রহনপুরে পূণর্ভবার তীরে গ্রাম বাংলার পিঠা-পুলি উৎসব ও পোষালু
রহনপুরে পূণর্ভবার তীরে গ্রাম বাংলার পিঠা-পুলি উৎসব ও পোষালু গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর পৌর এলাকায় পূণর্ভবা নদী তীরের বাবুরঘোন গ্রামে প্রতিবছরের ন্যয় এবছরও হয়ে গেল গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠা-পুলি উৎসব এবং গ্রামীন পিকনিক ’পোষালু’। আয়োজন ও উপস্থাপনের স্বকীয়তার কারণে ১৭ বছর আগে ২০০৮ সালে একদম ঘরোয়া আবহে শুরু হওয়া আয়োজনটি জনপ্রিয় ও সমাদৃত হয়েছে। দূর-দূরান্তের অতিথিরা দেশীয় সংস্কৃতির শেকড়ের টানে এখন অপেক্ষা করে থাকেন শীতের মৌসুমের এই দিনটির জন্য। অনেকেই আবার একে বলেন নবান্ন উৎসব। আজ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে মাতোয়ারা ছিল মূল আয়োজক উত্তর রহনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মমতাজ বেগমের বড় গলি ঘেরা ও বিশাল আঙ্গিণার বাড়িটি। আয়োজনের মধ্যে ছিল নতুন ধানের ঢেঁকিছাটা ও যাঁতায় পেষা চালের তৈরি বিভিন্ন পিঠা তৈরী ও খাওয়া, দুপুরে আলু-ডিমের ঘন্ট দিয়ে তরকারি ও নানা পদের শীতের শাকের সাথে ভাপ ওঠা অগ্রাহায়ণ মাসে ওঠা চালের ভাত দিয়ে পোষালু। দুপুরের এই খাবার ভারী মজার বলেই সকলের আগ্রহের কেন্দ্র শুধু পিঠা নয় এটিও। আর আগ্রহ দিনব্যাপী বিভিন্ন বয়সী নারী এবং কিশোরীদের হারিয়ে যেতে বসা গ্রামীন গীত। সঙ্গে রয়েছে বিলুপ্তপ্রায় গ্রামীন খেলাধুলো। দিনব্যাপী শিশুদের আনন্দ-হুল্লোড় তো পুরো গ্রামেই ছড়িয়ে পড়েছে। অংশগ্রহণকারীদের পোষাকেও রয়েছে উৎসব। হলুদ পেড়ে লাল শাড়ি পরে উঠোনের চারদিকে কুয়াশা ঘেরা ভোর থেকেই বসে গেছেন নারী ও কিশোরীরা। তবে দিনের শুরু কাকডাকা ভোরে। কিশোরীরা সারিবদ্ধভাবে কলসিতে নদী থেকে পানি আনার মধ্যে দিয়ে কাজ শুরু হয়। এরপর ছাঁটা হয় চাল। পিষা হয় যঁতায়। এরপর আঙ্গিনার মাঝখানে বড় হাঁড়িতে পানি সিদ্ধ করে ভাপ উঠলে সেই ভাপ দিয়ে তৈরী তে শুরু করে ভাপা,কুলি ,তিল,তেল সহ বিভিন্ন রকমের পিঠা। গরম গরম পরিবেশনও করা হয় শীতের সকালে। সকল কাজই হয় আনন্দের সাথে গীত গাইতে গাইতে দলবদ্ধভাবে। সেই মাথে চলে একক ও দলীয় নৃত্য, একক ও দলীয় গান, ছড়া ও কবিতা আবৃত্তি, অভিনয় ইত্যাদি বিনোদনমূলক পরিবেশনা যার সবই বাঙ্গালীর গ্রামীন সংস্কৃতির অংশ। মূল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও খেলাধুলো হয় বাড়ির আঙ্গিনা ও পাশের বড় গলিতে দুপুরের পোষালু খাবার পর পড়ণÍ বিকেলে। অতিথিদের সমাদর করে খাওয়ানো হয়। গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের বাড়ি বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয় পিঠা। দিন ব্যাপী পুরো গ্রামেই বিরাজ করে উৎসবের আমেজ।বিকেলে বৌ-ঝি’রা অংশ নেন বালিশ খেলা, চামচ খেলা, হাড়ি খেলা,এক্কা দোক্কা,কিত কিত খেলা, কলসি দৌড় ইত্যাদি খেলায়। সন্ধ্যায় শেষ হয় এই আয়োজন। আয়োজনের খরচ যোগায় গ্রামের বিদ্যলয়ের শিক্ষার্থীরা এবং গৃহীনিরা। শধু টাকা দিয়ে নয়। বরং বাড়ি বাড়ি থেকে ধান,চাল, আলু, মসলা, ডিম,তেল সংগ্রহ করা হয় উৎসবের আগেই। মমতাজ বেগম বলেন, দাদী-নানীর কাছে শোণা নবান্ন উৎসবের গল্প থেকে তিনি প্রথ অনুপ্রেরণা পান। পুরোনো যুগে ধান ওঠার পর গৃহস্থরা দাওয়াত করে