আফসানা মিমি ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বিচারক

আফসানা মিমি ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বিচারক   আগামী বছর শুরু হচ্ছে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ২৪তম আসর। রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদের আয়োজনে ১০ জানুয়ারি থেকে টানা ৯ দিন চলবে এই উৎসব। ‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আয়োজিত উৎসবে ৯১টি দেশের প্রায় ২৬৭টি পূর্ণদৈর্ঘ্য, স্বল্পদৈর্ঘ্য ও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হবে। এরই মধ্যে উৎসবের দুটি বিভাগের জুরিবোর্ডের সদস্যদের নাম ঘোষণা করেছে আয়োজক প্রতিষ্ঠান। সেই তালিকায় রয়েছেন অভিনেত্রী ও নির্মাতা আফসানা মিমি। তিনি বিচারকের দায়িত্ব পালন করবেন ওমেন ফিল্মমেকার বিভাগে। নারী নির্মাতাদের নির্মিত পূর্ণদৈর্ঘ্য, স্বল্পদৈর্ঘ্য ও ডকুমেন্টারি এই বিভাগে প্রদর্শিত হয়। সেরা পরিচালক, সেরা ডকুমেন্টারি ও সেরা ফিকশন নির্বাচনে কাজ করেন আন্তর্জাতিক নারী নির্মাতা, শিল্পী ও সংস্কৃতিসংক্রান্ত বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত স্বাধীন জুরি প্যানেল। মিমির সঙ্গে এই প্যানেলে রয়েছেন যুক্তরাজ্যভিত্তিক ক্রোয়েশীয় ডকু-নির্মাতা আলেকজান্দ্রা মার্কোভিচ, ইরানি-অস্ট্রেলীয় নির্মাতা ও ভিজ্যুয়াল আর্টিস্ট রোনাক তাহের, ফিলিপাইনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জেরাল্ডিন ভিলামিল এবং প্যারিসভিত্তিক মার্কিন শিক্ষক ও নির্মাতা ম্যারিয়ন স্ট্যান্ডেফার। উৎসবে থাকছে ‘টুয়েলভথ আন্তর্জাতিক উইমেন ফিল্ম মেকারস কনফারেন্স’। ১১ ও ১২ জানুয়ারি ঢাকা ক্লাবে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের নারী চলচ্চিত্র নির্মাতা ও গবেষকেরা অংশ নেবেন। এ ছাড়া ঘোষণা করা হয়েছে স্পিরিচুয়াল ফিল্মস বিভাগের জুরিদের নামও। এই বিভাগের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বাংলাদেশের লেখক ও প্রযোজক তানভীর হোসেন, সুইজারল্যান্ডের প্রজেক্ট ম্যানেজার তেরেসা ভিনা, ব্রাজিলীয় অডিওভিজ্যুয়াল আর্টিস্ট মিলিনা কোয়ারজ, জার্মান নির্মাতা দারিয়া সিলফস্টিন এবং ইরানি প্রযোজক এহসান কাভেহ। ওমেন ফিল্মমেকার ও স্পিরিচুয়াল ফিল্মসসহ মোট ১০টি বিভাগ থাকছে এবারের উৎসবে। অন্যান্য বিভাগ হলো- বাংলাদেশ প্যানোরামা, এশিয়ান সিনেমা, রেট্রোস্পেকটিভ, ট্রিবিউট, ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, সিনেমা অব দ্য ওয়ার্ল্ড, চিলড্রেন ফিল্মস এবং শর্ট অ্যান্ড ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিল্মস। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তন ও আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ মিলনায়তনে চলবে উৎসবের প্রদর্শনী।

