হোপের ব্যাটে শেষদিনে গড়াল ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট

হোপের ব্যাটে শেষদিনে গড়াল ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে জয় পেতে হলে ইতিহাসই নতুন করে লিখতে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। কারণ সামনে দাঁড়িয়ে থাকা লক্ষ্যটা শুধু বড়ই নয়, টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বকালের সবচেয়ে বড় রানতাড়ারও। চ্যালেঞ্জ মোট ৫৩১ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটারদের দৃঢ়তায় অসম্ভবটাকে সম্ভব করার স্বপ্ন এখনো বেঁচে আছে। প্রথম ইনিংসে টসে জিতে নিউ জিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল ক্যারিবীয়রা। কিউইরা থেমেছে ২৩১ রানে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ভুল–ত্রুটিতে ১৬৭ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। ফলে ৬৪ রানের লিড তোলে নিউ জিল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে দারুণ আগ্রাসী ছিল ল্যাথামের দল। ৮ উইকেটে ৪৬৬ তুলে ইনিংস বন্ধ ঘোষণা করে তারা। বল হাতে উজ্জ্বল ছিলেন কেমার রোচ। মাত্র ৭৮ রানে পেয়েছেন ৫ উইকেট।  তারপরই শুরু হয় অসম্ভব এক যাত্রা। ৫৩১ রানের হিমালয়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে উইকেট হারালেও ধস নামতে দেননি শাই হোপ ও জাস্টিন গ্রিভস। চতুর্থ দিন শেষে ক্যারিবীয়দের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২১২। কঠিন পরিস্থিতিতেও ব্যাট হাতে লড়াইটা বাঁচিয়ে রেখেছেন এ দুজন। অপরাজিত হোপ খেলছেন ১৮৩ বলে ১১৬ রানের ঝলমলে সেঞ্চুরি। পাশে গ্রিভসের ব্যাটও সমান দৃঢ়- ১৪৩ বল থেকে ৫৫ রানের মূল্যবান ইনিংস। শেষ দিনে জিততে হলে দরকার আরও ৩১৯ রান, হাতে আছে ৬ উইকেট। টেস্টে রানতাড়া করে জয়ের সর্বোচ্চ রেকর্ডটি ওয়েস্ট ইন্ডিজেরই। ২০০৩ সালে ৪১৮ রান তাড়া করে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল ব্রায়ান লারার সেই দল। এবার সুযোগ আছে সেই রেকর্ডও ছাড়িয়ে যাওয়ার। ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে অবশ্য রানতাড়ার ইতিহাস আছে। গত বছরই এই মাঠে নিউ জিল্যান্ড ২৮৫ রান তাড়া করে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছিল। তবে এবারকার লক্ষ্য তার প্রায় দ্বিগুণ। তাই চ্যালেঞ্জটাও মহাকাব্যিক। শেষ দিনের সকালই বলে দেবে- এই লড়াই শুধু প্রতিরোধেই সীমাবদ্ধ থাকবে, নাকি ক্রিকেট ইতিহাসে জন্ম নেবে নতুন এক বিস্ময়।

প্রথমবারের মতো প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান নিয়োগ দিল পাকিস্তান

প্রথমবারের মতো প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান নিয়োগ দিল পাকিস্তান প্রথমবারের মতো প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান (সিডিএফ) নিয়োগ দিয়েছে পাকিস্তান। এই পদে ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরের নিয়োগ অনুমোদন করেছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি। তাকে পাঁচ বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে শুক্রবার ডন অনলাইন জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ সেনাবাহিনী প্রধান (সিওএএস) এবং প্রতিরক্ষা বাহিনী প্রধান (সিডিএফ) উভয় পদে মুনিরকে সুপারিশ করেছিলেন। তার সেই সুপারিশ অনুমোদিত হয়েছে বলে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলেএক পোস্টে বলা হয়েছে, “প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি পাঁচ বছরের জন্য সিডিএফ হিসেবে এবং একই সাথে সিওএএস হিসেবে ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরের নিয়োগ অনুমোদন করেছেন।” শেহবাজ শরিফের সরকার ২৯ নভেম্বর দেশের প্রথম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধানের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ওই দিন মুনিরের সেনাপ্রধান হিসেবে তিন বছরের মেয়াদ শেষ হয়েছিল। সামরিক কমান্ডকে কেন্দ্রীভূত করার লক্ষ্যে সংবিধানের ২৭তম সংশোধনীর অধীনে প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধানের ভূমিকা গত মাসে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আসিম মুনির চলতি বছর ফিল্ড মার্শাল পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। তিনি সিডিএফের দায়িত্বের পাশাপাশি সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করবেন। জেনারেল আইয়ুব খানের পর তিনি দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সামরিক কর্মকর্তা যিনি ফিল্ড মার্শাল উপাধি পেয়েছেন।

