সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে এসেছে ১০০ টন পেঁয়াজ

সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে এসেছে ১০০ টন পেঁয়াজ শিবগঞ্জ উপজেলার সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রায় ৮ মাস পরে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। গতকাল বিকেলে ভারত থেকে চারটি গাড়িতে ১০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বন্দরে প্রবেশ করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে পানামা সোনামসজিদ পোর্ট লিংক লিমিডেটের ম্যানেজার মাইনুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ ৫ মাস বন্ধ থাকার পর গতকাল ভারত থেকে ১০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ নিয়ে চারটি গাড়ি বাংলাদেশের সোনামসজিদ স্থল বন্দরে প্রবেশ করে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পরে আবারো সোনামসজিদ স্থলবন্দরে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ায় দেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়বে আর বাজাও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তিনি বলেন-আজ এবং আগামীকাল সাপ্তাহিক ছুটির কারণে আমদানি বন্ধ রয়েছে। তবে রবিবার থেকে আবারও শুরু হবে। এদিকে সোনামসজিদ স্থলবন্দর উদ্ভিব সংগো নিরোধ কেন্দ্রের উপপরিচালক সমীর চন্দ্র ঘোষ জানান, গত ৩১ মার্চ থেকে ভারত থেকে আমদানি বন্ধ থাকার পর গতকাল ৪ গাড়িতে মোট ১০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ সোনামসজিদ স্থলবন্দরে প্রবেশ করেছে। ১৩ জন ব্যবসায়ির মোট ৪৭০ মেট্টিক টন পেঁয়াজ আমদানি হবে। ব্যবসায়িরা জানান, গত ৫ মাস আগে ভারত সরকার বাংলাদেশের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। ফলে গত ৫ মাস বন্ধ থাকে পেঁয়াজ আমদানি। তবে আবার পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ায় পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমে আসবে। এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরের নিউ মার্কেট মুদিবাজারের আব্দুর রহমান বাবু জানান, আজ প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭৫ টাকায়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে কমেছে পদ্মায়, বৃদ্ধি অব্যাহত মহানন্দা ও পুনর্ভবায় 

চাঁপাইনবাবগঞ্জে কমেছে পদ্মায়, বৃদ্ধি অব্যাহত মহানন্দা ও পুনর্ভবায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত পদ্মা নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় এক সেন্টিমিটার কমলেও মহানন্দা ও পুনর্ভবা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। আজ সকাল ৯টায় পদ্মা নদীর পানি পাঁকা পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এদিকে পদ্মায় পানি বৃদ্ধির কারণে চরাঞ্চলের প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। শিবগঞ্জ ও সদর উপজেলার চরাঞ্চলে পানিবন্দি হয়েছেন হাজার হাজার পরিবার। চরাঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় পাঠদান বন্ধ হয়ে গেছে। গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন গ্রামবাসী। এ অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন চরাঞ্চলের মানুষ। অধিকাংশ টিউবওয়েল পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। আজ চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানির সমতল বিষয়ক প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা নদীর পাঁকা পয়েন্টে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত পানির সমতল ছিল ২১.৭৩ মিটার; যা আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১ সেন্টিমিটার কমে সমতল দাঁড়িয়েছে ২১.৭২ মিটার। অন্যদিকে গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত মহানন্দা নদীর খালঘাট পয়েন্টে পানির সমতল ছিল ১৯.৭৭ মিটার; যা ২৪ ঘণ্টায় বৃদ্ধি পেয়ে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত পানির সমতল দাঁড়িয়েছে ১৯.৭৯ মিটার। এনদীর পানি বেড়েছে ২ সেন্টিমিটার। অপরদিকে পুনর্ভবা নদীর রহনপুর পয়েন্টে গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত পানির সমতল ছিল ১৯.৯৪ মিটার; যা শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে সমতল দাঁড়িয়েছে ২০.০১ মিটার। পদ্মা নদীর বিপৎসীমা হচ্ছে ২২.০৫, মহানন্দার ২০.৫৫ ও পুনর্ভবার ২১.৫৫ মিটার।

