সংগীতাঙ্গনের অমূল্য রত্ন ফরিদা পারভীনের অবস্থা সংকটাপন্ন

সংগীতাঙ্গনের অমূল্য রত্ন ফরিদা পারভীনের অবস্থা সংকটাপন্ন বাংলা সংগীতাঙ্গনের অমূল্য রত্ন, লালন সংগীতের মহীরুহ ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে আছেন তিনি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে এই কিংবদন্তি শিল্পীকে। শনিবার ১৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে ফরিদা পারভীনের মেয়ে জিহান ফারিহা সাংবাদিকদের বলেছেন, “আম্মার অবস্থা আগের থেকে অনেক খারাপ। তাকে জেনারেশন ফোর মেডিসিন প্রয়োগ করা হয়েছে। ছয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ডাক্তাররা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে, শিল্পীর বড় ছেলে ইমাম জাফর নুমানী বৃহস্পতিবার রাতে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, “গত বুধবার বিকেল থেকে আম্মাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে গেছে, ব্লাড প্রেশারও নেই। ডাক্তাররা কৃত্রিমভাবে তার শ্বাস-প্রশ্বাস ও রক্তচাপ চালু রাখছেন। তবে, দুঃখজনক হলেও সত্যি, উন্নতির সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। ফরিদা পারভীনের পরিবারের সদস্যরা আরো জানিয়েছেন, সরকারের কয়েকটি মন্ত্রণালয় নিয়মিত খোঁজ-খবর নিচ্ছে। তবে, চিকিৎসার জন্য কোনো আর্থিক বা অতিরিক্ত সহায়তার প্রয়োজন নেই। পরিবারের একটাই অনুরোধ সবাই যেন ফরিদা পারভীনের জন্য দোয়া করেন। ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী বলেছেন, “ফরিদা পারভীন এখন লাইফ সাপোর্টে আছেন। তার কিডনি, মস্তিষ্ক কাজ করছে না, ফুসফুসে জটিলতা দেখা দিয়েছে। হৃদযন্ত্রে অনিয়মিত স্পন্দন আছে, রক্তের সংক্রমণ পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমানে তিনি মাল্টি অর্গান ফেইলিউরে ভুগছেন। রক্তচাপ অত্যন্ত কম থাকায় ডায়ালাইসিস সম্ভব হয়নি। তাকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছে। ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা পর বোঝা যাবে, অবস্থা কোন দিকে যাবে। চলতি বছরের শুরুতেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল ফরিদা পারভীনকে। চিকিৎসা শেষে বাসায় ফেরেন। আবারও গত ৫ জুলাই গুরুতর শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে আইসিইউতে চিকিৎসা নিতে হয় তাকে। কিছুটা সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরলেও নিয়মিত রুটিন চিকিৎসা চলছিল। গত বুধবার থেকে হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থার গুরুতর অবনতি হয়। ক্যারিয়ারের শুরুতে দেশাত্মবোধক গান গাইলেও লালন সংগীতের মাধ্যমেই গড়ে ওঠে ফরিদা পারভীনের নিজস্ব পরিচয়। গুরুদের সাহচর্যে তিনি লালনের গানকে হৃদয়ের গভীরতা দিয়ে উপলব্ধি করেছেন এবং সেই আবেগেই গেয়েছেন ‘মিলন হবে কত দিনে’, ‘অচিন পাখি’সহ অসংখ্য কালজয়ী গান। ১৯৭৮ সালে সংগীতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একুশে পদক পান ফরিদা পারভীন। পরে জাপান সরকার তাকে সম্মানিত করে কুফুওয়া এশিয়ান কালচারাল পদক দিয়ে। দেশ-বিদেশে অসংখ্য সম্মাননা অর্জন করেছেন তিনি। কেবল গানের মঞ্চেই নয়, লালন সংগীতকে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘অচিন পাখি স্কুল’, যেখানে শিশু-কিশোরদের শেখানো হয় লালনের আধ্যাত্মিক দর্শন ও সংগীত।

