ব্যক্তির পদমর্যাদাক্রম নিয়ে রিভিউ শুনানি পিছিয়ে ৪ সেপ্টেম্বর

ব্যক্তির পদমর্যাদাক্রম নিয়ে রিভিউ শুনানি পিছিয়ে ৪ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রম নিয়ে ফের আপিল শুনবেন আপিল বিভাগ। আগামী ৪ নভেম্বর এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। আজ আপিল শুনানির এই দিন ধার্য করেন আদালত। এর আগে, গত ২১ আগস্ট রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স (পদমর্যাদাক্রম) নিয়ে আপিল বিভাগের রায় রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) চেয়ে করা আবেদনের রায়ের জন্য আজ দিন ধার্য করেছিলেন আপিল বিভাগ। ওইদিন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেছিলেন। গত ২৭ এপ্রিল দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদার ক্রম নিয়ে আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের শুনানি শুরু হয়।
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৪৩০

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৪৩০ গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। একই সময়ে সারাদেশে ৪৩০ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১২০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭৩ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৭ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৭ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৬৪ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৬ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) সাত জন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩১ জন এবং রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) পাঁচ জন রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় ৪২০ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরে এ যাবত মোট ২৮ হাজার চারশ রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরের ২৭ আগস্ট পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ২৯ হাজার ৯৪৪ জন। এর মধ্যে ৫৯ দশমিক তিন শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক সাত শতাংশ নারী রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। চলতি বছরে এ যাবত ডেঙ্গুতে মোট ১১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত তিনজনের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে দুইজন এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে একজন রয়েছেন। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং ডেঙ্গুতে মোট ৫৭৫ জনের মৃত্যু হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট মুনাফা সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা

বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট মুনাফা সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা সদ্য সমাপ্ত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে প্রায় ২২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। এর আগের অর্থবছরে নিট মুনাফা ছিল ১৫ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে বেড়েছে প্রায় ৭ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ আর্থিক হিসাবে দেখা যায়, ট্রেজারি বিল-বন্ড ও সরকারকে দেওয়া ঋণের সুদ বাবদ মোট আয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৩ হাজার কোটি টাকা। খরচ ও কর বাদ দিয়ে নিট মুনাফা নির্ধারণ করা হয়। মঙ্গলবার গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৪৪৩তম পরিচালনা পর্ষদ সভায় এ হিসাব অনুমোদন করা হয়। সভা শেষে ডেপুটি গভর্নর হাবিবুর রহমান জানান, গত বছরের তুলনায় এবার বেশি মুনাফা হয়েছে। নিট মুনাফার পুরো অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হবে। গত অর্থবছরে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছিল ১০ হাজার ৬৫২ কোটি টাকা। এবার সেই পরিমাণ আরও অনেক বেশি হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়েছে, নিট মুনাফার অংশ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য মৌলিক বেতনের ছয় গুণ ইনসেনটিভ বোনাস প্রদান করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুনাফা গত কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে নিট মুনাফা ছিল ১০ হাজার ৭৪৮ কোটি টাকা, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৫ হাজার ৩০০ কোটি টাকা এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরে নিট মুনাফা আরও বেড়ে হয়েছে ২২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
তত্ত্বাবধায়ক বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি

তত্ত্বাবধায়ক বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আগামী ২১ অক্টোবর এ বিষয়ে শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। এর আগে দিনের শুরুতে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে চারটি পৃথক আবেদনের ওপর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে দ্বিতীয় দিনের মতো শুনানি হয়। সকাল সাড়ে ৯টার পর থেকে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ ও নিয়মিত বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান শুনানি করেন। উল্লেখ্য-সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগ এ রিট খারিজ করেন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করা হয়। এ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম সলিমউল্লাহসহ অন্যরা ১৯৯৮ সালে হাইকোর্টে রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দেন। হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট রায় দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০০৫ সালে আপিল করে রিট আবেদনকারীপক্ষ। এ আপিল মঞ্জুর করে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। ঘোষিত রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয়ে আনা পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়। ২০১১ সালের ৩ জুলাই এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়। গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি। অন্য চারজন হলেন, তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান।আপিল বিভাগের ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ১৬ অক্টোবর একটি আবেদন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে গত বছরের ২৩ অক্টোবর আরেকটি আবেদন করেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। পরবর্তীতে নওগাঁর রানীনগরের নারায়ণপাড়ার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেন আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে গত বছর একটি আবেদন করেন।
মার্কিন দূতের সঙ্গে আগামীকাল বৈঠক করবেন সিইসি

