শিবগঞ্জে পদ্মায় নৌকা ডুবে শিশু নিখোঁজ

শিবগঞ্জে পদ্মায় নৌকা ডুবে শিশু নিখোঁজ শিবগঞ্জে নানীর বাড়ি যাবার সময় পদ্মা নদীতে নৌকা ডুবে আয়েশা খাতুন নামে এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে। আজ বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলার পাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড সদস্য মিজানুর রহমান। এর আগে গতকাল বিকেলে উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের বোগলাউড়ি-জ্যাটপাড়া ঘাট পদ্মা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। ওয়ার্ড সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, গতকাল বিকেলে উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের বোগলাউড়ি-জ্যাটপাড়া ঘাট থেকে একটি নৌকায় কয়েকজন যাত্রী ও মুদি দোকানের মালামাল নিয়ে দশ রশিয়া বাজার যাচ্ছিল। এ সময় বৈরী আবহাওয়ায় পদ্মায় নৌকাটি ডুবে যায়। মাঝি ও অন্যান্য যাত্রীরা সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও পদ্মায় ডুবে নিখোঁজ হয় শিশু আয়েশা খাতুন।
নাচোলে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এক ব্যাক্তির পানিতে ভাসমান অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

নাচোলে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এক ব্যাক্তির পানিতে ভাসমান অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার নাচোল উপজেলা থেকে ঢেনা মুর্মু নামে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর এক ব্যাক্তির পানিতে ভাসমান প্রায় অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি নাচোল সদর ইউনিয়নের পীরপুর সাহানাপাড়া গ্রামের বুদ্ধাই মুর্মুর ছেলে। স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, ঢেনা মুর্মু গত সোমবার সকাল ১১টার দিকে একই ইউনিয়নের প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরের ঝিকরা গ্রামে তাঁর নাতনির বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এরপর তিনি আর বাড়ি ফেরেন নি। পরে গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঝিকড়া গ্রাম সংলগ্ন একটি বিলের পানি নিস্কাষন খাঁড়িতে কচুরিপানার মধ্যে ঢেনার ভাসমান মরদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাত ৯টার দিকে খাঁড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। নাচোল থানার অফিসার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, মরদেহে প্রাথমিকভাবে বাহ্যিক আঘাতের কোন চিহ্ন মেলেনি। ঢেনা তাঁর ভাগ্নি মরিয়ম মার্ডির মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ঝিকড়া গ্রামে যান। পরে বিয়ে খেয়ে আসার পথে কোনভাবে ওই খাঁড়িতে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়। ওসি আরও জানান, ঢেনা নিজ বাড়িতে রওনা দিলে তাঁর ভাগ্নির পরিবার ধারণা করে, তিনি নিজ বাড়িতে চলে গেছেন। কিন্তু তিনি বাড়ি না ফিরলেও তাঁর নিজ পরিবার ধারণা করে, তিনি ভাগ্নির বাড়িতেই আছেন। ফলে ২ দিন কোন পরিবরাই তাঁর কোন খোঁজ করেন নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে,অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তিনি খাঁড়ির পানিতে পড়ে মারা যান। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন আসলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ প্রকিয়াধীন বলেও জানান ওসি।
শিবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের দিনভর কর্মসূচি

শিবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের দিনভর কর্মসূচি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক সচেতনতামূলক এক সভা বুধবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা ও ক্রীড়া উপকরণ এবং সৌন্দর্যবর্ধক বাগানবিলাস, কাঠগোলাপ, কৃষ্ণচূড়া, চন্দ্রপ্রভা ও রেভেনিয়া গাছের চারা এবং আগুন ও বজ্রপাতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়। অন্যদিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে উদ্বোধন করা হয়েছে ৩ দিনব্যাপী মৌসুমি ফলের মেলা ও প্রদর্শনী। এসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আজাহার আলীসহ অন্যরা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরো ৬২ জন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরো ৬২ জন চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৬২ জন ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২১ জন। আর হাসপাতালটির বহির্বিভাগে শনাক্ত হয়েছেন আরো ৩৭ জন। তারা বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া শিবগঞ্জ ও ভোলাহাটে ২ জন করে শনাক্ত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত তারা শনাক্ত হন। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ২১ জনের মধ্যে ১২ জন পুরুষ, ৮ জন মহিলা ও ১ জন শিশু রয়েছেন। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের প্রতিদিনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে। জেলা হাসপাতালের বুধবারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পূর্বের মোট ভর্তি রোগী ছিলেন ৫৮ জন। তাদের মধ্যে ২৩ জন পুরুষ ও ২৭ জন মহিলা এবং ৮ জন শিশু ছিলেন। একই সময়ে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ২৩ জনকে। এই ২৩ জনের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ ও ৯ জন মহিলা ও ১ জন শিশু রয়েছেন। এছাড়া অবস্থার অবনতি হওয়ায় ২ জন পুরুষ রোগীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৫৪ জন। এই ৫৪ জনের মধ্যে ২০ জন পুরুষ, ২৬ জন মহিলা ও ৮ জন শিশু রয়েছেন। এছাড়া বুধবার শিবগঞ্জে ২ জন ও ভোলাহাটে ২ জন আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৮২৮ জনে। একই সময়ে বহির্বিভাগে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ২৯৬ জনে।
বাল্যবিয়ে রোধে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে

বাল্যবিয়ে রোধে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে আমাদের সমাজে এখনো মায়েরা ছেলে সন্তানকে বেশি প্রাধান্য দেন উল্লেখ করে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী বলেছেন, বাল্যবিয়ের কারণে একজন কন্যাসন্তানের সব স্বপ্নকে ভ্রূণেই হত্যা করা হচ্ছে। তার শিক্ষা-দীক্ষা থেকে তাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এই মানসিকতা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, বাল্যবিয়ে রোধে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরসহ তার অংশীদার অন্যান্য দপ্তরগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে দরিদ্র মা-বাবাকে বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে বোঝাতে হবে, জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাল্যবিয়ে রোধে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রচারপত্র বিতরণ করতে হবে। জুম্মার নামাজে খুৎবায় এ বিষয়ে কথা বলতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাল্যবিয়ের অভিশাপ থেকে আমাদের কন্যাসন্তানদের রক্ষা করতে হবে। বুধবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বাল্যবিয়ে নিরোধ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথাগুলো বলেন। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এবং ইউএনএফপিএ’র যৌথ উদ্যোগে বাস্তবায়নাধীন অ্যাকসিলারেটিং অ্যাকশন টু অ্যান্ড চাইল্ড ম্যারিজ ইন বাংলাদেশ ফেজ-২ প্রকল্পের আওতায় এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। যুগ্ম সচিব ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী আরো বলেন— যারা অবৈধভাবে এফিডেভিটের নামে ছেলেমেয়েদের বয়স কমবেশি করেন তাদেরকে খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন— ইমামদের জন্য অনলাইনে ডাটাবেজ তৈরির কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। সেখানে সকল ইমামের তথ্য থাকবে, কারা বাল্যবিয়ে পড়ান তাদের চিহ্নিত করা হবে। জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুস সামাদের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন— জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী মো. আফাজ উদ্দিন, জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালক উজ্জ্বল কুমার ঘোষ, পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াসির আরাফাত, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. সুলতানা পাপিয়া, ইউএনএফপিএ বাংলাদেশ’র প্রোগ্রাম অ্যানালিস্ট মো. আবু নাসের, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক জান্নাতুল ফেরদৌস। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সূচনা বক্তব্য দেন— জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপরিচালক সাহিদা আখতার। মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন— চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. বিপ্লব কুমার মজুমদার, জেলা জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবদুল ওদুদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপরিচালক মো. গোলাম মোস্তফা, জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পেশ ইমাম মাওলানা মুখতার আলী, জেলা কাজী সমিতির সভাপতি সভাপতি কাজী সেতাউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুল বারীসহ আরো অনেকে। জেলা প্রশাসন ও জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এই কর্মশালার আয়োজন করে। কারিগরি সহযোগিতায় ছিল জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ, বাংলাদেশ। কর্মশালায় বাল্যবিয়ের কারণ, প্রতিরোধে করণীয়, আইন, তালাক, মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও মৃত্যুসহ বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা হলো সেলাইমেশিন

প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা হলো সেলাইমেশিন চাঁপাইনবাবগঞ্জে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের জীবিকায়নে মহিলাদের দক্ষতাভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রকল্পের আওতায় ১০ জন প্রশিক্ষণার্থীর মধ্যে সেলাইমেশিন বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে সেলাইমেশিন তুলে দেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী। এসময় জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুস সামাদ, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী মো. আফাজ উদ্দিন, জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালক উজ্জ্বল কুমার ঘোষ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সালমা আখতার, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক সাহিদা আখতারসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডেঙ্গুবিরোধী প্রচারণায় প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডেঙ্গুবিরোধী প্রচারণায় প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা ডেঙ্গু সংক্রমণ প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার শংকরবাটী পোল্লাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের ক্যাচমেন্ট এলাকায় আজ শোভাযাত্রা ও মানুষকে বাড়ির চারপাশ পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারে সচেতন করার কর্মসূচি পালন করেছে। আজ দুপুরে বিদ্যালয়ের কাবদল, হলদে পাখির দল ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা মিলে শিক্ষকের নেতৃত্বে প্ল্যাকার্ড-ফেস্টুন হাতে নিয়ে শোভাযাত্রা বের করে। ক্যাচমেন্ট এলাকা ঘোরার সময় অভিভাবক ও এলাকার বাসিন্দাদের ডেঙ্গুর ভয়াবহতা সম্পর্কে বোঝায় ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারে সচেতন করে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোয়ারা খাতুন জানান, গত ২ জুলাই জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় উল্লেখ করা হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ভয়াবহ আকারে দেখা দিয়েছে। তাই প্রতিটি বিদ্যালয়ের আঙিনা পরিচ্ছন্ন রাখাসহ অভিভাবকদের সচেতন করার পদক্ষেপ হিসেবে কর্মসূচি গ্রহণ করার অনুরোধ জানানো হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া সমাবেশে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বাড়ির চারপাশ পরিচ্ছন্ন রাখার শপথ নেয়।
সড়ক দুর্ঘটনা রোধে হরিপুরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে হরিপুরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা চাঁপাইনবাবগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে হরিপুর ১নং উচ্চ বিদ্যালয় এবং হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় বিআরটিএ চাপাইনবাবগঞ্জ এই কর্মসূচির আয়োজন করে। স্কুলপর্যায়ে ছাত্র-ছাত্রীদের সড়ক ব্যবহার সংক্রান্ত আলোচনা সভায় নিরাপদ সড়কের গুরুত্ব, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে করণীয়, নিরাপদে সড়ক ব্যবহার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক আলোচনা এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে সড়ক সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়। আলোচনা সভায় বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) মো. শাহজামান হক, মোটরযান পরিদর্শক আব্দুল খাবীরু, সহকারী মোটরযান পরিদর্শক আবু হুজাইফাসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ।
৬ দফা দাবিতে স্বাস্থ্যসহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি পালন

৬ দফা দাবিতে স্বাস্থ্যসহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি পালন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রস্তাবিত মাঠপর্যায়ে কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারীদের নিয়োগবিধি সংশোধন পূর্বক স্নাতক বা সমমান সংযুক্ত করে ১৪তম গ্রেড প্রদান ও ইন সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণসহ ৬ দফা দাবিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আজ সিভিল সার্জন অফিসের সামনে বাংলাদেশ হেলথ্ অ্যাসিসট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখা এই কর্মসূচির আয়োজন করে। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় দাবি বাস্তবায়ন সমন্বয় পরিষদ ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বেলা ১১টা পর্যন্ত চলা কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন— বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার সমন্বয়ক মো. আকবর আলী, স্বাস্থ্য সহকারীদের মধ্যে শিবগঞ্জ উপজেলা থেকে রাকিব রায়হান, গোমস্তাপুর উপজেলা থেকে নিয়ামত উল্লাহ, নাচোল উপজেলা থেকে রবিউল ইসলাম ও ভোলাহাট উপজেলা থেকে আহসান হাবীব। এছাড়াও নূরুন নাহার শাপলা, কানিজ ফাতেমা, আবু সায়েমসহ অন্যরা বক্তব্য দেন। স্বাস্থ্য সহকারীরা তাদের বক্তব্যে বলেন, মানবশিশু জন্মের পর থেকে ১০টি মারাত্মক রোগ থেকে সুরক্ষায় প্রতিরোধযোগ্য টিকা হিসেবে তৃণমূল পর্যায়ে আমরা স্বাস্থ্য সহকারীরাই টিকা প্রদান করে থাকি। আমাদের এ টিকা প্রদানের কাজটি সম্পূর্ণ টেকনিক্যাল হলেও আমরা টেকনিক্যাল পদমর্যাদা থেকে বঞ্চিত। তাছাড়া আমরা দীর্ঘদিন থেকে টেকনিক্যাল পদমর্যাদার দাবি করে এলেও সংশ্লিষ্ট বিভাগ বাস্তবায়ন না করায় স্বাস্থ্য সহকারীরা সরকারের অন্যান্য সকল দপ্তরের কর্মচারীদের থেকে পদমর্যাদাসহ চরম বেতন বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। তারা বলেন, আমাদের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেক্টরে সকল আন্তর্জাতিক অর্জন হওয়া সত্ত্বেও বিগত সরকার আমাদের শুধু আশার বাণীই দিয়ে গেছেন। কিন্তু আমাদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। তাই আমাদের নিয়োগবিধি সংশোধন করে শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক (বিজ্ঞান) সংযুক্ত করে ১৪তম গ্রেড প্রদান করতে হবে ও ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে টেকনিক্যাল পদমর্যাদা বেতন স্কেল ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণসহ প্রস্তাবিত ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষে এ কর্মসূচি পালন করছি। বক্তারা আরো বলেন, আমরা এ কমসূচি পালনের পূর্বে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি ও আবেদন জমা দিয়ে আমাদের দাবি ও কর্মসূচি বিষয়ে অবগত করেছি। কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যদি আমাদের দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন না করা হয়, তাহলে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে ইপিআইসহ সকল কার্যক্রম বাস্তবায়ন বন্ধ রাখা হবে। স্বাস্থ্য সহকারীদের প্রস্তাবিত ৬ দফা দাবি হলো— ১. নির্বাহী আদেশে নিয়োগ বিধি সংশোধন, শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক (বিজ্ঞান) সংযুক্ত করে ১৪তম গ্রেড প্রদান। ২. ইন সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে টেকনিক্যাল পদমর্যাদাসহ বেতন স্কেল ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণ। ৩. পদোন্নতির ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড নিশ্চিতকরণ। ৪. পূর্বের নিয়োগবিধি অনুযায়ী নিয়োগ পেলেও কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারী সকল স্বাস্থ্য পরিদর্শক তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে স্নাতক পাস স্কেলে আত্মীকরণ। ৫. বেতন স্কেলে উন্নীতকরণের পূর্বে স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বাস্থ্য পরিদর্শকগণ যত সংখ্যক টাইম স্কেল অথবা উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্ত বা প্রাপ্য হয়েছেন তা পরবর্তী পুনঃনির্ধারিত বেতন স্কেলের সাথে যোগ করতে হবে। ৬. পূর্বে ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমা এসআইটি কোর্স সম্পন্নকারী স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বাস্থ্য পরিদর্শকদেরকে ডিপ্লোমাধারী সম্পন্ন হিসেবে গণ্য করে সরাসরি ১১তম গ্রেড দিতে হবে।
পদ্মা নদী ভাঙনের আতঙ্কে ৫০ হাজার মানুষ

পদ্মা নদী ভাঙনের আতঙ্কে ৫০ হাজার মানুষ ভাঙন শুরুর আগেই পদক্ষেপ নেয়ার দাবি এলাকাবাসীর বর্ষাকালের আগেই এবার গ্রীষ্মের শেষ থেকেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি। গ্রীষ্মের এই বৃষ্টি জোরেশোরে বর্ষাকাল আগমনেরই প্রতিধ্বনি। আর তাই আষাঢ়ের শুরু থেকেই প্রতিদিনই ঝরছে বৃষ্টি। পানিতে ভরে উঠছে ধু ধু পদ্মা নদী। বৃষ্টির সজীবতায় সবুজ প্রকৃতি উজ্জ্বল হলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মায় পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বসতভিটা ভাঙার আতঙ্ক বাড়ছে নদী-তীরবর্তী হাজারো পরিবারের। এখনো ভাঙন শুরু না হলেও হুমকির মুখে রয়েছে কয়েকটি গ্রাম, প্রায় ৫০টি সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ১টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বিজিবি ক্যাম্প, স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র, হাটবাজার, কবরস্থান ও কয়েক হাজার হেক্টর আবাদি জমি। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, এবার বর্ষা মৌসুমে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে। সম্ভাবনা রয়েছে ভারী বৃষ্টিরও। ফলে এবার বন্যা ও নদীর ভাঙনও বেশি হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন নদী তীরবর্তী মানুষ। এরই মধ্যে ভারত থেকে বয়ে আসা গঙ্গা নদীর পানি চাঁপাইনবাবগঞ্জের পদ্মা নদীতে পড়তে শুরু করেছে। পানি যত বাড়বে স্রোতের তীব্রতা ততই বৃদ্ধি পাবে। উল্লেখ্য, সাধারণত শ্রাবণের শেষ থেকে শুরু করে ভাদ্র মাস পর্যন্ত এ অঞ্চলে পদ্মার ভাঙন দেখা যায়। চাঁপাইনবাবগঞ্জের পদ্মা নদীর চরাঞ্চলে ৫০ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস। নদী ভাঙনের সাথে যুদ্ধ করেই এদের বেঁচে থাকতে হয়। এ নির্মম দুর্যোগের সঙ্গে চরাঞ্চলের মানুষের মোকাবিলা চলে আসছে শতাধিক বছর ধরে। আর এই মোকাবিলায় তারা হয়েছে দিশেহারা ও সর্বস্বান্ত। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নারায়ণপুর এবং শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা, দুর্লভপুর ও উজিরপুর ইউনিয়ন নদী ভাঙন কবলিত। এসব এলাকার হাজার হাজার হেক্টর আবাদি জমি ও বসতবাড়ি এর আগে পদ্মা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ অঞ্চলের প্রতিটি পরিবারই কমপক্ষে ১০ বার করে নদী ভাঙনের কবলে পড়েছেন। হাজার হাজার পরিবার অন্যত্র ঠাঁই নিতে বাধ্য হয়েছেন, বলছেন এলাকাবাসী। সরকারি হিসাবে গত এক দশকে ভিটেমাটি হারিয়েছেন প্রায় এক হাজার শ্রমজীবী মানুষ। আর এলাকাবাসীর মতে, এই সংখ্যা অন্তত ৫ হাজার। বিলীন হওয়া আবাদি জমির পরিমাণ প্রায় ২ হাজার হেক্টর। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ টাকার অঙ্কে প্রায় ৪০০ কোটির মতন। তথ্যানুযায়ী, ১৯৯৫ সাল থেকে শুরু করে নদী ভাঙন প্রতিরোধে সরকার বেশ কয়েকবার পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু প্রতিবারই বিপুল পরিমাণ অর্থ ও কর্ম পরিকল্পনা অনেকটায় বিফলে গেছে। চলতি বছরের ৩ এপ্রিল চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা নদী ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. আ. ন. ম. বজলুর রশীদ। ওই সময় তিনি জানিয়েছিলেন, ভারত থেকে বয়ে আসা পদ্মা নদীর ভাটিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রায় ২৫ কিলোমিটার নদী ভাঙন কবলিত এলাকা রক্ষায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বসতবাড়ি ও ফসলী জমি স্থায়ীভাবে নদী ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা পাবে। শিবগঞ্জের দুর্লভপুর ইউনিয়নের যে স্থানে ভারতের গঙ্গা নদী পদ্মা নাম ধারণ করেছে, সেই স্থান থেকে ফারাক্কা বাঁধের দূরত্ব মাত্র ১৮ কিলোমিটার। ভারী বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নেমে এলেই ফারাক্কা বাঁধের সব গেট খুলে দেয়া হয়। চরাঞ্চলবাসী বলছেন, এর ফলে পদ্মা আরো বেশি রাক্ষসী ও খরস্রোতা হয়ে উঠে। তখনই শুরু হয় তীব্র নদী ভাঙন। সেসময় বালিভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে লাভ হয় না। ফেলার সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো স্রোতের তোড়ে তলিয়ে যায়। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী বলছেন, কয়েকবার ভরা বর্ষায় নদী ভাঙনকালীন অস্থায়ী জিও ব্যাগ, জিও টিউব ফেলা হয়েছে। এতে এলাকাবাসীর কোনো উপকারই হয়নি। গমেরচর গ্রামের ল্যাচন আরা বেগম (৪০) বলেন, কয়েক বছর আগে ভাঙনে সবকিছু হারিয়ে উজিরপুর ছেড়ে পাঁকা চরে আশ্রয় নিয়েছি। এখানে এসেও দুইবার ঘরবাড়ি ভেঙেছে। নদী থেকে আমাদের গ্রাম এখন মাত্র ১০০ গজের মতো দূরত্ব। যে কোনো সময় নদীতে ভেসে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন তিনি। নদীর ভাঙন ঠেকানোর জন্য বাঁধ দেখার সৌভাগ্য হবে কি— এই প্রশ্ন ল্যাচন আরার। নদী ভাঙনের হুমকির মুখে থাকা দিনমজুর শহিদুল ইসলাম (৩০) মা, স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে কোনোরকম জীবিকা নির্বাহ করেন। অন্যের ভিটেমাটির এক কোণে আশ্রয় নিয়ে ঘর বেঁধে বাস করেন। গতবছর থেকেই নদী ভাঙনের আশঙ্কায় দিন পার করছেন। শহিদুল ইসলাম বলেন, দুই বছর থেকেই আতঙ্কে আছি। ঝড়-বৃষ্টি হলেই ছুটে যাই নদী ধারে। আর আমাদের বাঁচার জন্য আল্লাহকে ডাকি। তিনি আরো বলেন, বাড়ির সামনে বিশাল ঈদগাহ ছিল, সেটি গত দুই বছরে নদীতে ভেঙে গেছে। অনেক দিন ধরেই শুনে আসছি, সরকার বাঁধ করে ভাঙন বন্ধ করবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। তার কথা, সরকার এত কিছু করে, কিন্তু তাদের দুর্দশার কথা কি জানতে পারে না। পাঁকা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান বলেন, জীবদ্দশায় বহুবার নদী ভাঙনের কবলে পড়েছি। বর্তমানেও বসতবাড়ি নিয়ে আমরা গ্রামবাসী হুমকির মুখে আছি। চেয়ারম্যান থাকাকালে এবং এর পরেও ১৯৯৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত বহুবার ভাঙন প্রতিরোধে বাঁধ নির্মাণের জন্য সরকারের কাছে লিখিত আবেদন জানানো হয়েছিল বলে জানান তিনি। আতাউর রহমান বলেন, গতবছরও একাধিকবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডে সশরীরে গিয়ে অনুরোধ করেছি। উনারা সরেজমিন অনেকবার এলাকা পরিদর্শন করেছেন, সরকারও কয়েকবার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কিন্তু সঠিক পরিকল্পনার অভাবে কোনো কর্মসূচি কাজে লাগেনি। তিনি বলেন, ধাপে ধাপে সরকারের যে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ হয়েছে, তাতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা সম্ভব ছিল। তিনি আরো বলেন, গতবছর থেকেই শুনছি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প হাতে নিচ্ছে সরকার। তবে এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেই। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, পদ্মা নদীর ভাঙন প্রতিরোধে বাঁধ নির্মাণের প্রকল্পটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সেটি এখনো একনেকে পাস হয়নি। সকল প্রক্রিয়া শেষ হয়ে সরেজমিনে কাজ শুরু হতে পারে আগামী বছর। প্রসঙ্গত, পদ্মা নদীর বামতীর স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে। তবে কিছু অংশ এখনো বাঁধ নির্মাণ করা হয়নি। অন্যদিকে ডান তীরের মানুষ এখন পর্যন্ত রয়েছে ভাঙন আতঙ্কে।