১ আগস্ট থেকে কার্যকর মার্কিন শুল্ক, চুক্তি অধরা বাংলাদেশের

১ আগস্ট থেকে কার্যকর মার্কিন শুল্ক, চুক্তি অধরা বাংলাদেশের মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত নতুন শুল্ক নীতিমালা আগামী ১ আগস্ট থেকেই কার্যকর হচ্ছে। হাতে মাত্র তিন দিন বাকি থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেনি বাংলাদেশ। মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক স্থানীয় সময় গতকাল ‘ফক্স নিউজ সানডে’ অনুষ্ঠানে জানান, বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর শুল্ক আরোপের জন্য নির্ধারিত সময়সীমা চূড়ান্ত, এবং তা আর বাড়ানো হবে না। তবে, শুল্ক কার্যকর হওয়ার পরও আলোচনার সুযোগ থাকবে বলে জানান তিনি। ইতিমধ্যে যুক্তরাজ্য, জাপান, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনাম যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছেছে। সর্বশেষ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গেও একটি চুক্তির ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। তবে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ এখনো কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেনি।

২৭ দিনে রেমিট্যান্স প্রবাহ ৩৩.৬ শতাংশ বৃদ্ধি 

২৭ দিনে রেমিট্যান্স প্রবাহ ৩৩.৬ শতাংশ বৃদ্ধি  বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, জুলাই মাসের প্রথম ২৭ দিনে রেমিট্যান্স প্রবাহ ৩৩ দশমিক ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২ হাজার ৯৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। গত বছরের একই সময়ে, দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল ১ হাজার ৫৭২ মিলিয়ন ডলার। প্রবাসী বাংলাদেশিরা ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রেকর্ড পরিমাণ ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা দেশের ইতিহাসে এক অর্থবছরে প্রাপ্ত সর্বোচ্চ পরিমাণ। আগের অর্থবছরে (অর্থবছর ২০২৩-২৪) প্রাপ্ত ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় রেমিট্যান্স  ২৬ দশমিক ৮০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

পুলিশের চার ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর

পুলিশের চার ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন চার কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। সোমবার (২৮ জুলাই) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এতে সই করেছেন সিনিয়র সচিব নাসিমুল গণি। বাধ্যতামূলক অবসরে যাদের পাঠানো হয়েছে তারা হলেন—ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত ডিআইজি আতিকা ইসলাম, রেলওয়ে পুলিশ ঢাকায় সংযুক্ত ডিআইজি মো. মাহবুব আলম, শিল্পাঞ্চল পুলিশে সংযুক্ত ডিআইজি মো. মনির হোসেন এবং পুলিশ টেলিকম ঢাকায় সংযুক্ত ডিআইজি এ কে এম নাহিদুল ইসলাম। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জনস্বার্থে তাদের সরকারি চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হলো। বিধি অনুযায়ী তারা অবসর সুবিধাপ্রাপ্ত হবেন।

আগামী ২-৩ দিনের মধ্যেই ঐতিহাসিক সনদের চূড়ান্ত প্রক্রিয়ায় পৌঁছতে যাচ্ছি : আলী রীয়াজ