মার্কিন দূতের সঙ্গে আগামীকাল বৈঠক করবেন সিইসি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন আগামীকাল মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্র্যাসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। আজ সিইসির দপ্তর থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, আগামীকাল দুপুর ২টার দিকে সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ট্র্যাসি অ্যান জ্যাকবসন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গঠিত ইসির সঙ্গে প্রথমবারের মতো মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের বৈঠক হচ্ছে।
জটিল রোগে ৩ লাখ টাকা অনুদান পাবেন সরকারি কর্মচারীরা

জটিল রোগে ৩ লাখ টাকা অনুদান পাবেন সরকারি কর্মচারীরা সরকারি কর্মচারীদের চিকিৎসায় অনুদান মঞ্জুরির হার পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। জটিল ও ব্যয়বহুল রোগের চিকিৎসা অনুদান দুই লাখ থেকে বেড়ে তিন লাখ টাকা করা হয়েছে। সাধারণ চিকিৎসা অনুদান ৪০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৬০ হাজার টাকা করা হয়েছে। গত ১৯ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর আগে এতে সম্মতি দিয়েছে কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের প্রস্তাব ও অর্থ মন্ত্রণালয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব তাসলিমা আলীর সই করা প্রজ্ঞাপনে সরকারি কর্মচারীদের দাফন বা অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুদান ৩০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। কর্মচারীদের পরিবারের সদস্য মারা গেলেও দাফন বা অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুদান পান, সেটি ১০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে। এ ছাড়া যৌথবিমার এককালীন অনুদান দুই লাখ থেকে বাড়িয়ে তিন লাখ টাকা করেছে সরকার। মাসিক কল্যাণ ভাতা দুই হাজার থেকে বাড়িয়ে তিন হাজার টাকা করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বরাদ্দ করা অর্থ ও নিজস্ব রিসোর্স সেলিংয়ের মধ্যে এ ব্যয় নির্বাহ করতে হবে। এ বাবদ অতিরিক্ত বরাদ্দ দাবি করা যাবে না। প্রাপ্যতা নিশ্চিত হয়ে অনুদান প্রদান করতে হবে। এ ব্যয়ে সব ধরনের আর্থিক বিধি-বিধান অনুসরণ করতে হবে। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, জটিল রোগের জন্য বছরে একবার আবেদন করা যায়। সরকারি কর্মচারীরা অবসরে গেলেও জটিল এবং সাধারণ রোগের জন্য অনুদান সুবিধা পান। সরকারি কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যদেরও ৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত চিকিৎসা অনুদান সুবিধা দেয় সরকার।
নির্বাচনের রোডম্যাপ অনুমোদন ইসির, প্রকাশ শিগগিরই

নির্বাচনের রোডম্যাপ অনুমোদন ইসির, প্রকাশ শিগগিরই আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ অনুমোদন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। শিগগিরই প্রকাশ করা হবে। আজ নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাউসদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, কমিশন রোডম্যাপ অনুমোদন দিয়েছে। দুই একদিনের মধ্যে প্রকাশ করা হবে। এরইমধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট হবে৷ আর তফসিল হবে তার দুই মাস আগে। এক্ষেত্রে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল হতে পারে। ভোটের প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শুরু করেছে কমিশন। তার অংশ হিসেবে ভোটার হালনাগাদ, প্রশিক্ষণ, ভোটকেন্দ্র স্থাপন, ভোট কর্মকর্তার প্যানেল প্রস্তুত, ম্যানুয়্যাল প্রস্তুত, আইন সংস্কার, ভোটের উপকরণ ক্রয় প্রভৃতি বিষয় রোডম্যাপে স্থান পাবে।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দিতে কিনশাসা গেলেন ১৮০ পুলিশ সদস্য

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দিতে কিনশাসা গেলেন ১৮০ পুলিশ সদস্য বাংলাদেশ পুলিশের একটি ফরমড পুলিশ ইউনিট ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যোগদানের উদ্দেশে আজ পৌনে ১টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেছে। ৭০ জন নারী পুলিশ সদস্যসহ ১৮০ জন সদস্যের কন্টিনজেন্টের নেতৃত্বে রয়েছেন পুলিশ সুপার জান্নাত আফরোজ। বিমানবন্দরে অতিরিক্ত আইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) খোন্দকার রফিকুল ইসলাম, ডিআইজি (অপারেশন্স) মো. রেজাউল করিম এবং পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ইউএন অপারেশন্স উইংয়ের কর্মকর্তাগণ মিশনগামী শান্তিরক্ষীদের বিদায় জানান। বাংলাদেশ পুলিশের ফরমড পুলিশ ইউনিট (এফপিইউ) ২০০৫ সাল থেকে এবং নারী কন্টিনজেন্ট ২০১১ সাল থেকে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছে। উল্লেখ্য, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের পদযাত্রা সূচিত হয় ১৯৮৯ সালে, নামিবিয়া মিশনে। বর্তমানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের ২১৫ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। এর মধ্যে এফপিইউ মিশনে ১৭৮ জন এবং ইন্ডিভিজুয়াল পুলিশ অফিসার (আইপিও) ৩৭ জন। বাংলাদেশ পুলিশের ৭৫ জন নারী পুলিশ সদস্য শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত রয়েছেন। তন্মধ্যে এফপিইউ মিশনে ৬৮ জন এবং ইন্ডিভিজুয়াল পুলিশ অফিসার (আইপিও) পদে ৭ জন। বাংলাদেশ পুলিশের ২১ হাজার ৮১৬ জন সদস্য শান্তিরক্ষা মিশনে অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন শেষে দেশে ফিরেছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশের ২৪ জন অকুতোভয় সদস্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। জাতিসংঘের ম্যান্ডেট বাস্তবায়নের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ পুলিশের অনন্য অবদান বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছে।
সারাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৪৭০

সারাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৪৭০ গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। একই সময়ে সারাদেশে ৪৭০ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮৭ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯০ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৭৪ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭৪ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৪ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১ জন, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ছয় জন রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় ৩৬৩ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরে এ যাবত মোট ২৭ হাজার ৯৮০ রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরের ২৬ আগস্ট পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ২৯ হাজার ৫১৪ জন। এর মধ্যে ৫৯ দশমিক তিন শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক সাত শতাংশ নারী রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। চলতি বছরে এ যাবত ডেঙ্গুতে মোট ১১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং ডেঙ্গুতে মোট ৫৭৫ জনের মৃত্যু হয়। ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়, পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।
শপথ নিলেন হাইকোর্ট বিভাগে নতুন ২৫ বিচারপতি

শপথ নিলেন হাইকোর্ট বিভাগে নতুন ২৫ বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে নতুন নিয়োগ পাওয়া ২৫ বিচারপতি শপথ নিয়েছেন। আজ দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট ভবনের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাদের শপথবাক্য পাঠ করান। শপথ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার (বিচার) মোয়াজ্জেম হোসাইন। ২৫ জন বিচারপতির মধ্যে ৯ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা, ৯ জন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও ৭ জন আইন কর্মকর্তা অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। গতকাল সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি হিসেবে ২৫ জনকে নিয়োগ দিয়ে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।