শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে এক ধাপ এগোলো বাংলাদেশ

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে এক ধাপ এগোলো বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে এক ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। মোট ২০০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের পাসপোর্ট রয়েছে ১৮১তম অবস্থানে। যা গত বছর ছিল ১৮২তম। আর প্রথমবারের মতো বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্টধারী দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে উত্তর ইউরোপের দ্বীপরাষ্ট্র আয়ারল্যান্ড। ৪ এপ্রিল কর ও অভিবাসনবিষয়ক আন্তর্জাতিক পরামর্শক সংস্থা নোমাড ক্যাপিটালিস্টের হালনাগাদ সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তালিকায় ৩৮ স্কোর পেয়ে বাংলাদেশের পাসপোর্টের অবস্থান ১৮১তম স্থানে রয়েছে। বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীরা ভিসামুক্ত অথবা অন-অ্যারাইভাল ভিসায় বিশ্বের ৫০টি দেশে ভ্রমণ করতে পারেন। গত ২ এপ্রিল এক প্রতিবেদনে সিএনবিসি নিউজ বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচক প্রকাশিত হয়। নোমাডের হালনাগাদ তালিকায় বাংলাদেশের ঠিক আগে আছে নেপাল (স্কোর ৩৯ দশমিক ৫) এবং পরে আছে মিয়ানমার (স্কোর ৩৭ দশমিক ৫)। অপর দুই প্রতিবেশী দেশ ভারতের অবস্থান সূচকে ১৪৮ তম (স্কোর ৪৭ দশমিক ৫) এবং পাকিস্তানের অবস্থান ১৯৫তম (স্কোর ৩২)। শীর্ষে থাকা আয়ারল্যান্ডের প্রাপ্ত স্কোর ১০৯। এ দেশের পাসপোর্টধারী ব্যক্তিরা বিশ্বের ১৭৬টি দেশে ভিসামুক্ত বা অন অ্যারাইভাল ভিসায় ভ্রমণ করতে পারবেন। তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে সুইজারল্যান্ড ও গ্রিস। দেশগুলোর প্রাপ্ত স্কোর ১০৮ দশমিক ৫। আর চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে পর্তুগাল ও মাল্টা। দেশগুলোর স্কোর যথাক্রমে ১০৮ ও ১০৭ দশমিক ৫। তালিকায় সবচেয়ে দুর্বল (১৯৯তম) পাসপোর্টের দেশ হিসেবে স্থান পেয়েছে আফগানিস্তান। দেশটির আগের তিনটি দেশ যথাক্রমে ইরাক, ইরিত্রিয়া এবং ইয়েমেন। এর আগে ২০২৩ সালের মার্চে নোমাডের পাসপোর্ট সূচকে সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্টের তকমা পেয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত। হালনাগাদ তালিকায় ১০৬ দশমিক ৫ স্কোর নিয়ে দশম স্থানে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলের এ দেশটি। দশম অবস্থানে থাকলেও আমিরাতের নাগরিকরা তালিকায় শীর্ষে থাকা আয়ারল্যান্ডের নাগরিকদের তুলনায় অতিরিক্ত ৩টি দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন।
ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ

ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে আবারও কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে নগরবাসী। বাস ও রেল স্টেশনে ভিড় না থাকায় স্বস্তিতেই ফিরছেন তারা। আজ সকাল থেকে নগরের বিভিন্ন প্রবেশপথ ঘুরে দেখা যায় নগরে ফেরা মানুষের চাপ। নগরের নতুন ব্রিজ, বহদ্দারহাট, অলংকার, জিইসি মোড়, দামপাড়া, সিনেমা প্যালেস, অক্সিজেন মোড়, বিআরটিসিসহ প্রায় সব বাস টার্মিনালে নগরফেরা যাত্রীর চাপ লক্ষ্য করা যায়। এবছর স্বাধীনতা দিবস, শব-ই কদর, ঈদ ও সপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে প্রায় সপ্তাহ খানেক ছুটি পায় নগরবাসী। ফলে অনেকেই স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে নাড়িরটানে নগর ছাড়ে সাধারণ মানুষ। যাত্রীরা জানান, পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করা সৌভাগ্যের। । যাওয়ার সময় কষ্ট হলেও স্বস্তি নিয়ে ফিরতে পারছেন। কোথাও কোনো ঝামেলা পোহাতে হয়নি। তবে বরাবরের মত ঈদ পরবর্তী যাত্রায় বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ ছিল যাত্রীদের মুখে। চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান বাংলানিউজকে বলেন, এবারের ফিরতি ট্রিপে কোনো শিডিউল বিপর্যয় নেই। আশা করছি সব ঠিক মতই করা যাবে, এদিকে, ঈদের ছুটি শেষে রোববার খুলেছে সরকারি-বেসরকারি অফিস। তিনদিনের ছুটির পর প্রথম কর্মদিবস হওয়ায় তেমন কর্মব্যস্ততা ছিল না অফিসগুলোতে। সহকর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা যায় অফিসে।
ঈদের ছুটিতে ঢাকা ছেড়েছেন ১ কোটির বেশি সিমধারী, ফিরেছেন ৪৪ লাখ

ঈদের ছুটিতে ঢাকা ছেড়েছেন ১ কোটির বেশি সিমধারী, ফিরেছেন ৪৪ লাখ ঈদুল ফিতরের টানা ৯ দিনের ছুটিতে রাজধানী ঢাকা ছেড়েছেন ১ কোটি ৭ লাখ সিমধারী (একক মানুষ)। গত ২৮ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল সাত দিনে ১ কোটি ৭ লাখ ২৯ হাজার ১৫৫ সিমধারী ঢাকার বাইরে গেছেন। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ফেসবুকে এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) বরাত দিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব লিখেছেন, ‘ঈদের ছুটির সাত দিনে ১ কোটি ৭ লাখ সিম ব্যবহারকারী ঢাকা ত্যাগ করেছেন। বিপরীতে ৪৪ লাখ মোবাইল সিম ব্যবহারকারী ঢাকায় প্রবেশ করেছেন।’তাঁর দেওয়া তথ্য মতে, ২৮ মার্চ থেকে ঈদের দিন ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৭৭ লাখ ৪৫ হাজার ৯৮৫ সিমধারী ঢাকা ছাড়েন। এরপর ১ থেকে ৩ এপ্রিল ছাড়েন ২৯ লাখ ৮৩ হাজার ১৭০ সিমধারী। সবচেয়ে বেশি ২৩ লাখ ৯৪ হাজার ৪৬১ সিমধারী ঢাকা ছাড়েন ৩০ মার্চ। এ সাত দিনে ঢাকায় প্রবেশ করেছেন ৪৪ লাখ ৪০ হাজার ২৭৯ সিমধারী।
ঢাকাসহ চার বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা

ঢাকাসহ চার বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এতে আরো বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, খুলনা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী এবং রাঙ্গামাটি জেলাসমূহের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিত অংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল খুলনার মোংলায় ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজ শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রংপুরের তেঁতুলিয়ায় ১৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৯ দিনের ছুটি শেষ; আগামীকাল থেকে খুলছে অফিস

৯ দিনের ছুটি শেষ; আগামীকাল থেকে খুলছে অফিস ঈদে টানা ৯ দিনের লম্বা ছুটি শেষে সরকারি অফিস খুলছে আগামীকাল । সরকারি অফিস, উচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালত এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোও আগামীকাল থেকে রোজার আগের সময় ধরে চলবে। আগামীকাল অফিস খুলবে বিধায় আজ শনিবার ট্রেন, বাস ও লঞ্চ টার্মিনালগুলোতে কর্মজীবী মানুষের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ঈদের আগে ২৮ মার্চ শুক্রবার ছিল শবে কদরের ছুটি। এবার ২৯ মার্চ (শনিবার) থেকে শুরু হয় ঈদুল ফিতরের ছুটি, টানা পাঁচদিনের ছুটি (২৯, ৩০, ৩১ মার্চ এবং ১ ও ২ এপ্রিল) ছিল ২ এপ্রিল পর্যন্ত। এরপর মাঝখানে ৩ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) অফিস খোলা ছিল, সেদিনও নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এরপর আবার ৪ ও ৫ এপ্রিল (শুক্র ও শনিবার) দুদিনের সাপ্তাহিক ছুটি। রোজা ও ঈদের ছুটি শেষে আগের নিয়মে ফিরবে সরকারি অফিস, আদালত ও ব্যাংক। রমজান মাসে সরকারি প্রতিষ্ঠানে অফিসের সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। রবিবার থেকে আগের মতোই অফিস চলবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
সোনার দরে রেকর্ড পতন, আউন্সে কমল ৭০ ডলার

সোনার দরে রেকর্ড পতন, আউন্সে কমল ৭০ ডলার বিশ্ববাজারে এক দিনেই প্রতি আউন্স সোনার দাম কমে গেছে ৭০ ডলারের ওপরে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিটি দেশের জন্য পৃথক শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেবেন এমন আশঙ্কায় গত কয়েক দিন ধরে বিশ্ববাজারে সোনার দাম অস্থির হয়ে পড়ে। ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের ঘোষণার আগে প্রতি আউন্স সোনার দাম রেকর্ড তিন হাজার ১৬২ ডলার ছাড়িয়ে যায়। তবে ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের ঘোষণার পর সোনা বড় দরপতনের মধ্যে পড়েছে। হাতে গোনা কয়েকটি দেশ ছাড়া বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ ও অঞ্চলের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার সময় যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক অংশীদারদের ওপর এ ধরনের শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন। দেশটির বাণিজ্য ঘাটতি কমানো এবং মার্কিন শিল্পকে সুরক্ষা দেওয়ার লক্ষ্যে এমন কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। ট্রাম্পের এ শুল্ক আরোপের ঘোষণা আসার আগে এটি ঘিরে বিশ্ববাজারে বেশ অস্থির হয় সোনার দাম। এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতি আউন্স সোনার দাম তিন হাজার ৩৭ ডলার থেকে বেড়ে তিন হাজার ১৬২.৬০ ডলারে উঠে যায়। বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার এই রেকর্ড দাম স্পর্শ করে সোনা। অবশ্য এই রেকর্ড দাম স্পর্শ করার পরপরই দরপতনের মধ্যে পড়ে সোনা। প্রতি আউন্স সোনার দাম কমে তিন হাজার ৯০ ডলারে নেমে গেছে। অর্থাৎ এক দিনেই প্রতি আউন্স সোনার দাম ৭২ ডলার কমে গেছে। এদিকে বিশ্ববাজারে সোনার দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি দেশের বাজারেও কয়েক দফায় দাম বাড়ানো হয়েছে। এতে বর্তমানে দেশের বাজারে ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে সোনা। দেশের বাজারে সর্বশেষ সোনার দাম নির্ধারণ করা হয় ২৯ মার্চ।
৩ ক্যাটাগরিতে হবে এনআইডি সংশোধন

৩ ক্যাটাগরিতে হবে এনআইডি সংশোধন জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংক্রান্ত্র আবেদন এখন থেকে আর ঢালাওভাবে নিষ্পত্তির জন্য বিবেচনা করবে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে প্রবাসী, সরকারি চাকরিজীবী ও সাধারণ ক্যাটাগরিতে আবেদনগুলো বিন্যাস করে নিষ্পত্তি করা হবে। ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঢালাওভাবে বিবেচনায় নিলে অনেক ক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত বেশি সময় লেগে যায়। এই ব্যবস্থার ফলে যা সহজ হবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, সরকারি চাকরিজীবীদের সার্ভিস বুক থাকে। তাই তাদের আবেদনের সত্যতা সহজেই যাচাই করা যায়। আবার যারা প্রবাসী তাদেরও সংশ্লিষ্ট দেশের বৈধ কাগজপত্র ও পাসপোর্ট থাকে। এক্ষেত্রে আবেদনের চাহিত তথ্য আপডেট করতে যাচাইয়ের খুব একটা সময়ের প্রয়োজন হয় না। অন্যদিকে সাধারণ নাগরিকদের অনেকের আবেদনেই নানা অসততা থাকে। তাই আবেদনের ধরন প্রথমেই পৃথক করা গেলে নিষ্পত্তিতে সময় কম লাগে। এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবীর এ বিষয়ে বলেন, এখন থেকে তিনটি ছকে আবেদনগুলো পৃথক করা হবে। একটি প্রবাসীদের জন্য, অন্যটি চাকরিজীবীদের জন্য। আর একটি ছক হচ্ছে সাধারণ মানুষের জন্য। ইতোমধ্যে সকল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, ২০১১ সালের এক জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন লাখ ৭৮ হাজার এনআইডি সংশোধন আবেদন অনিষ্পন্ন ছিল, এর মধ্যে গত তিন মাসে ক্রাশ প্রোগ্রাম করে ৯৮ হাজার ৪৪টি আবেদন নিষ্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়া, গত ১ জানুয়ারি থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত আবেদন জমা পড়েছে তিন লাখ দুই হাজার ২৬৬টি, এরমধ্যে নিষ্পন্ন হয়েছে এক লাখ ৭৯ হাজার ৯২৬টি আবেদন। অবশিষ্ট আবেদন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। এই হিসেবে ২০১১ থেকে এখন পর্যন্ত চার লাখ দুই হাজার ৩০৮টি আবেদন অনিষ্পন্ন রয়েছে। আগামী জুনের মধ্যে সকল অনিষ্পন্ন আবেদন নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিয়েছে ইসি। বর্তমানে দেশে ভোটার রয়েছে ১২ কোটি ৪৪ লাখের মতো। এদের অনেকের জাতীয় পরিচয়পত্রে কোনো না কোনো ভুল থাকার কারণে প্রতিদিনই আবেদন জমা পড়ছে বলে জানিয়েছেন ইসি কর্মকর্তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ইস্যুতে জরুরি সভা ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ইস্যুতে জরুরি সভা ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ইস্যু নিয়ে জরুরি সভা ডেকেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করা সব দেশের পণ্যের ওপর ব্যাপক হারে আমদানি শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক বসছে। এতদিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ১৫ শতাংশ শুল্ক ছিল। হোয়াইট হাউসের প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র সরকার দাবি করেছে, বাংলাদেশ কার্যকরভাবে আমেরিকান পণ্যের ওপর ৭৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এর প্রতিক্রিয়ায়, এখন থেকে বাংলাদেশের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। এই ঘোষণা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষত পোশাক শিল্পে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের একক বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য। ঢাকার শিল্পখাতের নেতাদের আশঙ্কা, উচ্চ শুল্ক আরোপের ফলে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
প্রথম ধাপে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা ফেরাতে রাজি মিয়ানমার

প্রথম ধাপে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা ফেরাতে রাজি মিয়ানমার বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মধ্যে প্রত্যাবাসনের যোগ্য হিসেবে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা চূড়ান্ত করেছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। কক্সবাজারে আশ্রিত এই জনগোষ্ঠীকে স্বদেশে ফেরানোর জন্য ২০১৮ থেকে ২০২০ সময়কালে ছয় ধাপে মিয়ানমারকে আট লাখ রোহিঙ্গার তালিকা দেয় বাংলাদেশ সরকার। এর মধ্যে এক লাখ ৮০ হাজার জনের তালিকা চূড়ান্ত করেছে মিয়ানমার। আরও ৭০ হাজার জনের চূড়ান্ত যাচাই চলমান। তাদের ছবি ও নাম যাচাই করার মধ্য দিয়ে ভাগ্য নির্ধারণ হবে। শুক্রবার (৪ এপ্রিল) ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে মিয়ানমারের উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী উ থান শেও বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ (বিশেষ দূত) ড. খলিলুর রহমানের কাছে এ তথ্য প্রকাশ করেন। এটি রোহিঙ্গা সঙ্কটের দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের দিকে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে প্রথম নিশ্চিতকৃত তালিকা। মিয়ানমারের উপ-প্রধানমন্ত্রী নিশ্চিত করেছেন যে, মূল তালিকার বাকি ৫ লাখ ৫০ হাজার রোহিঙ্গার যাচাইও দ্রুত সম্পন্ন করা হবে। বৈঠকের সময় হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান মিয়ানমারে ভূমিকম্পে আক্রান্তদের জন্য সমবেদনা জানান এবং দুর্যোগকবলিত মানুষের জন্য আরও মানবিক সহায়তা পাঠাতে বাংলাদেশ প্রস্তুত বলে উল্লেখ করেন। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাবিরোধী অভিযানে নামলে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে ৭ লাখ মানুষ। আগে থেকে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাসহ সব মিলিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয়ে রয়েছে জনগোষ্ঠীটির প্রায় ১০ লাখ লোক। মিয়ানমারের ওই অভিযানকে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে ‘জাতিগত নিধনযজ্ঞ’ আখ্যা দেওয়া হয়। পরে বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেয়। দুদেশের উচ্চপর্যায়ে সফর বিনিময় ও বৈঠক হয়। এরই ধারাবাহিকতায় তাদের হাতে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের তালিকা দেওয়া হয়। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিশ্ব সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। এর মধ্যে গত মার্চে বাংলাদেশ সফরে আসেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি ও ড. ইউনূস কক্সবাজারে গিয়ে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করেন। সেখানে জাতিসংঘ মহাসচিব বিশ্ববাসীর উদ্দেশে বলেন, রোহিঙ্গারা স্বদেশে ফিরে যেতে চান, তাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কার্যকর উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। সেখানে ড. ইউনূস পরের ঈদটি যেন রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে নিজ ভূমিতে ফিরে করতে পারেন, সেজন্য নিজের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন এবং এজন্য তাদের কাছে দোয়াও চেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আল্লাহর হাছে দোয়া গরি, সামনর ঈদত যেন অনারা নিজর বাড়িত যাইয়েরে ঈদ গরিন ফারন। ’
নরেন্দ্র মোদীকে আলোকচিত্র উপহার প্রধান উপদেষ্টার

নরেন্দ্র মোদীকে আলোকচিত্র উপহার প্রধান উপদেষ্টার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একটি আলোকচিত্র উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ষষ্ঠ বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে বৈঠক করেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। বৈঠকে নরেন্দ্র মোদীর হাতে আলোকচিত্রটি তুলে দেন প্রধান উপদেষ্টা। জানা গেছে, অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, অধ্যাপক ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদীর মধ্যকার অনুষ্ঠিত বৈঠকটি অত্যন্ত গঠনমূলক, কার্যকর ও ফলপ্রসূ হয়েছে। দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট সব বিষয় নিয়ে কথাবার্তা বলেছেন। তিনি জানান, পারস্পরিক আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন, ভারতে বসে শেখ হাসিনার উসকানিমূলক কথাবার্তা, সীমান্ত হত্যা, দুই দেশের মধ্যে গঙ্গা ও তিস্তা পানি চুক্তি নিয়ে কথা বলেন।