ফের কি বাবা হয়েছেন তাহসান?

ফের কি বাবা হয়েছেন তাহসান? দাঁড়িয়ে আছেন সংগীতশিল্পী তাহসান খান। তার পরনে পাঞ্জাবি, মুখে মাস্ক। নবজাতক একটি শিশুকে তার কাছে ধরে রেখেছেন এক ব্যক্তি। খুব মনোযোগ দিয়ে শিশুটিকে দেখছেন তাহসান। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি স্থিরচিত্রে এমন দৃশ্য দেখা যায়। বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে ছবিটি শেয়ার করা হয়েছে। একজন ক্যাপশনে দাবি করেন—“দ্বিতীয়বারের মতো বাবা হলেন তাহসান খান, প্রথমবারের মতো মা হলেন রোজা আহমেদ।” আরেকজন লেখেন, “পুত্রসন্তানের বাবা হলেন তাহসান খান।” অন্য একজন দাবি করেন, “আবারো কন্যা সন্তানের বাবা হলেন তাহসান।” এরপর থেকে শুভেচ্ছা বার্তায় ভাসছেন তাহসান-রোজা আহমেদ দম্পতি। চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান। তার স্ত্রীর নাম রোজা আহমেদ, তিনি পেশায় একজন মেকআপ আর্টিস্ট। তাদের বিয়ের বয়স ৮ মাস ১ দিন। এর ফলে তাহসানের বাবা হওয়ার খবরটি আরো বেশি মুখরোচকে পরিণত হয়েছে। কিন্তু সত্যি কি বাবা হয়েছেন এই শিল্পী? সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ও খবর নিয়ে যখন জোর চর্চা চলছে, ঠিক তখন মুখ খুলেছেন তাহসান খান। খবরটি ভিত্তিহীন দাবি করে এই শিল্পী বলেন, “এই ছবিটা তিন বছর আগের এবং কোলের শিশুটা আমার এক ছোট ভাইয়ের। তখন ওর বাচ্চাকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। এটা তখনকারই ছবি। এ খবর পুরোটাই ভিত্তিহীন। ২০০৬ সালের ৭ আগস্ট রাফিয়াথ রশিদ মিথিলার সঙ্গে বিবাবহবন্ধনে আবদ্ধ হন তাহসান খান। ২০১৩ সালের ৩০ জুলাই তাদের ঘর আলো করে আসে কন্যা আইরা তাহরিম খান। ২০১৭ সালে ১১ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন এই দম্পতি। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে মিথিলা ওপার বাংলার পরিচালক সৃজিত মুখার্জির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেও একা ছিলেন তাহসান। দীর্ঘ দিন একা থাকার পর পরিচয় হয় রোজা আহমেদের সঙ্গে। পরিচয়ের চার মাসের মাথায় বিয়ে করেন এই জুটি। তাহসানের দ্বিতীয় হলেও রোজার এটি প্রথম বিয়ে। দাম্পত্য জীবনে দারুণ সময় পার করছেন এই যুগল।
লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন আইসিইউ থেকে কেবিনে

লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন আইসিইউ থেকে কেবিনে দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছেন দেশবরেণ্য লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। গত ২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে ডায়ালিসিস করানো হয় তার। ডায়ালিসিসের পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। তখন থেকে এ শিল্পী হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। বেসরকারি হাসপাতালটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক চিকিৎসক আশীষ কুমার চক্রবর্তী ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে গণমাধমের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানান, আজ (৫ সেপ্টেম্বর) দিনের যেকোনো সময় আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হবে ফরিদা পারভীনকে। তবে তার শারীরিক অবস্থা কিছুটা জটিল। কিডনি জটিলতার পাশাপাশি তার শ্বাসকষ্টসহ আরও নানা সমস্যা আছে। আমরা প্রয়োজনীয় সব ধরনের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছি। তার সুস্থতার জন্য সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছি। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন ফরিদা পারভীন। ফুসফুসের সমস্যা ছাড়াও ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি ও থাইরয়েড জটিলতা রয়েছে তার। বমি ও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তার শারীরিক অবস্থা আরও জটিল আকার ধারণ করেছে। ১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুলসংগীত গেয়ে সংগীতাঙ্গনে পথচলা শুরু করেন ফরিদা পারভীন। ১৯৭৩ সালে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে জনপ্রিয়তা পান তিনি। পরে সাধক মোকসেদ আলী শাহের কাছে লালনসংগীতে তালিম নেন এবং ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন লালনগীতির জীবন্ত কিংবদন্তি।
চুমু খেলেন মিমি-শুভশ্রী

চুমু খেলেন মিমি-শুভশ্রী দুর্গাপুজা মানেই কলকাতা শহরজুড়ে রঙ, আলো, আর তারকাদের ঝলক। আর সেই উত্সবের আবহে এবার এক অনন্য মুহূর্ত উপহার দিলেন টলিউডের দুই জনপ্রিয় অভিনেত্রী— মিমি চক্রবর্তী এবং শুভশ্রী গাঙ্গুলী। একজন রাজ চক্রবর্তীর সাবেক প্রেমিকা, অন্যজন পরিচালকের স্ত্রী। অতীতের জটিলতা, গসিপ, আর টলিপাড়ার কানাঘুষোকে পিছনে ফেলে, তারা একসঙ্গে ধরা দিলেন এক ফ্রেমে। রাজকে ভুলে দুই সুন্দরী ডুবলেন ব্র্যোম্যান্সে। মিমির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা শোনা গেল শুভশ্রীর গলায়, এদিকে রাজের স্ত্রীর গালে আনন্দে চুমু খেলেন তার প্রাক্তন। ঘটনাটি ঘটেছে একটি বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে। মেকআপ ভ্যানে তোলা একটি রিল ইতোমধ্যে ঝড় তুলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, সেখানে শুভশ্রীকে বলতে শোনা গেছে, ‘বলিউডে যদি দীপিকা থাকে, আমাদের আছে মিমি। শুভশ্রীর মন্তব্যের পর মিমি আবার আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে, সঙ্গে সঙ্গে অভিনেত্রীর গালে চুমু খান। এই দৃশ্য দেখে অবাক নেটপাড়া। ভিডিওটি দেখে অনেকে মন্তব্য করেছেন, একটা সময়ে রাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে মিমির সম্পর্ক ছিল টলিপাড়ার ওপেন সিক্রেট, আর আজ প্রাক্তন প্রেমিকের স্ত্রী শুভশ্রীর সঙ্গে এমন রসায়ন? তবে এর আগে এক ফ্রেমে কখনও দেখা যায়নি মিমি-শুভশ্রীকে। একবার একটি মিউজিক ভিডিওতে একসঙ্গে কাজ করলেও, তখনও শুটিং হয়েছিল আলাদা আলাদা। কিন্তু এবার সব দূরত্ব পেরিয়ে, দুর্গাপুজার স্পেশ্যাল শুটে একসঙ্গে ক্যামেরার সামনে এলেন তারা— একই কোম্পানির হয়ে ধরা দিলেন এক ফ্রেমে।‘গৃহপ্রবেশ’-এর পর ‘ধূমকেতু’- এই মুহূর্তে টলিপাড়ায় শুভশ্রী ঝড় তুলেছেন। তবে পুজায় মুক্তি পাচ্ছে মিমির ‘রক্তবীজ ২’ , যেখানে অভিনেত্রীকে দেখা যাবে বিকিনি লুকে। শুভশ্রী আগেই প্রশংসা করেছেন মিমির ফিটনেস ও স্টাইলের, বলেছিলেন ‘ওকে কুর্নিশ জানাই।
সংকটাপন্ন অবস্থায় ফরিদা পারভীন

সংকটাপন্ন অবস্থায় ফরিদা পারভীন রাজধানীর ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন উপমহাদেশের লালনসংগীতের বরেণ্য শিল্পী ফরিদা পারভীন। গতকাল রাতে কয়েকবার বমি করেছেন। প্রয়োজনীয় সকল পরীক্ষা–নিরীক্ষা শেষে তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে রাখা হয়েছে। এদিকে, ফরিদা পারভীনের অসুস্থার বিষয়টি বিবেচনা করে তার চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় অর্থ সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানা গেছে। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ফরিদা পারভীনের চিকিৎসা যতটা ভালোভাবে করা সম্ভব তা-ই চেষ্টা করা হচ্ছে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়-সহ, বেশ কয়েকজন উপদেষ্টাবৃন্দ আমাদের সাথে যোগাযোগ করেছেন, আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজে জানায়, শিল্পী ফরিদা পারভীন আগেই থেকে অসুস্থ ছিলেন। তার ফুসফুস আক্রান্ত, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি এবং থাইরয়েডের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত কিছু সমস্যা ছিল। বর্তমানে তিনি কয়েকবার বমি ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তার অবস্থা কিছুটা জটিল। সংগীতাঙ্গনে অনন্য অবদান রাখা ফরিদা পারভীনের অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়লে ভক্ত ও সহশিল্পীদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। সবাই তার সুস্থতা কামনায় প্রার্থনা করছেন। উল্লেখ্য, ১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুল সংগীত গাইতে শুরু করেন ফরিদা পারভীন। ১৯৭৩ সালে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। সাধক মোকসেদ আলী শাহর কাছে ফরিদা পারভীন লালন সংগীতে তালিম নেন। সংগীতাঙ্গনে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ফরিদা পারভীন ১৯৮৭ সালে একুশে পদক পান। শিশুদের লালন সংগীত শিক্ষার জন্য ‘অচিন পাখি স্কুল’ নামে একটি গানের স্কুল গড়ে তুলেছেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ সরব থাকেন তিশা

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ সরব থাকেন তিশা বর্তমানে আলোচনায় আছেন মেগাস্টার শাকিব খান অভিনীত নতুন সিনেমায় অভিনয়ের জন্য। নাম চূড়ান্ত না হওয়া এ সিনেমার শুটিং শুরু হবে এ মাসেই পরিচালনা করবেন বিজ্ঞাপন ও টিভি নাটক নির্মাণে পরিচিত নির্মাতা সাকিব ফাহাদ। ছবিটির অধিকাংশ শুটিং হবে থাইল্যান্ডে, এরপর বাংলাদেশে। পাশপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ সরব থাকেন তিশা। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে তানজিন তিশা বলেন, ‘এটা আমার কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে লাভলী একটা মুহূর্ত। আমার মা এটা ২য় সময় কোথাও আদর্শ মা হিসেবে অ্যাওয়ার্ড পায়। কারণ আমি বলবো প্রতিটা আটির্স্ট সন্তানের পেছনে বাবা-মার দায়িত্ব যেমন, বাবা-মার ভারটাও অনেক। সে জায়গা থেকে আমি এখানে দাঁড়িয়ে আছি ঠিকমতো কাজ করছি। শুধুমাত্র আমার মায়ের জন্য। সে জায়গা থেকে মাকে যখন সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কিছু হতে পারে না। তাই আমি খুবই খুশি। ভক্তদের সুখবর দিয়ে তিশা বলেন, ‘আমার দর্শকরা যেটা চায়, আমিও সেটা চাই। আমি সবসময় অপেক্ষা করেছি খুব ভালো বাজেটের কাজের। চেষ্টা করি, বেছে বেছে কোয়ালিটি সম্পন্ন কাজগুলোর সঙ্গে থাকার। এছাড়া খুব তাড়াতাড়ি আমাকে সিনেমায় দেখা যাবে। আমার দর্শকদের জন্যই আজকে আমি এই অবস্থানে। আমি বিশ্বাস করি, আমার জেনুইন কিছু দর্শক আছে। তাদের জন্যই আমার সবকিছু। সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ সবসময় আমাকে এত ভালোবাসা ও সাপোর্ট দেওয়ার জন্য। প্রসঙ্গত, তানজিন তিশার শুরুটা ফ্যাশন শুট ও র্যাম্প মডেলিংয়ের মাধ্যমে। এরপর রিজভি ওয়াহিদ এবং শুভমিতার গাওয়া ‘চোখেরি পলকে’ মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করে তারকা খ্যাতি পান। গানটি লিখেছেন জনপ্রিয় গীতকবি রবিউল ইসলাম জীবন।
ইধিকাই কি শাকিব খানের ঈদের ছবির নায়িকা ?

ইধিকাই কি শাকিব খানের ঈদের ছবির নায়িকা ? নব্বই দশকের ঢাকাকে ঘিরে নির্মিত হতে যাচ্ছে নতুন ছবি ‘প্রিন্স’। অ্যাকশন, রোমান্স, আবেগ আর পারিবারিক টানাপোড়েনের মিশেলে তৈরি এ ছবিটি আগামী ঈদুল ফিতরে মুক্তির লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করছে নির্মাতারা। ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে থাকছেন ঢালিউডের সুপারস্টার শাকিব খান। শাকিব বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। সেখান থেকে দেশে ফিরে তিনি প্রথমে ‘সোলজার’ নামে একটি ছবির শুটিং শুরু করবেন। এরপরেই ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবেন ‘প্রিন্স’ নিয়ে। যদিও ছবির নায়িকা কে হচ্ছেন, তা নিয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। শোনা যাচ্ছে, নাজিফা তুষির সঙ্গে প্রাথমিকভাবে কথা হলেও তা চূড়ান্ত হয়নি। অন্যদিকে, আরেকটি সূত্র বলছে, কলকাতার অভিনেত্রী ইধিকা পালকেই নেওয়া হচ্ছে এই ছবির নায়িকা হিসেবে। বিষয়টি নিয়ে ইধিকার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে খোলাসা করেনি কিছুই। শুধু জানান, আমি তো বাংলাদেশের প্রিয়তমা। তারা আমার প্রথম ছবিতে যে ভালোবাসা দিয়েছেন তা ভুলবার নয়। আমি তো সবসময়ই চাই বাংলাদেশের ছবিতে কাজ করতে। শাকিব খানের মতো বড় মেঘা স্টারের সঙ্গে কাজ করতে। ঢাকাই ছবির দর্শকের কাছে ইধিকার পরিচিতি আসে শাকিব খানের সঙ্গেই। ২০২৩ সালের সুপারহিট ছবি ‘প্রিয়তমা’ দিয়ে তাঁর চলচ্চিত্রে অভিষেক। এরপর চলতি বছরের রোজার ঈদে ‘বরবাদ’ ছবিতে আবারও শাকিব-ইধিকা জুটি সাফল্য পায়। ঢাকার পাশাপাশি কলকাতাতেও নিয়মিত কাজ করছেন এই নায়িকা। দেবের সঙ্গে তাঁর ‘খাদান’ ছবি দর্শকপ্রিয়তা পায়। আসন্ন দুর্গাপূজায় দেব-ইধিকা জুটিকে আবার দেখা যাবে ‘রঘু ডাকাত’ ছবিতে। এ ছাড়া সোহমের সঙ্গে তাঁর আরেকটি ছবি ‘বহুরূপ’ মুক্তির অপেক্ষায় আছে, যাঁর গান ইতোমধ্যেই আলোচনায় এসেছে। অভিনয়ের পাশাপাশি ব্যক্তিজীবন নিয়েও আলোচনায় থাকেন ইধিকা। আনন্দবাজারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, এখনও তিনি সিঙ্গেল। প্রেম না করার পেছনে মায়ের কড়া শাসনই বড় কারণ বলে উল্লেখ করেছেন অভিনেত্রী। ইধিকার ভাষায়, পূজার সময় প্রেম করার সুযোগ পেলেও তা টেকেনি– কারণ, মা কড়া শাসনে সব ভেঙে দিতেন।” তবে হাসিমুখে যোগ করেছেন, এখন উল্টো অবস্থা, কয়েক বছর পর হয়তো মা-ই তাঁকে প্রেম করার পরামর্শ দেবেন। ‘রঘু ডাকাত’ নিয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত ইধিকা। তাঁর মতে, পূজার মুক্তি দিয়েই তিনি বুঝতে পারবেন জনপ্রিয়তা কতটা বেড়েছে এবং আগামী দিনে কী কী করার সুযোগ আসবে। তিনি মনে করেন, শিল্পীরা ঝড়-বৃষ্টি কিংবা অসুস্থতা উপেক্ষা করে কাজ করেন কেবল দর্শকদের জন্য, আর দর্শকের ভালোবাসাই আসল পুরস্কার। এদিকে ‘প্রিন্স’-এর গল্প লিখেছেন মেজবাহ উদ্দিন সুমন। চিত্রনাট্য করেছেন যৌথভাবে সুমন ও মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন। পরিচালনায় থাকছেন আবু হায়াত মাহমুদ। অক্টোবর থেকে শুটিং শুরুর কথা থাকলেও সংশ্লিষ্টরা জানাচ্ছেন, শুটিং এক মাস পিছিয়ে নভেম্বর থেকে শুরু হতে পারে। সবকিছু ঠিক থাকলে ছবিটি মুক্তি পাবে আগামী ঈদুল ফিতরে।
ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়াতে পিয়াকে মেসেজ, অতঃপর

ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়াতে পিয়াকে মেসেজ, অতঃপর রুপালি জগতের তারকাদের নিয়ে ভক্ত-অনুরাগীদের উন্মাদনার শেষ নেই। অভিনেত্রী পিয়া জান্নাতুল তেমনই একটি ঘটনা সামনে আনলেন। এক ব্যক্তি ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন অভিনেত্রীর ইনবক্সে। সেই মেসেজের স্কিনশট ফেসবুকে পোস্ট করে বিষয়টি জানিয়েছেন পিয়া। নিজেকে পিয়ার ভক্ত দাবি করে এই ব্যক্তি লেখেন, “আমি কোনো বেঈমান অথবা বাজে ছেলে নই। আমি দীর্ঘদিন থেকে আপনার প্রতি খুব বেশি সীমাহীনভাবে দুর্বল এবং আপনার এক অন্ধভক্ত প্রেমিক বন্ধু। আমাকে ফিরিয়ে দেবেন না। ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরির প্রস্তাব দিয়ে এই ব্যক্তি লেখেন, “আমার কলিজা থেকে বলছি, চিরদিনের জন্য আপনাকে আমার পার্সোনাল বন্ধু, একান্ত আপনজন ভাবছি। শুধু আপনার আর আমার মধ্যে ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করতে চাই। আপনি-আমি ছাড়া আমাদের গভীর প্রেমের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক পৃথিবীর কেউ জানবে না। আল্লাহর কসম। পিয়ার ফোন নম্বর চেয়ে লেখেন, “প্রতিটি মুহূর্ত আপনার দিকে তাকিয়ে আছি, আশা করি বিশ্বাস করবেন। দয়া করে আপনার ফোন নাম্বার, হোয়াটসআপ নাম্বার দিন—প্লিজ। এসব মেসেজের কোনো উত্তর দেননি অভিনেত্রী পিয়া। শুধু শেষের মেসেজটার পর তিনি একটি ফোন নাম্বার দেন; যা গুলশান থানার নম্বর। পিয়ার এই পোস্ট নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা চলছে। কয়েকটি ভাগে বিভক্ত নেটিজেনরা। অনেকে পিয়ার ‘ভক্তর কাণ্ড’ নিয়ে রসিকতা করছেন। অনেকে বলছেন, কারো আবেগ নিয়ে এমনটা না করলেও পারতেন অভিনেত্রী। একজন লেখেন, “মানুষের আবেগ নিয়ে এভাবে খেলতে হয় না। তার মনে কি আছে হয়তো আপনি জানেন না, আল্লাহ জানেন। আপনি তাকে বিভিন্ন কায়দায় বিভিন্নভাবে বুঝিয়ে বলতে পারতেন। এটা পাবলিক করে কি বুঝাতে চাইছেন আপনি লয়াল!” এমন অসংখ্য মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে কমেন্ট বক্সে।
অনুমতি ছাড়া গান ব্যবহারে গ্রামীণফোনকে আইনি নোটিশ

অনুমতি ছাড়া গান ব্যবহারে গ্রামীণফোনকে আইনি নোটিশ কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী শাহ আবদুল করিমের দুটি গান অনুমতি না নিয়ে বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করার অভিযোগে টেলিকম কোম্পানি গ্রামীণফোন লিমিটেড এর কাছে ২০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে তার পরিবার। ‘রঙিলা বাড়ৈ’ ও ‘কোন মিস্তরি নাও বানাইছে’ গান দুটি গ্রামীণফোন লিমিটেড ব্যবহার করেছে। এর মধ্যে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। শাহ আবদুল করিমের পুত্র শাহ নূরজালালের পক্ষে ব্যারিস্টার রাজিন আহমেদ (বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট) ২৭ আগস্ট গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমানের নিকট আনুষ্ঠানিকভাবে এ নোটিশ প্রদান করেন।ওই নোটিশে বলা হয়েছে, গ্রামীণফোন অনুমতি, লাইসেন্স বা স্বীকৃতি ছাড়া শাহ আবদুল করিমের কপিরাইটকৃত গান টেলিভিশন বিজ্ঞাপন ও ডিজিটাল বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ২০১৬ সালের একটি টিভিসি (ইউটিউবে প্রচারিত) এবং ২০২২ সালের একটি বিজ্ঞাপন (ফেসবুক ও ইউটিউবে প্রচারিত)। কপিরাইটকৃত সংগীত অনুমতি ছাড়া পুনরুৎপাদন ও সম্প্রচার নৈতিক অধিকারের লঙ্ঘন। জিপির ফোরজি প্রচারণায় ব্যাপক বাণিজ্যিক লাভসহ সংগীতকর্মের অতিরিক্ত বাণিজ্যিক ব্যবহার প্রকৃত কপিরাইটধারীর ক্ষতির বিনিময়ে অন্যায়ভাবে আর্থিক সুবিধা গ্রহণ। নোটিশে আরও বলা হয়েছে, শাহ আবদুল করিমের গান অবিলম্বে অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। ইউটিউব, ফেসবুক টেলিভিশনসহ সব প্ল্যাটফর্ম থেকে লঙ্ঘনকারী কন্টেন্ট ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করতে হবে। শাহ আবদুল করিমকে লেখক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে প্রকাশ্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। ক্ষতিপূরণ বাবদ ২০ কোটি টাকা (প্রতিটি গান অনুযায়ী ১০ কোটি টাকা) প্রদান করতে হবে। ভবিষ্যতে এমন লঙ্ঘন আর না করার বিষয়ে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। এতে বলা হয়েছে- যদি গ্রামীণফোন ৭ দিনের মধ্যে উল্লিখিত দাবি পূরণে ব্যর্থ হয়, তবে শাহ আবদুল করিমের পরিবার কপিরাইট আইন, ২০২৩ অনুযায়ী দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা করবে। শাহ আবদুল করিমের ছেলে শাহ নূরজালাল বলেন, ‘আমরা গ্রামের মানুষ। আইন-কানুন অতোটা বুঝিনা। বাবার সব গান কপিরাইট করা আছে। এমনি অনেকেই গান করেন সেটা ভিন্ন বিষয়। কিন্তু বাণিজ্যিকভাবে গান ব্যবহার করলে আমাদের অনুমতি নেওয়াতো উচিত। সেখান থেকে যে আয় হয় তারও একটা অংশ আমাদের দেওয়া উচিত। তা না হলে কেমন হয় বিষয়টা। আইনি নোটিশ প্রদানকারী ব্যারিস্টার রাজিন আহমেদ বলেন, ‘শাহ আবদুল করিমের গান কেবল সংগীত নয়, এগুলো বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের অংশ। ‘রঙিলা বাড়ৈ’, ‘কোন মিস্তরি নাও বানাইছে’ দুটি গান ব্যবহার করেছে গ্রামীণফোন। অনুমতি ছাড়া বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার শুধু অবৈধ নয়, বরং চরম অসম্মানজনক। আমরা তার উত্তরাধিকার রক্ষায় আইনের সর্বোচ্চ ব্যবস্থাই গ্রহণ করব।
স্ট্যাটাস দেই আর গালি শুনি জয়

স্ট্যাটাস দেই আর গালি শুনি জয় অভিনেতা, নির্মাতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়। বর্তমানে কাজের চেয়ে বেশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই সরব তিনি। বিভিন্ন মন্তব্য করে প্রায়ই থাকছেন আলোচনায়। জয় মূলত আলোচনায় আসেন উপস্থাপনা দিয়ে। তার আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথিকে প্রশ্নবানে জর্জরিত করাই ছিল একমাত্র কাজ। এ নিয়েও বেশ কয়েকবার অপমান-অপদস্থ হয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তবে এসব ছাপিয়ে নানা ইস্যুতে মন্তব্য করেই বেশি আলোচনায় থেকেছেন তিনি। বিশেষ করে, গেল বছর ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর। এবার জয় তার ফেসবুক পোস্টে মৃত্যুভয়, গালি খাওয়ার কথা ও মনের কষ্ট প্রকাশ করেছেন। লিখেছেন, ‘যদি অপরাধী হতাম তাহলে চুপচাপ থাকতাম। স্ট্যাটাস দিতাম না। আশেপাশে এমন অনেক আছে। অথচ আমি স্ট্যাটাস দেই আর গালি শুনি। অনেকে ভয়ও দেখায়। যারা চুপ তাদের অপরাধ কেউ মনেও করে না। তাদের কেউ গালিও দেয় না।

রঙিন জীবন ভালো মেয়েদের জন্য না বর্ষা অভিমান নিয়েই শোবিজ ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন এই সময়ের চিত্রনায়িকা রাজ রিপা। শুধু মিডিয়াই নয়, ইটকাঠের এই শহর ছাড়ার কথাও জানান এই চিত্রনায়িকা। তার ক্ষোভ- নির্মাতা ইফতেখার চৌধুরীকে নিয়ে। রাজ রিপার সেই ক্ষোভের বিষয়টি নজরে এসেছে চিত্রনায়িকা আফিয়া নুসরাত বর্ষার। আজ ০২ সেপ্টেম্বর এক ফেসবুক পোস্টে বর্ষা লেখেন, স্বপ্ন মাটি চাপা দিবা দাও কিন্তু এমন স্বপ্ন মাটি চাপা দিওনা যে স্বপ্ন জেগে আছে কিন্তু ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তোমার জীবনের সিদ্ধান্ত তোমাকেই নিতে হবে, যার কেউ নেই তার জন্য আল্লাহ আছেন। তোমার মত কেউ কেউ এমন কঠিন জীবনযাপন করছে এই মিডিয়ায় তা তুমি আমি ভালো করে জানি। আমাকে নিয়ে ভেবে দেখবা, আমি ইচ্ছে করলে নিজেই সিনেমা ইনভেস্ট করতে পারি কিন্তু আমার কাছে এসব কিছুই আর ভালোলাগে না। তিনি আরও লেখেন, আসলে ভালো মন, নরম মনের মেয়েদের জন্য এই রঙিন জীবন না রিপা! চামড়া যাদের অনেক শক্ত শত শত কমেন্টের জন্য যাদের কিছু আসে যায় না তারাই এই জীবনে ভালো থাকবে। মিলিয়ে নিও, তুমিও জানো ভালো করে কি করলে কি হয়। নামাজ পড়ে আল্লাহ পাক কে বল, তোমার মনে যেনো শান্তি পায়। এরপর রাজ রিপার ‘মুক্তি’ সিনেমার মহরতের কথা স্মরণ করে বর্ষা লেখেন, আমিও গিয়েছিলাম তোমার এই ‘মুক্তি’ সিনেমার মহরতে। অবাক হলাম এই সিনেমা এখনও শুটিং শেষ হয়নি? যদি ভুল না হয়, ২০২০ সালের অক্টোবর বা ডিসেম্বরে এর মহরত হয়েছিল। নতুন শুরু দিয়ে নতুন স্বপ্ন নিয়ে- জীবনকে আবার ভাবতে শিখতে পার। হেরে যাওয়া কিন্তু সমাধান নয়। সবশেষে বর্ষা লেখেন, দোয়া রইল তোমার জন্য। বয়স আর কত তোমার, অনেক সময় পড়ে আছে তোমার জন্য, নিজেকে নতুন ভাবে সাজাও। বোকা মেয়ে তুমি, ব্যর্থ তুমি হওনি, ব্যর্থ সেই যে তার ওয়াদা রক্ষা করতে পারেনি! বলে রাখা যায়, ইতোমধ্যেই মুক্তি পেয়েছে রাজ রিপা অভিনীত সিনেমা ‘ময়না’। তবে ২০২০ সালে ‘দহন’ সিনেমায় একটি ছোট চরিত্রে প্রথম অভিনয় করেন তিনি। এরপর ইফতেখার চৌধুরী পরিচালিত ‘মুক্তি’ সিনেমায় অভিনয় করেন। সিনেমাটির নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন তিনি। সিনেমা ছাড়াও বেশ কিছু বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেছেন রাজ রিপা।