ত্বকের কোলাজেন বাড়াবে ৬ খাবার

ত্বকের কোলাজেন বাড়াবে ৬ খাবার বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের কোলাজেন কমতে থাকে। এতে ত্বকে বলিরেখা পড়ে, ত্বক ঝুলে যায় এবং উজ্জ্বলতা কমে যায়। খাদ্যাভ্যাস, অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনসহ নানাবিধ কারণে কোলাজেন হ্রাস পায়। আর তখনই চেহারার স্বাভাবিক সৌন্দর্য ম্লান হতে শুরু করে। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে শরীরে কোলাজেন উৎপাদন বাড়ানো গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন ছয়টি খাবার। এ খাবারগুলো কোলাজেন বাড়াতে সহায়তা করে। সাইট্রাস জাতীয় ফল কোলাজেন উৎপাদনের জন্য ভিটামিন সি অপরিহার্য। ত্বকের উজ্জ্বলতা ও স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে কমলালেবু, লেবু, আঙুর এবং কিউই জাতীয় সাইট্রাস ফল নিয়মিত খান। এতে কোলাজেন উৎপাদন বাড়ে এবং ত্বক সুস্থ থাকে। ডিম ত্বকের কোলাজেন বাড়াতে নিয়মিত ডিম খান। বিশেষ করে ডিমের সাদা অংশে থাকে প্রোলিন নামের অ্যামাইনো অ্যাসিড যা কোলাজেন তৈরি করতে ভূমিকা রাখে। ডিমের কুসুমে থাকা বায়োটিন চুল-ত্বক-নখকে রক্ষা করে। সামুদ্রিক খাবার শরীরের পর্যাপ্ত পুষ্টির জন্য সামুদ্রিক মাছ মাছ গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্যতালিকায় স্যামন, টুনা, চিংড়ি ইত্যাদি মাছ রাখুন। এগুলো ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ভালো উৎস, একইসঙ্গে কোলাজেন উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সবুজ শাকসবজি পালং শাক, কলমি শাকের মতো পাতাযুক্ত সবুজ শাকসবজি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও খনিজে সমৃদ্ধ। এগুলোতে উচ্চ মাত্রার ভিটামিন সি রয়েছে, যা কোলাজেন সংশ্লেষণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও সবুজ শাকসবজিতে রয়েছে ভিটামিন ‘এ’ এর মতো নানা পুষ্টিকর উপাদান, যা ত্বকের ক্ষতি হওয়া টিস্যু মেরামত করে। দই প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ দই হজমশক্তি ঠিক রাখে। ত্বকের কোলাজেন গঠনে সহায়ক পরিবেশ তৈরি করে দই। তাই খাদ্যতালিকায় দই রাখুন। বেরি স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি এবং রাস্পবেরির মতো ফলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি আছে। এ দুটি উপাদান কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এই দুই ফল রাখুন।

