শিবগঞ্জ-সোনামসজিদ সড়কে দুর্ঘটনা রোধে বাঁক সরলীকরণের সুপারিশ

শিবগঞ্জ-সোনামসজিদ সড়কে দুর্ঘটনা রোধে বাঁক সরলীকরণের সুপারিশ চাঁপাইনবাবগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনা রোধের লক্ষে সোনামসজিদ স্থলবন্দর এলাকায় চেক পোস্ট বসিয়েছে জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপ এবং জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরি ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন। এছাড়া দুটি বাঁক সরলীকরণের জন্য জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগকে চিঠির মাধ্যমে সুপারিশ করা হয়েছে। জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরি ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. সাইদুর রহমান জানান, অনেক সময় লাইসেন্সধারী চালক নিজে না গিয়ে তার সহকারীকে দিয়ে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে পণ্য নিতে ট্রাক পাঠায়। এর ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যায়। কোনো চালক যেন এই কাজটি করতে না পারে, সেজন্য সোনামসজিদ স্থলবন্দর সংলগ্ন কয়লাবাড়ী এলাকায় গত ৯ এপ্রিল থেকে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। সেখানে প্রতিটি যানবাহনের চালকদের লাইসেন্সসহ পরিচয়পত্র চেক করা হচ্ছে। যাতে আর কেউ সহকারীকে দিয়ে গাড়ি চালাতে না পারে। বিষয়টি এক চিঠিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে অবহিত করা হয়েছে। এছাড়া জেলা বিশ্বরোড মোড় ও উপজেলা মডেল মসজিদ সংলগ্ন তুত ফার্মের মোড়ের বাঁক দুটি সরলীকরণের জন্য জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে চিঠি দেয়া হয়েছে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়— এই দুটি বাঁক অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে বিশ্বরোড মোড়ে বড় গাড়ি বাঁক নেয়ার সময় উল্টে যাওয়ার ঝুঁকি থকছে। তাছাড়া যানবাহন বৃদ্ধি পাওয়ায় ট্রাফিক জ্যামও হচ্ছে। বাঁকটি সরল করা হলে সেই ঝুঁকি থাকবে না। পাশিপাশি ট্রাফিক জ্যামও থাকবে না। চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, শাহ নেয়ামতুল্লা কলেজ মোড় অর্থাৎ বিশ্বরোড চত্বরে বিশেষ করে ১০ চাকার গাড়িগুলো বাঁক নিতে গিয়ে প্রায় সময় চাকা বাস্ট হয়। এক জোড়া চাকার দাম প্রায় ১ লাখ টাকা। এতে একদিকে মালিকের অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে, অন্যদিকে জীবনের ঝুঁকিও বাড়ছে। এছাড়া সদর উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক দেন্দ্রের পাশে তুত ফার্মের দেয়াল থাকায় বাঁকটি অন্ধকার হয়ে থাকে। ফলে যে কোনো মুহূর্তে প্রাণ হানির আশঙ্কা রয়েছে। কাজেই তুত ফার্মের বাঁকটি সোজা হওয়া প্রয়োজন। উল্লেখ্য, জেলার বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কে অসংখ্য বাঁক রয়েছে। তার মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ মহাসড়কের বহালাবাড়ী মোড়, শিবগঞ্জের বেকির মোড় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

গাছে গাছে দুলছে আমচাষিদের স্বপ্ন ৪ লাখ মে.টন উৎপাদনের প্রত্যাশা

গাছে গাছে দুলছে আমচাষিদের স্বপ্ন ৪ লাখ মে.টন উৎপাদনের প্রত্যাশা আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জ। সুস্বাদু সুমিষ্ট আমের জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ। এই জেলায় উৎপাদিত আমের সুনামের কারণে অন্য জেলার আমকেও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম বলে চালিয়ে দেয়া হয়। এবার আমের রাজধানীতে ৩৭ হাজার ৬০৪ হেক্টর বাগানে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় চার লাখ মেট্রিক টন। কিছুটা বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও এবার প্রায় শতভাগ আমগাছে মুকুল এসেছিল। মৌসুমের শেষের দিকে অতিমাত্রায় ঠাণ্ডার মধ্যেও গাছে গাছে মুকুল দেখে কৃষকদের মনে হয়েছিল, এবার আমের ফলন ভালো হবে। তবে শেষ পর্যন্ত ৬০ থেকে ৭০ ভাগ গাছে আম দেখা দেয়। যা দেখে আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা স্বপ্ন বুনছেন লাভের আশায়। মাঝখানে বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার ৩ থেকে ৪ হাজার কোটি টাকার আম বেচাকেনা হতে পারে অনেকেই মত প্রকাশ করেন। ক্যালেন্ডারের হিসাবে আসছে মে মাসের শেষের দিকে অর্থাৎ জ্যৈষ্ঠের মধুমাসে বাজারে নামবে বাহারি সব আম। জেলার বাগানগুলোয় এখন শোভা পাচ্ছে ছোট থেকে বড় বড় আমের গুটি। এদিকে চৈত্রের শুরুতে দুই দফায় বৃষ্টি হওয়ায় আমের জন্য আশীর্বাদ বয়ে আনলেও এক সপ্তাহ আগে থেকে চলমান খরা ও মৃদু তাপপ্রবাহ আম উৎপাদনের অনুকূল পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আমচাষিরা। বাগানের সবচেয়ে ছোট গাছের গুটি মটরদানা ও মার্বেলের আকারে শোভা পাচ্ছে। তবে বাগানের অধিকাংশ বড় গাছে আমের মুকুল ও গুটি হয়েছে অপেক্ষাকৃত কম। খরার কারণে বাগানে গুটি আম শুকিয়ে ঝরে যাচ্ছে। খরায় আমের গুটি যাতে ঝরে না পড়ে তাই এরই মধ্যে বাগানে সেচসহ বিভিন্ন পরিচর্যা করছেন আমচাষিরা। এছাড়া ক্ষতিকর পোকা দমনে বাগানে কীটনাশক স্প্রেও করছেন তারা। বাগানমালিক ও আমচাষিরা জানিয়েছেন, এক বছর ভালো ফলন হলে পরের বছর কম ফলন হয়। ফলনগত দিক থেকে স্থানীয়দের কাছে কমের বছর ‘অফ ইয়ার’ এবং ভালো ফলনের বছর ‘অন ইয়ার’ হিসেবে পরিচিত। সে হিসাবে এবার অন ইয়ার, বলছেন তারা। আমচাষিরা বলছেন, আবহাওয়ার কারণে এবার আম গাছগুলোয় বেশি বেশি পরিচর্যা করতে হচ্ছে। গতবছরের তুলনায় এবার বালাইনাশক, রাসায়নিক সার বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে। এদিকে চৈত্রের তেজেও বোটা শুকিয়ে গুটি ঝরে যাচ্ছে। তাই বাড়তি খরচে শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে সেচ দিতে হচ্ছে। সবমিলিয়ে এবার আম উৎপাদনে খরচ বেড়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এক পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাজুড়ে আম চাষাবাদ হয়েছে ৩৭ হাজার ৬০৪ হেক্টর জমিতে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও জেলার অন্যতম আমচাষি মুনজের আলম মানিক বলেন- এবার অন ইয়ার হিসেবে যতটা আম হওয়ার কথা ছিল তা হয়নি। তার কারণ, মুকুলের সময় হালকা বৃষ্টি, রাতের তাপমাত্র কমে যাওয়া এবং দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি। সবমিলিয়ে আমচাষে এবার প্রতিকূল আবহাওয়া বিরাজ করছে। তবে বাগানে পর্যাপ্ত আম আছে। তিনি বলনÑ গতবছরের তুলনায় এবার সার-কীটনাশকের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সেই সঙ্গে কৃষি শ্রমিকের খরচও বেড়েছে। গতবছর শ্রমিকের মজুরি ছিল সাড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, এবার ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। ইউরিয়া সারের দাম শতকরা ২৫ ভাগ বেড়েছে। এছাড়া কীটনাশকের দাম ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ বেড়েছে। মানিক আরো বলেন- বরেন্দ্র এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানির অধিক ব্যবহারের কারণে পানি সংকট দেখা দিয়েছে। সবমিলিয়ে চাষিদের এবার আম উৎপাদনে খরচ অনেকটা বৃদ্ধি পাবে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. ইয়াছিন আলী কীটনাশকের দাম বৃদ্ধি বিষয়ে বলেন- কোনো কোম্পানি যদি দাম বৃদ্ধি করে থাকে, তাহলে সেটার বিষয়ে তো কারোর কিছু করার নেই। তবে প্যাকেটের গায়ে লেখা নির্ধারিত মূল্যের অধিক কেউ নিলে সেটা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে আমরা দেখব। তবে সারের দাম বৃদ্ধির কোনো সুযোগই নেই বলে জানান। আমের উৎপাদন বিষয়ে তিনি বলেন- মাঝখানে কিছুটা খরা গেল, সেই কারণে এবং যারা সেচ দেয়নি তাদের বাগানে কিছুটা গুটি ঝরেছে। তবে যারা সেচ দিয়েছে, তাদের বাগানে আমের কোনো ক্ষতি হয়নি। আমের যেন কোনো ক্ষতি না হয়, সেজন্য কৃষি বিভাগ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। সবমিলিয়ে এবার জেলায় ৩ লাখ ৮৬ হাজার ২৯০ মেট্রিক টন আমের ফলন হতে পারে বলে জানান জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের শীর্ষ এই কর্মকর্তা। এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ ম্যাংগো মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ বলেনÑ শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার আশা করা যায় সাড়ে ৩ থেকে ৪ লাখ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হবে। এর বাজার মূল্য হবে প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা। প্রসঙ্গত, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় যেসব আমচাষ হয় তার মধ্যে প্রথমে বাজারে আসে বিভিন্ন ধরনের গুটি আম। এরপর সুমিষ্ট আমগুলোর মধ্যে আসে গোপাল ভোগ। এটি শেষ হবার আগেই আসে সুস্বাদু ক্ষিরসাপাত। এরপর আসে লক্ষণভোগ, আ¤্রপালি, বারি-৪, আমের রাজা ফজলি। সব শেষে আসে টকমিষ্টি স্বাদের আশি^না। এর মধ্যেই আসে হালে চাষ হওয়া কাটিমনসহ অন্যান্য আম।

জেলার বাজারে বেড়েছে সবজির দাম; চালের দামও উর্ধ্বমুখি

জেলার বাজারে বেড়েছে সবজির দাম; চালের দামও উর্ধ্বমুখি চাঁপাইনবাবগঞ্জে সকল প্রকার সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বৃদ্ধির কারণ বলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন। এছাড়া চিকন চালের দামও উর্ধ্বমুখি রয়েছে। আজ সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরের নিউমার্কেট কাঁচাবাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে। নিউমার্কেটের আব্দুর রহমান বাবু জানান, জিরাসাইল চাল প্রতিকেজি ৮৫-৮৬ টাকা, মিনিকেট চাল ৮৮-৯০ টাকা, সাদা স্বর্ণা ৫০-৫২ টাকা, লাল স্বর্ণা ৫৬-৫৮ টাকা, ৬৩ ধানের চাল বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা, আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে থেকে ৭৫-৭৮ টাকা। এছাড়া প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা, চিনি ১১৭-১১৮ টাকা, মসুর ডাল ১৪০ টাকা, দেশী ছোলার ডালের দাম ১৪০ টাকা, খেসাড়ির ডাল ১২০ টাকা, মটোর ডাল ১৪০ টাকা, মাসকলাইয়ের ডাল ১৮০ টাকা ও মুগ ডাল প্রতি কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। আর ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি হালি ৪০ টাকায়। তিনি জানান, খোলা আটা ৩৮-৪০ টাকা ও প্যাকেট আটা ৪৫-৫০ টাকা কেজি, এক লিটারের বোতলজাত সয়াবিন ১৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে সবজি বিক্রেতা আব্দুর রশিদ রহমান জানান, রমজানের পর সব ধরণের সবজির দাম বাড়ছে। সরবরাহ কম থাকায় দাম বৃদ্ধির কারণ বলে তিনি জানান। তিনি আরো জানান, বেগুনের দাম মানভেদে প্রতি কেজি পটোল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, বেগুন ৬৫-৭০ টাকা, পেঁপে ৩৫-৪০ টাকা, ঢেঁড়শ ৭০ টাকা, দেশী করোলা ৮০ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ টাকা, শসা ৫০-৫৫ টাকা, টমেটো ৩৫-৫০ টাকা, আলু ২০-২৫ টাকা, দেশী সজনে ডাটা ৮০-১২০ টাকা, দেশী কাঁচকলা ৩৫-৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৫-৩০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০-৭০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা ও চাল কুমড়া ৭০ টাকা প্রতি পিস। এদিকে মাছ বিক্রেতারা জানান, ছোট মিড়কা মাছ বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা, রুই ওজনভেদে ২৩০-৩৫০ টাকা, বড় কাতলা ৩২০ টাকা, সিলভার কার্প ২০০ টাকা, শোল ৬৫০-৭০০ টাকা, ট্যাংরা ৬০০-১৪০০ টাকা, পাবদা ৩৫০-৪০০ টাকা, সিং ৬০০-৮০০ টাকা, বোয়াল ৭৫০-৮০০ টাকা, আইড় মাছ বিক্রি হচ্ছে ৮০০-১০০০ টাকা, পাঙ্গাস ১৬০ টাকা, পিয়ালি ৬০০ টাকা, ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকা, একজি ওজনের ইলিশ ২০০০-২২০০ টাকা, দেড় কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৬০০ টাকা। এদিকে মুরগি বিক্রেতা আলম জানান, দেশী মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৩০-৫৪০ টাকা, শরিফুল জানান, সোনালি বা পাকিস্তানি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা, লাল লেয়ার ৩০০-৩১০ টাকা, সাদা লিয়ার ২৭০ টাকা, প্যারেন্স মুরগি ৩৪০ টাকা এবং ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা কেজি। অন্যদিকে মাংস বিক্রেতারা জানান, ভালো মানের গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ছাগলের মাংস ৯০০-১১০০ টাকা এবং ভেড়ার মাংস ১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন অনুপস্থিত ২৩৩ পরীক্ষার্থী

চাঁপাইনবাবগঞ্জে এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন অনুপস্থিত ২৩৩ পরীক্ষার্থী চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা-২০২৫ শুরুর প্রথম দিন অনুপস্থিত ছিলেন ২৩৩ জন শিক্ষার্থী। আজ সকালে সারাদেশের ন্যয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাব্যাপী ২৭টি কেন্দ্রে একযোগে এই পরীক্ষা শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের শিক্ষা শাখা সূত্র জানায়, এসএসসির বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন ১০৩ জন পরীক্ষার্থী। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ৯ হাজার ২৩৮ জন পরীক্ষার্থী। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের দাখিলের কুরআন মাজিদ ও তাজভিদ বিষয়ের পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন ১০৭ শিক্ষার্থী। দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেন ২ হাজার ৭৭৮ জন পরীক্ষার্থী। এছাড়া ভোকেশনাল (স্কুল-মাদ্রাসা) বাংলা ২য় পত্র পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন ২৩ জন। পরীক্ষায় অংশ নেন ১ হাজার ৩৭৩ পরীক্ষার্থী। জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (শিক্ষা) মো:আতিকুর রহমান বলেন, জেলাব্যাপী সুষ্ঠু পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায় নি। কোন বহিস্কারের ঘটনা ঘটে নি। পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেছেন প্রশাসন ও শিক্ষা কর্মকর্তারা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্ত্রী’কে খুনের দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্ত্রী’কে খুনের দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্ত্রী ও ৩ সন্তানের জননী রোখসানা বেগমকে পারিবারিক কলহের জেরে গলাটিপে শ^াসরোধে হত্যার দায়ে স্বামী জনি ইকবালকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সাথে তাঁকে দশ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও ছয়মাস কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। আজ বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের দায়রা জজ মিজানুর রহমান একমাত্র আসামী জনির উপস্থিতিতে আদেশ প্রদান করেন। দন্ডিত জনি শিবগঞ্জ উপজেলার রসুলপুর ঘোনটোলা গ্রামের এসাহাক মন্ডলের ছেলে। নিহত রোখসানা শিবগঞ্জের কমলাকান্তপুর গড়েপাড়া গ্রামের এসরাইল হোসেনের মেয়ে। মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা যায় এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ২০১৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে পিতার বাড়িতে স্বামীসহ ঘুমোতে যাবার পর খুন হন রোখসানা। পরদিন সকালে শোবার ঘর হতে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে তাঁর স্বামীকে খুঁজে পাওয়া যায় নি। এ ঘটনায় ওইদিন শিবগঞ্জ থানায় জনিকে একমাত্র আসামী করে শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেন নিহতের পিতা। পরে ২০১৭ সালের ৯ অক্টোবর জনিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জনি পেশায় ট্রাক চালক এবং রোখসানার দ্বিতীয় স্বামী চিলেন। ৩ সন্তানসহ তালাক হবার পর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে রোখসানাকে বিয়ে করেন জনি। তবে তাঁদের সংসারে কলহ, মরাধর লেগেই থাকত। এ ঘটনায় ২০১৮ সালের ৩১ অক্টোবর জনিকে একমাত্র অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) এবং শিবগঞ্জ থানার তৎকালীন পরিদর্শক(তদন্ত) সেলিম রেজা। ১৫ জনের সাক্ষ্য, প্রমাণ ও শুনানী শেষে আদালত জনিকে দোষি সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করেন। আসামীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এড. সাইফুল ইসলাম রেজা।

শিবগঞ্জে বিজ্ঞানী হ্যানিম্যানের ২৭০তম জন্ম বার্ষিকী পালন

শিবগঞ্জে বিজ্ঞানী হ্যানিম্যানের ২৭০তম জন্ম বার্ষিকী পালন শিবগঞ্জে হোমিও চিকিৎসা বিজ্ঞানের আবিষ্কারক বিজ্ঞানী হ্যানিম্যানের ২৭০তম জন্ম বার্ষিকী পালন ও হোমিওপ্যাথি দিবস উপলক্ষে চার শতাধিক অসহায়, দুস্থ রােগীর মাঝে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ও ওষধ বিতরণ করা হয়েছে। আজ সকালে কানসাট সাইফুদ্দিন মেমোরিয়াল ফাজিল মাদ্রাসা চত্বরে হোমিও চিকিৎসক কল্যান সমিতির উদ্যোগে সমিতির সভাপতি ডা: জান মুহাম্মদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা: শামিম উদ্দীন বুলেট, সদস্য ডা: ইসাহাক আলী, ডা: নাসির উদ্দীন এবং ডা: আজিজুল হকসহ অন্যান্যরা। উল্লেখ্য, হোমিও চিকিৎসা বিজ্ঞানের আবিষ্কারক ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান জার্মানির একজন বিখ্যাত চিকিৎসক ছিলেন, তিনি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার আবিষ্কারক। হ্যানিম্যান ১৮০৫ সালে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা চালু করেন।১৭৫৫ সনে ১০ এপ্রিল জার্মানীর অন্তর্গত স্যাকস্যানী প্রদেশের মিশন নগরীর পটুয়ার ঘরে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন।১৮৪৩ সালে প্যারিসেই মৃত্যুবরণ করেন।

গোমস্তাপুরে মরনোত্তর দাবির চেক বিতরণ

গোমস্তাপুরে মরনোত্তর দাবির চেক বিতরণ গোমস্তাপুরে জীবন বীমা কর্পোরেশনের ৩ লাখ ১৭ হাজার ৭০০ টাকার মরণোত্তর দাবির চেক বিতরণ করা হয়েছে। আজ সকালে জীবন বীমা কর্পোরেশনের রহনপুর শাখা কার্যালয়ে এই দাবির চেক বিতরণ করা হয়। জীবন বীমা কর্পোরেশনের রাজশাহী রিজিয়ন অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার ইনচার্জ আনারুল হক মরণোত্তর দাবির চেক মৃত নারীর স্বামী মোহাম্মদ আলী পান্নার কাছে তুলে দেন। রহনপুর শাখা আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রহনপুর শাখার ডিএম ইনচার্জ ফরহাদ আলী। এ সময় বক্তব্য দেন রহনপুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আজিজুর রহমান, রহনপুর পূর্ণভবা মহানন্দা আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ ইমতিয়াজ মাসরুর, জীবন বীমা কর্পোরেশনের রাজশাহী রিজিয়ন অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (উন্নয়ন) মনিমুল ইসলাম,রহনপুর শাখার সাবেক ইনচার্জ মুজিবুর রহমানসহ অন্যরা। উল্লখ্য, গত বছর ২০ সেপ্টেম্বর মোহাম্মদ আলী পান্নার স্ত্রী বীমাগ্রাহক নাসরিন বেগম ৫ টি প্রিমিয়ার দিয়ে মারা যান। এরই প্রেক্ষিতে জীবন বীমা কর্পোরেশন নমিনি তার স্বামীকে ৩ লক্ষ ১৭ হাজার ৭০০ টাকার চেক আজ তুলে দেওয়া হয়।

সদর উপজেলায় ৬ হাজার ৫৪০ কৃষকের মধ্যে প্রণোদনার বীজ ও সার বিতরনের উদ্বোধন

সদর উপজেলায় ৬ হাজার ৫৪০ কৃষকের মধ্যে প্রণোদনার বীজ ও সার বিতরনের উদ্বোধন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ৬ হাজার ৫৪০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মধ্যে বিনামূল্যে উফশী আউশ ধান ও মুগ বীজ বিতরণের উদ্বোধন করা হয়েছে। কৃিষ সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে খরিফ-১ মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় উচ্চ ফলনশীল (উফশী) আউশ ধান ও গ্রীষ্মকালীন মুগ ফসলের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ৬ হাজার ৫শ জন কৃষককে উফশী আউশের ৫ কেজি করে বীজ এবং ১০ কেজি করে ডিএপি ও ১০ কেজি করে এমওপি সার দেয়া হচ্ছে। এছাড়া ৪০ জন কৃষককে ৫ কেজি করে গ্রীষ্মকালীন মুগ বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি ও ৫ কেজি করে এমওপি সার দেয়া হচ্ছে। আজ সকালে সদর উপজেলা কৃষি অফিস চত্বরে উপজেলা কৃষি অফিস আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিতরণের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাছমিনা খাতুন। এসময় সদর উপজেলা কৃষি অফিসার সুনাইন বিন জামান, উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার কাঞ্চন কুমার দাস, অ্যাকাডেমিক সুপার ভাইজার আব্দুল আলিম, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার আনিসুল হক মাহমুদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাছমিনা খাতুন কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলেন-প্রণোদনার বীজ ও সার সঠিকভাবে কাজে লাগাবেন। মনে রাখতে হবে আমাদের খাদ্য চাহিদার কথা মাথায় রেখে সরকার বিনামূল্যে আপনাদের এই প্রণোদনা দিচ্ছেন। পাশাপাশি আপনাদের সন্তানদের লেখাপড়া শেখাবেন, তারা যেন মাদকের ছোবল থেকে দূরে থাকে সেদিকে নজর রাখবেন, কন্যাসন্তানদের বাল্য বিয়ে দেবেন না।

শিবগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় ১০ গরু জব্দ

শিবগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় ১০ গরু জব্দ শিবগঞ্জ সীমান্তে অবৈধ ও চোরাচালান করা ভারতীয় ১০টি গরু জব্দ করেছে বিজিবি। আজ ভোরে মনাকষা সীমান্ত থেকে গরুগুলো জব্দ করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মনির-উজ-জামান। তিনি বলেন, পদ্মা নদীর চর দিয়ে গবাদিপশু চোরাচালান হচ্ছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে ভোরে সেতারাপাড়া এলাকার একটি আমবাগানে অভিযান চালায় বিজিবি সদস্যরা। এ সময় আমবাগানের মধ্যে লুকিয়ে রাখা ১০টি ভারতীয় মালিকবিহীন গরু জব্দ করা হয়। তিনি আরও বলেন, গরুগুলো অবৈধভাবে ভারত হতে এনে ওই স্থানে বেঁধে রাখা হয়েছিল। পরে বিভিন্ন হাটে বিক্রয় করা হতো। জব্দ করা গরুগুলো চাঁপাইনবাবগঞ্জ শুল্ক কার্যালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের সনাক্তের কার্যক্রম চলছে।

আমনুরায় সার ও কীটনাশক বিক্রেতাকে অর্থদণ্ড

আমনুরায় সার ও কীটনাশক বিক্রেতাকে অর্থদণ্ড চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার আমনুরা রেলস্টেশন বাজারে লাইসেন্স ছাড়া রাসায়নিক সার ও কীটনাশক বিক্রির অভিযোগে মো. অলিউল ইসলাম নামের একজন ব্যবসায়ীকে ১৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই অভিযান চালানো হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, আমনুরা রেলস্টেশন বাজারে লাইসেন্স ছাড়া রাসায়নিক সার ও কীটনাশক বিক্রির অভিযোগ পেয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মো. সুনাইন বিন জামান ও কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার আনিসুল হক মাহমুদ দোকান পরিদর্শনে যান এবং অভিযোগের সত্যতা ধরা পড়ে। পরবর্তীতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আঞ্জুমান সুলতানা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে অভিযুক্ত অলিউল ইসলামকে ১৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার মো. সুনাইন বিন জামান জানান, লাইসেন্স ছাড়া কীটনাশক বিক্রির আইনগতভাবে কোনো সুযোগ নেই। এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।