ঈদুল আজহায় ৫০ শতাংশ বোনাস এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের

ঈদুল আজহায় ৫০ শতাংশ বোনাস এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের আগামী ঈদুল আজহায় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর আসছে। উৎসব ভাতা হিসেবে মূল বেতনের ৫০ শতাংশ হারে ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বর্তমানে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা মূল বেতনের ২৫ শতাংশ হারে উৎসব ভাতা পেয়ে থাকেন। সম্প্রতি ‘বাজেট মনিটরিং ও সম্পদ কমিটি’র সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ সভাপতিত্ব করেন। সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের এসংক্রান্ত প্রস্তাবে অর্থ বিভাগ সম্মতি দিয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, আগামী ঈদুল আজহা থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে পারে।

আগামী রবিবার ঢাকা আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আগামী রবিবার ঢাকা আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আগামী রবিবার দুই দিনের সরকারি সফরে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। ইসহাক দারের সফরকালে বেশ কয়েকটি চুক্তি সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এসব বিষয় চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে কাজ করছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বাসস’কে জানিয়েছেন, ‘কয়টি চুক্তি সই হবে তা সেটি এখনো নিশ্চিত নয়, তবে একাধিক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে।’ এই সফরকে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। যা বিগত ১৩ বছরের মধ্যে কোনো পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম সফর। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে দুই দেশের সম্পর্কের অচলাবস্থা নিরসনে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে স্বাভাবিক করার জন্য এই সফরকে কূটনীতিকরা একটি সম্ভাব্য পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।

মার্চে সড়কে ঝরেছে ৬১২ প্রা*ণ, আ*হত ১ হাজার ২৪৬

মার্চে সড়কে ঝরেছে ৬১২ প্রা*ণ, আ*হত ১ হাজার ২৪৬ গত মার্চ মাসে সারা দেশে ৫৯৩টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ৬১২ জন নিহত ও এক হাজার ২৪৬ জন আহত হয়েছেন। আজ বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবেদন তুলে ধরে হয়। দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌপথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেল। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত মার্চে সারা দেশে সড়ক, রেল ও নৌপথে মোট ৬৪১টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ৬৬৪ জন নিহত ও ১ হাজার ২৫৩ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে ৫৯৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬১২ জন নিহত ও এক হাজার ২৪৬ জন আহত হয়েছে। রেলপথে ৪০টি দুর্ঘটনায় ৩৪ জন নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছে। নৌপথে আটটি দুর্ঘটনায় ১৮ জন নিহত ও একজন আহত হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, এ সময়ে ২২৭টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২৫১ জন নিহত ও ২০৮ জন আহত হয়েছে। যা মোট দুর্ঘটনার ৩৮ দশমিক ২৭ শতাংশ, নিহতের ৪১ দশমিক এক শতাংশ ও আহতের ১৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ। ওই মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে ঢাকা বিভাগে ১৪৮টি। এ বিভাগে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫০ জন নিহত ও ৩৬৪ জন আহত হয়েছে। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে বরিশাল বিভাগে, ৩১টি। ওই বিভাগে দুর্ঘটনায় ৩১ জন নিহত ও ৮৬ জন আহত হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে রয়েছেন ২১ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১৪৭ জন চালক, ৯৯ জন পথচারী, ৮৫ জন পরিবহন শ্রমিক, ৮১ জন শিক্ষার্থী, ১৪ জন শিক্ষক, ১১৩ জন নারী, ৫৮ জন শিশু, একজন আইনজীবী, একজন সাংবাদিক, একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং ১৩ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী। এদের মধ্যে নিহত হয়েছেন তিনজন পুলিশ সদস্য, তিনজন সেনা সদস্য, দুইজন বিজিবি সদস্য, একজন আইনজীবী, একজন মুক্তিযোদ্ধা, ১২১ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ৯৭ জন পথচারী, ৭৪ জন নারী, ৫২ জন শিশু, ৫১ জন শিক্ষার্থী, ২২ জন পরিবহন শ্রমিক, ১৪ জন শিক্ষক ও সাতজন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী। এ সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত ৯১০টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ২৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১১ দশমিক ৮৬ শতাংশ বাস, ১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, পাঁচ দশমিক ১৬ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ১০ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, পাঁচ দশমিক ৪৯ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৫১ দশমিক ২৬ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া ২২ দশমিক ৫৯ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৭ দশমিক ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, শূন্য দশমিক ১৬ শতাংশ চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে, সাত দশমিক ৯২ শতাংশ বিবিধ কারণে এবং শূন্য দশমিক ৮৪ শতাংশ ট্রেন-যানবাহনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, এ মাসে সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৩৪ দশমিক ২৩ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ৩৭ দশমিক ২৬ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে। এছাড়াও সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার তিন দশমিক ৫৪ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, শূন্য দশমিক ৬৭ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও শূন্য দশমিক ৮৪ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংগঠিত হয়েছে।

পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করছে বাংলাদেশ

পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করছে বাংলাদেশ ক্যাথলিক চার্চের প্রধান এবং ভ্যাটিকান সিটি স্টেটের রাষ্ট্রপ্রধান ও খ্রিস্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে বাংলাদেশে পালিত হচ্ছে তিন দিন রাষ্ট্রীয় শোক। আজ সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ভবনের (১ নম্বর ভবন) ওপরে অর্ধনমিত জাতীয় পতাকা উড়তে দেখা গেছে। অন্যান্য সরকারি ভবনেও উড়ছে অর্ধনমিত জাতীয় পতাকা। আজ থেকে শুরু হয়ে আগামী শনিবার ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় শোক পালন করবে বাংলাদেশ। এরআগে বুধবার রাতে ২৩ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপন বলা হয়েছে, ক্যাথলিক চার্চের প্রধান এবং ভ্যাটিকান সিটি স্টেটের রাষ্ট্রপ্রধান হিজ হলিনেস পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে আজ থেকে শনিবার ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত তিন দিন রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে। রাষ্ট্রীয় শোক পালনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রয়েছে। এছাড়া পোপ ফ্রান্সিসের বিদেহী আত্মার শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হচ্ছে। এদিকে, সদ্য প্রয়াত ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেবেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। রোমান ক্যাথলিক ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস গত সোমবার মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। তিনি ১২ বছর রোমান ক্যাথলিক গির্জার সর্বোচ্চ নেতার দায়িত্ব পালন করেছেন।

