ওটিটিতে মিম বিরতির পর

ওটিটিতে মিম বিরতির পর মালদ্বীপের নীল জলরাশি আর ছুটির আমেজ পেরিয়ে দেশে ফিরেই সুখবর দিলেন অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম। কাজ থেকে কিছুদিন বিরতিতে থাকলেও নতুন কোনো গল্পের খোঁজ যে থেমে ছিল না, সেটাই এবার স্পষ্ট হলো। দেশে ফিরেই জানা গেল, প্রথমবারের মতো ওটিটি প্ল্যাটফর্মের একটি অরিজিনাল ফিল্মে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি। গ্ল্যামারের চেনা ছক ভেঙে ভিন্ন এক চরিত্রে মিমকে দেখার প্রস্তুতি শুরু হলো চরকিতে। ছবিটি পরিচালনা করছেন নির্মাতা কাজী আসাদ। এর আগে তিনি নির্মাণ করেছিলেন আলোচিত সিরিজ ‘আধুনিক বাংলা হোটেল’, যেখানে অভিনয় করেছিলেন মোশাররফ করিম। নতুন সিনেমাটি প্রসঙ্গে কাজী আসাদ জানান, এটি একটি আবেগনির্ভর গল্প। চলতি মাসেই সিনেমাটির শুটিং শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘এটা ইমোশনাল একটা গল্প। বিদ্যা সিনহা মিম আমাদের ইন্ডাস্ট্রির একজন পরীক্ষিত, মেধাবী ও গ্ল্যামারাস অভিনেত্রী। আমরা তাকে সাধারণত গ্ল্যামার লুকেই দেখি। কিন্তু মজাটা হচ্ছে- এই গ্ল্যামারের বাইরেও তাকে ভেঙে একেবারে নতুন ধরনের চরিত্রে কীভাবে উপস্থাপন করা যায়। আমরা সেই চ্যালেঞ্জটাই নিয়েছি।
গোবিন্দর স্ত্রী শাশুড়ির সঙ্গে থাকতেই আনন্দ পেতাম

গোবিন্দর স্ত্রী শাশুড়ির সঙ্গে থাকতেই আনন্দ পেতাম বলিউডের বরেণ্য অভিনেতা গোবিন্দ। ব্যক্তিগত জীবনে সুনীতা আহুজার সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন। দাম্পত্য জীবন ৩৯ বছর পার করছেন এই যুগল। টিনা ও যশবর্ধন নামে তাদের দুটো সন্তান রয়েছেন। যদিও দাম্পত্য জীবনের এ পর্যায়ে নানারকম তিক্ত পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। এ নিয়ে বছরজুড়ে সমালোচনা হয়েছে। গোবিন্দর মা সংগীতশিল্পী-অভিনেত্রী নির্মলা দেবী। ১৯৯৬ সালে মারা যান তিনি। বিয়ের পর শাশুড়িকে ৭ বছর পেয়েছিলেন সুনীতা। শাশুড়ির সঙ্গে সুনীতার ব্যক্তিগত সম্পর্ক দারুণ ছিল। এ নিয়ে জুম-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে খোলামেলা কথা বলেছেন সুনীতা। সুনীতা আহুজা বলেন, “গোবিন্দকে বিয়ে করার পর এক বছর বাড়ির বাইরে পা রাখিনি, যতদিন না টিনার (কন্যা) জন্ম হয়। আমার সম্পূর্ণ মনোযোগ ছিল সন্তান নেওয়া ও তাদের বড় করে তোলার দিকে। শাশুড়ি নির্মলা প্রসঙ্গে সুনীতা আহুজা বলেন, “শাশুড়ির সঙ্গে থাকতে আনন্দ পেতাম, কারণ আমি জানতাম গোবিন্দ তার মাকে খুব ভালোবাসে। আমি এখন যে প্রার্থনা ও আচার-অনুষ্ঠান পালন করি, সেগুলো আমার মা ও শাশুড়ির কাছ থেকেই শিখেছি। তাদের সেবা করে আমি আনন্দ পেতাম। গোবিন্দর মন জয়ের গোপন মন্ত্র ফাঁস করে সুনীতা আহুজা বলেন, “আমি জানি, আপনি যদি স্বামীকে সুখী রাখতে চান, তাহলে প্রথমেই রান্না শিখতে