প্রেমিকাকে বিয়ে করতে ১২ হাজার ডলার বেতনের চাকরি ছাড়লেন যুবক

প্রেমিকাকে বিয়ে করতে ১২ হাজার ডলার বেতনের চাকরি ছাড়লেন যুবক প্রেমিকাকে বিয়ে করার জন্য ১২ হাজার ডলার বেতনের চাকরি ছেড়েছেন সিঙ্গাপুরের এক যুবক। শুধু তাই নয়, সিঙ্গাপুর ছেড়ে তিনি প্রেমিকার বাড়ি থাইল্যান্ডে বসবাসের প্রস্তুতি নিয়েছেন। থাই সংবাদমাধ্যম কালাসিন নিউজের খবর অনুযায়ী, থাইল্যান্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কালাসিন প্রদেশের এক নার্সকে বিয়ে করেছেন জর্ডান নামের ওই যুবক।  যৌতুক হিসেবে নগদ অর্থ এবং আড়াই লাখ ডলারেরও বেশি মূল্যের সোনা প্রেমিকাকে দিয়েছেন তিনি ৩২ বছর বয়সী জর্ডান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ব্যাংককের বাংনা জেলার একটি ক্যাফেতে থাই তরুণী ‘ইভ’ রাচাদাপর্নের (২৯) সাথে প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছিল। একপর্যায়ে তারা ফোন নম্বর বিনিময় করেন এবং লাইন মেসেজিং অ্যাপে টেক্সট করতে শুরু করেন। ধীরে ধীরে তাদের সম্পর্ক গাঢ় হতে শুরু করে। এক বছর প্রেম করার পর এই জুটি বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন এবং জর্ডান থাইল্যান্ডে চলে আসে। জর্ডান সংবাদমাধ্যমকে আরো জানান, তিনি এবং তার স্ত্রী থাইল্যান্ডে নিজেদের জন্য একটি জীবন গড়তে চান। তিনি সিঙ্গাপুরের একটি ব্যাংকে ১২ হাজার ডলার বেতনে চাকরি করতেন। বর্তমানে থাইল্যান্ডে এর অর্ধেক বেতনে একটি স্থানীয় কোম্পানিতে যোগ দিয়েছেন তিনি। কালাসিন নিউজ জানিয়েছে, অনুষ্ঠানে জর্ডান রাত্চাদাপর্নের মাকে নগদ এক লাখ বাথ (থাই মুদ্রা) এবং প্রায় ১৩ হাজার ডলার মূল্যের সোনা উপহার দিয়েছিলেন। বিয়ের দ্বিতীয় অনুষ্ঠানের জন্য সিঙ্গাপুরে ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন তিনি। সেখানে কনের বাবা-মাকে ১০ লাখ বাথ নগদ এবং ২ লাখ ডলারেরও বেশি মূল্যের সোনা যৌতুক হিসেবে প্রদান করবেন।

দেশ পুনর্গঠনে ‘৩০ কোটি’ রুপি দিল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট

দেশ পুনর্গঠনে ‘৩০ কোটি’ রুপি দিল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট সাইক্লোন দিতওয়া’র তাণ্ডবে বিপর্যস্ত দেশকে পুনর্গঠনে সহায়তা করতে সরকার ঘোষিত ‘রিবিল্ডিং শ্রীলঙ্কা’ তহবিলে ৩০ কোটি রুপি অনুদান দিয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি)। এসএলসি সভাপতি শাম্মি সিলভা ও নির্বাহী কমিটির নির্দেশনায় নেওয়া এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বোর্ড জানায়, জাতীয়ভাবে মূল্যবান একটি খেলাধুলার অভিভাবক সংস্থা হিসেবে দেশের প্রতি তাদের দায়িত্ব ও অঙ্গীকারেরই প্রতিফলন এটি। এক বিবৃতিতে এসএলসি জানায়, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে জরুরি ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেওয়া এবং বিধ্বস্ত অঞ্চলে জরুরি জনসেবামূলক কাঠামো পুনরুদ্ধারে সরকারের উদ্যোগকে সহায়তা করতেই তাদের এই অবদান। এছাড়া যে কোনো দুর্যোগ, পুনর্গঠন বা জাতীয় প্রয়োজনে দেশকে সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতিও আবারও পুনর্ব্যক্ত করেছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট। বোর্ডের ভাষ্য- শ্রীলঙ্কার পুনর্জাগরণ ও উন্নয়ন অভিযাত্রায় তারা সব সময় প্রস্তুত।

