স্কুল-কলেজের সভাপতির পদ নিয়ে নতুন নির্দেশনা

স্কুল-কলেজের সভাপতির পদ নিয়ে নতুন নির্দেশনা বেসরকারি স্কুল-কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সরকারি চাকরিজীবী ছাড়া আর কেউ হতে পারবেন না। নবম গ্রেড এবং এর ওপরের চাকরিতে থাকা বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এই দায়িত্ব পালন করবেন। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সব প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর ১৮ নভেম্বর সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ বাতিল করা হয়। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানগুলোতে গঠন করা হয় অ্যাডহক কমিটি। এ অবস্থায় আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নিয়মিত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ১ ডিসেম্বর থেকে সব অ্যাডহক কমিটি বাতিল হয়ে যাবে। এদিকে পরিচালনা পর্ষদের নতুন প্রবিধানমালা করেছে মন্ত্রণালয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সভাপতি হতে প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক বা সমমান ডিগ্রি থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নবম গ্রেডের নিচে নয় এমন সরকারি কর্মকর্তা, পঞ্চম গ্রেডের নিচে নয়–এমন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সভাপতি হতে পারবেন। আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক খন্দোকার এহসানুল কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিদ্যমান নিয়মে একটি সংশোধন আনা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা অথবা চাকরিরত অথবা অবসরে যাওয়া কর্মকর্তার কথা পলিসি লেভেল থেকে ঠিক করা হয়েছে। শুধু সভাপতি পদটির জন্য পরিবর্তন আনা হয়েছে। অন্য পদগুলো আগের মতোই আছে।’
আগামী ১৭ ই ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে বইমেলা

আগামী ১৭ ই ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে বইমেলা প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসে অমর একুশে বইমেলা আয়োজন করা হয়ে থাকে। কিন্তু আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও রমজানের কারণে এবার ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা হচ্ছে না। চলতি বছরের ডিসেম্বরের ১৭ তারিখ থেকে অমর একুশে বইমেলা-২০২৬ শুরু হবে বলে জানিয়েছে বাংলা একাডেমী। যা চলবে ২০২৬ সালের ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। আজ বইমেলার তারিখ নির্ধারণী সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বাংলা একাডেমী। এতে বলা হয়, অমর একুশে বইমেলা ২০২৬-এর তারিখ নির্ধারণ সংক্রান্ত এক সভায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় নির্বাচন ও রমজানের কারণে অমর একুশে বইমেলা ২০২৬-এর তারিখ আগামী ১৭ই ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে ১৭ই জানুয়ারি ২০২৬ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমান এই সভার সভাপতিত্ব করেন। এতে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজমসহ একাডেমির সচিব, পরিচালক এবং পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আগামী রবিবার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শুভ মহালয়া

