চিত্রনাট্যকার টম স্টপার্ড আর নেই

চিত্রনাট্যকার টম স্টপার্ড আর নেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন অস্কারজয়ী ব্রিটিশ চিত্রনাট্যকার টম স্টপার্ড। মৃত্যুর খবরটি এই নাট্যকারের প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিষ্ঠান ‘ইউনাইটেড এজেন্টস’ শনিবার ২৯ নভেম্বর নিশ্চিত করেছে। ৮৮ বছর বয়সে ইংল্যান্ডের ডরসেটের নিজ বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। স্টপার্ডের প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিষ্ঠান ‘ইউনাইটেড এজেন্টস’ তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে এক বিবৃতিতে জানায়, ‘আমাদের প্রিয় বন্ধু টম স্টপার্ড ডরসেটের বাড়িতে মারা গেছেন। এ সময় তার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তিনি নিজের কাজের জন্য, বুদ্ধিমত্তা, উদারতা এবং ইংরেজি ভাষার প্রতি গভীর ভালোবাসার জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’ তবে মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি। ১৯৯৮ সালের সিনেমা ‘শেক্সপিয়ার ইন লাভ’-এর জন্য অস্কার ও গোল্ডেন গ্লোবজয়ী এই কিংবদন্তির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাজা তৃতীয় চার্লস ও রানি ক্যামিলা। তারা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘তিনি আমাদের সময়ের সেরা লেখকদের একজন। অসাধারণ প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও তিনি সব সময় বিনয়ী ছিলেন। যে কোনো বিষয়কে তিনি কলমের জাদুতে বদলে দিতে পারতেন।’ এ ছাড়া অন্যান্য তারকাও স্টপার্ডের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন। অস্কার ও গ্লোল্ডেন গ্লোব জয়ের পাশাপাশি স্টপার্ড তিনটি অলিভিয়ার ও পাঁচটি টনি অ্যাওয়ার্ডও জিতেছেন। এই চিত্রনাট্যকার বিশ্বব্যাপী সিনেমাপ্রেমীদের কাছে ‘ইন্ডিয়ানা জোন্স’ এবং ‘স্টার ওয়ার্স’-এর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত ছিলেন। এ ছাড়া নাৎসি শাসনামলে চেকোস্লোভাকিয়া থেকে পরিবার নিয়ে ইংল্যান্ডে আশ্রয় পাওয়া স্টপার্ড আধুনিক নাটকে ভাষার সৃজনশীল ব্যবহার ও তীক্ষ্ণ সংলাপের জন্য বিশ্বজুড়ে সমাদৃত ছিলেন। তার লেখা নাটক ছিল একই সঙ্গে গভীর ও কমেডির মিশ্রণ। তার উল্লেখযোগ্য মঞ্চ নাটকের মধ্যে রয়েছে- ‘রোজেনক্রান্জ অ্যান্ড গিল্ডেনস্টার্ন আর ডেড’, ‘ট্রাভেসটিস’, ‘দ্য রিয়েল থিং’, ‘আর্কেডিয়া’ এবং তিন খণ্ডে লেখা মহাকাব্যিক নাট্যপ্রকল্প ‘দ্য কোস্ট অব ইউটোপিয়া’। আর উল্লেখযোগ্য ছবিগুলোর মধ্যে ‘ব্রাজিল’, ‘এম্পায়ার অব দ্য সান’ এবং ‘আন্না কারেনিনা’ অন্যতম।
মালিকানা হারিয়েছেন শাকিব খান ঢাকা ক্যাপিটালসের

