01713248557

পদ্মা মহানন্দা পুনর্ভবায় বেড়েছে পানি নিমজ্জিত ১৩৫৪ হেক্টর জমির ফসল

পদ্মা মহানন্দা পুনর্ভবায় বেড়েছে পানি নিমজ্জিত ১৩৫৪ হেক্টর জমির ফসল চাঁপাইনবাবগঞ্জের পদ্মা, মহানন্দা ও পুনর্ভবা নদীতে বন্যার পানি বাড়ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে গত ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে সোমবার পর্যন্ত মাসকলাইসহ ১ হাজার ৩৫৪ হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে মাসকলাইয়ের। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৪ হাজার ২৮৫ জন কৃষকের ২৫ হাজার ৭৪০ হেক্টর জমির মাসকলাইয়ের মধ্যে সম্পূর্ণ নিমজ্জিত হয়েছে ১ হাজার ৩১২ হেক্টর জমি। অন্যদিকে ৩০ জন কৃষকের ৫ হেক্টর জমির রোপা আউশ, ৮০ জন কৃষকের ৯ হেক্টর গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ, ১৭০ জন কৃষকের ২৫ হেক্টর সবজি, ২০ জন কৃষকের ৩ হেক্টর চিনা নিমজ্জিত হয়েছে। আক্রান্ত ইউনিয়নগুলো হচ্ছে- সদর উপজেলার আলাতুলি, শাহজাহানপুর, চরবাগডাঙ্গা, বারঘরিয়া এবং শিবগঞ্জ উপজেলার উজিরপুর, পাঁকা, দুর্লভপুর, ঘোড়াপাখিয়া, ছত্রাজিতপুর, মনাকষা, গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর, চৌডালা, রাধানগর, বোয়ালিয়া, বাঙ্গাবাড়ী, আলীনগর ও রহনপুর পৌরসভা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক ড. পলাশ সরকার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা নারায়ণপুর ইউনিয়নের কৃষক জসীম উদ্দীন বলেন, ১০ থেকে ১৫ দিন আগে প্রায় ২০ বিঘা জমিতে মাসকলাই বীজ বুনেছিলাম। হঠাৎ করে পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আমার সব জমির মাসকালাই ডুবে যায়। কয়েক দিনের মধ্যে যদি পানি না নামে, তাহলে আমি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবো। নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজির হোসেন জানান, হঠাৎ করে পানি বৃদ্ধির ফলে চরাঞ্চলের বিপুল পরিমাণ জমির মাসকালাই ডুবে যাওয়ায় নষ্ট হতে বসেছে। এদিকে শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক জানান, বন্যায় বসতবাড়ি না ডুবলেও পাঁকা ইউনিয়নের মাসকলাই সম্পূর্ণ ডুবে গেছে। ২ হাজার ৫০০ কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যদিকে চলতি বর্ষা মৌসুমে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নে ৪১টি ও দুর্লভপুর ইউনিয়নের ১১০টি পরিবার পদ্মা নদীর ভাঙনের শিকার হয়েছেন। শিবগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. তাছমিনা খাতুন জানান, চলতি বন্যা মৌসুমে সদর উপজেলার আলাতুলি ইউনিয়নে বন্যায় ৪২২টি পরিবার ও নারায়ণপুর ইউনিয়নে বন্যা ও নদী ভাঙনে ৪২৩টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রসঙ্গত, মাসকলাই হচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষের খাদ্য তালিকার প্রধান একটি ফসল। এখনো গ্রামবাংলার মানুষ মাসকলাইয়ের রুটি খেয়ে সকালের নাস্তা সারেন। ডাল হিসেবেও মাসকলাইয়ের জুড়ি নেই। পদ্মা ও মহানন্দা নদীর পলিপড়া জমিতে কৃষকরা কোনো জমি তৈরি ছাড়াই মাসকলাইয়ের বীজ জমিতে ছিটিয়ে দেন। বিশেষ করে পদ্মার চরবেষ্টিত এলাকার কৃষকরা প্রতিবছর বন্যার পানি ওঠানামার কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হন। অন্যদিকে পদ্মা নদীর তীরবর্তী মানুষের জীবনে ভাঙনের খেলা চলছেই। ১৯৯৫-৯৬ সাল থেকে শুরু হওয়া ভাঙনে লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আবু শোয়েব জানান, চলতি বছর শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকার ঘাট, পন্ডিতপাড়া, নামোজগন্নাথপুর, মনোহরপুর এলাকায় পদ্মা নদীর বাম তীরে সাড়ে ৫ কিলোমিটার জুড়ে নদী ভাঙন হয়েছে। এছাড়া ডান তীরে পাঁকা-নারায়ণপুর এলাকায় প্রায় ৫ কিলোমিটার ভেঙেছে। অন্যদিকে সদর উপজেলার আলাতুলি ইউনিয়নে পদ্মা নদীর ডান তীরে নদী ভেঙেছে প্রায় দেড় কিলোমিটার। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মায় ১২ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। সোমবার বিপৎসীমার ৮৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পদ্মার পানি প্রবাহিত হয়। পদ্মার বিপৎসীমা হচ্ছে ২২.০৫ মিটার। বর্তমান পানির উচ্চতা ২১.১৭ মিটার। পদ্মা নদীর পাঁকা পয়েন্টে পানির স্তর রেকর্ড করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

