সদর উপজেলার পলশায় কৃষক মাঠ দিবস

সদর উপজেলার পলশায় কৃষক মাঠ দিবস চাঁপাইনবাবগঞ্জে উচ্চ ফলনশীল জাতের সরিষা চাষ প্রদর্শনীর কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার জেলার সদর উপজেলার পলশায় প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির রুরাল মাইক্রোএন্টারপ্রাইজ ট্রান্সফরমেশন প্রজেক্ট (আরএমটিপি) প্রকল্পের আওতায় এই মাঠ দিবস উদ্যাপন করা হয়। মাঠ দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন- সদর উপজেলা কৃষি অফিসার সুনাইন বিন জামান। সভাপতিত্ব করেন প্রয়াসের কনিষ্ঠ সহকারী পরিচারক ও আরএমটিপি প্রকল্পের ফোকাল পার্সন ফারুক আহমেদ। এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আনিসুল হক মাহমুদ, প্রয়াসের কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, আরএমটিপি প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক সাজেদুর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন স্মার্ট প্রকল্পের টেকনিক্যাল অফিসার রিফাত আমিন হিরা। এসময় আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক ইমরান আলী, ইউনিট-১’র ব্যবস্থাপক ওজিউর রহমান, স্মার্ট প্রকল্পের পরিবেশ কর্মকর্তা ইকবাল মাহমুদ, প্রয়াসের অফিসার শাহরিয়ার শিমুল, সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান ও সিফাত উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)’র সরিষার নিরাপদ ভোজ্য তেল উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের আয় বৃদ্ধি শীর্ষক ভ্যালু চেইন উপ-প্রকল্পের আওতায় প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটি এই মাঠ দিবসের আয়োজন করে।

বারঘরিয়ায় গ্রামআদালত বিষয়ক মতবিনিময় সভা

বারঘরিয়ায় গ্রামআদালত বিষয়ক মতবিনিময় সভা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ৪নং বারঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদে গ্রামআদালত বিষয়ক কমিউনিটি মতবিনিময় সভা ও ভিডিও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ গ্রামআদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় রবিবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. হাসান হাফিজুর রহমান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হারুন-অর-রশিদ। সভা পরিচালনা ও ভিডিও প্রদর্শন করেন ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালত সমন্বয়কারী মো. নুরুজ্জামান। প্রধান অতিথি মো. হারুন-অর-রশিদ বলেন, “গ্রাম আদালত সাধারণ মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার অন্যতম মাধ্যম। স্থানীয় পর্যায়ে বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে জনগণকে হয়রানি ও সময়ের অপচয় থেকে রক্ষা করা আমাদের লক্ষ্য। গ্রাম আদালতকে আরো কার্যকর ও জনবান্ধব করতে হলে জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। আজকের সভার মাধ্যমে আমরা সেই সচেতনতা তৈরির চেষ্টা করছি।” অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বারঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের পেশকার মো. আল আমীন, ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, তাসিকুল ইসলাম, আব্দুল মালেক, আফজাল হোসেন, সবুজ মিঞা, সেমাজুল ইসলাম, সুলেখা বেগম ও নাসরিন বেগম পপি। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সমাজসেবক, এনজিও প্রতিনিধি, গৃহিণী, কৃষক, সর্বস্তরের জনগণ ও গ্রামপুলিশের সদস্যরা সভায় অংশ নেন। অনুষ্ঠানে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম সম্পর্কে স্থানীয় জনগণকে সচেতন করা, আইনগত জ্ঞান বৃদ্ধি এবং স্থানীয় পর্যায়ে বিরোধ নিষ্পত্তির গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। অংশগ্রহণকারীরা গ্রাম আদালতের কার্যকারিতা নিয়ে মতবিনিময় করেন এবং এই কার্যক্রম আরো গতিশীল ও জনবান্ধব করার আহ্বান জানান বক্তারা।

মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকল্পে চাঁপাইনবাবগঞ্জে মতবিনিময়

মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকল্পে চাঁপাইনবাবগঞ্জে মতবিনিময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নতুন একটি বাংলাদেশ হয়েছে। এখানে কোনো বৈষম্য থাকবে না। সামাজিক বৈষম্য কমাতে চায়লে আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে প্রাথমিকের শিশুদের শিক্ষিত করে তোলা। তিনি বলেন, এখানে সবচেয়ে বেশি শোনা গেছে বৈষম্যহীনতার কথা। প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষাব্যবস্থা খুব একটা ভালো না। বিত্তশালীদের সন্তানরা ভালো স্কুলে চলে যায়। প্রাথমিকে শুধু মধ্যবিত্ত-নিম্ন মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তানরা যায়। আমাদের মূল টার্গেট হলো- শিশুদের সাক্ষর করে তোলা। যেন তারা নিজের ভাষাটা লিখতে পারে, নিজের ভাষায় পড়তে পারে ও মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে। এতে করে সমাজের মধ্যবিত্ত-নিম্ন মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তানরা সক্ষম হয়ে উঠবে এবং সামাজিক বৈষম্য কমবে। রবিবার বেলা ১১টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকল্পে জেলা প্রশাসন ও প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। উপদেষ্টা বলেন- অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি গণিত ও বিজ্ঞান, এই দুটি বিষয়ে শিশুদের তৈরি করতে হবে। একটি হলো লিটারেসি, আরেকটি হলো নিউমারেসি বা গাণিতিক ভাষা। শিশুরা যেন পড়তে পারে, শিখতে পারে আর গাণিতিক বিষয়টি জানতে পারে, সংখ্যা কী? অঙ্ক কী? যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ করতে পারে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, শিশুর পরিপূর্ণ বিকাশে খেলা, সংগীত, চিত্রকলা চর্চা ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। শিশুদের মধ্যে অন্যের প্রতি দায় ও দায়িত্ববোধ তৈরি করতে পারলে তাদের পরিপূর্ণ বিকাশ সাধন হবে। শিক্ষকদের আরো বেশি দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য লাইব্রেরি গড়ে তোলা দরকার বলেও মন্তব্য করেন উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। জেলা প্রশাসন ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডের দাবি ও আন্দোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা একটি সুচিন্তিত মতামত দেয়ার জন্য পরামর্শক কমিটি তৈরি করেছিলাম। সেই কমিটিতে দেশের বরেণ্য শিক্ষাবিদ এবং প্রাথমিক শিক্ষার সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের যুক্ত করা হয়েছিল। তারা দীর্ঘ তিন মাস বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন গ্রুপের দাবির বিষয়গুলো শুনেছেন। এরপর তারা আমাদের সুনির্দিষ্ট মতামত দিয়েছেন। তারা পরামর্শ দিয়েছেন, প্রাথমিকে শিক্ষকরা ঢুকবেন ১৩তম বা ১২তম গ্রেডে, এরপর প্রশিক্ষণ নিবেন এবং তাদের চাকরি স্থায়ী হবে ২ বছরে। সবমিলিয়ে ৪ বছর পর তাদের পদোন্নতি হবে। পদোন্নতি পেয়ে জ্যেষ্ঠ বা সিনিয়র শিক্ষক হবেন, এটি ১১ গ্রেড হবে। উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার আরো বলেন, যখন ১১তম গ্রেড হবে তাদের মধ্যে কেউ কেউ সহকারী প্রধান শিক্ষক হবেন এবং তখন তারা আলাদা বাড়তি একটা ভাতা পাবেন। এখন যারা প্রধান শিক্ষক হন, তাদের মধ্যে ৬৫ শতাংশ পদোন্নতি ও ৩৫ শতাংশ সরাসরি নিয়োগ হন। তারা এই পদ্ধতিকে বাতিল করে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ ১০০ ভাগ পদোন্নতির মাধ্যমে করার সুপারিশ করেছে পরামর্শক কমিটি। তবে সেক্ষেত্রে কিছু নিয়ম থাকবে, প্রধান শিক্ষক হতে ন্যূনতম কী যোগ্যতা প্রয়োজন। সহকারী প্রধান শিক্ষক বা সিনিয়র শিক্ষকদের যে কেউ প্রধান শিক্ষক হতে পারবেন। তখন তাদের গ্রেড হবে ১০ম। আবার প্রধান শিক্ষকদেরও পদোন্নতির ব্যবস্থা থাকবে। তারা এটিও হতে পারবেন। উপদেষ্টা বলেন- পরামর্শক কমিটির এসব প্রস্তাবকে আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে। এমনকি শিক্ষকদেরও বেশিরভাগই এটিকে গ্রহণ করেছেন। এটি বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করব। আদিবাসী শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে উপদেষ্টা বলেন, আদিবাসী শিক্ষার্থীদের জন্য বই ছাপিয়েও শিক্ষক সংকট থাকায় পাঠদান করা যাচ্ছে না। এতে অর্থের অপচয় হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন- সমস্যা সমাধানে ডিজিটাল ক্লাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যারা এসব ভাষা জানেন, তাদের দিয়ে সুন্দর সুন্দর লেকচার তৈরি করছি। যা দেখে শিক্ষার্থীরা শিখতে পারবে এবং শিক্ষকরাও দেখে দেখে শিক্ষার্থীদের সাহায্য করতে পারবেন। এটি হলে কিছুটা সমস্যার সমাধান হবে এবং বইগুলো বেকার পড়ে থাকবে না। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, আমাদের একটি বড় সমস্যা হচ্ছে- নির্দিষ্ট ভাষার শিক্ষক নিয়োগ করা। আমাদের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার যে কাঠামো রয়েছে, তাতে আমরা দেখি ওই ভাষার শিক্ষক পরীক্ষায় টিকলেন না। তিনি বলেন- পার্বত্য চট্টগ্রামে নিয়োগ প্রক্রিয়া তাদের নিজস্ব। ফলে কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা আছে। শিক্ষকেরও সংকট আছে, খুঁজে পাওয়াও কঠিন। তাই আশু সমাধানের জন্যই ডিজিটাল ক্লাসের ব্যবস্থা করছি। চরাঞ্চলের শিক্ষার বিষয়ে তিনি বলেন- বিষয়টি আমাদের গোচরে আছে, আমরা চেষ্টা করছি সমস্যা সমাধানের। সভায় উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. নাকিব হাসান তরফদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. জেছের আলীসহ প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের জেলা-উপজেলা কার্যালয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা। পরে উপদেষ্টা চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্মার্ট প্রকল্পের স্টাফ ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্মার্ট প্রকল্পের স্টাফ ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির স্মার্ট প্রকল্পের স্টাফদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংস্থাটির সাসটেইনেবল মাইক্রোএন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড রেজিলিয়েন্ট ট্রান্সফরমেশন (স্মার্ট) প্রকল্পের আওতায় এই ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার সকালে জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ওরিয়েন্টেশনে বক্তব্য দেন- প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক হাসিব হোসেন। এ সময় হাসিব হোসেন বলেন, আজকের এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে স্মার্ট প্রকল্পের যে ধারণা, উদ্দেশ্য এবং প্রকল্প বাস্তবায়নের যে কৌশল, সেগুলো সম্পর্কে জানতে পারলাম। এই প্রকল্পের সফলতা নির্ভর করছে আপনাদের ওপর। আমার বিশ্বাস, আপনারা এই সফলতা অর্জন করতে পারবেন। কারণ, আপনি নিজেকে, দেশকে ও পরিবারকে ভালোবাসেন। এজনই আপনার সফলতা অর্জিত হবে। তিনি আরো বলেন, আপনারা সবাই কাজ করছেন, মানে কষ্ট করছেন। কিন্তু দক্ষতার বিচারে আমরা কাকে প্রথম করব। আমরা কাউকেই ছোট করতে চাই না। ধারাবাহিকতার মাধ্যমে আপনারা উপরের দিকে ওঠে আসবেন। হাসিব হোসেন বলেন- প্রথমে আমাদের নিজেকে ভালোবাসতে হবে। আমরা এখন কর্মের মধ্যে ঢুকে গেছি, এখানে অবহেলা করার সুযোগ নেই নিজেকে ভালো না বাসার। নিজেকে ভালোবাসতে শিখুন, দেশকে ভালোবাসতে শিখুন, পরিবারকে ভালোবাসতে শিখুন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- প্রয়াসের পরিচালক পঙ্কজ কুমার সরকার, সহকারী পরিচালক জুলফিকার আলী ও মু. তাকিউর রহমান, কনিষ্ঠ সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক রবিউল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রয়াসের কনিষ্ঠ সহকারী পরিচালক ও স্মার্ট প্রকল্পের ফোকাল পার্সন ফারুক আহমেদ। স্মার্ট প্রকল্পের কার্যক্রম সম্পর্কে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বিস্তারিত তুলে ধরেন স্মার্ট প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক কৃষিবিদ জাহাঙ্গীর আলম। এসময় উপস্থিত ছিলেন- প্রয়াসের কনিষ্ঠ সহকারী পরিচালক শাহাদাৎ হোসেন, স্মার্ট প্রকল্পের টেকনিক্যাল অফিসার রিফাত আমিন হিরা, পরিবেশ কর্মকর্তা ইকবাল মাহমুদ, এমআইএস ও ডকুমেন্টেশন অফিসার মোমেনা ফেরদৌস, প্রয়াসের অফিসার শাহরিয়ার শিমুলসহ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, শিবগঞ্জ, নাচোল, গোমস্তাপুর এবং রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও পবার আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক এবং ইউনিট ব্যবস্থাপকগণ। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)’র সহযোগিতায় এই ওরিয়েন্টেশনের আয়োজন করে প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটি। উল্লেখ্য, স্মার্ট প্রকল্প নিয়ে প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর, শিবগঞ্জ, নাচোল ও গোমস্তাপুর উপজেলায় এবং রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও পবা উপজেলায় কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এই প্রকল্পের মেয়াদকাল ৪ বছর। এর মাধ্যমে লক্ষিত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ১ হাজার ৫০০ জনকে ঋণ প্রদান ও অনুদান এবং প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রিসোর্স ইফিশিয়েন্ট অ্যান্ড ক্লিনার প্রোডাকশন (আরইসিপি) চর্চার মাধ্যমে আম উৎপাদনকারী, আমচাষি, আম ব্যবসায়ী, আম প্রক্রিয়াজাতকারী (আমসত্ব, আচার, ম্যাংগোবার, ম্যাংগোজুস, ম্যাংগো পাউডার), আমবাজারতাকারী (দেশ ও বিদেশ), আম উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণে সরঞ্জাম বা মেশিনারিজ যানবাহন, নার্সারি, জৈব সার উৎপাদন ও বাজারজাতকারী অর্থাৎ আমের সাথে সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তাগণ এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত হবেন।

গোমস্তাপুরে বিশ্ব চিন্তা দিবস পালিত

গোমস্তাপুরে বিশ্ব চিন্তা দিবস পালিত গোমস্তাপুরে বিশ্ব চিন্তা দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে কেক কাটা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। বিশ্ব গার্ল গাইডস্ ও গার্ল স্কাউটস সংস্থার প্রতিষ্ঠা লর্ড বেডেন পাওয়েল এবং বিশ্ব চীফ গাইড লেডী ওলেভ বেডেন পাওয়েল দম্পতির জন্মদিন উপলক্ষে এই দিবসটি পালন করা হচ্ছে। আজ সকালে রহনপুর মহিলা কলেজ মিলনায়তনে বাংলাদেশ গার্ল গাইডস্ অ্যাসোসিয়েশন গোমস্তাপুর উপজেলা শাখা আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজ অধ্যক্ষ আজিজুর রহমান। অনুষ্ঠানের শুরুতে কেক কেটে উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত আনজুম অনন্যা। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মাধ্যমিক অফিসের একাডেমী সুপারভাইজার আসমা খাতুন, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আতিকুল ইসলাম আজমসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও গার্ল গাইডস্ অ্যাসোসিয়েশন সদস্যরা।

গোমস্তাপুরে পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

গোমস্তাপুরে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা গোমস্তাপুর উপজেলার আলিনগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায়,কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা, নবীনবরণ এবং সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার হাসানুজ্জামান রিপনকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। আজ সকালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত আনজুম অনন্যার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আলাউদ্দিন। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার (জেলা জজ) হাসানুজ্জামান রিপন। অন্য অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য দেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমীক সুপারভাইজার আসমা খাতুন উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আতিকুল ইসলাম আজম, ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক খাইরুল ইসলাম, অভিভাবক রুহুল আমিন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য দেন ছাত্রি খাতিজা খাতুন, মাহমুদা খাতুন, আনিকা রহমান, বিদায়ী শিক্ষার্থী তাননিম খাতুন, প্রাক্তন ছাত্রী জয়নব খাতুন। আলোচনা শেষে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা, ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ, রেজিস্ট্রার (জেলা জজ) হাসানুজ্জামান রিপনকে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়েছে। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।  

গোমস্তাপুরে তারণ্য ও প্রাইমারী ফুটবল ক্যাম্পের সমাপনী

গোমস্তাপুরে তারণ্য ও প্রাইমারী ফুটবল ক্যাম্পের সমাপনী গোমস্তাপুর ২১ দিন ব্যাপী তারুণ্য ও প্রাইমারি ফুটবল ক্যাম্প শেষ হয়েছে। আজ বিকেলে রহনপুর ইউসুফ আলী সরকারী কলেজ মাঠে এই সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও রহনপুর ফুটবলদলের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত সমাপনী ফুটবল খেলায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কমকর্তা রাইসুল ইসলাম, উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আসাহাবুর রহমান, বাফুফের কোচ আব্দুর রাজ্জাক, কোচ মিনার, ফুটবল ক্যাম্পর পরিচালক ইফতিখার মাসরুর শুভ, ক্যাম্প সহযোগী পরিচালক আজিজুল রহমান আজু ও শামসুদ্দিন। উল্লেখ্য ৬০ মেধাবী ফুটবলার ও ৩০ জন আবাসিক ক্যাম্প খেলোয়াড় এ ক্যাম্পে প্রশিক্ষণে অংশ নেন।  

জেলায় মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন যথাযথ মর্যাদায় ও ভাবগার্ম্ভীর্যের সাথে এবং বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে একুশের প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১ মিনিটে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজে অবস্থিত কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে জেলা ও সদর উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে ভাষা শহিদদের সম্মান ও স্মৃতির উদ্দেশ্যে পূস্পস্তবক অর্পন করেন জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ। এরপর পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে পূষ্পস্তবক অর্পণ করেন পুলিশ সুপার রেজউল করিম। এরপর বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ সহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক,সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধি ও নেতৃবন্দ এবং সকল স্তরের ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। আজ সকালে বিভিন্ন ভবনে অর্ধনমিত জাতীয় পতাকা ও কালো পতাকা উত্তোলণ করা হয়। ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারী, আমি কি ভুলিতে পারি’-অমর এই গান গাইতে গাইতে খালি পায়ে প্রভাত ফেরী করে শহিদ মিনারে ফুল দেয় বিভিন্ন সংগঠন। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে শিশুদের চিত্রাংকন,আবৃত্তি, সঙ্গীত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। বিকেলে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে পুরাতন ষ্টেডিয়ামে শহিদ দিবসের তাৎপর্য, মহান মুক্তিযুদ্ধে ভাষা আন্দোলনের চেতনার ভূমিকা তুলে ধরে আলোচনা সভা,পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে,  শিবগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন হয়েছে। এ উপলক্ষে একুশের প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১ মিনিটে উপজেলা পরিষদ চত্বরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। প্রথম প্রহরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বীরমুক্তিযোদ্ধা, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা,  বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। ভাষা শহীদের সম্মান জানাতে এ সময় তারা কিছু সময় নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। ভাষা শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া মোনাজাত করা হয়। এছাড়া সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি-বেসরকারিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অর্ধনমিত জাতীয় পতাকা ও ভাষা শহীদের প্রতীক শোক পতাকা উত্তোলন করা হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণকালে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজহার আলী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তৌফিক আজিজ, শিবগঞ্জ থানার ওসি গোলাম কিবরিয়া, এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ, বীরমুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নান, সমাজসেবা কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম, সমাজসেবা কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার দাস, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা শাহিন আকতার, ও ভেটেরিনারি সার্জন আবু ফেরদৌসসহ অন্যরা। অন্যদিকে শিবগঞ্জ পৌরসভা, কানসাট, চককীর্তি, ছত্রাজিতপুর, দূর্লভপুর, মনাকষা, বিনোদপুর, শ্যামপুর, পাঁকা ও দাইপুখুরিয়াসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা পৃথক পৃথকভাবে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা মিলনায়তনে আলোচনা সভা, বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। এ সময় উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে, গোমস্তাপুরে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দিবসটি পালন করে। উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক গৃহীত কর্মসূচীর মধ্যে ছিল ২১শের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, শিশু-কিশোরদের কবিতা আবৃত্তি, উপস্থিত বক্তৃতা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, ভাষা শহীদদের স্মরণে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা এবং আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। ২১শের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন , উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত আনজুম অনন্যা সহ বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, স্থানীয় প্রেসক্লাব, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। আজ সকালে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত আনজুম অনন্যা। বক্তব্য দেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার ইছাহাক আলী, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মুসাহাক আলি, গোমস্তাপুর সোলেমান মিয়া ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রাকিব, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আতিকুল ইসলাম আজম। পরে আলোচনা শেষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া দেন অতিথিরা। এছাড়া,নাচোলে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যথাযোগ্য মর্যদায় উদযাপিত হয়েছে। ২১ফেব্রুয়ারীর প্রথম প্রহরে রাত ১২.১ মিনিটে শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নীলুফারসহ সকল দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ। পরে সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান শহীদ বেদীতে পুস্পস্থাবক অর্পন করেন। সকালে প্রভাত ফেরীর মাধ্যমে নাচোল উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শহীদ বেদীতে পুষ্পস্থাবক অর্পন করে ১৯৫২ সালের ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বেলা ১০টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে পুরস্কার বিতরণ ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নীলুফা সরকারের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুলতানা রাজিয়া, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দুলাল উদ্দিন খাঁন। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার মৃনাল কান্তি সরকার, উপজেলা প্রকৌশলী শাহিনুল ইসলাম, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আলমগীর, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক হাবিবুর রহমানসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আগত শিক্ষকমন্ডলী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ। আলোচনা শেষে বিভিন্ন প্রতিযোগীতার বিজয়ীদের মাঝে সনদপত্র ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। একুশে ফেব্রুয়ারি, মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। দেশের সর্বত্রই আজ সীমিতভাবে প্রভাতফেরি করে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে শহীদদের স্মৃতির প্রতি। এদিকে, আজ সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির পক্ষ থেকে প্রভাত ফেরি, পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের আয়োজন করা হয়। জেলা শহরের বেলেপুকুর থেকে প্রভাত ফেরি শুরু হয়ে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্প অর্পণ করে ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। প্রভাতফেরিতে অংশ নেন, প্রয়াসের কণিষ্ঠ সহকারি পরিচালক (প্রশিক্ষণ) আব্দুস সালাম, রেডিও মহানন্দার সহকারি ষ্টেশন ম্যানেজার রেজাউল করিম, স্মার্ট প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক কৃষিবিদ জাহাঙ্গীর আলম, স্মার্ট প্রকল্পের টেকনিক্যাল অফিসার রিফাত আমিন হিরাসহ প্রয়াসের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।

শিবগঞ্জে ভটভটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে নিহত ১

শিবগঞ্জে ভটভটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে নিহত ১ শিবগঞ্জে গরুভর্তি ভটভটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে হাবিবুল ইসলাম নামে একজন নিহত হয়েছেন। এঘটনায় আহত হয়েছেন আরো দুজন। নিহত ব্যক্তি উপজেলার দাইপুখুরিয়া ইউনিয়নের ধুমপাড়া গ্রামের বেলাল উদ্দিনের ছেলে। আজ বিকালে উপজেলার মোবারকপুর ইউনিয়নের উত্তর ফতেপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। শিবগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকালে গরুভর্তি একটি ভটভটি দাইপুখুরিয়া থেকে কানসাট বাজার আসছিল। এসময় উত্তর ফতেপুর এলাকায় পৌঁছালে ভটভটিটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নির্মাণাধীন সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান হাবিবুল ইসলাম। আহত হন দুজন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। শিবগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান জানান, খবর পেয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শহীদ দিবস উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা

শহীদ দিবস উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা রাজশাহীর গোদাগাড়ীর বাবুডাইং আলোর পাঠশালায় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রতিবছরের মতো এবারো বাঁশ-কঞ্চি ও মাটি দিয়ে শহীদ মিনার তৈরি, বেদী ও বিদ্যালয়ের মাটির ভবনের দেয়ালে আল্পনা আঁকা হয়েছে। আল্পনা এঁকেছেন বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। আজ শিক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজন করা হয় চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার। প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের চিত্রাঙ্কনের বিষয় ছিল ইচ্ছেমত, তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বিষয়- জাতীয় পতাকা এবং চতুর্থ-পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বিষয় ছিল শহীদ মিনার। অন্যদিকে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ও এসএসসি পরীক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজন করা হয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সম্পর্কে রচনা প্রতিযোগিতার। বিজয়ীদের আজ শুক্রবার আয়োজিত অনুষ্ঠানে পুরস্কার দেয়া হবে।