আগামী সপ্তাহে ‘রোডম্যাপ’ প্রকাশ করবে ইসি

আগামী সপ্তাহে ‘রোডম্যাপ’ প্রকাশ করবে ইসি নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে আলোচনা হয়েছে৷ আগামী সপ্তাহে প্রকাশ করা হবে। আজ নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। ইসি সচিব বলেন, রোড ম্যাপ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে প্রকাশ করা হবে। গণমাধ্যমের সঙ্গেও আগামী সপ্তাহে সংলাপ। নিবন্ধন প্রত্যাশী ২২টি দলের তথ্য মাঠ পর্যায়ে তদন্তে পাঠানো হবে। তিনি বলেন, প্রবাসীদের ভোটদান নিয়ে আরেকটু আলোচনা আছে। তা শেষ করে আপনাদেরকে সময় জানানো হবে।
সাদা পাথর লুটের ঘটনায় করা রিটের শুনানি আগামী রবিবার

সাদা পাথর লুটের ঘটনায় করা রিটের শুনানি আগামী রবিবার সিলেটে সাদা পাথর লুটের ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে দায়ের করা রিটের শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। আগামী রবিবার হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মীর কে এম নুরুন্নবী। রিটে ঘটনার তদন্ত করে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এতে স্বরাষ্ট্র সচিব ছাড়াও পরিবেশ সচিব, আইজিপি, সিলেটের ডিসি, কোম্পানিগঞ্জের ইউএনও ১০ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদা সোনাখ্যাত দেশের শীর্ষ পর্যটন কেন্দ্র ভোলাগঞ্জে সাদা পাথর অবাধে লুটপাট চলছে- এমন সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এ পাথর লুটের ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়। পরে এ নিয়ে দৌড়ঝাঁপ শুরু করে স্থানীয় প্রশাসন। গতকাল দুদকের একটি টিমও সেখানে অভিযান চালায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, একসময় রাতের আঁধারে মাঝেমধ্যে পাথর চুরি হলেও এখন দিনে-দুপুরে কয়েক কোটি টাকার সাদা পাথর চুরি হচ্ছে। যার কারণে বর্তমানে সাদা পাথর বিলীন হওয়ার উপক্রম। প্রশাসনের সামনে দিয়ে বালু-পাথর লুট করে নিয়ে গেলেও কোনো কর্ণপাত নেই তাদের। সাদা পাথর লুটের জন্য ওই এলাকার বাসিন্দারা প্রশাসনকেই দুষছেন। তারা বলছেন, প্রশাসনের ব্যর্থতা আর মদতে সাদা পাথর লুটপাট চলছে। গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর থেকেই সাদা পাথর লুটপাট শুরু হয়। পরে প্রশাসনের কারণে তা অনেকটাই বন্ধ হয়। কিন্তু তবুও সুযোগ বুঝে চলে এই লুটপাট। বিভিন্ন সময়ে প্রশাসন ধলাই নদীতে অভিযান চালালেও লুটপাট বন্ধ হয়নি। এক সপ্তাহ লুটপাট হলে অভিযান হয় একদিন, আর ওইদিন বাদে বাকি ছয়দিনই চলে লুটপাট। যেদিকে পাথর কেনা-বেচা হয় এবং গাড়ি বা বড় নৌকা করে পাথর যায়, সেদিকে অভিযান না হওয়ায় এই লুটপাট বন্ধ হচ্ছে না বলেও দাবি করছেন এলাকাবাসী।
রাষ্ট্রপতিকে স্পিকারের শপথ পড়ানো প্রশ্নে রুল শুনানিতে ৭ অ্যামিকাস কিউরি

রাষ্ট্রপতিকে স্পিকারের শপথ পড়ানো প্রশ্নে রুল শুনানিতে ৭ অ্যামিকাস কিউরি প্রধান বিচারপতির পরিবর্তে রাষ্ট্রপতিকে জাতীয় সংসদের স্পিকার শপথ পড়াবেন এমন বিধান নিয়ে জারি করা রুল শুনানিতে মতামত জানাতে সাত আইনজীবীকে অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের আইনি সহায়তাকারী) হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ২৬ অক্টোবর দিন রেখেছেন। সাত আইনজীবী হলেন—জয়নুল আবেদীন, প্রবীর নিয়োগী, এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, শাহদীন মালিক, আহসানুল করিম, মুস্তাফিজুর রহমান খান ও জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। এর আগে ১০ মার্চ কবি, গীতিকার, প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট শহীদুল্লাহ ফরায়জী এ রিট দায়ের করেন। পরদিন রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এরপর হাইকোর্ট প্রধান বিচারপতির পরিবর্তে