দেশের তিন অঞ্চলে ঝড়ের পূর্বাভাস, নদীবন্দরে সতর্কতা সংকেত

দেশের তিন অঞ্চলে ঝড়ের পূর্বাভাস, নদীবন্দরে সতর্কতা সংকেত দেশের তিনটি অঞ্চলে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরে তোলা হয়েছে সতর্কতা সংকেত। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা জানিয়েছেন, রংপুর, ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোতে এক নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

দোহায় পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

দোহায় পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা আর্থনা সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস কাতারের রাজধানী দোহায় পৌঁছেছেন । প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি সোমবার (২১ এপ্রিল) কাতারের স্থানীয় সময় রাত ৯টা ৪০ মিনিটে দোহায় হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। প্রধান উপদেষ্টাকে বিমান বন্দরে অভ্যর্থনা জানান কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘আমাদের উত্তরাধিকার গড়ে তোলা: স্থায়িত্ব, উদ্ভাবন ও ঐতিহ্যবাহী জ্ঞান’।  সরকারপ্রধানের চার দিনের এ সফরের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সোমবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আর্থনা সম্মেলনে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি এ সফরে কাতারের সঙ্গে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। ২৪ এপ্রিল মধ্যরাতের পর তার দেশে ফেরার সূচি রয়েছে। সফরে জ্বালানি উপদেষ্টার যাওয়ার তুলে ধরে প্রেস সচিব বলেন, “কাতারের সঙ্গে আমাদের এলএনজি নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি রয়েছে। ভিসা সংক্রান্ত ইস্যু নিয়ে আলাপ করবেন। এছাড়া অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়েও আলাপ হবে। কাতারের উদ্যোক্তাদের নিয়ে ২৩ এপ্রিল বাণিজ্য সম্মেলন হবে, আশা করি সাড়া পাব।” কাতারে রোহিঙ্গাদের নিয়ে আড়াই ঘণ্টার একটি সম্মেলন হবে, এমন তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, “প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে সম্মেলনে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে সম্পৃক্ত অনেকেই অংশ নেবেন। আশা করি ফলপ্রসূ বৈঠক হবে। আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গা সম্মেলনের প্রাক-প্রস্তুতি বৈঠক এটি।” কাতার প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হবে কি না জানতে চাইলে প্রেস সচিব বলেন, “এ পরিকল্পনা আমাদের অনেক দিন ধরেই আছে। এ বিষয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে কথা বলছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী। যাতে করে দেশটির বাজার আমাদের জন্য উন্মুক্ত হয়। আরো শ্রমিক বাংলাদেশ থেকে নেয়, সে বিষয়ে আমরা দেখছি।” “একইভাবে অন্যান্য যেসব দেশে আমাদের ভাই-বোনেরা কাজ পেতে পারেন তা নিয়ে কাজ করছি।”শ্রমবাজারগুলোতে আরো ভালো বেতনে, বেশি সংখ্যক কর্মী যাতে যেতে পারেন সেটা সরকারের অগ্রাধিকার বলে তুলে ধরেন তিনি। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চার নারী ক্রীড়াবিদ সরকার প্রধানের সফরসঙ্গী হয়েছেন। এই চার জন হলেন- ফুটবলার আফিদা খন্দকার ও শাহেদা আখতার রিপা এবং ক্রিকেটার সুমাইয়া আখতার ও শারমিন সুলতানা। তথ্যসূত্র: বাসস