বিদেশি সিনেমা টিভি সিরিজ দেখার অপরাধে মৃত্যুদণ্ড

বিদেশি সিনেমা টিভি সিরিজ দেখার অপরাধে মৃত্যুদণ্ড উত্তর কোরিয়ার সরকার এখন আগের চেয়ে আরও বেশি মানুষকে মৃত্যুদণ্ড দিচ্ছে বিশেষ করে যারা বিদেশি সিনেমা ও টিভি সিরিজ দেখে বা তা ছড়িয়ে দেয়, তাদের ক্ষেত্রে। জাতিসংঘের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন এই একনায়কতান্ত্রিক রাষ্ট্র এটির জনগণের স্বাধীনতা আরও কঠোরভাবে দমন করছে এবং তাদের জোরপূর্বক শ্রমে নিয়োজিত করছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।জাতিসংঘ মানবাধিকার দফতর জানায়, গত এক দশকে উত্তর কোরিয়া তার নাগরিকদের জীবনের প্রতিটি দিক আরও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে।প্রতিবেদনে বলা হয়, আধুনিক বিশ্বে আর কোনো জনগোষ্ঠীর ওপর এত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়নি। এতে আরও বলা হয়, নজরদারির মাত্রা অনেক বেড়েছে, যা আংশিকভাবে প্রযুক্তির অগ্রগতির কারণে সম্ভব হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বলেন, যদি এই পরিস্থিতি চলতেই থাকে, তাহলে উত্তর কোরিয়ার জনগণ দীর্ঘদিন ধরে যেসব ভোগান্তি, নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন ও ভয়াবহ অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, তা আরও বেড়ে যাবে। গত ১০ বছরে উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে আসা ৩শ’ জনের বেশি মানুষের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তৈরি করা এই প্রতিবেদনে বলা হয়, মৃত্যুদণ্ডের হার বেড়ে গেছে। ২০১৫ সালের পর অন্তত ৬টি নতুন আইন চালু হয়েছে যা বিভিন্ন অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ড প্রযোজ্য করেছে। এর মধ্যে একটি অপরাধ হলো বিদেশি চলচ্চিত্র ও টিভি কনটেন্ট দেখা বা শেয়ার করা। কিম জং উন জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির সুযোগ সীমিত করতে এই কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন। ২০১৯ সালের পর পালিয়ে আসা লোকেরা জানান, ২০২০ সাল থেকে বিদেশি কনটেন্ট বিতরণের জন্য মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সংখ্যা বেড়ে গেছে। তারা বলেন, এসব মৃত্যুদণ্ড জনসমক্ষে গুলি করে কার্যকর করা হয়, যাতে জনগণের মধ্যে ভয় সৃষ্টি হয় এবং কেউ আইন ভঙ্গ না করে। ২০২৩ সালে পালিয়ে আসা উত্তর কোরিয়ান কাং গিউরি বলেন, তার তিন বন্ধু দক্ষিণ কোরিয়ার কনটেন্ট রাখার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড পান। তিনি একজন ২৩ বছর বয়সী বন্ধুর বিচারে উপস্থিত ছিলেন, যিনি মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হন। তিনি বলেন, ‘সে মাদকাসক্ত অপরাধীদের সঙ্গে একসঙ্গে বিচার পেয়েছিল। এখন এই ধরনের অপরাধকে একে অপরের সমান বলে মনে করা হয়।তিনি আরও বলেন, ২০২০ সালের পর থেকে জনগণ আরও বেশি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এসব ঘটনা উত্তর কোরিয়ার জনগণের বিগত দশকের প্রত্যাশার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ২০১১ সালে কিম জং উন ক্ষমতায় এলে অনেকেই আশা করেছিলেন পরিস্থিতির উন্নতি হবে, কারণ তিনি বলেছিলেন জনগণকে আর ‘কষ্ট করে বাঁচতে হবে না’ অর্থাৎ তারা পর্যাপ্ত খাবার পাবে। তিনি দেশটির পারমাণবিক শক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু জাতিসংঘ বলছে, ২০১৯ সালে পশ্চিমা বিশ্ব ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বন্ধ করে কিম যখন তার অস্ত্র কর্মসূচিতে জোর দেন, তখন থেকেই মানুষের জীবনযাত্রার মান এবং মানবাধিকার পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। ২০১৮ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে পালিয়ে আসা এক তরুণী বলেন, ‘কিম জং উনের শাসনের প্রথমদিকে কিছু আশা ছিল, কিন্তু তা বেশিদিন টেকেনি। তিনি আরও বলেন, ‘সরকার ধীরে ধীরে মানুষের স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করার পথ বন্ধ করে দেয়, আর প্রতিদিন বেঁচে থাকাটাই এক ধরনের যন্ত্রণায় পরিণত হয়। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘গত ১০ বছরে সরকার জনগণের ওপর প্রায় সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে, যার ফলে তারা নিজেদের অর্থনৈতিক, সামাজিক বা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, উন্নত নজরদারি প্রযুক্তি এই দমন-পীড়ন আরও সহজ করেছে। সূত্র: বিবিসি নিউজ।

