শিবগঞ্জে স্কুলছাত্র নিখোঁজ

শিবগঞ্জে স্কুলছাত্র নিখোঁজ চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে বিদ্যালয়ে যাবার পথে শুভ সরকার (১২) নামে সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়েছে। এ নিয়ে আজ সন্ধ্যায় শিবগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শিক্ষার্থীর পিতা মানিক চন্দ্র সরকার। নিখোঁজ ব্যক্তি উপজেলার রেডিয়েন্ট স্কুল এ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও চককীর্তি ইউনিয়নের নাধরা গ্রামের মানিক চন্দ্র সরকারের ছেলে। লিখিত অভিযোগে জানা গেছে- সকাল ৭টায় শিবগঞ্জ বাজারে অবস্থিত রেডিয়েন্ট স্কুল এ্যান্ড কলেজে যাবার উদ্দেশ্যে উপজেলার চককীর্তি ইউনিয়নের নাধরা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে বের হয় শুভ সরকার। বিকাল পর্যন্ত শুভ সরকার বাড়ি ফিরে না আসায় স্কুলসহ বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে খোঁজাখুজি করেও সন্ধান মেলেনি। শিবগঞ্জ থানার ওসি গোলাম কিবরিয়া লিখিত অভিযোগ পাবার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিখোঁজ শিক্ষার্থীর নিকট মোবাইল ফোন না থাকায় কিছুটা অসুবিধা হলেও উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

গণহত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

গণহত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ চাঁপাইনবাবগঞ্জে গণহত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জেলা গণঅধিকার পরিষদ। বুধবার বেলা ১১টায় জেলাশহরের বাতেনখাঁর মোড় এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে মিলিত হয়। গণঅধিকার পরিষদ জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল আমিনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির সিফতি, সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ালিদ হাসান, ছাত্র অধিকার পরিষদের জেলা শাখার সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান সায়েম, গোমস্তাপুর উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি আজিজুর রহমান ও সাবেক ছাত্রনেতা রাতুল হাসান নিশান। সমাবেশে বক্তারা জুলাই-আগস্টের গণহত্যায় জড়িত শেখ হাসিনাসহ জড়িত সকলকে আইনের আওতায় এনে বিচার ও তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধসহ ৫ দফা দাবি জানান। এছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ ১৬ বছরের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আহত ক্ষতিগ্রস্ত শহীদদের সঠিক তালিকা তৈরি করে তাদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের দাবি জানান বক্তারা। শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।

শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে জেলা প্রশাসনের কর্মসূচি

শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে জেলা প্রশাসনের কর্মসূচি চাঁপাইনবাবগঞ্জে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৫ উপলক্ষে স্থানীয় কর্মসূচি প্রণয়ন সংক্রান্ত প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসন এ সভার আয়োজন করে। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ। সরকারি নির্দশনা অনুযায়ী এবারের সকল কর্মসূচিতে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের চেতনার পাশাপাশি ২০২৪ এর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ফুটিয়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়। সভায় বিস্তারিত আলোচনার পর বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- একুশের প্রথম প্রহরে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে অবস্থিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, একুশ ফেব্রুয়ারি সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি-আধা সরকারি স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা, বিকেল ৪টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ মঞ্চে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান। এছাড়াও শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মসজিদ, মন্দির, গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা করা হবে। এছাড়ও ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শিশুদের মধ্যে রচনা, চিত্রাঙ্কনসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ। আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম সাহিদ তার বক্তব্যে শহীদ মিনারসহ সংলগ্ন এলাকায় সিসি ক্যামেরা স্থাপনের পরামর্শ দেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন- জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আফাজ উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাকিব হাসান তরফদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) তরিকুল ইসলামসহ সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের প্রধান ও প্রতিনিধিরা।