সদর ও শিবগঞ্জে ডেঙ্গু শনাক্ত ২, হাসপাতালে ভর্তি ৬ জন

সদর ও শিবগঞ্জে ডেঙ্গু শনাক্ত ২, হাসপাতালে ভর্তি ৬ জন চাঁপাইনবাবগঞ্জে নতুন করে আরো ২ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ১ জন ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে এবং শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ জন শনাক্ত হন। এ নিয়ে চলতি বছর জেলায় ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৯ জনে। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে আক্রান্তদের মধ্যে ২ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৬ জন রোগী। তাদের মধ্যে সদরে ২ জন, শিবগঞ্জে ৩ জন ও ভোলাহাটে ১ জন ভর্তি রয়েছে। ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ ও ১ জন নারী।

শেষ হয়েছে অনূর্ধ্ব-১৫ বালক বালিকাদের কাবাডি ও দাবা প্রতিযোগিতা 

শেষ হয়েছে অনূর্ধ্ব-১৫ বালক বালিকাদের কাবাডি ও দাবা প্রতিযোগিতা চাঁপাইনবাবগঞ্জে অনূর্ধ্ব-১৫ বালক-বালিকাদের দিনব্যাপী কাবাডি ও দাবা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ নবাবগঞ্জ জেলা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে বিদ্যালয়টির সহযোগিতায় এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ক্রীড়া পরিদপ্তরের বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি ২০২৪-২৫ এর আওতায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ক্রীড়া অফিস এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। সকাল ৯টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আহমেদ মাহবুব-উল ইসলাম। জেলা ক্রীড়া অফিসার গৌতম কুমার সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নবাবগঞ্জ জেলা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুন-আর-রশিদ। কাবাডি প্রতিযোগিতায় ৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৪০ জন বালক এবং দাবা প্রতিযোগিতায় ৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৬ জন বালিকা অংশগ্রহণ করেন। চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় নবাবগঞ্জ জেলা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ৫৪-২৭ পয়েন্টে হরিপুর ১নং উচ্চ বিদ্যালয়কে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়। দাবায় একক প্রতিযোগিতায় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাইশা আনজুম চ্যাম্পিয়ন এবং মুহসিনা মাহফুজ আলো রানার্সআপ হন। খেলা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার ও ট্রফি প্রদান করা হয়। এসময় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আগত শিক্ষকমন্ডলী, ক্রীড়া সংগঠক, জেলা ক্রীড়া অফিস ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে হু হু করে বাড়ছে পদ্মা,মহানন্দা সহ নদীগুলোর পানি, নিমজ্জিত প্রায় ১০ হাজার বিঘা কৃষি ফসল

