চাঁপাইনবাবগঞ্জে আরো ৮ জনের ডেঙ্গু সনাক্ত 

চাঁপাইনবাবগঞ্জে আরো ৮ জনের ডেঙ্গু সনাক্ত  চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের আন্তঃবিভাগে ১ জন ও বহির্বিভাগে ৩ জন এবং শিবগঞ্জে ৩ জন ও নাচোলে ১ জন শনাক্ত হয়েছেন। বর্তমানে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৭ জন। তাদের মধ্যে ২ জন পুরুষ, ৪ জন মহিলা ও ১ জন শিশু রোগী রয়েছেন। অন্যদিকে জেলা হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ২ জনকে। দুজনই পুরুষ রোগী ছিলেন। অন্যদিকে শিবগঞ্জে ভর্তি আছেন ৩ জন পুরুষ রোগী। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন অফিসের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বুধবার এই তথ্য জানানো হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা হচ্ছে ১ হাজার ৭৭৫ জন। একই সময়ে বহির্বিভাগে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হচ্ছে ১ হাজার ২৪৩ জন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১ দিনে আরো ৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১ দিনে আরো ৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের আন্তঃবিভাগে ৩ জন ও বহির্বিভাগে ৬ জন শনাক্ত হয়েছেন। বর্তমানে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৮ জন। তাদের মধ্যে ৩ জন পুরুষ, ৪ জন মহিলা ও ১ জন শিশু রোগী রয়েছেন। অন্যদিকে জেলা হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ২ জনকে। তাদের মধ্যে ১ জন পুরুষ ও ১ জন মহিলা রয়েছেন। অন্যদিকে গোমস্তাপুর ভর্তি আছেন ১ জন পুরুষ রোগী ভর্তি আছেন। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন অফিসের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিদিনের প্রতিবেদনে আজ এই তথ্য জানানো হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা হচ্ছে ১ হাজার ৭৮৪ জন। একই সময়ে বহির্বিভাগে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হচ্ছে ১ হাজার ২৪০ জন।