সোনামসজিদে সীমান্ত বাণিজ্য সমন্বয় কমিটির আলোচনা সভা

সোনামসজিদে সীমান্ত বাণিজ্য সমন্বয় কমিটির আলোচনা সভা চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে সীমান্ত বাণিজ্য সমন্বয় কমিটির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে সোনামসজিদ স্থলবন্দরের পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সীমান্ত বাণিজ্যের নানা দিক তুলে ধরে বক্তব্য দেন- রাজশাহী বিভাগীয় ভ্যাট, এক্সাসাইজ, কমিশনারেট কাস্টমস কমিশনার ও এই কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল হাকিম; চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ ও পরিচালক আলহাজ মো. একরামুল হক; অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াসির আরাফাত, ৫৯ বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার মো. শাহাজাহান, উদ্ভিদ সংগনিরোধ দপ্তরের উপপরিচালক সমীর চন্দ্র ঘোষ, সোনামসজিদ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মো. মোস্তাক আহমেদসহ আরো অনেকে। সভায় সোনামসজিদ স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের গতিশীলতা আনয়ন, সীমান্ত বাণিজ্য সমন্বয় কমিটির প্রতি তিন মাস অন্তর সভা আয়োজন এবং উপস্থিত প্রতিনিধিদের মতামতের আলোকে আমদানি-রপ্তানি ও ট্রানজিট বাণিজ্যের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতাসমূহ চিহ্নিত করে তা দূরীকরণসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। সভায় বন্দর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি সংস্থা ও ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

নাচোলে স্মার্টকার্ডের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু

নাচোলে স্মার্টকার্ডের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার কসবা ইউনিয়নের দুটি পয়েন্টে স্মার্টকার্ডের মাধ্যমে নিম্নআয়ের মানুষের মধ্যে স্বল্প মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। এবার ৫৪০ টাকায় মিলছে ৫ কেজি চাল, ২ কেজি মসুর ডাল, ২ লিটার সয়াবিন তেল ও ১ কেজি চিনি। বুধবার সকাল ৮টার দিকে কসবা ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়। চলে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। বুধবার দেওয়া হয় ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডের কার্ডধারীদের। বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে টিসিবির পণ্য পেয়ে আনন্দ দেখা গেছে নিম্নআয়ের মানুষদের চোখেমুখে। এছাড়া তেল, চিনি, মসুর ডাল ও চাল একসাথে পেয়েও খুশি হয়েছেন টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারীরা। আজ বৃহস্পতিবার টিসিবির পণ্য বিক্রি হবে বাকি ৬টি ওয়ার্ডের কার্ডধারীদের মধ্যে। টিসিবির পণ্য নিতে আসা কসবা ইউনিয়নের আঝইর গ্রামের আব্দুল জব্বার বলেন, এভাবে প্রতিবার যদি একসঙ্গে টিসিবি পণ্য পাই তাহলে খুব ভালো হয়। একই গ্রামের আইয়ুব আলী বলেন, আগের দুই-একবার তেল ছিল না তাই নিতে আসিনি। এবার এসেছি। টিসিবির ডিলার মেসার্স নাহার ট্রেডার্সের মুসলিম উদ্দিন বলেন, সকাল থেকে টিসিবির পণ্য নিতে কার্ডধারীরা আসছে এবং পণ্য নিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো জানান, কসবা ইউনিয়নে ১ হাজার ২০ জন স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারীর মধ্যে টিসিবির পণ্য বিক্রয় করা হবে। কসবা ইউনিয়ন পরিষদে কর্মরত আহসান হাবিব বলেন, কসবা ইউনিয়নের টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডগুলো জমা নেয়ার পর আবারো তাদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। তবে স্মার্ট মোবাইলে স্ক্যান হওয়ার পরে ওই নাম্বারে ওটিপি কোড যতক্ষণ না যাচ্ছে, ততক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে রেডিও মহানন্দার শ্রোতাক্লাবের সদস্যদের লাল কার্ড প্রদর্শন

বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে রেডিও মহানন্দার শ্রোতাক্লাবের সদস্যদের লাল কার্ড প্রদর্শন বাল্যবিয়ে, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ এবং প্রতিবন্ধী শিশু-কিশোর-কিশোরীর অধিকার বিষয়ে শ্রোতাক্লাবের সদস্যদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকালে নাচোল উপজেলার মুন্দিখোর হিন্দুপাড়া ও রাইপাড়া, কালইর পাথরঘাটা ও তেঁতুলতলা গ্রামে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে রেডিও মহানন্দা। এসময় উপস্থিত ছিলেন, রেডিও মহানন্দার সহকারী স্টেশন ম্যানেজার রেজাউল করিম, প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির ইউনিট-১৫ নাচোলের হিসাব রক্ষক হাফিজুর রহমান, প্রয়াসের অফিসার শাহরিয়ার শিমুল, ফিল্ড অফিসার শাহিন আলম, রেডিও মহানন্দার সহকারী প্রযোজক সোনিয়া শীল ও উম্মে আয়েশা সিদ্দিকা। প্রসঙ্গত, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে ইউনিসেফের আর্থিক সহায়তায় এবং জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার শাখা ও জেলা তথ্য অফিসের সহযোগিতায় রেডিও মহানন্দায় ১১ টি অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হয়। এর আগে গতকালও গোমস্তাপুর উপজেলার চৌডালা সাহেব গ্রাম, হাউসনগর, বোয়ালিয়ার ঘাটনগর ও কাওয়াভাসা গ্রামের শ্রোতাক্লাবের সদস্যদের নিয়ে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভার আয়োজনে সহায়তা করেছেন প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির ইউনিট-৪ চৌডালার ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা। এসময় শ্রোতাক্লাবের সদস্যরা বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে লাল কার্ড প্রদর্শন করেন।