ব্রঙ্কিওলাইটিস শীতে শিশুর কষ্ট

ব্রঙ্কিওলাইটিস শীতে শিশুর কষ্ট শীতের শুরু থেকেই শিশুর মধ্যে শ্বাসতন্ত্রের ভাইরাসজনিত সংক্রমণ, বিশেষ করে ব্যাপকভাবে দেখা যায় ব্রঙ্কিওলাইটিস। এ রোগে আক্রান্ত শিশুরা শ্বাসকষ্ট, কাশি এবং খাওয়ায় সমস্যার সম্মুখীন হয়। ফলে তারা ভোগে এবং অভিভাবকরাও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। বর্তমানে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ এবং অন্তঃবিভাগে এ ধরনের রোগীর সংখ্যা দৃশ্যমানভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেকেই একে নিউমোনিয়া ভেবে ভুল করেন, কিন্তু চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণ এবং গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে এটি নিউমোনিয়া নয়, বরং রেস্পিরেটরি সিনসাইটিয়াল ভাইরাসজনিত ব্রঙ্কিওলাইটিস। ব্রঙ্কিওলাইটিস হলো শিশুর ফুসফুসের শেষ প্রান্তে অবস্থিত ক্ষুদ্র শ্বাসনালিগুলোর ভাইরাসজনিত সংক্রমণ। সাধারণত রেস্পিরেটরি সিনসাইটিয়াল ভাইরাসই এ রোগের প্রধান কারণ। রোগটি নির্ণয়ে বিশেষ পরীক্ষার প্রয়োজন পড়ে না; শিশুর বয়স, রোগের ইতিহাস এবং শারীরিক লক্ষণ পর্যবেক্ষণ করলেই এটি সহজেই নির্ণয় করা সম্ভব। সাধারণত শিশু দুমাস থেকে দুবছরের মধ্যে আক্রান্ত হয়। রোগের শুরুতে নাক দিয়ে পানি পড়া, জ্বর থাকা বা না থাকা, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে। শ্বাস নিতে কষ্ট হলে বুকে পাঁজরের হাড় ভেতরের দিকে ঢুকে যায় এবং শ্বাসের সময় বাঁশির মতো শব্দ শোনা যায়। কিছু শিশু এ রোগে ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে, বিশেষ করে ছয় মাসের কম বয়সী, স্বল্প ওজনের, অপরিণত শিশু বা ঘনবসতিপূর্ণ পরিবেশে থাকা শিশুর ক্ষেত্রে। ছেলে শিশুরা মেয়েদের তুলনায় কিছুটা বেশি আক্রান্ত হয়। শীতকাল প্রধান সময় হলেও বর্ষাকালেও সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। বুকের দুধ যথাযথভাবে না পাওয়া, ঘরে ধূমপানের প্রভাব এবং কাঠের চুলা ব্যবহার এ ঝুঁকিকে আরও বৃদ্ধি করে। বাড়িতে আক্রান্ত শিশুর যত্নের জন্য তাকে মাথার দিক সামান্য উঁচু করে শোয়ানো, নাক পরিষ্কার রাখা, স্বাভাবিক খাবার দেওয়া, কুসুম গরম পানিতে গোসল করানো এবং জ্বর থাকলে প্যারাসিটামল ব্যবহার করা উপকারী। যদিও কিছু ক্ষেত্রে অ্যান্টিহিস্টামিন, স্যালবিউটামল বা কিটোটিফেন জাতীয় সিরাপ দেওয়া হয়। তবে এগুলো রোগ সারাতে বেশ কার্যকর নয়। তবে কিছু লক্ষণ দেখা দিলে হাসপাতালের সাহায্য নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেমন- শিশুর অস্বস্তি বা শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়া, খাওয়া বা পানি পান করতে অক্ষমতা, উচ্চমাত্রার জ্বর বা শরীরের নীলচে রঙ ধরা। সময়মতো চিকিৎসা না পেলে শ্বাসযন্ত্রের কার্যকারিতা কমে গিয়ে জীবনহানির ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। মনে রাখবেন, ব্রঙ্কিওলাইটিস নিউমোনিয়া নয় এবং অধিকাংশ শিশুর চিকিৎসা বাড়িতেই সম্ভব। কাশি দুসপ্তাহ বা তার বেশি স্থায়ী হতে পারে এবং ভবিষ্যতে কিছু শিশুর শ্বাসকষ্ট বা বুকে বাঁশির মতো শব্দ হতে পারে। রোগ প্রতিরোধে জন্মের পর ছয় মাস পর্যন্ত শিশুকে কেবল বুকের দুধ খাওয়ানো, নির্ধারিত সময়মতো টিকা দেওয়া, ছমাস পর ধীরে ধীরে ঘন খাবার দেওয়া, খাবারের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং বাড়িতে ধূমপান পরিহার করা গুরুত্বপূর্ণ। ব্রঙ্কিওলাইটিস সংক্রান্ত এ তথ্যের মাধ্যমে অভিভাবকরা শিশুর যত্নে সতর্ক থাকতে পারেন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারেন। ডা. ইমনুল ইসলাম ইমন লেখক : অধ্যাপক, শিশুরোগ বিভাগ

 কঠিন শর্তেই ভেঙেছিল অক্ষয়-শিল্পার প্রেম

 কঠিন শর্তেই ভেঙেছিল অক্ষয়-শিল্পার প্রেম নব্বইয়ের দশকে বলিউডের আলোচিত তারকা জুটি অক্ষয় কুমার ও শিল্পা শেঠির প্রেম ছিল অনেকটা ‘ওপেন সিক্রেট’। প্রায়ই একসঙ্গে দেখা যেত বিভিন্ন পার্টি, রেড কার্পেট বা ফটোশ্যুটে। তাদের এই সম্পর্কের কথা জানতো দুই পরিবারও, এমনকি বিয়ের কথাও চলছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই বিচ্ছেদ হয় এই জুটির। সম্প্রতি অক্ষয় কুমার ও শিল্পা শেঠির প্রেম ও বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুলেছেন অক্ষয়ের দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও চলচ্চিত্র নির্মাতা সুনীল দর্শন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি শিল্পা শেঠি ও অক্ষয় কুমারের সম্পর্ক ভাঙার কারণ তুলে ধরেন। জানান, শিল্পা শেঠির পরিবারের আরোপিত শর্তই বিচ্ছেদ ঘটায় এই আলোচিত জুটির। বলিউড ঠিকানায় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সুনীল জানান, তারা ছিলেন সবচেয়ে ‘সুদর্শন জুটি’, কিন্তু ভাগ্যের ভিন্ন পরিকল্পনা ছিল তাদের নিয়ে।শিল্পা শেঠির মা-বাবার দেওয়া শর্ত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে সুনীল বলেন, ‘মা বাবা হিসেবে, তাদের মেয়ের নিরাপত্তার জন্য মা বাবার যা কিছু প্রয়োজন, সেটাই তারা চেয়েছিলেন। এটা কোনো ভুল নয়। সুনীলের কাছে তখন জানতে চাওয়া হয়, তিনি আর্থিক নিরাপত্তার কথা বলছেন কি না? উত্তরে এই পরিচালক বলেন, ‘সব ধরনের নিরাপত্তাই, সব মা-বাবা এটা চান। তাদের বিচ্ছেদের সময়ের কথা বলতে গিয়ে সুনীল বলেন, ‘এক রিশতা’ সিনেমার শুটিং শুরু হওয়ার পরই তাদের বিচ্ছেদ হয়।

১৩ জানুয়ারি সালমান শাহ হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন

১৩ জানুয়ারি সালমান শাহ হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহকে হত্যার অভিযোগে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৩ জানুয়ারি নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন ঢাকার একটি আদালত। আজ রোববার ৭ ডিসেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানার আদালতে প্রতিবেদনের দিন ধার্য ছিল। তবে তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন জমা দিতে না পারায় আদালত নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন। এর আগে গত ২১ অক্টোবর রমনা থানায় মামলাটি করেন সালমান শাহের মামা মোহাম্মদ আলমগীর। এতে সালমান শাহের স্ত্রী সামীরা হক, শিল্পপতি ও সাবেক প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ মোট ১১ জনকে আসামি করা হয়। দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় হত্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া আরও অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর নিউ ইস্কাটনের বাসা থেকে অস্বাভাবিক অবস্থায় সালমান শাহকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের পক্ষ থেকে শুরু থেকেই মৃত্যুকে ‘হত্যা’ হিসেবে সন্দেহ করা হয়। ওই বছরেরই ২৪ জুলাই সালমানের বাবা কমর উদ্দীন আহমদ চৌধুরী আদালতে অভিযোগ দাখিল করে অপমৃত্যুর মামলা পুনঃতদন্ত ও হত্যা মামলা হিসেবে রেকর্ডের আবেদন করেন। পরবর্তীতে ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ বাদীপক্ষের রিভিশন মঞ্জুর করে মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, পূর্বপরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজশে সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে। তবে মামলার কোনো আসামি মারা গেলে প্রমাণ সাপেক্ষে তারা আইনি দায় থেকে অব্যাহতি পাবেন।

সংগীতশিল্পী নচিকেতা হাসপাতালে

সংগীতশিল্পী নচিকেতা হাসপাতালে অসুস্থ হয়ে পড়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে কলকাতার জীবনমুখী গানের সংগীতশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তীকে। গত শনিবার ৬ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম এ খবর প্রকাশ করেছে। ভারতীয় একটি গণমাধ্যম জানিয়েছে, হৃদযন্ত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছে নচিকেতার। যার ফলে বুকে দুটি স্টেন্ট বসানো হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, গায়কের অবস্থা এখন স্থিতিশীল। নচিকেতার কন্যা ধানসিঁড়ি চক্রবর্তী অন্য একটি গণমাধ্যমে বলেন, “বাবার শরীর এমনি ভালোই ছিল। অনেকগুলো অনুষ্ঠানও করেছেন। হঠাৎই শরীর খারাপ হওয়ায় তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাই। আমরা এক মুহূর্তও দেরি করিনি। ফলে তেমন সমস্যা হয়নি। হার্টের একটা সমস্যা হচ্ছিল। তবে এখন আগের থেকে অনেকটাই ভালো আছে। গতকাল দিবাগত রাত ২টার দিকে কলকাতার বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নচিকেতাকে ভর্তি করানো হয়। এই মুহূর্তে গায়কের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। আজ রবিবারও ৭ ডিসেম্বর তার অনুষ্ঠান ছিল; যা বাতিল করা হয়েছে বলে জানা গেছে। শুধু তাই নয়, চিকিৎসকের পরামর্শে আগামী বেশ কয়েকটি শো-ও বাতিল করা হয়েছে।