সাত দেশের ১৭ হাজার প্রবাসী ভোটারের আবেদন অনুমোদন

সাত দেশের ১৭ হাজার প্রবাসী ভোটারের আবেদন অনুমোদন প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রয়োগ নিয়ে সব মহলে আলোচনা হলেও তাদের ভোটার করে নেওয়ার কার্যক্রমে তেমন অগ্রগতি নেই। ফলে ভোটদান পদ্ধতি নির্ধারণ করতে পারলেও কত শতাংশ ভোট তাদের থেকে আসবে তা নিয়েও অনেকের রয়েছে সংশয়।  ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইতালি, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত ও মালয়েশিয়া; এই সাতটি দেশে দূতাবাসের মাধ্যমে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা করছে ইসি। এক্ষেত্রে অনলাইনে আবেদন করে দূতাবাসে এসে ফটো তুলে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হচ্ছে। এছাড়া কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুরে কার্যক্রমটি সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি।  জানা গেছে, সাতটি দেশ থেকে মোট আবেদন পড়েছে ৪২ হাজার ২৬৯টি। যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়েছে তিন হাজার ৪০১টি আবেদন। উপজেলা নির্বাচন অফিসে তদন্ত প্রক্রিয়াধীন আছে ২০ হাজার ১৮৪টি আবেদন। তদন্ত শেষে আবেদন অনুমোদন হয়েছে ১৭ হাজার ৬০৭ জনের। অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে ৪৫৭ জনের আবেদন। আর সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে আঙুলের ছাপ ও ছবি নেওয়া হয়েছে ২২ হাজার ১২৮ জনের। সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ১৮ হাজার ৫৮৯টি। আর সবচেয়ে কম আবেদন পড়েছে মালয়েশিয়ায় ৭৮৪ জন। গত বছরের মে থেকে এই আবেদনগুলো এসেছে নির্বাচন কমিশন প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়, জনশক্তি ব্যুরো, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি- য়রাসহ বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে দেখেছে ৪০টি দেশে বাংলাদেশি প্রবাসীদের আধিক্য রয়েছে। এইসব দেশকেই মাথায় রেখে কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। দেশগুলো হলো- সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, ওমান, কাতার, বাহরাইন, লেবানন, জর্ডান, লিবিয়া, সুদান, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য, ইতালি, হংকং, মিশর, ব্রুনাই, মৌরিশাস, ইরাক, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, গ্রিস, স্পেন, জার্মানি, দক্ষিণ আফ্রিকা, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ড, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, ব্রাজিল, চীন, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, নিউজিল্যান্ড, রাশিয়া, তুরস্ক ও সাইপ্রাস। এসব দেশে এক কোটি ৪০ লাখ ৪৬ হাজার ৫৩৪ জন প্রবাসী রয়েছে। সবচেয়ে রয়েছে বেশি প্রবাসী রয়েছে সৌদি আরবে, ৪০ লাখ ৪৯ হাজার ৫৮৮ জন। আর সবচেয়ে কম রয়েছে নিউজিল্যান্ডে দুই হাজার ৫শ জন। জানা গেছে, নির্বাচন কমিশন ওই ৪০টি দেশেই কার্যক্রমটি সম্প্রসারণ করার পরিকল্পনা নিয়েছে। এতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে তা হাতে নিতে হচ্ছে। তবে যেসব দেশে কার্যক্রম চলমান, সেখান থেকেও খুব একটা সাড়া মিলছে না। ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, প্রবাসীদের ভোটার করে নেওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে পাসপোর্ট। কেননা, বৈধ পাসপোর্টধারী ছাড়া কারো আবেদন তারা আমলে নিচ্ছে না। এছাড়া ভৌগলিক অবস্থানও একটা কারণ। অন্যদিকে অনেকেই নিরক্ষর হওয়ার কারণেও আসছেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, আমাদের প্রবাসীর অধিকাংশই কাজের জন্য বিদেশ গিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে কাজ সেরে বা কাজের ফাঁকে সংশ্লিষ্ট দূতাবাসে এসে ভোটার হওয়া অনেকের জন্যই প্রায় অসম্ভব হয়ে যায়। একজন ব্যক্তি হয়তো ভোটার হতে চান, আর তার কর্মক্ষেত্রে হয়তো কোনো রিমোট অঞ্চলে, তাহলে অর্থ ও সময় ব্যয় করে তিনি সংশ্লিষ্ট দেশের রাজধানীতে স্থাপিত আমাদের দূতাবাসে এসে ভোটার হতে চাইবেন না, এটাই স্বাভাবিক। আবার অনেকেই প্রবাস জীবন কাটাচ্ছেন বৈধ কাগজপত্র ছাড়া। হয়তো ভুয়া কাগজ বানিয়ে গেছেন। কিন্তু এখন আর সঠিক কাগজ দেখাতে পারছেন না। ফলে সেটাও আইনের বরখেলাপ হয়ে যাচ্ছে। ফলে অনেকের আগ্রহ থাকলেও ভোটার করে নেওয়া যাচ্ছে না। তাই সেভাবে এগুচ্ছে না এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব কেএম আলী নেওয়াজ বলেন, আমরা সাতটা দেশে ভোটার কার্যক্রম চালাচ্ছি। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশের আমাদের দূতাবাসের লোকবলকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তারা একটা নির্দিষ্ট ফি নিয়ে ভোটার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। অর্থাৎ তারা অনলাইনের তথ্যের ইনপুট দেওয়া, ছবি তোলা ও চোখের আইরিশ নেওয়ার কাজটি করে দিচ্ছে। এরপর সেই ব্যক্তির স্থায়ী ঠিকানা সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সেই আবেদনের সত্যতা প্রমাণে তদন্ত করছেন। তদন্তে সত্যতা মিললে সেটিকে আমরা অনুমোদন দিচ্ছি। এরপর প্রবাসীর এনআইডি পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে সংশ্লিষ্ট দূতাবাসে। তিনি বলেন, এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে আইনের ব্যত্যয় করা যায় না। বৈধ কাগজপত্র থাকলে এবং ভোটার হতে চাইলে তার জন্য কোনো অসুবিধা নেই। খুব সহজেই ভোটার হতে পারবেন অন্যদিকে প্রবাসীদের অনেকেই দেশ থেকেই ভোটার হয়ে গেছেন। কেননা, যারা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর বিদেশে গিয়েছেন, তারা এনআইডি ছাড়া পাসপোর্ট করতে পারেননি। কাজেই আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে, প্রবাসীদের অধিকাংশেরই এনআইডি আছে এবং তারা ভোটার হয়েছেন। অন্যরা যারা হননি, তাদের জন্যই আমরা সুযোগটি সৃষ্টি করেছি। তবে বৈধ কাগজপত্র লাগবে। ভোটদান পদ্ধতি নির্ধারণ হলে ভালো সাড়াই মিলবে বলে আশা করি এদিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাতে এসে রোববার (২০ এপ্রিল) প্রবাসীদের ভোটদান নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী। তিনি বলেছেন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার দেওয়া হয়নি। এখন পর্যন্ত কোনো ভালো পদ্ধতি পায়নি কমিশন। প্রবাসীদের ভোটাধিকার যদি নিশ্চিত না করা হয়, তাহলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। এ বিষয়ে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, প্রবাসীদের ভোটার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আইনে যেভাবে আছে, সেভাবে ভোটার হয়ে যাবেন। আর তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য কমিশন পদ্ধতি খুঁজছে। এক্ষেত্রে তিনটি পরামর্শক কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, যে কোনো পদ্ধতিতে ভোট হবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা পেয়ে কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন ২০১৯ সালে প্রবাসে এনআইডি সরবরাহের উদ্যোগ হাতে নেয়  এরপর ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের অনলাইনে ভোটার করে নেওয়ার কার্যক্রম উদ্বোধন করে ইসি। এর আগে ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রবাসীদের মাঝে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়। তার আগে একই বছর ৫ নভেম্বর মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশিদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি এবং স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার অংশ হিসেবে অনলাইনে আবেদন নেওয়ার কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। এরপর সৌদি আবর, সিঙ্গাপুর ও মালদ্বীপে থাকা বাংলাদেশিদের জন্যও এ সুযোগ চালু করা হয়। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে থমকে যায় দূতাবাসের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা। পরবর্তী সময়ে ২০২২ সালে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর সেই কার্যক্রমকে ফের উজ্জীবিত করেন। এক্ষেত্রে আগের আবেদনগুলো পাশ কাটিয়ে নতুন করে কার্যক্রম শুরু করেন তারা। সেই কার্যরক্রমকেই এগিয়ে নিচ্ছে বর্তমান নাসির কমিশন।

