নাচোল শিল্প ও বণিক সমিতির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

নাচোল শিল্প ও বণিক সমিতির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে নাচোল শিল্প ও বণিক সমিতির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  শুক্রবার বিকেল ৪ টায় নাচোল ডাকবাংলো চত্বরে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সমিতির আহ্বায়ক আসগার আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায়, যুগ্ম আহ্বায়ক আলাউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন, সদস্য হাসানুল ইসলাম, আরশাদ আলী, তরিকুল ইসলাম, আব্দুস সাত্তার, ওমর ফারুক। সভায় সমিতির বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সভার শুরুতে বক্তারা ১৯৮৯ সালে স্থাপিত এই প্রাচীন শিল্প ও বণিক সমিতিকে আগামীদিনে আরো গতিশীল ও সমৃদ্ধ করার জন্য সকল সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়। সভায় উপস্থিত সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে আগামী এক বছরের জন্য একটি নতুন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। সমিতির অগ্রযাত্রায় নেতৃত্ব দিতে সদস্যরা আহ্বায়ক আসগার আলীকে সভাপতি হিসেবে মনোনীত করেছেন। নবনির্বাচিত সভাপতি আসগার আলী সমিতির সকল সদস্যকে সাথে নিয়ে নাচোলের শিল্প ও বাণিজ্য খাতের উন্নয়নে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন। এছাড়া ২০২৬ সালের ডিসেম্বর মাসে সাধারণ সভা ও নির্বাচনের মাধ্যমে দ্বিবার্ষিক পরিচালনা কমিটি গঠন করা হবে বলে জানান।

পরিবর্তনের বার্তা নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো ভিক্টরি রান

পরিবর্তনের বার্তা নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো ভিক্টরি রান চাঁপাইনবাবগঞ্জে পরিবর্তনের বার্তা নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম বুলবুলের উদ্যোগে “ভিক্টরি রান উইথ বুলবুল” শীর্ষক ম্যারাথন দৌড় অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৭টায় ম্যারাথন দৌড়টির সূচনা হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী সড়কের হরিপুর ট্রাক টার্মিনাল থেকে। দৌড়টি বিশ্বরোড, বারোঘরিয়া, রাণীহাটি, সুন্দরপুর ও ইসলামপুর অতিক্রম করে দেবীনগরে শেষ হয়। ম্যারাথনে ৬ হাজার ৫০০ জন তরুণ-যুবক আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধন করলেও ১০ সহস্রাধিক অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারীদের জন্য স্মারক উপহার হিসেবে আকর্ষণীয় টি-শার্ট প্রদান করা হয়। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রায় শতাধিক প্রতিযোগী পুরো ৩৪ কিলোমিটার দৌড় সম্পন্ন করে দৃঢ় মনোবল ও শারীরিক সক্ষমতার অসাধারণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জে সুস্বাস্থ্য, তারুণ্য ও ইতিবাচক পরিবর্তনের বার্তা ছড়িয়ে দিতে এ ধরনের আয়োজন ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে আয়োজকরা প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। এতে অংশগ্রহণ করেন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুলসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

বিজিবি-বিএসএফ’র সহযোগিতায় সীমান্তে মরদেহ দেখানোর ব্যবস্থা: আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি

বিজিবি-বিএসএফ’র সহযোগিতায় সীমান্তে মরদেহ দেখানোর ব্যবস্থা: আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি এবং ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী-বিএসএফ সীমান্তে আবারও মানবিকতার এবং দু’দেশের জনগণের ভ্রাতৃপ্রতিম সংম্পর্ক বজায় রাখতে সহযোগিতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আজ সকাল সাড়ে ৮টা থেকে প্রায় আধাঘন্টা উভয় বাহিনীর সহযোগিতায় ভারতীয় নাগরিক ফনি বেগমের মরদেহ শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের কিরনগঞ্জ বিওপির দায়িত্বপূর্ণ জমিনপুর সীমান্তের শূণ্য রেখায় তাঁর বাংলাদেশী স্বজনদের শেষবারের মত দেখানো হয়। এ সময় দু’দেশে বসবাসবাসকারী আত্মীয়দের মাঝে আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। অনেকে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। মৃত ফনি বেগম ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার কালিয়াচক থানার হাজীপাড়া দুই ছতরবিঘি গ্রামের কসিমুদ্দিনের স্ত্রী। গতকাল সন্ধ্যা ৭ টার দিকে তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি অইন্না ইলাহি রাজিউন)। স্থানীয় সূত্র ও বিজিবি জানায়, ফনি বেগমের মারা যাবার খবর পেয়ে তাঁর ছোট ভাই জমিনপুর গ্রামের মৃত ফলিমুদ্দিনের ছেলে আতাউর রহমান(৬০) কিরনগঞ্জ ক্যাম্পের মাধ্যমে বড় বড় বোনের মরদেহ শেষ বারের মত দেখানোর সূযোগ করে দেবার জন্য বিজিবি’র সহযোগিতা চেয়ে আবেদন করেন। রাতে আবেদন পেয়ে বিজিবি তাৎক্ষনিক প্রতিপক্ষ বিএসএফ’র সাথে যোগাযোগ করে। এরপর উভয়পক্ষের সম্মতিতে সকালে মরদেহ কাঁটাতারের বেড়ার গেইট খুলে মেইন আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার নং ১৭৯/৩ এস এর শূণ্যরেখায় বাংলাদেশী স্বজনদের দেখানোর আয়োজন করা হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহানন্দা ব্যাটালিয়নের (৫৯বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, বাাংলাদেশী স্বজনদের মরদেহ দেখানোর সময় উভয় বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বিজিবি সীমান্তবসাী দু’দেশের জনগণের প্রতি এ ধরনের মানবিক সহযোগিতা অব্যহত রাখবে। এ ঘটনায় মৃতের স্বজনরা বিজিবি-বিএসএফ এর নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। সংশ্লিস্ট ইউপি চেয়্রাম্যান অধ্যক্ষ রুহুল আমীন বলেন,দুই বাহিনীর এ ধরণের আচরণ প্রশংসনীয়। দু’দেশের জনগণ ও বাহিনীগুলোর মধ্যে এ ধরণের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক থাকা উচিত। সংম্লিস্ট ওয়ার্ড সদস্য কামাল উদ্দিন বলেন, ফনি বেগমের বাবার বাড়ি বাংলাদেশে।অর্ধশতাধিক বছর পূর্বে বিয়ে হয়ে তিনি ভারতে স্বামীর বাড়ি চলে যান। প্রতিবেশী দুই দেশে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ফনি বেগমের বাবা এবং স্বামীর বাড়ি। মাঝে রয়েছে শুধু তাঁরকাটার বেড়া। উল্লেখ্য গত ৮ নভেম্বর শিবগঞ্জের আজমতপুর সীমান্তে সেলিনা বেগম নামে অপর এক ভারতীয় নারীর মরনদেহ একই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশী স্বজনদের দেখার সূযোগ কওে দেয় দুই বাহিনী।