ঢালিউডের প্রযোজক ও অভিনেতা রুহুল আমিন বাবুলের মৃত্যু

ঢালিউডের প্রযোজক ও অভিনেতা রুহুল আমিন বাবুলের মৃত্যু ক্যান্সারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াই করে অভিনেত্রী নূতনের স্বামী, চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক রুহুল আমিন বাবুল মারা গেছেন। শনিবার বিকেল ৫টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। রুহুল আমিন বাবুলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর। তিনি জানান, আজ রোববার বাদ জোহর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ডি-ব্লকের জামে মসজিদে বাবুলের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে তাঁকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে। রুহুল আমিন বাবুলের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন প্রযোজক-পরিচালক রুহুল আমিন বাবুল। মাঝখানে কিছুটা সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরলেও আবারও শারীরিক অবনতি হওয়ায় কয়েকদিন আগে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। বাবুল জ্যাম্বস ফাইটিং গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন ছিলেন। সত্তরের দশকের শেষের দিকে ছবি প্রযোজনা শুরু করেছিলেন। প্রায় ৩০টি ছবি প্রযোজনা করেছেন। তার প্রযোজনায় নির্মিত হয় ‘দোস্ত দুশমন’, ‘বারুদ’, ‘চাঁদ সুরজ’, ‘কাবিন’সহ বেশ কয়েকটি সুপারহিট ছবি। সর্বশেষ তিনি ‘আমি সেই মেয়ে’ (১৯৯৮) প্রযোজনা করেছিলেন। ১৯৭৮ সালে অভিনেত্রী নূতনকে বিয়ে করেন প্রযোজক বাবুল। তাঁর প্রকৃত নাম ফারহানা আমিন রত্না। লাবিবা আমিন (বড় মেয়ে) ও ফারহানা আমিন রীতু (ছোট মেয়ে) নামে দুই কন্যাসন্তান রয়েছে।

এটাকে আমি অভিনয় হিসেবেই দেখছি ঐশী

এটাকে আমি অভিনয় হিসেবেই দেখছি ঐশী আরিফিন শুভ ও জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশীর বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘নূর’ অবশেষে মুক্তির অপেক্ষায়। পরিচালক রায়হান রাফী নির্মিত প্রেমের গল্পটি প্রেক্ষাগৃহে নয়, সরাসরি মুক্তি পাচ্ছে ওটিটিতে। সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম বায়োস্কোপ প্লাসে দেখা যাবে সিনেমাটি। সিনেমাটিতে সিনেমায় ঐশীর বিপরীতে নায়ক হিসেবে আছেন আরিফিন শুভ। এর আগে আরও দুটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তারা। গত ২৯ নভেম্বর প্রকাশিত হয় ‘নূর’-এর অফিসিয়াল টিজার; মাত্র ৪২ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে প্রেম-বিরহের আভাস পাওয়া যায়। আর মুক্তির আগেই ভাইরাল হয় টিজারের একটি চুমুর দৃশ্য, যা নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা। দর্শকদের একাংশের দাবি, মুক্তির আগেই প্রচারণার উদ্দেশ্যে এই দৃশ্য ছড়ানো হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। একই সঙ্গে শুভ-ঐশীর ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়েও গুঞ্জন রটে। অবশেষে এ বিষয়ে মুখ খুললেন নায়িকা ঐশী। দেশের একটি ইংরেজি সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘নূর-এ অভিনয় করেছি। সেখানে একটি চুমুর দৃশ্য আছে। এটাকে আমি অভিনয় হিসেবেই দেখছি। এর বাইরে কিছু নয়। বাস্তবে শুভর সঙ্গে আমার কোনো প্রেমের সম্পর্ক নেই। তার ভাষায়, ‘চুমুর দৃশ্য না থাকলে বদলে অন্য কিছুই থাকতে পারত, যেমন নায়ককে ধাক্কা দেওয়া বা চড় মারা। অভিনয়ের প্রয়োজনে যে দৃশ্য প্রয়োজন, সেটিই তো করতে হয়। বর্তমানে শাকিব খানের বিপরীতে ‘সোলজার’ সিনেমার শুটিংয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঐশী। বেশিরভাগ দৃশ্যের কাজ শেষ। আর ‘নূর’ মুক্তি পাচ্ছে ১০ ডিসেম্বর।