ধর্মগুরুদের যৌন নির্যাতনের বিরুধে সোচ্ছার হতে নির্দেশ পোপের

ধর্মগুরুদের যৌন নির্যাতনের বিরুধে সোচ্ছার হতে নির্দেশ পোপের ভ্যাটিকানের প্রকাশিত এক বার্তায় ক্যাথলিক চার্চের ধর্মগুরুদের সংঘটিত যে কোনো যৌন নির্যাতনের বিরুধে সোচ্ছার হতে বিশপদের নির্দেশ দিয়েছেন পোপ লিও। সেই সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগগুলোও যেন সামনে এনে নিস্পত্তি করা হয়, সেই পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, সাম্প্রতিক দশকগুলোতে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে যৌন নির্যাতনের কেলেঙ্কারি চার্চকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং নৈতিক কণ্ঠস্বর হিসেবে এর অবস্থানকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এই ঘটনাগুলো ব্যয়বহুল মামলার সূত্রপাত করেছে এবং এর ফলে বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট বিশপ পদত্যাগ করেছেন। বিশ্বজুড়ে ক্যাথলিক ডায়োসিসের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নিযুক্ত প্রায় ২০০ বিশপের সঙ্গে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে পোপ বলেন, ‘(অভিযোগ) গোপন রাখা যাবে না। ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তদের প্রতি করুণা এবং সত্যিকারের ন্যায়বিচারের অনুভূতি নিয়ে তাদের মুখোমুখি হতে হবে। পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুর পর মে মাসে নির্বাচিত লিও এর আগে পুরোহিতদের যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে ‘দৃঢ় এবং সিদ্ধান্তমূলক’ হতে বলেছেন। ১২ বছর ধরে ১.৪ বিলিয়ন সদস্যের চার্চের নেতৃত্ব দেওয়া ফ্রান্সিসও ধর্মীয় গুরুদের ঘটানো যৌন নির্যাতনের ঘটনাগুলো দমন করাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকারে রেখেছিলেন। তবে এর ফলাফল মিশ্র ছিল। নতুন বিশপদের সঙ্গে বৈঠকে লিও ফ্রান্সিসের অগ্রাধিকারের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছেন। বিশপদের সকলকে স্বাগত জানিয়ে একটি গির্জা তৈরি করতে উৎসাহিত করেছেন, যেমনটি প্রয়াত পোপ প্রায়শই আহ্বান জানিয়েছিলেন। ভ্যাটিকানের সারসংক্ষেপ অনুসারে, লিও ধর্মযাজকদের বলেছেন, ‘আমাদের সময়ের পুরুষ ও নারীরা যে প্রশ্নগুলো জিজ্ঞাসা করছেন, তার উত্তর দেওয়ার জন্য তাদের (বিশপদের) বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ পুনর্নবীকরণ করা উচিত। ২৫ বছর আগে সেমিনারিতে শেখা প্রস্তুতিমূলক উত্তরগুলো যথেষ্ট নয়।