চাঁপাইনবাবঞ্জে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র গঙ্গা স্নান অনুষ্ঠিত

চাঁপাইনবাবঞ্জে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র গঙ্গা স্নান অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবঞ্জে শিবগঞ্জ উপজেলার পদ্মা’র শাখা পাগলা নদীতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র গঙ্গা¯œান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটি মাঘী বান্নী গঙ্গা¯œান নামেও পরিচিত। আজ সকাল থেকে শুরু করে দিনব্যাপী শিবগঞ্জ পৌর এলাকা ঘেঁষা তর্তিপুর মহাশ্মশান ঘাটে অনুষ্ঠিত ¯œানে অংশ নেন জেলার প্রায় সব এলাকা সহ বিভিন্ন জেলা থেকে দু’দিন ধরে বিভিন্ন যানবাহনে আসা আসা ধর্মপ্রাণ হিন্দুরা। পৌরনিক জাহ্নমুনির আশ্রমের কাছে চান্দ্র মাসের হিসেবে প্রতি বছরই সাধারণত মাঘ মাসে এই ¯œান অনুষ্ঠিত হয়। পূজা-অর্চনা সহ নানা ধর্মীয় আচারে দিনটি পালন করেন ভক্তরা। নদীতে বিসর্জন দেন প্রিয়জনের দেহভষ্ম। পামোচন ও পূণ্যলাভের জন্য প্রার্থনা করেন। অকল্যাণ দূরের প্রার্থনা করেন। তর্তিপুর হিন্দুদের বিশেষত রাজশাহী বিভাগের হিন্দুরের একটি তীর্থস্থান। পবিত্র ভূমি। মহাশ্মশান কমিটি সাধারণ সম্পাদক কমল ত্রিবেদী বলেন, এ বছর প্রায় লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়েছে। ঘাটে অনুষ্ঠিত হচ্ছে কীর্তন। তর্তিপূর এখন হিন্দুদের মিলনমেলা। ¯œানে আগত ভক্তরা মাটির ঘড়ায় বা বিভিন্ন পাত্রে করে জল নিয়ে যাচ্ছেন যা তাদের সারা বছর ধর্মীয় কাজে লাগবে। ¯œান করতে আসা শিবগঞ্জেরই ৯০ বছর বয়সী শান্তি দেবী বলেন, এই দিনটি পবিত্র। আমদেও পূর্বপরুষরা বহ যুগ থেকেই এই ¯œান করেন। আমরাও করছি। গঙ্গা জল পবিত্র। সারা বছর পুজোয় কাজে লাগবে। এদিকে ¯œানকে কেন্দ্র করে ঘাটের ওপরে বসেছে গ্রামীন মেলা। ঐতিহ্যবাহী খাবার, মনোহারি, কাঠের,বাঁশ, বেত ও লোহার আসবাবপত্র,বিভিন্ন সামগ্রী, প্রসাধনী, খেলনা অনেক কিছুই বিক্রি হচ্ছে। মেলায় সব ধর্মের, বিভিন্ন বয়সী ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ আসছেন। মেলা কয়েকদিন চলবে। এলাকায় নিরাপত্তা বাড়িয়েছে পুলিশ। শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) গোলাম কিবরিয়া বলেন, শান্তিপূর্ণ ও চমৎকার পরিবেশে হাজার হাজার মানুষ ¯œানে অংশ নিয়েছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে চক্ষু শিবিরে সেবা পেলেন ২০০ এর বেশী দরিদ্র রোগি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে চক্ষু শিবিরে সেবা পেলেন ২০০ এর বেশী দরিদ্র রোগি চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে সদর উপজেলার রানীহাটী ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত কৃষ্ণগোবিন্দপুর ডিগ্রি কলেজে বিনামূল্যের চক্ষু শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলা শিবিরে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে ২০০ এর বেশী রোগিকে। যারা শিবিরে এসে চিকিৎসা নিয়েছেন তাঁদের বেশিরভাগই দরিদ্র। রোগিদের মধ্যে নারীদের সংখ্যাই বেশি। আয়োজকরা বলছেন, এটি এখন জেলার সবথেকে বড় ও ধারাবাহিক বিনামূল্যের চক্ষু শিবির। গত কয়েক বছরের ন্যয় এবারও শিবির আয়োজন করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান চিকিৎসা সহায়তা কেন্দ্র। সার্বিক সহায়তা করে ঢাকার ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশন এবং বসুন্ধরা আই হসপিটাল এন্ড রিসার্চ ইনষ্টিটিউট। চক্ষু শিবিরে ৫০৬ জন রোগি নির্বাচিত করা হয় যাদেও ঢাকার বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ছানি (ক্যাটার‌্যাক্ট) অপারেশন করা হবে। বিনামূল্যে সংযোজন করা হবে লেন্স। প্রয়োজনীয় সকল ঔষুধ, ড্রপ, চশমা দেয়া হবে। ঢাকা যাতায়াতের জন্য কখনও রোগিদের সামাণ্য কিছু খরচ হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আয়োজকরা ডোনার যোগাড় করে সেটিরও ব্যবস্থা করেন। ফলে গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র রোগিরা যারা কখনও চিকিৎসা করেন নি বা চোখ থাকতেও দীর্ঘদিন পৃথিবীর আলো বঞ্চিত তাঁরা উপকৃত হন সবথেকে বেশি। আবার কিছু রোগির ফলোআপ চিকিৎসার দরকার হয়। তারা শিবিরে এসে সে কাজটিও সেরে নেন। শিবিরের নারীদের কাতারে দাঁড়ানো জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার ঘোড়াপাখিায় ইউনিযনের সতেররশিয়া গ্রামের মেসনারা বেওয়া বলেন, জীবনে প্রথম চোখের ডাক্তার দেখাতে এসেছি। স্বামী মারা গেছেন অনেক আগে। ছেলেদের কাছে থাকি। চক্ষু ক্যাম্পের মাইকিং শুনে জানতে পারি। এরপর গ্রামের আরও ৮/১০ রোগির সাথে ক্যাম্পে এসেছি। একই এলাকার আমিনা বেগম বলেন, রাতে চোখে দেখি না। দিনে ঝাপসা দেখি। বাড়ির কাছে ডাক্তার আসাতে দেখাতে এেিসছ। শহরে যেয়ে খরচ করে দেখাতে পারব না।