নাচোলে কমিউনিটি ক্লিনিকে সমন্বয় সভা

নাচোলে কমিউনিটি ক্লিনিকে সমন্বয় সভা নাচোল উপজেলার লক্ষ্মীপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকালে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন— উপজেলা স্বাস্থ্য উপজেলা ফোরামের সভাপতি হাফিজুর রহমান, নেজামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও কমিউনিটি ক্লিনিক সদস্য আব্দুল গাফ্ফার, কাইউম, শাহজাদী বেগম, সংরক্ষিত আসনের সদস্য রেবিনা খাতুনসহ অন্য সদস্যরা। বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচের কার্যক্রম তুলে ধরেন প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোরশেদ আলম। বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ ও প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির সহযোগিতায় এই সমন্বয় সভার আয়োজন করে নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরাম। এ সময় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন— নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির কনিষ্ঠ সহকারী পরিচালক ফারুক আহমেদ, লক্ষ্মীপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি মাসুমা খাতুন, এফডব্লিউএ কামরুন নাহার, প্রয়াসের অফিসার শাহরিয়ার শিমুলসহ অন্যরা। উল্লেখ্য, স্থানীয় পর্যায়ে স্বাস্থ্য অধিকার ও স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে জনসচেতনতা সৃষ্টি, স্বচ্ছতা তৈরি, জবাবদিহিতা বৃদ্ধি এবং সকল পর্যায়ে জনঅংশগ্রহণ নিশ্চিত করে স্বাস্থ্যসেবা খাতে টেকসই উন্নয়ন সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষে কাজ করছে নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরাম।

বুধবার সন্ধ্যায় অথবা বৃহস্পতিবার তফসিল ঘোষণা

বুধবার সন্ধ্যায় অথবা বৃহস্পতিবার তফসিল ঘোষণা তফসিল ঘোষণায় ভাষণের সবকিছু চূড়ান্ত বলে নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় কিংবা ১১ ডিসেম্বর ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে বলে গণমাধ্যমে জানিয়েছেন ইসি রহমানেল মাসউদ। আজ মঙ্গলবার তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আগামীকাল বুধবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সন্ধ্যায় কিংবা ১১ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে কমিশন।’ তফসিল ঘোষণায় রাজনৈতিক দলসহ সবার সহযোগিতার বিষয়ে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হবে বলেও জানান তিনি। তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি হিসেবে এরই মধ্যে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ও বেতারকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ভাষণ রেকর্ড করতে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণা নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের ভাষণ আগামীকাল বুধবার বিকেল ৪টার দিকে রেকর্ড করা হবে। এর আগে সিইসি অন্য নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে নিয়ে বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে দেখা করে নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে জানাবেন। কমিশন সূত্র আরো জানায়, আগামীকাল বুধবার অথবা বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে সিইসির রেকর্ড করা ভাষণ সম্প্রচারের মাধ্যমে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হবে। তবে অতীতে সিইসির ভাষণ রেকর্ডের দিনই তফসিল ঘোষণার নজির রয়েছে। এবারও তেমনটা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘এরই মধ্যে বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’ ১০ ডিসেম্বর বুধবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিনের ভাষণ রেকর্ড করা হবে। তবে কখন এই ভাষণ রেকর্ড করা হবে, সে তথ্য তিনি জানাননি। সূত্র জানায়, বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতারকে দেওয়া চিঠিতে ভাষণ রেকর্ড করে তাৎক্ষণিকভাবে প্রচারের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

‘পপির জন্য অনেক তো অপেক্ষা করলাম, আর কত’