মাদক মামলার সাজাপ্রাপ্ত এক আসামি গ্রেপ্তার

মাদক মামলার সাজাপ্রাপ্ত এক আসামি গ্রেপ্তার চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি টিয়া মিয়া নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গ্রেপ্তার টিয়া মিয়া সদর উপজেলার কৃষ্ণগোবিন্দপুর পাঠানপাড়ার মৃত বাবলুর রহমানের ছেলে। গতকাল রাতে র‌্যাব-৫, চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি দল মহরাজপুর মেলার মোড় এলাকা হতে তাকে গ্রেপ্তার করে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব আরো জানায়, ধৃত টিয়া মিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯০ এর ১৯(১) এর ৯(ক) ধারায় মামলা হয়। মামলা হওয়ার পর তিনি নিজেকে আত্মগোপন করে পলাতক থাকেন। পরবর্তীতে আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে সশ্রম কারাদ- প্রদান করে সাজা পরোয়ানা জারী করেন। এরই প্রেক্ষিতে র‌্যাব-৫, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে টিয়া মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয় বলে র‌্যাব জানায়।

মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দূর্ঘটনায় দগ্ধ শিক্ষিকা মাহফুজা খাতুনের মৃত্যু; গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিবগঞ্জে শোকের ছায়া

মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দূর্ঘটনায় দগ্ধ শিক্ষিকা মাহফুজা খাতুনের মৃত্যু; গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিবগঞ্জে শোকের ছায়া গত ২১ জুলাই উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে বিমান দূর্ঘটনায় দগ্ধ হয়ে ২৪ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়া সিনিয়র শিক্ষিকা মাহফুজা খাতুন মারা গেছেন – ইন্না লিল্øাহি অইন্না ইলাহি রাজিউন। আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকার ন্যাশনাল ইনিষ্টিটিউট অফ বার্ন এন্ড প্লাষ্টিক সার্জারিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয় বলে পরিবার সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। মৃত্যুকালে তিনি একমাত্র মেয়ে নওশিন, মা, ১ ভাই ও ৩ বোনসহ বহু গূণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর পিতা শিবগঞ্জ উপজেলার দূর্লভপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের দামুদিয়াড় গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অব. ওয়ারেন্ট অফিসার মৃত মহসিন আলী। মাহফুজার মৃত্যু সংবাদ গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছুলে স্বজনদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। গ্রামে রয়েছে মাহফুজার ২ চাচা, ৩ ফুপু সহ বহু নিকটাত্মীয়। শিবগঞ্জে বসবাসকারী মাহফুজার চাচা পুলিশের অব.উপ-পরিদর্শক(এসআই) আলাউদ্দিন আলী বলেন, মাহফুজার পিতা বিমান বাহিনী থেকে অবসরের পর ২০১৩ সালের দিকে মারা যান। তিনি যতদিন বেঁচে ছিলেন ততদিন পরিবারটির সাথে গ্রামের স্বজনদের যোগাযোগ ভাল ছিল। তবে তিনি মারা যাবার পরও তাঁর সন্তানেরা গ্রামে যোগাযোগ রাখতেন। তিন বছর পূর্বে মাহফুজা শেষবার গ্রামে আসে। মাফুজার নানার বাড়িও দাদার বাড়ির পাশের গ্রাম বাবুপুরে। সেখানে তাঁর মামা,খালা সহ স্বজনরা রয়েছে। মাহফুজার চাচা আরও বলেন, মাহফুজার দূর্ঘটনার পর গ্রামের স্বজনরা নিয়মিত তাঁর অবস্থার খোঁজ রাখতেন। মাহফুজার পিতা ঢাকার বাউনিয়া এলাকায় একটি বাড়ি নির্মাণ করেন। তবে মাহফুজা একমাত্র সন্তান ¯œাতক উত্তীর্ণ মেয়ে ওশিনকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন। মাহফুজার বড় বোন মাকসুদা বেগম কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, মাইলস্টোনে নিহত শিক্ষক মাহরীন চৌধুরী ও মাসুকা বেগমের সাথে একই কক্ষে শিশুদের রক্ষা করতে গিয়ে ৩৫-৪০ শতাংশ দগ্ধ হন। প্রথমে তাঁকে সিএমএইচ ও পরে বার্ন ইনিষ্টিটিউটে নেয়া হয়। আশা ছিল সে হয়ত বেঁচে যাবে। কিন্তু বাঁচল না।তাঁকে ঢাকায় দাফনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। মাহফুজার ছোন বোন ইতি খাতুন বলেন, শিশুদের জীবন বাঁচাতেই অন্য ২ শিক্ষকের মত দগ্ধ হয় মাহফুজা। সে ঢাকা জজকোর্টে আইনজীবী হিসাবেও তালিকাভূক্ত ছিল। সূযোগ পেলেই আদালতেও কাজ করত।