হবে। দ্বিতীয়ত, যদি গোবিন্দর মন জয় করতে চান, তাহলে তার মাকে ভালোবাসেন। বিয়ের পর এই বাড়িতে এসেছি শুধু আমার শাশুড়ির জন্য, গোবিন্দর জন্য নয়। তিন বছর প্রেম করে বিয়ে করেন গোবিন্দ-সুনীতা। তখন সুনীতার কেবল আঠারো বছর বয়সে পা রাখেন। গত বছর ‘টাইম আউট’ নামে একটি পডকাস্টে অতিথি হিসেবে হাজির হয়ে সুনীতা বলেছিলেন, “আমার বয়স যখন ১৮ বছর, তখন বিয়ে করি। আমরা খুবই কম বয়সে বিয়ে করেছি। কারণ তার (গোবিন্দ) মায়ের অনেক বয়স হয়েছিল। গোবিন্দ তার মায়ের ছোট সন্তান। গোবিন্দর মা ছেলের বিয়ে দিয়ে নাতি-নাতনির মুখ দেখতে চাচ্ছিলেন।
কখন আক্কেল দাঁত তোলা উচিত

কখন আক্কেল দাঁত তোলা উচিত আক্কেল দাঁত ওঠার যন্ত্রণা অনেকর ক্ষেত্রেই ভয়াবহ হয়ে দাঁড়ায়। অনেকের আবার আক্কেল দাঁত তুলে ফেলারও প্রয়োজন হয়। মুখের ভেতরে বেকায়দায় কোনো জায়গায় দাঁত ওঠা, ব্যথা, ক্যাভিটি, প্রদাহ, আক্কেল দাঁত সংলগ্ন অন্য কোনো দাঁত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ইত্যাদি কারণে এই দাঁত তুলে ফেলার প্রয়োজন হয়। কিন্তু এ ধরনের কোনো সমস্যা দেখা দেওয়ার আগেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে আক্কেল দাঁত তুলে ফেলা প্রয়োজন কিনা তা পর্যাপ্ত পরীক্ষা নিরীক্ষার পর একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বিশেষত মেক্সিলোফেসিয়াল সার্জন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। আক্কেল দাঁত কি: অনেকে মনে করেন ‘আক্কেল দাঁতের’ সঙ্গে জ্ঞানবুদ্ধি বা আক্কেলের সম্পর্ক রয়েছে। তবে এর সঙ্গে কোনো বিশেষ সম্পর্ক নেই। সাধারণত ১৭-২৫ বছরের মধ্যে উপরের ও নিচে উভয় চোয়ালের তৃতীয় বা দাঁতগুলো উঠে। এমন দাঁতের সংখ্যা ৪টি যাদের মেডিকেলের পরিভাষায় বলা হয় ‘থার্ড মোলার টুথ’। কখন ব্যথা হয়: বেশিরভাগ দাঁত ওঠার সময় ব্যথা অনুভূত না হলেও আক্কেল দাঁত বা থার্ড মোলার টুথ ওঠার ক্ষেত্রে অনেকের ব্যথার অনুভূতি হয়। প্রতিটি দাঁত উঠতে পর্যাপ্ত পরিমাণ জায়গার প্রয়োজন হয়। অনেকের ক্ষেত্রে দাঁত ওঠার সময় জায়গায় অভাব হয় যেমন-চোয়াল ছোট বা অতিরিক্ত দাঁতের উপস্থিতি বা সঠিক স্থানে দাঁত না ওঠা ইত্যাদি কারণে প্রয়োজনীয় স্থান সংকুলান না হলে দাঁত ওঠার সময় তার চারপাশে যে চাপ প্রয়োগ করে তাতে ব্যথা অনুভূত হয়। অনেক ক্ষেত্রে ব্যথা স্বাভাবিক মাত্রার ভেতর থাকে তবে ক্ষেত্রবিশেষে ইনফেকশন বা প্রদাহজনিত পরিস্থিতিতে আরও গুরুতর করে তোলে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি হয়ে পড়ে। দাঁত কখন তোলা হয়: যে কোনো দাঁত তোলার ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। কেননা সময়ের আগে দাঁত পড়ে যাওয়া বা দাঁত তুলে ফেলার ফলে ভবিষ্যতে বিভিন্ন জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। যেমন- দাঁত