চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাদক মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
![](https://radiomahananda.com/files/2024/06/Karadondo.jpg)
চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাদক মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আজাদ আলী ওরফে আবুল কালাম আজাদ (৬৩) নামে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাকে ৫ হাজার অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাস কারাদণ্ড দেন আদালত। একই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় কামাল হোসেন নামের একজনকে খালাস দেয়া হয়। রবিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ মো. মিজানুর রহমান আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাশহরের বড়ইন্দারা ইসলামপুর মহল্লার মৃত আব্দুল তফুর মিস্ত্রির ছেলে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. ময়েজ উদ্দিন মামলার বরাত দিয়ে জানান, ২০২১ সালের ১ মার্চ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের চৌধুরী টোলা এলাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ-শিবগঞ্জ সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি অভিযান চালায় র্যাব। এসময় একটি অটোভ্যানকে থামানোর সংকেত দিয়ে ভ্যানটি ফেলে পালানোর সময় ১ কেজি ৯১০ গ্রাম হেরোইনসহ আবুল কালাম আজাদকে আটক করা হয়। এসময় কামাল পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই দিনই র্যাব-৫, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার মো. আবু তালেব বাদী হয়ে সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন। ময়েজ উদ্দিন আরো জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর সদর মডেল থানার এসআই সুজন খান দুজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার শুনানি শেষে বিচারক আজাদ আলী ওরফে আবুল কালাম আজাদকে যাবজ্জীবন সাজা এবং কামাল হোসেনকে খালাস দেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্পেশাল অলিম্পিকস বাংলাদেশ এর সাব সেন্টার উদ্বোধন
![](https://radiomahananda.com/files/2024/11/1732956016932-1-1024x473.jpg)
চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্পেশাল অলিম্পিকস বাংলাদেশ এর সাব সেন্টার উদ্বোধন চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্পেশাল অলিম্পিকস বাংলাদেশ এর সাব সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ সকালে শাহনেয়ামতুল্লাহ কলেজ মিলনায়তনে এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে স্পেশাল অলিম্পিকস বাংলাদেশ এর প্রশিক্ষক ও সুইড প্রতিবন্ধি বিদ্যালয়ের নির্বাহী সচিব হান্নান হোসাইনের সভাপতিত্বে অতিথি ছিলেন, স্পেশাল অলিম্পিকস বাংলাদেশ এর জাতীয় পরিচালক ফারুকুল ইসলাম। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিকেএসপি দিনাজপুরের উপপরিচালক আনোয়ার ডিআর, স্পেশাল অলিম্পিকস এর কো-অর্ডিনেটর অরিন্দম পান্ডে, বালুগ্রাম আদর্শ কলেজের উপাধ্যক্ষ গোলাম ফারুক মিথুন, জাতীয় কোচ মুর্তজা ইকবাল নুরী, সুইড প্রতিবন্ধি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আম্বিয়া খাতুন মিলি, নামোশংকরবাটী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসলাম কবিরসহ অভিভাবক ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ।
গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্মরণসভা
![](https://radiomahananda.com/files/2024/11/CP-1024x473.jpg)
গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্মরণসভা চাঁপাইনবাবগঞ্জে জুলাই আগস্টে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকালে শহরের শহীদ সাটু হল অডিটোরিয়ামে এ সভার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। স্মরণ সভার শুরুতে জুলাই আগস্টে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে আহত-নিহতদের স্মরণে নির্মিত ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এসময় জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ইকবাল মাহমুদ, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. পলাশ সরকার, পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক দেবেন্দ্রনাথ উরাও, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আফাজ উদ্দিন, সিভিল সার্জন ডা এসএম মাহমুদুর রশিদ, পুলিশ সুপার রেজাউল করিম, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা শাখা আহ্বায়ক আব্দুর রাহিমসহ জুলাই আগস্টে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের পরিবারবর্গ, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধানগন ও শিক্ষার্থীবৃন্দ। অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার সহায়তায় জুলাই আগস্টে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ১১ জনের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে ও ২ শহীদদের পরিবারকে ১ লক্ষ টাকা করে নগদ চেক তুলে দেন অতিথিরা। শেষে জুলাই আগস্টে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত সুস্বাস্থ্যতা কামনা ও নিহতদের স্মরণে দোয়া করা হয়।
অবশেষে পূণ:নির্মাণ হচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফায়ার সার্ভিস মোড় থেকে পশু হাসপাতাল সড়ক
![](https://radiomahananda.com/files/2024/11/ROAD-DEVELOPMENT-1024x576.jpg)
অবশেষে পূণ:নির্মাণ হচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফায়ার সার্ভিস মোড় থেকে পশু হাসপাতাল সড়ক মালিকানা জটিলতায় আটকে থাকার পর অবশেষে বহুল প্রত্যাশিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের হুজরাপুর এলাকার পশু হাসপাতাল মোড় হতে ফায়ার সার্ভিস মোড় পর্যন্ত সড়ক পূণ:নির্মান শুরু হচ্ছে। দীর্ঘদিনের ব্যাপক জনদাবির মূখে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা সমগ্র জেলাবাসীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু চলাচলের জন্য একদমই অযোগ্য হয়ে পড়া ১ ও ২ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত সড়কটি এক পাশে আরসিসি ড্রেনসহ পূণ:নির্মাণের ব্যবস্থা করেছে। আজ দুপুরে সড়ক পাশের্^ পৌর চাউল মার্কেট প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর প্রশাসক ও জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) দেবেন্দ্র নাথ উরাঁওয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী(উপ-সচিব) মো.আফাজ উদ্দিন, স্থানীয় বাসিন্দা ইউসুফ আলী লাবলু সহ অন্যরা। বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, এ ধরনের আর কোনো সড়ক থাকলে নির্মাণ বা সংস্কারের ব্যবস্থা করা কবে। পৌর প্রশাসক বলেন, পৌরসভার উন্নয়নে ইতোমধ্যে ১০৩ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেয়া হয়েছে। টাউন প্লানার ইমরান হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সড়কটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন পৌর নির্বাহী প্রকৌশলী তৌফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, লোকাল গভর্নমেন্ট কোভিড-১৯ রেসপন্স অ্যান্ড রিকভারি প্রজেক্টের (এলজিসিআরআরপি) আওতায় প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে সড়ক ও ড্রেনটি পূণ:নির্মাণ করা হবে। ডিবিসি সড়ক ও আরসিসি ড্রেনটির দৈর্ঘ্য ৩৩০মিটার। নির্মাণ শেষ হবে আগামী বছরের ৬ জুলাই। অবিলম্বে নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এদিকে পৌর ২নং ওয়ার্ডের সদ্য সাবেক কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান আরমান বলেন, সড়কটির মাটির মালিকানা জটিলতায় জরুরী হওয়া সত্তেও প্রায় দুই যুগ সংস্কার করা যায় নি। রশি টানাটানি চলছিল জেলা পরিষদ এবং সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের মধ্যে। জেলা পরিষদ তাদের জমি সওজকে হস্তান্তর করলেও সরকারের সংশ্লিষ্ট উর্ধতণ কর্তৃপক্ষ তা অনুমোদন করে নি। তিনি আরও বলেন, প্রতিনিয়ত শহরের বাসিন্দারা ছাড়াও সড়কটি ব্যবহার করে জেলার চার উপজেলার মানুষ। এমনকি রাজশাহী ও নওগাঁর সাথে শহর কেন্দ্রের যোগাযোগের জন্যও সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সড়ক পাশের পৌর মার্কেটের প্রহরী আব্দুল মান্নান জানান, সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় মানুষ এতদিন অবর্ণনীয় দূর্ভোগ সহ্য করেছেন। যানবাহন নষ্ট হওয়া ও ছোটবড় দূর্ঘটনা লেগেই থাকত। এনিয়ে পত্রিকায় বহু লেখালেখি ও আন্দোলন হলেও কাজ হয় নি। এখন সড়কটি ড্রেনসহ পূণ:নির্মাণ শুরু হওয়াতে আনন্দ প্রকাশ করেন মান্নান।