বন্যায় ১৯০০ হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত; গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে মানুষ আতঙ্ক বাড়ছে চরাঞ্চলে

বন্যায় ১৯০০ হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত; গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে মানুষ আতঙ্ক বাড়ছে চরাঞ্চলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত পদ্মা, মহানন্দা ও পুনর্ভবা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পদ্মা নদীর পানি এরই মধ্যে সতর্ক লেভেলে পৌঁছেছে। গতকাল বিকেল ৩টায় পদ্মা নদীর পানি পাঁকা পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পদ্মায় পানি বৃদ্ধির কারণে চরাঞ্চলের ১ হাজার ৮৮২ হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। শিবগঞ্জ ও সদর উপজেলার চরাঞ্চলে পানিবন্দি হয়েছেন হাজার হাজার পরিবার। চরাঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় পাঠদান বন্ধ হয়ে গেছে। গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন গ্রামবাসী। এ অবস্থায় আগামীতে পানি বৃদ্ধির কারণে আতঙ্ক বাড়ছে চরাঞ্চলে। এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পদ্মা পাড়ের প্রায় ১৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এছাড়াও চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে পড়ায় ৪১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জেছের আলী জানান, সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চলের ১৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। অন্যদিকে জেলা শিক্ষা অফিসার আবদুল মতিন জানিয়েছেন, বন্যার কারণে শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চলের ৯টি স্কুলে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। চরাঞ্চলের কৃষকরা বলেন, প্রতিদিন পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে ভয়াবহ হারে। এতে করে নিম্নাঞ্চলের কৃষকের আবাদিজমি পানিতে নিমজ্জিত হচ্ছে। ফলে আউশ, রোপা আমন, কলা, সবজিসহ বিভিন্ন ফসলের জমি ডুবে গেছে। তবে কৃষি বিভাগ বলছে— নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের পানি দ্রুত নেমে গেলে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা থাকবে না। শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নয়ন মিয়া বলেন, পদ্মার পানি বৃদ্ধির কারণে শিবগঞ্জ উপজেলায় ৪ হাজার ৯২৬ কৃষকের রোপা আউশ ১২৭২ হেক্টর, ৫২ হেক্টর সবজি, ১৩ হেক্টর হলুদ ও ৫ হেক্টর কলা ক্ষেত নিমজ্জিত হয়েছে। এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আনিসুল হক মাহমুদ জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বন্যার পানিতে ১৩৫ হেক্টর সম্পূর্ণ, ৪০৫ হেক্টর আংশিক আক্রান্ত হয়েছে। তিনি জানান, ৩ হাজার ১৫ জন কৃষকের ৫০৪ হেক্টর ধান, সবজিসহ বিভিন্ন ফসলের জমি ডুবে গেছে। তবে আক্রান্ত ফসলের মাঠ থেকে পানি দ্রুত নেমে গেলে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা থাকবে না বলেও জানান এই দুই কৃষি কর্মকর্তা। চাঁপাইনবাবগঞ্জের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আহসান হাবিব জানান, উজানের ঢলে সপ্তাহ ধরে পদ্মা, মহানন্দা ও পুনর্ভবা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মায় পানি বেড়েছে ৩ সেন্টিমিটার, মহানন্দায় বেড়েছে ৭ সেন্টিমিটার ও পুনর্ভবায় পানি বেড়েছে ১০ সেন্টিমিটার। বর্তমানে পদ্মা বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার, মহানন্দা ৮৩ সেন্টিমিটার এবং পুনর্ভবা নদীর পানি বিপৎসীমার ১.৬৯ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানির সমতল বিষয়ক প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা নদীর পাঁকা পয়েন্টে মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত পানির সমতল ছিল ২১.৭০ মিটার; যা গতকাল সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২১.৭৩ মিটার। অন্যদিকে গত মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত মহানন্দা নদীর খালঘাট পয়েন্টে পানির সমতল ছিল ১৯.৬৫ মিটার; যা ২৪ ঘণ্টায় বৃদ্ধি পেয়ে গতকাল সকাল ৯টা পর্যন্ত পানির সমতল দাঁড়িয়েছে ১৯.৭২ মিটার। অপরদিকে পুনর্ভবা নদীর রহনপুর পয়েন্টে গত মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত পানির সমতল ছিল ১৯.৭৬ মিটার; যা গতকাল সকাল ৯টা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়ে সমতল দাঁড়িয়েছে ১৯.৮৬ মিটার। পদ্মা নদীর বিপৎসীমা হচ্ছে ২২.০৫, মহানন্দার ২০.৫৫ ও পুনর্ভবার ২১.৫৫ মিটার।

পানি স্থির পদ্মায়, বেড়েছে মহানন্দা ও পুনর্ভবায়

পানি স্থির পদ্মায়, বেড়েছে মহানন্দা ও পুনর্ভবায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত পদ্মা নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় স্থির থাকলেও মহানন্দা ও পুনর্ভবা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পদ্মা নদীর পানি এরই মধ্যে সতর্ক লেভেলে পৌঁছেছে। আজ সকাল ৯টায় পদ্মা নদীর পানি পাঁকা পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পদ্মায় পানি বৃদ্ধির কারণে চরাঞ্চলের প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। শিবগঞ্জ ও সদর উপজেলার চরাঞ্চলে পানিবন্দি হয়েছেন হাজার হাজার পরিবার। চরাঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় পাঠদান বন্ধ হয়ে গেছে। গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন গ্রামবাসী। এ অবস্থায় আগামীতে পানি বৃদ্ধির কারণে আতঙ্ক বাড়ছে চরাঞ্চলে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আহসান হাবিব জানান, উজানের ঢলে সপ্তাহ ধরে মহানন্দা ও পুনর্ভবা নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মায় পানি বাড়েনি। মহানন্দায় বেড়েছে ৫ সেন্টিমিটার ও পুনর্ভবায় পানি বেড়েছে ৮ সেন্টিমিটার। আজ চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানির সমতল বিষয়ক প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা নদীর পাঁকা পয়েন্টে মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত পানির সমতল ছিল ২১.৭৩ মিটার; যা গতকাল সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২১.৭৩ মিটারই রয়েছে। অর্থাৎ পদ্মার পানি স্থির রয়েছে। অন্যদিকে গতকাল সকাল ৯টা পর্যন্ত মহানন্দা নদীর খালঘাট পয়েন্টে পানির সমতল ছিল ১৯.৭২ মিটার; যা ২৪ ঘণ্টায় বৃদ্ধি পেয়ে আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত পানির সমতল দাঁড়িয়েছে ১৯.৭৭ মিটার। অপরদিকে পুনর্ভবা নদীর রহনপুর পয়েন্টে গতকাল সকাল ৯টা পর্যন্ত পানির সমতল ছিল ১৯.৮৬ মিটার; যা বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়ে সমতল দাঁড়িয়েছে ১৯.৯৪ মিটার। পদ্মা নদীর বিপৎসীমা হচ্ছে ২২.০৫, মহানন্দার ২০.৫৫ ও পুনর্ভবার ২১.৫৫ মিটার।