‘পপির জন্য অনেক তো অপেক্ষা করলাম, আর কত’ তরুণ পরিচালক আরিফুর জামান আরিফ ২০১৮ সালে ‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’ শিরোনামে সিনেমা নির্মাণে হাত দেন। সিনেমাটিতে জুটি হওয়ার কথা ছিল ফেরদৌস ও পপির। মাত্র দুদিনের শুটিংয়ের পরই থেমে যায় পুরো প্রজেক্ট—ফেরদৌস রাজনীতিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন, আর পপি চলে যান আড়ালে। এরপর কেটে গেছে দীর্ঘ সাত বছর। মাস দুয়েক আগে পরিচালক জানান, ফেরদৌসকে সিনেমার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এবার একইভাবে বাদ গেলেন নায়িকা পপিও। তাদের জায়গায় কারা আসছেন—এ বিষয়ে এখনো মুখ খুলছেন না এই নির্মাতা। আরিফুর জামান আরিফ বলেন, “কোনো কুল-কিনারা না পেয়েই তাদেরকে সিনেমা থেকে বাদ দিতে হচ্ছে। অনেক তো অপেক্ষা করলাম আর কত! নতুন শিল্পী কারা—প্রশ্ন উঠতেই পরিচালক বলেন, “এই মুহূর্তে বলতে চাচ্ছি না। পরিকল্পনা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। খুব শিগগির জানাতে পারব।” নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী বছরের (২০২৬) ১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে ‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’-এর শুটিং। দিনটি নির্বাচন করা হয়েছে বিশেষ কারণে, এদিন বাংলা সাহিত্যের অমর কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ৮৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। আরিফ বলেন, “এই দিনটিতেই চূড়ান্ত ঘোষণার মাধ্যমে শুটিং শুরু হবে।” প্রসঙ্গত, শরৎচন্দ্রের জীবনদর্শন অবলম্বনে নির্মিত সিনেমাটিতে তার চরিত্রে অভিনয় করছেন গুণী অভিনেতা গাজী রাকায়েত। বাকি চরিত্র ও পূর্ণাঙ্গ তালিকা শিগগির প্রকাশ হবে বলে জানা গেছে।

ফিরেই ভক্তদের ঘুম উড়ালেন কিয়ারা

ফিরেই ভক্তদের ঘুম উড়ালেন কিয়ারা ভারতীয় সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী কিয়ারা আদভানি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরবর্তী পাঁচ মাস পর্যন্ত শুটিং করেন। প্রথম সন্তানের মা হয়েছেন তা-ও কেটে গেছে আরো পাঁচ মাস। মা হওয়ার পর প্রথমবার প্রকাশ্যে দেখা দিলেন এই অভিনেত্রী। আর তার আবেদনময়ী উপস্থিতিতে ঘুম উড়েছে তার ভক্ত-অনুরাগীদের। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে কিয়ারা তার ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করে চিরচেনা অঙ্গনে ফেরার আভাস দেন। ক্যাপশনে লিখেন—“পরবর্তী অধ্যায় আরো আগুন হবে। কাজটা করেই ফেলি।” তারপর থেকে অপেক্ষায় ছিলেন তার ভক্তরা। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া আভাস বাস্তবে রূপ নেয়। মুম্বাইয়ের একটি শুটিং সেটে আবেদনময়ী রূপে হাজির হয়ে তাক লাগিয়ে দেন এই অভিনেত্রী। এ মুহূর্তের ভিডিও এখন অন্তর্জালে ভাইরাল। ভিডিওতে দেখা যায়, মাতৃত্বের পর ওজন ঝরিয়ে একেবারে ছিপছিপে গড়নে ফিরেছেন কিয়ারা। তার পরনে কাঁধখোলা ডেনিম শার্ট আর শর্টসে কিয়ারার চেহারা যেন মাতৃত্বের লাবণ্যে পরিপূর্ণ। অভিনেত্রীর এমন লুকই এখন আলোচনার বিষয়ে রূপ নিয়েছে। ভূয়সী প্রশংসা করছেন নেটিজেনরা।  একজন লেখেন, “সেক্সি মাম্মি, উফফ! সে নারীত্বকে আলিঙ্গন করেছে।” আরেকজন লেখেন, “সে এখন আরো বেশি আবেদনময়ী।” অক্ষয় লেখেন, “দেখতে চমৎকার লাগছে।” নীতেশ লেখেন, “বাহ, ওকে সত্যিই বিশ্ব সুন্দরীর মতো লাগছে।” শালিনি লেখেন, “উফফফ, এত সুন্দর মাম্মি!” এমন অসংখ্য মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে নেট দুনিয়ায়। তবে কোনো সিনেমার শুটিং দিয়ে নিজ ভুবনে ফিরেননি কিয়ারা আদভানি। গতকাল একটি বিজ্ঞাপনচিত্রের শুটিং করেন এই অভিনেত্রী।  কিয়ারা আদভানি ব্যক্তিগত জীবনে অভিনেতা সিদ্ধার্থ মালহোত্রার সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন। ‘শেরশাহ’ সিনেমার শুটিং সেট থেকে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান তারা। এরপর এ জুটির প্রেম-বিয়ে নিয়ে আলোচনা কম হয়নি। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি রাজস্থানের জয়সালমীরে সাতপাকে বাঁধা পড়েন সিদ্ধার্থ-কিয়ারা। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে যৌথ এক বিবৃতিতে বাবা-মা হতে যাওয়ার ঘোষণা দেন। গত ১৫ জুলাই কন্যাসন্তানের জন্ম দেন কিয়ারা।

দেশের বাইরে যেতে চান না খালেদা জিয়া

দেশের বাইরে যেতে চান না খালেদা জিয়া শারীরিক অবস্থার সংকটাপন্ন থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থেকেও তিনি নিজ দেশেই চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রাখার ইচ্ছাপোষণ করেছেন। গত ২৩ নভেম্বর রাতে অসুস্থ বোধ করলে বেগম খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে তিনি সিসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন, বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। এমন অবস্থায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়ার জোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল দল পরিবার। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গত ৫ ডিসেম্বর লন্ডন থেকে ঢাকায় আসেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান। পেশায় চিকিৎসক ডা. জুবাইদা মূলত শাশুড়িকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যেই দেশে ফিরেছেন। বর্তমানে তিনি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সার্বিক তদারকি করছেন। তবে বিএনপির ঘনিষ্ঠ ও নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ডা. জুবাইদা রহমানকে জানিয়েছেন, তার শাশুড়ি চিকিৎসার জন্য দেশ ছাড়তে চান না। তিনি এ দেশেই চিকিৎসা নিতে চান।  সূত্রটি আরও জানায়, গত ২৩ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তির সময়েও তিনি স্বজন ও চিকিৎসকদের বলেছিলেন, তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে যেন তাকে দেশের বাইরে নেওয়া না হয়। তিনি দেশের মাটিতেই থাকতে চান। অন্যদিকে, বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করে মেডিকেল বোর্ডও তাকে এই মুহূর্তে বিদেশে স্থানান্তরের বিষয়ে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসকরা মনে করছেন, দীর্ঘ আকাশপথে ভ্রমণের মতো শারীরিক সক্ষমতা বর্তমানে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর নেই। তাকে এ অবস্থায় দেশের বাইরে নেওয়া অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। ফলে একদিকে পরিবারের উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে লন্ডনে নেওয়ার চেষ্টা এবং অন্যদিকে বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত অনিচ্ছা ও মেডিকেল বোর্ডের ঝুঁকি বিষয়ক সতর্কতা- সব মিলিয়ে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছে। আপাতত এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে তার চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে খালেদা জিয়ার পরিবার।

জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে আহত অন্তত ৩০

জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে আহত অন্তত ৩০ জাপানে আঘাত হানা ৭ দশমিক ৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া ঘরের বাইরে অবস্থান করতে বাধ্য হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।  মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। জাপানের আবহাওয়া সংস্থার তথ্যানুসারে, সোমবার স্থানীয় সময় রাত সোয়া ১১টার দিকে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে দেশটির উত্তরাঞ্চল। আওমোরি অঞ্চলের উপকূল থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) গভীরে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর ফলে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়, যা এখন প্রত্যাহার করা হয়েছে। ভূমিকম্পের পরপরই আওমোরি ও হোক্কাইডোর কিছু অংশে ৭০ সেমি (২৭ ইঞ্চি) উঁচু ঢেউ দেখা যায়। এসময়, সরিয়ে নেওয়া হয় উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের। ভূমিকম্পের প্রভাবে বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে আড়াই হাজারের বেশি ঘরবাড়ি। ইস্ট জাপান রেলওয়ে কয়েকটি রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।  স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, কর্তৃপক্ষ সতর্ক করে বলেছে, আগামী দিনে আরো শক্তিশালী ভূমিকম্প হতে পারে। জনসাধারণকে কমপক্ষে এক সপ্তাহের জন্য উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানানো হয়েছে। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত নাগরিকদের উদ্দেশে জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানে তাকাইচি বলেন, “আপনারা সবাই সামনের কয়েক দিন সতর্ক থাকবেন। কম্পন অনুভূত হওয়ামাত্র যেখানেই থাকুন- তাৎক্ষণিকভাবে যেন বাইরে বেরিয়ে পড়তে পারেন- সে বিষয়ক প্রস্তুতি রাখবেন। ভূমিকম্পের নিজেদের মূল্যবান সম্পত্তি-আসবাবপত্র যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়- সে বিষয়েও সতর্ক থাকবেন।” বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, ভূমিকম্প ও সুনামি সতর্কতা জারি হওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে আওমোরি এবং আশপাশের উপকূলীয় এলাকা থেকে প্রায় ৭০ হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছেন জাপানের দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগের উদ্ধারকারী বাহিনী। জাপানের প্রধান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মিনোরু কিহারা বলেন, “আমরা ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়ন এবং উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমসহ জরুরি দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থা বাস্তবায়নের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।”  জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল ২০১১ সালে। হোনশু অঞ্চলে ৯.০ মাত্রার ওই ভূমিকম্পের আঘাতে ১৮ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যায় এবং পুরো অঞ্চলটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।  জাপান বিশ্বের সবচেয়ে ভূমিকম্পপ্রবণ দেশগুলোর মধ্যে একটি। এটি রিং অব ফায়ারে অবস্থিত, যার ফলস্বরূপ, বছরে প্রায় ১ হাজার ৫০০টি ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এই বছরের শুরুতে, জাপানের ভূমিকম্প তদন্ত প্যানেল বলেছিল, আগামী ৩০ বছরের মধ্যে নানকাই খাদে একটি মেগাভূমিকম্প হওয়ার ৬০-৯০ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি অনুসারে, এটি ট্রিলিয়ন কোটি আর্থিক ক্ষতির কারণ হতে পারে এবং সম্ভাব্যভাবে কয়েক লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে। জাপানের প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূল বরাবর বিস্তৃত ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল নানকাই খাদে ভূমিকম্পে ইতিমধ্যেই কয়েক হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।

ভারতের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের হুমকি দিলেন ট্রাম্প