পদ্মা মহানন্দায় চলছে তীব্র ভাঙন; বাখর আলীতে উড়ে গেছে বাঁধ

পদ্মা মহানন্দায় চলছে তীব্র ভাঙন; বাখর আলীতে উড়ে গেছে বাঁধ চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা ও মহানন্দা নদীর তীব্র ভাঙনে বলিীন হচ্ছে সবকছিু। বাখরে আলীতে বামতীর সংরক্ষণ বাঁধ নদীর্গভে চলে গেছে। জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজলোর হড়মা, পোল্লাডাঙ্গা, বাখরে আলী ও নারায়ণপুর এবং শবিগঞ্জ উপজলোর রঘুনাথপুর, গাইপাড়া, আইয়ুব বশ্বিাসরে ঘাট এলাকা পদ্মা নদীর তীব্র ভাঙনরে কবলে পড়ছে।ে পোল্লাডাঙ্গা ও রঘুনাথপুরে ভাঙন রোধে বালুর্ভতি জওি ব্যাগ দয়িওে কাজ হচ্ছে না। একদকিে জওি ব্যাগ দয়িে ভাঙন আটকানোর চষ্টো করা হচ্ছ, অন্যদকিে পরদনিই বালুর্ভতি ব্যাগ ভাঙনরে কবলে পড়ে বলিীন হয়ে যাচ্ছ। এখানে এরই মধ্যে প্রায় ৯০ মটিারজুড়ে বাঁধ ভেঙ গেছে। এদকিে বাখরে আলীতে পদ্মা নদীর বামতীর সংরক্ষণ প্রকল্পরে আওতায় সসিি ব্লক দয়িে নর্মিতি বাঁধ তীব্র ভাঙনে বলিীন হয়ে যাচ্ছ। ফলে নতুন এলাকা গ্রাস করছে র্সবগ্রাসী পদ্মা। পানি উন্নয়ন র্বোড সূত্র জানয়িছে, পদ্মা নদীর বামতীর ও ডানতীর মলিে অন্তত ১০ কলিোমটিারজুড়ে ভাঙন চলছে। অন্যদকিে সদর উপজলোর হড়মা ও গোমস্তাপুর উপজলোর ব্রজনাথ এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন র্বোডরে উপবভিাগীয় প্রকৌশলী রাকবিুল ইসলাম ভাঙনরে এই তথ্য নশ্চিতি করছেনে। এদকিে সদর উপজলো প্রকল্প বাস্তবায়ন র্কমর্কতা শাহীনুর আলম জানান, এবার পদ্মা নদীর ভাঙনে সদর উপজলোর নারায়ণপুর ইউনয়িনে প্রায় ১৬০টি পরবিার ক্ষতগ্রিস্ত হয়ছে। তারা তাদরে ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে। শিবগঞ্জ উপজলো প্রকল্প বাস্তবায়ন র্কমর্কতা মজিানুর রহমান জানান, পদ্মা নদীর ভাঙনে কবলে পড়ে ২৪০টি পরবিার তাদরে ঘরবাড়ি অন্যত্র সরয়িে নয়িছে। এছাড়া ৪টি পরবিাররে ঘরবাড়ি নদীতে বলিীন হয়ে  গেছে।  খােঁজ নয়িে জানা গেছে, ভাঙনকবলতি এলাকাগুলোর ঘরবাড়ি ছাড়াও ফসলি জমি,  আমগাছসহ অন্যান্য গাছপালা, মসজদি, ইউনয়িন পরষিদ কমপ্লক্সে নদীতে বলিীন হয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন র্বোডরে উপবভিাগীয় প্রকৌশলী রাকবিুল ইসলাম বলনে— ভাঙন ঠকোনোর জন্য কছিু কছিু জায়গায় বালুর্ভতি জওি ব্যাগ ফলো হচ্ছ। কিন্তু কাজ হচ্ছে না। আজ ফলেছি তো কালকইে ভঙেে যাচ্ছ। তবওে আপ্রাণ চষ্টো করা হচ্ছ।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মাসব্যাপী মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মাসব্যাপী মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু চলতি বছর শুধু চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে এ পর্যন্ত ৩ সহস্রাধিক ডেঙ্গুরোগি ভর্তি ও শনাক্তের বাস্তবতায় মশক নিধন ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতায় মাসব্যাপী বিশেষ কার্যক্রম শুরু করেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা। আজ সকালে পৌর কর্মচারী সংসদের আয়োজনে পৌর ভবন প্রাঙ্গণ থেকে এ উপলক্ষে একটি সচেতনতামূলক র‌্যালী বের করা করা হয়। শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে র‌্যালীটি পূনরায় পৌর ভবনে ফিরে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। যুব রেডক্রিসেন্ট, স্কাউটস, পৌর কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা র‌্যালীতে মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা সরঞ্জাম নিয়ে অংশ নেন। র‌্যালী থেকে লিফলেট বিতরণ ও মাইকিং করে পৌরবাসীকে মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতায় অংশ নিয়ে সহায়তা করার আহ্বান জানানো হয়। র‌্যালী শেষে পৌর কর্মচারী সংসদ সভাপতি এনামুল হকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ খানের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ, পৌর নির্বাহী প্রকৌশলী তৌফিকুল ইসলামসহ অন্যরা। বক্তারা বলেন, সাধারণ জনগন সচেতন হয়ে সহযোগিতা না করলে মশক নিধণ বা পরিচ্ছন্নতা রক্ষা কোনটাই সম্ভব নয়। নিয়মিত কার্যক্রমের বাইরে সেপ্টেম্বর মাসের প্রতি মঙ্গলবার র‌্যালী করে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সচেতনতামেূলক কার্যক্রম চালানো হবে বলেও জানান তাঁরা। এদিকে জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর আজ পর্যন্ত শুধু জেলা হাসপাতালেই ১ হাজার ৭৮৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন। বর্হি:বিভাগে শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ২৪০ জন। এ পরিসংখ্যানের বাইরে জেলার আরও ৪টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে বহু রোগি ভর্তি ও শনাক্ত হয়েছেন। অনেকে ব্যাক্তিগতভাবে ও চিকিৎসকের প্রাইভেট চেম্বারে শনাক্ত হয়ে বাড়িতে চিকিৎসা নিয়েছেন। অনেকে রাজশাহী ও ঢাকায় উন্নত চিকিৎসা নিয়েছেন। মৃত্যুরও বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। ডেঙ্গু বিপর্যস্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রতিদিন রোগি বাড়তে থাকা এ রোগ নিয়ে এখন আতংকিত মানুষ।

প্রয়াস ফোক থিয়েটার ইনস্টিটিউট ১৮ পেরিয়ে উনিশে পদার্পণ

প্রয়াস ফোক থিয়েটার ইনস্টিটিউট ১৮ পেরিয়ে উনিশে পদার্পণ শাহরিয়ার শিমুল চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে একটি পরিচিত নাম ‘প্রয়াস ফোক থিয়েটার ইনস্টিটিউট’ (পিএফটিআই)। গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে সংগঠনটি আজ ১ সেপ্টেম্বর সোমবার সফলতার ১৯ বছরে পদার্পণ করল। এই দীর্ঘ পথপরিক্রমায় আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা লোকজ সংস্কৃতিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভাষায় গোটা দেশবাসীর কাছে তুলে ধরতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে প্রয়াস ফোক থিয়েটার ইনস্টিটিউট। স্বীকৃতিস্বরূপ নিজেদের মেলে ধরার সুযোগ পেয়েছে প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশ টেলিভিশন, চ্যানেল আই, আমেরিকান দ্রুতাবাস, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ও ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে। দেশের অন্যান্য জেলা শহরেও পারফর্ম করে চলেছে পিএফটিআই। ২০০৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর পথচলা শুরু প্রয়াস ফোক থিয়েটার ইনস্টিটিউটের। এটি গঠনে উদ্যোগী হন চাঁপাইনবাবগঞ্জের উন্নয়ন সংস্থা প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক হাসিব হোসেন। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় গড়ে ওঠা সংগঠনটি আজ অত্যন্ত সফলতা এবং সুনামের সঙ্গে দেশের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে কাজ করে চলেছে। বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর সংমিশ্রণে গড়ে উঠেছে বলেই বাংলার জনমানুষের আকার, অবয়ব, চেহারায় এত বৈচিত্র্য। তেমনি নানা ভাষাজাতির আগমনে সংস্কৃতিতেও বৈচিত্র্য দেখা যায়। তবে পল্লী ও কৃষিপ্রধান এই বাংলাদেশে গ্রামীণ জীবনের সংস্কৃতির প্রভাবই বেশি। আবার নদীর খেয়ালি আচরণ আর প্রকৃতির ঋতুবৈচিত্র্য বাঙালিমানসকে বিচিত্রভাবে সমৃদ্ধ করেছে। আর তাই বাঙালির সংস্কৃতি বুঝতে এই বৈচিত্র্যময় পটভূমি খেয়ালে রাখতে হয়। লোকসংস্কৃতি লোকসম্প্রদায়ের ধর্মীয় ও সামাজিক বিশ্বাস ও আচার-আচরণ, জীবনযাপন প্রণালী, চিত্তবিনোদনের উপায় প্রভৃতির ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা সংস্কৃতি। এটা সম্পূর্ণই তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি। দীর্ঘকাল ধরে গড়ে ওঠা এই সংস্কৃতি তাদের প্রকৃত পরিচয় বহন করে। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির মাধ্যমে আনন্দময় পরিবেশে লোকশিক্ষা প্রদান করার লক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জের উন্নয়ন সংস্থা প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির উদ্যোগে গড়ে ওঠে ‘প্রয়াস ফোক থিয়েটার ইনস্টিটিউট (পিএফটিআই)’। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই লোকজ সংস্কৃতির ঐতিহ্য ধারণ, সংরক্ষণ, উন্নয়ন, গবেষণা ও এর বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার লক্ষে কাজ শুরু করে সংগঠনটি। চাঁপাইনবাবগঞ্জের লোকজ সংস্কৃতি দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে দিতেও কাজ করেছে প্রয়াস ফোক থিয়েটার ইনস্টিটিউট। প্রত্যেক বাঙালির শিরা-উপশিরায় তার নিজস্ব সংস্কৃতির ধারা প্রবাহিত। কাজেই যে কোনো তথ্য জনগণের অন্তরে গেঁথে দিয়ে তার যথাযথ প্রতিফলন ঘটানোর জন্য এই আঙ্গিকগুলো অধিক কার্যকরী। প্রাচীন বাংলার উল্লেখযোগ্য জনপদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নিজস্ব সম্পদ গম্ভীরা। গম্ভীরার মূল উদ্দেশ্যই থাকে সমাজের নানা অসঙ্গতি হাস্যরসাত্মকভাবে তুলে ধরা। এতে মুখ্য চরিত্রে থাকেন একজন নানা ও একজন নাতি। সঙ্গে কয়েকজন বাদ্যযন্ত্র বাদক ও দোহারী। গম্ভীরায় নানা-নাতি দুজনেই পাড়াগাঁয়ের অতি সহজ-সরল মানুষের ভূমিকায় বিভিন্ন তথ্য আঞ্চলিক ভাষায় অভিনয়, নৃত্য ও গানের সুরে সুরে দর্শকদের মাঝে উপস্থাপন করে থাকেন। যাতে করে সাধারণ মানুষ বিনোদনের মাধ্যমে নানা-নাতির পরিবেশিত তথ্যগুলো খুব সহজেই হৃদয়ঙ্গম করতে পারেন। তবে গম্ভীরার এই নানা-নাতির পোশাক, কথা বলার ঢং সবকিছুর মধ্যেই ফুটে ওঠে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গ্রামের সহজ সরল কৃষকের ছবি। গম্ভীরার প্রধান চরিত্র নানার পরনে থাকে ছেঁড়া লুঙ্গি, স্যান্ডো গেঞ্জি, মুখে পাকা দাড়ি, মাথায় মাথল, হাতে লাঠি। নাতির পরনে থাকে হাফ প্যান্ট বা লুঙ্গি, ছেঁড়া গেঞ্জি, কোমরে গামছা, কখনো গামছার আঁচলে বাঁধা থাকে ছাতু ও কালাইয়ের রুটি। গম্ভীরার আরেকটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখযোগ্য। আর তাহলো তাৎক্ষণিক বিভিন্ন তথ্য এতে সন্নিবেশ করা। অর্থাৎ গম্ভীরা দল যে কর্মসূচিতে যোগ দিতে যায়, তখন সে কর্মসূচির উদ্দেশ্যের আলোকেই গম্ভীরা সাজিয়ে থাকেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ঐতিহ্যবাহী লোকজ সংস্কৃতি এই গম্ভীরায় প্রয়াস ফোক থিয়েটার ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে। সাধারণত প্রচলিত ধারার গম্ভীরায় নানা ও নাতির মধ্যে শুধু গান ও আলাপচারিতা লক্ষ্য করা যায়। ফলে অনেক ক্ষেত্রে এর মূল বিষয়বস্তুর ওপর ভিত্তি করে ছোট-বড় অনেক তথ্যই দর্শক-শ্রোতার কাছে বোধগম্য হয় না। সেই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে গম্ভীরার পূর্বনির্ধারিত বিষয়বস্তুর তথ্যগুলো আরো সহজতরভাবে দর্শক-শ্রোতাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য কয়েকটি নাট্যাংশ তৈরি করে পিএফটিআই। যাকে তারা বলছে ‘গম্ভীরা নাট্য’। এক্ষেত্রে গম্ভীরার প্রতিটি কথাই হয় তথ্যনির্ভর। গম্ভীরা ও গম্ভীরা নাট্যের পাশাপাশি বাংলার প্রায় হারিয়ে যাওয়া দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির একটি মাধ্যম পটগান নিয়ে কাজ করছে পিএফটিআই। দর্শকদের মাঝে তথ্য পৌঁছে দেবার জন্য সাংস্কৃতিক অঙ্গনে এটি একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। পটগান এমনই এক মাধ্যম, যা দ্বারা সব ধরনের দর্শকদের কাছে তথ্য পৌঁছে দেয়া সম্ভব হয়। কারণ পটগানে ছবিও প্রদর্শিত হয় এবং সেই ছবির বর্ণনা নৃত্য ও গানের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়। এতে করে ছবি দেখেই কাঙ্ক্ষিত তথ্য পেয়ে যান কোনো কোনো দর্শক। আবার কিছু কিছু দর্শক আছে, যারা গান শুনেই নির্ধারিত বিষয়টি বুঝতে সক্ষম হন। আবার একইসাথে ছবি ও গান শুনে বিষয়টি বুঝতে সহজ হয় কোনো কোনো দর্শকের। এভাবে দর্শক গ্রহণযোগ্যতার দিক থেকে পটগানও বিনোদনের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম হিসেবে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে পরিচিতি লাভ করেছে। প্রয়াস ফোক থিয়েটার ইনস্টিটিউটের গম্ভীরা, পটগান ছাড়াও অন্য আঙ্গিকগুলো হচ্ছে— আলকাপ গান, কবিগান, কিচ্ছা কাহিনী, লাঠিখেলা, সত্য পীরের গান, মনসার গান, মেয়েলী গীত এবং দেশের অন্যান্য অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী লোকজ সংস্কৃতি। এই আঙ্গিকগুলোর মধ্যে থেকে পিএফটিআই কয়েকটি নিয়ে পরীক্ষামূলক নাট্য নির্মাণ করেছে এবং ভবিষ্যতে পূর্ণাঙ্গ কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। যার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় গড়ে উঠেছে প্রয়াস ফোক থিয়েটার ইনস্টিটিউট, তিনি হলেন প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক হাসিব হোসেন। সংস্কৃতি অনুরাগী এই মানুষটি বলা যায়, ‘অক্সিজেন’ দিয়ে প্রয়াস ফোক থিয়েটার ইনস্টিটিউটকে ১৮ বছর ধরে টেনে নিয়ে চলছেন। কেননা বর্তমান আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে নিয়মিত সাংস্কৃতিক চর্চা চালিয়ে যাওয়া একটা খরুচে বিষয়। সেটাকে মেনে নিয়েই ফোক থিয়েটারকে সামনে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন তিনি।

শিবগঞ্জে মাদকবিরোধী অভিযানে দুজনকে কারাদন্ড, উদ্ধার চোলাইমদ

শিবগঞ্জে মাদকবিরোধী অভিযানে দুজনকে কারাদন্ড, উদ্ধার চোলাইমদ শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ও কানসাটের মিলিক বাজার এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ মোতাবেক দুজনকে যথাক্রমে ২ মাসের ও ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদ- ও অর্থদ- প্রদান করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেন শিবগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌফিক আজিজ। অভিযানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সদস্যরা সহযোগিতা করেন। অভিযান চলাকালে দেশী চোলাইমদ তৈরির কাঁচামালসহ চোলাইমদ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়েরের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মাদকের কালো থাবা থেকে যুবসমাজকে রক্ষা করতে শিবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন বদ্ধপরিকর বলে তৌফিক আজিজ জানিয়েছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৬

চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৬ চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ১৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের আন্তঃবিভাগে ৬ জন ও বহির্বিভাগে ৬ জন এবং শিবগঞ্জে ৩ জন ও গোমস্তাপুরে ১ জন শনাক্ত হয়েছেন। বর্তমানে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৬ জন। তাদের মধ্যে ৩ জন পুরুষ ও ৩ জন নারী রোগী রয়েছেন। এছাড়া জেলা হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ৬ জনকে। তাদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ ও ২ জন নারী রয়েছেন। অন্যদিকে গোমস্তাপুর ভর্তি আছেন ১ জন এবং শিবগঞ্জ থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ৩ জনকে। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন অফিসের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিদিনের প্রতিবেদনে আজ এই তথ্য জানানো হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা হচ্ছে ১ হাজার ৭৭৬ জন। একই সময়ে বহির্বিভাগে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হচ্ছে ১ হাজার ২৩৪ জন।

মালয়েশিয়ায় সড়ক দূর্ঘটনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২ শ্রমিকের মৃত্যু

মালয়েশিয়ায় সড়ক দূর্ঘটনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২ শ্রমিকের মৃত্যু গোমস্তাপুর উপজেলার মালয়েশিয়া প্রবাসী ২ যুবক সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- গোমস্তাপুর সদর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের গোপালনগর গ্রামের শুকুরুদ্দীন কালুর ছেলে তুহিন ও একই ওয়ার্ডের নসিবন্দিনগর গ্রামের কাবিলের ছেলে শামীম রেজা। নিহতদের পরিবার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তাঁরা প্রায় আড়াই বছর যাবৎ মালয়েশিয়ায় পাম বাগানের শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। নিহত তুহিনের মামা শফিকুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটার দিকে পাহাড়ী এলাকায় পিকআপ জাতীয় গাড়ীতে থাকা গোমস্তাপুরের ৫ জন পামবাগানে কাজ শেষে আবাসস্থলে আসার পথে একটি মোটরসাইকেলকে বাঁচাতে গিয়ে দূর্ঘটনার শিকার হন। এ সময় গাড়ী উল্টে দু’জন নিহত হন। ঘটনার পর ওই গাড়ী থেকে লাফ দিয়ে রক্ষা পান গাড়ীতে থাকা অপর তিন বাংলাদেশী। ঘটনার পর মালয়েশিয়ায় থাকা এলাকার ও বাংলাদেশের অন্য শ্রমিকরা বিকেল ৫টার দিকে নিহতদের বাড়িতে ফোন করে খবর দেন। জানাগেছে, মালয়েশিয়ায় রবিবার ছুটি থাকলেও তাঁরা ওভারটাইম করছিলেন। বর্তমানে মরদেহ মালয়েশিয়ান পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। এবিষয়ে গোমস্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি ওয়াদুদ আলম জানান, গতকাল দুপুরে মালয়েশিয়ায় গোমস্তাপুরের দুই বাসিন্দা সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হবার খবর তাঁরা জানতে পেরেছেন।

নাচোলে ট্রেনের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু

নাচোলে ট্রেনের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু নাচোল উপজেলায় ট্রেনের ধাক্কায় তাসলিমা খাতুন নামে ২ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সে নাচোলের কসবা ইউনিয়নের যাদুপুর গ্রামের মতিউর রহমানের মেয়ে। পুলিশ, রেলওয়ে ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ৯টার দিকে বাড়ি সংলগ্ন রেললাইনের পাশে খেলতে খেলতে ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলে আহত হয় তাসলিমা। স্থানীয় ও স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে নিকটস্থ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। গোমস্তাপুরের রহনপুর রেলওয়ে ষ্টেশন মাষ্টার মামুনুর রশিদ বলেন, রহনপুর থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর গামী ১৩০ ডাউন অপরাজিতা কমিউটার ট্রেনের ধাক্কায় আহত হয়ে শিশুটি মারা যায়। রেলওয়ে পুলিশের আমনুরা জংশন ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক এসআই আইনুল হক বলেন, নাচোলের গোলাবাড়ি ও রহনপুর ষ্টেশনের মাঝামাঝি নাচোলের যাদুপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে জিআরপি মরদেহ উদ্ধারের পর প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে আবেদনের প্রেক্ষিতে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেছে। এ ঘটনায় রাজশাহী জিআরপি থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। নাচোল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মনিরুল ইসলাম ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।

পানি সংকটাপন্ন চাঁপাইনবাবঞ্জে বিনাধান চাষের তাগিদ

পানি সংকটাপন্ন চাঁপাইনবাবঞ্জে বিনাধান চাষের তাগিদ পানি সংকটাপন্ন চাঁপাইনবাবগঞ্জের বরেন্দ্রাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইনিষ্টিটিউট (বিনা) উদ্ভাবিত খরা সহিষ্ণু উচ্চ ফলনশীল ও স্বল্পমেয়াদী বিনাধান-১৯ এবং বিনাধান-২১ চাষের তাগিদ দিয়েছেন কৃষি বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তারা। আজ বিকালে সদর উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের লক্ষীনারায়নপুর পোড়াগ্রাম ও দেবিনগর ইউনিয়নের নতুন গ্রাম এলাকায় পৃথক দু’টি মাঠ দিবসে বিনাধান চাষের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। সদর উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইনিষ্টিটিউটের চাঁপাইনবাবগঞ্জ উপকেন্দ্র মাঠ দিবস দুটির ব্যবস্থাপনা করে। বিনা উপকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. আজাদুল হকের সভাপতিত্বে মাঠ দিবসে ভিডিও কনফারন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিনা মহাপরিচালক ড. আবুল কালম আজাদ। আরও বক্তব্য দেন বিনার কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড, আশিকুর রহমান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ্উপ-পরিচালক ড. ইয়াছিন আলী, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার সুনাইন বিন জামানসহ অন্যরা। মাঠ দিবসে উপস্থিত কৃষক-কৃষানীদের উদ্দেশ্যে বিজ্ঞানী ও কৃষি কর্মকর্তারা বলেন, খরাপ্রবণ এলাকা হওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের জন্য বিনার এই ধানের জাত দুটি কার্যকর। বিভিন্ন মাঠে চাষ করে ৯৫-১০০ দিনের মধ্যেই এসব জাতের ভাল ফলন পাওয়া গেছে। আগামীতে খরা সহিঞ্চু ও উচ্চ ফলনশীল জাত দুটির পর্যাপ্ত বীজ সরবরাহ করা হবে। তাঁরা কৃষকদের যে কোন ফসল চাষে পরিমানের বেশী সার না ব্যবহারের পরামর্শ দেন। এত মাটির গুন নষ্ট হয়। তাঁরা আরও বলেন, এ অঞ্চলে ভূ-গর্ভস্ত পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ভূ-গর্ভস্ত পানির ব্যবহার কমাতে কৃষকদের বিকল্প ফসল চাষাবাদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। সম্প্রতি বন্যায় নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় এসব এলাকায় প্রণোদনার চেষ্টা করা হবে বলেও জানান কৃষি কর্মকর্তারা।