ঘরের ধুলাবালি থেকে অ্যালার্জি সতর্ক থাকবেন যেভাবে

ঘরের ধুলাবালি থেকে অ্যালার্জি সতর্ক থাকবেন যেভাবে   অনেকেরই ডাস্ট অ্রালার্জি বা ধূলিকণা থেকে সৃষ্ট অ্যালার্জির সমস্যা আছে। এর ফলে একটানা হাঁচি, সর্দি, চোখ চুলকানো বা শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। সঠিক লাইফস্টাইল এবং কিছু স্মার্ট অভ্যাস আপনার অ্যালার্জিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। যেমন-ডাস্ট অ্যালার্জির মূল কারণ হল ধুলোর মাইট । এই ক্ষুদ্র জীবগুলি গরম ও আর্দ্র পরিবেশে, বিশেষ করে বিছানাপত্রে জন্মায়। এদের নিয়ন্ত্রণ করাই হলো প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ । কী করবেন- বিছানাপত্রের বিশেষ যত্ন বিছানার কভার ব্যবহার করতে হবে। বালিশ, তোষক এবং লেপের উপর অ্যালার্জি-প্রুফ কভার ব্যবহার করুন। এই কভারগুলি মাইট এবং এগুলোর বর্জ্য পদার্থকে আটকে রাখে। এ ছাড়া প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার বিছানার চাদর, বালিশের কভার এবং কম্বল গরম পানিতে ধুয়ে নিন। ঘরের আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ:ধুলোর মাইট আর্দ্রতা ভালবাসে। আপনার ঘরের আর্দ্রতা ৫০ শতাংশের নিচে রাখার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে একটি ডিহিউমিডিফায়ার (আর্দ্রতা শোষণকারী যন্ত্র) ব্যবহার করতে পারেন। কার্পেট এবং ভারী পর্দা এড়িয়ে চলুন কার্পেট, ভারী কম্বল বা ঘন পর্দা ধুলোর মাইট এবং অন্যান্য অ্যালার্জেনদের জন্য আদর্শ আবাস। সম্ভব হলে কার্পেট সরিয়ে শক্ত কাঠ, টাইলস বা লিনোলিয়ামের মেঝে ব্যবহার করুন। জানলায় সহজে ধোওয়া যায় এমন হালকা পর্দা ব্যবহার করুন। পরিচ্ছন্নতার স্মার্ট রুটিন নিয়মিত ঘর পরিষ্কার করা জরুরি। তবে সেই পরিচ্ছন্নতা যেন সঠিক উপায়ে হয় সে ব্যাপারে খেয়াল রাখুন। সঠিক ভ্যাকুয়াম ক্লিনার: সাধারণ ঝাড়ু ব্যবহার করলে ধুলো আরও বেশি বাতাসে ছড়ায়। এর পরিবর্তে এইচইপিএস ফিল্টার যুক্ত ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ব্যবহার করতে পারেন। এটি সূক্ষ্ম ধূলিকণাকে শোষণ করে, যা অ্যালার্জির মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ভেজা কাপড় ব্যবহার: আসবাবপত্র এবং অন্যান্য জিনিস মোছার জন্য শুকনো কাপড়ের পরিবর্তে ভেজা কাপড় বা মপ ব্যবহার করুন। এতে ধুলো বাতাসে ওড়ার সুযোগ পায় না। মাস্ক পরুন: যখন ঘর পরিষ্কার করবেন বা ভ্যাকুয়াম করবেন, তখন নাকে এবং মুখে মাস্ক ব্যবহার করুন। তাহলে অ্যালার্জেন সরাসরি আপনার শ্বাসনালীতে প্রবেশ করতে পারবে না। পরিষ্কারের পর কমপক্ষে ২০ মিনিট ঘর থেকে দূরে থাকুন। বিশুদ্ধ বাতাসের দিকে নজর: বাড়ির ইনডোর বাতাসের গুণমান উন্নত করা অত্যন্ত জরুরি। এর জন্য এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করা যেতে পারে। ঘরে এইচইপিএস যুক্ত এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন। যা বাতাস থেকে পরাগ, ধুলোর মাইটের বর্জ্য এবং অন্যান্য অ্যালার্জেন ফিল্টার করে দেবে। এ ছাড়া ঘরের ভেতরের ডাস্টবিন নিয়মিত পরিষ্কার করুন এবং বাইরে রাখুন। লাইফস্টাইল পরিবর্তন করার পরেও যদি অ্যালার্জির উপসর্গগুলি না কমে তাহলে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।