টেকনোলজিস্ট-ফার্মাসিস্টদের দ্রুত কাজে ফেরার আহ্বান

টেকনোলজিস্ট-ফার্মাসিস্টদের দ্রুত কাজে ফেরার আহ্বান মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের চলমান কর্মবিরতিতে দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে জরুরি সেবা বিঘ্নিত হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। সেবাপ্রার্থী মানুষের ভোগান্তির জন্য দুঃখ প্রকাশ করে মন্ত্রণালয় অবিলম্বে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে কাজে ফিরে যেতে টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয় থেকে থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি জানানো হয়েছে, টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের দীর্ঘদিনের দাবি—দশম গ্রেড বাস্তবায়ন সম্পর্কে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় সব কার্যক্রম ইতিবাচকভাবে সম্পন্ন করেছে। বিষয়টি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ও সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করছে এবং প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে আন্তরিকভাবে কাজ করছে। যেহেতু, এটি দীর্ঘমেয়াদি প্রশাসনিক সমস্যা, তাই সমাধানে সময় লাগবে। সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সচিব পর্যায়ে আলোচনাও ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। তবে, আলোচনার অগ্রগতি সত্ত্বেও আন্দোলনকারীরা কর্মবিরতি অব্যাহত রেখেছেন, যা মানুষের প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা ব্যাহত করছে।  কর্মবিরতির কর্মসূচি ‘রোগীদের জিম্মি করে দাবি আদায়ের প্রয়াস’ বলে মন্তব্য করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ অবস্থায় সরকারের ইতিবাচক উদ্যোগ চলমান থাকা সত্ত্বেও অযৌক্তিক কর্মবিরতি অব্যাহত রাখাকে জনস্বার্থবিরোধী বলে উল্লেখ করেছে মন্ত্রণালয়। তাৎক্ষণিকভাবে কাজে যোগ না দিলে অত্যাবশ্যকীয় সেবা ব্যাহত করার অভিযোগে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।

আজ নয়, খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়া হতে পারে রোববার

আজ নয়, খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়া হতে পারে রোববার উন্নত চিকিৎসার্থে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা পিছিয়েছে। তার জন্য কাতারের আমিরের দেওয়া বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কারিগরি ত্রুটির কারণে শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) ঢাকায় না পৌঁছানোয় এ যাত্রা পেছানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। এনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সবকিছু ঠিক থাকলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ঢাকায় পৌঁছাতে পারে। এরপর খালেদা জিয়ার শরীর যদি যাত্রার উপযুক্ত থাকে এবং মেডিকেল বোর্ড যদি সিদ্ধান্ত দেয়, তাহলে রোববার (৭ ডিসেম্বর) তিনি যাত্রা শুরু করবেন। বেশ কিছুদিন ধরে এভারকেয়ার হাসপাতালে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন দেশি–বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছানো ও চিকিৎসকদের সবুজ সংকেতের ওপরই নির্ভর করছে তার লন্ডনে চিকিৎসা যাত্রা। খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিতে এরই মধ্যে সেখান থেকে ঢাকার পথে রওনা দিয়েছেন তার পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান। শুক্রবার সকালেই তার ঢাকায় পৌঁছানোর কথা।

গোমস্তাপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও বিজয় দিবসের প্রস্তুতি সভা

গোমস্তাপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও বিজয় দিবসের প্রস্তুতি সভা গোমস্তাপুরে আগামী ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী ও ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকালে উপজেলা সভাকক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির মুন্সী। এতে বক্তব্য দেন পার্বতীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ইসাহাক আলী, পল্লী উন্নয়ন অফিসার রাইসুল ইসলাম, উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি আতিকুল ইসলাম আজম, রহনপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ স্বপন কুমার সাহা, রহনপুর ইউসুফ আলী সরকারি কলেজ প্রভাষক আতিকুর রহমানসহ অন্যরা। সভায় আগামী ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস পালনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

নিজের আত্মসমালোচনা জরুরি

নিজের আত্মসমালোচনা জরুরি চাঁপাইনবাবগঞ্জে তারুণ্যনির্ভর নতুন বাংলাদেশ গঠনে ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাকের সম্মেলন কক্ষে জেলা তথ্য অফিস এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। আলোচনা সভায় তরুণরা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে যেভাবে স্বৈরাচার হটিয়েছে ঠিক সেভাবেই বাংলাদেশকে ফ্যাসিস্টমুক্ত, মাদকমুক্ত একটি সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তারা তরুণ প্রজন্মের ভাবনাগুলো কাজে লাগানোর কথা তুলে ধরেন। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন— জেলা প্রশাসক মো. শাহাদাত হোসেন মাসুদ। সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) নাকিব হাসান তরফদার। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি এবং উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) রুমানা আফরোজ। সূচনা বক্তব্য দেন— জেলা তথ্য অফিসার আব্দুল আহাদ। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন— জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালক শুকলাল বৈদ্য, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক উম্মে কুলসুম, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফা, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের চাঁপাইনবাবগঞ্জের সহকারী প্রকৌশলী মুনেম শাহরিয়ার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আব্দুর রাহিম। শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য দেন— নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী সাদিয়া তাসনীম সারা, সাবরিদ জাহান মাহিন ও শাহাদাত হোসেন হায়াত। জেলা প্রশাসক তার বক্তব্যে বলেন, পৃথিবী বদলাতে হলে নিজেদের বদলাতে হবে। আর নিজেদের বদলাতে হলে শিক্ষার প্রয়োজন। কারণ, নিজের ভেতরে যদি শিক্ষা না থাকে তাহলে কীভাবে পৃথিবী বদলানো যাবে। তিনি বলেন, অন্যের সমালোচনা করার আগে নিজের আত্মসমালোচনা করা দরকার। এ সময় তিনি বলেন— মাদকের ব্যাপারে তথ্য দিলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