দেশে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড

দেশে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আবার বাড়ানো হয়েছে। স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে তিন দিনের ব্যবধানে ফের স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে।  সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ৪ হাজার ৭১২ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৪৫ টাকা। দেশের বাজারে স্বর্ণের এত দাম আগে কখনো হয়নি। আগামী মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) থেকে নতুন দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।  এর আগে গত ২০ এপ্রিল সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৬২৪ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৬৭ হাজার ৮৩৩ টাকা। এতদিন দেশের বাজারে এটিই স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম ছিল। এখন আবার দাম বাড়ানো হলো। এতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন উচ্চতায় উঠেছে স্বর্ণের দাম।  সোমবার (২১ এপ্রিল) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৪ হাজার ৭১২ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৪৫ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৪ হাজার ৪৯১ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৬৯৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ৮৬১ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৪১ হাজার ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ২৮৯ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এদিকে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রূপার দাম ২ হাজার ১১১ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আগামী  ১ মে থেকে  ডিম-মুরগির খামার বন্ধের ঘোষণা প্রত্যাহার

আগামী  ১ মে থেকে  ডিম-মুরগির খামার বন্ধের ঘোষণা প্রত্যাহার আগামী ১ মে থেকে সারা দেশে ডিম ও মুরগি উৎপাদনকারী খামার বন্ধ রাখার ঘোষণা প্রত্যাহার করেছে প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে বিপিএ সভাপতি সুমন হাওলাদার জানিয়েছেন, সরকারের আশ্বাসে ঘোষিত কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ১০ দফা দাবি নিয়ে সরকার আন্তরিকতা দেখিয়েছে। ফলে খামার বন্ধের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও বিভিন্ন জেলার ১০ থেকে ১২ জন প্রান্তিক খামারির সঙ্গে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে, সরকার পক্ষ থেকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। বৈঠকে ১০ দফা দাবি পেশ করে অ্যাসোসিয়েশন। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তাৎক্ষণিকভাবে দাবি পর্যালোচনার আশ্বাস দেন এবং জানান, এরই মধ্যে খাদ্যের মূল্য কেজি প্রতি ১ থেকে ১.৫০ টাকা হ্রাস পেয়েছে। ফিড, বাচ্চা এবং ওষুধের দামে নিয়ন্ত্রণে আনতে তদন্ত চলমান রয়েছে। সরকার নির্ধারিত ডিম ও মাংসের ন্যায্যমূল্য বাস্তবায়নে বাজার নিয়ন্ত্রণেও নেওয়া হচ্ছে উদ্যোগ। বিপিএ জানায়, এই সংকটময় সময়ে সরকারের সহযোগিতা প্রান্তিক খামারিদের আস্থার জায়গা তৈরি করেছে। তাই দেশের স্বার্থে এবং জনগণের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত রাখতে ১ মে থেকে খামার বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে। অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে খামারিদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে, সরকারি নিয়ম-কানুন মেনে ট্রেড লাইসেন্স, নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে খামার পরিচালনা করতে। একই সঙ্গে স্থানীয় পর্যায়ে সংগঠিত থেকে যৌক্তিকভাবে পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করতে।  