আঁকাবাঁকা হওয়া, সঠিক স্থানে দাঁত না ওঠা অথবা প্রয়োজনীয় স্থান সংকুচিত হয়ে দাঁত উঠতে বাধাগ্রস্থ হওয়া ইত্যাদি। তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ, পর্যাপ্ত বয়স, ইনফেকশন বা প্রদাহের উপস্থিতি এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা সম্পন্নের পর দাঁত তোলা যেতে পারে। আক্কেল দাঁত কখন তোলা হয় : আক্কেল দাঁত বা যেকোন দাঁত উঠতে সমস্যা হওয়া, ইনফেকশন বা প্রদাহের উপস্থিতি, প্রয়োজনীয় স্থানের অভাব বা কোন টিউমার বা সিস্টের উপস্থিতি থাকলে সাধারণত দাঁত তুলে ফেলার প্রয়োজন হয়। দাঁত তোলার দুটি পদ্ধতি আছে। সার্জিকাল এবং নন সার্জিকাল। সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে একজন অভিজ্ঞ ডেন্টাল সার্জন উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা সঠিকভাবে মেনে চলার দ্বারা চিকিৎসা পরবর্তী যেকোনো জটিলতা সহজেই এড়ানো যায়। কখন আক্কেল দাঁত সার্জারির প্রয়োজন হয় : যেকোনো দাঁত তোলার ক্ষেত্রেই সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে। দাঁতের গঠন কাঠামো অস্বাভাবিক হলে, স্বাভাবিক পন্থায় (নন সার্জিকাল) দাঁত তোলা না গেলে অথবা দাঁত যদি অর্ধেক বা পুরোপুরি মাড়ি বা চোয়ালের হাড়ের ভেতর অবস্থান করে তখন দাঁত তুলতে সার্জারির প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে বিজ্ঞ চিকিৎসকের পাশাপাশি রোগীকেও সার্জারির পূর্বে ও পরে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা আন্তরিকতার সঙ্গে মেনে চলা জরুরি। দাঁত তোলার পরবর্তী করণীয় : সাধারণত দাঁত তোলার পর ২৪ ঘণ্টা নরম খাবার খাওয়া, গরম খাবার এড়িয়ে চলা, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা লবন পানি দিয়ে কুলকুচি করা বা মাউথওয়াশ ব্যবহার করা ও অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের দ্বারা অধিকাংশ জটিলতা কেটে যায়। তবে সার্জিকাল এক্সট্রাকশনের ক্ষেত্রে সাময়িক সময়ের জন্য মুখ পরিপূর্ণ হা করতে বা জোরে হাসতে নিষেধ করা হয়। কারণ তাতে করে সেলাই ছুটে যাওয়া বা পুনরায় রক্তপাত হবার আশঙ্কা থাকে। তবে জটিলতা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় সেক্ষেত্রে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক যেমন ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জনের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি। লেখক: ডা. মেহেদী হাসান শিবলী, ওরাল এন্ড ডেন্টাল সার্জন, বিডিএস, বিসিএস
হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা পিটার গ্রিন মারা গেছেন

হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা পিটার গ্রিন মারা গেছেন হলিউডের জনপ্রিয় সিনেমা ‘দ্য মাস্ক’-এর অভিনেতা পিটার গ্রিন মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর। নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত শুক্রবার ১২ ডিসেম্বরনিউ ইয়র্ক সিটির নিজ ফ্ল্যাট থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পিটার গ্রিনের ম্যানেজার ও দীর্ঘদিনের বন্ধু গ্রেগ এডওয়ার্ডস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, নিউ ইয়র্কের লোয়ার ইস্ট সাইডে অবস্থিত অভিনেতার অ্যাপার্টমেন্ট থেকে টানা ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে উচ্চশব্দে গান বাজার আওয়াজ আসছিল। এরপর পুলিশের একটি দল সেখানে গিয়ে অভিনেতার মরদেহ উদ্ধার করে। তবে তার মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। দ্যা মাস্ক সিনেমায় মূলত ডোরিয়ান টাইরেলের খলচরিত্রে ছিলেন পিটার। পর্দায় তার তীক্ষ্ণ চাহনি, গম্ভীর কণ্ঠস্বর এবং ভয়ংকর খল চরিত্রের অভিনয় দর্শকদের মনে গভীর ছাপ ফেলেছিল। এছাড়াও ‘পাল্প ফিকশন’-এর জেড চরিত্রের জন্য তিনি কাল্ট ক্লাসিক ভক্তদের কাছে স্মরণীয় হয়ে আছেন। তবে পর্দায় ভয়ংকর সব চরিত্রে দেখা গেলেও ব্যক্তিজীবনে পিটার ছিলেন সম্পূর্ণ ভিন্ন স্বভাবের মানুষ। তার ম্যানেজার গ্রেগ এডওয়ার্ডস বলেন, ‘পিটারের চেয়ে ভালো ‘ভিলেন’ আর কেউ হতে পারত না। কিন্তু পর্দার বাইরে তার একটি কোমল দিক ছিল, যা খুব কম মানুষই দেখার সুযোগ পেয়েছেন। তিনি অত্যন্ত বড় মনের এবং দয়ালু একজন মানুষ ছিলেন। প্রিয় অভিনেতার মৃত্যুতে হলিউড সতীর্থ ও তার ভক্তরা স্যোশাল মিডিয়ায় শোক প্রকাশ করছেন। ইত্তেফাক/পিএস
শাহরুখ সাক্ষাৎ পেলেন মেসির

শাহরুখ সাক্ষাৎ পেলেন মেসির কলকাতার এক বিশেষ আয়োজনে মুখোমুখি হলেন দুই ভিন্ন জগতের দুই মহাতারকা ফুটবলের রাজপুত্র লিওনেল মেসি ও বলিউডের কিং খান শাহরুখ খান। শনিবারের এই সাক্ষাৎ শুধু একটি অনুষ্ঠানেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, বরং করমর্দন, আলাপচারিতা ও একসঙ্গে তোলা ছবির মাধ্যমে তা মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে ইন্টারনেটজুড়ে। অনুষ্ঠানে শাহরুখ খানের ছোট ছেলে আব্রাম খানকেও দেখা যায় মেসির পাশে। ফুটবল মহাতারকার সঙ্গে আব্রামের হাসিমুখে ছবি ভক্তদের আবেগ আরও বাড়িয়ে দেয় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তৈরি করে আলাদা উন্মাদনা।‘গোট ট্যুর অব ইন্ডিয়া ২০২৫’-এর অংশ হিসেবে ভারতে সফর করছেন লিওনেল মেসি। সেই সফরের অংশ হিসেবে শনিবার কলকাতায় এসে তিনি অংশ নেন এক বিশেষ মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠানে। সেখানেই প্রথমবারের মতো কিং খানের সঙ্গে তার সরাসরি সাক্ষাৎ হয়। অনুষ্ঠানের মঞ্চে দুজনের করমর্দন, সংক্ষিপ্ত কথোপকথন ও বন্ধুত্বপূর্ণ মুহূর্ত উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করে। এ সময় মেসি আলাদাভাবে আব্রামের সঙ্গেও ছবি তোলেন, যা অনুষ্ঠানের সবচেয়ে আলোচিত দৃশ্যগুলোর একটি হয়ে ওঠে। অনুষ্ঠান শেষে মেসি শহরের ঐতিহ্যবাহী সল্ট লেক স্টেডিয়ামের উদ্দেশে রওনা দেন। অন্যদিকে শাহরুখ খান সেখান থেকেই মুম্বাই ফিরে যান। তবে কলকাতায় এই স্বল্প সময়ের সাক্ষাৎই রয়ে গেল ভক্তদের মনে দীর্ঘদিনের স্মৃতি হয়ে।
১ বিলিয়ন ডলার আয়, কী আছে ‘জুটোপিয়া টু’ সিনেমায়

১ বিলিয়ন ডলার আয়, কী আছে ‘জুটোপিয়া টু’ সিনেমায় বিশ্বজুড়ে বক্স অফিসে নতুন ইতিহাস তৈরি করল অ্যানিমেশন ছবি ‘জুটোপিয়া টু’। মুক্তির মাত্র সতেরো দিনের মধ্যেই ছবিটি বিশ্বব্যাপী ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঘর অতিক্রম করেছে। এর মধ্য দিয়ে সর্বকালের দ্রুততম পারিবারিক শ্রেণির ছবি হিসেবে এই মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলল ডিজনির এই অ্যানিমেশন সিক্যুয়েল। ডিজনির প্রযোজনায় নির্মিত ছবিটি এখন পর্যন্ত নিজ দেশের বাজার থেকে আয় করেছে প্রায় ২৩২ কোটি মার্কিন ডলার। সেইসঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে এসেছে প্রায় ৭৫৩ কোটি মার্কিন ডলার। সব মিলিয়ে মোট আয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ৯৮৬ কোটি মার্কিন ডলার। দ্রুতই ১ বিলিয়ন ডলারের সীমা পেরিয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চলতি বছরে এটি তৃতীয় ছবি হিসেবে ১ বিলিয়ন ডলারের ক্লাবে প্রবেশ করল। এর আগে ডিজনির ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’ এবং চীনের অ্যানিমেশন ব্লকবাস্টার ‘নে ঝা টু’ এই কীর্তি গড়েছিল। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এখন পর্যন্ত মাত্র তেরোটি অ্যানিমেশন ছবি ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করতে পেরেছে। তার মধ্যে ১০টিই ডিজনির প্রযোজনা। ডিজনি অ্যানিমেশন স্টুডিওর প্রধান সৃজনশীল কর্মকর্তা জ্যারেড বুশ বলেন, এই ছবিতে আমাদের প্রতিটি সদস্য তাদের হৃদয় ও সৃজনশীলতা উজাড় করে দিয়েছে। এই সাফল্য আমাদের কাছে শুধু অর্থনৈতিক অর্জন নয়, বরং সারা বিশ্বের দর্শক একসঙ্গে প্রেক্ষাগৃহে বসে ছবি দেখছে এই অভিজ্ঞতারই স্বীকৃতি। এটাই ‘জুটোপিয়া’র স্বপ্ন। প্রথম ‘জুটোপিয়া’ ছবিটি মুক্তির নয় বছর পর দ্বিতীয় কিস্তি মুক্তি পায় থ্যাংক্স গিভিং উৎসবকে সামনে রেখে। মুক্তির প্রথম পাঁচ দিনের ছুটিতে উত্তর আমেরিকায় ছবিটি আয় করে প্রায় ১৫৮ কোটি ডলার এবং বিশ্বজুড়ে আয় দাঁড়ায় প্রায় ৫৫৯ কোটি ডলার। এটি পারিবারিক অ্যানিমেশন ছবির ইতিহাসে অন্যতম সেরা সূচনা। চীনের বাজারেও ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ‘জুটোপিয়া টু’। সেখানে ছবিটির আয় এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৩০ কোটি মার্কিন ডলার। দেশটিতে এটি বিদেশি ছবির মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয় করা ছবি হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। জ্যারেড বুশ ও বায়রন হাওয়ার্ড পরিচালিত এই ছবিতে প্রাণীদের শহরে আবারও দেখা যায় খরগোশ পুলিশ কর্মকর্তা ও ধূর্ত শিয়াল জুটিকে। নতুন এক রহস্যময় সরীসৃপ চরিত্রকে ঘিরে এগোয় গল্প। সমালোচকদের প্রশংসা, দর্শকের মুখে মুখে প্রশংসা আর পারিবারিক দর্শকের দীর্ঘদিনের অপেক্ষাদ; সব মিলিয়েই বক্স অফিসে দুর্দান্ত সাফল্য এনে দিয়েছে ‘জুটোপিয়া টু’। এলআইএ
এটি আত্মসম্মানের প্রতীক ১৮ কেজি ওজন কমিয়ে বাঁধন বললেন

এটি আত্মসম্মানের প্রতীক ১৮ কেজি ওজন কমিয়ে বাঁধন বললেন ক্যামেরার আলো, পর্দার সৌন্দর্য আর দর্শকের প্রত্যাশা সব মিলিয়ে নায়িকা বা শিল্পীদের ওজন কমানো নিয়ে থাকে বাড়তি আলোচনা। কখনো চরিত্রের প্রয়োজনে, আবার কখনো ব্যক্তিগত সুস্থতার জন্য এই পরিবর্তন নিয়ে আসেন অনেক তারকা, যা ভক্তদের কৌতূহল ও চর্চার বিষয় হয়ে ওঠে। এবার ৬ মাসে ১৮ কেজি ওজন কমিয়ে ভক্তদের চর্চায় উঠে এলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন।আজ সামাজিক মাধ্যমে পৃথক ছবি শেয়ার করে নিজের এই রূপান্তরের পার্থক্য দেখিয়েছেন অভিনেত্রী। সেই সঙ্গে শেয়ার করেছেন এই ছয় মাসের অভিজ্ঞতা। বাঁধন লিখেছেন, ‘৭৮ কেজি থেকে ৬০ কেজি আমি এটি করেছি! এই যাত্রা সহজ ছিল না। মানসিক স্বাস্থ্য সংগ্রাম, অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস ও বংশগত কারণে ওজন বৃদ্ধিকে তুচ্ছ করার ফলস্বরূপ আমার ওজন বেড়েছিল। কিন্তু সঠিক চিকিৎসকের নির্দেশনা, ডিসিপ্লিন এবং আত্মবিশ্বাসের জোরে আমি মাত্র ৬ মাসে ১৮ কেজি ওজন কমাতে পেরেছি। অভিনেত্রী জানান, তার সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল তার মেয়ে। মেয়েই তাকে শরীরচর্চা করতে, জাঙ্ক ফুড থেকে দূরে থাকতে এবং প্রতিদিন নিজেকে বিশ্বাস করতে অনুপ্রাণিত করেছে। তিনি বলেন, ‘এটি শুধু ওজন কমানো নয়- এটি নিরাময়, শক্তি এবং আত্মসম্মানেরও প্রতীক; এখনো এগিয়ে চলছি। বর্তমানে নির্মাতা তানিম নূরের নতুন সিনেমা ‘বনলতা এক্সপ্রেস’ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এটি হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে। অভিনেত্রী বলেন, ‘এই সিনেমার নির্মাতা ও সহশিল্পীরা আমার ভীষণ পছন্দের। তানিম নূর যখন এই চরিত্রের কথা বলল, তখন আমার মেয়ে বলেছে, তুমি এটি করো। কারণ আমাকে নাকি সব সময় সিরিয়াস আর অবসাদগ্রস্ত চরিত্রে দেখা যায়। আর হুমায়ূন আহমেদ যে আমার কত পছন্দের, সেটা সবাই জানে। অনেক বছর পর তার গল্পে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি। এটা আমার কাছে বিশেষ কিছু।
যতবার সুযোগ আসবে, ততবার মেসিকে দেখতে যাবে শুভশ্রী

যতবার সুযোগ আসবে, ততবার মেসিকে দেখতে যাবে শুভশ্রী গতকাল কলকাতায় এসেছিলেন আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি ফুটবলার লিওনেল মেসি। ফুটবলের জাদুকরকে একঝলক দেখার জন্য উপচে পড়েছিল হাজার হাজার ভক্ত। এতে করে তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা। অভিযোগ ওঠে, হাজার হাজার টাকা খরচ করেও প্রিয় তারকা মেসিকে ঠিকমতো দেখার সুযোগ পাননি ভক্তরা। এই ক্ষোভ ও অসন্তোষের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এক পর্যায়ে এই আগুনের আঁচ গিয়ে লাগে ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলির উপরে। মেসিকে দেখতে পারেননি তার ভক্তরা। তাহলে শুভশ্রীকে কেন আক্রমণ করে মন্তব্য করছেন নেটিজেনরা? মূলত, গতকাল মেসিকে দেখতে শুভশ্রীও গিয়েছিলেন। কারণ তারও প্রিয় ফুটবলার মেসি। তারকা ফুটবলারের সঙ্গে দেখা করে তার সঙ্গে ক্যামেরাবন্দিও হন এই নায়িকা; যা তার ফেসবুকে পোস্ট করেন। এ ছবি দেখে ‘নোংরা’ মন্তব্য যেমন করেছেন, তেমনই কটাক্ষ করেও মন্তব্য করেছেন। এ পরিস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন শুভশ্রীর স্বামী, পরিচালক-বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী। স্ত্রী স্বপক্ষে দাঁড়িয়ে রাজ পরিষ্কার ভাষায় ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে বলেন, “আগামী দিনে যতবার সুযোগ আসবে, ততবার মেসিকে দেখতে যাবে শুভশ্রী। অন্য অনেকের মতো আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন শুভশ্রী। আয়োজক কর্তৃপক্ষ শুভশ্রীকে উপস্থিত রাখার সিদ্ধান্ত নেন। এ তথ্য স্মরণ করে রাজ চক্রবর্তী বলেন, “শুভশ্রী কিন্তু ‘মিট অ্যান্ড গ্রিট সেশন’-এ মেসির মুখোমুখি হয়েছে। কথাবার্তার পর ছবি তুলেছে, মাঠে যায়নি। অনেকে মাঠে মেসির পাশে দাঁড়িয়ে ক্রমাগত ছবি তুলেছেন। তাদের কেন বলা হচ্ছে না? শুভশ্রী একা কেন ক্রমাগত আক্রমণের শিকার? শুভশ্রীর পারিবারিক পরিচয়, তার শারীরিক গড়ন নিয়েও কটূক্তি করেছেন অনেকে। এ বিষয়ে রাজ চক্রবর্তী বলেন, “শুধু তারকা নয়, তথাকথিত সভ্য সমাজে নারী এখনো ‘সফট টার্গেট’। তিনি তারকা না-ও হতে পারেন। যেমন: কোনো তরুণী যদি ছোট পোশাকে সেজে মেসির কাছে যেতেন, তার আশেপাশে থাকতেন, উল্লাসে মাততেনতাকেও একইভাবে কটাক্ষের শিকার হতে হতো। তার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এলে আক্রমণের মুখে পড়তে হতো।
মেহজাবীন অবকাশ যাপনে কোথায় গেছেন