আগামী ২-৩ দিনের মধ্যেই ঐতিহাসিক সনদের চূড়ান্ত প্রক্রিয়ায় পৌঁছতে যাচ্ছি : আলী রীয়াজ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেছেন, অব্যাহত আলোচনার মাধ্যমে আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যেই ঐতিহাসিক জুলাই সনদের চূড়ান্ত প্রক্রিয়ায় পৌঁছতে যাচ্ছে কমিশন। আজ রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে দ্বিতীয় পর্যায়ের ২০তম দিনের বৈঠকের শুরুতে তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যে এ কথা বলেন। অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘আপনাদের সহযোগিতায় আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে আমাদের একটি সনদের চূড়ান্ত প্রক্রিয়ায় নিয়ে যেতে পারবে বলে আমরা আশা রাখি।’ তিনি আরো বলেন, আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে বারবার আমরা পরিবর্তন ও সংস্কার করি এই কারণে যে, এতে করে যেন সকলে একটি নির্দিষ্ট স্থানে একমত হতে পারে। এখন পর্যন্ত ১২টি বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। যদিও দুটি বিষয়ে নোট অফ ডিসেন্ট রয়েছে। তবুও আমি বলবো, যেহেতু সকলের ছাড় দিচ্ছেন, সে কারণে এই ঐকমত্য গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে। কমিশনের সহ-সভাপতি বলেন, রাষ্ট্র কাঠামোর মৌলিক সংস্কারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়গুলো কোন না কোনভাবে আমাদের নিষ্পত্তি করতেই হবে। যেমন ধরুন- তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে আমাদের সকলের দীর্ঘদিনের সংগ্রাম রয়েছে এবং এ বিষয়ে একটি কাঠামো আমাদের জাতির সামনে উপস্থাপন করতে হবে, যেন ভবিষ্যতে আমরা এ রকম ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আরেকবার না যাই। এ কারণেই বারবার আলোচনা করার মাধ্যমে আপনাদের মতামতের প্রতিফলন ঘটিয়ে, তা পরিবর্তন পরিমার্জন ও প্রয়োজনে সংশোধন করা হচ্ছে। এ সময় আলোচনা একইভাবে অব্যাহত রেখে আগামী দুই-একদিনের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট জায়গা পৌঁছনোর জন্য রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। অধ্যাপক আলী রীয়াজ আরো বলেন, আমরা জাতীয় সনদে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে যুক্ত করে, তা জাতির সামনে উপস্থাপন করে সকলে মিলে স্বাক্ষর করে একটি ঐতিহাসিক দলিল তৈরি করতে চাই। যেই ঐতিহাসিক দলিলের মধ্যে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের পথরেখাটি অন্তর্ভুক্ত থাকবে। সব বিষয়গুলোকেই যে আমরা এতে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবো সেটা আমরা কখনোই মনে করিনি। বরং যে সকল বিষয়ে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও মৌলিক, সে বিষয়গুলোই আমরা বিবেচনা করেছি। যারা ভবিষ্যতের জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাজ করবেন অথবা রাজনীতিতে যুক্ত থাকবেন, তারা ভবিষ্যতে কমিশনের এই বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি। আজকের বৈঠকে কমিশনের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোকে জাতীয় সনদের খসড়া প্রেরণ করার কথা রয়েছে। আজকের আলোচ্য সূচিতে রয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, মহা হিসাব নিয়ন্ত্রণ ও নিরীক্ষক এবং ন্যায়পাল নিয়োগের বিধান ও জাতীয় সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আজকের আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি-সহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করছেন। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় আজ এ আলোচনায় কমিশনের সদস্য হিসেবে বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন ও ড. মো. আইয়ুব মিয়া উপস্থিত রয়েছেন। কমিশন সূত্রে জানা গেছে, দ্রুত জুলাই সনদ প্রণয়নের লক্ষ্যে রাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অমীমাংসিত সকল বিষয় ঐকমত্য গড়তে আগামী কিছুদিন কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনা চলমান থাকবে।

বিদেশ ভ্রমণের সরকারি আদেশে থাকতে হবে পাসপোর্ট নম্বর

বিদেশ ভ্রমণের সরকারি আদেশে থাকতে হবে পাসপোর্ট নম্বর বিদেশ ভ্রমণের সরকারি আদেশে (জিও) পাসপোর্ট নম্বর উল্লেখ করার অনুরোধ জানিয়ে সব মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। গতকাল রোববার মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন নিয়োগ শাখা-২ এর সিনিয়র সহকারী সচিব জেতী প্রু সই করা এক চিঠিতে এ অনুরোধ জানানো হয়। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিভিন্ন সময় কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণের সরকারি আদেশ জারি করা হচ্ছে। কিন্তু তাদের বিদেশ ভ্রমণের সরকারি আদেশে (জিও) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারীর পাসপোর্ট নম্বর উল্লেখ করা হচ্ছে না। সরকারি আদেশে পাসপোর্ট নম্বর উল্লেখ না থাকায় কর্মকর্তা/কর্মচারীরা কোন পাসপোর্ট ব্যবহার করে বিদেশ ভ্রমণে যাচ্ছেন তা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। এ প্রেক্ষিতে চিঠিতে কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণের সরকারি আদেশে (জিও) পাসপোর্ট নম্বর উল্লেখ করার অনুরোধ করা হয়েছে।