ভারতের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের হুমকি দিলেন ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করে বলেছেন, তিনি কৃষি আমদানির ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করতে পারেন। তিনি বিশেষ করে ভারত থেকে চাল আমদানি এবং কানাডা থেকে সার আমদানির ওপর এই শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন, কারণ উভয় দেশের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ছাড়াই চলছে।  সোমবার (৮ ডিসেম্বর) হোয়াইট হাউজে আমেরিকান কৃষকদের সঙ্গে এক বৈঠকে ট্রাম্প দেশটির কৃষকদের জন্য ১২ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করার পর এই মন্তব্য করেন। তিনি আরো বলেন, আমদানি দেশীয় উৎপাদকদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে এবং এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টার কথা তিনি জানান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ভারতীয় চাল যুক্তরাষ্ট্রে খুব কম দামে বিক্রি করে বাজার নষ্ট করার অভিযোগ তিনি খতিয়ে দেখবেন। তিনি জানান, আমেরিকান কৃষকরা অভিযোগ করেছেন- ভারত, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম থেকে কম দামে চাল আমদানি হওয়ায় দেশের চালের দাম কমে যাচ্ছে এবং এতে তাদের ক্ষতি হচ্ছে। এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবারের বৈঠকে ট্রাম্প মার্কিন কৃষকদের জন্য কয়েকশো কোটি ডলারের কৃষি ত্রাণ প্যাকেজ ঘোষণা করেন ও একই সঙ্গে ভারতসহ এশিয়ার দেশগুলো থেকে কৃষিপণ্য আমদানির তীব্র সমালোচনা করেন। টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবর অনুসারে, বৈঠকে উপস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রধান চাল কোম্পানি কেনেডি রাইস মিলসের সিইও মেরিল কেনেডি-সহ উপস্থিত কৃষকদের থেকে কোন কোন দেশ থেকে ভর্তুকিযুক্ত কৃষি পণ্য আমদানি করা হয় তার তালিকা চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই তালিকায় ছিল ভারত, থাইল্যান্ড এবং চিনের মতো দেশের নাম। এই দেশগুলোর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে সস্তা চাল পাঠানোর অভিযোগ। তালিকাটি দেখে ট্রাম্প অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং তার ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্টকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘ভারত সম্পর্কে বলুন। ভারত কেন এটি করছে? চালের উপর কি কোনও শুল্ক ছাড় আছে?’ ট্রাম্প স্পষ্টভাবে বলেন যে, আমেরিকান কৃষকদের সুরক্ষার জন্য, ভারতীয় চালের ওপর আরো কঠোর শুল্ক আরোপ করা হবে। এই বছরের আগস্টে ট্রাম্প রাশিয়ার থেকে ভারতের তেল কেনা নিয়ে আপত্তি তুলে ভারতের উপর বাড়তি শুল্ক আরোপ করেন। ভারত থেকে আমদানি করা বেশিরভাগ পণ্যের উপর শুল্ক বেড়ে দাঁড়ায় ৫০ শতাংশ। আগামী ১০ এবং ১১ ডিসেম্বর দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য ভারতে আসছে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি দল। তার মধ্যেই ফের আরো শুল্ক আরোপের হুমকি দিলেন ট্রাম্প।

রাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় আসনপ্রতি লড়বেন ৬৮ জন

রাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় আসনপ্রতি লড়বেন ৬৮ জন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের সময়সীমা শেষ হয়েছে। এ বছর তিন ইউনিটে মোট আবেদন জমা পড়েছে ২ লাখ ৭২ হাজার ৬২৫টি। বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসন সংখ্যা ৩ হাজার ৯৯৭টি, ফলে আসনপ্রতি লড়বেন ৬৮ ভর্তিচ্ছু। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক মো. ছাইফুল ইসলাম এ তথ্য জানান।  তিনি বলেন, “গত ২০ নভেম্বর দুপুর ১২টা থেকে রাবি ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু হয়েছিল। আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে ৭ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। আবেদন করার আর সুযোগ নেই।” এ বছর তিন ইউনিটে মোট আবেদন জমা পড়েছে ২ লাখ ৭২ হাজার ৬২৫টি। ‘এ’ ইউনিটে (মানবিক বিভাগ) আবেদন জমা পড়েছে ১ লাখ ১১ হাজার ৫১৪টি। ‘বি’ ইউনিটে (বাণিজ্য বিভাগ) ৩০ হাজার ৮৮৬টি। তার মধ্যে বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা আবেদন করেছে ১৮ হাজার ৪৫২ জন ও অ-বাণিজ্যদের সংখ্যা ১২ হাজার ৪৩৪ জন। ‘সি’ ইউনিটে (বিজ্ঞান বিভাগ) ১ লাখ ২৬ হাজার ২২৫টি। জানা গেছে, ‘এ’ ইউনিটে ১ হাজার ৮৯৭টি, ‘বি’ ইউনিটে আসন সংখ্যা ৫৬৪টি; তন্মেধ্যে বাণিজ্য শাখার জন্য ৩৭৫টি; বিজ্ঞান শাখার আসন সংখ্যা ১৫৮টি এবং মানবিক শাখার ৩১টি আসন হয়েছে। এছাড়া ‘সি’ ইউনিটে মোট আসন আসন সংখ্যা রয়েছে ১ হাজার ৫৩৬টি। যার মধ্যে বিজ্ঞান শাখার আসন সংখ্যা ১ হাজার ৪৯৬টি।  এবারের ভর্তি পরীক্ষা ‘সি’ ইউনিট (বিজ্ঞান) দিয়ে শুরু হবে। ১৬ জানুয়ারি ‘সি’ ইউনিট (বিজ্ঞান), ১৭ জানুয়ারি ‘এ’ ইউনিট (মানবিক) এবং ২৪ জানুয়ারি ‘বি’ ইউনিটের (বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। দুই শিফটে পরীক্ষা নেওয়া হবে। প্রথম শিফটের পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে ১২টা এবং দ্বিতীয় শিফটের পরীক্ষা বিকেল ৩টা থেকে ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া, এবারের ভর্তি পরীক্ষা রাজশাহী, ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও রংপুর ও বরিশাল বিভাগে অবস্থিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে।