অ্যাডভোকেসি সভা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের

অ্যাডভোকেসি সভা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ‘পরিকল্পিত পরিবার—নিরাপদ মাতৃত্বের অঙ্গীকার’— এই স্লোগানকে সামনে রেখে চাঁপাইনবাবগঞ্জে অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সমম্মেলন কক্ষে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় এই সভার আয়োজন করে। আগামী ৬ থেকে ১১ ডিসেম্বর দেশব্যাপী পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ-২০২৫ উদ্যাপন উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করা হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মো. শাহাদাত হোসেন মাসুদ। জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালক শুকলাল বৈদ্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন— চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. বিপ্লব কুমার মজুমদার, জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মো. গোলাম মোস্তফা, জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবু মাসুদ খানসহ অন্যরা। সভায় পরিকল্পিত পরিবার গড়ে তোলার গুরুত্ব, দেশের মা ও শিশু মৃত্যুর হার, বাল্যবিয়ের কুফল, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকাণ্ড, সেবা প্রদান ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরেন উপপরিচালক শুকলাল বৈদ্য। সভায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করা হয়। লিফলেটে বলা হয়, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যুর হার ২০৩০ সালের মধ্যে ৭০-এ নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে। অন্যদিকে ২০১৯ সালে কেনিয়াতে অনুষ্ঠিত আইসিপিডি+২৫ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী সকল দেশ শূন্য মাতৃমৃত্যু, নারীর প্রতি শূন্য সহিংসতা এবং অপূর্ণ চাহিদা শূন্য অর্জন করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছে। এ তিন শূন্য অর্জনে অন্যতম বড় বাধা বাল্যবিয়ে। বাংলাদেশের বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন ২০১৭ অনুযায়ী বিয়ের আইনগত বয়স মেয়েদের ১৮ বছর হলেও বিডিএইচএস, ২০২২ অনুযায়ী ২০-২৪ বছর বয়সী নারীদের বিয়ের গড় বয়স ১৬ বছর। ১৫-১৯ বছর বয়সীদের মধ্যে গর্ভধারণের হার অর্থাৎ কৈশোরকালীন মাতৃত্বের হার ২৪ শতাংশ। কিশোর বয়সে সন্তান ধারণ করলে শিশুর বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া, মৃত সন্তান প্রসব, অপরিপক্ব প্রসব, কম ওজনের শিশুর জন্ম, মায়ের প্রজননতন্ত্রের নানারকম স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্মুখীন হতে হয়। অনেক সময় অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে এবারের সেবা ও প্রচার সপ্তাহের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে— ‘পরিকল্পিত পরিবার, নিরাপদ মাতৃত্বের অঙ্গীকার’।

শিবগঞ্জ সীমান্তে জব্দ চকো প্লাস সিরাপ

শিবগঞ্জ সীমান্তে জব্দ চকো প্লাস সিরাপ চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্ত এলাকায় ফেনসিডিলের বিকল্প চকো প্লাস সিরাপ জব্দ করা হয়েছে বলে বিজিবি জানিয়েছে। শীত মৌসুমে মাদক চোরাচালানে নতুন সংযোজন হিসেবে এটাকে চিহ্নিত করেছে বিজিবি। গত বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ৫৯ বিজিরি সোনামসজিদ বিওপির একটি টহল দল সিরাপগুলো জব্দ করে। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। বিজিবি জানায়, সোনামসজিদ বিওপির একটি বিশেষ টহল গত বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সীমান্ত পিলার ১৮৫/১৭-এস হতে আনুমানিক ৪০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে টহল পরিচালনা করছিল। এসময় মালিকবিহীন নেশা-জাতীয় ১৫০ বোতল ভারতীয় চকো প্লাস সিরাপ জব্দ করা হয়। বিজিবি বলছে, শীত মৌসুমে প্রতিবেশী দেশ ভারত হতে ফেনসিডিলের বিকল্প হিসেবে চকো প্লাস সিরাপ চোরাচালানে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে। ৫৯ বিজিবির মহানন্দা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মাদক চোরাচালানের বিরুদ্ধে বিজিবির জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত রয়েছে।