে ভর্তি ৫৯ চাঁপাইনবাবগঞ্জে একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন আরো ৪১ জন। এদের মধ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের ভেতর বিভাগে ১৭ জন এবং বহির্বিভাগে ২১ জন শনাক্ত হয়েছেন। এছাড়া শিবগঞ্জে ৩ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন। বর্তমানে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ৫৭ জন, গোমস্তাপুরে ১ জন ও ভোলাহাটে ১ জন রোগী ভর্তি আছেন। এছাড়া অবস্থার অবনতি হওয়ায় জেলা হাসপাতাল থেকে ৩ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন অফিসের প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বুধবার এই তথ্য জানানো হয়েছে। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি ৫৭ জনের মধ্যে ২৩ জন পুরুষ, ২৭ জন মহিলা ও ৭ জন শিশু রয়েছেন। একই সময়ে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ১৯ জনকে। এই ১৯ জনের মধ্যে ৮ জন পুরুষ, ৬ জন মহিলা ও ৫ শিশু রয়েছেন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ২২০ জনে। একই সময়ে বহির্বিভাগে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৭৭৪ জনে।
বাল্যবিবাহ এবং শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধে সংলাপ অনুষ্ঠিত

বাল্যবিবাহ এবং শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধে সংলাপ অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাল্যবিবাহ এবং শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রভাব বিস্তারকারী স্টেকহোল্ডার/অংশীজনদের সাথে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকালে সদর উপজেলার গোবরাতলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের এসএসবিসি প্রকল্পের সহায়তায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ শাখা এই কর্মসূচির আয়োজন করে। গোবরাতলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফুল হক আজিজির সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, গোবরাতলা ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, মহিপুর উচ্চ বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক উম্মে হানি, বেহুলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম, গোবরাতলা ইউপির স্বাস্থ্য পরিদর্শক আবদুল হক, মানপুর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ শাখার প্রকল্প ব্যবস্থাপক উত্তম মন্ডলসহ স্থানীয় অভিভাকবৃন্দ, সমাজের সুধীবৃন্দ। সভায় আলোচনাকালে বক্তারা বলেন, সবাইকে বাল্য বিবাহের কুফল নিয়ে আলোচনা করতে হবে। শিশুর কোলে শিশু বড় ধরনের ক্ষতি হচ্ছে আমাদের সমাজে। আমাদের সকল স্তরের মানুষকে বাল্যবিবাহ বন্ধে জোর দিতে হবে।
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন পাইলট তৌকির

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন পাইলট তৌকির রাজধানীর উত্তরায় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত স্কোয়াড্রন লিডার তৌকির ইসলাম সাগরের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজশাহী মুক্তিযুদ্ধ স্টেডিয়ামে জানাজা শেষে পাশেই সপুরা কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় অংশ নেন প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে হাজার হাজার মানুষ। এ ছাড়া পাইলট তৌকিরকে একনজর দেখতে তাদের ভাড়া বাড়ি, কবরস্থান এবং জেলা স্টেডিয়ামে শত শত নারীরা ভিড় করেন। এর আগে আজ দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটের দিকে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে তার মরদেহ রাজশাহী ক্যান্টনমেন্টে আনা হয়। সেখানে আনুষ্ঠানিকতা শেষে ৩টা ২০ মিনিটে ক্যান্টনমেন্টের পাশেই নগরের উপশহরের ৩ নম্বর সেক্টরে একটি অ্যাম্বুল্যান্সে করে ভাড়া বাসায় তার মরদেহ নিয়ে যান সেনা ও বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা। এ সময় শত শত উৎসব মানুষ বাড়ির সামনে ভিড় করে। কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা। বাড়ি থেকে তার মরদহ জেলা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে নেওয়া হয়। সেখানে জানাজা শেষে মরদেহ দাফন করা হয় সপুরা কবরস্থানে। গতকাল দুপুরে রাজধানী উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হন স্কোয়াড্রন লিডার তৌকির ইসলাম সাগর। একই সঙ্গে ওই স্কুলের অনেক শিক্ষার্থীর হতাহতের ঘটনা ঘটে। সাগরের বাবা তহুরুল ইসলাম একজন ব্যবসায়ী। তার গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে। তবে প্রায় ২৫ বছর ধরে তিনি রাজশাহী শহরে বসবাস করেন। তৌকির রাজশাহীর নিউ গভ. ল্যাবরেটরি স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে পাবনা ক্যাডেট কলেজে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হন। তিনি ওই কলেজের ৩৪তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। ২০১৬ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে তিনি যোগ দেন বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে।
বিমান দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক প্রাণহানির ঘটনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া