গোল্ডেন গ্লোবে মনোনয়ন পেলেন যারা

গোল্ডেন গ্লোবে মনোনয়ন পেলেন যারা বিশ্বের অন্যতম সম্মানজনক পুরস্কার গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডস। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে ৮৩তম গোল্ডেন গ্লোবের মনোনয়ন ঘোষণা করা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে থেকে অভিনয়শিল্পী মার্লন ওয়ারনস ও স্কাই পি মার্শাল মনোনীত সিনেমা ও অভিনয়শিল্পীদের নাম ঘোষণা করেন।  এ আসরে সর্বোচ্চ মনোনয়ন পেয়েছে লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর বহুল আলোচিত সিনেমা ‘ওয়ান ব্যাটল আফটার অ্যানাদার’। ৯টি মনোনয়ন নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে এটি। আটটি মনোনয়ন নিয়ে তার পরের স্থানে রয়েছে ‘সেন্টিমেন্টাল ভ্যালু’। ‘সিনার্স’ ও ‘হ্যামনেট’ পেয়েছে ছয়টি করে মনোনয়ন। ২০২৬ সালের ১১ জানুয়ারি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অনুষ্ঠানের আসর বসবে। চলুন, তার আগে জেনে নিই উল্লেখযোগ্য বিভাগে কারা মনোনয়ন পেলেন— সেরা সিনেমা (ড্রামা): ‘ফ্রাঙ্কেনস্টাইন’, ‘হ্যামনেট’, ‘ইট ওয়াজ জাস্ট অ্যান অ্যাক্সিডেন্ট’, ‘দ্য সিক্রেট এজেন্ট’, ‘সেন্টিমেন্টাল ভ্যালু’ ও ‘সিনার্স’। সেরা সিনেমা (মিউজিক্যাল/কমেডি): ‘ব্লু মুন’, ‘বুগোনিয়া’, ‘মার্টি সুপ্রিম’, ‘নো আদার চয়েস’, ‘নুভেল ভাগ’ ও ‘ওয়ান ব্যাটল আফটার অ্যানাদার’। সেরা অভিনেত্রী- মোশন পিকচার (ড্রামা): জেসি বাকলি (হ্যামনেট), জেনিফার লরেন্স (ডাই, মাই লাভ), রেনেট রিইনসভ (সেন্টিমেন্টাল ভ্যালু), জুলিয়া রবার্টস (আফটার দ্য হান্ট), টেসা থম্পসন (হেডা), ইভা ভিক্টর (সরি, বেবি)। সেরা অভিনেতা-মোশন পিকচার (ড্রামা): জোয়েল এডগারটন (ট্রেন ড্রিমস), অস্কার আইজ্যাক (ফ্রাঙ্কেনস্টাইন), ডোয়াইন জনসন, (দ্য স্ম্যাশিং মেশিন), মাইকেল বি. জর্ডান (সিনার্স), ওয়াগনার মৌওরা (দ্য সিক্রেট এজেন্ট) জেরেমি অ্যালেন হোয়াইট (স্প্রিংস্টিন: ডেলিভার মি ফ্রম নোহয়ার)। সেরা অভিনেত্রী- মোশন পিকচার (মিউজিক্যাল/কমেডি): রোজ বার্ন, (ইফ হ্যাড লেগস আই উড কিক ইউ), সিনথিয়া এরিভো (উইকেট: ফর গুড), কেট হাডসন (সং সাং ব্লু), চেজ ইনফিনিটি, (ওয়ান ব্যাটল আফটার অ্যানাদার), আমান্ডা সেফ্রিড (দ্য টেস্টমেন্ট অব অ্যান লি), এমা স্টোন (বুগোনিয়া)। সেরা অভিনেতা- মোশন পিকচার (মিউজিক্যাল/কমেডি): টিমোথি শ্যালামে (মেরি সুপ্রিম), জর্জ ক্লুনি (জে কেলি), লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও (ওয়ান ব্যাটল আফটার অ্যানাদার), ইথান হক (ব্লু মুন), লি বাইয়ুং-হান (নো আদার চয়েজ), জেসি প্লেমনস (বুগোনিয়া)। সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী (মোশন পিকচার্স): এমিলি ব্লান্ট (দ্য স্ম্যাশিং মেশিন), এলি ফ্যানিং (সেন্টিমেন্টাল ভ্যালু), আরিয়ানা গ্র্যান্ডে (উইকড: ফর গুড), ইঙ্গা ইবসডটার লিলিয়াস (সেন্টিমেন্টাল ভ্যালু), অ্যামি ম্যাডিগান (উইপন্স), টেয়ানা টেলর (ওয়ান ব্যাটল আফটার অ্যানাদার)। সেরা পার্শ্ব অভিনেতা (মোশন পিকচার্স): বেনিসিও দেল তোরো (ওয়ান ব্যাটল আফটার অ্যানাদার), জ্যাকব এলোর্ডি (ফ্রাঙ্কেনস্টাইন), পল মেসকাল (হ্যামনেট), শন পেন (ওয়ান ব্যাটল আফটার অ্যানাদার), অ্যাডাম স্যান্ডলার (জে কেলি), স্টেলান স্কারসগার্ড (সেন্টিমেন্টাল ভ্যালু)। সেরা পরিচালক (মোশন পিকচার): পল থমাস অ্যান্ডারসন (ওয়ান ব্যাটল আফটার অ্যানাদার), রায়ান কুগলার (সিনার্স), গিয়ের্মো দেল তোরো (ফ্রাঙ্কেনস্টাইন), জাফর পানাহি (ইট ওয়াজ জাস্ট অ্যান অ্যাক্সিডেন্ট), ইয়েকিম ত্রিয়ারের (সেন্টিমেন্টাল ভ্যালু) ক্লোয়ি ঝাও (হ্যামনেট)। সেরা চিত্রনাট্য: পল থমাস অ্যান্ডারসন (ওয়ান ব্যাটল আফটার অ্যানাদার), রোনাল্ড ব্রনস্টাইন, জশ সাফডি (মার্টি সুপ্রিম) রায়ান কুগলার (সিনার্স), জাফর পানাহি (ইট ওয়াজ জাস্ট অ্যান অ্যাক্সিডেন্ট), এস্কিল ভগট, ওয়াকিম ট্রিয়া (সেন্টিমেন্টাল ভ্যালু), ক্লোয়ি ঝাও, ম্যাগি ও’ফ্যারেল (হ্যামনেট)। সেরা সিনেমা (অ্যানিমেটেড): আর্কো, ডেমন স্লেয়ার: কিমেৎসু নো ইয়াইবা ইনফিনিটি ক্যাসেল, এলিও, কেপপ ডেমন হান্টার্স, লিটল অ্যামেলি অর দ্য ক্যারেক্টার অব রেইন, জুটোপিয়া টু সেরা বিদেশি ভাষার সিনেমা: ইট ওয়াজ জাস্ট অ্যান অ্যাক্সিডেন্ট, নো আদার চয়েস, দ্য সিক্রেট এজেন্ট, সেন্টিমেন্টাল ভ্যালু, সিরাত, দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব। সেরা ড্রামা সিরিজ: দ্য ডিপ্লোম্যাট, দ্য পিট, প্লুরিবাস, সেভেরেন্স, স্লো হর্সেস, দ্য হোয়াইট লোটাস। সেরা মিউজিক্যাল/কমেডি সিরিজ: অ্যাবট এলিমেন্টারি, দ্য বিয়ার, হ্যাকস, নোবডি ওয়ান্টস দিস, অনলি মাডার্স ইন দ্য বিল্ডিং, দ্য স্টুডিও। সেরা টিভি অভিনেত্রী (ড্রামা সিরিজ): ক্যাথি বেটস (ম্যাটলক), ব্রিট লাওয়ার (সেভারেন্স), হেলেন মিরেন (মবল্যান্ড), বেলা রামসেট (দ্য লাস্ট অব আস), কেরি রাসেল (দ্য ডিপ্লোম্যাট), রিয়া সিহর্ন (প্লুরিবাস)। সেরা অভিনেতা (ড্রামা সিরিজ): স্টার্লিং কে. ব্রাউন (প্যারাডাইস), ডিয়েগো লুনা (অ্যান্ডর), গ্যারি ওল্ডম্যান (স্লো হর্সেস), মার্ক রাফেলো (টাস্ক), অ্যাডাম স্কট (সেভারেন্স), নোয়া ওয়াইল (দ্য পিট)।