চক্ষু শিবিরের পাশেই বহরম গ্রামে বাড়ি আকবর আলীর। আগে কৃষিকাজ করতেন। তিনি বলেন, ডাক্তারের ব্যবহার ভাল। মেশিন দিয়ে চোখ দেখেছেন। এখন ঢাকায় যাব অপারেশন করতে। তাঁর ভাতিজা এমরান আলী বললেন, দুই চোখ এই ক্যাম্পের সাহায্যে অপারেশন করিয়েছি। বসুন্ধরা হাসপাতালের পরিবেশ খুবই সুন্দর। এখন চাচার সাথে এসে পরীক্ষা নিলীক্ষা করে নিলাম। সব ঔষুধ পেলাম বিনা পয়সায়। চশামার পাওয়ার ঠিক করে দিয়েছে ডাক্তার। জেলা শহরের বালবাগান মহল্লার সাবিনা বেগম বলেন, একবার ছানি অপারশেন করতে গেছিলাম। হার্টের সমস্যার জন্য করতে পারিনি।হার্টের চিকিৎসা করিয়েছি। এবার অপারশেন করার জন্য ক্যাম্পে এসেছি। এভাবে সারাদিন শিবিরে আসা রোগিরা নিজেদের সমস্যার কথা বলেন। বলেন, জীবন যদ্ধের গল্প। নানা সমস্যা। অনেকে নিজের অবস্থা তুলে ধরে কান্না শুরু করেন। অনেকেই স্লিপে তাদের মোবাাইল নং লিখে চান। অনেকে বলেন, আমার তো মোবাইল নাই। কি করব? আয়োজকরা সকলের প্রতি মনোযোগী। আপ্রাণ চেষ্টা তাঁদের যেন সকলে ঠিকমত চিকিৎসা পান। বসুন্ধরা আই হসপিটালের ১০ জনের টিমের প্রধান ডা.মজুমদার গোলাম রাব্বি বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ এসে ভাল লাগছে। আয়োজকরা অতিথি পরায়ন। ক্যাম্পের পরিবেশ চমৎকার। তাঁর টিমে অপটোমেটিস্ট, টেকনোলজিষ্ট, ফার্মাসিষ্ট ও দ্জুন চিকিৎসক রয়েছেন বলে জানান ডা. রাব্বি। আরও দুজন চক্ষু বিশেষঞ্জ স্থানীয়ভাবে যোগ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ছানি পড়া রোগির সংখ্যাই বেশি। এছাড়া নেত্রনালি বন্ধ হয়ে যাওয়া(ডিসিআর) এবং মাসুরা আক্রান্ত রোগিও রয়েছে। টেষ্ট করে তাঁদের রোগ নির্ণয় করা হচ্ছে। এসব রোগির অপারেশনে সামাণ্য কিছু খরচ লাগে। কলেজের শিক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের প্রায় ৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী শিবিরে নিরলসভাবে স্বেচ্ছাসেবীর কাজ করছে। দ্বিতীয় বর্ষের আনিকা বলল, মানুষের সেবায় কাজ করেত ভাল লাগে। গত বছরও ক্যাম্পে স্বেচ্ছাসেবী ছিলাম। চিকিৎসা সহয়তা কেন্দ্রের কোষাাধ্যক্ষ এবং শিবিরের অন্যতম সংগঠক জহিরুল ইসলাম মাখন বলেন, শুরু থেকে চিকিৎসা সেবা কেন্দ্রের সাথে আছি। প্রচার প্রচারণা সং সাংগঠনিক সব কাজই করি। ঢাকায় রোগি নিয়ে যায়। হাসপাতালটি মানসম্মত। এই কাজে পরিশ্রমও করতে হয় প্রচুর। নিজের পকেট থেকেও অনেক খরচ হয়। তবুও দরিদ্র মানুষের সেবা করে আনন্দ পাই। প্রধান সংগঠক এবং চিকিৎসা সহায়তা কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বলেন, সমগ্র জেলা এমনকি জেলার বাইওে রাজশাহী, নওগাঁ এমনকি বগুড়া থেকেও রোগি এসছে। গ্রামে চক্ষু রোগির সংখ্যা বাড়ছে। এর কারণ বের করতে প্রয়োজনে গবেষণা করা দরকার। তিনি বলেন, ঢাকায় অপারেশন হওয়া রোগিদের জন্য যদি পৃথক ফলোআপ ক্যাম্প করা যেত বা জেলা হাসপাতালে কোন ব্যবস্থা করা যেত তবে চিকিৎসার মান আরও উন্নত হত। চিকিৎসা ঠিকমত সম্পূর্ণ হত। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় কলেজ হলরুমে উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে চিকিৎসা সহয়তা কেন্দ্রের সভাপতি ডা. আনোয়ার জাহিদের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাকিব হাসান তরফদার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাছমিনা খাতুন, কলেজ অথ্যক্ষ রফিউজ্জামান, সাবেক অধ্যক্ষ মো নুহু, ইউপি চেয়ারম্যান রহমত আলী, স্থানীয় সমাজসেবী ডা.আইনাল হক প্রমুখ। প্রশাসনের কর্মকর্তারা আয়োজনের প্রশংসা করে সহায়তার কথা জানান।