সৌদিতে প্রথম নারীর খেলার টিভি চ্যানেল

সৌদিতে প্রথম নারীর খেলার টিভি চ্যানেল সৌদি আরবে শুধু নারীকে খেলা দেখানোর একটি টিভি চ্যানেল চালু হয়েছে। দেশটির নারী প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলের ম্যাচ ও অন্যান্য ইভেন্ট চ্যানেলটিতে দেখানো হবে। এটি চব্বিশ ঘণ্টা চলবে এবং চব্বিশ ঘণ্টাই নারীর বিভিন্ন খেলা প্রচারিত হবে। সৌদি আরবে চ্যানেলটি চালু করেছে অল ওমেন্স স্পোর্টস নেটওয়ার্ক (এডব্লিউএসএন)। সৌদির ফুটবল ফেডারেশন এবং জাতীয় ব্রডকাস্টার সৌদি স্পোর্টস কোম্পানির সঙ্গে পার্টনারশিপ ভিত্তিতে চ্যানেলটির যাত্রা শুরু হয়েছে।‘এসএসজি এডব্লিউএসএন’ নামের এ চ্যানেলটির সম্প্রচার এমবিসি শহীদ স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে। ভিশন ২০৩০ সামনে রেখে সৌদি আরবে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। দেশটির নারীকে আগের যে কোনো বিষয় থেকে এখন বেশি স্বাধীনতা দেওয়া হচ্ছে। তারা নিজেরা গাড়ি চালানোর অনুমতিও পেয়েছেন। সূত্র: আল-জাজিরা।

হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা‘চিতাবাঘ’ আখ্যা দিলেন জামায়াতে ইসলামীকে

হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা‘চিতাবাঘ’ আখ্যা দিলেন জামায়াতে ইসলামীকে বাংলাদেশে সাবেক ভারতীয় হাইকমিশনার ও ভারতের সাবেক পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা জামায়াতে ইসলামীকে ‘চিতাবাঘ’ আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশে দলটির ভূমিকা সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে ‘আমরা কি বাংলাদেশের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত?’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেছেন। খবর দ্য টেলিগ্রাফ অনলাইন। হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা জানিয়েছেন, বাংলাদেশসহ প্রতিবেশীদের সাথে সহযোগিতামূলকভাবে কাজ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ভারত। তবে নয়া দিল্লিকে অবশ্যই তার মূল স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করে এমন যেকোনো ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে। সাবেক এই কূটনীতিক বলেছেন, “এটা বলা যায় যে, ক্ষমতায় যারা আসবে তাদের সাথেই আমরা কাজ করব। কিন্তু যদি কেউ আপনার স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করে, তাহলে আপনাকে সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। ভারত প্রতিবেশীদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতিকে সম্মান করে উল্লেখ করে রাজ্যসভার এই সদস্য বলেছেন, “যেসব দেশের সাথে আমাদের সীমান্ত রয়েছে, সেখানে স্রেফ অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে কিছু নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়ন নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ছাত্র শিবিরের বিজয়ের কথা উল্লেখ করে শ্রিংলা জানান, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ‘সহায়ক বাহিনী’ হিসেবে এই সংগঠনের ভূমিকা ছিল। তিনি বলেন, “তাদের হাতে রক্ত ​​লেগে আছে এবং তারা মুসলিম ব্রাদারহুডেরও একটি অংশ। বাংলাদেশ, মিশর, পাকিস্তান ও বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে একই মুসলিম ব্রাদারহুড বিদ্যমান। এবং এই চিতাবাঘ তার অবস্থান পরিবর্তন করবে না। ৬৩ বছর বয়সী এই সাবেক কূটনীতিক ভারতের সীমান্তে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের তৎপরতার কথা তুলে ধরে বাংলাদেশে পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান পদচিহ্নের দিকেও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এটি “বিদ্বেষী শক্তির মধ্যে যোগসাজশের একটি প্রকৃত বিপদ তৈরি করেছে, যা মূলত জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার ব্যবস্থা সমর্থন করছে। বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে পারে এমন সম্ভাবনার কথাও স্বীকার করেছেন হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।

ইসরায়েলের বিমান হামলা সিরিয়ায়

ইসরায়েলের বিমান হামলা সিরিয়ায় সিরিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় দুই প্রদেশ হোমস এবং লাতাকিয়ায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। মঙ্গলবার ৯ সেপ্টেম্বর অঞ্চলগুলোতে অবস্থিত সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে চালানো হয় এই হামলা। আজ সকালে এক প্রতিবেদনে খবরটি নিশ্চিত করেছে বিবিসি। হামলায় টার্গেট করা হয় একটি বিমান ঘাঁটি, সামরিক ব্যারাকসহ বেশ কয়েকটি অস্ত্রাগার। এতে বেশ ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যম। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। অপরদিকে, এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সহিংসতা থামাতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সিরিয়া প্রশাসন। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর ১শ’র বেশি দফায় সিরিয়ায় অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েল। এর আগে, সোমবার গভীর হোমস এবং পালমিরার পাশাপাশি উপকূলীয় শহর লাতাকিয়াতেও হামলা চালায় ইসরায়েল। ব্রিটেন ভিত্তিক যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) বলেছে, হোমসের কাছে ইসরায়েলি হামলাটি শহরের দক্ষিণে একটি সামরিক ইউনিটকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছিল। তবে এতেও হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।

আজও রাস্তায় তরুণরা বিক্ষোভে উত্তাল নেপাল

আজও রাস্তায় তরুণরা বিক্ষোভে উত্তাল নেপাল   নেপালে দুর্নীতি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে তরুণদের আন্দোলন রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশের বিভিন্ন জেলায়। সহিংসতায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১৯ জন, আর দেশজুড়ে একাধিক এলাকায় কারফিউ জারি করেছে প্রশাসন। নেপালি সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবারেও ৯ সেপ্টেম্বর রাস্তায় নামতে শুরু করেছেন নেপালের তরুণরা। সকাল থেকেই দেশটির পার্লামেন্ট ভবনের সামনে তরুণরা জড়ো হচ্ছেন। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, মঙ্গলবার সকাল থেকেই নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর নতুন বানেশ্বরে পার্লামেন্ট ভবনের সামনে তরুণরা জড়ো হতে শুরু করেছেন। তাদের হাতে কোনো ব্যানার বা প্ল্যাকার্ড নেই। সেখানে এক অংশগ্রহণকারী বলেন, “গতকালের ঘটনাই সরকারের ব্যর্থতা প্রমাণ করেছে। তাই আমি তরুণদের পাশে দাঁড়াতে এসেছি। এর আগে সোমবার দুর্নীতি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে ‘জেনারেশন জি’-এর বিক্ষোভে ১৯ জন নিহত হন। এ ঘটনায় সরকার যে দমননীতি অনুসরণ করেছে, তার তীব্র সমালোচনা করেছে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলীয় নেতারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসন রিং রোড ঘিরে কাঠমান্ডুর বড় অংশে সকাল ৮টা ৩০ মিনিট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করেছে। পাশাপাশি ললিতপুর জেলাতেও আলাদা কারফিউ জারি হয়েছে। কাঠমান্ডু পোস্ট বলছে, দুর্নীতি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে তরুণদের আন্দোলন রাজধানীর বাইরে বিভিন্ন জেলায়ও ছড়িয়ে পড়েছে। সোমবার দেশজুড়ে একাধিক শহরে তরুণরা বিক্ষোভে অংশ নেন। বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে দামাক, বীরাটমোড়, ইটাহারি, বীরাটনগর, জনকপুর, ভরতপুর, পোখারা, বীরগঞ্জ, বুটওয়াল, ভৈরহাওয়া, তুলসিপুর ও ধানগড়িসহ বিভিন্ন শহরে। অনেক জায়গায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ হয়েছে। এর মধ্যে সুনসারির ইটাহারি সাব-মহানগর কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সহিংস রূপ নিলে পুলিশ গুলি চালায়। এতে দুইজন নিহত ও একজন আহত হন। বিক্ষোভকারীরা কার্যালয়ের মূল ফটক, মেয়রের দপ্তর ও দুটি বাড়ি ভাঙচুর করে। ঘটনার পর দুপুর সাড়ে ৩টা থেকে ইটাহারির মূল এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়। এছাড়া ঝাপার বীরাটমোড় ও দামাকে সংঘর্ষে এক ডজনের বেশি মানুষ আহত হন। বিক্ষোভকারীরা বীরাটমোড় পুলিশ পোস্টে আগুন ধরিয়ে দেন এবং দামাকে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির বাসভবনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এসময় পুলিশ গুলি ছুড়ে সতর্ক করে। পরে রাত সাড়ে ৮টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়। পোখারায় কাস্কি জেলা প্রশাসন অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করেছে। দুপুর ২টা থেকে কার্যকর এই আদেশে শহরের প্রশাসনিক কেন্দ্রীয় এলাকায় পাঁচজনের বেশি জড়ো হওয়া, মিছিল বা সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। পরিস্থিতি সহিংস হলে পুলিশ টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট ও পানিকামান ব্যবহার করে। সংঘর্ষে দুই বিক্ষোভকারী গুলিবিদ্ধ হন। নেপালি সংবাদমাধ্যম বলছে, দেশের বিভিন্ন জায়গায় মূলত কলেজ শেষে তরুণরা রাস্তায় নামলেও পরে অন্য শ্রেণির মানুষও তাদের সঙ্গে যোগ দেন। এতে আন্দোলন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।

