পোস্টাল ভোট বিডিতে নিবন্ধন ৭ লাখ ৫৪ হাজার

পোস্টাল ভোট বিডিতে নিবন্ধন ৭ লাখ ৫৪ হাজার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন দেশ থেকে ভোট দেওয়ার জন্য ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপে মোট নিবন্ধন করেছেন ৭ লাখ ৫৪ হাজার ৮৬০ জন। এর মধ্যে ২ লাখ ১৫ হাজার ৩৩৫ জন বাংলাদেশ থেকে এবং বাকিগুলো অন্যান্য দেশ থেকে। এছাড়াও ৬ লাখ ৯০ হাজার ২০৫ জন পুরুষ এবং ৬৪ হাজার ৬৫৩ জন নারী। নির্দিষ্ট সময়ে সংশ্লিষ্ট প্রবাসীদের ঠিকানায় ব্যালট পেপার পাঠিয়ে দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ সকাল ১০টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত ইসির ওয়েবসাইট থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে। এবারই প্রথমবারের মতো আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ব্যালটে ভোট নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ইসি। গত ১৯ নভেম্বর থেকে নিবন্ধন শুরু হয়েছে, চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

স্থগিত হয়েছে প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষা

স্থগিত হয়েছে প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া হিসাব সহকারী পদের নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। অনিবার্য কারণবশত আজকের  এ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। আজ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্থগিত করা পরীক্ষার তারিখ ও সময় পরবর্তীতে জানানো হবে।

কুয়াশায় ঢাকার ৫ ফ্লাইট কলকাতা গিয়ে অবতরণ

কুয়াশায় ঢাকার ৫ ফ্লাইট কলকাতা গিয়ে অবতরণ মধ্যরাত থেকে ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাঁচটি ফ্লাইট কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়ে অবতরণ করেছে। বিমানবন্দর সূত্র জানায়, রাত ১টা থেকে ফ্লাইট চলাচল ব্যাহত হয়। এ সময় কুয়েত থেকে ঢাকাগামী কুয়েত এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট, জাজিরা এয়ারওয়েজের দুইটি ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ঢাকায় নামতে না পেরে কলকাতায় চলে যায়। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এসএম রাগীব সামাদ বলেন, কুয়েত থেকে আগত কুয়েত এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ডাইভার্ট করে কলকাতা পাঠানো হয়েছে।

এক বছরে ২২০০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারত

এক বছরে ২২০০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারত   ভারতের রাজধানী দিল্লির সীমান্ত ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিতের নামে চলতি ২০২৫ সালে রেকর্ড সংখ্যক ২ হাজার ২০০ জন ব্যক্তিকে ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ তকমা দিয়ে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। ২০২৪ সালে যেখানে মাত্র ১৪ জনকে এবং ২০২৩ সালে ৫ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল, সেখানে এক বছরের ব্যবধানে এই সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়ে যাওয়াকে নজিরবিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্ত ও প্রত্যাবাসনের কঠোর নির্দেশের পর এই তৎপরতা বৃদ্ধি পেলেও, যাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে তাদের বাংলাদেশি নাগরিকত্বের সপক্ষে কোনো দালিলিক প্রমাণ বা পরিচয় নিশ্চিত করেনি দিল্লি পুলিশ।

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের বহিষ্কারাদেশে নিষেধাজ্ঞা

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের বহিষ্কারাদেশে নিষেধাজ্ঞা   মালয়েশিয়ায় একটি গ্লাভস মোল্ড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে বড় সাফল্য পেয়েছেন প্রায় ১০০ জন বাংলাদেশি শ্রমিক। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির হাইকোর্ট জোরপূর্বক বহিষ্কার ও দেশে ফেরত পাঠানোর ওপর অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। আজ হাইকোর্টের বিচারক তুয়ান হালদার আব্দুল আজিজ ‘মেডিসেরাম এসডিএন বিএইচডি’ নামের প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে এই এক্স-পার্টি ইনজাংশন জারি করেন। ফলে শিল্প আদালত ও দেওয়ানি আদালতে চলমান মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট শ্রমিকদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো বা বহিষ্কার করা যাবে না। আদালতের আদেশ অনুযায়ী, অবিলম্বে ৯৩ জন শ্রমিকের পাসপোর্ট ও অন্যান্য ব্যক্তিগত নথিপত্র ফেরত দিতে হবে। পাশাপাশি শ্রমিকদের ওয়ার্ক পারমিট বা সাময়িক কর্মসংস্থান ভিজিট পাস বাতিলসহ কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে না কোম্পানি।

সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন তারেক রহমান

সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন তারেক রহমান দেশে ফিরে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে ফেসবুকে ৪টি ছবি শেয়ার করে কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।  শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এখন পূর্বাচলে ৩০০ ফুটে গণসংবর্ধনাস্থলের দিকে যাচ্ছেন তারেক রহমান। সেখানে তাকে এক নজর দেখতে লাখ লাখ কর্মী সমর্থক অপেক্ষা করছেন। বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে ১২টা ৩৬ মিনিটে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে রওনা হন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। নিজের জন্য বুলেট প্রুফ গাড়ি থাকলেও সেটাতে না উঠে তিনি বাসে ওঠেন এবং সামনের দিকে অবস্থান নেন। সেখান থেকে হাত নেড়ে তিনি নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জানান। তাদের সালাম দেন। ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে আজ বাংলাদেশে ফিরেছেন তারেক রহমান। তাদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সিলেটে এসে পৌঁছায় সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে। সেখানে যাত্রাবিরতি শেষে ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। তারেক রহমানের সঙ্গে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান। তারেক রহমানকে বহন করা লাল-সবুজ বাসকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। সেনা, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি সামনে-পেছনে রয়েছে। দুই পাশে হেঁটে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা চলছেন।

জেলখানায় থাকা ভোটারদের জন্য ইসির বিশেষ নির্দেশনা

জেলখানায় থাকা ভোটারদের জন্য ইসির বিশেষ নির্দেশনা ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে জেলখানায় বা আইনি হেফাজতে থাকা ভোটারদের ভোটদানের জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্দেশিকা জারি করেছে। নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা ২০০৮ (সংশোধন ২০২৫)-এর বিধি ১০ ক অনুযায়ী, ‘ইন-কান্ট্রি পোস্টাল ভোটিং’ (আইসিপিভি) পদ্ধতির মাধ্যমে জেলখানায় বা আইনি হেফাজতে থাকা ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন স্বাক্ষরিত এই নির্দেশিকা কারা মহাপরিদর্শকের কাছে পাঠানো হয়েছে। ইসির নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, জেলখানায় বা আইনি হেফাজতে আটক ভোটারের তালিকাভুক্তি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অনুমোদন হবে। এ ধরনের ভোটারদের নিবন্ধনের জন্য একটি বিশেষ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম (https://prisoner.ocv.gov.bd/login) ব্যবহার হবে। জেলখানা বা আইনি হেফাজত কর্তৃপক্ষ আটক থাকা ভোটারদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য দুইজন করে প্রতিনিধি মনোনয়ন দেবে, যারা নিবন্ধনের কাজ পরিচালনা করবেন। আগ্রহী ভোটারদের নিবন্ধন শেষে জেলখানা বা আইনি হেফাজত কর্তৃপক্ষ মুদ্রিত তালিকা সিল ও স্বাক্ষরসহ নির্বাচন কমিশনে প্রেরণ করবেন। একই সঙ্গে মনোনীত প্রতিনিধিরা নির্ধারিত পোর্টালে ভোটারদের প্রয়োজনীয় তথ্য (.xls/.csv ফরম্যাট) আপলোড করবেন। জেলখানায় বা আইনি হেফাজতে থাকা নিবন্ধিত ভোটাররা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পোস্টাল ব্যালটের খাম পাবেন। নির্বাচন কমিশন হতে প্রাপ্ত এই খামে থাকবে: জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের জন্য দুটি আলাদা ব্যালট পেপার; ভোট প্রদানের নির্দেশাবলি ও একটি ঘোষণাপত্র এবং রিটার্নিং অফিসারের ঠিকানা-সংবলিত একটি ফেরত খাম। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, জেলখানা বা আইনি হেফাজত কর্তৃপক্ষ আটক ভোটারদের ভোটদানের জন্য ভোটকক্ষ বা গোপন কক্ষ প্রস্তুত করে ভোটের উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করবে। পোস্টাল ব্যালট পেপারে কোনো প্রার্থীর নাম থাকবে না; শুধু বরাদ্দকৃত প্রতীক ও প্রতীকের পাশে ফাঁকা ঘর থাকবে। এ কারণে কর্তৃপক্ষ ভোটারদের কাছে নিজ নিজ সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের নাম ও প্রতীক-সংবলিত চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা সরবরাহ করবে। সংসদ নির্বাচনের পোস্টাল ব্যালট পেপারে ভোটাররা মুদ্রিত প্রতীকের পাশে ফাঁকা ঘরে টিক (√) চিহ্ন বা ক্রস (x) চিহ্ন দিয়ে ভোটদান করবেন। একইভাবে গণভোটের পোস্টাল ব্যালট পেপারে হ্যাঁ/না-এর পাশে ফাঁকা ঘরে টিক (√) চিহ্ন বা ক্রস (x) চিহ্ন দিয়ে ভোটদান করবেন। ভোট দেওয়ার আগে ঘোষণাপত্রে নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্র লিখে স্বাক্ষর করতে হবে। যদি কোনো ভোটার স্বাক্ষর করতে অক্ষম হন, তবে অন্য একজন ভোটার তা সত্যায়ন করবেন। ভোটার পোস্টাল ব্যালট পেপারে ভোট দেওয়ার পর ব্যালট পেপার দুটি ছোট খামে রেখে খামটি বন্ধ করবেন। ব্যালট পেপার-সংবলিত খাম এবং স্বাক্ষরিত ঘোষণাপত্র রিটার্নিং অফিসারের ঠিকানা মুদ্রিত হলুদ খামে প্রবেশ করার পর খামটি বন্ধ করে তা সংশ্লিষ্ট জেলখানা বা আইনি হেফাজত কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত স্থানে বা বাক্সে জমা দিতে হবে।   ভোট প্রদান প্রক্রিয়া সমাপ্তির পর সংশ্লিষ্ট জেলখানা বা আইনি হেফাজত কর্তৃপক্ষ পোস্টাল ব্যালটের সকল খাম সুরক্ষিতভাবে সংরক্ষণ করবেন এবং যতদ্রুত সম্ভব পোস্টাল ব্যালট-সংবলিত সকল খাম নিকটস্থ ডাক বিভাগের নিকট প্রেরণ/হস্তান্তর করবে। ডাক বিভাগের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধি পোস্টাল ব্যালট-সংবলিত খামসমূহ দ্রুততার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের ঠিকানায় প্রেরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। উক্ত খাম পাঠানোর জন্য কোনো ডাক মাশুল প্রদান করতে হবে না। এটি বাংলাদেশ সরকার পরিশোধ করবে।

টেলিকমিউনিকেশন অধ্যাদেশের চূড়ান্ত অনুমোদন

টেলিকমিউনিকেশন অধ্যাদেশের চূড়ান্ত অনুমোদন বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন অধ্যাদেশ (সংশোধনী)–এর চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। এই অধ্যাদেশে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে এক মিনিটের জন্যও ইন্টারনেট বন্ধ না রাখার বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। প্রেস সচিব বলেন, সংশোধিত অধ্যাদেশের মাধ্যমে বিদ্যমান টেলিকমিউনিকেশন আইনগুলো আধুনিক ও যুগোপযোগী করা হয়েছে। বিশেষভাবে ইন্টারনেট সেবা নিরবচ্ছিন্ন রাখার বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এই আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)-এর ক্ষমতা, কার্যকারিতা ও জবাবদিহিতা আরও সুসংহত করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, নতুন অধ্যাদেশে গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা ও সেবার মান নিশ্চিত করার পাশাপাশি প্রতারণা ও অবৈধ কার্যক্রম প্রতিহতের বিধান রাখা হয়েছে। ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা সরকার অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) বিলুপ্ত হবে কি না—এ বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করে পর্যালোচনা করা হবে বলেও জানান প্রেস সচিব। এদিকে বাজেট প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, সংশোধিত বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নেমে আসবে বলে সরকার আশা করছে। পাশাপাশি জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৫ শতাংশ হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

পোস্টাল ভোটে নিবন্ধিত ৬ লাখ ৭২ হাজার, ব্যালট পেয়েছেন পৌনে ২ লাখ প্রবাসী

পোস্টাল ভোটে নিবন্ধিত ৬ লাখ ৭২ হাজার, ব্যালট পেয়েছেন পৌনে ২ লাখ প্রবাসী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে অংশ নিতে এখন পর্যন্ত পোস্টাল ভোটে নিবন্ধন করেছেন ৬ লাখ ৭২ হাজার ১২ জন ভোটার। এর মধ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাশাপাশি নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিজ এলাকার বাইরে অবস্থানরত সরকারি চাকরিজীবীরাও রয়েছেন। নির্বাচন কমিশন (ইসি) ইতোমধ্যে প্রবাসী ভোটারদের কাছে পোস্টাল ব্যালট পাঠানো শুরু করেছে। গত পাঁচ দিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৯০০ জন প্রবাসী ভোটারের কাছে ব্যালট পাঠানো হয়েছে বলে বাসসকে নিশ্চিত করেছেন ‘আউট অব কান্ট্রি ভোটিং সিস্টেম অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন (ওসিভি-এসডিআই)’ প্রকল্পের টিম লিডার সালীম আহমাদ খান। ইসি’র ওয়েবসাইটে আজ বুধবার সকাল ১১টা পর্যন্ত হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, নিবন্ধিত ভোটারদের মধ্যে পুরুষ ৬ লাখ ২১ হাজার ৮০০ জন এবং নারী ৫০ হাজার ২১০ জন। প্রবাসী ভোটারদের মধ্যে সৌদি আরব থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৪৯ হাজার ৯১৬ জন নিবন্ধন করেছেন। এ ছাড়া কাতারে ৫৬ হাজার ১৪৪ জন, ওমানে ৪১ হাজার ৭৩৭ জন, মালয়েশিয়ায় ৩৯ হাজার ১০৫ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩০ হাজার ১০০ জন, যুক্তরাষ্ট্রে ২৪ হাজার ৮৪৯ জন, কুয়েতে ২২ হাজার ১২৩ জন, যুক্তরাজ্যে ২০ হাজার ২০৯ জন এবং সিঙ্গাপুরে ১৭ হাজার ৩৪৬ জন ভোটার নিবন্ধন করেছেন। অন্যদিকে, দেশে অবস্থানরত ভোটারদের মধ্যে ‘ইন কান্ট্রি পোস্টাল ভোট’ ক্যাটাগরিতে নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ৫৫ হাজার ৭৫০ জন। জেলা ও আসনভিত্তিক নিবন্ধন জেলাভিত্তিক নিবন্ধনে শীর্ষে রয়েছে কুমিল্লা, যেখানে ৬৪ হাজার ১৩২ জন ভোটার পোস্টাল ভোটে নিবন্ধন করেছেন। ঢাকায় ৫৫ হাজার ৬৪০ জন, চট্টগ্রামে ৫৪ হাজার ৭৬৯ জন, নোয়াখালীতে ৩৬ হাজার ৫৯০ জন, সিলেটে ২৬ হাজার ৭৪৯ জন এবং চাঁদপুরে ২৫ হাজার ৩১৮ জন নিবন্ধন করেছেন। আসনভিত্তিক হিসাবে ফেনী-৩ আসনে সর্বোচ্চ ৯ হাজার ৬১১ জন ভোটার নিবন্ধন করেছেন। এছাড়া চট্টগ্রাম-১৫ আসনে ৮ হাজার ৯৩০ জন, কুমিল্লা-১০ আসনে ৮ হাজার ৪৩৮ জন এবং নোয়াখালী-১ আসনে ৮ হাজার ৩৮৪ জন ভোটার পোস্টাল ভোটে নিবন্ধন করেছেন। ব্যালট পাঠানো শুরু গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে প্রবাসীদের কাছে পোস্টাল ব্যালট পাঠানো শুরু হয়। ইসি আগামী ২১ জানুয়ারি প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেবে। প্রতীক বরাদ্দের পর ভোটাররা অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে প্রার্থীর তালিকা দেখে ব্যালট পেপারে নির্ধারিত ঘরে টিক বা ক্রস চিহ্ন দিয়ে ভোট দিতে পারবেন। সালীম আহমাদ খান জানান, প্রতীক বরাদ্দের আগে কেউ ভোট দিলেও তা বাতিল হবে না, যদি ভোটটি সঠিক প্রার্থীর পক্ষে পড়ে। তবে নিয়ম অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থী দেখে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। তিনি আরও জানান, প্রবাসীদের নিবন্ধনের শেষ সময় ২৫ ডিসেম্বর। এরপর আর সময় বাড়ানো হবে না। নিবন্ধনের সময়সীমা ও নির্দেশনা ইসি জানায়, নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিরা ১৮ থেকে ২৫ ডিসেম্বর, আইনি হেফাজতে থাকা ভোটাররা ২১ থেকে ২৪ ডিসেম্বর এবং নিজ এলাকার বাইরে অবস্থানরত সরকারি চাকরিজীবীরা ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে পারবেন। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে। পোস্টাল ব্যালট পেতে হলে নিবন্ধনের সময় ভোটারের অবস্থানকালীন দেশের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা দিতে হবে। ভুল ঠিকানা দিলে ব্যালট পাঠানো সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছে ইসি। উল্লেখ্য, গত ১৮ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের উদ্বোধন করেন এবং ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ১৪৮টি দেশে ভোটার নিবন্ধনের সময়সূচি ঘোষণা করা হয়।

স্বল্পআয়ের তরুণদের কর্মসংস্থানে বাংলাদেশকে ১৫০.৭৫ মিলিয়ন ডলার অনুমোদন বিশ্বব্যাংকের

স্বল্পআয়ের তরুণদের কর্মসংস্থানে বাংলাদেশকে ১৫০.৭৫ মিলিয়ন ডলার অনুমোদন বিশ্বব্যাংকের স্বল্পআয়ের তরুণ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সম্প্রসারণে বাংলাদেশকে ১৫০ দশমিক ৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিরিক্ত অর্থায়ন অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এই সহায়তায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে নারী এবং জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত জনগোষ্ঠীর ওপর। বিশ্বব্যাংকের ‘রিকভারি অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব ইনফরমাল সেক্টর এমপ্লয়মেন্ট (রেইজ)’ প্রকল্পের আওতায় এই অর্থায়নের মাধ্যমে সারা দেশে আরও প্রায় ১ লাখ ৭৬ হাজার তরুণের জন্য কর্মসংস্থান ও আয়বর্ধক সুযোগ সৃষ্টি হবে। এর আগে প্রকল্পটির মাধ্যমে ২ লাখ ৩৩ হাজার মানুষ উপকৃত হয়েছেন। বিশ্বব্যাংকের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রকল্পে অংশগ্রহণকারীরা দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, শিক্ষানবিশ (অ্যাপ্রেন্টিসশিপ), উদ্যোক্তা উন্নয়ন, ক্ষুদ্রঋণসহ একটি সমন্বিত সেবা প্যাকেজ পাবেন। এসব উদ্যোগের মাধ্যমে তরুণ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা কর্মসংস্থান ও ব্যবসা সম্প্রসারণের বিভিন্ন বাধা অতিক্রম করতে সক্ষম হবেন। প্রকল্পটির আওতায় নারীর ক্ষমতায়নে উদ্ভাবনী উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে মানসম্মত ও সাশ্রয়ী শিশুযত্ন (চাইল্ডকেয়ার) সেবার সুযোগ সৃষ্টি এবং জলবায়ু সহনশীল জীবিকাভিত্তিক কার্যক্রম চালু করা। এতে করে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার জনগোষ্ঠীর জীবিকা সুরক্ষিত হবে। বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় পরিচালক গেইল মার্টিন বলেন, ‘একটি ভালো চাকরি একটি জীবন, একটি পরিবার ও একটি সমাজকে বদলে দিতে পারে। কিন্তু প্রতি বছর শ্রমবাজারে প্রবেশ করা বহু বাংলাদেশি তরুণ কাজের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, এই অতিরিক্ত অর্থায়ন স্বল্পআয়ের পরিবারের তরুণদের জন্য বাজারভিত্তিক দক্ষতা ও প্রশিক্ষণের সুযোগ বাড়াবে। বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র সামাজিক সুরক্ষা অর্থনীতিবিদ ও প্রকল্পের টিম লিডার আনিকা রহমান বলেন, ‘রেইজ প্রকল্প প্রমাণ করেছে যে লক্ষ্যভিত্তিক সহায়তা তরুণ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জীবনে বাস্তব পরিবর্তন আনতে পারে।’ তিনি জানান, নতুন অর্থায়নের মাধ্যমে ক্ষুদ্রঋণ সম্প্রসারণ এবং শিশুযত্নের মতো উদ্ভাবনী উদ্যোগ আরও জোরদার করা হবে। এই অর্থায়নের ফলে প্রকল্পটির কার্যক্রম শহরের পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকাতেও সম্প্রসারিত হবে। নারীদের জন্য ঘরভিত্তিক শিশুযত্ন সেবার একটি পাইলট কর্মসূচি চালু করা হবে, যার আওতায় প্রশিক্ষণ ও প্রারম্ভিক অনুদান দেওয়া হবে। এতে নারী শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ বাড়বে এবং পরিচর্যা খাতে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে রেইজ প্রকল্প কোভিড-১৯ এ ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ হাজারের বেশি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাকে সহায়তা দিয়েছে। পাশাপাশি ২ লাখ ৫০ হাজারের বেশি প্রত্যাবর্তনকারী প্রবাসী ও ১ লাখ ২২ হাজারের বেশি উপকারভোগীকে অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তিমূলক সেবা প্রদান করেছে, যাদের ৫৫ শতাংশ নারী। এই অতিরিক্ত অর্থায়নের ফলে রেইজ প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের মোট সহায়তার পরিমাণ দাঁড়াল ৩৫০ দশমিক ৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে।