গোবরাতলার আমারকে শসা চাষ বিষয়ক মাঠ দিবস

গোবরাতলার আমারকে শসা চাষ বিষয়ক মাঠ দিবস চাঁপাইনবাবগঞ্জে মালচিং পেপার ব্যবহার করে শসা চাষ বিষয়ক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। সদর উপজেলার গোবরাতলার আমারকে প্রয়াসের কৃষি ইউনিটের (কৃষি খাত) আওতায় এই মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি ছিলেন- বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট চাঁপাইনবাবগঞ্জ উপকেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আজাদুল হক। এসময় তিনি বলেন, ফসলের ক্ষেতে আর্দ্রতা সংরক্ষণে মালচিং বিশেষভাবে উপকারী। এ প্রযুক্তি ব্যবহারে ফসলে পানি সূর্যের তাপ ও বাতাসে দ্রুত উড়ে যায় না। ফলে জমিতে রসের ঘাটতি হয় না এবং সেচ লাগে অনেক কম। মালচিং ব্যবহার করলে জমিতে প্রায় ১০ থেকে ২৫ ভাগ আর্দ্রতা সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়। তিনি আরো বলেন, এ পদ্ধতি ব্যবহার করে নিরাপদ উপায়ে সবজি চাষ করা যায়। খরচ কম লাগে এবং জমিতে আগাছা কম জন্মে। মালচিং পদার্থের পুরুত্ব বেশি হলে তা গাছপালার অনাকাক্সিক্ষত মূল গজাতে সহায়তা করবে। এমনকি সঠিক মালচিং প্রয়োগে বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড়ের আক্রমণও রোধ করা যায়। এই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আরো বলেন, শীতকালে মালচিং ব্যবহার করলে মাটিতে প্রয়োজনীয় তাপমাত্রা ধরে রাখা সম্ভব হয় এবং গরমকালে মাটি ঠাণ্ডা থাকে, এমনকি বেশ কিছু পোকামাকড়ের আক্রমণও রোধ করা যায়। সবচেয়ে বড় কথা, মালচিং প্রযুক্তি ব্যবহার করলে পানি লাগে অনেক কম। সেচ খরচ বাঁচে, লাভ হয় বেশি। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) কৃষি ইউনিটের (কৃষি খাত) সহযোগিতায় এর আয়োজন করেছে প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটি। মাঠ দিবসে অন্যানোর মধ্যে বক্তব্য দেন- প্রয়াসের স্মার্ট প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক কৃষিবিদ জাহাঙ্গীর আলম, কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, স্মার্ট প্রকল্পের টেকনিক্যাল অফিসার রিফাত আমিন হিরা। এসময় অন্যানোর মধ্যে প্রয়াসের আরএমটিপি প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক সাজেদুর রহমান, অফিসার শাহরিয়ার শিমুল, সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান ও সিফাত উল্লাহসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটির মিডিয়া পার্টনার ছিল দৈনিক গৌড় বাংলা ও রেডিও মহানন্দা ৯৮.৮ এফএম।

গোমস্তাপুরের রাধানগরে  গ্রাম আদালত বিষয়ক মতবিনিময় সভা

গোমস্তাপুরের রাধানগরে  গ্রাম আদালত বিষয়ক মতবিনিময় সভা গোমস্তাপুরের রাধানগর ইউনিয়নে গ্রাম আদালত বিষয়ক কমিউনিটি মতবিনিময় সভা ও ভিডিও প্রদর্শন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকালে রাধানগর ইউনিয়ন পরিষদ সভা কক্ষে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন ও ইউএনডিপির যৌথ অর্থায়নে এবং স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে এই কমিউনিটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় রাধানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে গ্রাম আদালত প্রকল্পের অগ্রগতি বিষয় তুলে ধরে বক্তব্য দেন উপজেলা সমন্বয়কারী সেলিম উদ্দীন। অন্য অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য দেন, ওই ইউনিয়নের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সচিব) আব্দুল রাকিব ও উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আতিকুল ইসলাম আজম। এসময় গ্রাম আদালত প্রকল্পের জেলা সমন্বয়কারী হাফিজ আল আসাদ উপস্থিত ছিলেন। সভায় ইউপি সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশাজীবি এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা অংশ নেন। সভায় বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকার জনগণ বিশেষত নারী, জাতিগত সংখ্যালঘু এবং সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর ন্যায়বিচারের সুযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সভায় প্রকল্পের সামগ্রিক উদ্দেশ্য, গ্রাম আদালতে আবেদনপত্র দাখিলের পদ্ধতি, মামলার ফিস, সমন প্রদান পদ্ধতি, গ্রাম আদালত গঠন, এখতিয়ার, বিচারিক প্রক্রিয়ায়, নিষ্পত্তির সময়সীমা, ক্ষতিপূরণ আদায়সহ আইনের বিভিন্ন ধারা ও বিধি নিয়ে আলোচনা করা হয়। আলোচনা শেষে গ্রাম আদালতের উপর একটি নাটক প্রদর্শনী করা হয়। আলোচনা শেষে গ্রাম আদালত বিষয়ে অংশ গ্রহণকারীর মতামত ও সুপারিশ নেয়া হয়।  

