সারাদেশে ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃ*ত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৬৩

সারাদেশে ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃ*ত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৬৩ গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় সারাদেশে ৩৬৩ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫০ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭০ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৫৬ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৫৬ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৬ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৫ জন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৬ জন ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) একজন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০১ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরের এ যাবত ৩১ হাজার ৬৩১ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৩৩ হাজার ৩০৯ জন। এর মধ্যে ৫৯ দশমিক আট শতাংশ পুরুষ ও ৪০ দশমিক দুই শতাংশ নারী রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছরের এ যাবত ডেঙ্গুতে ১৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৫৭৫ জনের। ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়। পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।
মানবতাবিরোধী মামলায় চার্জশিট হওয়া ব্যক্তি নির্বাচন করতে পারবে না

মানবতাবিরোধী মামলায় চার্জশিট হওয়া ব্যক্তি নির্বাচন করতে পারবে না মানবতাবিরোধী মামলায় চার্জশিট গঠন হওয়া কোনো ব্যক্তি নির্বাচন করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, এমনকি তারা সরকারি কোনো পদেও থাকতে পারবে না। আজ রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন শেষে এসব কথা বলেন তিনি। শফিকুল আলম বলেন, আরেকটা বড় ডিসিশন ছিল, আইসিটি মামলায় যারা মানবতা বিরোধী অভিযুক্ত হবেন তারা আর কোনো ইলেকশন করতে পারবেন না। অধ্যাদেশটির মাধ্যমে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট ১৯৯৭ এ নতুন সেকশন ২০সি যুক্ত করা হয়েছে। নতুন সংযোজিত ধারা অনুযায়ী কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে উক্ত আইনের মানে আইসিটি লয়ের সেকশন ৯১ এর অধীনে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র ফরমাল চার্জ দাখিল হলে তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়া বা বহাল থাকার অযোগ্য হবেন। একইভাবে তিনি স্থানীয় সরকার পরিষদ বা প্রতিষ্ঠা সদস্য, কমিশনার, চেয়ারম্যান, মেয়র বা প্রশাসক হিসেবে নির্বাচিত হওয়া বা বহাল থাকার অযোগ্য হবেন। এমনকি প্রজাতন্ত্রের চাকরিতে নিয়োগ পাওয়া বা অন্য কোনো পাবলিক অফিসে অধিষ্ঠ হওয়ার অধিষ্ঠিত হওয়ার অযোগ্য হবে।
সাংবাদিকবান্ধব নীতিমালার আশ্বাস ইসির

সাংবাদিকবান্ধব নীতিমালার আশ্বাস ইসির সম্প্রতি জারি করা ‘সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মী-২০২৫ নীতিমালায়’ নতুন কিছু না থাকায় গণমাধ্যমকর্মীদের দেওয়া প্রস্তাব পর্যালোচনা করে সাংবাদিক ও গণমাধ্যমবান্ধব নীতিমালা প্রণয়নের আশ্বাস দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ নির্বাচন ভবনে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি)-এর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের মতবিনিময় সভায় এমন আশ্বাস দিয়েছে কমিশন। সভায় চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, আরএফইডির সদস্য সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, আপনারা লিখিত সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিয়েছেন। লিখিত দিলে ভালো-মন্দ বোঝা যায়। আপনাদের লিখিত প্রস্তাবনা আমরা দেখবো, পর্যালোচনা করবো। দুপক্ষের জন্যই ভালো হয়, একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য, যা কিছু করা যায় আমরা করবো। আপনাদের এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করতে পারি। আপনাদের যাতে কাজ করা সহজ হয়, তথ্যের প্রবাহ অবাধ হয়, সেটা আমরাও চাই। তিনি বলেন, আপনাদের প্রস্তাবিত নীতিমালা পর্যালোচনা করে আপনাদের জন্য সহজ হয়, যেটা উভয় পক্ষের জন্য, মানুষের জন্য, স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য, ফেয়ার নির্বাচনের জন্য যেটা ভালো হয়, সেটা ইনশাল্লাহ করবো। এ ব্যাপারে আর কোনো কথা নেই। নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, আপনাদের বক্তব্য থেকে আসছে সাংবাদিক নীতিমালার মধ্যে নতুন কিছু নেই। আপনাদের যেই ‘প্রস্তাবিত নীতিমালা’ এখানে অনেক সুন্দর বিষয় এনেছেন। এটা ঠিক যে নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে পূর্বেকার ট্রাডিশনে যদি এমন হতো যে, কোনো নীতিমালা করতে গেলে আপনাদের প্রতিনিধি থাকার প্রভিশন থাকতো, তাহলে হয়তোবা কমিটি ফরমেশনটাই ওভাবে হওয়া উচিত ছিল। আপনাদের যে প্রস্তাব, এটা নির্বাচন কমিশন ওয়েলকাম করে। যেহেতু আমরা আমাদের সবার উদ্দেশ্য একটাই, যে একটা ভালো নির্বাচনের জন্য সবাই একসঙ্গে কাজ করব। সেই দিক থেকে কিন্তু আমরা ছোট কাজ, ভালো কাজ, মন্দ কাজ যেটাই করি এটা কিন্তু একবার আয়নার মতো তুলে ধরার দায়িত্বটা হলো আপনাদের। আপনারা এই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, সবচেয়ে মুশকিল হয়ে গেল কি, আমি আপনি আপনারা, সবাই মিলে কেউ কিন্তু আস্থার জায়গায় নেই। আমি আস্থার জায়গায় আছি আমি দাবি করি না। এই যে আস্থার সংকট এটা আমাদের জাতীয় সংকট। আমি বিচ্ছিন্নভাবে বলতে পারবো না যে অমুকে খারাপ, আমি ভালো। আর আপনিও বলতে পারবেন না, যে আমি খারাপ আপনি ভালো। বাস্তবতার নিরীক্ষে যার যার অবস্থান থেকে যাতে আমরা একটা ভালো নির্বাচন করতে পারি, সেজন্য পরস্পরকে সহযোগিতা করবো। আমার মনে হয় যে গণমাধ্যম নীতিমালা নিয়ে আরো আলোচনা, পর্যালোচনা, বিশ্লেষণ, আপনাদের অভিজ্ঞতা, আমাদের অভিজ্ঞতা, ফিল্ডের অভিজ্ঞতা সবাই মিলে আরো মনে হয় যে চিন্তা-ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে। মূল উদ্দেশ্য যেহেতু আমাদের সবার একটাই আমার মনে হয় যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এগুলো পরে সমাধান করা যায়। ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, আপনাদেরই মতামতের জন্য আমি আন্তরিকভাবে কমিশনের পক্ষ থেকে এবং সচিবালয়ের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি এবং এই তথ্য প্রবাহ আমাদের দিক থেকে থাকবে। আমাদের সম্মানিত কমিশনার এটা অলরেডি বলেছেন। কাজেই আমরা এই জিনিসটাকে দ্রুত নিষ্পত্তি ও একটা গ্রহণযোগ্য সম্মানজনক এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার জায়গাটা আবারো পুনঃস্থাপন করব। আপনারা আমাদের যেভাবে কভারেজটা দিচ্ছেন আমি মনে করি এই কভারেজটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আরএফইডির সভাপতি কাজী এমাদ উদ্দীন (জেবেল) বলেন, প্রার্থীরা যেদিন মনোনয়নপত্র জমা দেবেন ওইদিনই হলফনামার তথ্য স্থানীয়/কেন্দ্রেীয়ভাবে গণমাধ্যমকে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। নির্বাচনে প্রার্থী ও রাজনৈতিক দল তাদের নির্বাচনী খরচের যেই বিবরণ জমা দেন, সেগুলো গণমাধ্যমের জন্য দ্রুতই উন্মুক্ত করার ব্যবস্থা নিতে হবে। ভোটের দিন বেসরকারি ফলাফলের চূড়ান্ত বার্তা সিট এবং যতদ্রুত সম্ভব কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফল স্থানীয়/ কেন্দ্রীয়ভাবে গণমাধ্যমকে দিতে হবে। প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকার জন্য একজন সহকারী রিটার্নিং অফিসার/উপজেলা নির্বাচন অফিসারের নেতৃত্বে একটি করে মিডিয়া সেল গঠন করা হবে। এ ছাড়া আমাদের প্রস্তাবিত নীতিমালা অনুযায়ী ইসির প্রণীত নীতিমালা সংশোধন করতে হবে। অন্যথায় ইসির সব ধরনের উদ্যোগ ধ্বংস হয়ে যাবে। আরএফইডির লিখিত প্রস্তাবনা এ সময় তিনি তুলে ধরেন। গণমাধ্যম নীতিমালা সংশোধনে আরএফইডির প্রস্তাবনা * কার্ডধারী গণমাধ্যমকর্মীদের ভোটকক্ষে প্রবেশে প্রিজাইডিং অফিসারকে অবহিত করার বিধান বাতিল * ভোটকক্ষে ১০ মিনিটের বেশি থাকা না যাওয়ার বিধান বাতিল * গণমাধ্যমকর্মীদের কাজে বাধা দিলে সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনতে হবে * গোপন কক্ষে অনিয়ম হলে ছবি তোলার বিধান যুক্ত করা * মনোনয়ন দাখিল থেকে ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত তথ্য উন্মুক্ত রাখার বিধান
পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে পিটার হাসের বৈঠক

পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে পিটার হাসের বৈঠক যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাস পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়ামের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আজ সকাল পৌনে ০৯টার দিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বলে একটি সূত্র বাংলানিউজকে জানিয়েছে। তবে বৈঠকের বিষয়ে কেউ মুখ খোলেননি। গতকাল সকালে কক্সবাজার ও মহেশখালী যান পিটার হাস। সেখানে তিনি বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশ নেন। পিটার হাস ২০২২ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এক বছর আগে কূটনীতি পেশা থেকে অবসরে যাওয়ার পর এখন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জ্বালানি কোম্পানি ‘এক্সিলারেট এনার্জি’র স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইজর হিসেবে কাজ করছেন। মূলত সে কারণেই তিনি প্রায়ই বাংলাদেশে আসেন।
গঙ্গা চুক্তি নিয়ে ৯ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে বৈঠক

গঙ্গা চুক্তি নিয়ে ৯ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে বৈঠক গঙ্গা চুক্তি নবায়নের লক্ষ্যে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) কর্মকর্তারা যোগ দেবেন। সূত্র জানায়, ঢাকার পক্ষ থেকে যৌথ নদী কমিশনের সদস্য মোহাম্মদ আবুল হোসেনের নেতৃত্বে একটি কারিগরি দল নয়াদিল্লির বৈঠকে যোগ দেবেন। বৈঠকে মূল আলোচনা হবে গঙ্গা পানিবণ্টন চুক্তির নবায়ন। বাংলাদেশ-ভারত দুদেশের মধ্যে প্রতিবছর দুবার করে গঙ্গা নদীর পানিবণ্টন নিয়ে আলোচনা হয়। সে অনুযায়ী চলতি বছরের মার্চে দুপক্ষের মধ্যে দিল্লিতে যৌথ নদী কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৫৪টি অভিন্ন নদী রয়েছে। গঙ্গা ছাড়া আর কোনো নদীর পানিবণ্টনের চুক্তি হয়নি। তিস্তার পানিবণ্টনের প্রশ্ন এখনো অমীমাংসিত। এর প্রধান কারণ কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অসহযোগিতা ও তার আপত্তি। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রবাহিত গঙ্গার পানিবণ্টন নিয়ে ১৯৯৬ সালে ওই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। সই করেছিলেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়া ও শেখ হাসিনা। চুক্তির মেয়াদ ছিল ৩০ বছর। আগামী বছর সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। ২০২৪ সালের জুন মাসে দুদেশই ঘোষণা দেয় যে, ১৯৯৬ সালের গঙ্গা নদীর পানি চুক্তি নবায়নের জন্য আলোচনা শুরু হয়েছে। গত ডিসেম্বরে ঢাকায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ফরেন অফিস কনসালটেশন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে গঙ্গা নদীর চুক্তি নবায়ন ইস্যুতে দুদেশের পররাষ্ট্রসচিব আলাপ করেন। সে সময় তৎকালীন পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন বলেছিলেন, আলোচনায় আন্তঃনদী বিষয়সমূহ গুরুত্ব পেয়েছে। গঙ্গা নদীর পানিবণ্টন চুক্তির মেয়াদ আগামী ২০২৬ সালে শেষ হয়ে যাবে। সে পরিপ্রেক্ষিতে তা নবায়নের প্রক্রিয়া শুরু করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। গত ৬-৭ মার্চ কলকাতায় বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ৬ মার্চ ফারাক্কায় গঙ্গা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি সম্পর্কিত যৌথ কমিটির ৮৬তম সভা এবং গত ৭ মার্চ কারিগরি পর্যায়ের বৈঠক হয়, যা দুদেশের মধ্যকার নিয়মিত বৈঠক। গত বছর নভেম্বরে ফারাক্কায় গঙ্গা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি সম্পর্কিত যৌথ কমিটির ৮৫তম সভা ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর তা কলকাতায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বৈঠকে গঙ্গার পানিবণ্টনের বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়।
মালয়েশিয়ায় ৩৯৬ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

মালয়েশিয়ায় ৩৯৬ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে অভিযান চালিয়েছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। গতকাল দিবাগত রাতের এ অভিযানে ৩৯৬ বাংলাদেশিসহ মোট ৭৭০ জন অনিবন্ধিত অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। আজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশটির গণমাধ্যম দ্য স্ট্রেইটস টাইমস। প্রতিবেদনে বলা হয়, কুয়ালালামপুরের বুকিত বিনতাং এলাকায় রাতভর অভিযান চালায় ইমিগ্রেশন বিভাগ। অভিযানে অংশ নেয় শতাধিক কর্মকর্তা। মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয় ৭৭০ জন অভিবাসীকে। ইমিগ্রেশন এনফোর্সমেন্টের পরিচালক বসরি ওসমান জানান, আটক হওয়াদের মধ্যে ৩৯৬ জন বাংলাদেশি রয়েছেন, যাদের মধ্যে দুজন নারী। এ ছাড়া ২৩৫ জন মিয়ানমার, ৭২ জন নেপাল, ৫৮ জন ভারত এবং ১৭ জন ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক রয়েছেন। অন্য দেশের আরও ৯ জনকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, এদের অধিকাংশই মালয়েশিয়ায় অনুমোদিত সময়সীমার বেশি দিন অবস্থান, বৈধ কাগজপত্র না থাকা এবং অনুমতি ছাড়া কাজ করার অভিযোগে আটক হয়েছেন। বসরি ওসমান বলেন, বুকিত বিনতাং অনেক দিন ধরেই অনিবন্ধিত অভিবাসীদের জন্য হটস্পট হয়ে উঠেছে। নাইটলাইফ ও শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থানের কারণে এখানকার পরিবেশ তাদের আকৃষ্ট করে। তিন সপ্তাহ পর্যবেক্ষণের পরই অভিযান চালানো হয়। তিনি আরও বলেন, মালয়েশিয়ার অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের দায়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার নীতিমালা প্রকাশ

জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার নীতিমালা প্রকাশ জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার নীতিমালা ২০২৫ প্রকাশ করা হয়েছে। মাধ্যমিক বা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ৮ম শ্রেণির সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী এ বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় প্রতি বিষয়ে ১০০ নম্বর করে মোট ৪০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আজ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এ নীতিমালা প্রকাশ করে। নীতিমালা অনুযায়ী, মাধ্যমিক বা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ৮ম শ্রেণির সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী (৭ম শ্রেণির সব প্রান্তিকের সামষ্টিক মূল্যায়নের ফলের ভিত্তিতে) জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটি সময়ে সময়ে এ সংখ্যা পুনঃনির্ধারণ করতে পারবেন। শিক্ষার্থীদের দুই ধরনের বৃত্তি দেয়া হবে। ট্যালেন্টপুল বৃত্তি ও সাধারণ বৃত্তি। বাংলা ১০০, ইংরেজি ১০০, গনিত ১০০, বিজ্ঞান ৫০ এবং বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় ৫০ মোট ৪০০ নম্বরে পরীক্ষা হবে। প্রতিটি পরীক্ষার সময় ৩ ঘণ্টা। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকবে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক প্রণীত ৮ম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক অনুসৃত প্রশ্নকাঠামো অনুসারে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সব ধরনের বৃত্তির ৫০ শতাংশ ছাত্রদের এবং ৫০ শতাংশ ছাত্রীদের জন্য নির্ধারিত থাকবে। তবে নির্ধারিত কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে ছাত্রের বৃত্তি ছাত্রী দ্বারা এবং ছাত্রীর বৃত্তি ছাত্র দ্বারা পূরণ করা যাবে। নীতিমালায় আরো বলা হয়েছে, যদি কোনো শিক্ষার্থী বিদ্যালয় থেকে ছাড়পত্র গ্রহণের মাধ্যমে অন্য বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে থাকে তাহলে তাকে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার অনুমতি দেয়া যাবে। সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর পূর্ববর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মেধাক্রম বিবেচনা করে তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয় এমন শিক্ষার্থীর বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার বিষয় কোনো প্রকার অভিযোগ পাওয়া গেলে ও অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার প্রার্থীতা বা ফল বাতিল করা হবে।
ডেঙ্গুতে আরো ২ জনের মৃ*ত্যু, হাসপাতালে ৪৪৫

ডেঙ্গুতে আরো ২ জনের মৃ*ত্যু, হাসপাতালে ৪৪৫ গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরো দুজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৪৪৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া দুজনই পুরুষ। আর আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ২৯৯ জনই ঢাকার বাইরের। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছে ১২৭ জন, যাদের মধ্যে ৭০ জন পুরুষ ও ৫৭ জন নারী।এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছে ৩২ হাজার ৯৪৬ জন, যার মধ্যে ১৯ হাজার ৬৮৮ জন পুরুষ ও ১৩ হাজার ২৫৮ জন নারী।
আগস্টে সড়কে ঝরেছে ৫০২ প্রাণ, বাইক দু*র্ঘট*নায় ১৭৬

আগস্টে সড়কে ঝরেছে ৫০২ প্রাণ, বাইক দু*র্ঘট*নায় ১৭৬ বিগত আগস্ট মাসে দেশে ৪৯৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫০২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন এক হাজার ২৩২ জন। এছাড়া এই মাসে রেলপথে ৩৪টি দুর্ঘটনায় ৩৪ জন নিহত এবং ৭ জন আহত হয়েছেন। আর নৌপথে ২১টি দুর্ঘটনায় ঝরেছে ২৭ জনের প্রাণ। আহত হয়েছেন ২২ জন এবং নিখোঁজ রয়েছেন ১৩ জন। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেল গণমাধ্যম পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে তৈরি করা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ পথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। আজ সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিবেদনটি তুলে ধরে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। প্রতিবেদনে বলা হয়, সড়ক, রেল ও নৌ-পথ মিলিয়ে মোট ৫৫২টি দুর্ঘটনায় ৫৬৩ জন নিহত এবং এক হাজার ২৬১ জন আহত হয়েছেন। এই সময়ে ১৬৫টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৭৬ জন নিহত, ১৪৪ জন আহত হয়েছেন; যা মোট দুর্ঘটনার ৩৩.১৯ শতাংশ। আগস্টে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এখানে ১৩২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১২৮ জন নিহত ও ৩৩৩ জন আহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে বরিশাল বিভাগে। সেখানে ১৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত ও ২২ জন আহত হয়েছেন। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে একজন পুলিশ সদস্য, একজন সেনা সদস্য, একজন ফায়ার সার্ভিস সদস্য, একজন মুক্তিযোদ্ধা, একজন আইনজীবী, ১৪২ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ৮২ জন পথচারী, ৭৩ জন নারী, ৩৮ জন শিশু, ৫১ জন শিক্ষার্থী, সাতজন পরিবহন শ্রমিক, সাতজন শিক্ষক ও ১১ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী রয়েছেন। প্রতিবেদন অনুসারে, ২৬.১০ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২৪.৭১ শতাংশ ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১৫.০৮ শতাংশ বাস, ১৩.৬৮ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৭.৩৫ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৬.৫৯ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৬.৪৬ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।
নির্বাচনের আগে ৪ হাজার এএসআই নিয়োগ, জানালেন আইজিপি

নির্বাচনের আগে ৪ হাজার এএসআই নিয়োগ, জানালেন আইজিপি নির্বাচনের আগে চার হাজার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেন, এরমধ্যে ৫০ শতাংশ সরাসরি নিয়োগ। আর বাকিটা পদোন্নতির মাধ্যমে করা হবে। আজ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে নিয়োগ সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। বাহারুল আলম বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যেতে যে বিধি তৈরি হচ্ছে সেখানে কিছু সংশোধনের প্রয়োজন ছিল, আজ সেটা হয়ে গেছে। এতে আমাদের নিয়োগ দেওয়ার পথ সুগম হলো। নির্বাচনকে সামনে রেখেই এই নিয়োগ হচ্ছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই আমরা নির্বাচনের আগে এই কাজটা করে ফেলতে চাই। আপনারা জানেন প্রধান উপদেষ্টা বেশ কিছু ফোর্সের অনুমোদনে তিনি নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছেন। সেগুলো নিয়েই আমরা ওয়ার্কআউট করছি। জনপ্রশাসন সচিব বলেন, আজ পুলিশের আইজিপিসহ একটি প্রতিনিধিদল এসেছিলেন। তাদের রেগুলেশন সংশোধনের মাধ্যমে নিয়োগ চলছে বড় আকারে। তা নিয়ে একসঙ্গে মিটিংটা করলাম। তিনি বলেন, আজ মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সামনে কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে। যদি আজ অর্ডারটা করে দিতে পারি… অনেক ধরনের নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। তারমধ্যে পুলিশের এএসআইয়ের নিয়োগ ত্বরান্বিত হবে। এটা সংস্কার কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার মনে হয় সংস্কার নয়, কিছু জায়গায় নিয়োগ দিতে গিয়ে প্রতিবন্ধকতা ছিল। সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি। বিধিতে কী সংশোধন আনা হচ্ছে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন সচিব বলেন, যেহেতু নির্বাচন সামনে এবং প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশনা দিয়েছেন সেই আলোকে অর্থ, আইন, স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় মিলে আমরা এই পদগুলো সৃষ্টি করেছি। এখন নিয়োগে কিছু বিধিমালা প্রচলিত ছিল, সেখানে কিছু সংশোধনের প্রয়োজন হয়েছে। সেগুলো করা হয়েছে। তিনি বলেন, নিয়োগের ৫০ শতাংশ সরাসরি ও বাকি ৫০ শতাংশ পদোন্নতির মাধ্যমে হবে। তাহলে এটা কোন প্রক্রিয়ায় হবে, নাকি লটারির মাধ্যমে হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, লটারির প্রশ্ন তো এখানে আসছে না। নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে সংশয় নেই। গত তিনটি নির্বাচনের অভিজ্ঞতার আলোকে মাঠ প্রশাসনকে সাজানো হবে। নির্বাচনে যেন সব কর্মকর্তা নিরপেক্ষ থাকেন, কোনো দলের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করেন, সেই নির্দেশনা থাকবে। তবে শিডিউল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশন এসব করবে।