সেপ্টেম্বর থেকে দেড় লাখ পুলিশের প্রশিক্ষণ 

সেপ্টেম্বর থেকে দেড় লাখ পুলিশের প্রশিক্ষণ  আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে সেপ্টেম্বর মাস থেকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতির বিষয়ে এক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর এই তিন মাসে দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।’ তিনি জানান, নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় জোরদারের ওপরও গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এছাড়া নির্বাচনের সময় ৬০ হাজার সেনাসদস্য মোতায়েন থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বার্ন ইনস্টিটিউট থেকে আরও ২ জন ছাড়পত্র পেল

বার্ন ইনস্টিটিউট থেকে আরও ২ জন ছাড়পত্র পেল রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুলে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ আরও ২ জনকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৪ জন হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরল। এখনও সংটাপন্ন অবস্থায় আইসিইউতে রয়েছে ৪ জন। আজ বিকাল ৩টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, আজ কাজী আমজাদ সাইদ (২০) ও সবুজা (৪০) নামে দুইজনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। আমজাদ ঘটনাটিতে উদ্ধারকারী হিসেবে কাজ করছিলেন আর সবুজা (নারী) স্কুলটির কর্মচারী।এখন ৩৪ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। যাদের মধ্যে ২৮ জনই শিশু। এদের মধ্যে সংটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে ৪ জন। যাদের নিবির পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। সিভিয়ার ক্যাটাগরিতে অর্থাৎ এদের চাইতে একটু কম গুরুতর অবস্থায় রয়েছে ৯ জন। বাকিরা অন্যান্য ওয়ার্ড ভর্তি রয়েছে। আপাতত মোট ভর্তি থাকা ৩৪ জন রোগীর মধ্যে শরীরে ৩০ শতাংশের বেশি দগ্ধ হয়েছে এমন রোগী আছে ৬ জন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা ভর্তি রয়েছে তাদের সঙ্গে নিয়মিত ২ বেলা করে ইউনিট প্রধানরা কথা বলছেন এবং তাদের মানসিক সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। চলতি সপ্তাহে আরও বেশ কয়েকজনকে পর্যায়ক্রমে ছাড়পত্র দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান ইনস্টিটিউটের পরিচালক। এর আগে, শনিবার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল শিক্ষার্থী আয়ান খান (১২) ও রাফসিকে (১২)।

সারাদেশে ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃ*ত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪০৯

সারাদেশে ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃ*ত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪০৯ গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে এবং একই সময়ে মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৪০৯ জন। আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭২ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৭ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩২ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫৪ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৮ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১ জন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫১ জন, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৬ জন, সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) চার জন রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় ৫৩০ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরে এ যাবত মোট ১৮ হাজার ২২৩ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরে আজ পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ১৯ হাজার ৫২৯ জন। এর মধ্যে ৫৮ দশমিক ছয় শতাংশ পুরুষ এবং ৪১ দশমিক চার শতাংশ নারী রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছরে এ যাবত ডেঙ্গুতে মোট ৭৬ জন মারা গেছেন। ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে রাজশাহী বিভাগে এক জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মধ্যে একজন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মধ্যে একজন রয়েছেন। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে একলাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ৫৭৫ জন। এর আগে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়, পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।