আগামী রবিবার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শুভ মহালয়া আগামী ২১ সেপ্টেম্বর রবিবার শুভ মহালয়া। এদিন থেকে শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বড় পূজা হিসেবে পরিচিত দুর্গাপূজা। তবে এদিন সরকারি কোনো ছুটি নেই। ২০২৫ সালের ছুটির তালিকায় শুভ মহালয়া উপলক্ষে কোনো ছুটি দেখা যায়নি। একই সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন অধিদপ্তরের ছুটির তালিকায়ও নেই মহালয়ার ছুটি। সরকারি ছুটির তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, শারদীয় দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে এ বছর সরকারি চাকরিজীবীরা টানা চার দিনের ছুটি উপভোগ করবেন। ১ অক্টোবর বুধবার মহানবমী উপলক্ষে নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। পরদিন ২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিজয়া দশমী উপলক্ষে রয়েছে সাধারণ ছুটি। তালিকায় শুভ মহালয়ার কোনো ছুটি নেই। তবে এদিন সাধারণত অনেক সনাতন ধর্মাবলম্বী ঐচ্ছিক ছুটি নিয়ে থাকেন। এ বছর শিক্ষা মন্ত্রণালয় কয়েকটি অধিদপ্তরের ছুটির তালিকায় শুভ মহালয়ার কোনো ছুটি দেখা যায়নি। তবে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে শুভ মহালয়ার ছুটি আছে বলে জানা গেছে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এদিন ছুটি দেওয়া হয়েছে। আবার কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুভ মহালয়া ছুটি নেই বলে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর একটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দেওয়া নোটিশে বলা হয়েছে, ‘এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এর বর্ষপঞ্জিতে মহালয়া ছুটি উল্লেখ না থাকায় আগামী ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ রবিবার যথারীতি শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।’ অন্য একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবার ছুটি দেওয়া হয়েছে। ওই নোটিশে বলা হয়েছে, সকল শিক্ষার্থী, শিক্ষকমন্ডলী, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীর অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এর একাডেমিক সূচি অনুযায়ী ‘মহালয়া’ উপলক্ষে আগামী ২১ সেপ্টেম্বর (রবিবার) প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। ২২ সেপ্টেম্বর সোমবার থেকে যথারীতি প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। তবে ভর্তি কার্যক্রম চলমান থাকবে। তাই অ্যাডমিশন ডিপার্টমেন্ট এবং নিরাপত্তা বিভাগ উক্ত ছুটির আওতার বাইরে থাকবে। শুভ মহালয়া কী : শুভ মহালয়া মানে হলো দেবীপক্ষের সূচনালগ্ন, যা পিতৃপক্ষের অবসানের পর শুরু হয় এবং দুর্গাপূজার উৎসবের সূচনা করে। এই দিনে দেবী দুর্গা পৃথিবীতে অবতরণ করেন বলে বিশ্বাস করা হয়, তাই মহালয়া হলো এমন এক পবিত্র দিন, যেখানে পূর্বপুরুষদের স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানানো হয় এবং দেবী দুর্গার আগমনের জন্য অপেক্ষা করা হয়। পূজায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি : দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এর আগে ২৬ ও ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় মোট ছুটি দাঁড়াবে ১১ দিন। ৭ অক্টোবর থেকে পুনরায় শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হবে। সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কলেজগুলোও ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত টানা ১২ দিন বন্ধ থাকবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ প্রকাশিত শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী, ৮ অক্টোবর থেকে যথারীতি ক্লাস শুরু হবে। এদিকে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী, ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ছুটি শুরু হবে। ৫ অক্টোবর আবার যথানিয়মে ক্লাস শুরু হবে। এর মধ্যে ফাতেহা-ই- ইয়াজদাহমের ছুটিও অন্তর্ভুক্ত করেছে অধিদপ্তর। এ ছাড়া ৩ ও ৪ অক্টোবর সাপ্তাহিক (শুক্র ও শনিবার) ছুটি। কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে দুর্গাপূজায় মাত্র দুই দিনের ছুটি থাকবে ১ ও ২ অক্টোবর। এর সঙ্গে ৩ ও ৪ অক্টোবর সাপ্তাহিক ছুটি পাবে তারা।
উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে : ডিএমপি কমিশনার

উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে : ডিএমপি কমিশনার এ বছর শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। আজ ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে আয়োজিত এক প্রস্তুতি সভায় তিনি এ কথা বলেন।তিনি বলেন, বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে এবং পূর্বের ন্যায় সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা অনুকূল পরিবেশে ও নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত হবে। সভার শুরুতে ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) মো. শহীদুল্লাহ দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ডিএমপির নিরাপত্তা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, এ বছর ঢাকা মহানগরীতে ২৫৮টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। মণ্ডপভিত্তিক নিরাপত্তা পরিকল্পনার বাইরে পৃথক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাও থাকবে। এছাড়া প্রতিমা বিসর্জনের দিন সার্বিক নিরাপত্তা দেওয়া হবে। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন) মো. সরওয়ার পূজামণ্ডপে আগত দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে রাস্তাঘাটের প্রয়োজনীয় সংস্কার ও তা পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এছাড়া অগ্নি নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, পূজামণ্ডপগুলো যেন কোনোভাবেই অরক্ষিত না থাকে। সিসি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা বাড়াতে হবে। এছাড়া পূজা চলাকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো প্রকার ভুল তথ্য বা অপতথ্য ছড়ানো সম্পর্কে সতর্ক থাকার অনুরোধ করেন তিনি। নিরাপত্তা প্রস্তুতি সভায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, উপাধ্যক্ষ রামকৃষ্ণ মিশন মঠ-এর উপাধ্যক্ষসহ হিন্দু ধর্মের সংশ্লিষ্ট নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তারা আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃক গৃহীত নিরাপত্তা পরিকল্পনা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
অনিয়মে ইসিই দেবে তাৎক্ষণিক শাস্তি

অনিয়মে ইসিই দেবে তাৎক্ষণিক শাস্তি নির্বাচনী অনিয়মে যদি ভোটের দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে শুরু যেকোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত থাকে, নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিজেই শাস্তি দিতে পারবে। এক্ষেত্রে বরখাস্ত থেকে শুরু করে জেল-জরিমানাও হতে পারে। আজ নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন- ১৯৯১ সংশোধনে ইসির দেওয়া এমন প্রস্তাব অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার, যা অধ্যাদেশ আকারে কার্যকর হবে। আইনে নির্বাচন কর্মকর্তা বলতে নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো দায়িত্ব বা কর্মে নিযুক্ত কোনো ব্যক্তি বা নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তি বা রিটার্নিং অফিসার বা ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদেরও (যেমন- প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার বা আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্বে নিয়োজিত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য) বোঝানো হয়েছে। এদিকে আইনে ধারা ৫ এর উপ-ধারাগুলো সংশোধন ও সংযোজন করে ইসিকে ব্যাপক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। আগে ভোটের অনিয়মে জড়িত থাকলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে ইসি শাস্তি দিতে পারত না। আগে ইসির কাছে অনিয়ম প্রমাণ হলে সংশ্লিষ্টর নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করতে পারতো। এতে ইসি সুপারিশ বাস্তবায়নে কালক্ষেপণ করা হতো। ধারা পাঁচের আগের চারটি উপ-ধারা সংশোধন করা হয়েছে। একই সঙ্গে নতুন করে তিনটি উপ-ধারা যুক্ত করা হয়েছে। উপধারা (১)- এ বলা হয়েছে, কোনো নির্বাচন কর্মকর্তা নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে কমিশন বা কমিশন কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা বা, ক্ষেত্রমতো, রিটার্নিং অফিসারের কোনো আদেশ বা নির্দেশ পালনে ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যর্থ হলে বা অস্বীকৃতি প্রকাশ করলে বা নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো আইনের বিধান ইচ্ছাকৃতভাবে লঙ্ঘন করলে বা এর অধীন কোনো অপরাধ করলে বা কর্তব্যে অবহেলা করলে তিনি অসদাচরণ করেছেন বলে গণ্য হবে এবং অসদাচরণ তার চাকরিবিধি অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ মর্মে বিবেচিত হবে। উপধারা (২)-এ বলা হয়েছে, কোনো নির্বাচন-কর্মকর্তা উপ-ধারা (১)-এ উল্লেখিত অসদাচরণ করলে তার নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ তাকে চাকরি থেকে অপসারণ বা বরখাস্ত করতে পারবে বা বাধ্যতামূলক অবসর দিতে পারবে বা তার পদাবনতি করতে পারবে বা তার পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি অনধিক দুই বছরের জন্য স্থগিত রাখতে পারবে। তবে শর্ত হলো, ওই রকম কোনো শান্তি উপ-ধারা (১)-এ উল্লেখিত ব্যর্থতা, অস্বীকৃতি, লঙ্ঘন বা অপরাধের জন্য অন্য কোনো আইনে নির্ধারিত কোনো দণ্ড প্রদান বা তার জন্য কোনো আইনগত কার্যধারা নেওয়াকে ব্যাহত করবে না। উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী, কোনো নির্বাচন কর্মকর্তা উপ-ধারা (১) এ উল্লেখিত অসদাচরণ করলে কমিশন বা কমিশনের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা বা, ক্ষেত্রমতো, কমিশনের সম্মতিক্রমে রিটার্নিং অফিসার তাকে, তার বিরুদ্ধে তজ্জন্য তার চাকরিবিধি অনুযায়ী শৃঙ্খলামূলক কার্যধারা নেওয়া সাপেক্ষে, অনধিক দুই মাসের জন্য সাময়িকভাবে চাকরি থেকে বরখাস্তের আদেশ দিতে পারবেন এবং ওই বরখাস্তের আদেশ তার নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তার চাকরিবিধি অনুযায়ী প্রদত্ত হয়েছে বলে গণ্য হবে এবং সে অনুযায়ী কার্যকর হবে। উপ-ধারা (৪) অনুযায়ী, উপ-ধারা (১) এ উল্লেখিত অসদাচরণের জন্য কোনো নির্বাচন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলামূলক কার্যধারা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে কমিশন বা কমিশন কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা বা, ক্ষেত্রমতো, কমিশনের সম্মতিক্রমে রিটার্নিং অফিসার ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তাব করলে ওই কর্তৃপক্ষ প্রস্তাব পাওয়ার এক মাসের মধ্যে ওই প্রস্তাব বাস্তবায়ন করবে এবং সেই সম্পর্কে কমিশনকে জানাবে। উপ-ধারা (৫)-এ বলা হয়েছে, উপ-ধারা (৪)-এ উল্লিখিত কমিশনের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে যে কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে, তা ওই কর্মকর্তা বা ব্যক্তির ব্যক্তিগত নথি, চাকরি বই এবং বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদনে লিপিবদ্ধ ও ডোসিয়ারে অন্তর্ভুক্ত থাকবে এবং সেই সম্পর্কে কমিশনকে জানাতে হবে। উপ-ধারা (৬) অনুযায়ী, সরকার এবং কমিশনের মধ্যে এই ধারার কোনো বিধান সম্পর্কে ভিন্নমত দেখা দিলে সে বিষয়ে কমিশনের সিদ্ধান্ত প্রাধান্য পাবে। উপ-ধারা (৭) অনুযায়ী, কমিশনের কাছে যদি প্রতীয়মান হয় যে, নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী কর্তব্যে অবহেলা করেছেন, তাহলে ওই কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে কমিশন প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। এদিকে আইনে ধারা ৬-এ সংশোধন এনে জেল-জরিমানা সংক্রান্ত শাস্তিও বাড়ানো হয়েছে। এক্ষেত্রে অনিয়মে জড়িতের বিরুদ্ধে কমিশনের দেওয়া শাস্তির প্রস্তাব বাস্তবায়ন না করলে সংশ্লিষ্টদেরও পাঁচ বছর জেল-জরিমানা হতে পারে। আইনে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি নির্বাচন-কর্মকর্তা নিযুক্ত হলে, তিনি, কমিশন বা ক্ষেত্রমতো রিটার্নিং অফিসারের কাছে গ্রহণযোগ্য কোনো কারণ ছাড়া, দায়িত্ব নেওয়া বা পালনে অপারগতা বা অস্বীকৃতি জানাতে পারবেন না। এ ছাড়া কোনো ব্যক্তি নির্বাচন-কর্মকর্তা নিযুক্ত হলে তার নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ তাকে নির্বাচন-কর্মকর্তা হিসাবে কোনো দায়িত্ব পালনে বাধা দিতে পারবেন না। এই বিধান লঙ্ঘন করলে তা হবে একটি অপরাধ এবং এজন্য তিনি অনধিক এক বছর কারাদণ্ডে বা অনধিক এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন। কিন্তু কোনো কর্তৃপক্ষই সে সুপারিশ বাস্তবায়ন চার মাসেও না করায় ২০২৩ সালের ৩০ মার্চ জেল-জরিমানার হুঁশিয়ারি দিয়ে ফের চিঠি দেয়। তারপরও সব কর্তৃপক্ষ দোষীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এই অবস্থায় নতুন আইনটি কার্যকর হলে সে সুযোগ আর থাকবে না।
বিয়ের প্রলোভনে ধ*র্ষ*ণ মামলার মূল আসামি রুবেল গ্রেফতার

বিয়ের প্রলোভনে ধ*র্ষ*ণ মামলার মূল আসামি রুবেল গ্রেফতার বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে যুবতীকে একাধিকবার ধ*র্ষ*ণ মামলার মূল আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৫। গ্রেফতার ব্যক্তি নাটোর জেলার লালপুর থানার চেকশোভ হাঠাৎপাড়া গ্রামের আকতার হোসেনের ছেলে রুবেল আলী। র্যাব-৫ এর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভিকটিম একজন হিন্দু যুবতী। একই এলাকার হওয়ায় আসামি রুবেল প্রথমে তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রাজশাহীর শেখেরচক এলাকায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন। এসময় রুবেল একাধিকবার ভিকটিমকে জোরপূর্বক ধ*র্ষ*ণ করে। সবশেষ গত ৩ সেপ্টেম্বর ভিকটিমকে রেখে পালিয়ে যায় রুবেল। পরে ভিকটিম বাদী হয়ে বোয়ালিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি দেশব্যাপী আলোচনার সৃষ্টি হলে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গতরাতে নাটোর রেলস্টেশন এলাকা থেকে রুবেলকে গ্রেফতার করে র্যাব। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রুবেল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে র্যাব। পরবর্তীতে তাকে বোয়ালিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।
নির্বাচন কমিশনের হাতেই থাকছে জাতীয় পরিচয়পত্র

নির্বাচন কমিশনের হাতেই থাকছে জাতীয় পরিচয়পত্র ‘নির্বাচন কমিশন সচিবালয় (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। যেখানে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের দায়িত্বে ‘জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভাণ্ডার প্রস্তুত ও সংরক্ষণ’ সংক্রান্ত বিধান সন্নিবেশ করা হয়েছে। আজ প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এ সময় বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫- অবিলম্বে কার্যকর হবে। অধ্যাদেশটিতে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন, ২০০৯ এর ২টি ধারা সংশোধন করা হয়েছে। একটি হলো নির্বাচন কমিশন সচিবালয় সংক্রান্ত ধারা ৩ এর উপধারা (৪) প্রতিস্থাপন করে একটি ‘নির্বাচন কমিশন সার্ভিস’ গঠনের কথা বলা হয়েছে। আরেকটি হলো নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের দায়িত্ব সংক্রান্ত ধারা ৪ এর উপধারা (২) এর দফা (ক) এর- ক্রমিক নং (২) দ্বারা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের দায়িত্বে ‘জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভাণ্ডার প্রস্তুত ও সংরক্ষণ’ সংক্রান্ত বিধান সন্নিবেশ করা হয়েছে। এ ছাড়া দফা (ক) এর ক্রমিক নং (৬), (৭), (৮), (৯) ও (১১) পরিমার্জনক্রমে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, এ অধ্যাদেশের মাধ্যমে এনআইডি ইসির অধীনে আসলেও বাতিল করতে হবে ২০২৩ সালে করা এনআইডি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করার আইনটি।
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ৬ জনের মৃ*ত্যু, হাসপাতালে ৬৪৭

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ৬ জনের মৃ*ত্যু, হাসপাতালে ৬৪৭ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ৬৪৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ২৪১ জন এবং বাকিরা ঢাকা সিটির বাইরের। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪০ হাজার ৪৬১ জন। এর মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩৮ হাজার ২৫২ জন। মারা গেছেন ১৬৭ জন। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ২৪১ জন এবং বাকিরা ঢাকা সিটির বাইরের। প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন একলাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ৫৭৫ জন। এর আগে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয় ও পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।
সংসদ ভোটের ৭০ শতাংশ উপকরণ কেনা শেষ

সংসদ ভোটের ৭০ শতাংশ উপকরণ কেনা শেষ এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি পুরোদমে এগুচ্ছে উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, নির্বাচনী কেনাকাটা ৭০ শতাংশ শেষ। আজ নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান। ইসি সচিব বলেন, নির্বাচনের জন্য মোটামুটিভাবে ১০টা উপকরণ আমাদের কিনতে হচ্ছে। এর মধ্যে দুটো উপকরণ দেবে ইউএনডিপি। তারা ১৫ অক্টোবরের মধ্যে দেবো। আর আটটা উপকরণ লোকালি সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ মাসের মধ্যেই কেনা শেষ হবে। ইতোমধ্যে ৭০ শতাংশ উপকরণ সংগ্রহ করা হয়েছে। উপকরণ নিয়ে সংকটের কারণ নেই। আমরা আগে যে টাইমফ্রেম নির্ধারণ করেছিলাম তার মধ্যেই সম্পন্ন হচ্ছে। জানা গেছে, লাল গালা ২৩ হাজার কেজির মধ্যে ইসিতে এসেছে ৯ হাজার ২০ কেজি, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ৫০ লাখ ব্যালট বাক্সের লকের মধ্যে এসেছে ৬ লাখ, ৮ লাখ ৪০ হাজার অফিসিয়াল সিলের মধ্যে ৬ লাখ এসেছে, ১৭ লাখ ৫০ হাজার মার্কিং সিলের ৩ লাখ ৯৬ হাজার সংগ্রহ করা হয়েছে, ১ লাখ ১৫ হাজার ব্রাস সিলের মধ্যে ৯ হাজার ৯২০টি কেনা হয়েছে। আর ৭০ হাজার বড় হেসিয়ান ব্যাগ ও ১ লাখ ১৫ হাজার ছোট হেসিয়ান ব্যাগের সবগুলোই সংগ্রহ করা হয়েছে। এদিকে ৯ লাখ ৪০ হাজার স্ট্যাম্প প্যাড ও ৯ লাখ ৪০ হাজার অমচোনীয় কালির কলম অক্টোবরের মধ্যে ইউএনডিপি সরবরাহ করবে। এছাড়া ১ লাখ ১৫ হাজার গানি ব্যাগের পুনদরপত্রের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ আগামী ১৮ নভেম্বর

চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ আগামী ১৮ নভেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আগামী ১৮ নভেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ ইসির সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরীর মাঠ কর্মকর্তাদের পাঠানো এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ভোটার তালিকার খসড়া প্রকাশ করা হবে ১ নভেম্বর। দাবি-আপত্তি ও সংশোধনের আবেদনের শেষ সময় ১৬ নভেম্বর। দাবি ও আপত্তি নিষ্পত্তি হবে ১৭ নভেম্বর। আর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৮ নভেম্বর। দেশে বর্তমানে ভোটার ১২ কোটি ৬৩ লাখ ৭ হাজার ৫৯৪ জন। এরমধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ৪১ লাখ ৪৫৫ জন ও নারী ভোটার ৬ কোটি ২২ লাখ ৫ হাজার ৮১৯ জন। আর হিজড়া ভোটার রয়েছেন ১ হাজার ২৩০ জন।