রাঘব ফাঁস করলেন কেন আরিয়ানের মুখে হাসি নেই

রাঘব ফাঁস করলেন কেন আরিয়ানের মুখে হাসি নেই   বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান বাবার মতো হাঁটাচলা ও কণ্ঠস্বরেও মিল আছে। অমিল শুধু মুখের হাসিতে। ক্যামেরার সামনে সবসময় গম্ভীর তিনি। সম্প্রতি ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠানে আরিয়ানকে দেখে এমনটিই মনে হয়েছে সিনেমাপ্রেমী দর্শকদের। কেন এমন আরিয়ান? সে বিষয়ে কথা বলেছেন অভিনেতা রাঘব জুয়াল। বাদশাহ ছেলে আরিয়ান খানের পেশাগত জীবনের থেকে ব্যক্তিগত জীবন সবসময়েই থাকে আতশ কাচের তলায়। খুব শিগগির বলিউডে আত্মপ্রকাশ করছেন আরিয়ান খান। তবে অভিনেতা নয়, পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবেন। আরিয়ান খান পরিচালিত আসন্ন ওয়েব সিরিজ ‘ব্যাডস অব বলিউড’-এর ঝলক ইতোমধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে। আরিয়ান খান কোনো ফটোসাংবাদকি দেখলেই মুখ ঘুরিয়ে নেন। কখনও একদম মুখোমুখি হলে পোজ দেন ঠিকই কিন্তু মুখে হাসি থাকে না। সারাক্ষণই আরিয়ানের মুখ ভার থাকে। তবে হাতেগোনা কয়েকবারই তাকে হাসতে দেখা গেছে। গত বছর আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের খেলা দেখতে এসে বোন সুহানাকে নিয়ে হাসাহাসি করতে দেখা যায় আরিয়ানকে। এরপর নিজের ওয়েব সিরিজের প্রচার ভিডিওতেও তাকে হাসতে দেখা গেছে। বাইরে থেকে যতটা কঠিন মনে হয়, আসলে আরিয়ান তেমন নয় বলে জানালেন এ সিরিজের অভিনেতা রাঘব জুয়াল। তিনি বলেন, এক ধরনের ভয় আছে আরিয়ানের, তাই এমন করেন তিনি। যদিও রাঘবও আরিয়ানকে ক্যামেরার সামনে হাসাবেন বলে কথা দিয়েছেন। রাঘব বলেন, হাসতে ভয় পায়। এছাড়া ও ক্যামেরার সামনে হাবভাব দেখাতে ভালোবাসে। তবে ওর মধ্যে শিশুসুলভ একটা ব্যাপার আছে। তবু ক্যামেরার সামনে হাসবে না। যেটা আমার বেশ ভালো লাগে। এছাড়া মেয়েদেরও এটা বেশ ভালো লাগে।