চাঁপাইনবাবগঞ্জে হু হু করে বাড়ছে পদ্মা, মহানন্দা সহ নদীগুলোর পানি, নিমজ্জিত প্রায় ১০ হাজার বিঘা কৃষি ফসল চাঁপাইনবাবগঞ্জে  গত ১ সপ্তাহ থেকে অনেকটা হঠাৎ করেই হু হু করে বাড়ছে পদ্মা,মহানন্দা, পূণর্ভবাসহ সকল নদনদীর পানি। স্থানীয়রা ও কৃষি বিভাগ জানিয়েছে,এতে তলিয়ে গেছে হাজার হাজার বিঘা নদীতীরবতী নীচু জমির মাসকললাই, রোপা আউশ, সবজি,গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ, চীনা ইত্যাদি কৃষি ফসল। তবে বেশি তলিয়েছে মাসকলাই ক্ষেত। এদিকে বন্যার শংকা নেই জানিয়ে আর ২/৩দিন বৃদ্ধির পরই কমতে শুরু করবে পানি বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এদিকে নদীতীরবর্তী জনপ্রতিনিধিসহ কোন সূত্র এখনও কোন ঘরবাড়ি নিমজ্জিত হবার খবর জানায় নি। তবে চরাঞ্চলে বসতবাড়ির নিকটেই চলে এসেছে পানি বলে জানা গেছে। এদিকে পদ্মার তীর ভাঙ্গার খবর পাওয়া গেছে। পাউবো সূত্র জানায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মার বিপদসীমা ২২.০৫ মিটার। গত ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে পানি বৃদ্ধি শুরু হয়। রবিবার(২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় পানি প্রবাহিত হচ্ছিল ২১.০৭ মিটারে। রবিবার সকাল ৬টায় প্রবাহিত হচ্ছিল ২০.৯৫ মিটারে। যা গত শনিবার(২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ২০.৭৮ ও সকালে ২০.৫৯ মিটারে প্রবাহিত হচ্ছিল। অর্থাৎ গত ৩৬ ঘন্টায় জেলার প্রধান নদীর পানি বেড়েছে ৪৮ সেমি। চাঁপাইনবাবগঞ্জের অপর প্রধান নদী মহানন্দার বিপদসীমা ২০.৫৫ মিটার। গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে এ্ই নদীর পানি বাড়ছে। রবিবার সন্ধ্যায় যা প্রবাহিত হচ্ছিল ১৮.৮০ মিটারে। যা সকালে প্রবাহিত হচ্ছিল ১৮.৬৭ মিটারে। গত শনিবার সন্ধ্যায় নদী প্রবাহিত হচ্ছিল ১৮.৫৪ ও সকালে ১৮.৩৮ মিটারে। অর্থাৎ গত ৩৬ ঘন্টায় জেলার এই নদীর পানি বেড়েছে ৬২ সেমি। জেলার অপর নদী গোমস্তাপুর উপজেলার পূর্ণভবা নদীর বিপদসীমা ২১.৫৫ মিটার। রবিবার সন্ধ্যায় নদীটি ১৮.৭২,সকালে ১৮.৫৯,গত শনিবার সন্ধ্যায় ১৮.৪৪ ও সকালে ১৮.২৯ মিটারে প্রবাহিত হচ্ছিল। অর্থাৎ গত ৩৬ ঘন্টায় এই নদীর পানি বেড়েছে ৪৩ সেমি। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আহসান হাবিব বলেন, উজানে ভারতে বৃষ্টিপাতই পানি বৃদ্ধির মূল কারণ। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কে›ন্দ্র বন্যার কোন পূর্বাভাস জানায়নি বলেও তিনি জানান। তিনি আরও বলেন, হাইড্রোলজি বিভাগ বলছে ২ দিন পানি বাড়বে এরপর কমতে শুরু করবে। তবে সার্বিক পরিস্থিতির দিকে সতর্ক নজর রাখা হচ্ছে। পানি ফারাক্কা পয়েন্ট দিয়েই বাংলাদেশে ঢুকছে বলেও তিনি জানান। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক ড. পলাশ সরকার বলেন, রবিবার পর্যন্ত জেলায় পানি বৃদ্ধিও কারণে ১ হাজার ৩৫৪ হেক্টর জমির ফসল আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৩১২ হেক্টরই মাসকলাই। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলা। পরিমান হাজার হেক্টরের বেশি। এরপর সদর ও গোমস্তাপুর উপজেলা রয়েছে আক্রান্তের তালিকায়। সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্থ সীমান্তবর্তী শিবগঞ্জের পদ্মাবেষ্টিত পাঁকা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক ও ৩ নং ওয়ার্ড সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন,কালাই সম্পূর্ণ শেষ। পানি বৃদ্ধি অব্যহত রয়েছে। যার হারও তীব্র। তারা বলেন,পাশের সদরের নারায়নপুর  ইউনিয়নে পদ্মার ভাঙ্গণ তীব্র হয়েছে। ভাঙ্গন অব্যহত রয়েছে পাঁকার লক্ষীপুর, বোগলাউড়ি এলাকাতেও।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডেঙ্গুতে নতুন আক্রান্ত আরো ২ জন : হাসপাতালে ভর্তি রোগী ৬

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডেঙ্গুতে নতুন আক্রান্ত আরো ২ জন : হাসপাতালে ভর্তি রোগী ৬ চাঁপাইনবাবগঞ্জে নতুন করে আরো ২ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৭ জনে। সিভিল সার্জন ডা. এস এম মাহমুদুর রশিদ  আজ জানান, নতুন করে নাচোলে ১ জন ও শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। বতর্মানে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ৩ জন ও অন্যান্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ জনসহ ৬ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। তাদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ ও ১ জন মহিলা রয়েছে। সবমিলিয়ে চলতি বছর জেলায় আক্রান্ত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৭ জনে। তবে ভর্তি ৬ জন ছাড়া বাকিরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। ডেঙ্গু রোগীর প্রতিদিনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানান সিভিল সার্জন। তিনি সবাইকে ডেঙ্গুর হাত থেকে বাঁচতে সচেতন হওয়ারও আহ্বান জানান। মশারি টানিয়ে ঘুমানো, যেখানে সেখানে পানি জমতে না দেয়া, ডাবের খোসা যেখানে সেখানে না ফেলা, ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার ডেনে না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে রাখা, বাড়ির চারপাশ পরিচ্ছন্ন রাখা, জ্বর দেখা দিলে নিকটস্থ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

আরইআরএমপি প্রকল্প : মেয়াদ শেষে ১২০৪০০ টাকা করে পেলেন ১৪০ নারীকর্মী

আরইআরএমপি প্রকল্প : মেয়াদ শেষে ১২০৪০০ টাকা করে পেলেন ১৪০ নারীকর্মী চারটি বছর নিজেদের শ্রমের টাকা একটু একটু করে সঞ্চয় করেছেন। একটু একটু সঞ্চয় চার বছরে বড়ই হয়েছে। আর তাই মেয়াদ শেষে প্রত্যেকে পেলেন ১ লাখ ২০ হাজার ৪০০ টাকা করে। এই পরিমাণ টাকা পেয়েছেন ১৪০ জন। তারা চাঁপাইনবাবগঞ্জে সদর উপজেলা এলজিইডির তত্ত্বাবধানে পল্লী কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি-৩ (আরইআরএমপি-৩) শীর্ষক প্রকল্পের নারীকর্মী হিসেবে ৪ বছর মেয়াদে কাজ করেছেন। ১৪০ জনের সঞ্চয়কৃত অর্থের পরিমাণ ১ কোটি ৬৮ লাখ ৫৬ হাজার টাকা।  আজ বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে চেকের মাধ্যমে তাদের প্রত্যেককে ১ লাখ ২০ হাজার ৪০০ টাকা করে দেয়া হয়। সেই সঙ্গে তাদের কাজের স্বীকৃতি হিসেবে দেয়া হয় সনদপত্র। তাদের মধ্যে এই চেক ও সনদ বিতরণের আয়োজন করে উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়। বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) চাঁপাইনবাবগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন। উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাদরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিতরণ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সদ্য যোগদানকৃত উপজেলা প্রকৌশলী আজহারুল ইসলাম, উপসহকারী প্রকৌশলী মো. সানাউল্লাহ ও আবু সায়েম, সহকারী ট্রেনিং অফিসার মাহতাব আলীসহ অন্যরা। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দীর্ঘ ৪ বছর ধরে এইসব নারী এই অর্থ সঞ্চয় করেছিলেন। একসঙ্গে পেয়ে তারা এই অর্থ সংসারে আয়বর্ধকমূলক কাজে ব্যবহার করে স্বাবলম্বী হবেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিকের শিক্ষকদের মানববন্ধন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিকের শিক্ষকদের মানববন্ধন “দীর্ঘদিন যাবৎ বৈষম্যের শিকার কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন সরকারি ৪৯টি পলিটেকনিক/মনোটেকনিক ইনস্টিটিউটে কর্মরত ‘স্কিলস অ্যান্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট (এসটিইপি)’ শীর্ষক সমাপ্ত প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে প্রক্রিয়াধীন শিক্ষকদের ৫০ মাসের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ ও চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ”র দাবিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। আজ চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে কর্মরত রাজস্ব খাতে প্রক্রিয়াধীন শিক্ষকবৃন্দ ও সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে বারঘরিয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। বেলা ১১টায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির শহীদ মিনার পাদদেশে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন- পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইন্সট্রাক্টর (নন-টেক) মো. আব্দুল কাদের জিলানী, ইন্সট্রাক্টর (টেক) নাজমা খাতুন, জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (টেক) সালাউদ্দিন ইউসুফসহ অন্যরা। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন প্রতিষ্ঠানটির ইন্সট্রাক্টর (নন-টেক) মো. আজিজুর রহমান। ‘আমার সোনার বাংলায়-বৈষম্যের ঠাঁই নাই’- এই শ্লোগানকে সামনে রেখে আয়োজিত কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সকল ছাত্র-জনতার আত্মার মাগফিরাত ও আহত সকল ছাত্র-জনতার দ্রুত সুস্থতা কামনা করা হয়। পরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষের হাতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমাদানের উদ্দেশ্যে স্মারকলিপি তুলে দেয়া হয়। স্মারকলিপিতে বলা হয়- দক্ষ জনশক্তি ব্যতীত কোনোভাবেই একটি দেশের উন্নতি সম্ভব নয়। দেশ-বিদেশে শ্রম বাজারে বাস্তব চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে দক্ষ জনশক্তি তৈরি ও দেশের কারিগরি শিক্ষার সার্বিক উন্নয়নের লক্ষে ‘স্কিলস অ্যান্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট’টি ২০১০ থেকে শুরু হয়ে ২০১৯ সাল পর্যন্ত পরিচালিত হয়ে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সফল এই প্রকল্পে যৌথভাবে অর্থায়ন করেছে বিশ^ব্যাংক, কানাডা, আইডিএ এবং বাংলাদেশ সরকার। এটিইপি প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ছিল, কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের গুণগত মান উন্নয়ন এবং সম্প্রসারণের মধ্য দিয়ে আর্থ-সামাজিকভাবে অনগ্রসর শিক্ষার্থীদের নিকট কারিগরি শিক্ষাকে সহজলভ্য করে তোলা এবং তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ও বৃদ্ধির মাধ্যমে দরিদ্রতা ও বেকারত্ব দূর করা। স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে তীব্র শিক্ষক সংকটে কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা যখন অচলাবস্থা তখন ২০১২ ও ২০১৪ সালে দুই ধাপে সরকারি ৪৯টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শূন্য পদের বিপরীতে (প্রকল্প মেয়াদে) মোট ১০১৫ জন শিক্ষক নিয়োগ করা হয়, যার মধ্যে বর্তমানে কর্মরত আছেন ৭৩৮ জন শিক্ষক। স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ন্যূনতম শিক্ষাগত যে যোগ্যতার আলোকে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয় তা এসটিইপি প্রকল্পে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে একই যোগ্যতা এবং প্রযোজ্য সরকারি বিধিবিধান অনুসরণপূর্বক উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ, সিভিল সার্জন কর্তৃক স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং পুলিশ ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে নিয়োগ প্রদান করা হয়। এসটিইপি প্রকল্পটির মেয়াদ দুই ধাপে বৃদ্ধি করে ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হয়। এই প্রকল্পে শিক্ষক নিয়োগের পূর্বে ২০০৯ সালে কারিগরি শিক্ষার হার ছিল ১ শতাংশ, যা বর্তমানে ২২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে এবং ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির হার প্রায় ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছ। প্রকল্পটির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক বর্তমানে কর্মরত ৭৩৮ জন। স্মারকলিপিতে বলা হয়, প্রকল্পটি সমাপ্ত হওয়ার পর শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার স্বার্থে ২০১৯ সালের ৩০ জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের লিখিত আদেশে এই শিক্ষকদের দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে সমাপ্ত এই প্রকল্পের শিক্ষকদের ‘রাজস্ব খাতে প্রক্রিয়াধীন শিক্ষক’ নামেও অবহিত করা হয়। বর্ণিত শিক্ষকগণকে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ১২ মাসের বেতন-ভাতাদি থোক বরাদ্দের মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে একাধিকবার থোক বরাদ্দের আবেদন করা হলেও অর্থ বিভাগ হতে বরাদ্দ না পাওয়ায় সুদীর্ঘ ৫০ মাস বেতনবিহীন অবস্থায় শিক্ষকগণ তাদের স্ত্রী-সন্তান ও পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন এবং বেশ কয়েকজন শিক্ষক সুচিকিৎসার অভাবে অকালে মৃত্যুবরণ করেছেন। অপরদিকে প্রকল্প শেষ হওয়ার সুদীর্ঘ ৫ বছর পেরিয়ে গেলেও রাজস্ব খাতে স্থানান্তর প্রক্রিয়া এখনো সম্পন্ন করা হয়নি। সমাপ্ত প্রকল্পের জনবল রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সমাপ্ত প্রকল্পটি শিক্ষকদের বর্তমানে গড় বয়স ৩৬ থেকে ৪০ বছর এবং কর্মকালীন দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা ১০ থেকে ১২ বছর সুদীর্ঘ ৫০ মাস বেতনবিহীন অবস্থায় এবং চাকরি রাজস্বকরণে বিলম্ব হওয়ায় শিক্ষকগণ চরমভাবে বৈষম্যের স্বীকার হয়েছেন। এ অবস্থায় সরকারি ৪৯টি পলিটেকনিক/মনোটেকনিক ইনস্টিটিউটে কর্মরত সমাপ্ত এসটিইপি প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে প্রক্রিয়াধীন শিক্ষকদের ৫০ মাসের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ ও চাকরি রাজস্বখাতে স্থানান্তরের চলমান প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্নকরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্মারকলিপিতে বিনীত অনুরোধ জানানো হয়।