শীতের বাহারি পিঠা

শীতের বাহারি পিঠা শীত মানেই বাহারি পিঠা তৈরির আয়োজন। আর পিঠা ছাড়া শীত যেন পরিপূর্ণ হয় না। তাই তো হেমন্তের নতুন চালে শীতে পিঠা বানানোর ধুম পড়ে যায়। আমাদের দেশে যে কত রকম পিঠা হয় তা বলে শেষ করা কঠিন। চিকেন ভাপা পিঠা উপকরণ: চিকেন কিমা সিদ্ধ এক কাপ, আদা কুচি ১/২ চা চামচ, রসুন কুচি ১/২ চা চামচ, পেঁয়াজকলি কুচি এক চা চামচ, পেঁয়াজ কুচি এক চা চামচ, ধনেপাতা কুচি এক চা চামচ, সরিষার তেল এক টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, চালের গুঁড়া ২ কাপ, পানি পরিমাণমতো ও লবণ পরিমাণমতো। প্রস্তুতপ্রণালি: পরিমাণমতো পানি ও লবণ দিয়ে মেখে ঝুরঝুরা করে রাখতে হবে চালের গুঁড়া। চিকেন কিমা সব মসলা দিয়ে মেখে নিতে হবে। একটা ছোট বাটিতে চালের গুঁড়া নিয়ে তার উপর এক টেবিল চামচ চিকেনের মিশ্রণ রেখে আবার চালের গুঁড়া দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। এবার পাতলা কাপড়ের উপর রেখে ছিদ্রযুক্ত পিঠার পাতিলে পিঠা রেখে ঢাকনা দিয়ে মাঝারি আঁচে ২/৩ মিনিট ঢেকে রাখলেই পিঠা তৈরি হয়ে যাবে। লবঙ্গ পিঠা উপকরণ: লবঙ্গ ৮/১০টা, ময়দা এক কাপ, ময়ানের জন্য তেল বা ঘি ২ চা চামচ, লবণ সামান্য। পুরের জন্য: নারকেল এক কাপ, গুড় বা চিনি ১/২ কাপ, এলাচ গুঁড়ো এক চিমটি, গুঁড়ো দুধ ২/৩ টেবিল চামচ ও ভাজার জন্য তেল পরিমাণমতো। প্রস্তুতপ্রণালি: ময়দা, পরিমাণমতো লবণ, তেল বা ঘি দিয়ে ভালোমতো ময়ান দিয়ে রাখতে হবে। গুড় বা চিনি, নারিকেল, গুঁড়ো দুধ ও এলাচ একসঙ্গে জ্বাল দিয়ে একটা পুর তৈরি করতে হবে। ময়ান দেওয়া ময়দা থেকে পাতলা রুটি বেলতে হবে। এক চা চামচ পুর মাঝখানে রেখে মাঝামাঝি ভাঁজ দিতে হবে। এর পর কোনাটা টেনে মাঝখানে এনে আর একটা ভাঁজ দিতে হবে। তারপর একে একে বাকি কোনাগুলো টেনে পুরো পিঠা তৈরি করে মাঝখানে একটা লবঙ্গ দিয়ে ভাঁজগুলো আটকে দিতে হবে। এরপর ডুবা তেলে মাঝারি আঁচে ভাজতে হবে। ঝিনুক বা খেজুর পিঠা উপকরণ: ময়দা ১ কাপ, চালের গুড়ো ২ কাপ, চিনি বা গুড়ের সিরা পরিমাণ মতো। নকশা করার জন্য চিরুনি। পিঠা ভাজার জন্য পরিমাণ মতো তেল। প্রস্তুত প্রণালি: ময়দা আর চালের গুড়ো চালনির সাহায্যে চেলে নিন। গরম পানি দিয়ে ভালো ভাবে মেখে পিঠার ডো তৈরি করুন। ছোট লেচি কেটে লম্বা করে বেলে চিরুনির দাতে বসিয়ে হাতে চেপে ডিজাইন করুন। গরম তেলে ভাজা হলে গুড় বা চিনি র সিরা ছড়িয়ে দিন। সুজির মালাই পিঠা উপকরণ: দুধ ১ লিটার, এলাচ গুঁড়া আধা চা চামচ, চিনি ২ কাপ, ডিম ২টি, গুঁড়া দুধ আধা কাপ, বেকিং পাউডার আধা চা চামচ, সুজি ১ কাপ, লবণ স্বাদমতো, বাদাম কুচি ও চেরি পরিমাণমতো। প্রস্তুত প্রণালি: একটি পাত্রে এক লিটার দুধ নিয়ে জ্বাল দিতে থাকুন। দুধ ঘন হয়ে এলে এতে দিয়ে দিন আধা চা চামচ এলাচ গুঁড়া। সঙ্গে দিন ১-৩ কাপ চিনি। দুধ ঘন হয়ে এলে চুলা থেকে নামিয়ে নিন। এবার একটি বাটিতে দুটি ডিম ভেঙে নিন। ভালো করে বিট করে নিন। এতে দিন এক চা চামচ চিনি। ভালো করে বিট করে চিনি গলিয়ে নিন। এতে দিয়ে দিন ১ চা চামচ লবণ, ১ চা চামচ বেকিং পাউডার ও ৩/৪ কাপ গুঁড়া দুধ। খুব ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর এতে দিয়ে দিন ১ কাপ সুজি। ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। ১০ মিনিটের জন্য ঢেকে রেখে দিন। এবার একটি প্যানে তেল নিয়ে মাঝারি আঁচে ভাজতে হবে। তাই পিঠাগুলো গোল গোল আকার দিয়ে বানিয়ে তেলে ছেড়ে দিন। ২ মিনিটের মতো ভেজে নিন। খুব বেশি ভাজা যাবে না। পিঠাগুলো তুলে ফেলার পরপরই বানানো মালাইয়ের মধ্যে ঢেলে দিতে হবে। সব শেষে পিঠার ওপর বাদাম কুচি আর চেরির টুকরো দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করতে পারেন। ঝাল পোয়া পিঠা উপকরণ: আতপ চালের গুঁড়া ২ কাপ, ময়দা ১ কাপ, ডিম ২টা, খাবার সোডা ১ চিমটি, লবণ স্বাদমতো, চিনি ১ চা চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, জিরা ও রসুন বাটা ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়া ১২ চা চামচ, মরিচ গুঁড়া ১২ চা চামচ, পেঁয়াজ কুচি ২ চা চামচ, মরিচ কুচি ১ চা চামচ, ধনেপাতা কুচি ১ মুঠ, পানি পরিমাণমতো, তেল ভাজার জন্য। প্রস্তুত প্রণালি: সব উপকরণ একসঙ্গে মাখিয়ে পিঠার গোলা বানাতে হবে। গোলাটা বেশ কিছু সময় রেখে দিয়ে তারপর ভালো করে ফেটে নিলে খুব সুন্দর পিঠা হয়। তেলের পিঠা পোয়া পিঠার মতো ঘন গোলা হবে। আন্দাজমতো গোলা গরম তেলে ভালো করে দুই পিঠ ভেজে তুলে নিন। টমেটো সস দিয়ে এই পিঠা খেতে খুব অসাধারণ। হালকা নাশতা কিংবা মেহমান আপ্যায়নে ভালো জমবে এ খাবারটি।