সদর উপজেলার বালুগ্রামে বাজার সংযোগ সভা

  সদর উপজেলার বালুগ্রামে বাজার সংযোগ সভা চাঁপাইনবাবগঞ্জে উদ্যোক্তাদের তৈরিকৃত স্বাস্থ্যসম্মত সরিষার তেল বিক্রয় প্রসারে বাজার সংযোগ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সদর উপজেলার বালুগ্রামে প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির রুরাল মাইক্রোএন্টারপ্রাইজ ট্রান্সফরমেশন প্রজেক্ট (আরএমটিপি) প্রকল্পের আওতায় বাজার সংযোগ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় বক্তব্য দেন দেন- প্রয়াসের স্মার্ট প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক কৃষিবিদ জাহাঙ্গীর আলম, কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, আরএমটিপি প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক সাজেদুর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন স্মার্ট প্রকল্পের টেকনিক্যাল অফিসার রিফাত আমিন হিরা। এসময় তিনি বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩ জন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা পিকেএসএফ ও প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির সহযোগিতায় কোল্ড ওয়েল প্রেস মেশিনের মাধ্যমে সরিষার তেল উৎপাদন করে বিক্রি করছেন। তাদের ব্র্যান্ডিং তেলগুলো হচ্ছে- ‘মোস্তাফিজুর সরিষার তেল’, ‘গৌড় সরিষার তেল’ ও ‘কৃষক সরিষার তেল’। এসময় স্মার্ট প্রকল্পের পরিবেশ কর্মকর্তা ইকবাল মাহমুদ, প্রয়াসের অফিসার শাহরিয়ার শিমুল, সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান ও সিফাত উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)’র সরিষার নিরাপদ ভোজ্য তেল উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের আয় বৃদ্ধি শীর্ষক ভ্যালু চেইন উপ-প্রকল্পের আওতায় বাজার সংযোগ সভার আয়োজন করে প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটি।

রাধাকান্ত পুর ফাজিল মাদ্রাসায় বিদায়বরণ অনুষ্ঠিত

রাধাকান্ত পুর ফাজিল মাদ্রাসায় বিদায়বরণ অনুষ্ঠিত শিবগঞ্জে রাধাকান্তপুর ফাজিল মাদ্রাসায় দাখিল, আলিম ও ফাযিল পরীক্ষার্থীদের বিদায় এবং আলিম প্রথম বর্ষ ও ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের বরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকালে রাধাকান্তপুর ফাজিল মাদ্রাসা চত্বরে অনুষ্ঠিত সভায় অধ্যক্ষ হাসান আলীর সভাপতিত্বে এবং বাংলা প্রভাষক নুরতাজ আলম এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মাদ্রাসার সভাপতি ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব ইকতেখারুল ইসলাম। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ নূরুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক সামশুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক সামিউল ইসলাম, আনারূল ইসলাম, স্থানীয় ইউপি ওয়ার্ড সদস্য একরামুল হক, অভিভাবক এবং ছাত্র ছাত্রীবৃন্দ।