শেষ হলো ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর তরুণদের যোগাযোগ দক্ষতা উন্নয়ন ল্যাব” বিষয়ক কর্মশালা

শেষ হলো ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর তরুণদের যোগাযোগ দক্ষতা উন্নয়ন ল্যাব” বিষয়ক কর্মশালা “চাঁপাইনবাবগঞ্জে সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর তরুণদের যোগাযোগ দক্ষতা উন্নয়ন ল্যাব” বিষয়ক কর্মশালা শেষ হয়েছে। আজ জেলা বেলেপুকুরে অবস্থিত রেডিও মহানন্দার স্টুডিওতে এবং গতকাল বড় ইন্দারা মোড়ে অবস্থিত স্কাই ভিউ ইন হোটেলে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। প্রোমোটিং দ্য ভয়েস অব প্লেইনল্যান্ড এথনিক মাইনোরিটিজ ইন সিভিক স্পেস থ্রু কমিউনিটি মিডিয়া বিষয়ক প্রকল্পের আওতায়, অনুষ্ঠিত কর্মশালার সমাপনী দিনে রেডিও মহানন্দার ৪জন ও ৩জন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টির তরুন প্রতিনিধি অংশ নেন। এছাড়াও কর্মশালার ১ম দিন শুক্রবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, নাচোল ও গোমস্তাপুর উপজেলার ১৫ জন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টির তরুনপ্রতিনিধিরা অংশ নেন। এতে প্রশিক্ষক ছিলেন, গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা উন্নয়ন বিষয়ক সংগঠন সমষ্টি’র নির্বাহী পরিচালক ও চ্যানেল আই-এর সিনিয়র নিউজ এডিটর মীর মাসরুর জামান, সিনিয়র সাংবাদিক ও সাহিত্যিক শাহনাজ মুন্নি, সমষ্টির প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর জাহিদুল হক খান, সমষ্টির মনিটরিং ও ইভ্যালুয়েশন স্পেশালিস্ট সানজিদা তামান্না ঐশী এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাংবাদিক রবিউল হাসান ডলার। এতে প্রয়াস ও রেডিও মহানন্দার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক এবং রেডিও মহানন্দার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিব হোসেন, প্রয়াসের পরিচালক ও রেডিও মহানন্দার স্টেশন ম্যানেজার আলেয়া ফেরদৌস, রেডিও মহানন্দার টেকনিক্যাল অফিসার রেজাউল করিম, প্রযোজক (অনুষ্ঠান ও খবর) মো. নয়ন আলী ও সহকারী প্রযোজক (অনুষ্ঠান ও খবর) উম্মে আয়েশা সিদ্দিকা। ফ্র্রি প্রেস আনলিমিটেড এর আর্থিক সহায়তায় সমষ্টির বাস্তবায়নে এই কর্মশালার আয়োজন করে রেডিও মহানন্দা। উল্লেখ্য, সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও জীবনমান উন্নয়নে চাঁপাইনবাবগঞ্জে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে রেডিও মহানন্দা। এছাড়াও সাতক্ষীরায় রেডিও নলতা ও মৌলভীবাজারে রেডিও পল্লী কন্ঠ এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। এই প্রকল্পে সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছে সমষ্টি। এই প্রকল্পের আওতায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টির সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে ৭টি কমিউনিটি সংলাপের মাধ্যমে রেডিও অনুষ্ঠান নির্মাণ ও সম্প্রচার করা হবে।

“চাঁপাইনবাবগঞ্জে সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর তরুণদের যোগাযোগ দক্ষতা উন্নয়ন ল্যাব” বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

