শিবগঞ্জ সীমান্তে নেশা-জাতীয় ট্যাবলেট ও সিরাপ জব্দ

শিবগঞ্জ সীমান্তে নেশা-জাতীয় ট্যাবলেট ও সিরাপ জব্দ শিবগঞ্জ সীমান্ত এলাকা হতে ৪ হাজার ৮০০ পিস নেশা-জাতীয় ট্যাবলেট ও ৫০ বোতল নেশা-জাতীয় সিরাপ জব্দ করেছে বিজিবি। আজ বেলা সোয়া ১১টার দিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অভিযান চালিয়ে এইসব জব্দ করা হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ৫৯ বিজিবির মহানন্দা ব্যাটালিয়ন এই তথ্য জানিয়েছে। বিজিবি আরো জানায়, আজ সকালে শিবগঞ্জ উপজেলার চকপাড়া বিওপির একটি টহল দলের অভিযানে ৪ হাজার ৮০০ পিস নেশা-জাতীয় ট্যাবলেট ও ৫০ বোতল নেশা-জাতীয় সিরাপ জব্দ করা হয়। তবে চোরাকারবারীরা পালিয়ে যায়। প্রসঙ্গত, মহানন্দা ব্যাটালিয়ন গত কয়েক দিনে সীমান্তে অভিযান চালিয়ে এখন পর্যন্ত ৬২০ বোতল নেশা-জাতীয় সিরাপ এবং ২২ হাজার ১৮০ পিস নেশা-জাতীয় ট্যাবলেট জব্দ করেছে। এ ব্যাপারে ৫৯ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, সকল প্রকার মাদক চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
গ্রাম উন্নয়ন সোসাইটির উদ্দ্যোগে শীত বস্ত্র বিতরণ

গ্রাম উন্নয়ন সোসাইটির উদ্দ্যোগে শীত বস্ত্র বিতরণ বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের রামজীবনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে গ্রাম উন্নয়ন সোসাইটির নিজেদের উদ্দ্যোগে ৮০টি দরিদ্র পরিবারে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার কাঞ্চন কুমার দাস। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, আপনারা ইত্যিমধ্যেই ওয়ার্ল্ড ভিশন চাঁপাইনবাবগঞ্জ এরিয়া প্রোগ্রামের সহযোগীতায় শিশু কল্যাণে যে উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু করেছেন তা সত্যিই প্রসংশার দাবি রাখে। তিনি এলাকার উন্নয়নে গ্রাম উন্নয়ন সোসাইটিকে সকল ধরণের সহযোগীতার আশ্বাস প্রদান করেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ এরিয়া প্রোগ্রাম ম্যানেজার জেমস বিশ্বাস বলেন, আপনারা ইতিমধ্যেই যথেষ্ট সংগঠিত হয়েছেন এবং এলাকা উন্নয়নের কথা ভাবছেন যেটা প্রমাণ করে যে আপনাদের মাধ্যমে এলাকায় শিশুদের কল্যাণে নিশ্চিত হবে। গ্রাম উন্নয়ন সোসাইটির সভাপতি মো: আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমরা সকলের সহযোগীতায় আগামীদিনে এলাকার সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাবো। উক্ত অনুষ্ঠান সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হওয়ার জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ এরিয়া প্রোগ্রামের কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন এবং সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার শ্যামল এইচ কস্তা সার্বিক সহযোগীতা প্রদান করেন। উল্লেখ্য, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ চাঁপাইনবাবগঞ্জ এরিয়া প্রোগ্রামের সহায়তায় ২০টি গ্রাম উন্নয়ন সোসাইটি নিজ নিজ এলাকায় শিশুর সার্বিক জীবন মান উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু করেছে।
ভোলাহাট সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের ঘটনায় ২৭ জন আটক

ভোলাহাট সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের ঘটনায় ২৭ জন আটক চাঁপাইনাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের ঘটনায় ২৭ জনকে আটক করেছে বিজিবি। আজ ভোর ৪টার দিকে তাদেরকে আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া। বিজিবি থেকে জানানো হয়, আজ ভোরে ৫৯ বিজিবি ভোলাহাট উপজেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে ২৭ জন ব্যক্তি পাসপোর্ট ব্যতীত অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে বিজিবি কর্তৃক আটক হয়। ব্যক্তিবর্গ বিভিন্ন সময় পাসপোর্টবিহীন সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে গমন করেছিল। পরবর্তীতে পাসপোর্ট ব্যতীত তারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে আন্তর্জাতিক সীমান্তে বিজিবি কর্তৃক গ্রেপ্তার হয়। বর্তমানে তাদের ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং বাংলাদেশি নাগরিকত্বসহ বিভিন্ন বিষয় নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জিডির মাধ্যমে থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, মহানন্দা ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ দায়িত্বপূর্ণ এলাকা দিয়ে ২৭ জনকে অনুপ্রবেশ করতে দেখলে বিজিবির টহল দলের সদস্যরা তাদের আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা সবাই বাংলাদেশি। আটককৃতদের স্থানীয় ভোলাহাট থানায় হস্তান্তর করা হয়।
“জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় বরেন্দ্র অঞ্চলে খরা-সহনশীল কৃষি প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত”

“জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় বরেন্দ্র অঞ্চলে খরা-সহনশীল কৃষি প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত” বরেন্দ্র অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় খরা সহনশীল কৃষি প্রযুক্তি বিস্তারের লক্ষ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার রানীহাটি ইউনিয়নে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে। আজ সকালে রাণীহাটি ইউনিয়ন পরিষদে এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। এক্সটেনডেড কমিউনিটি ক্লাইমেট চেঞ্জ প্রজেক্ট-ড্রাউট (ইসিসিসিপি-ড্রাউট) প্রকল্পের আওতায়, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন পিকেএসএফ ও গ্রীণ ক্লাইমেট ফান্ড জিসিএফ-এর সহযোগিতায় প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটি এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন ২০ জন সিসিএজি সদস্য। এ সময় সিসিএজি সদস্যদের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, এর প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা, টেকসই কৃষি অনুশীলন ও খরা সহনশীল কৃষি কৌশল সম্পর্কে ধারণা প্রদান করা হয়। একইসাথে খরা সহিষ্ণু ফল ও ফসল নির্বাচন, বসতবাড়ির উঠানবাগান তৈরি, ভার্মিকম্পোস্ট প্রস্তুত এবং পানি সংরক্ষণ কৌশল নিয়ে হাতে-কলমে নির্দেশনা দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী আল মামুনুর রশিদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের শস্য বিশেষজ্ঞ কৃষিবিদ জহুরুল ইসলাম এবং প্রকল্পের টেকনিক্যাল অফিসার রায়হান মাহমুদ। বরেন্দ্র অঞ্চলের বাস্তব জলবায়ুগত চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে করণীয় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দেন প্রকল্প সমন্বয়কারী বকুল কুমার ঘোষ। প্রশিক্ষণের অন্যতম বিষয় ছিল জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা করা, কৃষি সেচকাজে ভূপৃষ্ঠের পানির ব্যবহার বৃদ্ধি করা এবং পরিবেশবান্ধব কৃষি বিস্তারে জৈব সার ব্যবহারে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া। এই লক্ষ্যে ভার্মিকম্পোস্ট তৈরির উপায় ও উপকারিতা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়। পাশাপাশি প্রয়াসের ইসিসিসিপি-ড্রাউট প্রকল্পের আওতায় চালু থাকা ঋণ কার্যক্রম সম্পর্কেও অবহিত করেন ইউনিট-১০ এর শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ আরমান আলী। কর্মশালায় সকল ধরনের সহযোগিতা করেন সিএমও সিভিল মোঃ রোকনুজ্জামান। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী সদস্যরা জানান, এ ধরনের উদ্যোগ তাদের খরা পরিস্থিতিতে কৃষি অভিযোজন এবং নতুন প্রযুক্তিনির্ভর কৃষি পদ্ধতি গ্রহণে অনুপ্রাণিত করবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মায় বালুবাহী বাল্কহেডে যাত্রীবাহী নৌকার ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মায় বালুবাহী বাল্কহেডে যাত্রীবাহী নৌকার ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের পদ্মা নদীর আলিমনগর ঘাট থেকে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা ছেড়ে যাবার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘাটে বাধা একটি বালুবাহী বাল্কহেডে ধাক্কা দিলে নৌকার কিনারে বসা এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। তিনি সদর উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নের ১১ রশিয়া রুস্তম মন্ডল পাড়া গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে ভিক্ষু। প্রত্যক্ষদর্শী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, জেলা হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেলে নৌকাটি নারায়নপুর ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবার সময় দূর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পর নৌকার অনান্য যাত্রী ও স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে আহত বৃদ্ধকে উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত পৌনে ৮টার দিকে মারা যান। চরবাগডাঙ্গা ইউপি’র সংশ্লিষ্ট সদস্য নুরুল ইসলাম ছবি ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় অন্য কেউ আহত হয় নি। গোদাগাড়ী নৌ পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক তৌহিদুর রহমান বলেন, পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
গানম্যান পাচ্ছেন ২০ জন, আবেদন করছেন যারা

গানম্যান পাচ্ছেন ২০ জন, আবেদন করছেন যারা ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের পর নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনায় ঝুঁকিতে থাকা ২০ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে দেওয়া হয়েছে গানম্যান। এ তালিকায় এনসিপির শীর্ষ নেতারাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ব্যক্তি ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা রয়েছেন। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, এখন পর্যন্ত ২০ জনকে গানম্যান দেওয়া হয়েছে। শুধু রাজনৈতিক ব্যক্তিরা গানম্যান পাচ্ছেন কি না—এমন প্রশ্নে তিনি কারো তথ্য দেননি। ডিজিএফআই, এনএসআই, এসবিসহ গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যারা নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছেন তাদের একটি তালিকা করেছে। তাদের মধ্যে অনেককে গানম্যান দেওয়া হয়েছে, তবে অনেকে গানম্যান নিতে চাননি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। সূত্র জানিয়েছে, এই তালিকায় রয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা। গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খানও গানম্যান পাচ্ছেন বলে দলটির পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ছাড়া বেশ কয়েকজন রাজনীতিক ও সংসদ-সদস্য প্রার্থী গানম্যান ও অস্ত্রের লাইসেন্স চেয়ে আবেদন করেছেন। তাদের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানের জন্য সার্বক্ষণিক গানম্যান ও বাসভবনের নিরাপত্তার জন্য সশস্ত্র পুলিশ সদস্য চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। নিরাপত্তা চাওয়া হয়েছে জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব ইউনুস আহম্মেদ সেখ প্রমুখের জন্যও।
বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটে কোনো আতশবাজি নয় : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটে কোনো আতশবাজি নয় : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটে কোনো ধরনের আতশবাজি ফোটানো যাবে না। রাস্তা অবরোধ বা ব্লক করেও কোনো অনুষ্ঠান করা যাবে না। সোমবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় তিনি এ কথা বলেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আজ আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ১৮তম সভায় রুটিন আলাপ ছাড়াও আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তা প্রস্তুতি, অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ এর অগ্রগতি পর্যালোচনা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি, খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতি, জুলাইয়ের সম্মুখসারির যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের মূল হোতাকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তিনি বলেন, লুট হওয়া ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে। এটিকে আরও জোরদার ও বেগবান করার জন্য এবং ফ্যাসিস্ট টেরোরিস্টদের দমনের উদ্দেশ্যে গত ১৩ ডিসেম্বর অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ চালুর সিদ্ধান্ত হয়। এ অপারেশনের মাধ্যমে গত ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬ হাজার ৫৯৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাছাড়া, এ অভিযানে ৫৬টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৪৩৭ রাউন্ড গুলি, ১৩৭ রাউন্ড কার্তুজ, ৬২টি দেশীয় অস্ত্র, গ্রেনেড, মর্টারের গোলা, গান পাউডার, আতশবাজি, বোমা তৈরির উপকরণ, ইত্যাদি উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় মামলা ও ওয়ারেন্টমূলে ৬৯০৭ জনসহ সর্বমোট ১৩ হাজার ৫০৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখ সারির যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। এ ঘটনায় ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর। জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। এরইমধ্যে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সঙ্গে জড়িত ১০ জনকে যৌথবাহিনী (পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি) গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে রয়েছে হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা ফয়সাল করিমের স্ত্রী শাহেদা পারভীন সামিয়া, মা ও বাবা, শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ শিপু। তিনি বলেন, উৎসব যাতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখে নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হতে পারে, সে বিষয়ে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটে কোনো প্রকার আতশবাজি করা যাবে না। রাস্তা অবরোধ বা ব্লকেড করে কোনো অনুষ্ঠান করা যাবে না। প্রতিটি গির্জার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে গুলশান, বনানীসহ রাজধানীর অভিজাত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে। বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটে রাজধানীতে যাতে ট্রাফিক চলাচল স্বাভাবিক থাকে, সে বিষয়ে ডিএমপি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। তাছাড়া, এ উপলক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নগরীতে টহল ও তল্লাশি কার্যক্রম জোরদার করেছে। উপদেষ্টা বলেন, সভায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ এর মাধ্যমে সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতকারীদের আরও বেশি হারে গ্রেফতার করা; গোয়েন্দা নজরদারি আরো বৃদ্ধি ও নিবিড়করণ; রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কেপিআই স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তায় বিশেষায়িত বাহিনী স্ট্যান্ডবাই রাখা; ঢাকা মহানগরীসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি কার্যক্রম বৃদ্ধি করা; পুলিশ সদর দফতরের কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে তা নিয়মিতভাবে মনিটরিং করা ও নগরীর বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বক্ষণিকভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা।
ভোট যত ঘনিয়ে আসবে ভয়-সংশয় তত কেটে যাবে: সিইসি

ভোট যত ঘনিয়ে আসবে ভয়-সংশয় তত কেটে যাবে: সিইসি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেছেন, ভোটের দিন যত ঘনিয়ে আসবে ভয় ও সংশয় তত কেটে যাবে। সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মেইল প্রসেসিং সেন্টারে পোস্টাল ব্যালট বিদেশে পাঠানোর সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। সিইসি বলেন, আমরা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে আমাদের প্রবাসী ভাই-বোনদের ভোটের ব্যবস্থা করছি। আবার ভোটের কাজে যারা নিয়োজিত তাদের ভোটের ব্যবস্থা করছি। কয়েদিদের ভোটের ব্যবস্থা করেছি। ৫৪ বছরে প্রথমবারের মতো প্রবাসীদের ভোটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ পোস্টাল ব্যালটের নিরাপত্তা করা হচ্ছে। ভোটের পরিবেশ আছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলসহ দেশের সবাই ভোট চায়। সবাই দেশের মঙ্গল চায়। ভোটের দিন যত এগিয়ে আসবে ভয় তত কেটে যাবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উন্নত হবে। নাসির উদ্দিন বলেন, আমাদের পোস্টাল ব্যালট মডেল বিশ্বে মডেল হয়ে থাকবে। কিছু ভুল-ত্রুটি থাকবে। প্রথমবার পোস্টাল ব্যালট নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। আগামী দিনে আরও বাড়বে। এতে আমরা আরও সন্তুষ্ট হব। পোস্টাল ব্যালটের চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করে সিইসি বলেন, পোস্টাল ব্যালটে আমাদের বহু ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে। আমরা বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়েছি। যখন যা চ্যালেঞ্জ এসেছে আমরা তা মোকাবিলা করেছি। ভোট উৎসব হবে ইনশাআল্লাহ। আজকের এ অনুষ্ঠানও ভোট উৎসবের অংশ।
পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের অবৈধ বসতি স্থাপনের নিন্দা যুক্তরাজ্যের

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের অবৈধ বসতি স্থাপনের নিন্দা যুক্তরাজ্যের অধিকৃত পশ্চিম তীরে নতুন করে ১৯টি অবৈধ বসতি স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েল সরকার। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। রবিবার (২১ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে যুক্তরাজ্যের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক মন্ত্রী হামিশ ফ্যালকনার বলেন, “যুক্তরাজ্য ফিলিস্তিনে ১৯টি নতুন বসতি স্থাপনের ইসরায়েলি সরকারের অনুমোদনের নিন্দা জানাচ্ছে। আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে এগুলো অবৈধ।”