সদর উপজেলার পলশায় কৃষক মাঠ দিবস

সদর উপজেলার পলশায় কৃষক মাঠ দিবস চাঁপাইনবাবগঞ্জে উচ্চ ফলনশীল জাতের সরিষা চাষ প্রদর্শনীর কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার জেলার সদর উপজেলার পলশায় প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির রুরাল মাইক্রোএন্টারপ্রাইজ ট্রান্সফরমেশন প্রজেক্ট (আরএমটিপি) প্রকল্পের আওতায় এই মাঠ দিবস উদ্যাপন করা হয়। মাঠ দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন- সদর উপজেলা কৃষি অফিসার সুনাইন বিন জামান। সভাপতিত্ব করেন প্রয়াসের কনিষ্ঠ সহকারী পরিচারক ও আরএমটিপি প্রকল্পের ফোকাল পার্সন ফারুক আহমেদ। এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আনিসুল হক মাহমুদ, প্রয়াসের কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, আরএমটিপি প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক সাজেদুর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন স্মার্ট প্রকল্পের টেকনিক্যাল অফিসার রিফাত আমিন হিরা। এসময় আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক ইমরান আলী, ইউনিট-১’র ব্যবস্থাপক ওজিউর রহমান, স্মার্ট প্রকল্পের পরিবেশ কর্মকর্তা ইকবাল মাহমুদ, প্রয়াসের অফিসার শাহরিয়ার শিমুল, সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান ও সিফাত উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)’র সরিষার নিরাপদ ভোজ্য তেল উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের আয় বৃদ্ধি শীর্ষক ভ্যালু চেইন উপ-প্রকল্পের আওতায় প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটি এই মাঠ দিবসের আয়োজন করে।

বারঘরিয়ায় গ্রামআদালত বিষয়ক মতবিনিময় সভা

বারঘরিয়ায় গ্রামআদালত বিষয়ক মতবিনিময় সভা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ৪নং বারঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদে গ্রামআদালত বিষয়ক কমিউনিটি মতবিনিময় সভা ও ভিডিও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ গ্রামআদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় রবিবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. হাসান হাফিজুর রহমান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হারুন-অর-রশিদ। সভা পরিচালনা ও ভিডিও প্রদর্শন করেন ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালত সমন্বয়কারী মো. নুরুজ্জামান। প্রধান অতিথি মো. হারুন-অর-রশিদ বলেন, “গ্রাম আদালত সাধারণ মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার অন্যতম মাধ্যম। স্থানীয় পর্যায়ে বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে জনগণকে হয়রানি ও সময়ের অপচয় থেকে রক্ষা করা আমাদের লক্ষ্য। গ্রাম আদালতকে আরো কার্যকর ও জনবান্ধব করতে হলে জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। আজকের সভার মাধ্যমে আমরা সেই সচেতনতা তৈরির চেষ্টা করছি।” অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বারঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের পেশকার মো. আল আমীন, ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, তাসিকুল ইসলাম, আব্দুল মালেক, আফজাল হোসেন, সবুজ মিঞা, সেমাজুল ইসলাম, সুলেখা বেগম ও নাসরিন বেগম পপি। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সমাজসেবক, এনজিও প্রতিনিধি, গৃহিণী, কৃষক, সর্বস্তরের জনগণ ও গ্রামপুলিশের সদস্যরা সভায় অংশ নেন। অনুষ্ঠানে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম সম্পর্কে স্থানীয় জনগণকে সচেতন করা, আইনগত জ্ঞান বৃদ্ধি এবং স্থানীয় পর্যায়ে বিরোধ নিষ্পত্তির গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। অংশগ্রহণকারীরা গ্রাম আদালতের কার্যকারিতা নিয়ে মতবিনিময় করেন এবং এই কার্যক্রম আরো গতিশীল ও জনবান্ধব করার আহ্বান জানান বক্তারা।

মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকল্পে চাঁপাইনবাবগঞ্জে মতবিনিময়

মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকল্পে চাঁপাইনবাবগঞ্জে মতবিনিময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নতুন একটি বাংলাদেশ হয়েছে। এখানে কোনো বৈষম্য থাকবে না। সামাজিক বৈষম্য কমাতে চায়লে আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে প্রাথমিকের শিশুদের শিক্ষিত করে তোলা। তিনি বলেন, এখানে সবচেয়ে বেশি শোনা গেছে বৈষম্যহীনতার কথা। প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষাব্যবস্থা খুব একটা ভালো না। বিত্তশালীদের সন্তানরা ভালো স্কুলে চলে যায়। প্রাথমিকে শুধু মধ্যবিত্ত-নিম্ন মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তানরা যায়। আমাদের মূল টার্গেট হলো- শিশুদের সাক্ষর করে তোলা। যেন তারা নিজের ভাষাটা লিখতে পারে, নিজের ভাষায় পড়তে পারে ও মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে। এতে করে সমাজের মধ্যবিত্ত-নিম্ন মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তানরা সক্ষম হয়ে উঠবে এবং সামাজিক বৈষম্য কমবে। রবিবার বেলা ১১টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকল্পে জেলা প্রশাসন ও প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। উপদেষ্টা বলেন- অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি গণিত ও বিজ্ঞান, এই দুটি বিষয়ে শিশুদের তৈরি করতে হবে। একটি হলো লিটারেসি, আরেকটি হলো নিউমারেসি বা গাণিতিক ভাষা। শিশুরা যেন পড়তে পারে, শিখতে পারে আর গাণিতিক বিষয়টি জানতে পারে, সংখ্যা কী? অঙ্ক কী? যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ করতে পারে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, শিশুর পরিপূর্ণ বিকাশে খেলা, সংগীত, চিত্রকলা চর্চা ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। শিশুদের মধ্যে অন্যের প্রতি দায় ও দায়িত্ববোধ তৈরি করতে পারলে তাদের পরিপূর্ণ বিকাশ সাধন হবে। শিক্ষকদের আরো বেশি দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য লাইব্রেরি গড়ে তোলা দরকার বলেও মন্তব্য করেন উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। জেলা প্রশাসন ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডের দাবি ও আন্দোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা একটি সুচিন্তিত মতামত দেয়ার জন্য পরামর্শক কমিটি তৈরি করেছিলাম। সেই কমিটিতে দেশের বরেণ্য শিক্ষাবিদ এবং প্রাথমিক শিক্ষার সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের যুক্ত করা হয়েছিল। তারা দীর্ঘ তিন মাস বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন গ্রুপের দাবির বিষয়গুলো শুনেছেন। এরপর তারা আমাদের সুনির্দিষ্ট মতামত দিয়েছেন। তারা পরামর্শ দিয়েছেন, প্রাথমিকে শিক্ষকরা ঢুকবেন ১৩তম বা ১২তম গ্রেডে, এরপর প্রশিক্ষণ নিবেন এবং তাদের চাকরি স্থায়ী হবে ২ বছরে। সবমিলিয়ে ৪ বছর পর তাদের পদোন্নতি হবে। পদোন্নতি পেয়ে জ্যেষ্ঠ বা সিনিয়র শিক্ষক হবেন, এটি ১১ গ্রেড হবে। উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার আরো বলেন, যখন ১১তম গ্রেড হবে তাদের মধ্যে কেউ কেউ সহকারী প্রধান শিক্ষক হবেন এবং তখন তারা আলাদা বাড়তি একটা ভাতা পাবেন। এখন যারা প্রধান শিক্ষক হন, তাদের মধ্যে ৬৫ শতাংশ পদোন্নতি ও ৩৫ শতাংশ সরাসরি নিয়োগ হন। তারা এই পদ্ধতিকে বাতিল করে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ ১০০ ভাগ পদোন্নতির মাধ্যমে করার সুপারিশ করেছে পরামর্শক কমিটি। তবে সেক্ষেত্রে কিছু নিয়ম থাকবে, প্রধান শিক্ষক হতে ন্যূনতম কী যোগ্যতা প্রয়োজন। সহকারী প্রধান শিক্ষক বা সিনিয়র শিক্ষকদের যে কেউ প্রধান শিক্ষক হতে পারবেন। তখন তাদের গ্রেড হবে ১০ম। আবার প্রধান শিক্ষকদেরও পদোন্নতির ব্যবস্থা থাকবে। তারা এটিও হতে পারবেন। উপদেষ্টা বলেন- পরামর্শক কমিটির এসব প্রস্তাবকে আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে। এমনকি শিক্ষকদেরও বেশিরভাগই এটিকে গ্রহণ করেছেন। এটি বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করব। আদিবাসী শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে উপদেষ্টা বলেন, আদিবাসী শিক্ষার্থীদের জন্য বই ছাপিয়েও শিক্ষক সংকট থাকায় পাঠদান করা যাচ্ছে না। এতে অর্থের অপচয় হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন- সমস্যা সমাধানে ডিজিটাল ক্লাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যারা এসব ভাষা জানেন, তাদের দিয়ে সুন্দর সুন্দর লেকচার তৈরি করছি। যা দেখে শিক্ষার্থীরা শিখতে পারবে এবং শিক্ষকরাও দেখে দেখে শিক্ষার্থীদের সাহায্য করতে পারবেন। এটি হলে কিছুটা সমস্যার সমাধান হবে এবং বইগুলো বেকার পড়ে থাকবে না। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, আমাদের একটি বড় সমস্যা হচ্ছে- নির্দিষ্ট ভাষার শিক্ষক নিয়োগ করা। আমাদের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার যে কাঠামো রয়েছে, তাতে আমরা দেখি ওই ভাষার শিক্ষক পরীক্ষায় টিকলেন না। তিনি বলেন- পার্বত্য চট্টগ্রামে নিয়োগ প্রক্রিয়া তাদের নিজস্ব। ফলে কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা আছে। শিক্ষকেরও সংকট আছে, খুঁজে পাওয়াও কঠিন। তাই আশু সমাধানের জন্যই ডিজিটাল ক্লাসের ব্যবস্থা করছি। চরাঞ্চলের শিক্ষার বিষয়ে তিনি বলেন- বিষয়টি আমাদের গোচরে আছে, আমরা চেষ্টা করছি সমস্যা সমাধানের। সভায় উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. নাকিব হাসান তরফদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. জেছের আলীসহ প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের জেলা-উপজেলা কার্যালয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা। পরে উপদেষ্টা চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্মার্ট প্রকল্পের স্টাফ ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্মার্ট প্রকল্পের স্টাফ ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির স্মার্ট প্রকল্পের স্টাফদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংস্থাটির সাসটেইনেবল মাইক্রোএন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড রেজিলিয়েন্ট ট্রান্সফরমেশন (স্মার্ট) প্রকল্পের আওতায় এই ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার সকালে জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ওরিয়েন্টেশনে বক্তব্য দেন- প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক হাসিব হোসেন। এ সময় হাসিব হোসেন বলেন, আজকের এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে স্মার্ট প্রকল্পের যে ধারণা, উদ্দেশ্য এবং প্রকল্প বাস্তবায়নের যে কৌশল, সেগুলো সম্পর্কে জানতে পারলাম। এই প্রকল্পের সফলতা নির্ভর করছে আপনাদের ওপর। আমার বিশ্বাস, আপনারা এই সফলতা অর্জন করতে পারবেন। কারণ, আপনি নিজেকে, দেশকে ও পরিবারকে ভালোবাসেন। এজনই আপনার সফলতা অর্জিত হবে। তিনি আরো বলেন, আপনারা সবাই কাজ করছেন, মানে কষ্ট করছেন। কিন্তু দক্ষতার বিচারে আমরা কাকে প্রথম করব। আমরা কাউকেই ছোট করতে চাই না। ধারাবাহিকতার মাধ্যমে আপনারা উপরের দিকে ওঠে আসবেন। হাসিব হোসেন বলেন- প্রথমে আমাদের নিজেকে ভালোবাসতে হবে। আমরা এখন কর্মের মধ্যে ঢুকে গেছি, এখানে অবহেলা করার সুযোগ নেই নিজেকে ভালো না বাসার। নিজেকে ভালোবাসতে শিখুন, দেশকে ভালোবাসতে শিখুন, পরিবারকে ভালোবাসতে শিখুন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- প্রয়াসের পরিচালক পঙ্কজ কুমার সরকার, সহকারী পরিচালক জুলফিকার আলী ও মু. তাকিউর রহমান, কনিষ্ঠ সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক রবিউল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রয়াসের কনিষ্ঠ সহকারী পরিচালক ও স্মার্ট প্রকল্পের ফোকাল পার্সন ফারুক আহমেদ। স্মার্ট প্রকল্পের কার্যক্রম সম্পর্কে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বিস্তারিত তুলে ধরেন স্মার্ট প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক কৃষিবিদ জাহাঙ্গীর আলম। এসময় উপস্থিত ছিলেন- প্রয়াসের কনিষ্ঠ সহকারী পরিচালক শাহাদাৎ হোসেন, স্মার্ট প্রকল্পের টেকনিক্যাল অফিসার রিফাত আমিন হিরা, পরিবেশ কর্মকর্তা ইকবাল মাহমুদ, এমআইএস ও ডকুমেন্টেশন অফিসার মোমেনা ফেরদৌস, প্রয়াসের অফিসার শাহরিয়ার শিমুলসহ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, শিবগঞ্জ, নাচোল, গোমস্তাপুর এবং রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও পবার আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক এবং ইউনিট ব্যবস্থাপকগণ। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)’র সহযোগিতায় এই ওরিয়েন্টেশনের আয়োজন করে প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটি। উল্লেখ্য, স্মার্ট প্রকল্প নিয়ে প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর, শিবগঞ্জ, নাচোল ও গোমস্তাপুর উপজেলায় এবং রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও পবা উপজেলায় কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এই প্রকল্পের মেয়াদকাল ৪ বছর। এর মাধ্যমে লক্ষিত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ১ হাজার ৫০০ জনকে ঋণ প্রদান ও অনুদান এবং প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রিসোর্স ইফিশিয়েন্ট অ্যান্ড ক্লিনার প্রোডাকশন (আরইসিপি) চর্চার মাধ্যমে আম উৎপাদনকারী, আমচাষি, আম ব্যবসায়ী, আম প্রক্রিয়াজাতকারী (আমসত্ব, আচার, ম্যাংগোবার, ম্যাংগোজুস, ম্যাংগো পাউডার), আমবাজারতাকারী (দেশ ও বিদেশ), আম উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণে সরঞ্জাম বা মেশিনারিজ যানবাহন, নার্সারি, জৈব সার উৎপাদন ও বাজারজাতকারী অর্থাৎ আমের সাথে সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তাগণ এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত হবেন।

গোমস্তাপুরে বিশ্ব চিন্তা দিবস পালিত

গোমস্তাপুরে বিশ্ব চিন্তা দিবস পালিত গোমস্তাপুরে বিশ্ব চিন্তা দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে কেক কাটা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। বিশ্ব গার্ল গাইডস্ ও গার্ল স্কাউটস সংস্থার প্রতিষ্ঠা লর্ড বেডেন পাওয়েল এবং বিশ্ব চীফ গাইড লেডী ওলেভ বেডেন পাওয়েল দম্পতির জন্মদিন উপলক্ষে এই দিবসটি পালন করা হচ্ছে। আজ সকালে রহনপুর মহিলা কলেজ মিলনায়তনে বাংলাদেশ গার্ল গাইডস্ অ্যাসোসিয়েশন গোমস্তাপুর উপজেলা শাখা আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজ অধ্যক্ষ আজিজুর রহমান। অনুষ্ঠানের শুরুতে কেক কেটে উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত আনজুম অনন্যা। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মাধ্যমিক অফিসের একাডেমী সুপারভাইজার আসমা খাতুন, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আতিকুল ইসলাম আজমসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও গার্ল গাইডস্ অ্যাসোসিয়েশন সদস্যরা।

গোমস্তাপুরে পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

গোমস্তাপুরে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা গোমস্তাপুর উপজেলার আলিনগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায়,কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা, নবীনবরণ এবং সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার হাসানুজ্জামান রিপনকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। আজ সকালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত আনজুম অনন্যার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আলাউদ্দিন। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার (জেলা জজ) হাসানুজ্জামান রিপন। অন্য অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য দেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমীক সুপারভাইজার আসমা খাতুন উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আতিকুল ইসলাম আজম, ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক খাইরুল ইসলাম, অভিভাবক রুহুল আমিন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য দেন ছাত্রি খাতিজা খাতুন, মাহমুদা খাতুন, আনিকা রহমান, বিদায়ী শিক্ষার্থী তাননিম খাতুন, প্রাক্তন ছাত্রী জয়নব খাতুন। আলোচনা শেষে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা, ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ, রেজিস্ট্রার (জেলা জজ) হাসানুজ্জামান রিপনকে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়েছে। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।