“চাঁপাইনবাবগঞ্জে সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর তরুণদের যোগাযোগ দক্ষতা উন্নয়ন ল্যাব” বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত “চাঁপাইনবাবগঞ্জে সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর তরুণদের যোগাযোগ দক্ষতা উন্নয়ন ল্যাব” বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ দিনব্যাপী জেলা শহরের বড় ইন্দারা মোড়ে অবস্থিত স্কাই ভিউ ইন হোটেলে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। প্রোমোটিং দ্য ভয়েস অব প্লেইনল্যান্ড এথনিক মাইনোরিটিজ ইন সিভিক স্পেস থ্রু কমিউনিটি মিডিয়া বিষয়ক প্রকল্পের আওতায়, অনুষ্ঠিত কর্মশালায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, নাচোল ও গোমস্তাপুর উপজেলার ১৫ জন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্য অংশ নেন। এতে প্রশিক্ষক ছিলেন, সমষ্টির নির্বাহী পরিচালক ও চ্যানেল আই-এর সিনিয়র নিউজ এডিটর মীর মাসরুর জামান, সিনিয়র সাংবাদিক ও সাহিত্যিক শাহনাজ মুন্নি, সমষ্টির প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর জাহিদুল হক খান, সমষ্টির মনিটরিং ও ইভ্যালুয়েশন স্পেশালিস্ট সানজিদা তামান্না ঐশী এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাংবাদিক রবিউল হাসান ডলার। এতে প্রয়াস ও রেডিও মহানন্দার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক হাসিব হোসেন, প্রয়াসের পরিচালক ও রেডিও মহানন্দার স্টেশন ম্যানেজার আলেয়া ফেরদৌস, রেডিও মহানন্দার টেকনিক্যাল অফিসার রেজাউল করিম, প্রযোজক (অনুষ্ঠান ও খবর) মো. নয়ন আলী ও সহকারী প্রযোজক (অনুষ্ঠান ও খবর) উম্মে আয়েশা সিদ্দিকা। ফ্র্রি প্রেস আনলিমিটেড এর আর্থিক সহায়তায় সমষ্টির বাস্তবায়নে এই কর্মশালার আয়োজন করে রেডিও মহানন্দা। উল্লেখ্য, সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও জীবনমান উন্নয়নে চাঁপাইনবাবগঞ্জ এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে রেডিও মহানন্দা। এছাড়াও সাতক্ষীরায় রেডিও নলতা ও মৌলভীবাজারে রেডিও পল্লী কন্ঠ এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে এবং এই প্রকল্পে সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছে সমষ্টি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে রেডিও মহানন্দার কর্মী ও সেচ্ছাবেবকদের ৩ দিনব্যাপী কর্মশালার সমাপনী

চাঁপাইনবাবগঞ্জে রেডিও মহানন্দার কর্মী ও সেচ্ছাবেবকদের ৩ দিনব্যাপী কর্মশালার সমাপনী চাঁপাইনবাবগঞ্জে রেডিও মহানন্দার কর্মী ও সেচ্ছাবেবকদের ৩ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষ হয়েছে। দারিদ্রতার বিরুদ্ধে “প্রোগ্রাম প্রডাকশন ট্রেনিং ফর কমিউনিটি রেডিও স্টাফ অ্যান্ড ভলেন্টিয়ার’’ শীর্ষক কর্মশালায় রেডিও মহানন্দার ১৩ জন কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবক অংশ নেন। জেলা শহরের বেলেপুকুরে অবস্থিত প্রয়াসের নকীব হোসেন মিলনায়তনে গত ১৭ সেপ্টেম্বর কর্মশালাটি শুরু হয়েছিল। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থেকে প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন রেডিও মহানন্দার স্টেশন ম্যানেজার আলেয়া ফেরদৌস। কর্মশালার কো-ফ্যাসিলেটেটর ছিলেন টেকনিক্যাল অফিসার রেজাউল করিম এবং প্রশিক্ষক ছিলেন, গত ২৫ থেকে ৩০ জুলাই নেপালে অনুষ্ঠিত (টিওটি) কর্মশালায় অংশ নেওয়া রেডিও মহানন্দার প্রযোজক নয়ন আলী। অগঅজঈ অংরধ চধপরভরপ, ঈঅগঊঈঙ ও জার্মানির অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সহায়তায় ৩ দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মশালাটির আয়োজন করে রেডিও মহানন্দা ৯৮.৮এফএম। কমিউনিটি রেডিও কর্মীদের জন্য প্রশিক্ষণ প্রোপ্রামের আওতায় অনুষ্ঠিত এই কর্মশালার উদ্দেশ্য হলো- এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে কমিউনিটি রেডিও’র কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা।