পাভেলের মৃত্যুতে নাগরিক স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল

পাভেলের মৃত্যুতে নাগরিক স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল চাঁপাইনবাবগঞ্জে মরহুম আজিজুর রহমান খাঁন পাভেলের মৃত্যুতে নাগরিক স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকাল ৪টায় হরিমোহন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে মরহুমের বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ীরা এই স্মরণসভার আয়োজন করে। সেন্টু স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক মো. তৌহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় মরহুম পাভেলের জীবনের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য দেন— চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, পাঠানপাড়া সরকারি প্রাথামিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মারুফুল হক, ব্যবসায়ী রাইহানুল ইসলাম ল্নুা, সিটি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জামিউল হক সোহেলসহ মরহুমের বন্ধুরা। সভা সঞ্চালনা করেন আসাদুজ্জামান পলাশ। মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন, পৌরসভার সাবেক মেয়র মাওলানা মো.আব্দুল মতিন। প্রসঙ্গত, রাজশাহী সিটি হাট এলাকায় সম্প্রতি এক সড়ক দুর্ঘটনায় আজিজুর রহমান খাঁন পাভেলসহ দুজন নিহত হন।

ডেঙ্গুতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে একদিনে আরো ১১ জন আক্রান্ত

ডেঙ্গুতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে একদিনে আরো ১১ জন আক্রান্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ১১ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে জেলা হাসপাতালের আন্তঃবিভাগে ৬ জন ও বহির্বিভাগে ৩ জন এবং গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ২২ জন রোগী। একই সময়ে জেলা হাসপাতাল থেকে ৩ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে এবং অবস্থার অবনতি হওয়ায় ১ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। সিভিল সার্জন অফিস ও জেলা হাসপাতালের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিদিনের প্রতিবেদনে আজ এই তথ্য জানানো হয়েছে। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ৭৩ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে জেলা হাসপাতালে ৫৫জন, শিবগঞ্জে ৭ জন ও গোমস্তাপুরে ১১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। অপরদিকে একই সময়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৬৫ জন রোগী।

পরিকল্পনা কমিশনে প্রক্রিয়াধীন; পদ্মা নদীর ভাঙন রোধে গৃহীত প্রকল্প

পরিকল্পনা কমিশনে প্রক্রিয়াধীন; পদ্মা নদীর ভাঙন রোধে গৃহীত প্রকল্প চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ ও সদর উপজেলায় পদ্মা নদীর ভাঙন রোধে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। প্রকল্পটি বর্তমানে পরিকল্পনা কমিশনে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত পদ্মা নদীর উভয় তীরে নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্প (১ম পর্যায়)’ শীর্ষক এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৫১.০২৯১ কোটি টাকা। পদ্মা নদীটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। পদ্মা নদীর প্রবেশমুখ হতে ফারাক্কা ব্যারেজের দূরত্ব মাত্র ১৮ কিলোমিটার। যার ফলে প্রতি বছর শত শত পরিবার তাদের ভিটামাটি, ফসলি জমি, বাজার, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, আমবাগানসহ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। পদ্মা নদীর মরফোলজিক্যাল পরিবর্তনের কারণে ও ফারাক্কা ব্যারেজের বিরূপ প্রভাবে গত দশ বছরে প্রায় ৩ কিলোমিটার নদীর ব্যাংক লাইন স্থানান্তরিত হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস.এম. আহসান হাবীব জানান, বর্তমানে পদ্মা নদীর বামতীরে ১১.১৫ কিলোমিটার এবং ডান তীরে ১৪.২০ কিলোমিটার; মোট ২৫.৩৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যে ব্যাপক নদী ভাঙন রয়েছে। তিনি আরো জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষে ২০২৩ সালে আইডব্লিউএম ফিজিবিলিটি স্টাডি করেছে। আইডব্লিউএম’র সুপারিশের আলোকে শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর, মনাকষা ও পাঁকা এলাকায় পদ্মা নদীর বাম তীরে ৫.৭৪০ কিলোমিটার স্থায়ী নদী তীর সংরক্ষণ কাজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার পদ্মা নদীর ডান তীরে ৩.০৯ কিলোমিটার সর্তকতামূলক নদী তীর সংরক্ষণ কাজ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় আলাতুলি প্রকল্পে পদ্মা নদীর বাম তীরে ০.৫০০ কিলোমিটার নদী তীর পুর্নবাসন কাজ অন্তর্ভুক্ত করে প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়। প্রস্তাবনাটি বর্তমানে পরিকল্পনা কমিশনে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রকল্পটির সম্ভাব্য মেয়াদকাল ধরা হয়েছে এ বছরের নভেম্বর হতে ২০২৯ সালের জুন পর্যন্ত। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৫১.০২৯১ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ৯.৩৩ কিলোমিটার নদী তীর প্রতিরক্ষা কাজ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত অংশে পদ্মা নদীর উভয় তীরে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে নদী ভাঙন রোধ হবে, সরকারি ও বেসরকারি সম্পদ রক্ষা পাবে। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার বিকেলে শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর, জাইটপাড়া, কানছিড়া ও দুর্লভপুর ইউনিয়নের ঝাইলপাড়া, আইয়ুব বিশ্বাসের ঘাট, ফিল্ডের বাজার পাঁকাঘাট, দোভাগী নামোজগন্নাথপুর এলাকার ভাঙন পরিদর্শন করেন প্রধান উপদেষ্টার সহকারী একান্ত সচিব শাব্বির আহমদ। এসময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস. এম. আহসান হাবীব, পাঁকা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক ও দুর্লভপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য সাইদুর রহমানসহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে একদিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড

চাঁপাইনবাবগঞ্জে একদিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড; দুর্ভোগে  নিচু এলাকার মানুষ স্মরণকালের ভয়াবহ বৃষ্টিতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ। দুর্ভোগে পড়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নিচু এলাকার মানুষ। শুক্রবার রাতভর বৃষ্টিতে ঘরে, দোকানে পানি ঢুকে পড়েছে। রাস্তায় পানি হাঁটু অবধি গড়িয়েছে। কোথাও কোমর ছুঁয়েছে। ভারী বৃষ্টিতে পুকুরের পানি উপচে পড়েছে। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ, ক্ষতি হয়েছে ফসলের বিশেষ করে রোপা আমন ধানের, শিবগঞ্জের পুঁটিমারী বিলের সিংহভাগ ফসল নিমজ্জিত হয়েছে, রেললাইনে পানি উঠে পড়ায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। এছাড়া সদর উপজেলার বারঘরিয়া দৃষ্টিনন্দন পার্কের একটি অংশ মহানন্দায় দেবে গেছে। শিবগঞ্জে একটি সেতুর ক্ষতি হয়েছে। অন্য উপজেলাগুলোতেও ভারী বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষয়ক্ষতিসহ পুকুরের ক্ষতি হয়েছে। গত শুক্রবার রাতভর জেলায় গড় বৃষ্টি হয়েছে ১৯১ মিলিমিটার। শুধু সদর উপজেলাতেই বৃষ্টি হয়েছে ২৬০ মিলিমিটার। জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৩ সাল থেকে একদিনে এত বৃষ্টি আগে কখনো রেকর্ড হয়নি। গত শুক্রবার রাত ৮টার দিক থেকে শুরু হয় বৃষ্টি। রাত যত বেড়েছে, বৃষ্টির পরিমাণও বেড়েছে। ভারী বৃষ্টিতে জেলাশহরের অনেক এলাকা জলমগ্ন হয়ে যায়। সকাল হতে হতে অনেকের বাড়ির ভেতরে পানি ঢুকে পড়ে। যেসব এলাকার পানি নিষ্কাশনে সমস্যা আছে সেসব এলাকার রাস্তায় পানি জমে জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন সুষ্টি হয়। ভারী বৃষ্টিতে অনেকের পুকুরের মাছ ভেসে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। কিছু কিছু জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। শনিবার সকালে দেখা যায়, জেলাশহরের শাহ নেয়ামতুল্লাহ কলেজের পেছনের বাসিন্দাদের অনেকের বাড়ির ভেতরে পানি ঢুকে পড়েছে। অক্ট্রয় মোড়ের সড়ক ও জনপথ বিভাগের শাপলা পুকুর উপচে জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের মহাসড়কে পানি উঠে পড়েছে। ডুবে গেছে অক্ট্রয় মোড়ের দোকানপাট। জেলা প্রশাসকের বাসভবন চত্বর ও পুলিশ সুপারের বাসভবনের রাস্তায় পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। পানি জমে থাকতে দেখা গেছে কালেক্টরেট শিশু পার্কের রাস্তা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর পুরাটাই জলমগ্ন হয়ে পড়ে। পানি জমে থাকতে দেখা যায় জেলা জজের বাসভবন চত্বর, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয় চত্বর, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনের রাস্তা, নিমতলা, বাতেন খাঁর মোড়, নিউ মার্কেটসহ বিভিন্ন রাস্তায় পানি জমে থাকতে খো যায়। ক্লাব সুপার মার্কেটের ভেতরে পানি ঢুকে পড়ে। তবে নিউ মার্কেট এলাকায় নতুন ড্রেন নির্মাণ করায় জলবদ্ধতা দ্রুত নিরসন হতে দেখা যায়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নগর পরিকল্পনাবিদ ইমরান হোসেন বলেন— মহান্দা সেতুর সংযোগ সড়ক শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার প্রধান প্রধান সড়কে বড় বড় ড্রেন নির্মাণ কার্যক্রম চলছে। মূল শহরের ভেতরে যেসব জায়গায় ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে সেসব জায়গার কোথাও কোথাও জমি অধিগ্রহণ সমস্যা ও বৈদ্যুতিক পোল অপসারণ না হওয়ায় নতুন