পরিবর্তন হচ্ছে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নাম

পরিবর্তন হচ্ছে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নাম মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন করার ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেগম রোকেয়া দিবসের অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, আজকের অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন করে ‘নারী ও শিশু মন্ত্রণালয়’ করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ। অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা বেগম রোকেয়ার আদর্শ অনুসরণ করে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘বেগম রোকেয়া কোনো কাজ সমাজকে বাদ দিয়ে করেননি। সব সময় সমাজকে নিয়েই করেছে। ১০০ বছর আগে রোকেয়া লিখেছে, নারী-কন্যাদের লেখাপড়া শেখাও যাতে সে অন্ন উপার্জন করতে পারে।  সেখান থেকে আমরা শিখতে পারছি না কেন? আয়োজন করছি কিন্তু শিখতে পারছি না। আমাদের দৈনন্দিন পথে রোকেয়া সাথে থাকুক, তাহলেই অগ্রসর হতে পারব।’ নারীদের সামনে রেখেই নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘মেয়েরা গণ-অভ্যুত্থানে তাদের নেতৃত্ব দেখিয়েছে। আজকের নারীসমাজ গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী নারী সমাজ। এটা ভিন্ন নারীসমাজ। তাদের হাত ধরেই নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়েছে। এই নারীসমাজ শুধু নারীদের নয়, সবাইকে উজ্জীবিত করবে। সে জন্যই নারীদের উঁচু স্তরে ধরে রাখা আমাদের জন্য দরকার। নারীদের সামনে রেখেই আমাদের নতুন বাংলাদেশ গড়ে উঠুক।