ইন্টারনেটের দাম কমালো সবাই, বাকি ৩ মোবাইল অপারেটর

ইন্টারনেটের দাম কমালো সবাই, বাকি ৩ মোবাইল অপারেটর নতুন করে তিন স্তরে ইন্টারনেটের দাম কমানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি বলেছেন, ‘সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় স্তরগুলোতে পাইকারি পর্যায়ে ইন্টারনেটের দামও কমানো হয়েছে। এখন জাতীয় স্তরের পালা।’ জাতীয় স্তরের ক্ষেত্রে তিনি মোবাইল ইন্টারনেটের দাম কমানোর বিষয়ে জোর দিয়েছেন। বেসরকারি তিনটি মোবাইল অপারেটর কোম্পানির কাছে মোবাইল ইন্টারনেটের দাম কমানোর দুটি প্রত্যাশিত দাবি তুলে ধরেছেন। সোমবার (২১ এপ্রিল) সকালে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এসব দাবি তুলে ধরেন। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ঈদুল ফিতরের দিন থেকে সরকারি মোবাইল সেবা কোম্পানি টেলিটক ১০ শতাংশ মূল্য ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছিল। সরকার আশা করে অতি দ্রুতই তিনটি বেসরকারি মোবাইল অপারেটর কোম্পানি অত্যন্ত যৌক্তিকভাবে মোবাইল ইন্টারনেটের মূল্য পতনের ঘোষণা দেবে। সরকার এখানে দুই ধরনের মূল্যছাড় আশা করে বলেও জানান তিনি। প্রধান উপদেষ্টার এ বিশেষ সহকারী সেই দুটি প্রত্যাশিত দাবিও তুলে ধরেছেন। তিনি লেখেন, ‘প্রথমত মার্চ মাসে এসআরও অ্যাডজাস্টমেন্ট বাবদ মোবাইল কোম্পানিগুলো যে মূল্য বাড়িয়েছিল সেটা কমাবে। আর দুই নম্বর হলো—আন্তর্জাতিক গেটওয়ে বা আইটিসি, আইআইজি ও ন্যাশনাল ট্রান্সমিশন পর্যায়ে যতটুকু পাইকারি দাম কমানো হয়েছে, তার সমানুপাতিক হারে গ্রাহক পর্যায়ে মোবাইল ইন্টারনেটের দাম কমাবে।’ বিবেচনা করছে মোবাইল অপারেটরগুলো সরকারের চাপের মুখে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় স্তরগুলোতে সব অংশীজন যখন ইন্টারনেটের দাম কমাচ্ছে, তখনও নিরব বেসরকারি তিন মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন, বাংলালিংক ও রবি। বিশেষ সহকারীর প্রত্যাশিত দাবির বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে তিন অপারেটরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তারা আনুষ্ঠানিকভাবে এ নিয়ে কিছু বলতে রাজি হননি। প্রত্যেকেই জানান, তারা বিষয়টি বিবেচনা করছেন। অ্যামটবেও আলোচনা করবেন তারা। শিগগির একটা সিদ্ধান্ত জানাবেন। একটি অপারেটর কোম্পানির কর্মকর্তা নাম-পরিচয় প্রকাশ না করে জাগো নিউজকে বলেন, ‘সরকার স্পষ্টই তাদের চাপে রেখেছে। সব পক্ষ থেকে দাম কমানোর বিষয়টি এলে আমাদের চুপ থাকার উপায় নেই। কিছু তো করতে হবে। সেটা আলোচনা করে সব দিক বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। হয়তো শিগগির এটা (কত শতাংশ দাম কমানো হবে) আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হতে পারে।’ ফেসবুক পোস্টে আরও যা জানালেন বিশেষ সহকারী এদিকে, ফেসবুক পোস্টে ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব জানান, নতুন তিনটি স্তরে ইন্টারনেটের দাম কমছে। ফাইবার অ্যাট হোমের ম্যানেজমেন্ট নিশ্চিত করেছেন যে, আইটিসি পর্যায়ে ১০ শতাংশ, আইআইজি পর্যায়ে ১০ শতাংশ, এনটিটিএন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ মূল্যহ্রাস করবেন তারা। এর আগে আইএসপি লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোম্পানিগুলোর অ্যাসোসিয়েশন থেকে ৫ এমবির পরিবর্তে ৫০০ টাকায় ১০ এমবি ইন্টারনেট দেওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। তারও আগে আন্তর্জাতিক গেটওয়ে পর্যায়ে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি সকল আইআইজি এবং আইএসপি গ্রাহকদের জন্য ১০ শতাংশ এবং পাইকারি গ্রাহকদের জন্য অতিরিক্ত ১০ শতাংশসহ মোট ২০ শতাংশ দাম কমিয়েছে। তিনি আরও লেখেন, এ নিয়ে ইন্টারনেট লাইসেন্স রেজিমের মোট তিন থেকে চারটি স্তরে ইন্টারনেটের মূল্য কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাকি আছে শুধুমাত্র মোবাইল সেবা দাতা ৩টি বেসরকারি কোম্পানির দাম কমানোর ঘোষণা। ইতিমধ্যে সরকার মোবাইল কোম্পানিগুলোকে ডিডব্লিউডিএম এবং ডার্ক ফাইবার সুবিধা দিয়েছে। এমতাবস্থায় বেসরকারি মোবাইল কোম্পানিগুলোর ইন্টারনেটের দাম না কমানোর কোন ধরনের যৌক্তিক কারণ কিংবা অজুহাত অবশিষ্ট থাকে না। সরকার ইন্টারনেটের দাম কমাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জানিয়ে ফয়েজ আহমদ বলেন, ‘বাংলাদেশের মোবাইল ইন্টারনেটের মানে ব্যাপক প্রশ্ন রয়েছে। মানের তুলনায় দাম অনেক বেশি। এমতাবস্থায় গ্রাহকস্বার্থে যৌক্তিক পদক্ষেপ নিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

শেখ হাসিনাসহ পরিবারের ১০ সদস্যের ‘এনআইডি লক’

শেখ হাসিনাসহ পরিবারের ১০ সদস্যের ‘এনআইডি লক’ গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের ১০ সদস্যের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) লক করা হয়েছে। এতে তাদের এনআইডি দিয়ে আর কোনো সেবা মিলবে না। কেননা, এখন আর তাদের এনআইডি ভেরিফাই করার সুযোগ থাকবে না।  বিষয়টি ইসির এনআইডি শাখার দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মাস খানেক আগে এটা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে করা হয়েছে। তবে ভিভিআইপিদের এনআইডি তাদের দিক থেকেই লক করার জন্য বলেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি নিজেই লক করার জন্য বলতেন, যেন কেউ মিসইউজ করতে না পারে। যখন প্রয়োজন হয়, তখন আবার লক ছাড়ানো হয়। তিনি বলেন, এনআইডি লক হলে ভোট দিতে বা প্রার্থী হতে কোনো অসুবিধা নেই। ইসির এনআইডি শাখার মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবীর স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক মহোদয়ের মৌখিক নির্দেশে ১০ জনের এনআইডি লক (Lock) করা হলো। এনআইডি লক করা ১০ জন হলেন— শেখ হাসিনা, সজীব আহমেদ ওয়াজেদ, সায়মা ওয়াজেদ, রেহানা সিদ্দিক, টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক, শাহিন সিদ্দিক, বুশরা সিদ্দিক, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও তারিক আহমেদ সিদ্দিক। ইসির এনআইডি শাখার সিস্টেম ম্যানেজার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, এনআইডি লক হলে কার্ডটি আর ব্যবহার করা যায় না। এ ছাড়া মিথ্য তথ্য দিয়ে ভোটার হলে তদন্ত কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এনআইডি লক করা হয়। অধিকাংশ সময় ভিপিআইপি অনেকের অনুরোধেও এনআইডি লক করা হয়, যাতে কেউ অপব্যবহার করতে না পারে। তাদের অনুরোধে আবার আনলক করা হয়। বর্তমানে হাসিনা ও শেখ পরিবারের ব্যক্তিদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা তুলতে এনআইডি ভেরিফাই করতে হয়।

সাড়ে ৩৩ বছরে কতজনকে ক্ষমা করেছেন রাষ্ট্রপতি, জানতে চান হাইকোর্ট

সাড়ে ৩৩ বছরে কতজনকে ক্ষমা করেছেন রাষ্ট্রপতি, জানতে চান হাইকোর্ট ১৯৯১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত- এই ৩৩ বছর সাত মাসে রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে কতজনের কারাদণ্ড মওকুফ, দণ্ড স্থগিত বা কমিয়েছেন, তার তালিকা কেন প্রকাশ করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সোমবার (২১ এপ্রিল) বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে এদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার ওমর ফারুক। গত সাড়ে ৩৩ বছরে বিভিন্ন সময় দায়িত্বে থাকা রাষ্ট্রপতিরা কতজনের দণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা কমিয়েছেন তার তালিকা প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের এ আইনজীবী।

বিমানের কার্গো সক্ষমতা বৃদ্ধি করছে বাংলাদেশ

বিমানের কার্গো সক্ষমতা বৃদ্ধি করছে বাংলাদেশ ভারত হঠাৎ করে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধ করে দেওয়ার পর বাংলাদেশ দ্রুত বিমানের কার্গো অবকাঠামো বৃদ্ধি করছে। গুরুত্বপূর্ণ পণ্য, বিশেষ করে তৈরি পোশাকের নিরবিচ্ছিন্ন রপ্তানি নিশ্চিত করতে সক্ষমতা বৃদ্ধি, জনবল নিয়োগ ও পরিবহন খরচ কমানোর জন্য জরুরি পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এবং একমাত্র গ্রাউন্ড-হ্যান্ডলিং এজেন্ট বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স নিরবচ্ছিন্ন কার্গো কার্যক্রম সহজতর করতে এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে। বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া শুক্রবার বাসস’কে বলেছেন, আমরা (বেবিচক ও বিমান বাংলাদেশ) বিমানের কার্গোকে আরো সাশ্রয়ী করার জন্য বর্তমান বেসামরিক বিমান চলাচল ও  গ্রাউন্ড-হ্যান্ডলিং শুল্ক সংশোধন করতে একসঙ্গে কাজ করছি। তিনি বলেন, কার্গো কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পর্কিত ফি ও খরচ সহজতর ও  হ্রাস করতে সরকার বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে সকল অংশীদারদের সমন্বয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠনের পরিকল্পনা করছে।

ভারতের দেয়া বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করলো বাংলাদেশ

ভারতের দেয়া বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করলো বাংলাদেশ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সকল ধর্মের নাগরিকদের সমান অধিকার নিশ্চিত করে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম দিনাজপুরে ভবেশ চন্দ্র রায়ের মৃত্যুর ঘটনায় ভারত সরকারের দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। গতকাল শনিবার এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, ভবেশ চন্দ্র রায়ের মৃত্যুকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর ‘সংগঠিত নিপীড়নের ধারাবাহিকতার’ অংশ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে’। বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের মুখপাত্র শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা এই ভিত্তিহীন দাবিকে প্রত্যাখ্যান করছি।” তিনি বলেন, বাংলাদেশ এমন দেশ নয়, যেখানে সংখ্যালঘুরা সরকারের সমর্থনে কোন বৈষম্যের শিকার হন।প্রেস সচিব পুনরায় উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশ সরকার সকল নাগরিককে তার ধর্মীয় পরিচয় নির্বিশেষে অধিকার রক্ষা করে। তিনি বলেন, ‘এই নির্দিষ্ট ঘটনায়, আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে ভুক্তভোগী পূর্বপরিচিত কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে বাইরে গিয়েছিলেন। তার পরিবার কারো সঙ্গে বাইরে যাওয়া নিয়ে কোনো সন্দেহজনক বিষয় জানাননি।’ শফিকুল আলম জানান, ময়নাতদন্ত রিপোর্টে শরীরে কোনো দৃশ্যমান আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবুও, মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করতে ভিসেরা বিশ্লেষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান এবং বলেন, ভিসেরা রিপোর্ট পাওয়ার পর উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ‘আমরা সব পক্ষকে আহ্বান জানাচ্ছি, ঘটনাটি নিয়ে বিভ্রান্তিকর ও উসকানিমূলক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার জন্য,’তিনি যোগ করেন। শনিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভবেশ চন্দ্র রায়ের হত্যাকে ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর সংগঠিত নিপীড়নের ধারাবাহিকতা’ বলে মন্তব্য করে। এক্স-এ দেওয়া এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন: ‘বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘু নেতা শ্রী ভবেশ চন্দ্র রায়ের অপহরণ ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। ‘এই হত্যাকাণ্ড একটি ধারাবাহিক নিপীড়নের অংশ, যেখানে হিন্দু সংখ্যালঘুদের টার্গেট করা হচ্ছে এবং পূর্বের ঘটনাগুলোর অপরাধীরা বিনা শাস্তিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে,’ তিনি দাবি করেন।