মেহজাবীন অবকাশ যাপনে কোথায় গেছেন দীর্ঘ ১৩ বছরের প্রেমের পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পরিচালক আদনান আল রাজীবের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। এই তারকা দম্পতি এখন সুখী দাম্পত্যজীবন উপভোগ করছেন। এবার একান্ত অবকাশ যাপনে এই জুটি উড়াল দিয়েছেন প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি মালদ্বীপে। সেখানে কাটানো বিশেষ মুহূর্তগুলোর একগুচ্ছ ছবি অভিনেত্রী তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে শেয়ার করেছেন। শেয়ার করা ছবিগুলোতে দেখা যায়, সমুদ্রের তীরে খোশ মেজাজে ক্যামেরাবন্দী হয়েছেন এই তারকা জুটি। দু’জনের মিষ্টি হাসি ছবিগুলোকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘নিঃশব্দে সাগরের কাছে। অভিনেত্রীর এই ছবিগুলো প্রকাশের পর পরই কমেন্ট বক্সে উপচে পড়েছে ভক্ত-অনুরাগীদের ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা। অনেকেই এই তারকা জুটির বেশ প্রশংসা করেছেন। একজন নেটিজেন লিখেছেন, ‘আমি এই দৃশ্যের প্রেমে পড়ে যাবো।’ আরেকজন তাঁদের অভিনন্দন জানিয়ে লিখেছেন, ‘অনেক সুন্দর লাগছে দুজনকে অভিনন্দন।
৩ পানীয় ত্বকের বলিরেখা কমাতে পান করুন

৩ পানীয় ত্বকের বলিরেখা কমাতে পান করুন বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকে বিরূপ প্রভাব পড়ে। চোখের চারপাশে কালো ছোপ পড়ে, চামড়া ঝুলে যায় আর কপালে চিন্তার ভাঁজ আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। মূলত অধিক মানসিক চাপ, ডিহাইড্রেশন এবং পুষ্টির অভাবেও ত্বকের বয়স বেড়ে যায়। ত্বকের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং কোলাজেন উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে ত্বকের স্বাভাবিক সৌন্দর্য হারিয়ে যায়। তবে সঠিক জীবনযাপন ও উপকারী খাদ্যাভ্যাসের অভ্যাস ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে ভূমিকা রাখে। ত্বকের হারানো সৌন্দর্য ফিরে পেতে নিয়মিত কিছু পানীয় পান করুন। বেদানা ও পুদিনার রিফ্রেশনার : বেদানা ও পুদিনা স্বাস্থ্যের যেমন উন্নতি ঘটায়, তেমনই ত্বকের জন্যও উপকারী। বেদানায় পলিফেনল ও ভিটামিন সি রয়েছে, যা ত্বকের কোষকে ক্ষয়ের হাত থেকে সুরক্ষিত রাখে। পুদিনা শরীর ঠান্ডা রাখে এবং হজমে সহায়তা করে। এক বাটি বেদানার রসের সঙ্গে পুদিনা পাতা, পাতিলেবুর রস এবং পানি মিশিয়ে পান করুন। নিয়মিত পানে ত্বক উজ্জ্বল হবে। আদা-হলুদ মিশ্রিত পানীয় : হলুদ দিয়ে রূপচর্চা করলে উজ্জ্বলতা বাড়ে। আবার হলুদ খেলেও ত্বকের বলিরেখা কমে। কেননা হলুদে থাকে কারকিউমিন, যা ত্বকের যাবতীয় সমস্যা দূর করতে সহায়ক। আদাও প্রদাহ কমায় এবং একাধিক রোগ প্রতিরোধ করে। কাঁচা হলুদ ও আদা একসঙ্গে মিক্সারে দিয়ে তার জুস বানিয়ে নিন। এটি গরম পানিতে মিশিয়ে খালি পেটে পান করুন। গাজর ও কমলালেবুর জুস: শীতে ত্বক ভালো রাখতে পান করতে পারেন গাজর ও কমলালেবুর জুস। কমলালেবুতে থাকা ভিটামিন সি এবং গাজরের মধ্যে থাকা বিটা-ক্যারোটিন ত্বকের হারানো সৌন্দর্য ফেরাতে সহায়ক। ১টা কমলালেবুর রসের সঙ্গে অর্ধেক গাজর ব্লেন্ড করে রস ছেকে খেয়ে নিন। এর সঙ্গে চিয়া সিডস মিশিয়ে খেতে পারেন।