ভারতীয়রা পূজার আগেই পদ্মার ইলিশের স্বাদ পাবে

ভারতীয়রা পূজার আগেই পদ্মার ইলিশের স্বাদ পাবে দুর্গাপূজার আগেই ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। সোমবার ৮ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের ফিস ইমপোর্টারস এসোসিয়েশনের কাছে একটি মেইল করে ইলিশ রপ্তানির অনুমতির খবর জানিয়েছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। চলতি বছর দুর্গাপূজায় ৩৫০০ মেট্রিক টনের বদলে ১২০০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ধার্য করা প্রতি কেজি ইলিশের দাম ১২.৫ মার্কিন ডলার ধার্য করা হয়েছে। বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো মেইলে লেখা আছে, প্রতিবছরের ন্যায় চলতি ২০২৫ সালের দুর্গাপূজা উপলক্ষে ১২০০ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে শর্তসাপেক্ষে রপ্তানির জন্য সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এর আলোকে আগ্রহী রপ্তানিকারকগনের কাছ থেকে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর অফিস চলাকালীন সময়ের মধ্যে হার্ড কপিতে আবেদন করার আহ্বান করা হচ্ছে। প্রতি কেজি ইলিশের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য ১২.৫ মার্কিন ডলার সরকার কর্তৃত্ব নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর দুর্গাপূজার আগে বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রথমে ৩৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তা কমিয়ে ২৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে পাঠানোর অনুমতি দিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। এবার তা আরও কমিয়ে ১২০০ মেট্রিক টন রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে ফিস্ ইমপোর্টারস এসোসিয়েশনের সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ বলেন, আমরা আশা করেছিলাম ইলিশের পরিমাণটা একটু বাড়বে। তবে বাংলাদেশেও ইলিশের উৎপাদন অনেক কম হয়েছে। হয়তো সে কারণেই ইলিশের পরিমাণ কম আসছে। তবে যাই হোক পূজার আগে ভারতের বাঙালিরা পদ্মার ইলিশের স্বাদ নিতে পারবে।