সোমবার (২২ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু। ইসরায়েলের অতি-ডানপন্থি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের জানান, নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা অধিকৃত পশ্চিম তীরে ১৯টি নতুন বসতি স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে। ফলে গত তিন বছরে অনুমোদিত অবৈধ বসতির মোট সংখ্যা ৬৯টিতে দাঁড়িয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে ব্রিটিশ মন্ত্রী ফ্যালকনার বলেন, “ইসরায়েলের এ পদক্ষেপ ২০ দফা পরিকল্পনা এবং দীর্ঘমেয়াদী শান্তি ও নিরাপত্তার সম্ভাবনাকে দুর্বল করে দেয়ার ঝুঁকি তৈরি করছে। কেবল দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানই সংকট নিরসনের একমাত্র পথ।” আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৬৭ সালে ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেম দখল ও পরে অঞ্চলটিকে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করে নেয়। জেরুজালেমকে বাদ দিলে পশ্চিম তীরে বর্তমানে প্রায় ৫ লাখ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীর বসবাস। দখল করা ভূমিতে ইসরায়েলের এ ধরনের বসতি স্থাপনকে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন ও অবৈধ বলে মনে করে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদেও ইসরায়েলকে এসব কার্যক্রম বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে অসংখ্য প্রস্তাব পাস হয়েছে
আলো ছড়িয়ে সাকিব ও মোস্তাফিজুর ম্যাচ সেরা নির্বাচিত

আলো ছড়িয়ে সাকিব ও মোস্তাফিজুর ম্যাচ সেরা নির্বাচিত সংযুক্ত আরব আমিরাতে আইএল টি-টোয়েন্টিতে পৃথক ম্যাচে ম্যাচ সেরা হয়েছেন সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে দারুণভাবে ফিরে এসেছেন সাকিব। মোস্তাফিজুর রহমান ধরে রেখেছেন ধারাবাহিকতা। তাদের উজ্জ্বল পারফরম্যান্সে জিতেছে তাদের দলও। সাকিবের ফর্মে ফেরা নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমিদের কাছে সবচেয়ে স্বস্তির খবর। এমআই এমিরেটসের হয়ে রোববার বল হাতে ৪ ওভারে ১৪ রানে ২ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাটিংয়ে ২৫ বলে ১৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। শুরুর ম্যাচে পারফরম্যান্স করতে না পারায় চার ম্যাচ সাইডবেঞ্চে ছিলেন বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। ফেরার ম্যাচে ঠিকঠাক রাঙাতে না পারলেও ডেজার্ট ভাইপার্সের বিপক্ষে চেনা রূপে ছিলেন সাকিব। দলকে দিয়েছেন টানা তৃতীয় জয়ের স্বাদ। দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে এমআই এমিরেটস ৪ উইকেটে হারিয়েছে ডেজার্ট ভাইপার্সকে। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে সাকিবদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ডেজার্ট ৭ উইকেটে ১২৪ রান করে। জবাবে এমআই এমিরেটস ১৫ বল আগে লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে। প্রথমবার সাকিব পেয়েছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। এদিকে জিতেছে মোস্তাফিজুর রহমানের দল দুবাই ক্যাপিটালস। তারা ৬ উইকেটে হারিয়েছে গালফ জায়ান্টসকে। বাংলাদেশের তারকা পেসার মোস্তাফিজুর ৩.৫ ওভারে ৩৪ রানে ৩ উইকেট নেন। এক ওভারেই ৩ উইকেট নেন বাঁহাতি পেসার। ৭ ম্যাচে তার উইকেট ১৪টি। উইকেট সংগ্রহের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। ১ ম্যাচ বেশি খেলে ১৫ উইকেট নিয়ে তার সতীর্থ ওয়াকার সালামখেইল রয়েছেন শীর্ষে। গালফ জায়ান্টস আগে ব্যাটিং করতে নেমে ১৫৬ রানের বেশি করতে পারেনি। ইনিংসের শেষ ওভারে জয় নিশ্চিত করে দুবাই। মোস্তাফিজুরের শুরুর বোলিং তেমন ভালো হয়নি। প্রথম ওভারে তার বলে চার ও ছক্কা উড়ান রহমানউল্লাহ গুরবাজ। ১৩ রান দেন ওই ওভারে। ১৪তম ওভারে ফিরে মোস্তাফিজুর নিজের ছন্দ খুঁজে পান। তুলে নেন ৩ উইকেট। শুরুটা করেন জেমস ভিঞ্চকে দিয়ে। ইংলিশ ব্যাটসম্যানকে উইকেটের পেছনে তালুবন্দি করান। এক বল পর আজমতউল্লাহ উমারজাইয়ের উইকেট উপচে ফেলেন। ক্রিজে আসা সুপারসাব ডিকসনকে টিকতে দেননি তিনি। দারুণ অফকাটারে বোল্ড করেন নতুন ব্যাটসম্যানকে। ৬ রান দিয়ে এই ওভারে নেন ৩ উইকেট। তৃতীয় ওভার করতে এসে মায়ার্স ও আডায়ারের বলে দুটি বাউন্ডারি হজম করেন তিনি। তবে শেষ ওভার ছিল একেবারেই নিয়ন্ত্রিত। এই ওভারে ৭ রান দেন। তার ওভারে তিনটি রান আউট হয়। রাতের ম্যাচে সাকিব বল হাতে শুরুতে দ্যুতি ছড়ান। বোলিংয়ে এসে ফখর জামানকে আর্ম বলে স্টাম্পিং করান। এরপর স্যাম কুরানকে ঘূর্ণিতে পরাস্ত করে ফিরতি ক্যাচ নেন ডাইভ দিয়ে। ব্যাটিংয়ে অবশ্য তার মন মতো হয়নি। রান পেতে কষ্ট করেছেন। ইনিংসের একমাত্র চার মেরে নিশ্চিত করেছেন জয়।