গান প্রকাশের পর শ্রোতাদের প্রতিক্রিয়া জানার অপেক্ষা কোনাল

গান প্রকাশের পর শ্রোতাদের প্রতিক্রিয়া জানার অপেক্ষা কোনাল   প্রথমবারের মতো জ্যাজ ঘরানার গানে কণ্ঠ দিলেন আলোচিত কণ্ঠশিল্পী সোমনূর মনির কোনাল। শিরোনাম চূড়ান্ত না হওয়া গানটির কথা লিখেছেন স্থপতি, চলচ্চিত্র নির্মাতা, গীতিকার, সুরকার ও এনামুল করিম নির্ঝর। সংগীতায়োজন করেছেন অটমনাল মুন। এখন চলছে ভিডিওর নির্মাণের কাজ। শিগগিরই গানশালা ইকেএনসির ইউটিউব চ্যানেলে কোনালের জ্যাজ ঘরানার গানটি প্রকাশ পাবে। এ নিয়ে কোনাল বলেন, ‘এনামুল করিম নির্ঝরের কথা ও সুরে আগেও বেশ কিছু গান গেয়েছি। আমার শিল্পীজীবনে গাওয়া গানগুলো থেকে সেগুলো একেবারেই ভিন্ন ধাঁচের। তাঁর প্রতিটি সৃষ্টি গতানুগতিক ধারা থেকে একেবারেই আলাদা। তাঁর গীতিকবিতা ও সুরে যে বৈচিত্র্য, তা দারুণভাবে মনকে নাড়া দেয়। তারপরও নির্ঝর ভাই যখন জ্যাজ ঘরানার গান গাওয়ার প্রস্তাব দেন, তখন ঠিক গাইতে পারব কিনা, তা নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়ে গিয়েছিলাম। তখন নির্ঝর ভাই সাহস জুগিয়েছিলেন এই বলে যে, গায়কিতে কোনো পরিবর্তন আনতে হবে না, সুর ঠিক রেখে গাইলেই হবে। শেষমেশ তাঁর নির্দেশনা মেনে গানটি নিজের মতো করেই গেয়েছি। রেকর্ডিং শেষে অনেকে যখন কাজটি পরিকল্পনামাফিক হয়েছে বলে জানিয়েছেন, তখনই কেবল স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়তে পেরেছি। এখন শুধু গান প্রকাশের পর শ্রোতাদের প্রতিক্রিয়া জানার অপেক্ষা। এদিকে নতুন এই একক গান ছাড়াও আরও বেশ কিছু ভিন্ন ধাঁচের আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কোনাল। সর্বশেষ তাঁর গাওয়া ‘ময়না’ গানটি শ্রোতাদের মাঝে দারুণ সাড়া ফেলেছে। গানটিতে কোনালের সহশিল্পী হিসেবে কণ্ঠ দিয়েছেন ডি’রকস্টার তারকা নিলয়। অন্যদিকে এনামুল করিম নির্ঝর ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করে যাচ্ছেন তাঁর কথা ও সুরে বিভিন্ন শিল্পীর গাওয়া ভিন্ন ধাঁচের সব গান। গত বছর নন্দিত এই গীতিকবি ও সুরকার ‘এক নির্ঝরের গান’ প্রকল্পের আরেকটি নতুন আয়োজন শুরু করেছিলেন। শিরোনাম ‘যেটা আমাদের নিজের মতোন’। এ আয়োজনে ৫৪ জন শিল্পী গেয়েছেন মোট ৬৩টি গান; যেগুলো ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হচ্ছে।

‘ভেতরটা কত কুৎসিত’ কাদের বিষয়ে বললেন প্রভা?

‘ভেতরটা কত কুৎসিত’ কাদের বিষয়ে বললেন প্রভা? আবারও অভিনয় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভা। অভিনয়ের বাইরে সামাজিকমাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কাজের পাশাপাশি ব্যক্তিগত ও নানা বিষয় নিয়ে প্রায়ই ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করে থাকেন। তারই ধারাবাহিকতায় প্রভা লেখন, ‘কেউ যখন হেসে হেসে খোঁচা মেরে কথা বলে, আমিও তার সঙ্গে হাসি। আমার খারাপ লাগেনি তাকে বোঝাই। কিন্তু সত্যটা হচ্ছে খারাপ লাগে। সেসব যন্ত্রণাদায়ক উল্লেখ করে এই অভিনেত্রী লেখেন, ‘কেনো জানি যখন কেউ মজার ছলে এমন কিছু বলে ফেলে যেটা আমার জন্য যন্ত্রণাদায়ক, তখন মুখে হাসি থাকলেও বুকে শুরু হয়ে যায় ভাঙচুর ঝড়। খোঁচা দিয়ে কথা বলা মানুষেরা আসলে জানেই না তাদের ভিতরটা কত কুৎসিত। এদিকে, ছোট পর্দা পেরিয়ে প্রথমবারের মতো সিনেমায় কাজ করছেন প্রভা। তাও আবার একসঙ্গে দুটি সরকারি অনুদানের সিনেমায়। এগুলো হলো- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটগল্প ‘দেনা পাওনা’ অবলম্বনে একটি ও ঝুমুর আসমা জুঁই পরিচালিত ‘দুই পয়সার মানুষ’। জানা গেছে, এর মধ্যে ‘দেনা পাওনা’ সিনেমাটিতে প্রভার বিপরীতে রয়েছে চিত্রনায়ক ইমন ও ‘দুই পয়সার মানুষ’ সিনেমাটিতে রয়েছে এ বি এম সুমন। ইতোমধ্যে দুটি সিনেমারই শুটিং শুরু করেছেন তিনি। ‘দেনা পাওনা’ সিনেমাটিতে নিরুপমা চরিত্রে দেখা যাবে প্রভাকে। আর ‘দুই পয়সার মানুষ’ সিনেমাটির গল্প গড়ে উঠেছে মফস্বলে বেড়ে ওঠা একটি মেয়েকে ঘিরে। যে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছে। যার পরিবার শিক্ষিত ও প্রভাবশালী। যাকে একসময় নানা প্রতিবন্ধকতায় পড়তে হয়। সেই মেয়ে হয়েই পর্দায় আসছেন প্রভা। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরই সিনেমা দুটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে।

নতুন সব গান নিয়ে আসছেন জেনস সুমন

নতুন সব গান নিয়ে আসছেন জেনস সুমন একটা চাদর হবে’ গান দিয়ে নব্বইয়ের দশকে শ্রোতাদের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন সংগীতশিল্পী জেনস সুমন। দীর্ঘ ১৬ বছরের বিরতির পর গেল বছর নতুন গান নিয়ে ফেরেন তিনি। প্রকাশিত হয় তার কণ্ঠে ‘আসমান জমিন’। এরপর থেকে নিয়মিত গান প্রকাশ করছেন এ শিল্পী। সম্প্রতি সুমনের গাওয়া নতুন ও পুরোনো সাতটি গান নিয়ে জি সিরিজ প্রকাশ করেছে একটি অডিও জুকবক্স। এতে রয়েছে ‘আসমান জমিন’, ‘যদি ভাবো তুমি’, ‘সুস্মিতা’সহ পাঁচটি নতুন গান ও দুটি পুরোনো গান। জেনস সুমন বলেন, ‘আগে একসঙ্গে অ্যালবাম প্রকাশ হতো। এখন একেকটা গান আলাদা আলাদা বের হয়, যা অনেকের কাছে খুঁজে পাওয়া কঠিন। তাই এক জায়গায় গানগুলো শোনার সুবিধার জন্যই জুকবক্স প্রকাশ করা হলো। অডিওর পর এবার ভিডিও জুকবক্সের প্রস্তুতিও নিচ্ছেন তিনি। আগামী মাসে গান জানালা ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রকাশ হবে এই জুকবক্স। সেখানে ইতিমধ্যে তিনটি গান প্রকাশিত হয়েছে। আরও একটি নতুন গান যোগ করে সেটি প্রকাশের পরিকল্পনা রয়েছে। ফেরার অনুভূতি নিয়ে সুমন বলেন, ‘এটা আমার কাছে যেন পুনর্জন্ম। আবার নতুন করে গান শুরু করতে পেরে মনে হচ্ছে আমি একেবারে নতুন শিল্পী। সংগীতচর্চায় যা যা দরকার চেষ্টা করছি সবকিছু করার। বর্তমান প্রজন্মের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে চান এ শিল্পী। তিনি জানান, ‘আমরা নব্বইয়ের দশকের শিল্পী। তাই আমাদের গানে সে সময়ের ছাপ থাকে। এরপরও তরুণদের চাহিদা মাথায় রেখে চেষ্টা করছি টেকনো, আরএনবি, হিপহপ ঘরানায় কাজ করার। এরই মধ্যে চারটি গান তৈরি হয়েছে। তিনি জানান, তার গান দুটি প্রকাশ করবে জি সিরিজ। অন্য দুটি আসবে গান জানালা থেকে।

হানিয়া কেন ঢাকায় আসছেন?

হানিয়া কেন ঢাকায় আসছেন? জনপ্রিয় পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমির ঢাকায় আসছেন। ‘মুক পেয়ার হুয়া থা’, ‘মেরে হামসাফার’, ‘আনা’, ‘দিলরুবা এর মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করে খ্যাতি পান করেন। তার খ্যাতি কেবল পাকিস্তানেই নয়, ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশেও অসংখ্য ভক্তের মন জয় করেছেন হানিয়া। ফলে তার আগমনের খবরে উচ্ছ্বসিত ভক্ত-অনুরাগীরা। হানিয়া আমিরের ঢাকা সফর নিয়ে অন্তর্জালে চর্চা চলছে। প্রশ্ন উঠেছে, তার ঢাকা সফর নিয়ে। সব সংশয় দূর করে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন এই অভিনেত্রী। ভিডিও বার্তায় হানিয়া আমির বলেন, “হাই বাংলাদেশ, আমি হানিয়া। আমি সানসিল্কের সঙ্গে ঢাকায় আসছি। অনেক মজা হবে, সঙ্গে ছোট্ট একটা সারপ্রাইজ থাকছে। পাকিস্তানে সানসিল্কের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে কাজ করছেন হানিয়া আমির। সানসিল্কের আয়োজনেই তার বাংলাদেশ সফর। আয়োজকেরা জানিয়েছেন, সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির নতুন ব্ল্যাক শাইন ফর্মুলা এসেছে। এর প্রচারণার অংশ হিসেবে হানিয়ার বাংলাদেশ সফর। সফরকালে বেশ কয়েকটি ইভেন্টে অংশ নেবেন হানিয়া। ১৯৯৭ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে জন্মগ্রহণ করেন হানিয়া আমির। ২০১৬ সালে ‘জানান’ সিনেমার মাধ্যমে অভিনয় জীবন শুরু করেন। এরপর তার প্রাণবন্ত ব্যক্তিত্ব, আকর্ষণীয় চেহারা এবং অসাধারণ ফ্যাশন সেন্সের কারণে খুব দ্রুতই তরুণ প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। বর্তমানে পাকিস্তানের অন্যতম সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত এবং সর্বাধিক অনুসরণীয় তারকাদের একজন হানিয়া। চলতি বছর ‘সর্দারজি থ্রি’ সিনেমার মাধ্যমে ভারতীয় চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটেছে হানিয়ার। গত ২৭ জুন মুক্তি পায় পাঞ্জাবি ভাষার এই সিনেমা। এই সিনেমায় নূর চরিত্র অভিনয় করে দুই দেশে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন হানিয়া। এতে তার সহশিল্পী হিসেবে ছিলেন দিলজিৎ।

বাংলাদেশে আসছেন হানিয়া আমির

বাংলাদেশে আসছেন হানিয়া আমির পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেত্রী হানিয়া আমির। তিনি কমেডি চলচ্চিত্র ‘জানান’ এর মাধ্যমে অভিনয় জীবন শুরু করেন। এরপর নিজের অভিনয় দক্ষতা দিয়ে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। এরপর টেলিভিশন নাটক ‘ফির ওহি মহব্বতে’ অভিনয় শুরু করেন। এই নাটকগুলোর জন্য তিনি ‘হাম অ্যাওয়ার্ড ফর বেস্ট টেলিভিশন সেনসেশন ফিমেল’ পুরস্কার লাভ করেন। পাশাপাশি আমির বাণিজ্যিকভাবে সফল চলচ্চিত্র ‘পারওয়াজ হ্যায় জুনুন’ এবং পাঞ্জাবি কমেডি চলচ্চিত্র ‘সর্দারজি ৩’ -এর মাধ্যমে সাফল্য অর্জন করেন। অভিনয়ের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ সরব রয়েছেন। এর মাধ্যমে সে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বাংলাদেশের দর্শকদের মাঝেও ব্যাপর জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। যেখানে ফানি ভিডিও থেকে শুরু করে নান্দনিক ছবি শেয়ার করে থাকেন। হানিয়ার ইনস্ট্রাগামে ভক্ত-অনুরাগীর সংখ্যা ১৮.৮ মিলিয়ন। তরুণ প্রজন্মের কাছে একাধারে স্টাইল আইকন ও অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে পরিচিত। ১৯৯৭ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে জন্মগ্রহণ করা এ অভিনেত্রী খুব অল্প সময়েই তিনি প্রাণবন্ত অভিনয় ও উচ্ছ্বল ব্যক্তিত্বের মাধ্যমে দর্শকদের মনে স্থান করে নেন। তিনি জনপ্রিয় নাটক ‘তেরে বিন’ -এ মীরাব চরিত্রে অভিনয় করে আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিতি লাভ করেন। এছাড়াও ‘পিয়ার কে সাদকে’, ‘ইনকার’ এবং ‘দিল না উমীদ তো নয়ি’ -এর মতো নাটকে তার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে।

পরিবারে শোকের ছায়া ‘পিছে তো দেখো’ খ্যাত শিশু তারকা আহমাদের

পরিবারে শোকের ছায়া ‘পিছে তো দেখো’ খ্যাত পাকিস্তানের শিশু তারকা আহমাদের পিছে তো দেখো, পিছে দেখো’-এই এক সংলাপের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া পাকিস্তানের জনপ্রিয় শিশু তারকা আহমাদ শাহর ছোট ভাই উমর শাহ মারা গেছে। গতকাল আহমেদ শাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ক্ষুদে তারকা আহমাদ ভাই হারানোর বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়া ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে জানায়। সে এক পোস্টে লিখেছে, ‘সবাইকে অবগতির জন্য জানানো হচ্ছে যে, ‘আমাদের পরিবারের ছোট্ট নক্ষত্র উমর শাহ মহান আল্লাহর কাছে ফিরে গেছে (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সবার কাছে বিনীত অনুরোধ, আপনারা তাকে স্মরণ করবেন এবং আমাদের পরিবারকে প্রার্থনায় রাখবেন। আহমাদ শাহর ‘পিছে তো দেখো’ ভাইরাল ভিডিওর মাধ্যমে রাতারাতি তারকা বনে যায় তাদের পুরো পরিবার। তার ছোট ভাই উমর শাহ ও আবু বকরও পরে তার সঙ্গে যোগ দেয় এবং তারা একসঙ্গে ভক্তমহলে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম সিয়াসাতের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, উমর শাহর মৃত্যু পরিবারটির জন্য দ্বিতীয় ক্ষতি। গত বছরই আহমাদের বোন আয়েশাও মারা যান। পরিবারটি এখনো সেই শোক কাটিয়ে উঠার আগেই আরেক সদস্য উমর শাহ মারা গেল। জানা গেছে, উমর শাহ হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। সে বমি করেছিল এবং তা ফুসফুসে প্রবেশ করে। প্রসঙ্গত, আহমাদ শাহ সুন্দর আচরণের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে মিম সেনসেশন হয়ে উঠেছিল। পরবর্তী সময় ‘এআরওয়াই ডিজিটাল শো’ এবং ‘জিতো পাকিস্তান’-এ অভিনয় করে। উমরের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ভক্ত এবং অন্য তারকারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেন।

তৌসিফ ও তিশা স্টেপ ফুটওয়্যারের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন

তৌসিফ ও তিশা স্টেপ ফুটওয়্যারের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ও বিশ্বস্ত ফুটওয়্যার ব্র্যান্ড স্টেপ ফুটওয়্যার গতকাল (১৪ সেপ্টেম্বর, শনিবার) রাজধানীর ঢাকা রিজেন্সি হোটেলে এক বর্ণাঢ্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে আয়োজন করেছে তাদের বিশেষ ‘Signature Event’। অনুষ্ঠানে দেশের দুই জনপ্রিয় তারকা অভিনেতা ও মডেল তৌসিফ মাহবুব এবং তানজিন তিশা আনুষ্ঠানিকভাবে স্টেপ ফুটওয়্যার-এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হন। স্টেপ ফুটওয়্যারের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম কবির। এই উদ্যোগ ব্র্যান্ডটিকে এই প্রজন্মের সাথে আরও দৃঢ় এবং ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত করবে। অনুষ্ঠানে স্টেপ ফুটওয়্যার উন্মোচন করেছে তাদের দশটি নতুন ও আকর্ষণীয় পণ্য, যা ফ্যাশন ও আরামের জগতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে প্রত্যাশা করা হয়। অনুষ্ঠানের উন্মুক্ত প্রশ্নোত্তর পর্বে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম কবির। স্টেপ ফুটওয়্যার-এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে চুক্তি স্বাক্ষর করেন জনপ্রিয় অভিনেতা।

হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন মাহিকা শর্মা

হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন মাহিকা শর্মা ভারতের জাতীয় দলের ক্রিকেটার হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে নাম জড়িয়েছে মডেল মাহিকা শর্মার। বিষয়টি নিয়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। যদিও সম্পর্ক নিয়ে মুখ খোলেননি তারা। তবে গুঞ্জন ঘিরে কৌতূহল যখন তুঙ্গে তখনই প্রশ্ন উঠেছে কে এই মাহিকা শর্মা? সম্প্রতি একটি পোস্টে হার্দিক ও মাহিকার কয়েকটি ছবি প্রকাশ পায়, যেখানে তাদের একসঙ্গে দেখা যায়। শুধু তাই নয়, দু’জন একে অপরকে ইনস্টাগ্রামে ফলো করেছেন- এমন প্রমাণও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে। একই সময়ে তাদের দু’জনকে আলাদা আলাদা পোস্টে এক ধরনের বাথরোব পরা অবস্থায় ছবিও শেয়ার করতে দেখা যায়। তাদের প্রেমের গুঞ্জন আরও বাড়িয়ে দেয় এশিয়া কাপের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে দুবাইয়ের স্টেডিয়ামে মাহিকার উপস্থিতি। মাহিকা শর্মা একজন তরুণ মডেল ও অভিনেত্রী। তিনি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সক্রিয়। ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি নেভি চিলড্রেন স্কুল, নয়াদিল্লিতে পড়াশোনা করেন। এরপর ২০১৮ থেকে ২০২২ পর্যন্ত গুজরাটের পণ্ডিত দীনদয়াল পেট্রোলিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি ও ফাইন্যান্সে স্নাতক সম্পন্ন করেন। এর মাঝেই ২০২০-২০২১ সালে এক বছর যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কমিউনিটি সাইকোলজি পড়েছেন। ফ্রি প্রেস জার্নালের প্রতিবেদনে জানা যায়, মাহিকা শর্মা কয়েকটি ছবিতে ছোট চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে অরল্যান্ডো ভন আইন্সিডেলের ‘ইনটু দ্য ডাক’ এবং ওমং কুমারের ‘পিএম নরেন্দ্র মোদি’ সিনেমায় কাজ করেছেন। এছাড়া ভিভো ও ইউনেক্লো-এর মতো বড় ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন মাহিকা। ফ্যাশন দুনিয়ায় তিনি ভারতের খ্যাতনামা ডিজাইনার অনিতা ডোংরে, রিতু কুমার, তরুণ তাহিলিয়ানি, মণীশ মালহোত্রা ও অমিত আগরওয়ালের সঙ্গেও কাজ করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে নাতাশা স্তানকোভিচকে বিয়ে করেছিলেন হার্দিক। ২০২৩ সালে তাদের ঘরে আসে পুত্রসন্তান। তবে ২০২৪ সালেই দাম্পত্যজীবন ভেঙে যায়। এরপরই হার্দিকের সঙ্গে জেসমিন ওয়ালিয়ার প্রেমের খবর ছড়ায়। তাদের একসঙ্গে ছুটি কাটাতে দেখা গিয়েছিল, জেসমিনকে নিয়মিত মাঠেও দেখা যেত। কিন্তু কয়েক মাস পরেই ভেঙে যায় সেই সম্পর্কও। এবার হার্দিকের সঙ্গে নাম জড়ালো মাহিকার।

হিট নায়িকা বনশ্রী মারা গেছেন

হিট নায়িকা বনশ্রী মারা গেছেন হিট নায়িকা হয়েও থাকতেন বস্তিতে। করুণ একটা জীবন যাপন করেছেন তিনি। অবশেষে সাঙ্গ হলো সেই জীবনের ঘানি টানা। ঢাকাই সিনেমার নব্বইয়ের দশকের চিত্রনায়িকা বনশ্রী মারা গেছেন। আজ ১৬ সেপ্টেম্বর সকাল মাদারীপুর জেলার শিবচড় উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যবরণ করেন। তিনি জানান, চিত্রনায়িকা বনশ্রী বেশকিছু অসুখে ভুগছিলেন। আজ তিনি মারা গেছেন। আজই বাদ আসর তাকে মাদারীপুর দাফন করা হবে। সনি রহমান বলেন, ‘বনশ্রী আপার ভাইয়ের মাধ্যমে জানতে পেরেছি উনি গত পাঁচদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার হৃদরোগ, কিডনির সমস্যাসহ একাধিক ব্যাধি ছিল। তিনি চলে যাওয়ার আগে অনেক কষ্ট করেছেন। এক সন্তান রেখে গেছেন। তার রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।তিনি জানান, আজ বাদ আসর শিবচর পৌরসভা গোরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। শিবচরের মাদবরের চর ইউনিয়নের মেয়ে বনশ্রী। ইউনিয়নের শিকদারকান্দি গ্রামে জন্ম তার। বাবা মজিবুর রহমান মজনু শিকদার ও মা সবুরজান রিনার দুই মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে বনশ্রী বড়। সাত বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে রাজধানী ঢাকায় গিয়ে বসবাস শুরু করেন তিনি। ১৯৯৪ সালে ‘সোহরাব রুস্তম’ সিনেমা দিয়ে রুপালি পর্দায় অভিষেক ঘটে বনশ্রীর। নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের বিপরীতে ছবিটি ব্যবসা সফল হয়। পরিচিতি পান বনশ্রী। এরপর আরও গোটা দশেক সিনেমায় অভিনয় করেন। নায়ক মান্না, আমিন খান, রুবেলের বিপরীতেও নায়িকা হিসেবে অভিনয় করেন বনশ্রী। রুপালি পর্দার মতো জীবনও হয়ে ওঠে আলো ঝলমল। তবে খুব বেশিদিন সেই সুখ সয়নি বনশ্রীর কপালে। ১৯৯০-এর শেষে বনশ্রীর আলো-ঝলমল জীবনে ঘটল ছন্দপতন-ছিটকে গেলেন চলচ্চিত্রজগৎ থেকে। এরপর একে একে হারালেন বিত্ত-বৈভব। ঠাঁই হলো বস্তিতে। একসময় তার কাছ থেকে ছিনতাই হলো মেয়ে শ্রাবন্তী। অর্থের অভাবে ছোট ছেলেটিকে রাখলেন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সংস্থায়। শহুরে জীবনের নানা চড়াই-উৎরাই শেষে তিনি ফিরে এসেছেন নিজ এলাকা মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায়। নানান জায়গায় ঘুরে অবশেষে ঠাঁই মিলেছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘরে। ছেলে মেহেদী হাসান রোমিওকে নিয়ে থাকছেন সেখানেই। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে অনুদান হিসেবে পাওয়া ২০ লাখ টাকার সুদ দিয়ে চলছে তার সংসার।