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাল্যবিবাহ ও সহিংসতা প্রতিরোধে কমিউনিটি সংলাপ
![](https://radiomahananda.com/files/2024/11/1732893229942-1.jpg)
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাল্যবিবাহ ও সহিংসতা প্রতিরোধে কমিউনিটি সংলাপ চাঁপাইনবাবগঞ্জে “বাল্য বিবাহ ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ ও প্রতিবন্ধী শিশু-কিশোর-কিশোরীর আধিকার’ বিষয়ক কমিউনিটি সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও ইউনিসেফের সহযোগিতায় মহারাজপুর ইউনিয়নের তিলকচাঁদপুরে বেটার চাঁপাইনবাবগঞ্জ হেল্পলাইন এই কমিউনিটি সংলাপের আয়োজন করে। সংলাপে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষক ও সমাজসেবক আবদুল রশিদ, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য আবদুল মালেক, ডা: আরিফ হোসেন, মনিরুজ্জামান মিয়াসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। সংলাপ অনুষ্ঠানে গ্রামের প্রায় ১০০ জন বিভিন্ন বয়সী নারী ও অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন। সংলাপে অতিথিদের আলেঅচনা মধ্যে উঠে আসে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাল্যবিবাহ, শিশু ও মেয়েদের ইভটিজিং, শিশুর প্রতি সহিংসতা বেড়ে যাওয়ার কারণ ও প্রতিরোধের উপায়। অনুষ্ঠানে বক্তারা বাল্যবিবাহ, শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে শিক্ষক, মাতবর, অভিভাবক সহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের এগিয়ে আসার পাশাপাশি পারিবারিকভাবে সচেতন হতে আহ্বান জানান। বাল্যবিয়ে-নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ এবং প্রতিবন্ধী শিশু-কিশোর-কিশোরীর অধিকার বিষয়ে বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। বাল্য বিয়ের কুফল ও সমস্যা নিয়ে কথা বলেন বক্তারা। সংলাপে বাল্যবিয়ে কে “না” বলতে উপস্থিত সকলকে শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়। আলোচনার অগ্রগতি আনতে ১০০টি লিফলেট বিতরণ করে বিষয়গুলো হাতেনাতে বুঝিয়ে সচেতন করা হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনায় অংশ নেন- “বেটার চাঁপাইনবাবগঞ্জ হেল্পলাইন” এর ভলেন্টিয়ার বিপ্লব আহমেদ, মিনহাজুল ইসলাম, খাদিজাতুল কুবরা অন্তরা, হাইউল ইসলাম, নাসিফ ইকবাল, তারেক হাসান, আবু রায়হান, আবদুল জাববার, দেলোয়ার হোসেন, নিলিমা খাতুন মিমিসহ অন্যরা।
দু’দিন বন্ধের পর আজও সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে আলু ও পেঁয়াজ আমদানী অব্যহত
![](https://radiomahananda.com/files/2024/11/5-Copy.jpg)
দু’দিন বন্ধের পর আজও সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে আলু ও পেঁয়াজ আমদানী অব্যহত গত সোম ও মঙ্গলবার হঠাৎ করেই টানা দু’দিন বন্ধের পর গতকাল থেকে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর পথে আবারও প্রবেশ করছে আমদানীকৃত আলু ও পেঁয়াজ ভর্তি ভারতীয় ট্রাক। আজ ৩৫টি ভারতীয় ট্রাকে ৯৪১.৫ টন পেঁয়াজ ও ৬১টি ট্রাকে ১ হাজার ৬৯২ টন আলু প্রবেশ করেছে। এর আগে গত বুধবার ৯৪টি ভারতীয় ট্রাকে ২ হাজার ৫০২.৬ টন পেঁয়াজ ও ১০৯টি ট্রাকে ২ হাজার ৯৪২.১ টন আলু প্রবেশ করে। এনিয়ে টানা দুদিনে ১২৯ ট্রাকে ৩ হাজার ৪৪৪.১ টন পেঁয়াজ ও ১৭০টি ট্রাকে ৪ হাজার ৬৩৪.১ টন আলু প্রবেশ করল। সোনামসজিদ বন্দর পরিচালনাকারী বেসরকারি অপারেটর প্রতিষ্ঠান পানামা সোনামসজিদ পোর্ট লিংক লিমিটেড অপারেশন ম্যানেজার কামাল খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত সোমবার ৩ ট্রাকে ৬২ টন আলু শুধু বন্দরে প্রবেশ করার পর ওইদিনই পণ্য দুটি আমদানী বন্ধ হয়ে যায় বলেও জানান তিনি। ওইদিন কোন পেঁয়াজ প্রবেশ করে নি। এর আগে শেষ গত রবিবার যথারীতি ৩০টি ভারতীয় ট্রাকে ৮২৩.১ টন পেঁয়াজ ও ৫৯টি ট্রাকে ১ হাজার ৬৩৫.৪ টন আলু প্রবেশ করে। সে দিন আমদানী নিয়ে কোন সমস্যার বিষয় জানা যায় নি। এদিকে দু’দিন কেন আমদানী বন্ধ ছিল ও আবার বুধবার কেন চালু হল এবং এসব পণ্য আমদানী অব্যহত থাকবে কি না, এ ব্যাপারে নিশ্চিত কোন তথ্য জানাতে পারেননি আমদানীকারক বা বন্দরের কর্মকর্তারা। এ ব্যাপারে দুই দেশের দায়িত্বশীল কোন পক্ষের কোন চিঠিও পান নি কেউ। এদিকে গণমাধ্যমে আমদানী বন্ধের খবর প্রচারের পর দেশের অনান্য স্থানের ন্যয় চাঁপাইনবাবগঞ্জেও বেড়ে যায় পণ্য দু’টির দাম। কেজি প্রতি আলু অন্তত: ১০ টাকা ও পেঁয়াজ অন্তত ১৫ টাকা বেড়ে যায়। চাঁপাইনবাবগঞ্জের অন্যতম পেঁয়াজ ও আলু আমদানীকারক মেসার্স সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজ স্বত্বাধিকারী মাসুদ রানা বলেন, গত সোমবার গণমাধ্যমে তাঁরা জানতে পারেন পণ্য দুটি রপ্তানী বন্ধ করে দিয়েছে ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। তবে এ ব্যাপারে তাঁদের ভারতীয় রপ্তানীকারকরা আগাম কোন তথ্য দেন নি। এরপর গত সোমবার থেকেই বন্ধ হয়ে যায় পণ্য দু’টির আমদানী। গত মঙ্গলবারও ওই দুই পন্য প্রবেশ করে নি। এরপর গতকাল থেকে আবারও আমদানীকৃত আলু ও পেঁয়াজ বন্দরে প্রবেশ করে। যা আজও অব্যহত ছিল। ভারতীয় রপ্তানীকারক ও সিএন্ডএফ এজেন্টরা তাঁদের জানিয়েছেন,পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার তাদের বাজারে পণ্য দুটির দাম বেশি বলে পশ্চিমবঙ্গের কোন বন্দর দিয়ে পণ্য দুটি রপ্তানীর অনুমতি দেয় নি। মাসুদ রানা আরও বলেন,সোনামসজিদের বিপরীতে পশ্চিমবঙ্গের মহদিপুর স্থলবন্দরে আলুবোঝাই ট্যাক্স দেয়া যে সব ট্রাক রয়েছে (পাইপলাইনে) সেগুলো আপাতত রপ্তানীর অনুমতি দেয়া হয়েছে জানা গেছে। এরপর আলু আর রপ্তানীর অনুমতি দিবে না রাজ্য সরকার। তবে পশ্চিমবঙ্গ ব্যাতীত ভারতের সাথে যে সব বন্দর রয়েছে সেসব বন্দর দিয়ে আলু আনা যাবে যদি বাংলাদেশ সরকার অনুমতি দেয়। এদিকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেয়া পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানী চলবে বলেও জানা গেছে। পেঁয়াজ বন্ধের ব্যাপারে কোন চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসে নি। সোনামসজিদ বন্দর কর্মকর্তারাও ভারতীয়দের বরাতে একই তথ্য জানিয়েছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য ধ্বংস
![](https://radiomahananda.com/files/2024/11/3-Copy-1.jpg)
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য ধ্বংস আদালতের নির্দেশে চাঁপাইনবাবগঞ্জে তদন্তাধীন বিভিন্ন মামলার আলামত হিসেবে ও পরিত্যক্ত অবস্থায় সাধারণ ডায়েরিমূলে জব্দ করা বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য ও নিষিদ্ধ সামগ্রী ধ্বংস করা হয়েছে। ধ্বংসকৃত মামলার আলামত মাদকদ্রব্যের নমূণা রাখা হয়েছে। আজ সন্ধায় জেলা প্রশাসক কার্যালয় সংলগ্ন স্থানে প্রকাশ্যে বুলডোজার দিয়ে পিষে ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে এসব মাদক ধ্বংস করা হয়। এ সময় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আশরাফুল ইসলাম ও মো. তৌহিদুজ্জামান উপস্থিত থেকে তদারকি করেন। আদালত পুলিশ পরিদর্শক (কোর্ট ইন্সপেক্টর) মনিরুল ইসলাম বলেন, এসব মাদক তদন্তাধীন বিভিন্ন মামলার আলামত হিসেবে ও পরিত্যক্ত অবস্থায় সাধারণ ডায়েরিমূলে জব্দকৃত। জেলার পাঁচ থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি) এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বিভিন্ন সময় এসব মাদকদ্রব্য জব্দ করে। ধ্বংসকৃত মাদকদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে হেরোইন ৬ কেজি ৮০৯ গ্রাম, ইয়াবা ট্যাবলেট ৩৭ হাজার ২৩০ পিস,বিদেশী মদ ৮৪৩ বোতল, ফেনসিডিল ৩ হাজার ৭০৭ বোতল, চোলাই মদ ৩০ লিটার, লুজ মদ ৩০ লিটার, গাঁজা ৩৩ কেজি ৫৬০ গ্রাম, ভারতীয় বিড়ি ১২ হাজার বান্ডিল,ভারতীয় বিড়ির পাতা ৩কেজি ৫০০ গ্রাম, দেড় লক্ষ ভারতীয় জাল রুপী, লাল ফসফরাস ৭কেজি ২০০ গ্রাম ও গান পাওডার ১১ কেজি ২৬০ গ্রাম।
ডিএনসির অভিযান : ৮৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার দুজন গ্রেপ্তার
![](https://radiomahananda.com/files/2024/11/DNC-Chapai-300x208-2.jpg)
ডিএনসির অভিযান : ৮৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার দুজন গ্রেপ্তার চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) জেলা কার্যালয়ের অভিযানে ৮৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়েছে। সেই সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২ জনকে। ডিএনসি, জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ আনিছুর রহমান খাঁন জানান, সংস্থাটির জেলা কার্যালয়ের ক-সার্কেলের পরিদর্শক মো. ইলিয়াস হোসেন তালুকদারের নেতৃত্বে ডিএনসির একটি টিম আজ বুধবার সকাল ৮টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের পারকালীনগর মিরেরচরা এলাকায় অভিযান চালায়। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়। এসময় মোসা. সাহানাজ ওরফে টিয়ার (৩৫) বসতঘর তল্লাশি করে ৪টি প্লাস্টিক বস্তায় পলিথিনে মোড়ানো ৪৩টি বস্তায় ৮৬ কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়। ঘটনাস্থল হতে সুন্দরপুর ইউনিয়নের পারকালীনগর মিরেরচরা গ্রামের মো. আব্দুর রউফের ছেলে মো. লালন (৪২) ও মো. বকুলের স্ত্রী মোসা. সাহানাজ ওরফে টিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ব্যাপারে গ্রেপ্তার হওয়া দুজনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মোহাম্মদ আনিছুর রহমান খাঁন বলেনÑ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে ও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে জেলাজুড়ে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে দুজন আসামিসহ ৮৬ কেজি গাঁজা আটক করা হয়েছে।
লিগ্যাল এইড বাদী-বিবাদীকে সমান গুরুত্ব দেয় : প্যানেল আইনজীবীদের জেলা ও দায়রা জজ
![](https://radiomahananda.com/files/2024/11/Joj-Court-300x154-1.jpg)
লিগ্যাল এইড বাদী-বিবাদীকে সমান গুরুত্ব দেয় : প্যানেল আইনজীবীদের জেলা ও দায়রা জজ আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার (লিগ্যাল এইড) চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকেলে জেলা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান জেলা ও দায়রা জজ মো. মিজানুর রহমান। এই সময় তিনি প্যানেল আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বলেন- লিগ্যাল এইড কমিটির মাধ্যমে যারা বিচারপ্রার্থী হবেন, তারা যেন মামলার দীর্ঘসূত্রতার শিকার না হন। তারা যেন সঠিক সময়ে বিচারটা পান, সে জন্য আমাদের কাজ করতে হবে। তিনি বলেন- জেলখানা কোনো সুখের জায়গা নয়। সেখানে পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন থাকে না। জেলখানা কষ্টের জায়গা। কাজেই জেলখানা থেকে মামলা পরিচালনার জন্য কেউ লিগ্যাল এইড অফিসে আবেদন করলে তা গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্য ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের উদ্দেশ্যে মিজানুর রহমান বলেন- আপনারা আপোস-মীমাংসাযোগ্য অনেক মামলা পরিচালনা করেন, যেসব মামলা আপোস-মীমাংসা করতে ব্যর্থ হবেন, সেগুলোকে লিগ্যাল এইড কমিটিতে পাঠাবেন। কেননা লিগ্যাল এইড উভয়ের জন্যই সমান গুরুত্ব দেবে। সরকারের আইনগত সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে আপনাদের সহযোগিতায় চাঁপাইনবাবগঞ্জকে আমরা একটি মডেল জেলা হিসেবে দেখতে পাবো বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সভায় আলোচনা করেন- ভারপ্রাপ্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু তালেব। সভা পরিচালনা করেন জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার এবং সিনিয়র সহকারী জজ বেগম রুখশানা খানম। সভায় উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলাম, জেল সুপার শরিফুল ইসলাম, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সোলায়মান বিশু ও সাধারণ সম্পাদক একরামুল হক পিন্টু, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল ওদুদ, সরকারি কৌঁসুলি মোসাদ্দেক হোসেন কাজল, জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির প্যানেল আইনজীবী অ্যাডভোকেট আফসার আলী, অ্যাডভোকেট লাইলা চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদসহ অন্যরা। এসময় লাইট হাউসের আইন সহায়তা অ্যাক্টিভিটি প্রকল্পের কর্মকর্তা মো. সালাহ উদ্দিন, প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির সহকারী ব্যবস্থাপক পঙ্কজ কুমার পাল এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ কমিটির অন্য সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার এবং সিনিয়র সহকারী জজ বেগম রুখশানা খানম সভায় জানান, গত ৩০ অক্টোবর থেকে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত মামলার জন্য ১৪টি আবেদন পাওয়া যায়। তার মধ্যে ২টি দেওয়ানি, ৭টি ফৌজদারি, ৫টি পারিবারিক আবেদন। এছাড়া একই সময়ের মধ্যে আপোস-মীমাংসার জন্য ২০টি আবেদন পাওয়া যায়। তার মধ্যে ৪টি দেওয়ানি, ১টি ফৌজদারি ও ১৫টি পারিবারিক বিষয় রয়েছে। একই সময়ে ১৯টি আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়েছে। আর সফলভাবে ১১টি আবেদন মীমাংসা করা হয়েছে এবং বিফল হয়েছে ৮টি আবেদন। ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়েছে ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এছাড়া গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত আপোস-মীমাংসার জন্য মোট ২৫টি আবেদন পাওয়া যায়। তার মধ্যে ৮টি ফৌজদারি, ৩টি দেওয়ানি ও ১৪টি পারিবারিক আবেদন। এসব আবেদনের মধ্যে আপোস-মীমাংসার মাধ্যমে ১০টি আবেদন সফলভাবে নিষ্পত্তি করা হয় এবং ১২টি আবেদন বিফল/নথিজাত করা হয়।
নাচোলে নতুন প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা
![](https://radiomahananda.com/files/2024/11/Brac-Nachol-300x158-2.png)
নাচোলে নতুন প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে ব্র্যাকের দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচির আওতাধীন ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট এন্টারপ্রিনিউরশিপ ফর ইয়ুথ-লেড বিজনেস প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার উপজেলা পরিষদ মিনি কনফারেন্স রুমে ব্র্যাক জেলা সমন্বয়ক মোমেনা খাতুনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নীলুফা সরকার। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে কিভাবে এগিয়ে নেয়া যায়, সে বিষয়ে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়ে বলেন, ট্রেনিংগুলো নিয়ে কাজে লাগাতে হবে, তাহলেই আমরা দক্ষ জনবল তৈরি করতে পারব। এসডিপি (প্রমিস) জেলা ব্যবস্থাপক আছিয়া খাতুন আশনার সঞ্চালনায় এসডিপি প্রোগ্রামের কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন এসডিপির জেলা ব্যবস্থাপক রেশমা খাতুন। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন ব্র্যাক এসডিপির জেলা ব্যবস্থাপক রেশমা খাতুন, এসডিপি (প্রমিস) অ্যাসোসিয়েট অফিসার মোহসারুন নেসা। সভায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) সবুজ হাসান, নাচোল থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম, সমাজসেবা অফিসার সোহেল রানা, সমবায় অফিসার আনিসুর রহমান, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ, সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রিয়াজুল ইসলাম, ব্র্যাক নাচোল এলাকা ব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান, নেজামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহিরুদ্দিন, নাচোল শিল্প বণিক সমিতির আহ্বায়ক আসগার আলী, ব্র্যাকের কর্মকর্তা কর্মচারী, ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।