লি‌বিয়া থে‌কে দে‌শে ফির‌লেন আরো ৩১০ বাংলাদেশি

লি‌বিয়া থে‌কে দে‌শে ফির‌লেন আরো ৩১০ বাংলাদেশি অবৈধভাবে ইউরোপ যাওয়ার উদ্দেশ্যে লিবিয়ায় যাওয়া ৩১০ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে করে তারা দেশে ফেরেন। লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে লিবিয়া সরকার ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার সহযোগিতায় তাদের ফিরিয়ে আনা হয়। ফেরত আসা বাংলাদেশিদের বেশির ভাগই সমুদ্রপথে অবৈধভাবে ইউরোপ যাওয়ার উদ্দেশ্যে মানবপাচারকারীদের প্ররোচনায় ও সহযোগিতায় লিবিয়ায় অনুপ্রবেশ করে বলে জানা যায়। তাদের অনেকে লিবিয়ায় বিভিন্ন সময়ে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তারা প্রত্যবাসিত বাংলাদেশি নাগরিকদের বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান।  জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তাদের এই দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা সম্ভাব্য সবার সঙ্গে বিনিময় করার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাদের অনুরোধ জানানো হয়। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার পক্ষ থেকে প্রত্যাবাসনকৃত প্রত্যেককে পথখরচা, কিছু খাদ্যসামগ্রী এবং প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এর আগে, গত সোমবার (১ ডিসেম্বর) ১৭৩ বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আরো ২০০ জন

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আরো ২০০ জন গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২০০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে এ সময়ে কারও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভর্তি রোগীদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯২ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ১৪ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৭২ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৬ জন এবং খুলনা বিভাগে ২ জন রয়েছেন। একই সময়ে ২২৬ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৯৪ হাজার ৬২৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯৬ হাজার ৮২৭ জন রোগী ডেঙ্গুতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং ৩৯৪ জন ডেঙ্গুতে মারা গেছেন।

পাকিস্তানকে হারিয়ে সিরিজে সমতায় ফিরল বাংলাদেশ

পাকিস্তানকে হারিয়ে সিরিজে সমতায় ফিরল বাংলাদেশ তিক্ততার স্বাদ নয়, এবার হাসিমুখেই মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দল। ৬ বল হাতে রেখে পাকিস্তানকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে মেয়েরা। কক্সবাজারের এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজেও সমতায় ফিরেছে বাংলাদেশ। সংক্ষিপ্ত সংস্করণের দ্বিতীয়টিতে ৮১ রানের লক্ষ্য পায় বাংলাদেশ। তাড়া করতে নেমে দলীয় ৪ রানের মাথায় বিদায় নেন অধিনায়ক অরিত্রী মণ্ডল (২)। একে একে আরো তিন সতীর্থকে ড্রেসিংরুমের পথ ধরতে দেখলেন ওপেনার সুমাইয়া আক্তার। তাতে শঙ্কা জেগেছিল প্রথম ম্যাচের মতোই ব্যাটিং ব্যর্থতায় আরেকটি পরাজয় দেখবে কিনা বাংলাদেশ। তবে সেই শঙ্কা দূর করেন সুমাইয়া। দলীয় ৩৬ রানে ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে পথ দেখান তিনি। পঞ্চম উইকেটে ফারজানা ইয়াসমিনকে সঙ্গী করে ২৭ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ বের করে আনেন তিনি। জয় নিয়ে অবশ্য মাঠ ছাড়তে পারেননি সুমাইয়া-ইয়াসমিন। দুজনই দলীয় ৬৩ রানে বিদায় নেন। ইয়াসমিনের ১০ রানের বিপরীতে সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন সুমাইয়া। পরে আরো এক উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তবে ১৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জয় এনে দিয়েছেন সাদিয়া আক্তার। পাকিস্তানের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন আলিশা মুক্তিয়ার ও মেমোনা খালিদ। এর আগে হাবিব ইসলাম পিংকির পেস তোপে ৮০ রানের বেশি করতে পারেনি পাকিস্তানের মেয়েরা। অধিনায়ক ইমান নাসেরকে আউট করে শুরুটা অতসী মজুমদার করলেও পাকিস্তানের ব্যাটিং অর্ডার ধসিয়ে দেন পিংকি। ১৭ রান খরচ করে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কারও পান এই পেসার। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন উইকেটরক্ষক কমল খান। তৃতীয় ম্যাচ ৭ ডিসেম্বর, কক্সবাজারেই।

নাচোলে ভটভটির সাথে সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহি পরীক্ষার্থী নিহত

নাচোলে ভটভটির সাথে সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহি পরীক্ষার্থী নিহত নাচোল উপজেলায় একটি ভটভটির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে আসাদুজ্জামান রুবেল নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, আজ সকাল ৮টার দিকে নেজামপুর থেকে হাটবাকইলগামী আঞ্চলিক সড়কের বৈদ্যপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। নিহত রুবেল রাজশাহীর তানোর উপজেলায় চৈতপুর এলাকার আমিনুল ইসলাম হায়দারের ছেলে। তিনি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা দিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর যাবার পথে ভটভটির সাথে সংঘর্ষে নিহত হন। ঘটনার পর পুলিশ ভটভটি জব্দ করলেও এর চালক পালিয়ে যায়। নাচোল থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে আহত রুবেলকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওসি আরও বলেন, পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে আবেদনের প্রেক্ষিতে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেছে। এ ঘটনায় সড়ক পরিবহন আইনে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীণ।

এই বয়সেও মানুষটা কত উজ্জীবিত, আহমেদ শরীফকে নিয়ে জায়েদ খান

এই বয়সেও মানুষটা কত উজ্জীবিত, আহমেদ শরীফকে নিয়ে জায়েদ খান ঢাকাই বাণিজ্যিক সিনেমার সুদিনে এক নামেই আলো ছড়াতেন—আহমেদ শরীফ। খলনায়কের চরিত্রে তার উপস্থিতি ছিল যেন সিনেমার অপরিহার্য অংশ। প্রায় ৮৫০টির বেশি সিনেমায় অভিনয় করা এই শক্তিমান অভিনেতা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাস জীবন কাটাচ্ছেন। আর সেখানেই জায়েদ খানের অতিথি হয়েছেন আহমেদ শরীফ।  যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক থেকে প্রচারিত ঠিকানা টিভির জনপ্রিয় টক শো ‘ফ্রাইডে নাইট উইথ জায়েদ খান’ এর আগামী পর্বে অতিথি হিসেবে থাকছেন আহমেদ শরীফ। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় প্রচারিত হবে পর্বটি, যেখানে উঠে আসবে বাংলা চলচ্চিত্রের অসংখ্য অজানা গল্প, স্মৃতির সরণি আর দীর্ঘ ক্যারিয়ারের নানা অভিজ্ঞতা। নিউ ইয়র্ক থেকে জায়েদ খান জানালেন, তার অভিভূত অভিজ্ঞতার কথা। তিনি বলেন, “একজন মানুষ এই বয়সেও কত উজ্জীবিত, কত ফিট! ৮৫০–এর অধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ছিলেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। সিনেমার কত ইতিহাস তার কাছ থেকে জানা যায়! তিনি নিজেই যেন একটা ‘সিনেমার ডিকশনারি’। এই বয়সেও তার কণ্ঠে সংলাপ, আবৃত্তি, এমনকি ফাইটিংয়ের দৃশ্য—সবই মুগ্ধ হয়ে দেখার মতো।”  উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে জায়েদ খান বলেন, “আমি সত্যিই ভাগ্যবান, তিনি আমার অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে এসেছেন। তার কাছ থেকে সিনেমার বহু অজানা ইতিহাস জানতে পেরেছি।” ‘ফ্রাইডে নাইট উইথ জায়েদ খান’-এর ১২তম পর্বে কিংবদন্তি এই অভিনেতার জীবনের বহু অনুচ্চারিত গল্প এবার জানতে পারবেন বলেও জানান এই সঞ্চালক।

গায়িকা ফারিণের নাচ-গান নিয়ে নেটিজেনদের পোস্টমর্টেম

গায়িকা ফারিণের নাচ-গান নিয়ে নেটিজেনদের পোস্টমর্টেম ছোট পর্দার অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। ২০২৪ সালে সংগীতশিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তার গাওয়া প্রথম গান ‘রঙে রঙে রঙিন হব’, ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে প্রচারিত হয়। গানটির সাফল্য তাকে আরো গাইতে অনুপ্রাণিত করে। তারই ধারাবাহিকতায় নতুন গান নিয়ে হাজির হয়েছেন ফারিণ। ‘মন গলবে না’ শিরোনামের নতুন গানটি নিয়ে অনেক দিন ধরে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন তাসনিয়া ফারিণ। গানটি নিয়ে নির্মিত হয়েছে ভিডিও। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) মুক্তি পায় ফারিণের এই গান। গানের কথা লিখেছেন কবির বকুল, সুর-সংগীত করেছেন ইমরান মাহমুদুল। কিন্তু মুক্তির পর সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ফারিণ ও তার কণ্ঠ, সাজপোশাক, গানের কথা নিয়ে চলছে পোস্টমর্টেম। আর কাজটি করছেন নেটিজেনরা। গানটির ভিডিওর সমালোচনা করে একজন লেখেন, “তাসনিয়া ফারিণ সম্ভবত একমাত্র মেয়ে, যে নাচতে নাচতে বলেছে, ‘তোমার জন্য আমার মন কখনো গলবে না!’ মেয়েরা অভিমান করলে কথা পর্যন্ত বন্ধ করে দেয়, কল ধরে না, কোনোভাবেই তাদের মন গলানো যায় না! সেখানে তাসনিয়া ফারিণ নেচে নেচে বলেছে, ‘তার জন্য তার মন গলবে না।’ ‘অভিমান’ কিংবা ‘রাগ’ করার পর যে গার্লফ্রেন্ড এইভাবে নেচে নেচে বলবে, ছেলেরা তেমন গার্লফ্রেন্ড-ই চায়।” আশরাফুল আমিন লেখেন, “নায়িকা আবার নিজের গানে নিজেই মডেল আবার নিজেই গায়িকা। একেই বলে এ সময়ের নোরা ফাতেহি।” ফারিণকে উদ্দেশ্য করে মাইশা লেখেন, “এই গানের সাথে এই নাচ, কি পোশাক জোকারের মতো লাগছে।” অরিত্রম দত্ত লেখেন, “গলার জন্য তো মন থাকা দরকার। কিন্তু ম্যাম আপনি তো মনটা পুড়িয়ে ফেললেন।” ফেরদৌস লেখেন, “তাসনিয়া ফারিণের কাছ থেকে এত ফালতু কাজ প্রত্যাশা করিনি।” প্রত্যয় লেখেন, “এরচেয়ে হিরো আলমের গান ভালো।” রুয়েল লেখেন “এই নায়িকা আবার মনে মনে সিনেমায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে!” গানটির গীতিকার কবির বকুল। গানের কথা নিয়ে খানিকটা ব্যঙ্গ করে স্নেহা ভট্টাচার্য লেখেন, “কি অপূর্ব লিরিক্স। গীতিকারকে নোবেল দেওয়া উচিত!” হাওলাদার রিয়াদ লেখেন, “গানটা শোনার পর মনে হয় গীতিকার আর কোরিওগ্রাফারকে খুঁজে বের করে পুরস্কার দেওয়া উচিত।” বৃষ্টি লেখেন, “প্রথমে মনে করি, স্যাড সংয়ের সাথে লিপ সং। ওমা পরে দেখি, স্যাড সংয়ের সাথে ডিজে ড্যান্স।” অমি লেখেন, “জোকার। কি গান! কি নাচ! টোটাল রাবিশ!” গানের সঙ্গে কোরিওগ্রাফি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। আফসানা মিমি লেখেন, “গানের সাথে নাচ আর ড্রেস দুটোই জোকার লাগছে।” তোলন লেখেন, “ফারিণ মনে হয় একমাত্র মাইয়া যে, নাচতে নাচতে হাসতে হাসতে কইতেছে, ‘তোমার জন্য আমার মন কখনো গলবে না। আর তার নাচ দেইখা কি কমু! ভাই অভিনয় করে ঠিকঠাক বাট নাচটা হজম হইলো না।” এমন শত শত মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নেটিজেনদের সমালোচনার মাঝে মুখ খুলেছেন তাসনিয়া ফারিণ। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে গানটিকে ‘পপ ধাঁচের’ বলে মন্তব্য করেন। তার ভাষায়“আমার এই গানে ফিউশন ঘটাতে চেয়েছি। আশি ও নব্বই দশকের অনুভূতির সঙ্গে এই সময়টাকে মিলিয়ে কিছু একটা করতে চেয়েছি। সঙ্গে একটা গল্প রেখেছি, আবার শিল্পের সঙ্গে বাণিজ্যিক কিছু উপাদানও আছে। আমি ও আমার টিম চেষ্টা করেছি আমাদের চিন্তাভাবনা তুলে ধরতে।”

‘দৃশ্যম থ্রি’ নিয়ে নতুন খবর পাওয়া গেল

‘দৃশ্যম থ্রি’ নিয়ে নতুন খবর পাওয়া গেল মালায়ালাম ভাষার বহুল আলোচিত সিনেমা সিরিজ ‘দৃশ্যম’। জিতু জোসেফ পরিচালিত এ সিরিজের প্রথম পার্ট মুক্তি পায় ২০১৩ সালে। দ্বিতীয় পার্ট মুক্তি পায় ২০২১ সালে। এ দুই পার্টে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন মোহনলাল। এ সিরিজের তৃতীয় পার্ট নির্মাণের কাজ চলমান। তৃতীয় কিস্তিতে থাকবেন মোহনলাল। জিতু জোসেফ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ২০১৫ সালে বলিউড পরিচালক নিশিকান্ত কামার ‘দৃশ্যম’ সিনেমা হিন্দি ভাষায় রিমেক করেন। হিন্দি ভাষার রিমেকে অভিনয় করেন অজয় দেবগন, টাবু, শ্রেয়া সরন, অক্ষয় খান্না। ৩৮ কোটি রুপি বাজেটের সিনেমাটি বক্স অফিসে আয় করেছিল ১১০ কোটি রুপি। এই সিরিজের দ্বিতীয় পার্ট ‘দৃশ্যম-টু’ রিমেক করেছেন পরিচালক অভিষেক পাঠক। অভিনয়শিল্পীরা অপরিবর্তিত রয়েছেন। সিনেমাটি নির্মাণে ব্যয় হয় ৫০ কোটি রুপি। ২০২২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এ সিনেমাও বক্স অফিসে রাজত্ব করে। এটি আয় করে ৩৪৫ কোটি রুপি। এবার হিন্দি ভাষায় নির্মিত হতে যাচ্ছে ‘দৃশ্যম থ্রি’। গত অক্টোবরে সিনেমাটির দৃশ্যধারণের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল, তা হয়নি। অনেক দিন ধরেই প্রস্তুতির মধ্যে ছিলেন নির্মাতারা। অবশেষে লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন শুরু হতে যাচ্ছে। মিড-ডে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অজয় দেবগন এবার প্রস্তুত জনপ্রিয় থ্রিলার ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘দৃশ্যম’-এর বিজয় সালগাঁওকর চরিত্রে ফিরতে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে ‘দৃশ্যম টু’ সিনেমার পরিচালক অভিষেক পাঠক মুম্বাইয়ে তৃতীয় পার্টের শুটিং শুরু করবেন। এ বিষয়ে একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, “অক্ষয় খান্না ও টাবুসহ পুরো অভিনয়শিল্পীদের দল মুম্বাইয়ে ১০ দিনের শিডিউলে অংশ নেবেন। মুম্বাইয়ে ইনডোর দৃশ্যগুলো ধারণ করা হবে। তারা বড়দিন পর্যন্ত শুটিং করবেন, তারপর নতুন বছরের বিরতিতে যাবেন। ২০২৬ সালের প্রথম সপ্তাহ থেকে পুনরায় ‘দৃশ্যম থ্রি’ সিনেমার শুটিং শুরু হবে। পরিকল্পনা রয়েছে, ২০২৬ সালের এপ্রিলের মধ্যেই পুরো শুটিং শেষ করার।”