১৬ ডিসেম্বরের আগে মোবাইল ফোন বন্ধ করা হবে না: মন্ত্রণালয়

১৬ ডিসেম্বরের আগে মোবাইল ফোন বন্ধ করা হবে না: মন্ত্রণালয় মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যাবে, এ ধরনের গুজব সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় স্পষ্ট করেছে, ১৬ ডিসেম্বরের আগে সচল থাকা কোনো মোবাইল ফোনই বন্ধ করা হবে না। জনসাধারণকে গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১ ডিসেম্বর সচিবালয়ে প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের দপ্তরে মোবাইল ফোন আমদানির শুল্ক হার পরিবর্তন এবং বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে এনবিআর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও বিটিআরসির যৌথ বৈঠকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্তগুলো হলো— ১. প্রবাসীদের জন্য ৬০ দিন ফোন রেজিস্ট্রেশন ছাড় দেশে ছুটি কাটাতে এলে প্রবাসীরা ৬০ দিন পর্যন্ত স্মার্টফোন রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই ব্যবহার করতে পারবেন। এর বেশি থাকলে রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক। ২. প্রবাসীদের তিনটি ফোন ফ্রি নিয়ে আসার সুযোগ বিএমইটি নিবন্ধনকারীরা নিজের ব্যবহৃত ফোন ছাড়াও দুটি নতুন ফোন অতিরিক্ত ফ্রিতে দেশে আনতে পারবেন। চতুর্থ ফোনে শুল্ক দিতে হবে। যাদের বিএমইটি কার্ড নেই, তারা নিজের ফোনের পাশাপাশি একটি অতিরিক্ত ফোন ফ্রিতে আনতে পারবেন। চোরাচালান রোধে বিদেশ থেকে কেনা ফোনের বৈধ কাগজপত্র সঙ্গে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ৩. বৈধ পথে স্মার্টফোন আমদানির শুল্ক কমছে বর্তমানে প্রায় ৬১ শতাংশ শুল্ক নির্ধারিত। সরকার শুল্কহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমানোর কাজ শুরু করেছে, যাতে বৈধ পথে আমদানিকৃত ফোনের দাম বাজারে কমে আসে। ৪. স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ফোনেও শুল্ক–ভ্যাট সমন্বয় আমদানি শুল্ক কমালে দেশের ১৩–১৪টি মোবাইল কারখানার উৎপাদিত ফোনেও শুল্ক–ভ্যাট সমন্বয় করতে হবে, নয়ত বিদেশি বিনিয়োগ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ৫. নিজের নামে সিম নিবন্ধনের পরামর্শ সাইবার অপরাধ, অনলাইন জুয়া, স্ক্যামিং ও মোবাইল ব্যাংকিং–সংক্রান্ত প্রতারণায় আপনার নামে নিবন্ধিত সিম ব্যবহার হচ্ছে কি না, এ বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। ৬. অবৈধ আমদানিকৃত ফোনে শুল্ক দিয়ে বৈধতার সুযোগ ১৬ ডিসেম্বরের আগে বাজারে থাকা বৈধ IMEI–যুক্ত অবৈধ স্টক ফোনের তালিকা বিটিআরসিতে জমা দিয়ে হ্রাসকৃত শুল্কে বৈধ করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে, ক্লোন ও রিফারবিশড ফোনকে কোনোভাবেই বৈধ করা হবে না। ৭. মন্ত্রণালয় আবারও নিশ্চিত করছে, ১৬ ডিসেম্বরের আগে নেটওয়ার্কে সংযুক্ত থাকা কোনো হ্যান্ডসেট বন্ধ করা হবে না। ১৬ ডিসেম্বর থেকে চালু হচ্ছে NEIR NEIR কার্যকর হওয়ার পর বৈধ IMEI–বিহীন হ্যান্ডসেট নিষিদ্ধ হবে। চোরা ভারত, থাইল্যান্ড এবং চীন থেকে আগত ফ্লাইটগুলোর ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। শিগগিরই কাস্টমসে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। ডেটা সুরক্ষায় কঠোর ব্যবস্থা প্রস্তাবিত ‘টেলিযোগাযোগ (সংশোধনী) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এ সিম eKYC ও IMEI রেজিস্ট্রেশন তথ্য সুরক্ষায় নতুন ধারা সংযোজন করা হয়েছে। এসব তথ্য অবৈধভাবে ব্যবহার বা ফাঁস করলে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। অযথা ভয় সৃষ্টি বা গুজব ছড়ানো থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
আট কুকুরছানা হত্যা: নিশি রহমান কারাগারে

আট কুকুরছানা হত্যা: নিশি রহমান কারাগারে পাবনার ঈশ্বরদীতে আটটি কুকুরছানাকে বস্তাবন্দি করে পুকুরে ডুবিয়ে হত্যার মামলায় অভিযুক্ত নিশি রহমানকে (৩৮) গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাকে ঈশ্বরদী থানা থেকে পাবনার আমলি আদালত-২ এ সোপর্দ করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক তরিকুল ইসলাম তাকে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন। এর আগে মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আকলিমা খাতুন বাদী হয়ে নিশি রহমানকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেন। রাত দেড়টার দিকে ঈশ্বরদী পৌর সদরের একটি ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। নিশি রহমান ঈশ্বরদী উপজেলা পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশন কর্মকর্তা হাসানুর রহমান নয়নের স্ত্রী। ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমার বলেছেন, “কুকুরছানা হত্যার ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলার একমাত্র আসামি নিশি রহমানকে রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাকে বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হয়।” তিনি আরো বলেন, “প্রাথমিক তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদে আমরা জানতে পেরেছি, কুকুরের ডাক-চিৎকারে বিরক্ত হয়ে নিশি রহমান ছানাগুলোকে বস্তায় ভরে পুকুরপাড়ে রেখেছিলেন। কে পুকুরে ফেলেছে, সেটি তিনি জানেন না বলে দাবি করেছেন। আমরা আরো তদন্ত করে দেখছি।” দীর্ঘদিন ধরেই ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনের একটি কোণে থাকত টম নামের একটি কুকুর। এক সপ্তাহ আগে টম আটটি বাচ্চা প্রসব করে। সোমবার সকাল থেকে ছানাগুলো না পেয়ে ছোটাছুটি করতে দেখা যায় মা কুকুরকে।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় এভারকেয়ারে যুক্তরাজ্যের মেডিকেল টিম

খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় এভারকেয়ারে যুক্তরাজ্যের মেডিকেল টিম বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্য থেকে আসা চার সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ মেডিকেল টিম ঢাকায় পৌঁছেছে। এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা কার্যক্রমে যুক্ত হয়েছেন তারা। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) ড. রিচার্ড বিউলের নেতৃত্বে মেডিকেল প্রতিনিধি দলটি এভারকেয়ার হাসপাতালের চতুর্থ তলার সিসিইউতে প্রবেশ করেন। তারা খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করেন এবং হাসপাতালের স্থানীয় মেডিকেল টিমের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা করেন। হাসপাতাল সূত্র জানায়, যুক্তরাজ্যের এ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা পরিকল্পনা প্রণয়ন ও প্রয়োজনীয় সুপারিশ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশে এসেছে। স্থানীয় চিকিৎসক দলের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে তারা সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন। বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, বিদেশি বিশেষজ্ঞরা আসায় খালেদা জিয়ার চিকিৎসার অগ্রগতি হবে আশা করা হচ্ছে। গত ২৩ নভেম্বর রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে আনা হয় খালেদা জিয়াকে। পরে মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে তাকে ভর্তি করা হয়। এরপর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।
ডেঙ্গু কাড়লো আরও ৫ প্রাণ, হাসপাতালে ৪৯০

ডেঙ্গু কাড়লো আরও ৫ প্রাণ, হাসপাতালে ৪৯০ দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুর প্রকোপ কমছেই না। প্রতিদিনই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবর আসছে। প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে শত শত ডেঙ্গুরোগী। সারাদেশে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৫ জন মারা গেছেন। এসময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৯০ জন ডেঙ্গুরোগী। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ১ জন, দক্ষিণ সিটিতে ২ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২ জন রয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৯১ জন এবং শনাক্ত রোগী বেড়ে ৯৬ হাজার ৬৭ জনে দাঁড়িয়েছে। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় যারা ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তাদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮৮ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭৪ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১০৬ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৭৭ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৮ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৩ জন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৮ জন, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫ জন ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩ জন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৬৪০ জন ডেঙ্গুরোগী। এ নিয়ে চলতি বছর আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৯৩ হাজার ৮৩৬ জন। ২০২৪ সালে দেশে মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছিল ৫৭৫ জনের। এর আগের বছর ২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে মারা যান সর্বোচ্চ এক হাজার ৭০৫ জন এবং আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানিসহ ৭ ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন

যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানিসহ ৭ ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মরক্কো থেকে সার এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানিসহ ৭টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে ‘সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’। এতে মোট ব্যয় হবে ২ হাজার ৯৮২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আজ সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ক্রয় কমিটির সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। বৈঠক শেষে জানানো হয়, বৈঠকে সরকারি পর্যায়ে চুক্তির (জি-টু-জি) আওতায় সার আমদানির দুটি পৃথক প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রতি মেট্রিক টন ৪০৯.৫০ ডলার দরে সংযুক্ত আরব আমিরাত-এর ‘ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড’ থেকে ৩য় লটে ৪০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানিতে বাংলাদেশি মুদ্রায় ব্যয় হবে ২০১ কোটি ১৪ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। দ্বিতীয় প্রস্তাবে প্রতি মেট্রিক টন ৬৮২.৬৭ ডলার দরে মরক্কো’র ‘ওসিপি নিউট্রিক্রপস’ থেকে ৯ম লটে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানিতে বাংলাদেশি মুদ্রায় ব্যয় হবে ৩৩৫ কোটি ৩২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস হুইট এসোসিয়েটস কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান ‘অ্যাগ্রোকর্প ইন্টারন্যাশনাল পিটিই লিমিটেড’ এ গম সরবরাহ করবে। প্রতি মেট্রিক টন গম ৩১২.২৫ ডলার দরে বাংলাদেশি মুদ্রায় ব্যয় হবে ৮৪২ কোটি ৬ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। বৈঠকে টিসিবির জন্য স্থানীয় উৎস থেকে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৫০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল এবং ১ কোটি লিটার রাইস ব্রান তেল ক্রয়ের দুটি পৃথক প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রতি লিটার ১৭৯ টাকা ৮৫ পয়সা দরে ৫০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনতে ব্যয় হবে ৮৯ কোটি ৯২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এটি সরবরাহ করবে ‘সোনারগাঁও সীডস ক্রাশিং শিলস লিমিটেড’। অন্যদিকে, প্রতি লিটার ১৬১ টাকা দরে ১ কোটি লিটার রাইস ব্রান তেল কিনতে ব্যয় হবে ১৬১ কোটি টাকা। দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে এ তেল কেনা হবে। এর মধ্যে ৩০ লাখ লিটার সরবরাহ করবে ‘তামিম অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড’ এবং ৭০ লাখ লিটার সরবরাহ করবে ‘মজুমদার ব্রান অয়েল মিলস লিমিটেড’।
ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৫৬৫

ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৫৬৫ সারা দেশে গত একদিনে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৬৫ জন। আজ স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, গত একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৫৬৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৫১ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ৯৫ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১২৭ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৮৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৮২ জন, খুলনা বিভাগে ৪৩ জন (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে), ময়মনসিংহ বিভাগে ৪৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ৩০ জন, রংপুর বিভাগে ৩ ও সিলেট বিভাগে একজন ভর্তি হয়েছেন। এদিকে, গত একদিনে সারা দেশে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৫৭৮ জন ডেঙ্গু রোগী। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৯৩ হাজার ১৯৬ জন। এ বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৯৫ হাজার ৫৭৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৩৮৬ জনের। প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আর ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ৫৭৫ জন। এর আগে, ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয় এবং ওই বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় উচ্চ পর্যায়ের নির্বাচনি কর্মশালা স্থগিত

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় উচ্চ পর্যায়ের নির্বাচনি কর্মশালা স্থগিত ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় উচ্চ পর্যায়ের প্রশিক্ষণ কর্মশালা স্থগিত করেছে সরকার। আজ সকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। আগামীকাল রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সমন্বিত ভূমিকা’ শীর্ষক এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উপসচিব মো. শিমুল আকতার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কর্মশালাটি বাতিল করা হলো। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান, বিভাগীয় কমিশনার, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, জেলা ও দায়রা জজ, জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার, জেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা, প্রতি জেলার একজন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসি অংশগ্রহণের কথা ছিল। এছাড়া অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা সংযুক্ত থাকার কর্মসূচিও ছিল। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হওয়ার কথা ছিল প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ এবং বিশেষ অতিথি থাকার কথা ছিল আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সকলের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক ঘোষণার মাধ্যমে কর্মশালার গুরুত্ব আরোপ করেছিল। তবে হঠাৎ স্থগিত ঘোষণার ফলে আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতিতে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত এই সমন্বয়মূলক প্রশিক্ষণের কার্যক্রম আপাতত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
হাসপাতালে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সদস্যরা

হাসপাতালে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সদস্যরা বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়া শুরু করেছেন স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) সদস্যরা। আজ দুপুর ২টা ২০ মিনিট থেকে এসএসএফ সদস্যরা ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ হিসেবে বেগম খালেদা জিয়াকে নিরাপত্তা দেওয়া শুরু করেন। গণমাধ্যমকে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গ্তকাল বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। প্রজ্ঞাপনে তার নিরাপত্তায় বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী-এসএসএফ নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়। সরকার বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী আইন, ২০২১ এর ধারা ২ (ক) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ হিসেবে ঘোষণা দেয়।
উত্তরপূর্বাঞ্চলে কুয়াশা পড়ার পূর্বাভাস

উত্তরপূর্বাঞ্চলে কুয়াশা পড়ার পূর্বাভাস দেশের উত্তরপূর্বাঞ্চলের কোথাও কোথাও আজ হালকা কুয়াশা পড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এ সময় সারা দেশের আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।আবহাওয়া বুলেটিনে বলা হয়, সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে । গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুর ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিস জানায়, দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন শ্রীলংকা উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়াহ’উত্তর দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে গত ৩০ নভেম্বর গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছিল এবং বর্তমানে পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তামিলনাড়ু-অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলীয় এলাকায় ১ ডিসেম্বর দুপুরে (১৩ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ ও ৮০ দশমিক ৫ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর এবং ক্রমান্বয় দুর্বল হয়ে যেতে পারে। উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
অধ্যাদেশের গেজেট প্রকাশ : গুমের সাজা যাবজ্জীবন, হতে পারে ফাঁসিও

অধ্যাদেশের গেজেট প্রকাশ : গুমের সাজা যাবজ্জীবন, হতে পারে ফাঁসিও গুমের সাজা হিসেবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রেখে ‘গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশ’ এর গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। একই সঙ্গে গুমের ফলে মৃত্যু হলে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে অধ্যাদেশে। রাখা হয়েছে ১ কোটি টাকা অর্থদণ্ডের বিধান। এ আইনে গুমের আদেশ বা অনুমতি দানকারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা কমান্ডারদেরও সমান সাজার বিধান রাখা হয়েছে। অধস্তনদের নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলেও সমান দণ্ড প্রদানের সুযোগ রাখা হয়েছে আইনে। গ্তকাল রাতে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় অধ্যাদেশের গেজেট প্রকাশ করেছে। গত ৬ নভেম্বর এ অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ, যেখানে বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠন এবং অভিযোগ গঠনের ১২০ কার্যদিবসের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অধ্যাদেশে গুমের অপরাধকে জামিন ও আপোস অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি গুম অপরাধের বিচারে বিভাগীয় বা জেলা পর্যায়ে এক বা একাধিক ‘গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার ট্রাইব্যুনাল’ গঠনের কথা বলা হয়েছে। শুধুমাত্র জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অপরাধ আমলে গ্রহণ করে বিচার করতে পারবে এই ট্রাইব্যুনাল। অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করার আগ পর্যন্ত গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির অবস্থান ‘রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার স্বার্থে’ গোপন রাখা যাবে। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গুমের অভিযোগ নিয়ে গত দেড় দশকের বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশের সমালোচনা রয়েছে। গত বছর ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ‘আয়নাঘর’ হিসেবে পরিচিত গোপন বন্দিশালা থেকে দীর্ঘ সময় পর বেশ কয়েকজন ব্যক্তি মুক্ত হওয়ার পর গুমের বিষয়টি জোরালোভাবে সামনে আসে। এই পরিস্থিতিতে গত বছর ২৯ আগস্ট গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে কোনো ধরনের শর্ত ছাড়াই যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। এ সনদে যুক্ত হওয়ার ফলে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গুমের জন্য সরকার বা এর যে কোনো প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহির আওতায় আনার বিষয়ে ভূমিকা রাখবে জাতিসংঘ। দেশে গুম বিরোধী এই আন্তর্জাতিক সনদ কার্যকর করতেই এই অধ্যাদেশ প্রণয়ন করা হয়েছে বলে গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে। অধ্যাদেশে আরও বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মচারী বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্য যদি কোন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার, আটক, অপহরণ বা স্বাধীনতা হরণ করার পর বিষয়টি অস্বীকার করে অথবা ওই ব্যক্তির অবস্থান, অবস্থা বা পরিণতি গোপন রাখে এবং এ কাজের ফলে ওই ব্যক্তি আইনগত সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত হন তাহলে কাজটি গুম বা শাস্তিযোগ্য ফৌজদারী অপরাধ বলে গণ্য হবে। একই সঙ্গে দায়ী ব্যক্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ বছরের কারাদণ্ডের দণ্ডিত হবে। এই অপরাধে দায়ী ব্যাক্তি সর্বোচ্চ ৫০ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। অধ্যাদেশ অনুযায়ী, গুমের ফলে কোনো ব্যক্তির মৃত্যু ঘটলে বা গুমের পাঁচ বছর পরেও তাকে জীবিত বা মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব নাহলে দায়ী ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। একই সঙ্গে সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিতও হবেন তিনি। অধ্যাদেশে বলা হয়, যদি কোনো ব্যক্তি গুমের স্বাক্ষ্য-প্রমাণ নষ্ট করেন বা গুমের উদ্দেশে গোপন আটককেন্দ্র নির্মাণ, স্থাপন বা ব্যবহার করেন, তাহলে সাত বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা কমান্ডারদের জন্যও সাজার বিধান রয়েছে অধ্যাদেশে। অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা কমান্ডার বা দলনেতা এ ধরনের অপরাধ সংঘটনে অধস্তনদের আদেশ, অনুমতি, সম্মতি, অনুমোদন বা প্ররোচনা দেন, কিংবা নিজেই অংশ নেন, তাহলেও তিনি মূল অপরাধের জন্য নির্ধারিত দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা কমান্ডারের অবহেলা বা অদক্ষতার কারণে অধস্তনরা এমন কোনো কর্মকাণ্ডে জড়ালেও সাজা পেতে পারেন সেই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, শৃঙ্খলা বজায় রাখা বা অধস্তনদের নিয়ন্ত্রণ বা তত্ত্বাবধান করার ব্যর্থতার ফলে অধস্তনরা যদি এ ধরনের অপরাধ করে তাহলেও তিনি মূল অপরাধের দায়ে দণ্ডিত হবেন। অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক হলেও তার অনুপস্থিতিতে বিচার সম্পন্ন করা যাবে বলে অধ্যাদেশে বলা হয়েছে। আর গুম হওয়া ব্যক্তির সম্পত্তি ব্যবহার বা হস্তান্তরের বিষয়ে এই অধ্যাদেশে পৃথক ধারা রয়েছে।