রাষ্ট্রপতিকে জাতীয় সংসদের স্পিকার শপথ পড়াবেন, সংবিধানের ১৫তম সংশোধনীর এমন বিধান কেন ’৭২-এর সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার ওমর ফারুক। রাষ্ট্রপতিকে প্রধান বিচারপতি শপথ পড়ানোর বিধান পরিবর্তন করে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১১ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে জাতীয় সংসদের স্পিকার শপথ পড়ানোর বিধান অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। রিটে আইন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে। রিটের পর আইনজীবী ব্যারিস্টার ওমর ফারুক বলেন, প্রথম থেকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতি একজন আরেকজনকে শপথ পড়াতেন। সেটি ৪র্থ সংশোধনীর মাধ্যমে স্পিকারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ৫ম সংশোধনীতে সেটা বাতিল করে প্রধান বিচারপতির কাছে আনা হয়। অর্থাৎ রাষ্ট্রপতিকে প্রধান বিচারপতি শপথ পড়াতেন। কিন্তু ২০১১ সালে ১৫তম সংশোধনীতে আবার স্পিকারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেটি চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। রিট আবেদেনে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘রাষ্ট্রপতির শপথে প্রধান বিচারপতির অনিবার্যতা’ শীর্ষক প্রকাশিত একটি কলামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যেটি লিখেছেন রিটকারী শহীদুল্লাহ ফরায়জী। ওই কলামের একটি অংশে বলা হয়, বিশ্বের অধিকাংশ দেশে রাষ্ট্রপতি বা প্রেসিডেন্টকে শপথবাক্য পাঠ করান সেই দেশের প্রধান বিচারপতি। সংসদীয় সরকার পদ্ধতি বা রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার পদ্ধতির দেশেও রাষ্ট্রপতি শপথ গ্রহণ করেন প্রধান বিচারপতির নিকট। এটা বিশ্বব্যাপী সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত ও প্রতিষ্ঠিত রেওয়াজ। কিন্তু বাংলাদেশে এর ব্যত্যয় দেখা যাচ্ছে। আমাদের দেশের রাষ্ট্রপতিকে শপথবাক্য পাঠ করান জাতীয় সংসদের স্পিকার। রাষ্ট্রের প্রধানের শপথ গ্রহণের ক্ষেত্রে বিচার বিভাগকে উপেক্ষা করা প্রকারান্তরে রাষ্ট্রের তিন বিভাগের মধ্যে ভারসাম্য বিনষ্ট করা। এতে সংবিধানের গভীর দার্শনিক ভিত্তি থেকে রাষ্ট্র বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সেই দার্শনিক ভিত্তি হচ্ছে—রাষ্ট্রপতি সংসদ কর্তৃক নির্বাচিত হয়ে প্রধান বিচারপতির নিকট শপথ গ্রহণ করে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন, এটাই হচ্ছে প্রজাতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য সাংবিধানিক নির্দেশনা। রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের অভিভাবক এবং তিনি সংবিধানের অভিভাবকের কাছে শপথবাক্য পাঠ করেন। তাই রাষ্ট্রপতির শপথ পাঠে প্রধান বিচারপতি অনিবার্য। যেহেতু রাষ্ট্রপ্রধান রূপে রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের অন্য সকল ব্যক্তির ঊর্ধ্বে স্থান লাভ করেন সেহেতু তাঁর শপথ রাষ্ট্রের অধীনস্থ তিন বিভাগের কোনো প্রধানের নিকট নয়, তিনি শপথ পাঠ করবেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির নিকট। এই অন্তর্নিহিত দর্শনের জন্যই প্রধান বিচারপতিকে ‘বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির প্রধান বিচারপতির নিকট শপথবাক্য পাঠ করার এই বাধ্যবাধকতা এবং মহিমান্বিত সাংবিধানিক মর্যাদা প্রজাতন্ত্রের কেউ বিনষ্ট করতে পারেন না, কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার তা করেছে। সংবিধানের চতুর্থ ও পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে এই আইন বলবৎ করা হয়েছে, যা প্রজাতন্ত্রের বৈশিষ্ট্যের সাথে চরমভাবে সাংঘর্ষিক। এটা আইন ও বিচারবিভাগের প্রতি ছিল আওয়ামী সরকারের অসম্ভব বিদ্বেষমূলক আচরণ প্রকাশের নজির— যা সাংবিধানিক ন্যায্যতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন করেছে। ‘৭২ সালের সংবিধানে প্রজাতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য ও প্রধান বিচারপতির মর্যাদা সুরক্ষার প্রশ্নে শপথ ও ঘোষণার তৃতীয় তফসিলে বলা হয়েছিল— ‘রাষ্ট্রপতি, স্পিকার এবং ডেপুটি স্পিকারের শপথ প্রধান বিচারপতি কর্তৃক পরিচালিত হইবে। ’ এগুলো আইনবিভাগ ও শাসনবিভাগের সাথে বিচারবিভাগের ভারসাম্যপূর্ণ নীতি, যা সংবিধান প্রণয়নের সময়ই চূড়ান্তভাবে নির্ধারিত। ১৯৭২ সালের সংবিধানে প্রজাতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য এবং চরিত্র যতটুকু সুরক্ষা দেওয়া হয়েছিল, আওয়ামী লীগ অতি দ্রুত তা ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। বাংলাদেশ নামক প্রজাতন্ত্রকে আওয়ামী লীগ নামক দলটি কীভাবে দেখতে চায়— তার প্রতিফলন ঘটেছে তাদের আনীত সংবিধানের চতুর্থ ও পঞ্চদশ সংশোধনীতে। রাষ্ট্রপতির শপথ স্পিকারের নিকট; এমন দেশ খুঁজে পাওয়াও দুষ্কর । বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশসমূহের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এবং প্রজাতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য পুনরুদ্ধারে— রাষ্ট্রপতি, স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের শপথ প্রধান বিচারপতি কর্তৃক পরিচালিত হবে, এ বিধান বাংলাদেশে আবার চালু বা পুনর্বহাল করতে হবে। প্রজাতন্ত্রের গণতান্ত্রিক ও শাসনতান্ত্রিক ব্যবস্থা বিকাশের স্বার্থেই তা করা প্রয়োজন।
রাজধানীতে ফানুস ওড়ানো নিষিদ্ধ

রাজধানীতে ফানুস ওড়ানো নিষিদ্ধ ঢাকা মহানগর এলাকায় যে কোনো প্রকার ফানুস ওড়ানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। আজ ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্সের ২৮ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে ১৪ আগস্ট রাত ১১টা থেকে ১৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগর এলাকায় যে কোনো প্রকার ফানুস ওড়ানো নিষিদ্ধ করা হলো। ডিএমপি নগরবাসীদের এ সংক্রান্ত নির্দেশনা মেনে চলার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেছে।
দেশজুড়ে অভিযানে গ্রেপ্তার ১ হাজার ৮৪৯

দেশজুড়ে অভিযানে গ্রেপ্তার ১ হাজার ৮৪৯ দেশে অভিযান চালিয়ে এক হাজার ৮৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে মামলা ও ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার করা হয় এক হাজার ২০৩ জনকে। আজ পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) এ এইচ এম শাহাদাত হোসাইনের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তি থেকে বিষয়টি জানা গেছে।এতে বলা হয়, দেশজুড়ে অভিযান চালিয়ে মোট এক হাজার ৮৪৯ জন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে মামলা ও ওয়ারেন্টে এক হাজার ২০৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য অপরাধে গ্রেপ্তার হয়েছেন ৬৪৬ জন। এ ছাড়া অভিযানে দেশীয় একনলা বন্দুক, পিস্তল, রাইফেল, দেশীয় এলজি, ম্যাগাজিন ও গুলিসহ অন্যান্য অপরাধ কাজে ব্যবহৃত জিনিসপত্র গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে।
লুট হওয়া পাথর ৭ দিনের মধ্যে আগের জায়গায় ফেলার নির্দেশ