‘দুর্নীতি বন্ধ করো’নেপালের শিক্ষার্থী ও তরুণ প্রজন্ম

‘দুর্নীতি বন্ধ করো’নেপালের শিক্ষার্থী ও তরুণ প্রজন্ম অবশেষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে নেপাল। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। খবর বিবিসির। নেপালের মন্ত্রিসভার মুখপাত্র এবং যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী পৃথ্বী শুব্বা গুরুং আজ মঙ্গলবার দিনের শুরুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেন। এর আগে সোমবার রাজধানী কাঠমান্ডুতে হাজারো তরুণ সংসদ ভবনে প্রবেশ করে ফেসবুক, এক্স (টুইটার), ইউটিউবসহ ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মে সরকারের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী পৃথ্বী সুব্বা গুরুং জানিয়েছেন, সোমবার গভীর রাতে ‘তরুণ প্রজন্মের দাবি পূরণের’ জন্য জরুরি মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সোমবার দিনভর কেবল রাজধানী নয়, রাজধানীর বাইরের শহরগুলোতেও বিক্ষোভ হয়। এসব ঘটনায় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। নেপালে ইনস্টাগ্রামের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মে লাখো ব্যবহারকারী রয়েছে। তারা বিনোদন, খবর এবং ব্যবসার জন্য এসব প্ল্যাটফর্মের ওপর নির্ভরশীল। নেপাল হাইকোর্টের গত বছরের নির্দেশনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোকে নেপালে নিবন্ধনের শর্ত দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী ২৮ আগস্ট থেকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেয় সরকার। কিন্তু ফেসবুক, এক্স, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউবসহ বড় প্ল্যাটফর্মগুলো নিবন্ধন না করায় গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ২৬টি প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। সরকারের এ পদক্ষেপেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে নেপালের শিক্ষার্থী ও তরুণ প্রজন্ম। ৪ সেপ্টেম্বর থেকে প্রতিবাদের প্রস্তুতি নিতে থাকা আন্দোলন সোমবার রাজধানীজুড়ে রীতিমতো বিস্ফোরিত হয়ে পড়ে। কারফিউ অমান্য করে রাস্তায় নামেন হাজারো তরুণ-জনতা। রাস্তায় নামা তরুণরা জানান, তারা সরকারের কর্তৃত্ববাদী মনোভাবের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ করছেন। তাদের হাতে থাকা অনেক প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল- ‘এবার যথেষ্ট হয়েছে’ এবং ‘দুর্নীতি বন্ধ করো’।

দেব-ইধিকা সেবক কালীবাড়িতে পূজা দিলেন

দেব-ইধিকা সেবক কালীবাড়িতে পূজা দিলেন ‘রঘু ডাকাত’ চলচ্চিত্রের প্রচারে রাজ্য সফরে শনিবার শিলিগুড়িতে পৌঁছান দেব ও ইধিকা। সেখানে সেবক কালীবাড়ি মন্দিরে পূজা দেন তারা। পূজায় মুক্তি পাচ্ছে এসভিএফ ও দেব এন্টারটেনমেন্ট ভেঞ্চার্সের যৌথ প্রযোজনার ছবি ‘রঘু ডাকাত’। এরই মধ্যে এই ছবির প্রচার শুরু হয়ে গেছে জোর কদমে। রাজ্য সফর করছে টিম ‘রঘু ডাকাত’। শনিবার মালদায় ছবির প্রচার শেষে টিম ‘রঘু ডাকাত’ পৌঁছে যায় শিলিগুড়িতে। আর এখানে সেবক কালীবাড়িতে পূজা দিলেন দেব-ইধিকা, সোহিনী সরকারসহ ছবির অন্য কলাকুশলীরা।দেব, ইধিকা ও ওম সাহানির পরনে কালো পোশাক আর সোহিনী পরেছিলেন লাল রঙের শাড়ি, সঙ্গে কালো ব্লাউজ। ইধিকাকে পাশে বসিয়ে মায়ের কাছে রঘু ডাকাত ছবির সাফল্য প্রার্থনা করলেন দেব। নিলেন পূজার ফুল, কপালে সিঁদুরের তিলকও পরেন দেব। তাকে মন্দিরের পুরোহিত উত্তরীয় পরিয়ে দেন। ভিডিওতে দেখা গেছে দেব তার হাতে হলুদ সুতা বাঁধছেন। খাদান ছবির সময়ও দেব ও ইধিকাকে নৈহাটির বড়মার মন্দিরে পূজা দিতে দেখা যায়। এমন কী, ধূমকেতু ছবির মুক্তির আগের দিনও শুভশ্রীর সঙ্গে দেব একসঙ্গে পূজা দেন বড়মার কাছে। উত্তরবঙ্গে বিশেষ করে দার্জিলিং যাওয়ার পথেই পড়ে এই সেবকেশ্বরী কালী মন্দির, যা সেবক কালীবাড়ি নামে পরিচিত। সেখানেই পূজা দিয়ে দার্জিলিংয়ে প্রচারের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় টিম রঘু ডাকাত।