কৃষক-কৃষাণী,আত্মীয় আর অতিথিদের খাওয়াতেন বলে। এসব গল্প শুনে, গ্রামীন সংস্কৃতির টানে আর হারিয়ে যেতে বসা বিভিন্ন ঐতিহ্য ধরে রাখতে নিজের বাড়িতেই উৎসব শুরু করেন। শুরুর দিনগুলো সহজ ছিল না। শিশু ও নারীদের নিয়ে কাজ করতে তিনি ভালবাসেন। অনেক পরিশ্রম করতে হয়। বিদেশী সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের যুগে আমাদেও নিজেদের ঐতিহ্য ও অথীতকে তো হারিয়ে যেতে দেয়া যাবে না। সকলকেই এসব রক্ষায় কাজ করতে হবে। চিন্তা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমার প্রধান শক্তি আমার পরিবার। বোন জেলার ভোলাহাট উপজেলার খানেআলমপুর মাদ্রাসার ইসলামী স্টাডিজের প্রভাষক শামীমা বেগম ও ভাই আল মামুন আমার পাশে থাকেন সবসময়। পারিবারিক আয়োজনেই ১৭ বছর ধরে এই উসব চলছে জানিয়ে মমতাজ বলেন, দেশীয় সংস্কৃতির বিভিন্ন দিন সহ বিভিন্ন জাতীয় দিবস তাঁরা পারিবারিক আয়োজনেই গ্রামবাসী ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে পালন করেন। অনুষ্ঠানে অংশ নিতে যাওয়া জেলার প্রবীণ সাংবাদিক সামসুল ইসলাম টুকু ও হরিমোহন সরকারি উচ্চ-বিদ্যালয়ের শিক্ষক আজমাল মামুন বলেন, এম আয়োজন বিরল। যে কেউ দেখলে আবেগাপ্লুত হয়ে পুরোনো যুগে ফিরে যাবেন।
গোমস্তাপুরে প্রাথমিক উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে শিক্ষকদের মানববন্ধন
গোমস্তাপুরে প্রাথমিক উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে শিক্ষকদের মানববন্ধন ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডের দাবির প্রেক্ষিতে বিভিন্ন সময়ে শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে অমর্যাদাকর বক্তব্যের প্রতিবাদে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দারের পদত্যাগের দাবিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বিকেল ৪টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন সমন্বয় পরিষদ আয়োজিত এই মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- সমন্বয় পরিষদের উপজেলা সমন্বয়ক রুহুল আমিন শিহাব, পশ্চিম আনারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রুহুল আমীন, ভাগোলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হারুনুর রশিদ খোকন। মানববন্ধনে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা অংশ নেন। মানববন্ধনে বক্তারা জানান, গত ২৫ জানুয়ারি চট্টগ্রাম নগরী সার্কিট হাউসের সভাকক্ষে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, “আমি শিক্ষকদের বলব, যদি সমাজে আপনাদের যে শ্রদ্ধার জায়গা আছে, সেটা অটুট রাখতে হয় বা ফিরিয়ে আনতে হয় তাহলে শিক্ষকতা পেশাকে অর্থমূল্যে বিবেচনা করা যাবে না। যারা মনে করবেন যে, না আমার পোষাচ্ছে না, খুব ভালো, তাহলে আপনি প্রাথমিকে থাকবেন না, অন্য পেশায় চলে যান।” স্বৈরাচারের ভাষায় এই মন্তব্য করেছেন তিনি। তাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা অবিলম্বে তার পদত্যাগ দাবি করছেন।
নাচোলে দ্বৈত ব্যান্ডমিন্টন টুর্নামেন্টর ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত
নাচোলে দ্বৈত ব্যান্ডমিন্টন টুর্নামেন্টর ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে আই.এস.সি দ্বৈত ব্যান্ডমিন্টন টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল দিবাগত রাতে পৌর এলাকার ইসলামপুর ব্যান্ডমিন্টন কোটে এ টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্ঠা রহমত আলী জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলা, রাজশাহী জেলার তানোর, গোদাগাড়ি ও নওগাঁ জেলার নিয়াতপুরসহ বিভিন্ন উপজেলার ২৪টি ব্যান্ডমিন্টন দল অংশগ্রহন করে। প্রায় রাত্রি ৩টা পর্যন্ত এ খেলা চলে। এ টুর্নামেন্টে শিবগঞ্জ উপজেলার সাদি ব্যান্ডমিন্টন একাডেমী বিজয়ী হয়। যৌথভাবে রানার আপ হয় রহনপুর ব্রডব্যান্ড দল ও দিগন্ত ব্যডব্যান্ড দল। বিজয়ী দলকে চ্যাম্পিয়ান ট্রফি ও নগদ ১০ হাজার টাকা ও রানা আপ রহনপুর ব্রডব্যান্ড দলকে ট্রফি ও ৭হাজার টাকা এবং দিগন্ত ব্রডব্যান্ড দলকে ট্রফি ও ৩হাজার টাকা প্রদান করা হয়। খেলা পরিচালনা করেন উপদেষ্ঠা তোহিদুল ইসলাম তুষার, কুরবান আলী, রহমত আলী, ইসলামপুর স্পোটিং ক্লাবের সভাপতি আনোয়ার হোসেন পিয়ার, সাধারণ সম্পাদক হোসেন মাহমুদ। খেলায় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সাইদুর রহমান, এজাবুল হক, অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মোখলেসুর রহমান টুকু, সমাজসেবক আলিমুজ্জামান বুলবুল ও নাচোল প্রেসক্লাবের সভাপিত অলিউল হক ডলার প্রমূখ। উপদেষ্টা রহমত আলী আরো জানান, এই ক্লাবের মাধ্যমে সামাজিক কার্যক্রমে (মৃত বাড়িতে ও ইফতারির সময়) আমাদের নিজস্ব ডেকোটরের মালামাল বিনামূলে সরবরাহ করা হয়। এছাড়া যুব সমাজকে মাদক মুক্ত রাখতে খেলাধুলা ব্যবস্থা করা হয়। তাছাড়া বাল্যবিয়ে, মাদক নির্মুলে ব্যবস্থা গ্রহনসহ বিভিন্ন সামাজিক অসংগতির বিরুদ্ধে সংক্রিয় ভ’মিকা পালন করে।
স্মার্ট প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা
স্মার্ট প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাসটেইনেবল মাইক্রোএন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড রেজিলিয়েন্ট ট্রান্সফরমেশন (স্মার্ট) প্রকল্পের আওতায় অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ। এসময় তিনি বলেন, আম প্রক্রিয়াজাতকরে সারাবছরই যেন মানুষের কাছে পোঁছে দিতে পারি, এটা কিন্তু আমাদের কর্মপরিকল্পনা এটা যে শুধু সরকারি কর্মপরিকল্পনা তা কিন্তু না এটা সরকারি এবং বেসরকারি দপ্তরের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করার জন্য আমরা কর্মপরিকল্পনা নিয়েছি। আমের প্রক্রিয়াজাতকরণ নিয়ে উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে প্রয়াস আমাদের সাথে কাজ করছেন এটাও আমাদের যে কর্মপরিকল্পনা রয়েছে তারই একটি অংশ। তিনি আরো বলেন আপনারা (প্রয়াস) স্মার্ট প্রকল্পের মাধ্যেমে যে সকল বিষয় নিয়ে কাজ করবেন এগুলো আমি শুনলাম জানলাম এগুলো ভালো একটি উদ্যোগ, পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ। আরইসিপি এর মাধ্যমে সম্পদের স্বল্প ব্যায়ে সর্বোচ্চ ব্যবহার করা হবে। এগুলো আমাদের জন্য টেকসই এবং ভালো হবে। আপনাদের এই উদ্যোগের জন্য আমরা সারাবছরই যেন আমাদের ভোক্তার কাছে পোঁছে দিতে পারি সেই চেষ্টাটা থাকবে। একিই সাথে আমাদের মার্কেটিং পলিসিতে দুর্বলতা থাকার কারণে আমরা ভোক্তার কাছে সেভাবে পোঁছাতে পারছিনা। এখনো আমাদের সুযোগ আছে মার্কেটিং পলিসিটাকে আরো ফ্রুটফোলিওভাবে এগাতো পারি যার মাধ্যমে আমাদের জন্য লাভজনক হবে এবং ভোক্তারা সহজলব্য ভাবে পেতে পারে সেবিষয়ে আমরা কাজ করছি। আব্দুস সামাদ আরো বলেন, আমরা যদি শতভাগ অর্গানিক উপায়ে আম উৎপাদন করতে পরি তাহলে আমাদের আমের চাহিদাটা আরো বাড়বে। তিনি আরো বলেন, সরকরি এবং বেসরকারি সকল উদ্যোগ যেন পজিটিভলি হই আমরা আপনারদের সাথে আছি। আমাদের সকলের লক্ষ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। এই উদ্যেশ্যেই আমরা সকলে কাজ করবো। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক হাসিব হোসেন। এসময় তিনি বলেন, আমরা পেস প্রকল্পের আওতায় ছোট পরিসরে ফ্যাক্টরি তৈরি করে ভেল্যু চেইনে কাজ করা চেষ্টা করেছিলোম। প্রয়াস মনে করে যে প্রয়াস ইনিশিয়েটিভ নিবে কিন্তু বাস্তবায়ন করবে সবাই। তিনি আরো বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রথম প্রয়াস কাঁচা আমের পাউডার তৈরি করেছে। এখন অনেকেই করছে এটা আমাদের একটি অর্জন। শুধুমাত্র আমাকেই করতে হবে এটা আমরা মনে করছি না। হাসিব হোসেন আরো বলেন, বাইরে যাওয়ার সুযোগ হয় আমার সেখানে আমি সার্চ করে থাকি বিভিন্ন মেশিননারিজ বা আইটেম বাজারে গিয়ে দেখি যেটা দেখতে ভালো লাগছে কম খরচ হচ্ছে সেগুলো নিয়ে কাজ করার। তিনি আরো বলেন, আমরা প্রয়াসের আউটলেট দিয়েছি ছোট পরিসরে সেখান থেকে শিখছি আগামীতে আরো বড় হবে সেটা প্রত্যাশা করছি। তিনি আরো বলেন, প্রয়াস চাঁপাইনবাবগঞ্জে জন্ম নিলেও একদিন সবজায়গাতে থাকবে সব কাজই করবে। প্রয়াসকে মানুষ চিনবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রয়াস হিসেবে। এসময় তিনি আরো বলেন আমাদের গরু, ছাগল, গাড়লের খামার আছে সেখান থেকে আমরা প্রতি কোরবানির ঈদে অনলাইনের মাধ্যমে সেগুলো বিক্রি করে থাকি। আমরা ছোট পরিসরে কাজটি করছি আমরা চাই আমাদের এটা দেখে অন্যরাও এই কাজটা করুক লাভবান হোক। হাসিব হোসেন বলেন আমার স্বপ্ন চাঁপাইনবাবগঞ্জে ম্যাগো ট্যুরিজম হোক। এমনকি সেটা যেন সারাবছর পাওয়া যায় সেটার জন্য কাজ করতে হবে। আমাদের কালচারাল টিম আছে প্রয়াস ফোক থিয়েটার ইনস্টিটিউট নামে। সেখানে লোকাল খাবার যেগুলো আছে আমাদের সেগুলো প্রমোট করার চেষ্টা করি। হাসিব হোসেন আরো বলেন, এই প্রকল্পের বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে পরিবেশবান্ধব উপায়ে কাজ করা। আমের উৎপাদন বা আমের তৈরি প্রোডাক্ট উৎপাদন করার জন্য সেটা পরিবেশ বান্ধব উপায়ে তৈরি করতে হবে। তিনি আরো বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে ডিপ ইরিগেশনের মাধ্যমে বাগান তৈরি করার কথা আমরা বলছি। তিনি আরো বলেন আমকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফ্লাগশিপে ধরে রাখার জন্য আমাদের কাজ অনেক। এটা একা কারো কাজ না সবারই কাজ, এখানে গণমাধ্যমের ও অনেক কাজ আছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রয়াস বড় হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি প্রয়াস জনগণের সাথে থাকবে এবং সরকারের সাথে থেকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে। সরকারের যে নির্দেশনা আছে সেগুলো মেনে চলার চেষ্টা করবে। নতুন চিন্তাভাবনাগুলোকে মাথায় নিয়ে এগিয়ে যাবে। বিশেষ অতিথি বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক নাকিব হাসান তরফদার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. পলাশ সরকার, শষ্য বিশেষজ্ঞ কৃষিবিদ জহুরুল ইসলাম। সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন প্রয়াসের পরিচালক পঙ্কজ কুমার সরকার। পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে প্রয়াসের কার্যক্রম তুলে ধরেন কনিষ্ঠ সহকারী পরিচালক (প্রশিক্ষণ) আব্দুস সালাম। স্মার্ট প্রকল্পের কার্যক্রম সম্পর্কে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টশন উপস্থাপন করেন প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম। এসময় অন্যানোর মধ্যে বক্তব্য দেন, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা জব্বার আলী এসময় অন্যানোর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার অনুজ চন্দ, প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির সহকারী পরিচালক জুলফিকার আলী, কনিষ্ঠ সহকারী পরিচালক ও স্মার্ট প্রকল্পের ফোকাল পার্সন ফারুক আহমেদ, কনিষ্ঠ সহকারী পরিচালক শাহাদাৎ হোসেন, রেইজ প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক আলম বিশ্বাস, স্মার্ট প্রকল্পের পরিবেশ কর্মকর্তা ইকবাল মাহমুদ, প্রয়াসের অফিসার শাহরিয়ার শিমুলসহ অন্যরা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন স্মার্ট প্রকল্পের এমআইএস ও ডকুমেন্টেশন অফিসার মোমেনা ফেরদৌস। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)’র সহযোগিতায় স্মার্ট প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কাজ করছে প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটি। উল্লেখ্য, স্মার্ট প্রকল্প নিয়ে প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর, শিবগঞ্জ, নাচোল ও গোমস্তাপুর উপজেলায় এবং রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও পবা উপজেলায় কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে। এই প্রকল্পের মেয়াদকাল ৪ বছর। এর মাধ্যমে লক্ষিত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ১ হাজার ৫০০ জনকে ঋণ, অনুদান এবং প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রিসোর্স ইফিশিয়েন্ট অ্যান্ড ক্লিনার প্রোডাকশন (আরইসিপি) চর্চার মাধ্যমে আম উৎপাদনকারী / আমচাষি / আম ব্যবসায়ী / আম প্রক্রিয়াজাতকারী (আমসত্ব, আচার, ম্যাংগোবার, ম্যাংগোজুস, ম্যাংগো পাউডার) / আমবাজারতাকারী (দেশ ও বিদেশ) / আম উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণে সরঞ্জাম বা মেশিনারিজ যানবাহন / নার্সারি / জৈব সার উৎপাদন ও বাজারজাতকারী অর্থাৎ আমের সাথে সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তাগণ এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত হবেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছবি নয়, ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে পরিচয় যাচাইয়ের দাবিতে পর্দানশীন নারীদের মানববন্ধন, স্মারকলিপি পেশ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছবি নয়, ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে পরিচয় যাচাইয়ের দাবিতে পর্দানশীন নারীদের মানববন্ধন, স্মারকলিপি পেশ ছবি নয় বরং ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে পরিচয় যাচাইয়ের দাবিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে মানববন্ধন করেছে পর্দানশীন নারীরা। আজ সকালে জেলা নির্বাচন অফিসের সামনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পর্দানশীন নারী সমাজ নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে অনুষ্ঠিত কর্মসূচীতে বিষয়টিকে পর্দানশীন নারীদের সাথে বৈষম্য দাবী করে গত ১৬ বছর যাবৎ এই কারণে পর্দানশীন নারীদের নারিকত্ব বঞ্চিত রাখার প্রতিবাদ জানানো হয়। সম্পূর্ণ পর্দা করার কারণে শিক্ষাক্ষেত্রেও নারীরা বঞ্চনার শিকার দাবি করে মানববন্ধন শেষে দাবিসমূহ পূরণের জন্য জেলা নির্বাচন অফিসার ও জেলা শিক্ষা অফিসারকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন তৌফিয়া খাতুন, আহমদ নুরজাহান মতি, মাকসুদা আক্তার, মাহফুজা খাতুনসহ অন্যান্যরা। বক্তারা বলেন, শুধু ছবির কারণে অসংখ্য পর্দানশীন নারীর নাগরিকত্ব আটকে রাখা হয়েছে। এ কারেনে ওইসব নারীরা মৌলিক ও নাগিরক অধিকার বঞ্চিত। এনআইডি না থাকায় তাঁরা বিভিন্ন সুবিধা ও সেবা বঞ্চিত। বিগত নির্বাচন কমিশন সমূহের কতিপয় কর্মকর্তা এজন্য দায়ী। তাঁদের বিচার হওয়া উচিত। বক্তরা আরও বলেন, ছবির সাথে চেহারা মেলানো আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্সের (এআই) যুগে সেকেলে পদ্ধতি। পরিচয় শনাক্তের আরও অনেক আধুনিক ও নির্ভূল পদ্ধতি রয়েছে। অনেক সরকারি কর্তৃপক্ষই পরিচয় শনাক্তের জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহার করে কারণ চেহারা পরিবর্তণশীল। এসবের কিছু উদাহরণ তুলে ধওে তাঁরা আরওে বলেন, ছবি ছাড়াই নাগরিকত্ব পাওয়া সাংবিধানিক ও মানবাধিকারের অন্তর্ভূক্ত বলে তাঁরা দাবি করেন। কাউকে চেহারা দেখানো বা না দেখানো একান্তই ব্যাক্তিগত বিষয়। এ ছাড়া ছবির অপব্যবহার ঝুঁকি রয়েছে। পর্দানশীন নারীরা বলেন, গত জুলাই-আগষ্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলন ছির বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার। পর্দনশীন নারীরা এখন ১৬ বছরের বৈষম্যর সমাপ্তি চান। তাঁরা মূল তিনটি দাবি তুলে তরেন। এসব হচ্ছে, যে সব ইসি কর্মকর্তা ১৬ বছর পর্দানশীন নারীদের নাগরিকত্ব আটকে রেখেছে তাঁদের বিচার,পর্দানশীন নারীদের ব্যাক্তিগত গোপননীয়তা বজায় রেখে ছবি ছাড়াই ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে এনআইডি ও শিক্ষা অধিকার প্রদান করা এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়ার ক্ষেত্রে নারী কর্মীদের ব্যবহার করা।
শিবগঞ্জে অবৈধভাবে মাটিকাটায় দুটি ড্রেজার মেশিন জব্দ, একলক্ষ টাকা অর্থদন্ড
শিবগঞ্জে অবৈধভাবে মাটিকাটায় দুটি ড্রেজার মেশিন জব্দ, একলক্ষ টাকা অর্থদন্ড শিবগঞ্জ উপজেলার কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই অবৈধভাবে মাটি কাটার দায়ে মোবাইল কোর্টের অভিযানে ২টি ড্রেজার মেশিন বা ভ্যাকু মেশিন জব্দ হয়েছে। সেই সাথে অবৈধভাবে মাটি বহনে ব্যবহৃত ট্রাক্টর-ট্রলির এক মালিককে একলক্ষ টাকা অর্থদন্ড করা হয়েছে। সেই সাথে যে দুটি জমি থেকে মাটি কাটা হয়েছে তার এক মালিক ও এক নির্দেশদাতার বিরুদ্ধে দু’টি পৃথক মামলা করা হয়েছে। গতকাল বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ও আজ সকাল ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত চলা পৃথক দু’টি অভিযানে এ সব ব্যবস্থা নেয়া হয় বলে জানিয়েছে মোবাইল কোর্ট সূত্র। মোবাইল কোর্টের বিচারক ও শিবগঞ্জের সহকারী কমিশনার ভূমি তৌফিক আজিজ বলেন, গতকাল মোবারকপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর মৌজার রঘুনাথ বিল (ঘোড়দাড়ার বিল) নামক স্থানে অবৈধভাবে মাটিকাটার সময় ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ও স্থানীয় সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে একটি ভ্যাকু মেশিন জব্দ হয়। এচাড়া ট্রাক্টর-ট্রলির মালিক আব্দুল আলিমকে ১ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড করা হয়। বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৪ ধারা ভঙ্গের দায়ে ১৫(১) ধারায় ওই দন্ড দেয়া হয়। এছাড়া আজ সকালে ওই জমির মালিক প্রভাস দাসের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট তৌফিক আজিজ আরও বলেন, এদিকে আজ চককীর্তি ইউনিয়নের বসন্তপুর এলাকায় অবৈধভাবে মাটিকাটার অভিযোগে ২টি ড্রেজার মেশিন জব্দ করা হয়েছে। তবে অভিযানকালে কাউকে পাওয়া যায় নি। এর আগে এইস্থানে মাটিকাটার নির্দেশদাতা সাদিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে গত সোমবার নিয়মিত মামলা করা হয়। অবৈধ মাটিকাটার বিরুদ্ধে অভিযান চলমান আছে বলেও জানান ম্যাজিষ্ট্রেট তৌফিক আজিজ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রতিবন্ধী শিশু শিক্ষার্থীদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রতিবন্ধী শিশু শিক্ষার্থীদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরের শাহীবাগে বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হাইকেয়ার একাডেমির শিক্ষার্থীদের মধ্যে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় শাহীবাগে প্রতিষ্ঠানটির ক্লাসরুমে প্রধান অতিথি হিসেবে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন নবাবগঞ্জ ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম জাকারিয়া। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অ্যাডভোকেট আবু বাক্কারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- জেলা ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের সভাপতি অ্যাডভোকেট ইসাহাক আলী, জেলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক শহিদুল ইসলামসহ হাইকেয়ার একাডেমির শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিবাবকসহ স্থানীয় সুধীম-লী।
পদ্মা নদীতে কিশোরের মরদেহ উদ্ধার
পদ্মা নদীতে কিশোরের মরদেহ উদ্ধার চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিখোঁজের দুদিন পর পদ্মা নদী থেকে আবু রায়হান শাহিন নামে এক কিশোরের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সকালে সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের ৬নং বাঁধ এলাকায় পদ্মা নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। শাহিন শিবগঞ্জ উপজেলার ঘোড়াপাখিয়া ইউনিয়নের সতের রশিয়া গ্রামের ইব্রাহিম হোসেনের ছেলে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রইস উদ্দিন জানান, সকালে সুন্দরপুরের ৬নং বাঁধ এলাকায় পদ্মা নদীতে শাহিন নামে একজনের মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। শাহিনের পরিবারের বরাত দিয়ে ওসি আরো জানান, শাহিন মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। সে গত শনিবার পদ্মা নদীতে গোসল করতে গিয়ে ডুবে যায়। এ ঘটনায় সদর মডেল থানায় অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে বলেও জানান ওসি। স্থানীয়রা জানান, সদর উপজেলার সুন্দরপুর ও শিবগঞ্জ উপজেলার ঘোড়াপাখিয়া ইউনিয়ন পাশাপাশি অবস্থিত।