মালিকানা হারিয়েছেন শাকিব খান ঢাকা ক্যাপিটালসের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) গত আসরে ঢাকা ক্যাপিটালস টিমের মালিকানায় যুক্ত ছিলেন ঢালিউড অভিনেতা শাকিব খান। টুর্নামেন্টে দল সাফল্য না পেলেও গ্যালারিতে শাকিব খানের উপস্থিতি হইচই ফেলে দিয়েছিল। ক্রিকেট ও সিনেমাপ্রেমীদের মাঝে তৈরি হয়েছিল এক অন্যরকম সংযোগ। এবার জানা গেল, সেই দলের মালিকানা হারিয়েছেন শাকিব খান। আজ ৩০ নভেম্বর রোববার রাজধানীর রেডিসন হোটেলে ছিল বিপিএলের ক্রিকেটারদের নিলাম। এবারের বিপিএলে অংশ নিচ্ছে ৬টি দল। ঢাকা ক্যাপিটালস, সিলেট টাইটান্স, রংপুর রাইডার্স, নোয়াখালী এক্সপ্রেস, রাজশাহী ওয়ারিয়র্স, চট্টগ্রাম রয়্যালস। এবারই প্রথম টুর্নামেন্টে নাম লিখিয়েছে নোয়াখালী এক্সপ্রেস। গতবার নিলামের সময় উপস্থিত ছিলেন শাকিব খান। প্রথমবারের মতো ক্রিকেট দলের মালিকানা প্রসঙ্গে সেবার শাকিব বলেছিলেন, ভবিষ্যতে তার দল আরও শক্তিশালী, আগ্রাসী ও জয়ের জন্য প্রস্তুত হয়ে মাঠে নামবে। চলতি মৌসুমে আবারও বিসিবির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস। তবে আজ শাকিব খানকে না দেখে অনেকেই তার প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। জানা গেছে, এবার দলের সঙ্গে থাকছেন না এই অভিনেতা, ক্রিকফ্রেঞ্জিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ফ্র্যাঞ্চাইজি। অন্য একটি সূত্র জাগো নিউজকে জানিয়েছে, শাকিব খান এবার ঢাকার সঙ্গে নেই। কারণ আগেরবার ঢাকা ক্যাপিটালসের মালিক ছিল রিমার্ক হারল্যান। এবার ঢাকা ক্যাপিটালসের মালিক চ্যাম্পিয়ন স্পোর্টস। তারা শাকিব খানকে ঢাকার সাথে সম্পৃক্ত করেছে বলে জানা যায়নি। ২০২৪ সালের বিপিএল শুরু থেকেই ছিল আলোচনায়। সেই আসরের অন্যতম আকর্ষণ ছিলেন শাকিব খান। রিমার্ক-হারল্যানের মালিকানায় থাকা নতুন দল ঢাকা ক্যাপিটালস নিয়ে বিপিএলে নামেন তিনি। সেই দলে যুক্ত হয়েছিলেন আরও কয়েকজন তারকা। কিন্তু এ বছর তিনি নেই কেন? এ ব্যাপারে সরাসরি শাকিব খানের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ফোনে যোগাযোগ করেও সাড়া পাওয়া যায়নি। শাকিব খানের প্রতিষ্ঠান এসকে ফিল্মস জানিয়েছে, অভিনেতা শাকিব খান বেশ আগেই রিমার্ক-হারল্যানের ডিরেক্টর পদ থেকে সরে এসেছেন। ফলে ঢাকা ক্যাপিটালসসহ রিমার্ক-হারল্যানের কোনো কার্যক্রমের সঙ্গে তার আর সম্পৃক্ততা নেই। সুতরাং দলটির বিষয়ে তার কাছে বর্তমানে কোনো তথ্যও নেই। ১৯ ডিসেম্বর শুরু হওয়ার কথা ছিল বিপিএল। এক সপ্তাহ পিছিয়ে পরে তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২৬ ডিসেম্বর। টুর্নামেন্টের ফাইনাল হবে ২৩ জানুয়ারি। বর্তমানে ‘সোলজার’ সিনেমার শুটিং নিয়ে ব্যস্ত শাকিব খান। এতে তার বিপরীতে রয়েছেন তানজিন তিশা, জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশীসহ আরও অনেকে। ছবিটি ঈদুল ফিতরে মুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে।
আমার আর শাকিবের পছন্দ এক বুবলী

আমার আর শাকিবের পছন্দ এক বুবলী ঢালিউডের আলোচিত নায়িকা শবনম বুবলী। যার নাম উচ্চারণ করলে শাকিব খান ইস্যু স্বাভাবিকভাবেই উঠে আসে। সম্প্রতি রাজধানীর একটি ফ্যাশন ইভেন্টে রাজকীয় বধূবেশে হাজির হয়ে আবারও আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসেন তিনি। ঝলমলে পোশাকের মতোই আলো কাড়ে তার কথাবার্তাও যেখানে উঠে আসে বিয়ের দিনের অজানা স্মৃতি, ছেলে শেহজাদ খান বীর, এমনকি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথাও। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় নিজের বিয়ের দিনের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে বুবলী বলেন, “আমার বিয়ের সাজ খুবই সাধারণ ছিল। মিডিয়ায় কাজ করায় অনেক কিছু গোপন রাখতে হয়েছিল। অনুষ্ঠানটাও হয়েছিল ছোট, একদম ঘরোয়াভাবে। বিয়েবাড়ির খাবার প্রসঙ্গে বুবলী জানালেন এক মজার তথ্য। সাধারণত রিচ ফুড এড়িয়ে চললেও বিয়ের অনুষ্ঠানে নাকি ডায়েট মানেন না তিনি।বুবলীর ভাষায়, “বিয়েবাড়িতে ঢুকেই প্রথমে খাবারের দিকেই চোখ যায়। আর মজার ব্যাপার হলো, আমার আর শাকিবের পছন্দ প্রায় এক আমরা দুজনেই মাছ আর সবজি খুব পছন্দ করি। অন্যদিকে, ছেলে বীরের সঙ্গে তার সম্পর্ক খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ বলে জানান বুবলী। শাকিব খানও নাকি ছেলেকে বলেছেন, “পছন্দের মেয়েকে সবার আগে মায়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে। এ নিয়ে বাবা ছেলের হাসিঠাট্টা নাকি বুবলী বেশ উপভোগ করেন। ভবিষ্যতে ছেলের বউয়ের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক চাই এমন প্রশ্নে বুবলী বলেন, “আল্লাহ চাইলে আমি ছেলের বউয়ের বন্ধু হতে চাই। একসঙ্গে রান্না করব, আড্ডা দেব, ঘুরতেও যাব। শাশুড়ি বউ নয়, যেন বন্ধু বান্ধবীর মতো সম্পর্ক হয়।বর্তমানে বুবলী শুটিং প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। হাতে রয়েছে ‘শাপলা শালুক’, ‘ঢাকাইয়া দেবদাস’ এর মতো আলোচিত প্রকল্প। মুক্তির অপেক্ষায় আছে ‘সর্দার বাড়ির খেলা’, ‘পিনিক’সহ আরও কয়েকটি সিনেমা।
প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটলে হার্টের যেসব উপকার হয়

প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটলে হার্টের যেসব উপকার হয় প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য একটি শক্তিশালী প্রেসক্রিপশন। এই সহজ কার্যকলাপ বেশ কিছু শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তন ঘটায়, মেজাজ উন্নত করে, স্ট্রেস হরমোন হ্রাস করে, রক্তে শর্করার স্থিতিশীলতা বজায় রাখে। বিশেষজ্ঞরা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে এবং হৃদস্পন্দনের সমস্যা মোকাবিলায় এর ভূমিকা তুলে ধরেছেন, প্রমাণ করেছেন যে প্রতিদিন হাঁটার অভ্যাস স্বাস্থ্যের পরিবর্তন আনতে পারে।হৃদরোগের সংখ্যা বাড়ছে। সিডিসি অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ৫ জনের মধ্যে ১ জনের মৃত্যু হৃদরোগের কারণে হয়। যদিও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ানোর বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে, তবে অনেকেই যা উপেক্ষা করেন তা হলো হৃদরোগ দূরে রাখতে শারীরিক কার্যকলাপের অসাধারণ শক্তি।হাঁটাকে একটি দুর্দান্ত ব্যায়াম। এটি নড়াচড়ার কারণে ঘটে যাওয়া শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তনের একটি ধারা। আপনি ক্লান্ত থেকে উদ্যমী, উদ্বিগ্ন থেকে শান্ত হবেন, যদি নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস করেন। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রতিদিন হাঁটা এবং মাঝারি থেকে জোরালো শারীরিক কার্যকলাপে জড়িত হওয়া উভয়ই মেনোপজাল পরবর্তী নারীদের হৃদরোগজনিত রোগে মৃত্যুর ঝুঁকি হ্রাস করতে সাহায্য করে। হার্ট জার্নালে প্রকাশিত আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে দ্রুত হাঁটার গতি এবং এই গতিতে ব্যয় করা সময়, অ্যাট্রিয়াল ফাইব্রিলেশন, টাকাইকার্ডিয়া (দ্রুত হৃদস্পন্দন) এবং ব্র্যাডিকার্ডিয়া (খুব ধীর হৃদস্পন্দন) এর মতো হৃদস্পন্দনের অস্বাভাবিকতার ঝুঁকি কমাতে পারে। হাঁটা হলো শরীর, মস্তিষ্ক এবং আত্মার জন্য সবচেয়ে অবমূল্যায়িত থেরাপি। যখন আপনি এক মিনিট হাঁটেন, তখন রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। পাঁচ মিনিটের মধ্যে মস্তিষ্কে উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটে। যেমন মেজাজ উন্নত হতে শুরু করে এবং উদ্বেগ কমতে শুরু করে। যখন আপনি ১০ মিনিটের সীমায় পৌঁছান, তখন আপনার শরীরের প্রাথমিক স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল হ্রাস পেতে শুরু করে। এটি প্রশান্তির অনুভূতি নিয়ে আসে। প্রতি মিনিটে সুবিধাগুলো বৃদ্ধি পায়। ১৫ মিনিট হাঁটার পরে, রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল হতে শুরু করে। ৩০ মিনিটের মধ্যে শরীর চর্বি ঝরানোর মোডে চলে যায়। যারা ওজন কমানোর যাত্রায় থাকেন বা সুস্থ ওজন বজায় রাখতে চান তারা মাত্র আধ ঘণ্টা হাঁটার মাধ্যমে উপকৃত হতে পারেন। শারীরিক সুবিধার পাশাপাশি, হাঁটা মানসিক সুস্থতাও প্রদান করে। প্রতিদিন হাঁটার অভ্যাসের ফলে অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা কমে যেতে শুরু করে। এতে ডোপামিনের মাত্রা বাড়তে থাকে এবং সুখ অনুভব সহজ হয়। সাইকোলজি অফ স্পোর্ট অ্যান্ড এক্সারসাইজ জার্নালে প্রকাশিত টেক্সাস ইউনিভার্সিটি অফ আর্লিংটনের গবেষকদের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, ৩০ মিনিট বসে থাকার পর হাঁটার মতো হালকা কার্যকলাপ করলে শক্তি এবং মানসিক প্রশান্তি বৃদ্ধি পায়। মনে রাখবেন, আপনার হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য জিম সদস্যপদ বা দামি সাপ্লিমেন্টের প্রয়োজন নেই। শুধু নিয়মিত হাঁটার অভ্যাসই উপকার বয়ে আনতে পারে।
ভিন্ন স্টাইলে বাঁধাকপির রোল অসাধারণ স্বাদ

ভিন্ন স্টাইলে বাঁধাকপির রোল অসাধারণ স্বাদ শীতে বাজারে নানা রকম সবজি পাওয়া যায়। এ সময় সবজি দিয়ে বানানো যায় নানা পদ। হালকা কিছু চাইলে বাঁধাকপির রোল বানাতে পারেন। বাঁধাকপির পাতায় মোড়ানো নরম রোল-যা একবার খেলে তার স্বাদ অনেক দিন মনে থাকবে। স্ন্যাকস হোক বা হালকা খাবার, এই রোল শুধু সুস্বাদুই নয়, পুষ্টিতেও ভরপুর। আসুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে তৈরি করবেন উপকরণ ১. বাঁধাকপি ১টি ২. হাড়ছাড়া মুরগির মাংস ১ কাপ ৩. পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ ৪. আদা ও রসুনবাটা ১ চা চামচ ৫. টমেটো কুচি আধা কাপ ৬. শুকনা মরিচ আধা চা চামচ ৭. টকদই ২ চা চামচ ৮. লেবুর রস ১ টেবিল চামচ ৯. ধনিয়া পাতা কুচি ২ টেবিল চামচ ১০. গরম মসলার গুঁড়া আধা চা চামচ ১১. গোল মরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ ১২. লবণ স্বাদমতো ১৩. তেল প্রয়োজনমতো প্রথমে একটি পাত্রে পানি ফুটিয়ে তাতে বাঁধাকপির পাতাগুলো দুই তিন মিনিট সেদ্ধ করে নিন।। পাতা নরম হয়ে গেলে তুলে পানি ঝরানোর জন্য আলাদা করে রাখুন। অন্যদিকে একটি প্যানে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি হালকা ভেজে তার মধ্যে মুরগির ছোট ছোট টুকরা, লবণ, আদা-রসুন বাটা, শুকনা মরিচ, টকদই, লেবুর রস, ধনিয়াপাতা কুচি ও গরম মসলার গুঁড়া দিয়ে রান্না করে নিন। এবার বাঁধাকপির ভাপানো পাতায় বড় এক চামচ করে চিকেনের পুর রেখে আলতো করে মুড়ে ছোট রোলের আকারে তৈরি করে নিন। রোল তৈরি হয়ে গেলে আলঅদা করে রেখে দিন। এবার আবার সসপ্যানে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি ভেজে নিয়ে তাতে টমেটো কুচি, লবণ ও গোলমরিচ দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন। কষানো হলে সবজির স্টক ঢেলে দিয়ে তার মধ্যে বাঁধাকপির রোলগুলো সাজিয়ে দিন। প্যানটি ঢেকে মাঝারি আঁচে আট-দশ মিনিট রান্না করুন। মাঝে মাঝে নাড়াচাড়া করলে রোলগুলো সমানভাবে সেদ্ধ হবে। চাইলে শেষে ফ্রাইপ্যানে সামান্য তেল ব্রাশ করে রোলগুলো হালকা ভেজেও নিতে পারেন। রোলগুলো হয়ে গেলে পছন্দের সসের সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন । এছাড়া ভাত, রুটি কিংবা সালাদের সঙ্গেও পরিবেশ করতে পারেন।
শীতেও কি সানস্ক্রিন ব্যবহার করা যাবে?

শীতেও কি সানস্ক্রিন ব্যবহার করা যাবে? সাধারণত গরমে সূর্যের রশ্মি থেকে রক্ষা পেতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা হয়। যাতে সূর্যের রশ্মিতে ত্বক পোড়ে না যায়। তবে এখন প্রশ্ন জাগতেই পারে শীতকালেও কী সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে? চলুন এর উত্তর জেনে নেয়া যাক- আমাদের অনেকের ধারণা শীতে সানস্ক্রিনের প্রয়োজন হয় না। তবে, বাস্তবতা হলো শীত কিংবা গ্রীষ্ম যেকোনো আবহাওয়াতেই ত্বকের জন্য সানস্ক্রিন প্রয়োজন। অনেকের মনে এমন ভাবনাও আসে, শীতের সময় ঠান্ডার প্রবণতা বেশি থাকায় সানস্ক্রিন কাজ করবে না। তবে এমন ধারণাটি সর্ম্পূণ ভুল। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির সঙ্গে তাপমাত্রার প্রত্যক্ষ সম্পর্ক নেই। এই অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাব সারা বছরই থাকে, যা ত্বকের ক্যানসার সৃষ্টির অন্যতম কারণ। এই অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের ক্যানসার সৃষ্টির অন্যতম কারণ। বছরজুড়ে নিয়মিত সানস্ক্রিনের ব্যবহার যেমন পোড়া চামড়ার হাত থেকেও বাঁচাবে তেমনি ত্বকে সতেজ রাখবে। তাই শীতের দিনগুলোতে সানস্ক্রিনকে অবহেলা না করে নিয়মিত ব্যবহার আপনার ত্বকে সজীব রাখুন। শীতের সময় দিনে একবার ব্যবহার করলেই যথেষ্ট? যখনই ঘর থেকে বের হবেন সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। এমনকি যদি আপনার ঘরে পর্যাপ্ত আলো চলাচল করে তাহলেও ব্যবহার করবেন। তবে অনেকের ধারণা, দিনে একবার সানস্ক্রিন ব্যবহার করলেই হবে। এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। বিশেষ করে গরমে অতিরিক্ত ঘেমে গেলে, সাঁতার কাটলে কিনবা বায়ুদূষণে সানস্ক্রিনের কার্যকারিতা হ্রাস পায়। সকালে ঘর থেকে বের হলে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। সানস্ক্রিনের পুরোপুরি উপকারিতা পাওয়ার জন্য দুই ঘণ্টা পরপর সূর্যের রশ্মি ত্বকের যেসব জায়গায় লাগবে সেখানে ব্যবহার করতে হবে। এ ছাড়া শীতের নিষ্প্রভ দিনগুলোতে সানস্ক্রিন প্রয়োগে আরও যেসব সুবিধা রয়েছে: ১. ত্বকের বলিরেখা কমিয়ে দেওয়া ২. চামড়ার স্বাভাবিক রং বজায় রাখা ৩. সূর্যের তীব্রতা থেকে ত্বককে মোলায়েম করা ৪. আলোর সংবেদনশীলতা থেকে ত্বককে রক্ষা করা
ফিরছে রণবীর-দীপিকা জুটি ১০ বছরের অপেক্ষার অবসান

ফিরছে রণবীর-দীপিকা জুটি ১০ বছরের অপেক্ষার অবসান বলিউড তারকা রণবীর কাপুর ও দীপিকা পাড়ুকোনের প্রেম-বিচ্ছেদ নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি। তাদের প্রেম যেমন আলোচনায় ছিল, বিচ্ছেদও ছিল সংবাদমাধ্যমের কেন্দ্রবিন্দুতে। এরপর সময় বয়ে গেছে নিজের গতিতে। রণবীর আর দীপিকা খুঁজে পেয়েছেন নিজেদের জীবনসঙ্গী। বিচ্ছেদের যন্ত্রণা ভুলে অবশ্য বিয়ের আগেই নিজেদের মাঝে মিটমাট করে নিয়েছিলেন সবকিছু, উপহার দিয়েছিলেন ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’, ‘তামাশা’র মতো ছবি। বহুদিন হয় এই জুটিকে একসঙ্গে পর্দায় দেখা যাচ্ছে না, পর্দায় তাদের রসায়ন আজও বলিউডের অন্যতম আকর্ষণ। তবে দর্শকদের জন্য সুখবর হলো, দশ বছর পর আবারও পর্দায় ফিরছেন এই জনপ্রিয় অনস্ক্রিন জুটি। ২০১৫ সালে মুক্তি পাওয়া ‘তামাশা’ ছিল তাদের শেষ কাজ। এরপর তাদের একসঙ্গে দেখা যাবে কিনা–এ নিয়ে জল্পনা ছিল বহুদিনের। শেষ পর্যন্ত তা সত্যি হতে যাচ্ছে। নতুন এই সিনেমাটি পরিচালনা করছেন অয়ন মুখোপাধ্যায়, যিনি এর আগে রণবীর-দীপিকাকে নিয়ে সুপারহিট ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’ তৈরি করেছিলেন। ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, অয়ন তার নতুন ছবির চিত্রনাট্য নির্মাণ করছেন রাজ কাপুরের ১৯৫৬ সালের ক্ল্যাসিক ‘চোরি চোরি’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে। মূল গল্পে আধুনিকতা যোগ করতে নির্মাতা বেশ কিছু নতুন টুইস্ট যোগ করছেন। শোনা যাচ্ছে, এই ছবির মাধ্যমে রণবীর কাপুর প্রযোজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছেন। তার প্রযোজনা সংস্থার নাম রাখা হয়েছে আরকে ফিল্মস; যা কাপুর পরিবারের ঐতিহ্যেরই আধুনিক রূপ। যদিও সিনেমাটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনও আসেনি, তবে একাধিক গণমাধ্যম সূত্র জানিয়েছে, ছবির প্রি-প্রোডাকশন চলছে। ২০২৬ সালের শুরুতে শুটিং শুরু হতে পারে। বড় বাজেট ও ভারতের পাশাপাশি একাধিক দেশে সিনেমার দৃশ্যধারণের পরিকল্পনাও রয়েছে অয়নের।
রান্নাঘরে তালা দেন মনোজ দুপুরের খাবারের পর

রান্নাঘরে তালা দেন মনোজ দুপুরের খাবারের পর বলিউড অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ি প্রায় তিন দশকের কর্মজীবন শুরু করেছিলেন ধারাবাহিক দিয়ে। এরপরে নাম লেখান সিনেমায়। তবে বর্তমানে ওটিটির অন্যতম চর্চিত অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ি। সম্প্রতি তার ‘ফ্যামিলি ম্যান ৩’ মুক্তি পেয়েছে। ৫৬ বছর বয়সে এখনো ছিপছিপে সুঠাম দেহের অধিকারী এ অভিনেতা। মুখে নেই কোনো বলিরেখার চিহ্ন, যার নেপথ্যে রয়েছে তার জীবনযাপনের দীর্ঘ ইতিহাস। ১৪ বছর ধরে রাতের খাবার খান না বলে সিনেমার প্রচার অনুষ্ঠানে এসে জানিয়েছেন মনোজ বাজপেয়ি। অভিনেতার কথা শুনলে মনে হবে তিনি কৃচ্ছসাধন করছেন। এত বছর ধরে রাতের খাবার না খেয়ে থাকছেন। তবে অভিনেতা নিজের ইচ্ছায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার শরীর ঠিক রাখার জন্যই এমনটা করেন তিনি। সূর্যাস্তের পর তার বাড়ির রান্নাঘরে চুলা জ্বলে না। তবে ব্যতিক্রমী কিছু সময় রয়েছে। মনোজ বাজপেয়ি বলেন, আমি আমার দাদুকে দেখেছি ছিপছিপে শরীর। আমি নিজেও তেমন চেহারা চেয়েছি সবসময়। তাই দুপুর ৩টার পর আর কিছু মুখে দেই না। তাই আজ ১৪ বছর ধরে রাতে খাই না। আমাদের বাড়ির রান্নাঘর বন্ধ হয় দুপুরে। শুধু মেয়ে বাড়িতে এলে রাতের রান্না হয় বলে জানান এ অভিনেতা। যদিও অভিনেতা সকালের খাবার ও দুপুরের খাবার ফাঁকি দেন না। সেই সময় যতটা সম্ভব খেয়ে নেন তিনি। তার পরের ১২ ঘণ্টা আর কোনো খাবার মুখে তুলেন না বলে জানান মনোজ বাজপেয়ি।
নেটমাধ্যমে তোলপাড় পাইলট’ লুকে শাকিব

নেটমাধ্যমে তোলপাড় পাইলট’ লুকে শাকিব সদ্য এক বিজ্ঞাপনচিত্রে অংশ নিয়েছেন ঢালিউডের মেগাস্টার শাকিব খান। এখন শাকিব খান মানেই যেন নতুন নতুন লুক আর পোশাক। এই বিজ্ঞাপনও তার ব্যতিক্রম নয়। বিজ্ঞাপনটি ভাইরাল হতেই নতুন কিছু লুক নিয়ে আলোচনায় আসেন শাকিব। এরপর বিজ্ঞাপনটির জন্য তোলা পাইলটের লুকের কয়েকটি আলাদা ছবি নিজের ফেসবুকে শেয়ার করেন নায়ক। সেই ছবিগুলোতেই দেখা যায় সম্পূর্ণ অন্যরকম এক শাকিব খানকে; যা নিয়ে নেটমাধ্যমে তৈরি হয়েছে শোরগোল। ছবিতে দেখা যায়, নেভি ব্লু ক্যাপ্টেন ইউনিফর্ম, গম্ভীর লুক, পরিপাটি গেটআপ; চোখে সানগ্লাস আর পরিচ্ছন্ন গোঁফে যেন ভক্তদের নতুন করে মুগ্ধ করেছেন তিনি। ছবিগুলোর ক্যাপশনে শাকিব লিখেছেন, ‘আকাশটা সীমা নয়, এটি শুরু করার স্থান! ছবিগুলো প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নতুন লুক ভাইরাল হয়ে যায় ফেসবুকে। মন্তব্যের ঘরে ভক্তরা প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন তাকে। কেউ লিখেছেন, “এটিই আমাদের ক্যাপ্টেন শাকিব!” আরেকজনের মন্তব্য, “চলচ্চিত্রের পাইলট। তবে ছবিগুলো দেখে বহু নেটিজেন বলেছেন, এগুলো নাকি এআই-নির্মিত! যদিও মেটা এআই কিংবা চ্যাটজিপিটি, কোনোটিই ছবিগুলোকে এআই-জেনারেটেড হিসেবে শনাক্ত করেনি। এদিকে আসন্ন সিনেমা ‘সোলজার’ নিয়েও ব্যাপক আলোচনায় আছেন শাকিব খান। সান মিউজিক অ্যান্ড মোশন পিকচার্স প্রযোজিত ছবিটিতে তাকে একজন দেশপ্রেমিক চরিত্রে দেখা যাবে, যিনি একাই লড়াই করবেন দুর্নীতি, সিন্ডিকেট ও ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে।
মাসুমের কণ্ঠে আনন্দের গান

মাসুমের কণ্ঠে আনন্দের গান সংগীতশিল্পী মাসুমের কণ্ঠে প্রকাশ হলো নতুন গান ‘অন্ধকারে দেখা হোক’। গানের কথা লিখেছেন তারেক আনন্দ। সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন মাসুম নিজেই। গানটি প্রকাশ হয়েছে মাসুমের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে। গান নিয়ে মাসুম বলেন, ‘অন্ধকারে দেখা হোক’ গানটি আমার মনের মতো লিরিক পেয়েছিলাম। আমি চেষ্টা করেছি সুন্দর সুর, সংগীত করার। আশা করছি গানটি ভালো লাগবে শ্রোতাদের। তারেক আনন্দ বলেন, পাওয়ার ভয়েস খ্যাত শিল্পী মাসুম আজ থেকে দশ বছর আগে আমার আনন্দের গান অ্যালবামে প্রথম গান গেয়েছিলেন। এরপর তার সাথে কাজ করার কথা থাকলেও আর কেন জানি হয়নি। হঠাৎ এক রাতে লিরিক চাইলেন। সেই গানটিই ‘অন্ধকারে দেখা হোক’। খুব সুন্দর সুর করেছেন। আমার ক্যারিয়ারে আরেকটি ভালো গান যোগ হলো। মাসুম নিয়মিত গান প্রকাশ করে আসছেন। তার কণ্ঠে প্রকাশিত হয়েছে ৩০টির বেশি মৌলিক গান। এরমধ্যে‘মাঝি’, ‘অভিশপ্ত’, ‘মা’, ‘কিছু রাত নির্ঘুম’, ‘মাটি বলে’ প্রমুখ গান শ্রোতাপ্রিয়।