টানা ১২ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো

টানা ১২ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ১২ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে সরকারি নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯ দিন ছুটি থাকবে। ছুটির শুরুতে দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি পড়ায় টানা ১১ দিন বন্ধ থাকবে প্রাথমিক বিদ্যালয়। সবচেয়ে বেশি ছুটি পাচ্ছে সরকারি-বেসরকারি কলেজ ও টিটি কলেজ। সাপ্তাহিক ছুটি নিয়ে মোট ১৪ দিন ছুটি থাকছে। আজ এ তথ্য জানা গেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক ছুটির তালিকা থেকে। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে ৫ দিনব্যাপী শুরু হবে পূজার উৎসব। ২৬ ও ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্র ও শনিবার ছুটি থাকায় এ দুটি দিনও ছুটি পাচ্ছে এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া ৬ অক্টোবর ল²ীপূজা থাকায় এ দিনটিতেও ঐচ্ছিক ছুটি পাবেন বিদ্যালয়-কলেজের শিক্ষকরা। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক এবং নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো মোট ১২ দিন বন্ধ থাকবে। এ সময় দুর্গাপূজার পাশাপাশি ফাতেহা-ই-ইয়াজ দাহম, প্রবারণা পূর্ণিমা ও শ্রীশ্রী ল²ীপূজার ছুটিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনারের বৈঠক

বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনারের বৈঠক বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের অনাবাসিক হাইকমিশনার ডেরেক লো বৈঠক করেছেন। আজ দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার অফিসে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দু’দেশের মধ্যকার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্কের আরও উন্নয়ন এবং পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার কারণে সিঙ্গাপুর নিজের দেশে এবং বাইরেও সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে অনুকরণীয় দেশ। তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশের অনেক কিছু শেখার আছে।

ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন : প্রধান উপদেষ্টা

ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন : প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যমতের পথে যে অগ্রগতি অর্জন করেছে তা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, গোটা বিশ্বের জন্যই এক অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। তিনি স্পষ্ট করে জানান, আগামী ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং সেটি হবে ‘জাতির নবজন্মের মহোৎসব।’ আজ রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চলমান সংলাপে তিনি এ বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘শুরুতে যখন কমিশনের ধারণা এল, আমি নিশ্চিত ছিলাম না—এটা টিকবে কি না। কিন্তু আজ দীর্ঘ পথ অতিক্রম করার পরে আপনাদের আলোচনা ও সিদ্ধান্তে আমি অভিভূত হয়েছি।’ প্রধান উপদেষ্টা বলেন, কমিশনের অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে অন্য দেশগুলোও অনুসরণ করবে। ‘এটা শুধু বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে না, সারা দুনিয়া লক্ষ্য করবে আমরা কিভাবে সমস্যার সমাধান করলাম।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, জাতির সামনে আর কোনো বিকল্প পথ নেই। ‘যে পথে আমরা শুরু করেছি, সেই পথ থেকে বের হবার কোনো সুযোগ নেই। এই সমতায় আমাদের আসতেই হবে। এটাই ছাত্র-জনতার দেওয়া সুযোগ, যেখান থেকে নতুন বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।’ আগামী নির্বাচনের বিষয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমরা বারবার বলেছি—ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন হবে। সেটি হবে মহোৎসবের নির্বাচন, যদি আমরা ঐক্যমতের মাধ্যমে ফয়সালা করতে পারি। এই নির্বাচন শুধু নির্বাচন নয়, এটি হবে জাতির নবজন্ম।’ তিনি আরও বলেন, ‘জাতি সত্যিকার নবজন্ম হবে—এটা শুধু নির্বাচন না, এটা নবজন্ম। এই যে এত ত্যাগ, এত রক্ত—এগুলো সার্থক হবে যদি আমরা এই নবজন্মটা লাভ করতে পারি।’ তিনি সতর্ক করে দেন, বিভাজন বা দ্বিমতের কোনো স্থান নেই। ‘আমরা অনেক কথা বলতে পারি, কিন্তু দ্বিমত রেখে সমাপ্ত করতে পারব না। যখন ঐকমত্যে পৌঁছাবো, তখনই নির্বাচন সার্থক হবে।’ অধ্যাপক ইউনূস উদাহরণ টেনে বলেন, ‘আমাদের হাতে এখন আলাদিনের প্রদীপের মতো সুযোগ এসেছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান সেই শক্তি এনে দিয়েছে। আমরা চাইলে ছোটখাটো বিষয় চাইতে পারি, আবার চাইলে পুরো জাতিকে নতুনভাবে গড়তে পারি। এই সুযোগ একবারই এসেছে, আর আসবে না।’ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন প্রধান উপদেষ্টা। ‘এত বড় কাজ আর কোনোদিন পাওয়া যাবে না। তাই ধৈর্য ধরে আমাদের এগোতে হবে। নির্বাচনের দিন পর্যন্ত আমাদের কাজ হলো—কোনো দ্বন্দ্ব ছাড়াই মহোৎসবের পরিবেশ সৃষ্টি করা।’ তিনি বলেন, ‘আমরা হাইওয়ে বানিয়ে ফেলেছি, এখন শুধু সাইনবোর্ড বসানো বাকি। পথ ঠিক আছে, গন্তব্য পরিষ্কার। এই নির্বাচন হবে উৎসবের নির্বাচন, দেশের শান্তি ও নতুন যাত্রার সূচনা।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমাদের সংস্কারের মূল লক্ষ্য হলো সব পথঘাট বন্ধ করা—যাতে কোনো স্বৈরাচার আর ফিরে আসতে না পারে। এজন্য সবাইকে একমত হতে হবে।’ কমিশনের কাজকে তিনি অভূতপূর্ব অর্জন বলে অভিহিত করেন। কমিশনের সদস্য ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের পরিশ্রমের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আপনারা ইতিহাসের এক স্মরণীয় অধ্যায় রচনা করেছেন। এখন শুধু এটিকে নিখুঁতভাবে সমাপ্ত করা দরকার। এর মধ্য দিয়েই নতুন জাতির জন্ম ঘটবে।’ তিনি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে উদ্দ্শ্যে করে বলেন, ‘এবার আমাদের ব্যর্থ হবার কোনো সুযোগ নেই। ঐকমত্যের এই পথেই আমরা এগোবো, নির্বাচন সফল করব এবং জাতি হিসেবে মহাউৎসবের যাত্রা শুরু করব।’ এসময় আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ, জামায়াতে ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য গঠন) মনির হায়দার।

মালেশিয়ায় শ্রমিক পাঠাতে খরচ ৭৯ হাজার হলেও আদায় করে ৫ লাখ: দুদকের মামলা

মালেশিয়ায় শ্রমিক পাঠাতে খরচ ৭৯ হাজার হলেও আদায় করে ৫ লাখ: দুদকের মামলা মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠাতে জনপ্রতি প্রায় ৭৯ হাজার টাকা খরচ হলেও রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো আদায় করে প্রায় ৫ লাখ টাকা। এভাবে প্রায় ১২০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১৩টি এজেন্সির বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। দুদকের তথ্য বলছে, সরকারি নির্ধারিত প্রায় ৭৯ হাজার টাকার বদলে মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের কাছ থেকে বায়রার সিন্ডিকেটভুক্ত রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো সাড়ে চার লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আদায় করেছে। ২০২১ থেকে ২০২৪ সালে ১৩টি এজেন্সি প্রায় ১২০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত হাতিয়ে নিয়েছে বলে প্রমাণ মিলেছে। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বলেন, আসামিরা বায়রার বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালনকালে সিন্ডিকেট করে রেজিস্ট্রেশনের শর্ত ভঙ্গ করেন। সরকার নির্ধারিত ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকার পরিবর্তে ৫ গুণ বেশি অর্থ নিয়ে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানো হয়। তারা অবৈধভাবে সংগৃহীত অর্থ হস্তান্তর, স্থানান্তর, রূপান্তর ও পাচার করেছেন। এতে কর্মীরা আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১২০(বি), ১৬১, ১৬২, ১৬৩, ১৬৪, ১৬৫(ক), ৪২০ ও ৪০৯ ধারায় এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় মামলা দায়েরের অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। রাজধানীর ফকিরাপুলে অবস্থিত আকাশ ভ্রমণ লিমিটেড রিক্রেুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধানে মিলেছে ১৩৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকার বেশি মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের থেকে আত্মসাতের প্রমাণ। এমন একাধিক এজেন্সির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে প্রতারণার প্রমাণ পেয়েছে সংস্থাটি। এর আগে গত ১২ মার্চ মালয়েশিয়ায় মানবপাচারে ১১২৮ কোটি ৬১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও তার পরিবার, সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদউদ্দিন চৌধুরী এবং সাবেক সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদের প্রতিষ্ঠানসহ ১২টি রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। সেখানে ওভারসিজ কোম্পানির চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পরিচালকসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে ১ হাজার ১২৮ কোটি ৬১ লাখ ৫০ হাজার টাকার ১২ পৃথক মামলা দায়ের করা হয়, যা বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। আজকের মামলা মিলে মোট ২৫টি পৃথক মামলা হয়েছে। যার মধ্যে আসামি ৬৪ জন ও মোট আত্মসাৎ করা অর্থের পরিমাণ ২ হাজার ২৮৮ কোটি ৪৩ লাখ ৫২ হাজার ৫০০ টাকা।   সূত্র: সময় টিভি

বাংলাদেশসহ ছয় দেশে ৫ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প

বাংলাদেশসহ ছয় দেশে ৫ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্তত ছয় দেশে রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রবিবার বিকেল ৫টা ১১ মিনিটের দিকে এই কম্পন অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল ভারতের আসামে। আজ মার্কিন ভূতাত্তিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস এ তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার ছয় দেশ- বাংলাদেশ, নেপাল, ভারত, মিয়ানমার, ভুটান ও চীনে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতর সূত্র জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৩৮০ কিলোমিটার দূরে ভারতের আসাম রাজ্যে।

লালনের গান বিশ্বমঞ্চেও ছড়িয়েছেন ফরিদা পারভীন

লালনের গান বিশ্বমঞ্চেও ছড়িয়েছেন ফরিদা পারভীন দিদারুল আলম লালনকন্যা খ্যাত ফরিদা পারভীন, তিনি কেবল বাংলাদেশ নয়, লালনের গান ছড়িয়ে দিয়েছেন বিশ্বমঞ্চেও। লালনের গানে অসাধারণ গায়কী প্রতিভা ছিল তাঁর। তাইতো তিনি ‘লালন কন্যা’ ও লালনের গানের ‘সম্রাজ্ঞী’ হিসেবে খ্যাত হন। লালন সাঁইয়ের ‘সত্য বল সুপথে চল’ ‘আমি অপার হয়ে বসে আছি, ‘বাড়ীর কাছে আরশীনগর’, ‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি’, ‘জাত গেল জাত গেল বলে’, ‘মিলন হবে কত দিনে’, ‘সময় গেলে সাধন হবে না’, ‘তোমরা ভুলেই গেছো মল্লিকাদির নাম’ সহ অসংখ্য গানকে তিনি তাঁর গায়কী ঢঙ দিয়ে কালজয়ী করেছেন। তাঁর গীত এসব গান শ্রোতাদের দিয়েছে গভীর মগ্নতা। লালনের আধ্যাত্মিক ও মানবতাবাদী দর্শন তাঁর কণ্ঠমাধুর্যে আরো তীব্র ও গভীর হয়ে উঠেছে যা মানবাত্মাকে করেছে সমৃদ্ধ। ফরিদা পারভীন ২০০১ সালে জাপানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে লালনের গানকে পরিচিত করে তোলেন। এছাড়া সুইডেন, ডেনমার্ক, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তিনি তাঁর কণ্ঠ দিয়ে ছড়িয়েছেন লালনের দর্শন। তাঁর কণ্ঠে লালনের গান কেবল সংগীত নয়, হয়ে উঠেছে এক অনন্য জীবনদর্শন। পরে তিনি গড়ে তোলেন ‘ফরিদা পারভীন ট্রাস্ট’, যার লক্ষ্য ছিল লালনের গান সংরক্ষণ, স্বরলিপি তৈরি এবং বাদ্যযন্ত্রের আর্কাইভ তৈরি। ফরিদা পারভীনের রক্তে ছিল গান। তাঁর দাদি গান করতেন। বাবার ছিল গানের প্রতি অনুরাগ। ১৯৬৮ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সে কিশোরী ফরিদা শুরু করেছিলেন পেশাদার সঙ্গীতজীবন। সেই থেকে শুরু, গতকাল অবসান হলো তাঁর ৫৫ বছরের এই বর্ণাঢ্য সঙ্গীতজীবনের। ফরিদা পারভীনের প্রয়াণের মধ্যদিয়ে লালনসঙ্গীতের সুধাময় এক কণ্ঠের পরিসমাপ্তি হলো। তবে তার ধারণকৃত কণ্ঠ বাংলা ভাষাভাষী মানুষের মনকে প্রশান্তি দেবে অনন্ত কাল। লালনের গান গেয়ে ফরিদা পারভীন নিজেকে গগনস্পর্শী উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। সুধীজনের কাছে তিনি লালনসম্রাজ্ঞী। দেশের গানেও ছিল তাঁর অনন্য কণ্ঠ। তাঁর গাওয়া ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ গানটি আজও বাংলার মানুষকে স্মৃতিকাতর করে। নাটোরের সিংড়ায় জন্ম নেওয়া ফরিদা পারভীন ছোটবেলায় ছিলেন চঞ্চল প্রকৃতির। প্রায় সারাক্ষণ দৌড়ঝাঁপ আর খেলাধুলায় মেতে থাকতেন। দাদা ও নানাবাড়ির মাঝখানে ছিল এক নদ। আত্রাইয়ের সেই শাখানদের নাম ছিল গুর। ওই নদ পার হয়ে তরুণ ফরিদা দাদার বাড়ি থেকে নানার বাড়ি যেতেন। নানার বাড়ির পাশে বিরাট এক বিল ছিল। শৈশবে খেলার সঙ্গী মামাতো ভাইবোনদের সঙ্গে মিলে সেই বিলে শাপলা তুলতে যেতেন। ফরিদার শৈশবের সময়টা তার কেটেছে মাগুরায়। স্কুলজীবনের শুরুটাও সেখানে। সে সময় ওস্তাদ কমল চক্রবর্তীর কাছে তাঁর সঙ্গীতে হাতেখড়ি। বাবার চাকরির সুবাদে দেশের বিভিন্ন জেলায় থেকেছেন। পড়তে হয়েছে বেশ কয়েকটি স্কুলে। পরে দীর্ঘদিন কুষ্টিয়া শহরে ছিলেন ফরিদা। কুষ্টিয়ার মীর মশাররফ হোসেন বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন তিনি। ১৯৭৪ সালে কুষ্টিয়া গার্লস কলেজ থেকে এইচএসসি এবং একই কলেজ থেকে স্নাতক। ওই শহরেই দীর্ঘদিন তিনি চর্চা করেছেন লালনগীতি। শৈশব থেকেই ফরিদা পারভীনের পছন্দ ছিল সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গান। ১৯৬৮ সালে ফরিদা পারভীন রাজশাহী বেতারে নজরুলশিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর লালনগীতির সঙ্গে তার আত্মিক বন্ধন তৈরি হয়। তখন তিনি কুষ্টিয়ায়। সেখানে তাদের পারিবারিক বন্ধু ছিলেন মোকছেদ আলী সাঁই। ১৯৭৩ সালে ফরিদা পারভীন তার কাছেই ‘সত্য বল সুপথে চল’ গানটি শিখে লালন সাঁইজির গানের তালিম নেন। মোকছেদ আলী সাঁইয়ের মৃত্যুর পর খোদাবক্স সাঁই, ব্রজেন দাস, বেহাল সাঁই, ইয়াছিন সাঁই ও করিম সাঁইয়ের কাছে লালনসঙ্গীত শেখেন তিনি। এরপর পুরোই মগ্ন হন লালনসঙ্গীতে। ফরিদা পারভীনের প্রথম স্বামী প্রখ্যাত গীতিকার ও কণ্ঠশিল্পী আবু জাফর। সেই সংসারে তাদের তিন ছেলে ও এক মেয়ে। জিহান ফারিয়া, ইমাম নিমেরি উপল, ইমাম নাহিল সুমন ও ইমাম নোমানি রাব্বি। তার দ্বিতীয় স্বামী বাঁশিশিল্পী গাজী আবদুল হাকিম। সঙ্গীতে অবদানের জন্য ১৯৮৭ সালে ফরিদা পারভীন একুশে পদক লাভ করেন। ১৯৯৩ সালে ‘অন্ধ প্রেম’ সিনেমায় ‘নিন্দার কাঁটা’ গানটির জন্য শ্রেষ্ঠ সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। তিনি ২০০৮ সালে জাপানের সম্মানসূচক ফুকুওয়াকা পুরস্কার লাভ করেন। প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গতকাল শনিবার রাত ১০টা ১৫ মিনিটে ইন্তেকাল করেন(ইন্নালিল্লাহি….রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি স্বামী ও চার সন্তান রেখে গেছেন। ফরিদা পারভীনের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও সংস্কৃতি, মৎস উপদেষ্টাসহ অন্য উপদেষ্টাগণ শোক প্রকাশ করেছেন। বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে। দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন ফরিদা পারভীন। তাকে সপ্তাহে দুই দিন ডায়ালাইসিস করাতে হতো। নিয়মিত ডায়ালাইসিসের অংশ হিসেবে ২ সেপ্টেম্বর মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। তখন ডায়ালাইসিসের পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তখন চিকিৎসক তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন। এর পর থেকে তিনি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বুধবার অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১৯৫৪ সালে ৩১ ডিসেম্বর নাটোরের সিংড়া থানায় জন্ম নেওয়া ফরিদা পারভীন গানে গানে কাটিয়ে দিয়েছেন পুরোটা জীবন। সংগীত জীবনে তাঁকে পার হতে হয় অনেক চড়াই-উৎরাই। নানা ধরনের গান করলেও শিল্পীজীবনে পরিচিতি, জনপ্রিয়তা, অগণিত মানুষের ভালোবাসা মূলত লালন সাঁইয়ের গান গেয়েই। কিংবদন্তি শিল্পী ফরিদা পারভীন চিরনিদ্রায় শায়িত হচ্ছেন কুষ্টিয়ায়। তাঁর মরদেহ সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তারপর তাঁকে নেওয়া হচ্ছে কুষ্টিয়ায়। সেখানে বাদ মাগরিব নামাজে জানাজা শেষে কুষ্টিয়ার পৌর কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে। ফরিদা পারভীনের ছেলে ইমাম নিমেরি উপল সাংবাদিকদের বলেন, ‘মাকে আমরা কুষ্টিয়ায় দাফন করব, তাঁর ইচ্ছে অনুযায়ী।’ সূত্র: বাসস

ডিগ্রি ৩য় বর্ষের প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য থাকবে অতিরিক্ত সময় 

ডিগ্রি ৩য় বর্ষের প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য থাকবে অতিরিক্ত সময়  জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩ সালের ডিগ্রি (পাস) ও সার্টিফিকেট কোর্স ৩য় বর্ষের পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদেরকে অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় দেওয়া হবে। নির্ধারিত শর্তে এ সুবিধা দেওয়া হবে। আজ রোববার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. এনামুল করিমের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিগ্রি (পাস) ও সার্টিফিকেট কোর্স ৩য় বর্ষ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম, সেরিব্রালপলসি) পরীক্ষার্থী থাকলে, নির্ধারিত শর্তে ৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হবে। শর্তগুলো হলো-সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক প্রতিবন্ধী সনদ থাকতে হবে, পরীক্ষা শুরুর আগে অধ্যক্ষ বা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের তথ্য যাচাই করে পরীক্ষা নেয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় তারুণ্যের ভূমিকা অপরিসীম : প্রধান উপদেষ্টা

বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় তারুণ্যের ভূমিকা অপরিসীম : প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় তারুণ্যের ভূমিকা অপরিসীম। তারুণ্যের শক্তিকে ধারণ করে আমাদের যুবসমাজ রক্তক্ষয়ী জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছে। আজ রোববার ‘ইয়্যুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, ‘আমাদের তরুণ স্বেচ্ছাসেবকরা তাদের নিষ্ঠা, সাহস, সৃজনশীলতা এবং অক্লান্ত পরিশ্রম দিয়ে জাতি গঠনে অনন্য ভূমিকা রেখে চলেছে। তারুণ্যের এই আত্মনিবেদন আমাদের সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের মূল চালিকাশক্তি।’ প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‌‘যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ‘ইয়্যুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ প্রদান করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।’ এ বছর ‘ইয়্যুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড’-এর জন্য যারা মনোনীত হয়েছেন তাদের সবাইকে তিনি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, ‘শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, পরিবেশ সংরক্ষণ, দুর্যোগ মোকাবিলাসহ সামাজিক উন্নয়নের নানা ক্ষেত্রে আমাদের তরুণ ও যুবরা প্রতিনিয়ত সক্রিয় অংশগ্রহণ ও স্বেচ্ছাসেবা দিয়ে যাচ্ছে। তাদের এই অবদানকে স্বীকৃতি দিতে এবং তরুণ প্রজন্মকে স্বেচ্ছাসেবামূলক কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত করতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ‘ইয়্যুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড’ চালু করেছে, যা নিঃসন্দেহে একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। আমি সমাজ পরিবর্তনের এই অগ্রদূতদের পুরস্কৃত করার উদ্যোগ নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’ প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে বহুমুখী সংস্কার ও উন্নয়ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এই বিশাল কর্মযজ্ঞের সফল বাস্তবায়নে তরুণ স্বেচ্ছাসেবীদের সর্বাত্মক অংশগ্রহণ একান্ত প্রয়োজন। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদের তরুণ প্রজন্ম পুরস্কারপ্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবীদের দেখে অনুপ্রাণিত হবে এবং দেশ গঠনে আরও নিষ্ঠা ও একাগ্রতার সাথে দায়িত্ব পালন করবে।’

সাইবার স্পেসে জুয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ততা দণ্ডনীয় অপরাধ

সাইবার স্পেসে জুয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ততা দণ্ডনীয় অপরাধ সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ এ সাইবার স্পেসে জুয়া খেলা, জালিয়াতি ও প্রতারণার সঙ্গে সম্পৃক্ত কার্যক্রমকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। অধ্যাদেশ অনুযায়ী— যদি কোন ব্যক্তি সাইবার স্পেসে জুয়া খেলার জন্য কোনো পোর্টাল বা অ্যাপস বা ডিভাইস তৈরি করেন বা পরিচালনা করেন বা খেলায় অংশগ্রহণ করেন বা খেলায় সহায়তা করেন বা উৎসাহ প্রদান করেন বা উৎসাহ প্রদানের জন্য বিজ্ঞাপনে অংশগ্রহণ এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রচার বা বিজ্ঞাপিত করেন তাহলে উক্ত ব্যক্তি সাইবার স্পেসে জুয়া খেলার অপরাধে অপরাধী হিসেবে পরিগণিত হবে। এ অপরাধে সে ব্যক্তি অনধিক ২ (দুই) বছর কারাদণ্ডে, অথবা অনধিক ১ (এক) কোটি টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। পাশাপাশি, যদি কোন ব্যক্তি সাইবার স্পেস ব্যবহার করে জালিয়াতি করে, তাহলে উক্ত ব্যক্তি অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হবে। এক্ষেত্রে সে অনধিক ২ বছর কারাদণ্ডে অথবা অনধিক ২০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। আবার যদি কোন ব্যক্তি সাইবার স্পেস ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতারণা করে, তাহলে ওই ব্যক্তি অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হবে। এ ক্ষেত্রে সে ব্যক্তি অনধিক ৫ বছর কারাদণ্ডে বা ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবে। ইতোমধ্যেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এ বিষয়ে নজরদারি বাড়িয়েছে বলে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছে। এই অপরাধ দমন ও সাইবার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয় সকলকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

কক্সবাজারে প্রয়াসের কর্মনিষ্ঠদের গৌরব যাত্রা ও শিখন সমাবেশ অনুষ্ঠিত

কক্সবাজারে প্রয়াসের কর্মনিষ্ঠদের গৌরব যাত্রা ও শিখন সমাবেশ অনুষ্ঠিত প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির কর্মকর্তাদের নিয়ে কক্সবাজারের একটি হোটেলে কর্মনিষ্ঠদের গৌরব যাত্রা ও শিখন সমাবেশ বিষয়ক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রাতে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন প্রয়াসের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক হাসিব হোসেন। এ সময় অন্যানোর মধ্যে বক্তব্য দেন প্রয়াসের পরিচালক (মানবসম্পদ প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ বিভাগ) আলেয়া ফেরদৌস, পরিচালক (কার্যক্রম) পঙ্কজ কুমার সরকার, যুগ্ম পরিচালক নাসের উদ্দিনসহ অন্যরা। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে মোট ৪০ জনকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এছাড়াও সমাবেশ শেষে র‌্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়।