লুট হওয়া পাথর ৭ দিনের মধ্যে আগের জায়গায় ফেলার নির্দেশ সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ থেকে সাদা পাথর লুটের ঘটনায় জড়িতদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রুলসহ এ আদেশ দেন। দুই মাসের মধ্যে এ তালিকা আদালতে হলফনামা আকারে দাখিল করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে সব পাথর যে সব স্থানে আছে, সাত দিনের মধ্যে সেখান থেকে এনে আগের জায়গায় ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া কী পরিমাণ ক্ষতি হলো সেটা নির্ধারণে একটি কমিটি করে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। কমিটিতে বুয়েটের একজন অধ্যাপক থাকবেন। পাশাপাশি সাদা পাথর এলাকা পর্যবেক্ষণে জন্য সব আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে এক মনিটরিং টিম গঠন করতে বলা হয়েছে। আদালত পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী বৃহস্পতিবার দিন রেখেছেন। আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, অন্তর্বর্তী আদেশের পাশাপাশি পাথর সংরক্ষণে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, সংরক্ষণ ও ক্ষতিপূরণের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, আইনি ব্যবস্থা কেন নেওয়া হবে না, এই মর্মে রুল জারি করেছেন। এর আগে আজ সকালে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন যুক্ত করে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে এ রিট করা হয়। ‘বিরামহীনভাবে চলছে সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রের পাথর লুট’- গত ১১ আগস্ট প্রকাশিত এই শিরোনামে প্রকাশি এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে বিরামহীনভাবে চলছে ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর পর্যটনকেন্দ্রের পাথর লুট। সিলেটের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে ভ্রমণপিপাসু মানুষের পছন্দের শীর্ষে থাকা এটি বর্তমানে লুটে ক্ষতবিক্ষত স্পটে পরিণত হয়েছে। পাথরের সঙ্গে বালুও লুট করা হচ্ছে। অথচ পর্যটনকেন্দ্রের চারদিকে বিজিবির চারটি ক্যাম্প ও পোস্ট রয়েছে। পরিবেশকর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ৫ আগস্টের আগে যত দূর চোখ যেত, দেখা যেত সাদা সাদা পাথর আর পাথর। কিন্তু এখন সেখানে ধু-ধু বালুচর। তাদের ভাষ্য, এক বছরে এক কোটি ৫০ লাখ ঘনফুট পাথর লুট হয়েছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ২০০ কোটি টাকার বেশি।সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রের ধলাই নদীর উৎসমুখ থেকে শত শত নৌকা দিয়ে পাথর লুট হচ্ছে। মূল স্পটের বাম পাশের বড় বড় পাথর নেই। কোথাও কোথাও বালুচর জেগে উঠেছে। যত্রতত্র খোঁড়াখুঁড়িও চলছে। বড় পাথরের পাশাপাশি ছোট-ছোট পাথরও লুট হয়ে গেছে। প্রকাশ্যে দিবালোকে পাথর নিয়ে যাচ্ছে। আর দায়িত্বশীলরা বসে বসে সে দৃশ্য দেখছে। এ ছাড়া পাথর বোঝাই শত শত নৌকার মাঝে পর্যটকবাহী নৌকাও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এতে পর্যটকরা হতাশা প্রকাশ করেছেন। সাদা পাথর পর্যটনকেন্দ্রের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রশাসনের উদাসীনতা ও টিলেঢালা নজরদারির কারণে পাথরখেকোরা নির্বিঘ্নে তাদের ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। মাঝেমধ্যে অভিযান চালালেও তার প্রভাব থাকে সামান্য সময়। এরপর আবারও লুটপাট চলে। একটি প্রভাবশালী মহল সাদা পাথর পর্যটনকেন্দ্র ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে দাবি তাদের। কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি উজায়ের আল মাহমুদ আদনান বলেন, সাদা পাথরকে কেন্দ্র করে ১৫টি মামলা হয়েছে। ৭০ জনের মতো আসামি গ্রেপ্তারও হয়েছে। স্থায়ীভাবে সাদা পাথর লুটপাট ঠেকাতে বড় অভিযানের প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
জাবিতে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু আগামী ২১ সেপ্টেম্বর

জাবিতে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু আগামী ২১ সেপ্টেম্বর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)’র ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস আগামী ২১ সেপ্টেম্বর শুরু হতে যাচ্ছে। আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের কেন্দ্রীয় ভর্তি ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান।
নীলফামারীতে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপরে, পানিবন্দী হাজারো মানুষ

নীলফামারীতে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপরে, পানিবন্দী হাজারো মানুষ তিস্তার উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি আরও বেড়েছে। পানিবন্দী হাজারো মানুষ। আজ বেলা ১২টায় ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকার কথা জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র। তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, খগাখাড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী, গয়াবাড়ি ও জলঢাকা উপজেলার গোলমুল্লা, ডাউয়াবাড়ি, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। এতে করে এসব ইউনিয়নের অন্তত ২৫ গ্রামের ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দী রয়েছে। এসব পরিবারের অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে বলে জানান স্থানীয়রা। টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম শাহিন জানান, তিস্তার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। পানিবন্দী মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটতে শুরু করেছে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র মতে, উজানের ঢলে আজ সকাল ছয়টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরপর সকাল নয়টায় চার সেন্টিমিটার বেড়ে ১৫ সেন্টিমিটার এবং বেলা ১২টায় আরও তিন সেন্টিমিটার বেড়ে ১৮ সেন্টিমিটার ওপরে উঠে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। গতকাল বুধবার সেখানে সকাল ছয়টায় সাত সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সকাল নয়টায় পাঁচ সেন্টিমিটার এবং সন্ধ্যা ছয়টায় বিপৎসীমার তিন সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন,‘উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রেখে সতর্কাবস্থায় রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড’।
জাতীয় পর্যায়ে ৩ দিনব্যাপী হজ ও ওমরাহ মেলার উদ্বোধন

জাতীয় পর্যায়ে ৩ দিনব্যাপী হজ ও ওমরাহ মেলার উদ্বোধন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী জাতীয় পর্যায়ে হজ ও ওমরাহ মেলা ২০২৫ এর উদ্বোধন করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। আজ হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এই হজ ও ওমরাহ মেলার আয়োজন করে। আগামী ৩ দিন এই মেলা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মেলায় পবিত্র হজ ও ওমরাহ পালনের বিশেষ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এ সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের পুস্তিকা মেলায় পাওয়া যাবে। মেলায় আগতদের জন্য মূল্য ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছেন অনেকে। পবিত্র হজ ও ওমরাহ নিয়ে অভিজ্ঞতা বিষয়ক কার্যক্রম পরিচালনা করবে মেলায় অংশগ্রহণকারী স্টলের মালিকরা। ধর্ম উপদেষ্টা হজ ও ওমরাহ মেলা আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে হাব সমন্বয় করে কাজ করছে। এ কারণে গত হজের মৌসুমে কোনো হজ যাত্রীর ভোগান্তি হয়নি, এমনকি কেউ অভিযোগও করেননি। ২০২৬ সালের হজ সুষ্ঠু করতে মন্ত্রণালয় বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের হাজীরা সৌদি আরবের খাবার খেতে অভ্যস্ত নয়। আমরা সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাবো যেন বাংলাদেশের মানুষ যেসব খাবার খায় বা অভ্যস্ত তা যেন তারা সরবরাহ করে। মিনা, মুজদালিফা, আরাফাতের ময়দানে পানি সংকট রয়েছে। সেখানে মিনারেল ওয়াটার দিয়ে ওজু করতে হয়েছে। উপদেষ্টা বলেন, এর বাইরে আরও যত ধরনের সমস্যা হয় সেগুলো আমাদের জানালে আমরা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার সমাধানের চেষ্টা করবো। হাবের মহাসচিব ফরিদ আহমেদ বলেন, এই মেলার মাধ্যমে গ্রাহকরা বিভিন্ন প্যাকেজ যাচাই-বাছাই করে মধ্যস্বত্বভোগীদের প্রভাব ছাড়াই সরাসরি হজ এজেন্সির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার সুযোগ পাবেন। সেই সঙ্গে প্যাকেজে মিলবে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড়।
তৃতীয় পর্যায়ে ৯১টি এজেন্সিকে হজ কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার অনুমতি

তৃতীয় পর্যায়ে ৯১টি এজেন্সিকে হজ কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার অনুমতি আগামী বছরের হজ কার্যক্রমে অংশ নিতে তৃতীয় পর্যায়ে ৯১টি এজেন্সিকে অনুমতি দিয়েছে সরকার। গতকাল ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ শাখা-২ এর উপসচিব মো. রফিকুল ইসলামের সই করা চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। চিঠিতে শর্তসাপেক্ষে প্রাথমিকভাবে যোগ্য এসব হজ এজেন্সির তালিকা প্রকাশ করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। শর্তে বলা হয়, প্রকাশিত তালিকার কোনো এজেন্সি যৌক্তিক কারণ ছাড়া ২০২৬ সালের হজ মৌসুমে হজযাত্রী নিবন্ধন (প্রাক-নিবন্ধন নয়) না করলে সেই এজেন্সির বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মক্কা-মদিনায় প্রদেয় সুবিধাদি বিষয়ে হজযাত্রীর সঙ্গে হজ এজেন্সির লিখিত চুক্তি সম্পাদন নিশ্চিত করতে হবে। এর আগে গত ২৭ জুলাই প্রথম পর্যায়ে ১৫৫টি ও ১০ আগস্ট দ্বিতীয় পর্যায়ে ২৩৪টি যোগ্য হজ এজেন্সির তালিকা প্রকাশ করে সরকার। প্রত্যেক এজেন্সিকে ২০২৬ সালে সৌদি সরকার নির্ধারিত সংখ্যক হজযাত্রী পাঠাতে হবে। প্রত্যেক হজ এজেন্সিকে ৪৬ জন হজযাত্রীর জন্য একজন আরবি ভাষায় দক্ষ ও অভিজ্ঞ হজ গাইড নিয়োগ করতে হবে বলে শর্তে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অনিবন্ধিত কোনো ব্যক্তিকে হজযাত্রী হিসেবে হজে নেওয়া যাবে না। কোনো এজেন্সি যদি এ ধরনের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করে, তাহলে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়া তার এজেন্সির লাইসেন্স বাতিলসহ অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তালিকা প্রকাশের পর কোনো হজ এজেন্সি কোনো অভিযোগের কারণে দণ্ডিত হলে বা কোনো যোগ্যতার ঘাটতি দেখা দিলে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়া সংশ্লিষ্ট এজেন্সির নাম তালিকা থেকে বাতিল করা হবে। এজেন্সির লাইসেন্সের মেয়াদ আগামী বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নবায়নের শর্তে যোগ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যেসব এজেন্সির লাইসেন্সের মেয়াদ আগামী বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে তাদের নবায়নের জন্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন করতে হবে। আবেদন না করলে বা নবায়ন না করা হলে এজেন্সির নাম তালিকা থেকে বাতিল হবে বলেও জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। প্রত্যেক এজেন্সিকে হালনাগাদ হজ লাইসেন্স, ট্রাভেল লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্স ও আয়কর সনদ দাখিল করে হজ পরিচালকের সঙ্গে চুক্তি করতে হবে। উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২০২৬ সালের মে মাসের শেষ সপ্তাহে সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছরের মতো আগামী বছরও বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন।