পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ না খাওয়ার আহ্বান মৎস্য উপদেষ্টার

পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ না খাওয়ার আহ্বান মৎস্য উপদেষ্টার এ বছর পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ না খাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। আজ দুপরে সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন তিনি এ আহ্বান জানান। জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ -২০২৫ উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে উপদেষ্টা চৈত্র সংক্রান্তি পালনের সঙ্গে পহেলা বৈশাখে বাতাসা, দই, চিড়া, মিষ্টি, ছাতুর সরবত, ভাত, শাক, সবজি ইত্যাদি খাওয়ার আহ্বান জানান। উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, মানুষ পহেলা বৈশাখে ইলিশ খায় কেমন করে। এ সময় তো ইলিশ পাওয়ার কথা নয়। পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ আমাদের সংস্কৃতির অংশ নয়। এটি আমি পরিষ্কার করতে চাই। তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখে যারা ইলিশ খাবেন, তারা জাটকা-ই খাবেন। একই সঙ্গে তারা আইন লঙ্ঘন করবেন। কাজেই বাজারে পাওয়াটাও আইনের লঙ্ঘন হয়। এই সময়ে আমরা জোরালোভাবে জাটকা সংরক্ষণ বিষয়ে সচেতন করার জন্য আমরা বলেছি। তিনি আরও বলেন, ১৪ এপ্রিল পান্তার সঙ্গে ইলিশ খাওয়া হয়, সেটা যেন না খাওয়া হয়, সেই অনুরোধ করব। কারণ এ সময় ইলিশ নয়, জাটকা খাওয়া হয়। সেই হিসেবে জাটকা সংরক্ষণ করে ইলিশে রূপান্তর করার আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে এ বছর পান্তা-ইলিশ না খাওয়ারও আহ্বান জানাই। ফরিদা আখতার বলেন, যারা ঢাকায় থাকেন তারা পান্তা-ইলিশ চালু করেছেন। এটি আরোপিত সংস্কৃতি। বরং পহেলা বৈশাখের আগের দিন বাঙ্গালি সংস্কৃতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেটি হলো চৈত্র সংক্রান্তি, সেখানে কোনো আমিষ খাওয়া হয় না। সেদিন ১৪ রকমের শাক খাওয়া হয়। আপনারা চৈত্র সংক্রান্তি পালন করবেন। পহেলা বৈশাখে বাতাসা খান, দই, চিড়া, মিষ্টি, ছাতুর সরবত খান, ভাত, শাক, সবজি খান, ইলিশ বাদে অন্য মাছ খান। তিনি বলেন, কোল্ড স্টোরেজ থেকে মজুত করা ইলিশ বাজারে আসার একটা সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা চাই না সেটা বাজারে আসুক। পহেলা বৈশাখে পান্তার সঙ্গে ইলিশ না খেয়ে ভর্তা, পোড়া মরিচ খেতে পারেন। জেলেরা তাদের জীবন-জীবিকা ঝুঁকিতে রেখে মাছ ধরা বন্ধ রাখতে পারেন। তাহলে আমরা কেন একদিন ইলিশ খাওয়া বন্ধ করতে পারব না? ভারতে ইলিশ রপ্তানির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আগে দুর্গাপূজা আসুক, তখন দেখা যাবে। আমাদের ইলিশ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। সেটি এখনো আছে। তবে আমরা প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য কিছু ছাড় দিয়েছি। সেখানে নিদিষ্ট কিছু দেশে আছে যেখানে আমাদের বাংলাদেশিরা রয়েছে তাদের ইলিশ খাওয়ানোর জন্য এটি করা হয়েছে। বাংলাদেশে যখন ইলিশ ধরা বন্ধ থাকে, তখন ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে ইলিশ ধরে নিয়ে যায়, এ বিষয়ে ভারতের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ফরিদা আখতার বলেন, এবার সেই সুযোগ নেই। আমরা বৈজ্ঞানিকভাবে সময়টা নির্ধারণ করেছি। ভারতও বৈজ্ঞানিকভাবে কিছু একটা করে। এখন আর সেই সুযোগ থাকবে না।

দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এলো মার্চে

দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এলো মার্চে একক মাসে হিসাবে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এলো সদ্য বিদায়ী মাস মার্চে। ঈদের আগের মাস মার্চে প্রবাসী আয় এলো ৩২৯ কোটি মার্কিন ডলার বা ৩ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪ হাজার ৪৭ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২৩ টাকা হিসাবে)। একক মাস হিসেবে এত বেশি প্রবাসী আয় কখনো আসেনি। আজ এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো: আরিফ হোসেন খান। মার্চ মাসে আসা প্রবাসী আয় আগের বছরের মার্চের তুলনায় ৬৪ দশমিক ৭০ শতাংশ বেশি। আগের বছরের মার্চ মাসে এসেছিল ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার। আর আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল ২৫২ কোটি ৭৬ লাখ ৫০ হাজার ডলার। ঈদের আগের মাসে প্রবাসীরা দেশে স্বজনদের খরচের জন্য বেশি বেশি প্রবাসী আয় পাঠান। সেজন্য অন্য মাসের তুলনায় ঈদের মাসে প্রবাসী আয় বৃদ্ধি পায়। আগের যেকোনো ঈদের আগের মাসের চেয়ে বেশি প্রবাসী আয় এলো সদ্য বিদায়ী মাসে। এমনকি করোনা মহামারির সময়ও বেশি রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা। করোনার সময়ের সেই আয়কেও পেছনে ফেলেছে মার্চের প্রবাসী আয়। চলতি অর্থবছরে বেশি প্রবাসী আয় আনে অক্টোবরে ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার ডলার; ২০২৩-২৪ অর্থবছর জুনে ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার এবং ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই মাসে ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ১০ হাজার ডলার। বৈধপথে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় পাঠাতে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়ার ফলে বাড়তে থাকে প্রবাসী আয়। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রবাসীরা যোগ দিয়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় পাঠানো কমিয়ে দেয়। ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনার পতন হলে প্রবাসীরা বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানো বাড়িয়ে দেয়। এরপর প্রায় প্রতিমাসেই প্রবাসী আয় বাড়তে থাকে। সর্বশেষ ঈদের আগের মাস মার্চে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় আসে, একক মাস হিসেবে যা অতীতের সব রেকর্ড ভাঙল।

শুল্ক আরোপ: ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দুই চিঠি যাবে যুক্তরাষ্ট্রে

শুল্ক আরোপ: ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দুই চিঠি যাবে যুক্তরাষ্ট্রে যুক্তরাষ্ট্রের রিসিপ্রোকাল ট্যারিফ বা পাল্টা শুল্ক আরোপের প্রেক্ষিতে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে দুটি চিঠি পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে একটি চিঠি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কাছে এবং বাণিজ্য উপদেষ্টার পক্ষ থেকে একটি চিঠি ইউএসটিআরের কাছে পাঠানো হবে। আজ বিকেলে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান তিনি। বৈঠকে চারজন উপদেষ্টা, একজন উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি, একজন স্পেশাল অ্যাম্বাসেডর, দশজনের মতো সচিব এবং বড় ব্যবসায়ীদের মধ্য থেকে চারজন প্রতিনিধি ছিলেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, প্রতিনিয়ত তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলছি ইউএসএ অফিশিয়াল। সেটা ঢাকায় তাদের এমব্যাসি অফিসিয়াল, ওদিক দিয়ে ইউএসএ এর ইউএসটিআর। আমাদের যেটা সিদ্ধান্ত যে আমরা দুটি চিঠি দেব। দুটি চিঠি আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যাবে। একটা চিঠি যাবে আমাদের প্রধান উপদেষ্টার তরফ থেকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে। আর একটা চিঠি যাবে আমাদের বাণিজ্য উপদেষ্টা তরফ থেকে ইউএসটিআর’র কাছে। চিঠিতে কী লেখা থাকবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চিঠিতে কী কী থাকবে, কি ধরনের ল্যাঙ্গুয়েজ সেটা নিয়েই আজকে আলোচনা হয়েছে। আজকে চারজন উপদেষ্টা ছিলেন, একজন হাইলি রিপ্রেজেন্টার ছিলেন, একজন স্পেশাল অ্যাম্বাসেডর, আমাদের প্রায় দশজনের মতো সেক্রেটারি ছিলেন, যারা বড় ব্যবসায়ী তাদের মধ্য থেকে চারজন প্রতিনিধি ছিলেন। সবার সঙ্গে কথা হয়েছে, কথা হওয়ার পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে – খুব দ্রুত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দুটি চিঠি যাবে। তিনি বলেন, চিঠিতে যাই থাকুক সেটা আমাদের ব্যবসাবান্ধব হবে। আমাদের বাংলাদেশের ব্যবসার স্বার্থটা দেখা হবে। বাংলাদেশের সঙ্গে কম্পিটিটিভ যেসব কান্ট্রি আছে তাদের চেয়ে আমরা আরো ব্যবসাবান্ধব হব, এই চিঠিটা হবে। আরো বেশি ব্যবসাবান্ধব হবে, যাতে করে যুক্তরাষ্ট্র এবং আমাদের দুই পক্ষের জন্যই উইন উইন সিচুয়েশন হয় এবং আমাদের জন্য মার্কেট এক্সেসটা যেন আরো বাড়ে। শফিকুল আলম আরো বলেন, আমরা চাই যুক্তরাষ্ট্র পৃথিবীর লার্জেস্ট মার্কেট, সেখানে আমাদের আরো অনেক বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করার সুযোগ আছে। যেটা আমাদের উপদেষ্টারা এবং ব্যবসায়ী নেতারা আজকে বললেন।

এপ্রিলে অপরিবর্তিত থাকছে এলপি গ্যাসের দাম

এপ্রিলে অপরিবর্তিত থাকছে এলপি গ্যাসের দাম ভোক্তা পর্যায়ে এপ্রিল মাসের জন্য এলপি গ্যাসের নতুন মূল্য ঘোষণা করা হয়েছে। চলতি মাসের জন্য ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৫০ টাকায় অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। আজ নতুন মূল্য ঘোষণা করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। যা রবিবার সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে। এছাড়া অটোগ্যাসের দাম ৬৬ টাকা ৪৩ পয়সা থেকে ২ পয়সা কমিয়ে ৬৬ টাকা ৪১ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে গত মার্চ মাসে ভোক্তা পর্যায়ে এলপি গ্যাসের ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৭৮ টাকা থেকে ২৮ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৪৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। ফেব্রুয়ারিতে বাড়তি ছিল এলপি গ্যাসের দাম। মার্চ মাসের কমার পর এই মাসেই অপরিবর্তিত থাকলো। ফেব্রুয়ারিতে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১৯ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৭৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। আর জানুয়ারি মাসের শুরুতে সেই মাসের জন্য অপরিবর্তিত রাখা হয়েছিল এলপিজির দাম। তবে গত ১৪ জানুয়ারি এই মাসের জন্য ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৫৯ টাকা পুনঃনির্ধারণ করা হয়। ২০২৪ সালে ৪ দফা কমেছিল এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম, আর বেড়েছে ৭ দফা। এক দফা ছিল অপরিবর্তিত। গত বছরের জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, মার্চ, জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর বাড়ানো হয়েছিল এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম। আর দাম কমেছিল এপ্রিল, মে, জুন ও নভেম্বরে। তবে দাম অপরিবর্তিত ছিল ডিসেম্বরে।

যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭ শতাংশ শুল্ক নিয়ে বৈঠক শুরু

যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭ শতাংশ শুল্ক নিয়ে বৈঠক শুরু বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। এই শুল্ক নিয়ে অর্থ উপদেষ্টার নেতৃত্বে সরকারের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়েছে। আজ বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটের দিকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ বৈঠক শুরু হয়। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্ব বৈঠকে বাণিজ্য উপদেষ্টা, পরিকল্পনা উপদেষ্টা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানসহ কয়েকজন অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী নেতা উপস্থিত রয়েছেন। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজ প্রকাশিত একটি তালিকায় দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর বাংলাদেশের শুল্ক ৭৪ শতাংশ। আর যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পণ্যে ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। আগে বাংলাদেশি পণ্য গড়ে ১৫ দশমিক ৬২ শতাংশ শুল্ক দিয়ে মার্কিন বাজারে প্রবেশ করত।শুধু বাংলাদেশই নয়, বহু দেশেই যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে শুল্ক আরোপ করেছে। এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোও নতুন করে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের মুখে পড়েছে। হোয়াইট হাউসের নথি অনুযায়ী, ভিয়েতনামের ওপর ৪৬ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। উচ্চ শুল্কের মুখে পড়া অন্যান্য দেশের মধ্যে রয়েছে জাপান (২৪ শতাংশ), দক্ষিণ কোরিয়া (২৫ শতাংশ), ভারত (২৬ শতাংশ), কম্বোডিয়া (৪৯ শতাংশ) ও তাইওয়ান (৩২ শতাংশ)। চীনের ওপর নতুন করে ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।

বৃষ্টির পরও ঢাকার বাতাস আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’

বৃষ্টির পরও ঢাকার বাতাস আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বায়ুদূষণের মাত্রা যেন বেড়েই চলেছে। সেইসঙ্গে দিন দিন মেগাসিটি ঢাকার বাতাসও দূষিত হয়ে উঠছে। শনিবার রাতের বৃষ্টির পরও রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণের মাত্রায় কোন উন্নতি নেই। টানা কয়েক দিন ঢাকার বাতাসের মান অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সকালেও ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে। আজ সকাল ৯টা নাগাদ আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্যানুযায়ী, ১৪৭ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৬ষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে রাজধানী ঢাকা। একই সময়ে, ২৯১ স্কোর নিয়ে প্রথম স্থানে আছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি। এখানকার বাতাসের মান নাগরিকদের জন্যে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’।এছাড়াও একই তালিকায় ২২৯ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু। তৃতীয় অবস্থানে থাকা পাকিস্তানের শহর লাহোরের স্কোর ২০১ এবং রাজধানী ঢাকা ১৪৭ স্কোর নিয়ে ৬ষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে। আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, বাতাসের গুণমান নির্ধারণের একিউআই স্কেল অনুযায়ী ০-৫০ ভালো, ৫১-১০০ মাঝারি, ১০১-১৫০ সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর, ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এছাড়া ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়, ৩০১ বা তার বেশি একিউআই স্কোরকে ‘দুর্যোগপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। বাংলাদেশের একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের কারণে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর অন্তত ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকার বায়ুদূষণ নাগরিকদের জন্যে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে। বাইরে বের হলে মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থ ব্যক্তিদের বাড়ির বাইরে কম বের হতে বলা হয়েছে। শহরে সবুজায়ন ও গাছপালা বৃদ্ধির মাধ্যমে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

মানব পাচার রোধে বাংলাদেশ তার প্রতিশ্রুতিতে অটল রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মানব পাচার রোধে বাংলাদেশ তার প্রতিশ্রুতিতে অটল রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, মানব পাচার রোধে বাংলাদেশ তার প্রতিশ্রুতিতে অটল রয়েছে এবং এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। আজ সকালে রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ের সুরমা হলে মানব পাচার সংক্রান্ত বিমসটেক সাব-গ্রুপের তৃতীয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, মানব পাচার সংক্রান্ত অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহি করার জন্য শক্তিশালী আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো সজাগ ও সক্রিয় রয়েছে। সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং পাচারের বিপদ সম্পর্কে সংশ্লিষ্টদের সচেতন করার করার জন্য বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক প্রচারণা জোরদার করা হয়েছে। উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ মানব পাচার মোকাবেলায় জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, মানব পাচারের শিকার ভুক্তভোগীদের দক্ষতার সঙ্গে শনাক্তকরণ, তাদের চাহিদা মূল্যায়ন এবং উপযুক্ত পরিষেবা প্রদানকারীদের সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য একটি জাতীয় রেফারেল ব্যবস্থা (ওয়েব প্ল্যাটফর্মে হোস্ট করা)-সহ সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, মানব পাচারকারীদের বিচার দ্রুত করার জন্য নিবেদিত বিশেষ ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এবং আমাদের জাতীয় কৌশলে সচেতনতামূলক প্রচারণাগুলোকে পদ্ধতিগতভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। উপরন্তু, আমরা বিমসটেক এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গে এ বিষয়ে সহযোগিতা জোরদার করার জন্য আমাদের পারস্পরিক আইনি সহায়তা ব্যবস্থাকে প্রসারিত করেছি। জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, মানব পাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অন্যান্য বিমসটেক সদস্য রাষ্ট্রগুলো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ বৈঠকে সেই পদক্ষেপ এবং অভিজ্ঞতাসমূহ বিনিময় করা হবে মর্মে আমি আশা করি। তিনি বলেন, পাচারকারীরা সরকারী উদ্যোগগুলিকে এড়িয়ে যাওয়ার জন্য ক্রমাগত নিত্য নতুন কৌশল গ্রহণ করে। তারা সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক সংকট ও দারিদ্র্যকে কাজে লাগিয়ে ও প্রযুক্তির অপব্যবহারের মাধ্যমে তাদের গোপন কার্যকলাপ এগিয়ে নেয়ার জন্য অভিবাসন রুটগুলোকে কাজে লাগাতে থাকে। এই অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য একটি সম্মিলিত এবং কৌশলগত কর্মপদ্ধতি প্রয়োজন এবং সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য ও সেরা অনুশীলন বিনিময়ের মাধ্যমে একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদানে বিমসটেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময় ও সম্মিলিত প্রয়াস আমাদের পাচার বিরোধী কৌশলকে আরও শক্তিশালী করতে সক্ষম করবে। উপদেষ্টা আগামী দুই বছরের জন্য বিমসটেকের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব বাংলাদেশকে অর্পণ করার জন্য এর সদস্য রাষ্ট্রগুলির প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্ভুক্তিমূলক, কর্মমুখী এবং দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বিমসটেককে পরিচালনা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তার সক্ষম এবং অনুপ্রেরণামূলক নেতৃত্বে আমরা আত্মবিশ্বাসী যে বিমসটেক আমাদের সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং সম্পর্ক গভীরতর করার মাধ্যমে নতুন এক উচ্চতায় পৌঁছাবে। উপদেষ্টা আরও বলেন, এ বৈঠক মানব পাচার কৌশল নিয়ে আলোচনা, অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং বিমসটেক অঞ্চল জুড়ে মানব পাচার রোধে আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করার একটি উল্লেখযোগ্য সুযোগ প্রদান করেছে। তিনি বলেন, এ বৈঠকের ফলাফল শক্তিশালী নীতি তৈরি, এর কার্যকর প্রয়োগ এবং গভীর আঞ্চলিক সহযোগিতার জন্য অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক ও আইসিটি অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং মানব পাচার সংক্রান্ত বিমসটেক সাব-গ্রুপের তৃতীয় সভার চেয়ারম্যান খন্দকার মো. মাহাবুবুর রহমান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিমসটেক সেক্রেটারিয়েট ঢাকার পরিচালক প্রশান্থ চান্দ্রান। সভায় বিমসটেকভুক্ত সাত সদস্য দেশের (বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, নেপাল ও ভুটান) মানব পাচার সংক্রান্ত সাব-গ্রুপের সংশ্লিষ্ট সদস্যগণ অংশগ্রহণ করেন।

সদ্য তোলা রঙিন ছবি না দিলে পদোন্নতি নয়

সদ্য তোলা রঙিন ছবি না দিলে পদোন্নতি নয় সদ্য তোলা রঙিন ছবি না দিলে পদোন্নতি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। আজ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন-১ শাখার অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুব-উল-আলম স্বাক্ষরিত অতি জরুরি এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারী বাতায়নে (জিইএমএস) পিডিএস-এর ব্যক্তিগত তথ্য হালনাগাদকরণের ক্ষেত্রে অনূর্ধ্ব ছয় মাসের মধ্যে তোলা রঙিন ছবি সংযোজনসহ সকল ব্যক্তিগত তথ্য নিজ দায়িত্বে জরুরি ভিত্তিতে হালনাগাদ করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, যে সকল কর্মকর্তা নতুন রঙিন ছবি সংযোজনসহ জিইএমএস-এ পিডিএস-এর তথ্য হালনাগাদ করতে ব্যর্থ হবেন, তাদের কেস পদোন্নতির জন্য বিবেচিত হবে না।

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ইস্যুতে জরুরি বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ইস্যুতে জরুরি বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন ‘রিসিপ্রোকাল ট্যারিফ’ নীতির আওতায় বাংলাদেশ থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। এই ইস্যুতে করণীয় নির্ধারণে জরুরি বৈঠকে বসেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় এই বৈঠক শুরু হয়। এর আগে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, শীর্ষ বিশেষজ্ঞ, উপদেষ্টা ও কর্মকর্তারা এই বৈঠকে যোগ দেন। বাংলাদেশ কার্যত মার্কিন পণ্যের ওপর ৭৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। সে হিসেবে ট্রাম্পের নতুন নীতির অংশ হিসেবে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ ‘ডিসকাউন্টেড রিসিপ্রোকাল ট্যারিফ’ ধার্য করা হয়।

বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে যেসব সিদ্ধান্ত গৃহীত

বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে যেসব সিদ্ধান্ত গৃহীত বহুপক্ষীয় কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার জন্য বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ (বিমসটেক) ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলনে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এই সম্মেলনে প্রথমবারের মতো গৃহীত হয়েছে ভিশন ডকুমেন্ট হিসেবে ‘ব্যাংকক ভিশন ২০৩০’। আজ বিমসটেকের প্রধান অফিস এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়, বিমসটেকের সদস্য রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের অংশগ্রহণে ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলন ৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে ২ এপ্রিল ২৫তম বিমসটেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সভা এবং ৩ এপ্রিল ২০তম বিমসটেক মন্ত্রিপর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মিয়ানমারের প্রধানমন্ত্রী জেনারেল মিন অং হ্লাইং, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি, শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী ড. হারিনী আমারাসুরিয়া এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পায়োংটার্ন সিনাওয়াত্রা। ‘সমৃদ্ধ, সহিঞ্চুতা এবং উন্মুক্ত বিমসটেক’ শীর্ষক প্রতিপাদ্য নিয়ে ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলনে সদস্য রাষ্ট্রগুলো নিরাপত্তা এবং উন্নয়নমূলক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতা বাড়ানো ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। বিমসটেকের লক্ষ্য অর্জনের জন্য এই আঞ্চলিক সংস্থাকে একটি নতুন প্রেরণা দেয়। ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের মূল ফলাফলগুলো, ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ঘোষণাপত্র গ্রহণ, যা নেতাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং ভবিষ্যতের সহযোগিতার জন্য তাদের সিদ্ধান্ত এবং নির্দেশনা প্রতিফলিত করে। বিমসটেকের প্রথম ভিশন ডকুমেন্ট, ব্যাংকক ভিশন ২০৩০ গৃহীত হয়েছে, যা সমৃদ্ধ, সহিঞ্চুতা এবং উন্মুক্ত বিমসটেকের দৃষ্টিভঙ্গি অর্জনে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ভবিষ্যত সহযোগিতার জন্য একটি বিস্তৃত এবং বাস্তবসম্মত রোডম্যাপ প্রদান করে। সামুদ্রিক পরিবহন সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। সামুদ্রিক সংযোগ বৃদ্ধির জন্য আঞ্চলিক অংশীদারত্ব জোরদার করার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা সদস্য দেশগুলোর মধ্যে আরও বাণিজ্য এবং ভ্রমণ সক্ষম করবে। বিমসটেক এবং ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএ) মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর, যা আইওআরএ এবং বিমসটেকের মধ্যে ভবিষ্যৎ অংশীদারিত্বকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়। বিমসটেক এবং জাতিসংঘের মাদক অপরাধ নিয়ন্ত্রক অফিসের (ইউএনওডিসি) মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর, যা ইউএনওডিসি এবং বিমসটেকের মধ্যে অংশীদারিত্বকে ভাগাভাগি করবে। বিমসটেক মেকানিজমের জন্য কার্যপ্রণালী গৃহীত। বিমসটেক সনদের সাথে কার্যপ্রণালীর নিয়মাবলী, বিমসটেকের অধীনে আঞ্চলিক সহযোগিতার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর একটি শক্তিশালী ভিত্তি স্থাপন করে, যা বৃহত্তর দক্ষতা এবং ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করে। বিমসটেকের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা সম্পর্কিত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের গোষ্ঠীর প্রতিবেদন গ্রহণ, যাতে বিমসটেককে সংস্কার ও পুনরুজ্জীবিত করার জন্য বেশ কয়েকটি সুপারিশ রয়েছে। গত ২৮ মার্চ মিয়ানমার এবং থাইল্যান্ডে আঘাত হানা ভূমিকম্পের প্রভাব সম্পর্কে বিমসটেক নেতাদের যৌথ বিবৃতির অনুমোদন। এটি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলিকে সমর্থন করার জন্য নেতাদের সমবেদনা, সংহতি এবং প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করে। এটি আঞ্চলিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থা শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে। বিমসটেক নেতারা শীর্ষ সম্মেলনে তাদের বিবৃতিতে বিমসটেকের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। আঞ্চলিক সহযোগিতার অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত এবং সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব এবং উদ্যোগ উপস্থাপন করেছেন। তারা আন্তঃআঞ্চলিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, সংযোগ, পর্যটন, সংস্কৃতি বিনিময়, জলবায়ু কর্মকাণ্ড, সবুজ ও নবায়নযোগ্য শক্তি, টেকসই কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপত্তা বাড়াতে অগ্রগতি অর্জনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। বিমসটেক মহাসচিব ইন্দ্র মণি পান্ডে, নেতাদের উদ্দেশ্যে তার প্রতিবেদনে, ২০২২ সালের মার্চে কলম্বোতে অনুষ্ঠিত ৫ম বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের পর থেকে প্রাপ্ত অগ্রগতি তুলে ধরেছেন। তিনি এই অঞ্চলের বৃহত্তর কল্যাণের জন্য বিমসটেক এজেন্ডাকে আরও এগিয়ে নেওয়ার জন্য তাদের নির্দেশনা চেয়েছেন। বিমসটেকের অধীনে আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করার জন্য সদস্য দেশগুলোর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য সচিবালয়ের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। শীর্ষ সম্মেলন শেষে বিমসটেকের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বাংলাদেশ, বিমসটেকের সভাপতিত্ব গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বিমসটেক সহযোগিতাকে এগিয়ে নিতে অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রের সাথে সহযোগিতামূলকভাবে কাজ করার জন্য বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।