৭ দেশের ১৭ হাজার প্রবাসী ভোটারের আবেদন অনুমোদন

৭ দেশের ১৭ হাজার প্রবাসী ভোটারের আবেদন অনুমোদন প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রয়োগ নিয়ে সব মহলে আলোচনা হলেও তাদের ভোটার করে নেওয়ার কার্যক্রমে তেমন অগ্রগতি নেই। ফলে ভোটদান পদ্ধতি নির্ধারণ করতে পারলেও কত শতাংশ ভোট তাদের থেকে আসবে তা নিয়েও অনেকের রয়েছে সংশয়। ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইতালি, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত ও মালয়েশিয়া; এই সাতটি দেশে দূতাবাসের মাধ্যমে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা করছে ইসি। এক্ষেত্রে অনলাইনে আবেদন করে দূতাবাসে এসে ফটো তুলে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হচ্ছে। এছাড়া কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুরে কার্যক্রমটি সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি। জানা গেছে, ৭ টি দেশ থেকে মোট আবেদন পড়েছে ৪২ হাজার ২৬৯টি। যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়েছে তিন হাজার ৪০১টি আবেদন। উপজেলা নির্বাচন অফিসে তদন্ত প্রক্রিয়াধীন আছে ২০ হাজার ১৮৪টি আবেদন। তদন্ত শেষে আবেদন অনুমোদন হয়েছে ১৭ হাজার ৬০৭ জনের। অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে ৪৫৭ জনের আবেদন। আর সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে আঙুলের ছাপ ও ছবি নেওয়া হয়েছে ২২ হাজার ১২৮ জনের। সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ১৮ হাজার ৫৮৯টি। আর সবচেয়ে কম আবেদন পড়েছে মালয়েশিয়ায় ৭৮৪ জন। গত বছরের মে থেকে এই আবেদনগুলো এসেছে। নির্বাচন কমিশন প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়, জনশক্তি ব্যুরো, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি-বায়রাসহ বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে দেখেছে ৪০টি দেশে বাংলাদেশি প্রবাসীদের আধিক্য রয়েছে। এইসব দেশকেই মাথায় রেখে কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। দেশগুলো হলো- সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, ওমান, কাতার, বাহরাইন, লেবানন, জর্ডান, লিবিয়া, সুদান, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য, ইতালি, হংকং, মিশর, ব্রুনাই, মৌরিশাস, ইরাক, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, গ্রিস, স্পেন, জার্মানি, দক্ষিণ আফ্রিকা, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ড, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, ব্রাজিল, চীন, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, নিউজিল্যান্ড, রাশিয়া, তুরস্ক ও সাইপ্রাস। এসব দেশে এক কোটি ৪০ লাখ ৪৬ হাজার ৫৩৪ জন প্রবাসী রয়েছে। সবচেয়ে রয়েছে বেশি প্রবাসী রয়েছে সৌদি আরবে, ৪০ লাখ ৪৯ হাজার ৫৮৮ জন। আর সবচেয়ে কম রয়েছে নিউজিল্যান্ডে দুই হাজার ৫শ জন। জানা গেছে, নির্বাচন কমিশন ওই ৪০টি দেশেই কার্যক্রমটি সম্প্রসারণ করার পরিকল্পনা নিয়েছে। এতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে তা হাতে নিতে হচ্ছে। তবে যেসব দেশে কার্যক্রম চলমান, সেখান থেকেও খুব একটা সাড়া মিলছে না। ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, প্রবাসীদের ভোটার করে নেওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে পাসপোর্ট। কেননা, বৈধ পাসপোর্টধারী ছাড়া কারো আবেদন তারা আমলে নিচ্ছে না। এছাড়া ভৌগলিক অবস্থানও একটা কারণ। অন্যদিকে অনেকেই নিরক্ষর হওয়ার কারণেও আসছেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, আমাদের প্রবাসীদের অধিকাংশই কাজের জন্য বিদেশ গিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে কাজ সেরে বা কাজের ফাঁকে সংশ্লিষ্ট দূতাবাসে এসে ভোটার হওয়া অনেকের জন্যই প্রায় অসম্ভব হয়ে যায়। একজন ব্যক্তি হয়তো ভোটার হতে চান, আর তার কর্মক্ষেত্রে হয়তো কোনো রিমোট অঞ্চলে, তাহলে অর্থ ও সময় ব্যয় করে তিনি সংশ্লিষ্ট দেশের রাজধানীতে স্থাপিত আমাদের দূতাবাসে এসে ভোটার হতে চাইবেন না, এটাই স্বাভাবিক। আবার অনেকেই প্রবাস জীবন কাটাচ্ছেন বৈধ কাগজপত্র ছাড়া। হয়তো ভুয়া কাগজ বানিয়ে গেছেন। কিন্তু এখন আর সঠিক কাগজ দেখাতে পারছেন না। ফলে সেটাও আইনের বরখেলাপ হয়ে যাচ্ছে। ফলে অনেকের আগ্রহ থাকলেও ভোটার করে নেওয়া যাচ্ছে না। তাই সেভাবে এগুচ্ছে না। এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব কেএম আলী নেওয়াজ বলেন, আমরা সাতটা দেশে ভোটার কার্যক্রম চালাচ্ছি। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশের আমাদের দূতাবাসের লোকবলকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তারা একটা নির্দিষ্ট ফি নিয়ে ভোটার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। অর্থাৎ তারা অনলাইনের তথ্যের ইনপুট দেওয়া, ছবি তোলা ও চোখের আইরিশ নেওয়ার কাজটি করে দিচ্ছে। এরপর সেই ব্যক্তির স্থায়ী ঠিকানা সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সেই আবেদনের সত্যতা প্রমাণে তদন্ত করছেন। তদন্তে সত্যতা মিললে সেটিকে আমরা অনুমোদন দিচ্ছি। এরপর প্রবাসীর এনআইডি পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে সংশ্লিষ্ট দূতাবাসে। তিনি বলেন, এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে আইনের ব্যত্যয় করা যায় না। বৈধ কাগজপত্র থাকলে এবং ভোটার হতে চাইলে তার জন্য কোনো অসুবিধা নেই। খুব সহজেই ভোটার হতে পারবেন। অন্যদিকে প্রবাসীদের অনেকেই দেশ থেকেই ভোটার হয়ে গেছেন। কেননা, যারা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর বিদেশে গিয়েছেন, তারা এনআইডি ছাড়া পাসপোর্ট করতে পারেননি। কাজেই আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে, প্রবাসীদের অধিকাংশেরই এনআইডি আছে এবং তারা ভোটার হয়েছেন। অন্যরা যারা হননি, তাদের জন্যই আমরা সুযোগটি সৃষ্টি করেছি। তবে বৈধ কাগজপত্র লাগবে। ভোটদান পদ্ধতি নির্ধারণ হলে ভালো সাড়াই মিলবে বলে আশা করি। এদিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাতে এসে রোববার (২০ এপ্রিল) প্রবাসীদের ভোটদান নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী। তিনি বলেছেন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার দেওয়া হয়নি। এখন পর্যন্ত কোনো ভালো পদ্ধতি পায়নি কমিশন। প্রবাসীদের ভোটাধিকার যদি নিশ্চিত না করা হয়, তাহলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। এ বিষয়ে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, প্রবাসীদের ভোটার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আইনে যেভাবে আছে, সেভাবে ভোটার হয়ে যাবেন। আর তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য কমিশন পদ্ধতি খুঁজছে। এক্ষেত্রে তিনটি পরামর্শক কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, যে কোনো পদ্ধতিতে ভোট হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা পেয়ে কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন ২০১৯ সালে প্রবাসে এনআইডি সরবরাহের উদ্যোগ হাতে নেয়। এরপর ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের অনলাইনে ভোটার করে নেওয়ার কার্যক্রম উদ্বোধন করে ইসি। এর আগে ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রবাসীদের মাঝে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়। তার আগে একই বছর ৫ নভেম্বর মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশিদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি এবং স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার অংশ হিসেবে অনলাইনে আবেদন নেওয়ার কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। এরপর সৌদি আবর, সিঙ্গাপুর ও মালদ্বীপে থাকা বাংলাদেশিদের জন্যও এ সুযোগ চালু করা হয়। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে থমকে যায় দূতাবাসের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা। পরবর্তী সময়ে ২০২২ সালে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর সেই কার্যক্রমকে ফের উজ্জীবিত করেন। এক্ষেত্রে আগের আবেদনগুলো পাশ কাটিয়ে নতুন করে কার্যক্রম শুরু করেন তারা। সেই কার্যরক্রমকেই এগিয়ে নিচ্ছে বর্তমান নাসির কমিশন।

কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক

কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান বিন জসিম আল থানির সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। চারদিনের সরকারি সফরের শেষ দিনে আজ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় দোহায় কাতারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, কাতারের দোহায় ২২ ও ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয় ‘আর্থনা শীর্ষ সম্মেলন ২০২৫’। এই সম্মেলনে অংশ নিতে অধ্যাপক ইউনূস চারদিনের সরকারি সফরে বর্তমানে কাতারে অবস্থান করছেন। সফরের অংশ হিসেবে গত সোমবার ২১ এপ্রিল স্থানীয় সময় রাত ৯টা ৪০ মিনিটে তিনি দোহায় হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। এ সময় কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম তাকে অভ্যর্থনা জানান। এর আগে তিনি একই দিন সন্ধ্যা ৭টায় (বাংলাদেশ সময়) হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দোহার উদ্দেশ্যে রওনা হন।

২৪ ঘণ্টার মধ্যে সোনার দামে পতন, আজ থেকেই কার্যকর

২৪ ঘণ্টার মধ্যে সোনার দামে পতন, আজ থেকেই কার্যকর দাম বাড়ানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দেশের বাজারে সোনার দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ৫ হাজার ৩৪২ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের ১ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৪৬ টাকা নির্ধারণ করেছে সংগঠনটি। আজ বাজুস এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সোনার নতুন দাম জানিয়ে বলেছে আজ সন্ধ্যা থেকেই বাজারে নতুন দাম কার্যকর হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৪৬ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬৪ হাজার ৬৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৪১ হাজার ১৬৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

ড. ইউনূসের নামে দুদকের মামলা বাতিল

ড. ইউনূসের নামে দুদকের মামলা বাতিল নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নামে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলা বাতিল করে রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আপিল মঞ্জুর করে বুধবার (২৩ এপ্রিল) এ সিদ্ধান্ত দেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী আসিফ হাসান জানান, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আপিল মঞ্জুর করেছেন আদালত। ফলে মামলাটি বাতিল হয়ে গেল। অর্থাৎ মামলাটি আর থাকলো না। তিনি আরও জানান, এখানে টাকা আত্মসাৎ হয়নি। টাকা পুরোটাই দিয়ে দিয়েছেন। সেখানে কে কম পেয়েছে বা বেশি পেয়েছে। তার সামন্য অংশ নিয়ে ডিসপিউট। সেটা সিভিল কোর্টে হয়। ফৌজদারি কোর্টে নয়। তাই এ মামলা চলতে পারে না। এর আগে অভিযোগ গঠনের বৈধতা এবং মামলার কার্যধারা বাতিল চেয়ে আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের ওপর শুনানি শেষে গত ১৯ মার্চ আপিল বিভাগ রায়ের জন্য ২৩ এপ্রিল দিন ঠিক করেছিলেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন।  রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।  দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান। এর আগে ২০২৪ সালের ২১ অক্টোবর আপিলের অনুমতি দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে ২০২৩ সালের ৩০ মে মামলাটি দায়ের করেন।  তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামিরা ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।  অবৈধভাবে অর্থ স্থানান্তর করা হয়েছে, যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধ। গত বছরের ১২ জুন ওই মামলায় অধ্যাপক ইউনূসসহ ১৪ জনের নামে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন।  এ অবস্থায় অভিযোগ গঠনের বৈধতা নিয়ে মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে অধ্যাপক ইউনূসসহ সাতজন হাইকোর্টে আবেদন করেন। আবেদনের ওপর গত বছরের ১১ জুলাই শুনানি শেষ হয়।  পরে গত ২৪ জুলাই বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ আবেদন খারিজ করে আদেশ দেন।  এরপর আপিল বিভাগে আবেদন করেন অধ্যাপক ইউনূস। আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে আমরা হাইকোর্টে গেলাম।  হাইকোর্ট বাতিল আবেদন খারিজ করে দিলেন।  পরে আপিল বিভাগে গেলাম।  আপিল বিভাগ বললেন, এ মামলা চলে না।  কারণ মামলাটি প্রত্যাহার (১১ আগস্ট দুদক মামলা প্রত্যাহারে আবেদন দেন) করা হয়েছে।  আমরা বললাম, না, মামলা প্রত্যাহার হয়নি।  কারণ এটি অবৈধ।  তিনি (অধ্যাপক ইউনূস) ৮ আগস্ট ক্ষমতায় আসেন।  ১১ আগস্ট কোনো নোটিশ ছাড়া, বিনা কারণে মামলা বাদ দিলেন। তিনি বলেন, এটি বাদ দেওয়ার কোনো ক্ষমতা নেই, আমরা তা আদালতকে বোঝাতে সক্ষম হলাম।  পরে আবেদনের শুনানিতে বললাম, অধ্যাপক ইউনূসের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই।  শ্রমিকের টাকা শ্রমিকের অ্যাকাউন্টে বিতরণ হয়েছে।  এটি তো কোম্পানির টাকা নয়।  এখানে তাকে মিথ্যাভাবে হয়রানির জন্য, অপমান করার জন্য মামলাটা করা হয়েছে। ‘আর অধ্যাপক ইউনূসও বলেছেন- প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার পরপরই মামলাটা প্রত্যাহার হয়ে গেল! আমার আইনজীবীও জানে না, প্রতিষ্ঠানও জানে না।  আমি আইনিভাবে মোকাবিলা করব।  যদি দোষী প্রমাণিত হই, তাহলে সাজা মেনে নেব।  আইনের মাধ্যমে সমাধান করব’- উল্লেখ করেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

নির্বাচন ও ইসি নির্বাচনী আচরণবিধি যাচাইয়ে বৈঠক বৃহস্পতিবার

নির্বাচনী আচরণবিধি যাচাইয়ে বৈঠক বৃহস্পতিবার নির্বাচনী আচরণবিধি যাচাইয়ে বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বৈঠক করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৈঠকটি বিকেল ৩টায় নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে আচরণবিধি সংশোধনে একটি খসড়া চূড়ান্ত করেছে সংস্থাটি। বুধবার (২৩ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলামের দপ্তর থেকে জারি করা এক অফিস আদেশ থেকে বিষয়টি জানা গেছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় ‘সীমানা পুনর্নির্ধারণ, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, জাতীয় এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন প্রস্তুতি, ভোটকেন্দ্র স্থাপন, ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুত ও তদারকি এবং উপকারভোগী পর্যায়ে আলোচনা বিষয়ক কমিটি’ বৈঠকে বসবে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন নির্বাচন কমিশনার ও কমিটির সভাপতি মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।

ডিএমপির অফিস আদেশ স্থগিত, আসামি গ্রেপ্তারে লাগবে না অনুমতি

ডিএমপির অফিস আদেশ স্থগিত, আসামি গ্রেপ্তারে লাগবে না অনুমতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনার মামলায় আসামি গ্রেপ্তারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে, ঢাকা মহানগর পুলিশের এমন অফিস আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল।  ৯ এপ্রিল ঢাকা মহানগর পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন–সংক্রান্ত দায়ের করা মামলায় আসামি গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে অফিস আদেশ জারি করা হয়। এর বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জসিম উদ্দিন রিটটি দায়ের করেন। রুলে ৯ এপ্রিলের অফিস আদেশ কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন। স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, ডিবি, সিআইডি ও এসবি প্রধানসহ সাতজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের হেডকোয়ার্টার্স থেকে কমিশনারের পক্ষে ৯ এপ্রিল ‘অফিস আদেশ’ জারি করেন যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো. ফারুক হোসেন। ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সংক্রান্ত রুজুকৃত মামলায় আসামি গ্রেফতার প্রসঙ্গে’ শীর্ষক আদেশে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সংক্রান্ত রুজুকৃত মামলায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে এজাহার নামীয় আসামির সংখ্যা অধিক। এসকল মামলার এজাহার নামীয় কিংবা তদন্তে প্রাপ্ত আসামি গ্রেফতারের নিমিত্তে উপযুক্ত প্রমাণসহ (ভিকটিম/বাদী/সাক্ষী, ঘটনা সংশ্লিষ্ট ভিডিও/অডিও/ স্থির চিত্র ও সিডিআর ইত্যাদি) অবশ্যই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে গ্রেপ্তার করতে হবে। উপযুক্ত প্রমাণ ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনার মামলার এজাহার নামীয় কিংবা তদন্তে প্রাপ্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার না করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।