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আগ্নেয়াস্ত্র কারবারি ২ যুবকের ১৫ বছর করে কারাদন্ড
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আগ্নেয়াস্ত্র কারবারি ২ যুবকের ১৫ বছর করে কারাদন্ড চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিনা লাইসেন্সে ২টি বিদেশী পিস্তল, ২ রাউন্ড পিস্তলের গুলি ও ২টি ম্যাগজিন বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিজেদের হেফাজতে রাখার অভিযোগে অস্ত্র আইনে দায়েরকৃত একটি মামলায় ২ যুবককে ১৫ বছর করে কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন বিশেষ ট্রাইবুনাল। দন্ডিতরা হলেন- গোমস্তাপুর উপজেলার নরশিয়া পলাশবোনা গ্রামের মো: ফয়মদ্দিনের ছেলে মামুন ও একই গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে দুলু মিয়া। আজ চাঁপাইনবাবগঞ্জের স্পেশাল ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারক মিজানুর রহমান উভয় আসামীর উপস্থিতিতে আদেশ প্রদান করেন। মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা যায় এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর ভোলাহাট উপজেলার বড়জামবাড়িয়া এলাকায় র্যাব-৫ রাজশাহীর অভিযানে ২টি পিস্তল, ২ রাউন্ড গুলি ও ২টি ম্যাগজিনসহ আটক হন মামুন ও দুলু মিয়া। এ ঘটনায় র্যাবের তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজার রহমান ওই ২ জনকে আসামী করে ২০২০ সালের ১ জানুয়ারী ভোলাহাট থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) এবং ভোলাহাট থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক আতাউর রহমান ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারী ওই দু’জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। ৭ জনের সাক্ষ্য, প্রমাণ ও শুনানীর পর ট্রাইবুনাল আজ মামুন ও দুলু মিয়া উভয়কে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রবীণ সাংবাদিক জোবদুল হক আর নেই
চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রবীণ সাংবাদিক জোবদুল হক আর নেই চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি ও যুগান্তরের সাবেক প্রতিনিধি জোবদুল হক ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। আজ বিকেল সোয়া ৪টার দিকে নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও দুই ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিক ও প্যারালাইসিস রোগে ভুগছিলেন। আগামীকাল সকাল সাড়ে ১০টায় সত্রাজিতপুর কেন্দ্রীয় গোরস্থান প্রাঙ্গণে মরহুমের নামাজে জানাযা শেষে সেখানেই তার মরদেহ দাফন করা হবে। সে উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালে সাংবাদিকতা পেশায় তিনি প্রথমে রাজশাহী থেকে প্রকাশিত দৈনিক বার্তায় কাজ শুরু করেন। এরপর বাংলার বাণী ও সর্বশেষ যুগান্তরে কাজ করছিলেন।