বন্যাকবলিত এলাকায় চাল ও শুকনো খাবার বিতরণ

নারায়ণপুর ও আলাতুলি ইউনিয়নের বন্যাকবলিত এলাকায় চাল ও শুকনো খাবার বিতরণ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা প্রশাসন নারায়ণপুর ইউনিয়নে বন্যাকবলিত এলাকায় ১৫০টি পরিবারের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করেছে। আলাতুলিতে বিতরণ করা হয়েছে ১৫ কেজি করে চাল। এছাড়া নারায়ণপুরে ৩ হাজার ও আলাতুলি ইউনিয়নে ২ হাজার খাবার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়। বুধবার নারায়ণপুর ইউনিয়নে শুকনো খাবার ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ শেষে ফেরার পথে মুঠোফোনে এই তথ্য জানান সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নুরুল ইসলাম। বিতরণকালে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার কাঞ্চন কুমার দাস, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহিনূর আলমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে আলাতুলী ইউনিয়নের বন্যাকবলিত অসহায় ও ক্ষতিগ্রস্ত ৬০০ পরিবারের মধ্যে ১৫ কেজি করে জিআর চাল ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়। বিতরণে উপস্থিত ছিলেন— প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জাব্বার, ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. জেরাউল হোসেন, ট্যাগ অফিসার মো. ফয়সাল ইকবাল, ওয়ার্ড সদস্য মো. মেসবাহুল হকসহ অন্যরা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে নতুন করে ২৫ জনের ডেঙ্গু সনাক্ত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে নতুন করে ২৫ জনের ডেঙ্গু সনাক্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ফের বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ জন। তাদের মধ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের ভেতর বিভাগে ১৬ জন ও বহির্বিভাগে ৮ জন এবং শিবগঞ্জে ১ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। বর্তমানে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি আছেন ২৫ জন রোগী। তাদের মধ্যে ৮ জন পুরুষ, ১০ জন মহিলা ও ৭ জন শিশু রয়েছেন। একই সময়ে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ১৪ জনকে। এই ১৪ জনের মধ্যে ৮জন পুরুষ, ৩ জন মহিলা ও ৩ জন শিশু রয়েছেন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ৬১৩ জনে। একই সময়ে বহির্বিভাগে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ১০৭ জনে। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন অফিসের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বুধবার এই তথ্য জানানো হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাড়তেই আছে নদীর পানি; আতঙ্ক বাড়ছে চরাঞ্চলে

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাড়তেই আছে নদীর পানি; আতঙ্ক বাড়ছে চরাঞ্চলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত পদ্মা, মহানন্দা ও পুনর্ভবা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পদ্মা নদীর পানি এরই মধ্যে সতর্ক লেভেলে পৌঁছেছে। বুধবার বিকেল ৩টায় পদ্মা নদীর পানি পাঁকা পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পদ্মায় পানি বৃদ্ধির কারণে চরাঞ্চলের ১ হাজার ৮৮২ হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। শিবগঞ্জ ও সদর উপজেলার চরাঞ্চলে পানিবন্দি হয়েছেন হাজার হাজার পরিবার। চরাঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় পাঠদান বন্ধ হয়ে গেছে। গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন গ্রামবাসী। এ অবস্থায় আগামীতে পানি বৃদ্ধির কারণে আতঙ্ক বাড়ছে চরাঞ্চলে। এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পদ্মা পাড়ের প্রায় ১৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এছাড়াও চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে পড়ায় ৪১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। এদিকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জেছের আলী গৌড় বাংলাকে জানান, সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চলের ১৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। অন্যদিকে জেলা শিক্ষা অফিসার আবদুল মতিন জানিয়েছেন, বন্যার কারণে শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চলের ৯টি স্কুলে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। চরাঞ্চলের কৃষকরা বলেন, প্রতিদিন পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে ভয়াবহ হারে। এতে করে নিম্নাঞ্চলের কৃষকের আবাদিজমি পানিতে নিমজ্জিত হচ্ছে। ফলে আউশ, রোপা আমন, কলা, সবজিসহ বিভিন্ন ফসলের জমি ডুবে গেছে। তবে কৃষি বিভাগ বলছে— নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের পানি দ্রুত নেমে গেলে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা থাকবে না। শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নয়ন মিয়া বলেন, পদ্মার পানি বৃদ্ধির কারণে শিবগঞ্জ উপজেলায় ৪ হাজার ৯২৬ কৃষকের রোপা আউশ ১২৭২ হেক্টর, ৫২ হেক্টর সবজি, ১৩ হেক্টর হলুদ ও ৫ হেক্টর কলা ক্ষেত নিমজ্জিত হয়েছে। এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আনিসুল হক মাহমুদ জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বন্যার পানিতে ১৩৫ হেক্টর সম্পূর্ণ, ৪০৫ হেক্টর আংশিক আক্রান্ত হয়েছে। তিনি জানান, ৩ হাজার ১৫ জন কৃষকের ৫০৪ হেক্টর ধান, সবজিসহ বিভিন্ন ফসলের জমি ডুবে গেছে। তবে আক্রান্ত ফসলের মাঠ থেকে পানি দ্রুত নেমে গেলে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা থাকবে না বলেও জানান এই দুই কৃষি কর্মকর্তা। চাঁপাইনবাবগঞ্জের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আহসান হাবিব জানান, উজানের ঢলে সপ্তাহ ধরে পদ্মা, মহানন্দা ও পুনর্ভবা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মায় পানি বেড়েছে ৩ সেন্টিমিটার, মহানন্দায় বেড়েছে ৭ সেন্টিমিটার ও পুনর্ভবায় পানি বেড়েছে ১০ সেন্টিমিটার। বর্তমানে পদ্মা বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার, মহানন্দা ৮৩ সেন্টিমিটার এবং পুনর্ভবা নদীর পানি বিপৎসীমার ১.৬৯ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানির সমতল বিষয়ক প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা নদীর পাঁকা পয়েন্টে মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত পানির সমতল ছিল ২১.৭০ মিটার; যা বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২১.৭৩ মিটার। অন্যদিকে গত মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত মহানন্দা নদীর খালঘাট পয়েন্টে পানির সমতল ছিল ১৯.৬৫ মিটার; যা ২৪ ঘণ্টায় বৃদ্ধি পেয়ে বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত পানির সমতল দাঁড়িয়েছে ১৯.৭২ মিটার। অপরদিকে পুনর্ভবা নদীর রহনপুর পয়েন্টে গত মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত পানির সমতল ছিল ১৯.৭৬ মিটার; যা বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়ে সমতল দাঁড়িয়েছে ১৯.৮৬ মিটার। পদ্মা নদীর বিপৎসীমা হচ্ছে ২২.০৫, মহানন্দার ২০.৫৫ ও পুনর্ভবার ২১.৫৫ মিটার।

নামোশংকরবাটী উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৭০০ কমলালেবুর চারা বিতরণ

নামোশংকরবাটী উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৭০০ কমলালেবুর চারা বিতরণ চাঁপাইনবাবগঞ্জের নামোশংকরবাটী উচ্চ বিদ্যালয়ে আজ ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ১ হাজার ৭০০টি কমলালেবুর চারা বিতরণ করা হয়েছে। আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় আয়োজিত এ কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ফলদ বৃক্ষ রোপণে উৎসাহিত করা হয়। আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি ও স্বেচ্ছাসেবীদের উপস্থিতিতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসলাম কবির ও সহকারী প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ মারশাল শিক্ষার্থীদের হাতে কমলালেবুর চারাগুলো তুলে দেন। আয়োজকরা জানান, এ কর্মসূচির লক্ষ্য হলো পরিবেশ রক্ষা, কৃষি সচেতনতা বৃদ্ধি এবং শিক্ষার্থীদের ছোটবেলা থেকেই বৃক্ষরোপণে উদ্বুদ্ধ করা।