ছুটির দিনে আজ ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর

ছুটির দিনে আজ ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর ঢাকার বাতাসের মানে ছুটির দিনেও কোনো উন্নতি নেই। এই শহরের বাতাস আজ ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে। বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় বেশির ভাগ সময়ই শীর্ষ ১০ শহরের মধ্যে অবস্থান করে ঢাকা। আজ সকাল ৯ টা নাগাদ আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্যানুযায়ী, ১৩৪ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১২তম অবস্থানে রয়েছে রাজধানী ঢাকা। একই সময়ে, ৭২২ স্কোর নিয়ে প্রথম স্থানে আছে ইরাকের রাজধানী বাগদাদ। এছাড়াও একই তালিকায় ৩৬০ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে কুয়েতের রাজধানী কুয়েত সিটি। তৃতীয় অবস্থানে থাকা সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের স্কোর ২৩৮ এবং রাজধানী ঢাকা ১৩৪ স্কোর নিয়ে ১২তম অবস্থানে রয়েছে।
বাংলাদেশ পুলিশের নতুন লোগো প্রকাশ

বাংলাদেশ পুলিশের নতুন লোগো প্রকাশ বাংলাদেশ পুলিশের নতুন লোগো প্রকাশ করা হয়েছে। এতে আছে জাতীয় ফুল শাপলা, ধান ও গমের শীষ এবং পাটপাতা। পাটপাতার ওপরে লেখা আছে ‘পুলিশ’ শব্দটি। গতকাল পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি (লজিস্টিক) নাসিমা বেগম স্বাক্ষরিত এক অফিশিয়াল চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পুলিশের বিদ্যমান মনোগ্রাম বা লোগো পরিবর্তনের গৃহীত সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন মনোগ্রাম বা লোগো চূড়ান্ত করা হয়েছে। তা ইতোমধ্যে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত হয়ে প্রজ্ঞাপন জারির অপেক্ষায় আছে। এজন্য জেলা বা ইউনিটে ব্যবহৃত পতাকা, সাইনবোড, ইউনিফর্মসহ অন্যান্য সামগ্রী পরবর্তীত মনোগ্রাম বা লোগো ব্যবহারের নিমিত্তে প্রস্তুত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ামাত্রই এটি যথাযথভাবে ব্যবহার করতে হবে।
প্রজ্ঞাপন প্রতারক চক্র নিয়ে সতর্ক বার্তা

প্রজ্ঞাপন প্রতারক চক্র নিয়ে সতর্ক বার্তা সরকারি নিয়োগ, পদায়ন, বদলি, বিদেশে চাকরির বিষয়ে ভুয়া প্রজ্ঞাপন ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। প্রতারণার ফাঁদে কেউ যেন ফেঁসে না যান, সে বিষয়ে দেশবাসীকে অবহিত করার জন্য আজ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পদায়ন আদেশের নকল বানিয়ে কর্মকর্তার সই জাল করে ভুয়া স্মারক বসিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করছে একটি প্রতারক চক্র। ফেইথের ‘ফাঁদে’ ফতুর প্রবাসী চান পরিত্রাণ সতর্কীকরণ বার্তায় বলা হয়েছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সব নিয়োগ, পদায়ন, বদলি-সংক্রান্ত আদেশ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট এবং সরকারি কর্মচারী ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির (জিইএমএস) মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। এ ধরনের কোনো প্রজ্ঞাপন যাচাইয়ের প্রয়োজন হলে তা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ঢুকে করা যেতে পারে। চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসেই সরকারি সংস্থার নামে ভুয়া প্রজ্ঞাপন জারির একটি ঘটনা আলোচনায় আসে। বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট ও সার্ভিসেস লিমিটেড (বোয়েসেল) এর নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল একটি প্রতারক চক্র। একই ধরনের আরো কিছু ভুয়া প্রজ্ঞাপন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরতে দেখা যায় সম্প্রতি। এসব প্রজ্ঞাপনের টার্গেট থাকে প্রতারণার মাধ্যমে বেকার তরুণ-তরুণীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া। তখন বোয়েসেলের মহাব্যবস্থাপক নূর আহমেদও সতর্কতা উচ্চারণ করে বলেছিলেন, বোয়েসেলের সুনাম ব্যবহার করে একটি প্রতারক চক্র দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, যারা জীবন জীবিকার জন্য বিদেশ যেতে আগ্রহী, তাদের ঠকিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া প্রজ্ঞাপনের প্রবণতা বাড়তে থাকায় বৃহস্পতিবার সবাইকে সতর্ক করল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ‘বাড়তি চাপ’ না দেওয়ার অনুরোধ শিক্ষা উপদেষ্টার

এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ‘বাড়তি চাপ’ না দেওয়ার অনুরোধ শিক্ষা উপদেষ্টার পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং শিক্ষকরা নানা রকম চাপের মধ্যে থাকেন, জানিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার) বলেছেন, কোনো বাড়তি অন্যায় চাপ যেন সৃষ্টি না করা হয়, সেজন্য সবার কাছে আমি অনুরোধ জানাচ্ছি। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর দিন বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বেলা ১১টায় রাজধানীর মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। শিক্ষা উপদেষ্টা এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনে যাবেন কি না, তা নিয়ে কিছু জানায়নি মন্ত্রণালয়। তবে, আকস্মিকভাবে কোনো কেন্দ্রে তিনি যেতে পারেন বলে গুঞ্জন ছিল। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে হঠাৎ শিক্ষা উপদেষ্টা রাজধানীর মতিঝিল বালক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। তার সঙ্গে অল্প কয়েকজন কর্মকর্তাকে দেখা যায়। খুব বেশি সময় তিনি কেন্দ্রে অবস্থান করেননি। কেন্দ্র থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, সারা দেশে এসএসসি এবং সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। ১৯ লাখ ২৮ হাজার ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। ৩০ হাজারের বেশি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ৩ হাজার ৮১৫ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে। এটি বিশাল কর্মযজ্ঞ। তিনি বলেন, “আমরা চেষ্টা করেছি এটি সুচারুভাবে সম্পন্ন করতে। আমরা মনে করি, পরীক্ষার শেষ দিন পর্যন্ত এ পরিবেশ বজায় থাকবে। আশা করি, পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে।” গণঅভ্যুত্থানের পর প্রথম পাবলিক পরীক্ষা এবং প্রশ্ন ফাঁসের মতো বিষয়ে এ পরীক্ষাকে টার্গেট করা হতে পারে, এজন্য বাড়তি কী নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা অবশ্যই বিবেচনার মধ্যে ছিল। সে হিসেবে যে সূত্র থেকে, প্রশ্নফাঁস তো অতীতে হয়েছে বলে জানা গেছে। আমরা চেষ্টা করেছি, সেই সূত্রগুলো প্লাক করা। সেখান থেকে যেন না হতে পারে, আমরা আশা করি, আমরা সফল হব। এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এটা অবশ্যই টপ প্রায়োরিটি এরিয়া হিসেবে আমরা দেখেছি এবং কার্যকরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই প্রশ্ন ফাঁসের গুজব ছড়ায়, এ বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, আমরা আশা করব, তারা বিরত থাকবেন। দেশের মঙ্গলের জন্য আমরা যে যেখানেই থাকি না কেন, আমাদের রাজনৈতিক অবস্থান বা পছন্দ থাকতে পারে; পরীক্ষা এমন একটা বিষয়, এটা অনেক প্রস্তুতির পর নেওয়া হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের নানা রকমের মানসিক চাপ এখানে থাকে। অভিভাবক ও শিক্ষকদের মানসিক চাপ থাকে। তো এটার সাথে বাড়তি অন্যায় চাপ যেন সৃষ্টি না করেন, সকলের কাছে আমি বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, প্রশ্নফাঁসের তথ্য পেলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আগে জানাতে হবে। যাতে তারা যাচাই-বাছাই করতে পারে। কিন্তু, আপনি একটা বিষয় পেলেন, সেটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিলেন, তার দায়-দায়িত্ব অবশ্যই আপনাকে নিতে হবে। এর মাধ্যমে কিন্তু অনেক ক্ষতি হয়ে যায়। তাই, আমাদের আবেদন থাকবে, আপনারা এসব থেকে বিরত থাকবেন। পরীক্ষা শেষে দুই মাসের মধ্যে ফল প্রকাশের একটা রেওয়াজ আছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, যদি রেওয়াজ থেকে থাকে, আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করব। উপদেষ্টা জানান, পরীক্ষার তারিখ ইস্টার সানডে-তে পড়েছিল। আমরা সেটা বিবেচনার মধ্যে নিয়েছি। সেটি পরিবর্তন করা হয়েছে। সাংবাদিকদের ছাড়াই বেলা ১১টার দিকে পরীক্ষা কেন্দ্রের কয়েকটি কক্ষ পরিদর্শন করেন শিক্ষা উপদেষ্টা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আপনারা সকলেই বাইরে ছিলেন, যার ফলে ভেতরে ছাত্রছাত্রীরা যে পরিবেশে পরীক্ষাটা দিচ্ছে, সেখানে কোনো বিঘ্ন ঘটেনি।” এজন্য সাংবাদিকদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান তিনি। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। শেষ হয় দুপুর ১টায়। আগামী ১৩ মে শেষ হবে পরীক্ষা। ব্যবহারিক পরীক্ষা হবে ১৫ থেকে ২২ মে পর্যন্ত। এদিকে, সুষ্ঠু, সুন্দর ও নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা আয়োজনের লক্ষ্যে বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।
এ বছর ৩৬ টাকায় ধান, ৪৯ টাকায় চাল কিনবে সরকার

এ বছর ৩৬ টাকায় ধান, ৪৯ টাকায় চাল কিনবে সরকার চলতি বছর বোরো মৌসুমে ৪ টাকা বেশি দরে সাড়ে ১৭ লাখ টন ধান ও চাল সংগ্রহ করবে সরকার। ধান কিনবে সাড়ে ৩ লাখ টন আর চাল ১৪ লাখ টন। ৩৬ টাকা কেজি দরে ধান, ৪৯ টাকা কেজি দরে চাল এবং ৩৬ টাকা কেজি দরে গম কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজ সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির (এফপিএমসি) সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। প্রসঙ্গত, গত বছর বোরো মৌসুমে ৫ লাখ টন ধান, ১১ লাখ টন সেদ্ধ চাল এবং এক লাখ টন আতপ চালসহ ১৭ লাখ টন ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। প্রতি কেজি বোরো ধান ৩২ টাকা, সেদ্ধ চাল ৪৫ টাকা এবং আতপ চাল ৪৪ টাকা দরে কেনে সরকার। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ধারাবাহিকভাবে বন্যা অতিবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি হওয়া সত্ত্বেও সার, চাল আমদানি করে মোটামুটি আমরা স্থিতিশীল ছিলাম। ফলে গতবছর ধান চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা আমাদের পরিপূর্ণ হয়েছে। তিনি বলেন, এ বছরও আমরা ধান, চাল সংগ্রহ করবো। সেলক্ষ্যে আজকে সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবছর ৩৬ টাকা কেজি দরে বোরো ধান, সেদ্ধ চাল ৪৯ টাকা, ৩৬ টাকা দরে গম কেনা হবে। এরমধ্যে ধান সাড়ে ৩ লাখ টন, সেদ্ধ চাল ১৪ লাখ টন এবং গমের জন্য কোন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়নি। এ বিষয়ে খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার জানান, চলতি বোরো মৌসুমে আগামী ২৪ এপ্রিল থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ৩৬ টাকা কেজি দরে ধান, চাল ৪৯ টাকা, ৩৬ টাকা দরে গম কেনা হবে। ধান সাড়ে ৩ লাখ টন, চাল ১৪ লাখ টন এবং গমের জন্য কোনো লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়নি। তিনি বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয় যে উৎপাদন খরচ দিয়েছে তার সঙ্গে লাভ যুক্ত করে ধান, চালের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। হাওরে ধান কাটা শুরু হয়েছে। পয়লা বৈশাখ থেকে পুরোদমে শুরু হবে। কৃষি উপদেষ্টা সেখানে যাবেন, উদ্বোধন করবেন। ২৪ এপ্রিল থেকে সংগ্রহ অভিযান শুরু হবে। উত্তরবঙ্গে একটু দেরিতে শুরু হবে। কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, লক্ষ্যমাত্রা যেটি নির্ধারণ করা হয়েছে আশা করছি তার থেকে বেশি উৎপাদন হবে। আগামীকাল সুনামগঞ্জে ধান কাটার উৎসবে যাচ্ছি।
বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করল ভারত

বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করল ভারত ভারতীয় বন্দর বা সীমানা ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে পণ্য রপ্তানির জন্য বাংলাদেশকে দিয়ে আসা ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। গতকাল ভারতের কেন্দ্রীয় পরোক্ষ কর ও শুল্ক বোর্ড (সিবিআইসি) এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে। এ বিষয়ে ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালের ২৯ জুন ভারত সরকার তাদের স্থল শুল্ক স্টেশন, বন্দর এবং বিমানবন্দর দিয়ে তৃতীয় দেশে পণ্য রপ্তানির জন্য বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে। এর ফলে ভারত হয়ে তৃতীয় কোনো দেশে বাংলাদেশে রপ্তানির ওপর প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভারতের বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সিবিআইসির এই সিদ্ধান্তের ফলে টেক্সটাইল, ফুটওয়্যার, জেমস ও জুয়েলারিসহ ভারতীয় রপ্তানিখাত সুবিধা পাবে। এসব খাতে, বিশেষ করে পোশাকখাতে বাংলাদেশ ভারতের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী। এজন্য সেদেশের রপ্তানিকারকরা বাংলাদেশকে দেওয়া এই সুবিধা প্রত্যাহারের জন্য নরেন্দ্র মোদীর সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন। দিল্লিভিত্তিক থিংক ট্যাংক গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের (জিটিআরআই) প্রধান অজয় শ্রীবাস্তব বলেন, ভারতের এই সিদ্ধান্তে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিওটিও) আওতায় নয়াদিল্লির প্রতিশ্রুতির বিষয়টি প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে। ডব্লিওটিওর বিধান অনুসারে, সদস্য দেশগুলোকে পরস্পরকে স্থলবেষ্টিত দেশে পণ্য আমদানি-রপ্তানির সুযোগ দিতে হয়। সম্প্রতি চীন সফরে সেদেশের বিনিয়োগকারীদের সামনে বাংলাদেশ ও বঙ্গোপসাগর ঘিরে ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্ভাবনা তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এসময় তিনি বাংলাদেশকে এই অঞ্চলে সাগরের একমাত্র অভিভাবক বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, নেপাল, ভুটান ও ভারতের সেভেন সিস্টার্স (উত্তর-পূর্বের সাত রাজ্য) স্থলবেষ্টিত হওয়ায় সেখানে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে বাংলাদেশকেন্দ্রিক পরিকল্পনা করতে পারেন বিনিয়োগকারীরা। এ নিয়ে ভারতজুড়ে তোলপাড় হয়। সেভেন সিস্টার্সকে স্থলবেষ্টিত বলায় সেদেশের নীতি-নির্ধারকরা বেজার হন। এরই প্রেক্ষাপটে মোদীর সরকারের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের ঘোষণা এলো।
এইচএসসির ফরম পূরণের সময় বাড়ল
এইচএসসির ফরম পূরণের সময় বাড়ল ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণের সময় বাড়ানো হয়েছে। নতুন সূচি অনুযায়ী, আগামী ১৩ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত ফরম পূরণ এবং ২২ এপ্রিল পর্যন্ত ফি পরিশোধ করা যাবে। আজ ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দারের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, আগামী ১৩ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা বিলম্ব ফি দিয়ে এইচএসসির ফরম পূরণ করতে পারবেন। সোনালী সেবার মাধ্যমে ২২ এপ্রিলের মধ্যে তাদের ফি পরিশোধ করতে হবে। এতে আরও বলা হয়, উল্লিখিত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণ শেষ করবে। প্রতিষ্ঠান প্রধান বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। গত ২ মার্চ এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হয়। জরিমানা ছাড়া ১০ মার্চ পর্যন্ত ফরম পূরণের সুযোগ পান শিক্ষার্থীরা। এরপর ১২ মার্চ থেকে ১০০ টাকা জরিমানাসহ (বিলম্ব ফি) ফরম পূরণ শুরু হয়, যা চলে ১৭ মার্চ পর্যন্ত। উল্লেখ্য, চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হবে ২৬ জুন। পরীক্ষা শেষ হবে ১০ আগস্ট। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ১১ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে ২১ আগস্ট শেষ হবে।
এসএসসি পরীক্ষা আগামীকাল, কমেছে পরীক্ষার্থী

এসএসসি পরীক্ষা আগামীকাল, কমেছে পরীক্ষার্থী ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আজ শুরু হচ্ছে। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২১৯টি কেন্দ্রে ১ হাজার ১৬৪টি বিদ্যালয়ের ১ লাখ ৪০ হাজার ৯২৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। গত বছর ১ লাখ ৪৫ হাজার ৫৯০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। এক বছরের ব্যবধানে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৪ হাজার ৬৬৩ জন। জানা গেছে, এবার মানবিক বিভাগ থেকে ৪৭ হাজার ৯০৩ জন, বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৩৫ হাজার ৫৫৮ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ৫৭ হাজার ৪৬৬ জন পরীক্ষার্থী এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এরমধ্যে নিয়মিত শিক্ষার্থী রয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৮০ জন, অনিয়মিত ২২ হাজার ৭৩৪ জন এবং মানোন্নয়ন ১১৩ জন শিক্ষার্থী। এছাড়াও মোট পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র রয়েছে ৬১ হাজার ৭৬৫ জন, ছাত্রী ৭৯ হাজার ১৬২ জন। চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে পাঁচ জেলার মধ্যে চট্টগ্রাম জেলায় মোট পরীক্ষার্থী রয়েছে ৯৯ হাজার ২৪৬ জন, কক্সবাজার জেলায় ২১ হাজার ১৯৩ জন, রাঙামাটি জেলায় ৭ হাজার ৯৭৪ জন, খাগড়াছড়ি জেলায় ৮ হাজার ১৭৯ জন এবং বান্দরবান জেলায় রয়েছে ৪ হাজার ৩৩৫ জন। চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. পারভেজ সাজ্জাদ চৌধুরী বলেন, পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে সম্পন্ন করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। পরীক্ষার নিরাপত্তা, প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধ ও সব ধরনের অনিয়ম রোধে আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি। সকল সরঞ্জাম কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ভিজিলেন্স টিম কাজ করবে। শিক্ষাবোর্ডের একগুচ্ছ নির্দেশনা ১. পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট পূর্বে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। ২. প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে। ৩. প্রথমে বহুনির্বাচনি ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং উভয় পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না। ৪. পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছ থেকে পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে তিন দিন পূর্বে সংগ্রহ করবে। ৫. শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়গুলো এনসিটিবির নির্দেশনা অনুসারে ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে ধারাবাহিক মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বর বোর্ডের ওয়েবসাইটে অনলাইনে প্রেরণ করবে। ৬. পরীক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ উত্তরপত্রের OMR ফরমে তার পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবে। কোনো অবস্থাতেই উত্তরপত্র ভাজ করা যাবে না। ৭. পরীক্ষার্থীকে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক অংশে পৃথকভাবে পাস করতে হবে। ৮. প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল নিবন্ধনপত্রে বর্ণিত বিষয়/বিষয়সমূহের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই ভিন্ন বিষয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। ৯. কোনো পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা (সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক) নিজ বিদ্যালয়ে/প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে না। পরীক্ষার্থী স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন বিন্যাস করতে হবে। ১০. পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। ১১. কেন্দ্রসচিব ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি/পরীক্ষার্থী পরীক্ষাকেন্দ্রে মুঠোফোন আনতে এবং ব্যবহার করতে পারবেন না। ১২. সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর উপস্থিতির জন্য একই উপস্থিতি পত্র ব্যবহার করতে হবে। ১৩. ব্যবহারিক পরীক্ষা নিজ নিজ কেন্দ্র/ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে। ১৪. পরীক্ষার ফল প্রকাশের ৭ দিনের মধ্যে পুনঃনিরীক্ষার জন্য অনলাইনে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।
কাতার সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

কাতার সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা আগামী ২১ এপ্রিল কাতার সফরে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে ড. ইউনূস আর্থনা (আমাদের পৃথিবী) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। কাতারের দোহাতে আগামী ২২-২৩ এপ্রিল আর্থনা শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলনে স্পিকার হিসেবে যোগ দেওয়ার জন্য ইতোমধ্যেই আয়োজকদের পক্ষ থেকে ড. ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তিনি এই সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন। সূত্র জানায়, কাতার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এবার দ্বিতীয়বারের মতো আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। এই সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। কাতার ও অন্যান্য উষ্ণ দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তন ও শুষ্ক পরিবেশের সঙ্গে খাপখাইয়ে নিতে করণীয় নির্ধারণে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ছাড়াও জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ইব্রাহিম থিওয়া, ইরিনার ডেপুটি ডিরেক্টর গৌরী সিং, আইইউসিএন’র ডিরেক্টর জেনারেল ড. গ্রিথেল এগুইলার প্রমুখ বক্তব্য দেবেন। আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজকরা জানিয়েছেন উত্তরাধিকার গড়ে তোলা: ‘স্থায়িত্ব, উদ্ভাবন এবং ঐতিহ্যবাহী জ্ঞান’ শীর্ষক প্রতিপাদ্য নিয়ে এবারের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। কাতারের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, অনন্য বাস্তুতন্ত্রের ওপর নির্ভরশীল উষ্ণ এবং শুষ্ক পরিবেশে স্থায়িত্বকে এগিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি তুলে ধরা হবে এই সম্মেলনে। এই শীর্ষ সম্মেলনটি ঐতিহ্যবাহী জ্ঞান এবং উদ্ভাবনী পদ্ধতিগুলো কীভাবে আধুনিক স্থায়িত্বকে আরও স্থিতিশীল এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যত গঠন করতে পারে তা অন্বেষণ করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করবে। আর্থনা সেন্টার ফর এ সাসটেইনেবল ফিউচার (আর্থনা) হলো একটি অলাভজনক নীতি গবেষণা এবং অ্যাডভোকেসি সেন্টার, যা কাতার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠিত। এ সম্মেলন থেকে পরিবেশগত, সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধির জন্য একটি সমন্বিত পদ্ধতির প্রচার করা হবে।
আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে এসএসসি পরীক্ষা

আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে এসএসসি পরীক্ষা আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। এতে অংশ নেবে মোট ১৯ লাখ ২৮ হাজার ১৮১ জন শিক্ষার্থী। চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস রোধে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা বোর্ড। প্রথমদিনে অনুষ্ঠিত হবে বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা। চলবে ১৩ মে পর্যন্ত। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী রয়েছে ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ১ হাজার ৫৩৮ জন এবং ছাত্রী ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৬০৪ জন। পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ২ হাজার ২৯১, প্রতিষ্ঠান সংখ্যা ১৮ হাজার ৮৪। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী রয়েছে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৫০ হাজার ৮৯৩ জন এবং ১ লাখ ৪৩ হাজার ৮৩৩ জন ছাত্রী। এই বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ৭২৫ এবং প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৯ হাজার ৬৩। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী রয়েছে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৮ হাজার ৩৮৫ এবং ৩৪ হাজার ৯২৮ জন ছাত্রী। এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠু, সুন্দর ও সম্পূর্ণ নকলমুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস সম্পর্কিত গুজব, নকল বা অসদুপায় অবলম্বনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস সম্পর্কিত গুজব/ঘটনা, নকল বা অসদুপায় অবলম্বনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে পাবলিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) আইন ১৯৮০, তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি আইন ২০০৬ এবং এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা পরিচালনা নীতিমালা-২০২৫ অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে, ৮ এপ্রিল বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবিরের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে ১৪টি নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনাগুলো হলো:- ১. পরীক্ষার ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষাকক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। ২. প্রশ্নপত্রে উল্লেখিত সময় অনুসরণ করে পরীক্ষা গ্রহণ। ৩. প্রথমে এমসিকিউ, পরে সৃজনশীল পরীক্ষা; কোনো বিরতি থাকবে না। ৪. প্রবেশপত্র পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে তিন দিন আগে সংগ্রহ করতে হবে। ৫. ধারাবাহিক মূল্যায়নের নম্বর কেন্দ্রের মাধ্যমে বোর্ডে পাঠাতে হবে। ৬. OMR ফরমে রোল, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও বিষয় কোড নির্ভুলভাবে পূরণ করতে হবে। ৭. সৃজনশীল, বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক অংশে আলাদাভাবে উত্তীর্ণ হতে হবে। ৮. শুধু নিবন্ধিত বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা যাবে। ৯. নিজ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা হবে না; আসনবিন্যাসে স্থানান্তরের ব্যবস্থা থাকবে। ১০. সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে। ১১. কেন্দ্রসচিব ছাড়া কেউ মোবাইল ফোন আনতে পারবেন না। ১২. একই উপস্থিতিপত্রে তিন অংশের উপস্থিতি গণনা করতে হবে। ১৩. ব্যবহারিক পরীক্ষা নিজ নিজ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। ১৪. ফল প্রকাশের ৭ দিনের মধ্যে পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করা যাবে।