একনেকে ৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১২ প্রকল্প অনুমোদন

একনেকে ৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১২ প্রকল্প অনুমোদন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় আজ মোট ৮ হাজার ১৪৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ১২টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে বাদ পড়ে গেছে আলোচিত ‘জুলাই শহীদদের আবাসন প্রকল্প’। আজ এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সভা শেষে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সাংবাদিকদের প্রকল্প অনুমোদনের বিস্তারিত তুলে ধরেন। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, এই প্রকল্পগুলোর অর্থায়ন কাঠামো এমনভাবে গঠিত হয়েছে যাতে সরকারি অর্থায়নের ওপর নির্ভরতা বেশি: সরকারি অর্থায়ন- ৮ হাজার ৮১৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ সহায়তা: ১৪৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন: ৫২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। সভায় অনুমোদিত ১২টি প্রকল্পের মধ্যে ৬টি নতুন, ৪টি সংশোধিত এবং ২টি কেবল মেয়াদ বাড়ানোর প্রকল্প। প্রকল্পগুলোতে সরকারি অর্থায়ন ৮ হাজার ৫৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ ১৪৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৫২ কোটি ২৮ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে কর্ণফুলী নদীর তীরঘেঁষে কালুরঘাট সেতু থেকে চাক্তাই খাল পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ, দেশের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ২০টি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন ও কোস্ট গার্ডের জন্য লজিস্টিক সুবিধা গড়ে তোলা। এছাড়া গ্রামীণ স্যানিটেশন, বহদ্দারহাট খাল খনন, রেলপথ রক্ষণাবেক্ষণ, মিরপুর সেনানিবাসে অফিসার্স মেস নির্মাণ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নও প্রকল্প তালিকায় রয়েছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে আয়বর্ধক প্রশিক্ষণ, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর সম্প্রসারণ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের কন্দাল ফসল গবেষণা এবং বিদ্যুৎ বিভাগের স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটারিং প্রকল্পও এদিন অনুমোদিত হয়। এছাড়া সভায় পরিকল্পনা উপদেষ্টা ইতোমধ্যে অনুমোদিত ১৮টি প্রকল্পের বিস্তারিত একনেক সদস্যদের অবহিত করেন। এর মধ্যে রয়েছে: গ্রাম সড়ক পুনর্বাসন, ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন, হাতি সংরক্ষণ, বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধি, ঢাকা উত্তর ও রাজশাহী নগরীর অবকাঠামো উন্নয়নসহ আরো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। সভায় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও উপদেষ্টা পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা। তাদের মধ্যে ছিলেন-আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেনান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, গৃহায়ন ও শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, ভূমি ও খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, বিদ্যুৎ, সড়ক ও রেল উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়ান।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিন সম্মেলনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

জাতিসংঘের ফিলিস্তিন সম্মেলনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ফিলিস্তিন সংকটের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি ও দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের বাস্তবায়ন নিয়ে আয়োজিত উচ্চপর্যায়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আজ সকালে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন তিনি। দুই দিনব্যাপী এই মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনটি আগামী ২৮-২৯ জুলাই নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হবে। ফ্রান্স ও সৌদি আরব জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের গৃহীত প্রস্তাব এ/আরইএস/৭৯/৮১-এর আলোকে যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করছে। উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন সম্মেলনের আলোচনায় অংশ নিয়ে গাজায় চলমান মানবিক ও রাজনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের প্রতি নতুন করে গতি সঞ্চারে সচেষ্ট হবেন, যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত থাকবেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন সম্মেলনে ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার এবং টেকসই দ্বিরাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়নের প্রশ্নে বাংলাদেশের অবিচল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সম্মেলনে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ, এবং নিরাপত্তা পরিষদ ও সাধারণ পরিষদের সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবনাগুলোর প্রতি নিজের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করবে। পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে টেকসই শান্তির লক্ষ্যে একটি বিশ্বাসযোগ্য ও সময়সীমা নির্ধারিত রোডম্যাপের পক্ষে মত তুলে ধরবে বলে জানা গেছে। এই উচ্চপর্যায়ের জাতিসংঘ সম্মেলনকে গাজা শাসনব্যবস্থা নিয়ে ঐকমত্য গঠনে, বাধাহীন মানবিক সহায়তা প্রবাহ নিশ্চিত করতে এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি জোরদারে একটি তাৎপর্যপূর্ণ বৈশ্বিক প্রয়াস হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক পরিসরে ফিলিস্তিনের ন্যায্য দাবির পক্ষে অবস্থান নিয়েছে এবং ১৯৮৮ সালে ফিলিস্তিন স্বাধীনতা ঘোষণার পরপরই প্রথম দিকের স্বীকৃতি প্রদানকারী দেশগুলোর অন্যতম ছিল।