নাচোলে নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের কম্বল বিতরণ

নাচোলে নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের কম্বল বিতরণ চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে পাঁচ শতাধিক শীতার্ত মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ করেছে ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন। ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন নাচোল উপজেলা শাখার উদ্যোগে ডাকবাংলো চত্বরে সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় এই শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। সংগঠনটির উপজেলা শাখার সভাপতি আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে শীতবস্ত্র বিতারণকালে উপস্থিত ছিলেন- নাচোল পৌর জামায়াতের আমির মো. মনিরুল ইসলাম, ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহিদুর রহমান।

নাচোলে শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন

নাচোলে শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে জাতীয় স্কুল, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির ৫৩তম ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদ মাঠে এ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা পরিষদের প্রশাসক নীলুফা সরকার। এসময় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সহকারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দুলাল উদ্দীন খান, নাচোল পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ উপজেলা শিক্ষক সমিতির নাচোল উপজেলা শাখার সভাপতি তাজাম্মুল হক ও সাধারণ সম্পাদক আমির উদ্দীন, সাবেক সভাপতি আব্দুর রহিম ও জহিরুদ্দীন, মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান, নাচোল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক আনিকুল ইসলাম, মুন্সী হযরত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত ক্রীড়া শিক্ষক আব্দুল হকসহ উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্রীড়া শিক্ষকগণ এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। এদিন ব্যাডমিন্টন, ভলিবল (একক ও দ্বৈত) প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। আজ মঙ্গলবার প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হবে। এবছর শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় দৌড়, উচ্চ ও দীর্ঘলম্ফ, চাকতি ও গোলক নিক্ষেপসহ বিভিন্ন ইভেন্টে বালক ও বালিকা (বড়দের), বালক-বালিকা (ছোটদের) মাধ্যে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।