বিমান দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক প্রাণহানির ঘটনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ী এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক প্রাণহানির ঘটনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে দোয়া ও গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অ্যাসেম্বলিতে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিকট ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে বাদ আসর নিহতদের স্মরণে গায়েবানা জানাজা ও দোয়ার আয়োজন করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির খেলার মাঠে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে দুটি পৃথক স্থানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির আয়োজনে দোয়া মহফিল অনুষ্ঠিত হয়। জেলা শহরের নবাবগঞ্জ ক্লাব মিলনায়তনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম জাকারিয়ার সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিল করা হয়। এছাড়া, জেলা মৎস্য অফিস বিমান দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক ও শ্রদ্ধা জানিয়ে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৫ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠান স্থগিত করেছে। মঙ্গলবার সারাদেশের মতো চাঁপাইনবাবগঞ্জেও মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল। যা আজ বুধবার বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে জেলা মৎস্য অফিস। উল্লেখ্য, ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়ীর মাইলস্টোন কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে পাইলটসহ ৩১ জন নিহত হন। গত সোমবার দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে। সেই বিধ্বস্ত বিমানের নিহত পাইলট ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার চককীর্তি ইউনিয়নের কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রামের তোহুরুল ইসলামের ছেলে স্কোয়াড্রন লিডার তৌকির ইসলাম সাগর। এ ঘটনায় আজ রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হয়।
পদ্মা মহানন্দার ভাঙন : ঝুঁকি নিয়েই রাত পার, কেউ কেউ সরিয়েছেন বাড়ি

পদ্মা মহানন্দার ভাঙন : ঝুঁকি নিয়েই রাত পার, কেউ কেউ সরিয়েছেন বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জে সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলায় পদ্মা এবং সদরে মহানন্দা নদীর ভাঙনে নীদতীরবর্তী এলাকার মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। পদ্মার ভাঙন থেকে বাঁচতে অনেকেই ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার আলাতুলি, চরআষাড়িয়াদহ, পোল্লাডাঙ্গা বিজিবি ক্যাম্প এলাকা এবং শিবগঞ্জ উপজেলার মনোহরপুর ও পাঁকা ইউনিয়নে পদ্মা নদীর ভাঙনে ফসলি জমি, মসজিদ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সদর উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নে বহু মসজিদ বিলীন হয়ে গেছে। ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সটি বরাবর নদী প্রবাহিত হচ্ছে। যে কোনো সময় ভবনটি নদীতে নেমে যেতে পারে বলে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাজির হোসেন জানিয়েছেন। তিনি জানান, নারায়ণপুর ইউনিয়নের ১, ৩ ও ৭নং ওয়ার্ডের শতাধিক ঘরবাড়ি ফসলি জমি, গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কল্যাণপুরে মহানন্দা নদীর ভাঙনে অন্তত ১০টি ঘরবাড়ি নদীতে দেবে গেছে। ভাঙনকবলতি নদী তীরে বসবাসকারী আমেনা বেগম নূরেসা বেগম জানান, গত ১৫ দিন ধরে এই এলাকার বাড়িঘরগুলো নদীতে নেমে যাচ্ছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমরা বসবাস করছি। রাতের অন্ধকারে দেবে গেলে এলাকার বহু মানুষ মারা যাবে। জীবনের ভয়ে কেউ কেউ নিজ ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র ভাড়া বাসায় চলে গেছে। জরুরি ভিত্তিতে বাঁধ নির্মাণ করার দাবি জানান তারা। এছাড়া দেবীনগর ইউনিয়নের হড়মা এলাকায় মহানন্দায় ভাঙন চলছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রাকিবুল ইসলাম বলেন— শিবগঞ্জের মনোহরপুুুর ও আইয়ুবের ঘাট এলাকায় প্রায় দেড় থেকে ২ কিলোমিটারজুড়ে পদ্মা নদীর বামতীরে ভাঙন চলছে। নদী তীরের মানুষ ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন। জরুরি ভিত্তিতে জিওব্যাগ ও জিওটিউব ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়া সদর উপজেরার পোল্লাডাঙ্গা বিজিবি ক্যাম্প এলাকায় জিওব্যাগ ও জিওটিউব ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হচ্ছে। নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আহসান হাবীব বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন— কল্যাণপুরের ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন রোধের জন্য বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃক্ষকে জানানো হয়েছে। অনুমতি পেলেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরো ৪৪ জন : হাসপাতালে ভর্তি ৬৫

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরো ৪৪ জন : হাসপাতালে ভর্তি ৬৫ চাঁপাইনবাবগঞ্জে একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন আরো ৪৪ জন। এদের মধ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের ভেতর বিভাগে ১৭ জন এবং বহির্বিভাগে ২৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ৬২ জন, শিবগঞ্জে ১ জন, গোমস্তাপুরে ২ জন ভর্তি আছেন। এছাড়া অবস্থার অবনতি হওয়ায় জেলা হাসপাতাল থেকে ১ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন অফিসের প্রতিদিনের প্রতিবেদনে আজ এই তথ্য জানানো হয়েছে। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি ৬২ জনের মধ্যে ৩৪ জন পুরুষ, ১৮ জন মহিলা ও ১০ জন শিশু রয়েছেন। একই সময়ে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ১৯ জনকে। এই ১৯ জনের মধ্যে ১০ জন পুরুষ, ৮ জন মহিলা ও ১ শিশু রয়েছেন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ২০৩ জনে। একই সময়ে বহির্বিভাগে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৭৫৩ জনে।