ড্রোনগুলোর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা যাচ্ছে না। ফলে ড্রোনগুলো বন্ধ থাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। তবে সম্প্রতি নেসকো কর্তৃপক্ষ এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছেন। পোলগুলো সরিয়ে নিলে এবং জমি অধিগ্রহণ সমস্যার সমাধান হয়ে গেলেই নতুন নির্মাণাধীন ড্রেনগুলোর নির্মাণ কাজ শেষ করা যাবে। তিনি জানান, এই প্রকল্পের মেয়াদ আগামী ২০২৬ সালের জুন মাস পর্যন্ত। আশা করা যায়, আগামী বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা থাকবে না। এদিকে অতিবৃষ্টিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বড়পুকুরিয়া এলাকায় প্রায় এক কিলোমিটার রেললাইন পানিতে তলিয়ে যায়। রেললাইন পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। এর ফলে আন্তঃনগর ট্রেন বনলতা এক্সপ্রেস গতকাল শনিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিট দেরিতে ছেড়ে যায়। এছাড়াও ঈশ্বরদী থেকে ছেড়ে আসা চাঁপাইনবাবগঞ্জ অভিমুখী ৫ আপ রাজশাহী কমিউটার ট্রেন অতিরিক্ত পানির কারণে বড়পুকুরিয়া এলাকায় চার ঘণ্টা আটকা পড়ে। এর ফলে শত শত যাত্রী দুর্ভোগে পড়েন। রেললাইন থেকে পানি নামার পর পুনরায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশন মাস্টার শহিদুল ইসলাম জানান, সারারাত বৃষ্টিতে আমনুরা থেকে সদর উপজেলার বড়পুকুরিয়ায় প্রায় এক কিলোমিটার রেললাইন পানির নিচে তলিয়ে যায়। এর ফলে পুকুরিয়া এলাকায় ট্রেন চলাচল করতে পারছিল না। সেখানে ৫ আপ কমিউটার ট্রেনটি সারারাত আটকা ছিল। অপরদিকে বারঘরিয়া দৃষ্টিনন্দন পার্কে বিনোদনপ্রেমীদের জন্য নির্মিত বসার স্থানটি ভেঙে মহানন্দায় দেবে গেছে। অন্যদিকে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের পাগলা নদীর ওপর নির্মিত একটি সেতুর দুই ধার থেকে মাটি সরে যাওয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে সেতুটি। এছাড়া এটি জনসাধারণের চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণও হয়ে গেছে। এদিকে মাছচাষি অলি ও রবি জানান, সদর উপজেলার সাতনৈই এলাকায় অন্তত ৩০টি পুকুরের পানি উপচে সমস্ত মাছ ভেসে গেছে। এতে তাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শাহীনূর রহমান জানান— এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো মাছ ভেসে যায়নি। এদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. ইয়াছিন আলী জানান, শুক্রবার ভোর থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় গড় বৃষ্টি হয়েছে ১৯১ মিলিমিটার। এর মধ্যে সদর উপজেলায় বৃষ্টি হয়েছে ২৬০ মিলিমিটার, শিবগঞ্জ উপজেলায় ১৭৫ মিলিমিটার, গোমস্তাপুর উপজেলায় ১৮০ মিলিমিটার, নাচোল উপজেলায় ১৭৫ মিলিমিটার ও ভোলাহাট উপজেরা বৃষ্টি হয়েছে ১৬৫ মিলিমিটার। ড. ইয়াছিন আরো জানান, ভারী বৃষ্টিতে জেলায় ৪ হাজার ৪৫৯ হেক্টর জমির ফসল আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ২ হাজার ২৩৫ হেক্টর রোপা আমন, ৩৭ হেক্টর আলু, ৯১৭ হেক্টর সরিষা, শাকসবজি ৩১৬ হেক্টর, ২৪৪ হেক্টর পেঁয়াজ, ২৫০ হেক্টর মাসকলাই, ৬৮ হেক্টর ভুট্টা, ১৩ হেক্টর স্ট্রবেরি, ৩৭৯ হেক্টর রসুন। চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরির সময় মোট ক্ষতি ও কৃষকের সংখ্যা জানা যবে বলে তিনি জানান।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে র‌্যাবের অভিযানে হেরোইনসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেফতার

চাঁপাইনবাবগঞ্জে র‌্যাবের অভিযানে হেরোইনসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেফতার চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার উপরাজারামপুর এলাকা থেকে হেরোইনসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। গ্রেফতাররা হলেন নাচোল উপজেলার দেওপাড়া গ্রামের নুজরুল ইসলামের ছেলে জুয়েল রানা এবং দক্ষিণ সাকোপাড়া গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে জসিম উদ্দিন। র‌্যাব-৫ এর পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে র‌্যাব-৫ এর একটি দল উপরাজারামপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২০০ গ্রাম হেরোইনসহ তাদের গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আসামিদের চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে চোরচালানকৃত ভারতীয় মদসহ অন্যান্য পণ্য জব্দ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে চোরচালানকৃত ভারতীয় মদসহ অন্যান্য পণ্য জব্দ চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলা সীমান্তে বিজিবির দুটি পৃথক অভিযানে চোরচালানকৃত ৩২ বোতল ভারতীয় মদ, ৭ হাজার ৬৮০ প্যাকেট ভারতীয় পাতার বিড়ি এবং ৫৪০ পিস ভারতীয় মলম জব্দ হয়েছে। তবে এসব অভিযানে কেউ আটক হয়নি। বিজিবি জানায়, গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে সদরের চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের গোয়ালডুবি এলাকায় বাখের আলী বিওপির একটি টহল দল বিড়ি ও মলম জব্দ করে। বিজিবি আরও জানায়, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে শিবগঞ্জের মনাকষা ইউনিয়নের তারাপুর গ্রামে মাসুদপুর বিওপির একটি বিশেষ টহল দল মদ জব্দ করে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানগুলো চালানো হয়েছে। জব্দকৃত ৩২ বোতল মদ শিবগঞ্জ থানায় এবং ৭ হাজার ৬৮০ প্যাকেট ভারতীয় পাতার বিড়ি ও ৫৪০ পিস ভারতীয় মলম চাঁপাইনবাবগঞ্জ কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নিকট জমা করা হবে। সীমান্তে চোরচালান বিরোধী টহল বাড়ানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন অধিনায়ক।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর থেকে শান্তা খাতুন নামে এক তরুণী গৃহবধুর সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি শিবগঞ্জ উপজেলার কাছিয়াবাড়ি গ্রামের মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী মাহফিক আলীর স্ত্রী এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের ১৫নং ওয়ার্ডের বালুবাগান মহল্লার মৃত ফেলুরুদ্দিনের মেয়ে। প্রায় ৪ বছর আগে বিয়ে হওয়া শান্তার আড়াই বছরের একটি শিশুকন্যা রয়েছে। স্বামী বিদেশে থাকায় শান্তা সন্তানকে নিয়ে পিতার বাড়িতে থাকতেন। পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে খাবারের পর নিজ ঘরে ঘুমাতে যান শান্তা। বিকেল পৌনে ৩টার দিকে শান্তার শাশুড়ি শান্তার মাকে ফোন করলে কথা বলানোর জন্য শান্তাকে ডাকতে যান তাঁর মা। কিন্তু ডাকাডাকিতে তিনি সাড়া না দিলে ঘরের জানালা দিয়ে শান্তাকে ফ্যানের সাথে ঝুলতে দেখেন পরিবারের সদস্যরা। এ সময় চেঁচামেচিতে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে মরদেহ নামায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে এবং বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শান্তা আত্মহত্যা করেছেন। তবে এর কারণ নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুকোমল চন্দ্র দেবনাথ জানান, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় শান্তার ভাই আলিফ আলী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন। পুলিশ শান্তার মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখছে বলেও জানিয়েছেন পরিদর্শক সুকোমল চন্দ্র দেবনাথ।

 লালন সাঁইজির ১৩৫ তম তিরোধান দিবসে সাধুসঙ্গ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

লালন সাঁইজির ১৩৫ তম তিরোধান দিবসে সাধুসঙ্গ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চাঁপাইনবাবগঞ্জে লালন সাঁইজির ১৩৫ তম তিরোধান দিবস উদযাপন উপলক্ষে সাধুসঙ্গ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘বাউল ভক্তকুল’ নামের একটি স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে। লালনের অমর বাণী পরিনবশেনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। সাধু শাহজাহান চিশতির সভাপতিত্বে এবং আবৃত্তিকার আ্শরাফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন, বাউল ভক্তকুল সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বাউল কাউসার রিপন। লালনের জীবন দর্শণ নিয়ে আলোচনা করেন সুফী তানভির আহমেদ সজিব, লেখক আনিফ রুবেদ, সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘বিশ্ব বাউল কুঞ্জ’ এর প্রতিষ্ঠাতা বাউল আলাল শাহসহ অন্যরা।অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা সাধু ও লালন ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে সন্ধ্যা পর্যন্ত লালন সঙ্গীত পরিবেশিত হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডেঙ্গুতে একদিনে আরো ১২ জন আক্রান্ত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডেঙ্গুতে একদিনে আরো ১২ জন আক্রান্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ১২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের আন্তঃবিভাগে ৬ জন ও বহির্বিভাগে ২ জন এবং নাচোল ও ভোলাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ জন করে রোগী শনাক্ত হয়েছেন। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ২০ জন রোগী। একই সময়ে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল থেকে ৫ জন ও নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ২ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে, অবস্থার অবনতি হওয়ায় ভোলাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ১ জন রোগীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। ভর্তি রোগীদের মধ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ১৫ জন পুরুষ ও ১ জন মহিলাসহ ১৬ জন, শিবগঞ্জে ১ জন পুরুষ, গোমস্তাপুরে ১ জন মহিলা এবং ভোলাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ জন পুরুষ রোগী রয়েছেন। সিভিল সার্জন অফিস ও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিদিনের প্রতিবেদনে আজ এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিনোদপুর ডিগ্রী কলেজে তিন শিক্ষকের অবসরজনিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত 

বিনোদপুর ডিগ্রী কলেজে তিন শিক্ষকের অবসরজনিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত  চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জে বিনোদপুর ডিগ্রী কলেজে ৩ জন শিক্ষকের অবসরজনিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিদায়ী শিক্ষকগণ হলো,   মোহাঃ মোজাম্মেল হক, সহকারী অধ্যাপক দর্শন বিভাগ,  মহাঃ শাহজাহান, সহকারী অধ্যাপক জীব বিজ্ঞান বিভাগ ও  মহাঃ তৌহিদ উল আলম ,সহকারী অধ্যাপক ব্যবস্থাপনা বিভাগ । বৃহস্পতিবার সকালে বিনোদপুর কলেজে অবসর জনিত বিদায় সংবর্ধনা শিক্ষক মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। অধ্যক্ষ  মুহাঃ সেফাউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি  মহাঃ আসাদুজ্জামান। অন্যান্যদের মধ্যে  বক্তব্য রাখেন, উপাধ্যক্ষ  মহা তোহরুল আমীন এবং সহকারী অধ্যাপক মোঃ আলমগীর  প্রমূখ। দোয়া ও মোনাজাত শেষে অধ্যক্ষ সাহেব বিদায়ী শিক্ষকদের  হাতে উপহার সামগ্রী তুলে দেন ও মিষ্টিমুখ করেন।